পথিক রহমান
সচলায়তনে এটাই আমার প্রথম পোস্ট। খুবই ভাল লাগছে যে, একটি সুসংবাদ সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারব। বিজয় বনাম অভ্রের মধ্যকার আদর্শিক সংগ্রামের মাঝখানে খোদ রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছ থেকেই এল এ সুসংবাদ। ভাষা উন্মুক্ত হওয়ার পথে আমরাও এগিয়ে গেলাম আরেকধাপ। আর ভাষাকে কুক্ষিগত করে রাখতে চাওয়া বেনিয়াদের পিছিয়ে যেত হল আরো কয়েক পা। দেরি না করে পুরো সংবাদটাই তুলে দিচ্ছি।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পাঁচটি মন্ত্রণালয়ে ইউনিকোডে বাংলা লিখন পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়গুলো হলো—মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, অর্থ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়।
‘ইউনিকোডে বাংলা টাইপিং চালুবিষয়ক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ’ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গতকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা বলেন। ইউএনডিপির অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম’ ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
সনাতন পদ্ধতিতে বাংলা টাইপ করার ক্ষেত্রে ফন্ট কেন্দ্রিক বিভিন্ন সমস্যা দূর করা এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ইউনিকোডে বাংলা লিখন চালুর জন্য এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালায় পরিসংখ্যান ব্যুরো, কম্পিউটার কাউন্সিল, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটার বিভাগ, ব্যানবেইস, বিয়াম ও বিসিএস প্রশাসন একাডেমির ৪৮ জন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তাঁরা পরে নিজ নিজ দপ্তরে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক শাজাহান আলী মোল্লা। বিজ্ঞপ্তি।
'সবেধণ-নীলমণি' সরকারি বাজারটাও ধীরে ধীরে হারাতে চলেছে বিজয়। 'সরকারি ফর্ম কেবল বিজয় দিয়েই পূরণ করত হবে'- এমনতর উদ্ভট ঘোষণাযুক্ত সরকারি ফর্ম ডাউনলোডের দিন বোধহয় ফুরিয়ে আসছে। নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির নিঃশব্দে আবার একটি বিপ্লব ঘটালেন। এর আগেও বিজয়ের গ্রাস থেকে পাঁচ কোটি টাকা বাঁচিয়ে দেশপ্রেমের মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। সারাদেশে সঠিকভাবে ছবিযুক্ত ভোটার-তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজটি সঠিকভাবে সপন্ন হওয়ার পেছনের মানুষটিও তিনি। তবে এই নিয়ে তিনি কোন অহংকার করেন নাই কিংবা নিজেকে নিজেই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রণেতা’ বা এমন স্বঘোষিত টাইটেলে ভূষিত করেন নাই। বরাবর নিভৃতচারী হিসেবেই থেকেছেন তিনি। আমার বাবার বন্ধু হওয়ার সুবাদে বলতে পারি ব্যক্তিগত জীবনেও এমন অমায়িক ও সাধাসিধে তিনি। ভাষা-বেনিয়ার হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতরে বসে তিনিসহ আরো যারা কাজ করে চলেছেন তাঁদের সবাইকে আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একদিন ভাষা উন্মুক্ত হবেই। আর সেদিনও বোধহয় খুব বেশি দেরিতে নয়।
পথিক রহমান
মন্তব্য
এই বিজ্ঞপ্তি দেখার পর জব্বার সাহেবের BP কত হয়েছিল সেটা জানার খুব ইচ্ছা হচ্ছে।
....ভাষা হোক উন্মুক্ত।
টুইটার
কাগু এই কবির সাহেবের ওপর মর্মান্তিক চটা। নির্বাচন কমিশনে কবির সাহেব নাকি কাগুকে ঘর থেকে বার করে দিয়েছিলেন। কাগু মনে হয় সেই রাগটাই অভ্রের ওপর ঝাড়ছে।
হিমু ভাই, ঘটনা সত্য। বিজয় না বেচতে পারা এবং বহিষ্কৃত হওয়া এই যুগপৎ দুঃখে কার মাথা ঠিক থাকে বলুন!
সেদিন আর দূরে নয় যেদিন মানুষ বলবে,
"একদা এক সময় বিজয় নামে বাংলা লেখার একটা সফটওয়ার ছিল।"
সহমত। নিজের কবর নিজেই খুড়ছেন কাগু।
পথিক রহমান
সহমত। অথচ তিনি হতে পারতেন অনেক সম্মানিত কেউ। বিজয় হতে পারতো লেজেন্ড। নিজের ধ্বংস নিজে ডেকে আনলেন জব্বার সাহেব।
টুইটার
খুবই ভালো খবর! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার স্মৃতি যদি আমাকে বিট্রে না করে তাহলে আমার মনে হয় ২০০৩/২০০৪ (কিংবা তার বছরখানেক আগে), যখন ইউনিকোডে বাংলাকে অর্ন্তভুক্ত করা হল তখন মুস্তাফা জব্বার একটা আর্টিকেল লিখেছিলেন ইউনিকোডের উপর বিষোৎগার করে। তিনি তখনই বুঝেছিলেন ইউনিকোড একটা বাঁধা হতে পারে তার জন্য। কিন্তু আমি অবাক হচ্ছি এই ভেবে যে তিনি টেকনলজিটাকে এডোপ্ট করে প্রতিযোগীতায় কেন এগিয়ে যান নি? একে ওকে আইনি ভয় দেখিয়ে বাজারে আসতে দেবেন না ভেবে?
ইউনিকোড কনসোর্শিয়ামের সদস্যদের তালিকা দেখুন। ভারতের সরকার এবং ভাষা প্রযুক্তি ও গবেষণা পরিষদ এর সদস্য। অথচ বাংলাদেশ থেকে কেউ নেই। বাংলা একাডেমী, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি কিংবা বাংলাদেশ সরকার থেকে কেউ নেই। বাংলা একাডেমীর ওয়েবসাইটই তো বিজয় ব্যবহার করে করা!
আমি অতি সম্প্রতি ভাষা প্রযুক্তি ও গবেষণা পরিষদ এর সাথে যোগাযোগ করেছি। দুই বাংলা একসাথে মিলে কিছু টেকনলজি তৈরী না করে ফেললে ডিজিটাল ডিভাইড দূরীকরণে আমরা ক্রমাগতই পিছিয়ে যাবো।
সরকারের এহেন বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্তে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল!!! আর এর পিছনে অবদান রাখার জন্য হুমায়ূন কবিরের জন্য রইল আমার শ্রদ্ধা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বাংলাদেশ সরকার কী করে আসবে যেখানে মোস্তফা জব্বারের মতো লোক সবজায়গায় ঘোষণা দিয়ে "ডিজিটাল বাংলাদেশ" নামক আইডিয়ার প্রণেতা হওয়ার দাবী করে!
কথায় কথায় আমরা তথ্যপ্রযুক্তিতে উত্তোরণের কথা বলি মুখ বড় করে, বুক চিতিয়ে। অথচ এই তথ্যপ্রযুক্তির মূল ফটকে যখন মোস্তফা জব্বারের মতো আইটিপ্রতিবন্ধী লোক পাহারা দিতে থাকে রাতদিন, তখন বাংলাদেশের জন্য এই সেক্টরে উৎকর্ষ কোন দিক দিয়ে আসবে শুনি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পুরো বক্তব্যের সাথে একদম সহমত। সব ইউনিকোড হয়ে গেলে বিজয় যাদুঘরে স্থান পাবে।
পথিক রহমান
আশা করি একদিন সব বাংলাসাইট ইউনিকোড হবে। তখন গল্প লেখা হবে ঃ অনেক অনেক দিন আগে কম্পিউটারে বাংলা লেখার জন্য ও পড়ার জন্য একটা সফটওয়ার লাগত ...
পথিক রহমান
মন ভালো করা খবর। হুমায়ূন কবিরের প্রতি শ্রদ্ধা। আর আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার সচলযাত্রা শুভ হোক।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আশায় বুক বাঁধি...
সচলে স্বাগতম।
______________________________________
ভাষা উন্মুক্ত হবেই | লিনলিপি
______________________________________
লীন
শুভ কামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
পথিক রহমান
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির-কে অনেক অনেক ধন্যবাদ। উনি আরো বেশ কিছুদিন তাঁর দায়িত্বে থাকবেন বলে আশা করছি। এবং তাহলে তো কাগু'র ইনসুলিন কেনার খরচও জোটবে না। আধুনিক টেকনলোজি জয়জুক্ত হোক।
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
খুবই দারুণ সংবাদ! যেহেতু আমি নিজে এক সাবেক আমলার মেয়ে, আমি জানি খালি সদিচ্ছা থাকলেই সরকারের কয়েকজন মিলে শত বাঁধার মুখেও কীভাবে সুস্থ কাজের ধারা তৈরী করতে পারেন। এটা সেই ধারারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ। এত প্রতিকূলতার মধ্যে এঁনাদের কাজ তাই আশার আলো দেখায়। হ্যাটস অফ টু হুমায়ুন কবির!
এই এক্সেস টু ইনফরমেশন টিম (এটুআই), যারা এর পেছনে কাজ করেছে, তাদের দলনেত্রী বুশরা তৌফিক চৌধুরী কীভাবে এই কাজের লিড দিয়েছেন, সেটাও এক চমকপ্রদ কাহিনী। আমি খুব গর্বিত, একজন বন্ধু হিসেবে এই নীরব বিপ্লবের নেপথ্যে বুশরার কাজ দেখে। আসলে এখনই সময়, বর্তমান প্রজন্ম হিসেবে দেশকে, দেশের কাজকে যার যার সামর্থ অনুযায়ী এগিয়ে নেওয়া।
ভাষা উন্মুক্ত হবেই।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
দারুণ খবর!!!!!!!!!!!!
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ হুমায়ূন কবিরকে শুভেচ্ছা, ধন্যবাদ, অভিনন্দন, শ্রদ্ধা!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সচলায়তনে স্বাগতম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর হুমায়ুন কবির সাহেবকে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা।
সচলে এসে আপনার শুভেচ্ছা পেয়ে খুব ভাল লাগল।
পথিক রহমান
দারুণ একটা সুখবর শুনলাম। আজকে দিনটাই চমৎকার। ভাষা হোক উম্মুক্ত।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
আলোকবাজি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ভাষা হোক উন্মুক্ত-অভ্র হোক জয়যুক্ত।
পথিক রহমান
- চমৎকার খবর!
মোস্তফা জব্বার যে পথে হেঁটে চলেছেন, তিনি আরও নিগৃহীত হবেন। এটা প্রকৃতির নিয়ম। স্রোত, সেটা নদীর হোক আর জনগণেরই হোক, চোখ রাঙিয়ে ভিন্ন পথে প্রবাহের চেষ্টা প্রকৃতি কেনো মেনে নিবে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চরম সহমত। স্রোতস্বিনী নদীতে বাঁধ দিতে গেলে স্রেফ ভেসে যেতে হবে।
পথিক রহমান
ঘটনা শুনে অনেক ভালো লাগলো। সরকারী মহলে যে অভ্রের পক্ষে কেউ আছে তা জেনে স্বস্তি পাচ্ছি।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
অভিনন্দন সবাইকে। এরকম দুই চারজন লীড দিলেই হবে। যারা পিছনে নিয়ে যেতে চায় তারা দুর্বল।
অভ্র-বিজয় ইস্যুতে আমার বরাবরই একটি শংকা মনে জাগে তা হলো - মোস্তফা জব্বারের পল্টিক্যাল লবিইং পাওয়ার।
এ পোস্ট পড়ে সে শংকা কিছুটা কাটলো...
শুভকামনা পথিক। সচলায়তনে স্বাগতম !
আমাদের যে আসলে দেশপ্রেমিক মানুষের অভাব নেই, জনাব হুমায়ুন কবির আবারো তার নমুনা দেখালেন। যার যার অবস্থানে থেকে সঠিক কাজটা করে ফেলার মতো মানুষ রয়েছেন বলেই এখনো আমরা স্বপ্ন দেখতে পারি। জনাব হুমায়ুন কবিরকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা।
মন্ত্রণালয়গুলো ইউনিকোড ভিক্তিক হচ্ছে, এটা নিঃসন্দেহে সুখবর। যদি এই ইউনিকোড ভিত্তিক ভাষাব্যবস্থা সরকারি বেসরকারি প্রাইভেট সব অফিস আদালতে চালু করে দেয়া যায়, তাহলে এই খাতে সরকারের ব্যয়ের এক তৃতীয়াংশ সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়ে যাবে, যা সংখ্যার হিসাবে বিরাট অংকের। এতে তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে আমাদের বর্তমান অবস্থার তুলনায় অকল্পনীয় দ্রুততা চলে আসবে বলে মনে হয়।
এবার মনে হয় আমাদের প্রকাশনা শিল্পকে ইউনিকোড ভিত্তিক সাজিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ নেয়াটা জরুরি হয়ে গেছে। আশা করছি সংশ্লিষ্টজনেরা বিষয়টা সিরিয়াসলি ভাববেন।
যে ভাষার জন্য বাঙালি রক্ত দিতে জানে, সে ভাষা উন্মুক্ত না হয়ে পারেই না ! ভাষা উন্মুক্ত হবেই !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পেশা হিসেবে যারা টাইপিং করে থাকেন তাদের মধ্যে বিজয় সফটওয়্যার ও এর কিবোর্ড লে আউট ব্যবহারের প্রবণতা বেশী দেখা যায়। এছাড়া সাধারণ মানুষদের আমি খুব একটা বিজয়-সফ্টওয়্যার-কীবোর্ড এখন দেশে কাউকে ব্যবহার করতে দেখি না (আমার দেখার পরিধি সীমিত আগেই বলে নিচ্ছি)। আমি অভ্রতে জাতীয় কীবোর্ড লে-আউট দেখার পর থেকে ওটাই বেশ কয়েক মাস ধরে ব্যবহার করছি। বাংলায় টাচ টাইপিং এর জন্য জাতীয় কীবোর্ড লে-আউট যথেষ্ট ভাল (আমার মতে)। আর এখন উবুন্টুতে চলে আসার পর জাতীয় কীবোর্ড লে-আউট এখানে পেয়ে, আমি কোন ঝামেলা ছাড়াই বাংলায় লিখছি।
যারা ফিক্সড লে-আউটে এখনো টাইপ করেন, তারা যখন জাতীয় কী-বোর্ড লে-আউটে ইউনিকোডে টাচ-টাইপ শুরু করবে তখন বিজয়ের আর কোন প্রচলনই থাকবে না, সেই হিসেবে পরের বছরে বাংলাদেশী সফ্টওয়্যার মিউজিয়াম তৈরি করে সেখানে বিজয়-সফ্টওয়্যার কে রাখার সুব্যবস্থা করা হবে! এইখানে অবশ্যই আমি ধরে নিয়েছি যে সরকারী ক্ষেত্রেও জাতীয় কীবোর্ড ব্যবহৃত হবে ও তরুণদের মধ্যেও অনেকে এটা ব্যবহারে এগিয়ে আসবে!
ছেড়া পাতা
ishumia@gmail.com
জব্বার সাহেব কি বলেছেন যে তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিকল্পক...
তাহলে ডিজিটাল ব্রিটেন থেকে কি তার নামে কপিরাইটের মামলা করা যায় কিনা?
এইখানে দেখুন ডিজিটাল ব্রিটেনের তথ্য:
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
সচলায়তনে স্বাগতম, দারুণ খবর দিলেন!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
প্রিয় পথিক রহমান, আপনার "প্রাণের প্রাণ জাগিছে............মন্যুষ্য সৃজনে!" শিরোনামের লেখাটি আমরা পেয়েছি। সচলায়তনে এক লেখকের একাধিক পোস্ট প্রথম পাতায় প্রকাশ করা নিরুৎসাহিত করা হয় বলে আমরা আপনার এই পোস্টটি কিছু সময় পর প্রকাশ করবো। ধন্যবাদ।
প্রিয় নীল-মডু,
অনেক ধন্যবাদ বিষয়টা জানানোর জন্য। আমি এই নীতিমালা সম্পর্কে জানতে চেয়েই মাত্র ই একটা মেইল করেছিলাম contact AT সচলায়তন বরাবর। প্রশ্নের উত্তরটা পেয়ে গেলাম এখানেই। অব্যাহত সহযোগিতার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
পথিক রহমান
নতুন মন্তব্য করুন