যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত , অনুগ্রহ পূর্বক অপেক্ষা করুন।
-- টিভির স্ক্রীনে প্রায়ই এই লেখাটা ভেসে উঠতো এক সময়, আমারো সেই একই অবস্থা , সিরিজ লিখতে গিয়ে কিছু গোলযোগের কারনে পরের পর্ব আসতে তাই দেরী হলো।
বিটিভি নিয়ে লিখতে গেলে এখন দেখি যে একটা বই বের করার মত অবস্থা - আমি কেমন বিটিভি দেখেছি অথবা আমার দেখা বিটিভি - এরকম নাম নিয়ে। এত কিছু যে দেখেছি বিটিভি তে, এত স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে বিটিভি নিয়ে - তা অল্প কয়েক পোষ্টে লিখলে সম্পূর্ণ হবে না।
বিটিভির অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল - ছায়াছন্দ। নানান সময়ে নানান উপস্থাপণার মাধ্যমে ছায়াছন্দ প্রচারিত হতো টিভিতে। এক সময় সাদা কালো সিনেমার গান নিয়েই প্রচারিত হতো - সেই পাকিস্তান আমলের সিনেমার গান - নায়িকাদের চোখ পিট পিট করে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে , গাছের গোড়ায় গিয়ে দাঁড়িয়ে কিংবা আঁচলে আঙ্গুল পেচিয়ে পেচিয়ে গান আর পিছনে নায়ক সাহেব হাত ছুঁড়তে ছুড়তে গাইতে গাইতে আসতো, কাছে এলেই নায়িকা সাহেবান লজ্জায় আরো দ্বিগুন ভাবে চোখ পিট পিট করে আরেকটু সামনে গিয়ে দাঁড়াতেন।
ছায়াছন্দ নিয়ে লিখতে গিয়ে একজনের লেখা কোট না করেই পারলাম না -
"ছায়াছন্দের প্রযোজকের বিবর্তনবাদ সম্পর্কিত ধারণা প্রশংসনীয়। শুরুর দিকের গানগুলো হবে সাদাকালো। একটু নির্দোষ টাইপ। "পথে পথে দিলাম ছড়াইয়া রে", "এই পৃথিবীর বুকে কত ফুল ফোটে আর ঝরে" ইত্যাদি।পরবর্তী ধাপে আসবে সাদাকালো যুগেরই হাল্কা রোম্যান্টিক কিছু। "আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন", মোটা টানা কাজল আর পরচুলার ডাব-খোঁপার শবনম, সঙ্গে রাজ্জাক।
তদানীন্তন দুর্দান্ত রূপসী ববিতা আসবে একটু ইয়ে অ্যাপিল নিয়ে বিপজ্জনক কাটের স্লিভলেস ব্লাউজ আর সি-থ্রু শিফন শাড়িতে, বিশাল সিঁড়ির রেলিঙে মূর্তির ভঙ্গিতে হাত রেখে পা জড়িয়ে জড়িয়ে নামবে। উদাহরণ, "গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে"।
এরপর শিশুচরিত্রের লিপে গান। অবধারিতভাবে পূর্ণবয়ষ্ক কোন মহিলা কণ্ঠশিল্পীর গাওয়া (তখন খুদে গানরাজ ছিল না বলেই হয়তো)। "বাবা বলে গেল আর কোনদিন গান কোরোনা", "আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী" অথবা "আমাদের পতাকা আমাদের মান সত্য সুন্দর বিজয় নিশান"। কোন কোন গানের মাঝখানে "হেই, হেই" জাতীয় শব্দের চাবুক চলবে। এই জোশের সাথে সাথে দেশাত্মবোধক একটা গানও হয়ে যাবে, যেটা জহির রায়হানের "জীবন থেকে নেয়া"রও হতে পারে, আবার কাজী হায়াতের "দেশপ্রেমিক" কলেজছাত্র মান্নারও হতে পারে (কোন্ সরকার ক্ষমতায় আছে তার উপর নির্ভর করবে)।
পারিবারিক গান থাকবে কিছু। এইখানে সন্তানসহ শাবানা-আলমগীর (সন্তানের সংখ্যা এক থেকে পাঁচ পর্যন্ত হতে পারে) উপস্থিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। গানের শুরুর দিকে শাবানা অবধারিতভাবে আলমগীরের পা ধরবে, তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে বাচ্চার জন্ম হয়ে সে বড়ও হতে থাকবে। কানামাছি খেলার ছলে স্লোমোশনে দৌড়াদৌড়ি হবে, একফাঁকে আলমগীর ছেলের চোখে হাতচাপা দিয়ে শাবানার কপালে একটা চুমু দিয়ে বসবে ।
আরেক ধরণের পারিবারিক গান (!) থাকবে একটা, যাকে জন্মদিন- সঙ্গীত বলাই শ্রেয়। জরি, কাগজের শিকল আর বেলুন দিয়ে সাজানো হার্ডবোর্ডের ড্রয়িংরুম। নায়িকার বাবামা, তাদের ধনী বন্ধু-বন্ধুপত্নী এরা বসবে সোফায়। আর বাকী মেহমান হিসেবে কিছু এক্সট্রা লোকজন সারবেঁধে ড্রিংকসের গ্লাস হাতে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকবে। একটা বিশাল গ্র্যান্ডপিয়ানো থাকবে একপাশে; যেটার রিডের উপর নায়িকা দুইহাতের দশ আঙ্গুল দিয়ে নির্বিচারে থাপড়াথাপড়ি করবে । গানের মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্টে পিয়ানোর কোন নিশানা নিশ্চিতভাবেই পাওয়া যাবেনা। নায়িকার বাবামাসহ মুরুব্বীরা (মুস্তাফা, খলিল, আনোয়ারা, শর্মিলী বা ডলি জহুর) সন্তানের সঙ্গীত প্রতিভায় বেসম্ভব রকমের মুগ্ধ-- এইরকম একটা ভঙ্গিতে পুরো গান জুড়ে ভেটকিরত অবস্থাতে থাকবেন। এই ধরণের গানে নায়িকার পরনে থাকবে নেটের কুচিঅলা ফ্রক, মাথায় আউলাঝাউলা কিছু পাখির পালক। গানের মাঝখানে তার বড়ভাই (ছবির মূল হিরো) কপালের ব্যান্ড থেকে শুরু করে চিপা শার্টপ্যান্ট, পায়ের জুতা পর্যন্ত মেরুন রঙে ম্যাচ করে কানেকশনবিহীন এক ইলেকট্রিক গিটার নিয়ে লাফ দিয়ে ঢুকবে। ভাইবোনে মিলে লম্ফঝম্প সহকারে নৃত্যগীত পরিবেশন করবে। আর দ্বিতীয় নায়ক (নায়িকার ধনী আংকেল-আন্টির পুত্র, বেবিটেক্সি-চালক-নায়কের কাছে আল্টিমেইটলি যার বেইল থাকার কথা না) এককোণায় দাঁড়িয়ে চামে কিছু দৃশ্য কল্পনা করে নেবে" - নুশেরা
- এরকমই ছিল সেই ছায়াছন্দ।
বিটিভির ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে সংশপ্তক নাটক নিয়ে কিছু না লিখলে মনে হয় সেটা খুবই অন্যায় হয়ে যাবে ।
প্রিন্স অব বাকুলিয়ার সেই ছোট ছেলেটিকে আজও চোখে ভাসে , চরিত্রের সাথে যেন পুরো মিশে গিয়েছিল তার চেহারা, অভিব্যক্তি, - এক কথায় সব কিছু। সেই সাথে কান কাটা রমজান, হুরমতি কিংবা রাবু চরিত্র - এক কথায় অসাধারন। যদিও বইয়ের সাথে মিলাতে গেলে পাঠক কে কিছুটা হোঁচট খেতে হবে , তারপরেও বিটিভির সেরা নির্মান ছিল এই নাটক। নাটকের একটি ডায়লোগ এখনও মনে আছে - অভিনেতা খলিল বলেছিল - ''বাঘ হয়ে জন্মেছি, বাঘ হয়ে মরবো, বেড়াল হয়ে নয়, কুকুর হয়ে নয়"।
যদি কিছু মনে না করেন - ফজলে লোহানীর অনবদ্য উপস্থাপণায় ছিল অসাধারন একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। এখনকার জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের হানিফ সংকেতের হাতে খড়ি ছিল সেই যদি কিছু মনে না করেন - দিয়েই। দুঃখজনক , ইত্যাদি সময়ের সাথে সাথে আপগ্রেড হয় নাই, একই ধাঁচের, একই রকম অনুষ্ঠান এখন বিরক্তিকর লাগে। যদি কিছু মনে না করেনের "কইঞ্চেন দেখি" এর লালু ভাইয়ের কথা এখনও স্পষ্ট মনে আছে, আরেকজন ছিল, নাম টা এই মুহুর্তে মনে আসছে না। মনে আছে তখন ফজলে লোহানী পদ্মার উপর দাঁড়িয়ে রিপোর্টিং করেছিলেন প্রমত্তা পদ্মার শুকিয়ে যাওয়া নিয়ে , পদ্মায় আরো অনেক পানি গড়িয়েছে কিন্তু পদ্মা দিন দিন আরো শীর্ণ হয়েছে, রুগ্ন হয়েছে - আর তা আমাদের চোখের সামনেই।
বিটিভির কল্যানে নামকরা সব ইংলিশ সিনেমা দেখা হয়েছিল সেই সময়। মুভি অব দ্যা উইকে সব বিখ্যাত বিখ্যাত ছবি দেখানো হতো - আগের পর্বেই এটা নিয়ে আলোচনা হয়ে গেছে তাই আজ আর কিছু লিখলাম না।
বিটিভির বিশ্বনাটক ছিল অসাধারন, শুধু সাঈদ আহমেদ এর উপস্থাপণাটুকু বাদ দিলে।
বিটিভির ইংলিশ সিরিয়াল গুলো নিয়েও বেশ আলোচনা হয়ে গেছে , তাই এটা নিয়েও আর লিখলাম না। আমার দেখা বিটিভির শেষ ইংলিশ সিরিয়াল ছিল - হারকিউলিস। এরপর আর বিটিভি দেখা হয়নাই সেই ভাবে, এখন এত চ্যানেল তাই টিভিই দেখা হয় না।
বিটিভির বিরক্তিকর অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে নতুন শিল্পীদের দিয়ে হার্ডবোর্ডের সেটের মধ্যে গাওয়ানো গান ছিল বিরক্তিকর, নাচের অনুষ্টান - নৃত্যের তালে তালে, রাগ সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। আর তখনকার মত এখনো বিটিভির সংবাদ তার জঘন্যতার রেকর্ড ধরে রেখেছে।
বিটিভির বিজ্ঞাপণ নিয়েও আলোচনা হয়ে গেছে আগে। সবাই মিলে আলোচনা করে সিরিজটার আকার ছোট করে দিয়েছেন, না হলে বিশাল এক সিরিজ হতো, এটা নিশ্চিত।
এই জন্য সকলকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ।
আগের পর্ব সমূহঃ
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/32127
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/32090
সাঈদ
মন্তব্য
আমার দেখা বিটিভির শ্রেষ্ঠ অনুষ্ঠান ছিল ৯০(নাকি ৮৯ এর?)এর রজত জয়ন্তীর সেই মাস ব্যাপী অনুষ্ঠানটা... আর তার পরপরই ৯০ এর বিশ্বকাপ। কী যে অসাধারন কিছু ছিনেমা দেখিয়েছিল সেই সময়... বলার মতো না!
একটা সিনেমার কথাতো এখনও মাঝে মাঝে মনে পড়ে! প্লেন ক্র্যাশ করে একটা ঘন জঙ্গলের মাঝে পড়সে, নায়িকা বেঁচে, সে কোনওরকমে নিজেরে সিট থেকে মুক্ত করে এদিক সেদিক হাতড়াচ্ছে... একটা দৃশ্য ছিলো এরকম, নদীর পাশে পরে থাকা এক সিটে একজন মানুষকে নড়তে দেখে নায়িকা এগিয়ে যায় এই ভেবে যে লোকটা বেঁচে আছে, পরে দেখে যে সিটের যে অংশ পানিতে সে অংশে শয়ে শয়ে পিরানহার আন্দোলনে সি দুলছিলো...ভয়াবহ মুভি... আন্দিজের বন্দীর মতো!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হ্যাঁ, মুভিটার নাম ছিলো ''মির্যাকালস স্টিল হ্যাপেন'', ইটালিয়ান মুভি "I Miracoli Accadono Ancora" (1974)। সত্য ঘটনা অবলম্বনে মুভিটা তৈরী হয়েছিল। সেই গল্পের আবার বঙ্গানুবাদ, শিশু অ্যাকাডেমি'র অনুবাদের সংগ্রহ থেকে পড়েছিলাম ছোটবেলায়।
Juliane Margaret Köpcke ছিলেন সেই মেয়েটি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
নুশেরার বর্ণনা দুর্দান্ত হয়েছে!
সাদাকালো থেকে রঙিনে বিবর্তনের সাথে সাথে ববিতার স্টাইলে রীতিমতো মিউটেশান ঘটে। সেই শাড়ি আর ডানাকাটা ব্লাউজ ছেড়ে উদ্ভট ফ্রক, গেঞ্জি আর আজগুবি সব বুট পরতে শুরু করে দিলো। ইলিয়াস কাঞ্চন সাদা শার্ট-প্যান্ট-মোজা পরতো। আমরা কাজিনরা ওটাকে ইলচি স্টাইল বলতাম। অঞ্জু ঘোষ অদ্ভুত ধরনের আইল্যাশ চোখে দিত। আর প্রায় সব সিনেমাতেই তাকে দেখা যেত নদীর তীরে দীর্ঘ আঁচল বিছিয়ে বিবাগিনী হয়ে ঘুরতে। রোজিনা মুখের ব্রন আড়াল করতে কাজল দিয়ে বিশাল একখানা তিল আঁকত। চম্পা আর জিনাতকে ছোটোবেলায় দারুণ সুন্দরী মনে হতো আমার। আমার এক কাজিন এক সিনেমায় ববিতা না সুজাতা কার যেন মেয়ের ভূমিকায় ছিলো। সে সিনেমার এক দৃশ্যে ভিলেন তাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায় কোনো এক পাহাড়ি এলাকায় আর পাহাড় থেকে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখায়। আমার পিচ্চি কাজির বাসায় ডায়লগ প্র্যাক্টিস করতো:
বাঁচা-আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ-ও-ও-ও-ও ...
বাংলা সিনেমার কথা বললে সিনেমার সখাসখীদের কথাও চলে আসে। নাচের দৃশ্যে কোত্থেকে সব নারীপুরুষ এসে হাজির হতো। এত মানুষের ভিড়ে প্রেম শুধু সিনেমাতেই সম্ভব। আর নায়ক-নায়িকাদের বয়স নিয়ে প্রশ্ন তোলাই বাহুল্য। বাপের বয়সি লোকজনকেই কলেজপড়ুয়া ছাত্র হিসেবে মেনে নিতে হবে। দিলদার যদি সালমান শাহের বন্ধু হয় তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা যাবে না।
আর ছিলো ক্লাইমেক্সে নায়কের ডেরায় বন্দি নায়িকার সেই অবিস্মরণীয় ডায়লগ:
ছেড়ে দে, শয়তান! ছেড়ে দে! তুই আমার দেহ পাবি, মন পাবি না!!!!!
বিটিভির সংবাদপাঠিকাদের উপস্থিতি ফ্যাশনপ্যারেডের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিলো না। রমজান মাসে শিফন আর নেটের ঘোমটার আড়ালেও সেটা চাপা পড়তো না কখনো। মেহরীনকে বিটিভির ইংরেজি সংবাদপাঠিকা হিসেবে খুব ভালো লাগত। এরপর সে একুশে টিভি’র কোনো এক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা হয়ে এলো। সেখানেও ভালো লেগেছে। গায়িকা হওয়ার পর আর ভালো লাগে নি।
নতুন কুঁড়ি ছোটোবেলায় খুব পছন্দ করতাম। নতুন কুঁড়ির চ্যাম্পিয়ন মানেই স্টার। এরপরে অন্যান্য বিভিন্ন চ্যানেলে কিছু শিশুতোষ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। কিন্তু ওগুলো তেমন মনে ধরে নি।
বানান:
কারন > কারণ, পোষ্ট > পোস্ট, উপস্থাপণা > উপস্থাপনা, পেচিয়ে > পেঁচিয়ে, ছুড়তে > ছুঁড়তে, বয়ষ্ক > বয়স্ক, কোন্, কোন > কোন, কোনো, ধরণ > ধরন, বাবামা > বাবা-মা, কোণা > কোনা, অসাধারন > অসাধারণ,
নির্মান > নির্মাণ, ডায়লোগ > ডায়লগ, যদি কিছু মনে না করেনের > যদি কিছু মনে না করেন-এর,
মুহুর্ত > মুহূর্ত, কল্যান > কল্যাণ
নতুন বানানগুলো উল্লেখ করি নি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপনার সিরিজটা পড়লাম। চমতকার লিখেছেন।
বিটিভির সাথে শৈশবের কত স্মৃতি যে মিলেমিশে এক হয়ে আছে, তা বলে শেষ করা যাবে না।
লেখালাখি জারি রাখুন।
প্লেন ক্র্যাশের মুভিটার নাম আমারও মনে নেই।। তবে লঙ্গেস্ট হান্ড্রেড মাইল নামে আরেকটা ছবির কথা মনে আছে। সেই ২য় বিশ্বযুদ্ধের ওপর ছবি। জাপানিদের দখল করা চাইনিজ এলাকা থেকে এক দল আমেরিকান একটা ভাঙা বাসে করে(বাসের ছাদে বসে একজনকে পাম্প করতে হয়, নইলে বাস চলে না) ১০০ মাইল পাড়ি দিয়ে একটা এয়ারফিল্ডে গিয়ে প্লেনে করে পালায়। আরেকটা ছবি দেখেছিলাম সেই সময়... একটা ক্রুজ শিপে একটা সার্কাসের বাঘ খাঁচা থেকে বেড়িয়ে পড়ে আর তার ফলে মজার সব কান্ডকারখানা... নামটা ভুলে গেছি(টাইগার শব্দটা ছিল নামের মধ্যে)... দুটোই সাদাকালো ছবি! এর পর আর খুঁজে পেলাম না!
অনেক পিচ্চি কালে হিচককের 'দি বার্ড' দেখেছিলাম মনে আছে... আসাধারন ভয় পেয়েছিলাম!
একতা নাটকেরর একটা ডায়লগ মনে আছে... একজন খালি শুনে যাচ্ছে "দরজাটা খুলে দাও"... আর কিছু মনে নেই! তবে রাগ সঙ্গীতের অনুশঠান রাগরং আর কী একটা জানি ছিল নাম ভুলে গেছি শুরু হলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যেত। এখন বুঝি সেই সব অনুষ্ঠানে সত্যিকারের ভাল কিছু মিউজিক শোনানো হতো। হেলায় হারালাম। এখন সেইসব মিউজিক দোকানেও কিনতে পাই না!
অপারেশন টাইগার। রাশান সিনেমা।
অপারেশান টাইগার... ঠিক তাই! আপনার অবতারের সাথে মিলে যাচ্ছে অবশ্য!
---থাবা বাবা!
- সুর লহরী।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মাঝরাতে যন্ত্রসঙ্গীতের একটা অনুষ্ঠান হত, এখনো হয় মনে হয়, এটা ছিল সবচেয়ে বড় পেইন, মানে যখন অতক্ষণ জেগে থাকা শুরু করলাম আরকি।
গত পর্বে আমার কমেন্টে একটা বড় ভুল করেছি, নারকেল তেলের যে অ্যানিমেটেড অ্যাডটা দেখাত, ওটা লালবাগের হাঁসমার্কার ছিল না! ছিল আরামবাগের ১৬ আনা খাঁটি নারকেল তেলের... এটা আমি আবিষ্কার করলাম শ্রদ্ধেয় হিমু ভাইয়ের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচারের কমেন্টস পড়তে গিয়ে!! অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্যে দুঃখিত। আমার স্মরণশক্তি অবশ্য আগা গোড়াই খারাপ ছিল।
সব শেষে বাংলাদেশের পতাকা আর জাতীয় সঙ্গীত।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
- "রূপবতী সখি তোরে কেশবতী করে দেবে, এপি পনেরো কেশ তেল"
এই গানের তালে তালে এক রাজকন্যা প্রাসাদের বারান্দা দিয়ে হেঁটে যেতো আর তার পিছন পিছন তার চুল তুলে ধরে দাসীরা আসতো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অ!!
তাইলে আর কাম্নে কি? আপ্নারো পছন্দের ছিল নাকি? রাজকন্যারে একটা সালাম দিয়েন।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ছায়াছন্দের মাঝে মাঝে 'পানামা শাড়ী'র বিজ্ঞাপন দিত। সুন্দরী রমনীরা পানামা শাড়ি পরে এক পা তুলে দাঁড়িয়ে থাকতেন। জ়িঙ্গেলে 'পানামা', 'পানামা' বলার সাথে সাথে রমণীরা পা নামিয়ে সোজা হয়ে দাড়াতেন।
নাজমা জামান নামে একজ়ন ছিলেম, অত্যন্ত চমৎকার অভিনয় করতেন। বিটিভির কিছু বিজ্ঞাপন টাইপ নাটিকা ছিল 'মেয়েদের স্কুলে পাঠাও, সন্ধানীতে রক্ত/চক্ষুদান' ইত্যাদি বিষয়ক। প্রথমটিতে নাজমা জামান বুড়ি দাদীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যার একটা সংলাপ এখনো কানে বাজে, "মানুষই তো জজ বারিস্টার হয়, গরু-ছাগল তো হয় না..."
ওখানে মহিলার শেষ ডায়লগটা ছিল "আরে বেটারে... অন্ধ হইয়াও আমি তর চেয়ে বেশী চক্ষে দেহি, তুই দেহছ না"। তার পরই মামুনুর রশিদ মেয়েকে স্কুলে দিয়ে আসে!
কারো কি জোনাকী জ্বলে নাটকটার কথা মনে আছে? সেটার শেষের দিকের একটা যুদ্ধ(মারামারি) হয় দুই পক্ষে। এক দিকে রাজাকার চেয়ারম্যান আর অন্যদিকে প্রগতিশীল ও মুক্তিযোদ্ধারা... সেই সময় কেরামত মাওলার একটা সংলাপ ছিল "ডালপালা কাইট্টা কি হইবো, আমি খুঁজতাছি গোড়া"। এর পরই রাজাকার চেয়ারম্যান খুন হয় মুক্তিযোদ্ধা কেরামত মাওলার হাতে। তার পর আদালতে সে জবানবন্দি দেয় "আমি কোন ভুল করি নাই, খালি যেই কাজ ১৮ বছর আগে করা উচিৎ ছিল, সিটা ১৮বছর পড়ে করছি"... অসাধারন একটা সংলাপ ছিল সেটা!
---থাবা বাবা!
- বিচারে তার ফাঁসি হলে পরে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় "কেমন লাগছে!"
উত্তরে সে বলে, "চানু (সামী আনসারী) যখন মেট্টিক পাশ দিলো, তখন তারে জিগাইলাম, চানুরে তোর কেমন লাগে! চানু জবাব দিলো, কেরামত চাচা আমার ঘুম ঘুম লাগে! আমারও আইজকা ঘুম ঘুম লাগতাছে।"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার মন্তব্য থেকে মনে করতে পারলাম এবার নাটকটার কথা।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনার এই সিরিজ পড়ে বিটিভির অনেক পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে।
এই 'জোনাকি জ্বলে' তেই সম্ভবত রাজাকারের একটা ডায়লগ ছিল- শ্যামলী না?
আর রাজাকারের চরিত্রে ড. ইনামুল হক অভিনয় করেছিলেন।
- উহু, সাদেক বাচ্চু।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একটা নাটক ছিল..."শিকড়"...ওখানে আসাদুজ্জামান নূর হয়ে যেত আবুল হায়াত আর আবুল হায়াত হয়ে যেত আসাদুজ্জামান নূর। ভয়ঙ্কর।
এটা খুবই অন্যায় যে ছায়াছন্দ বা বাংলা ছবি বলতে এখনকার পোলাপান শুধু ববিতা, শাবানা বোঝে। আমাদের অঞ্জু ঘোষ, অঞ্জনা, সুচরিতা, দোয়েল, সুনেত্রা (বিশাল চোখয়ালী) ভুলে গেলে চলবেনা। এদের পর্দা কাপানো সর্প সিরিজ প্রবাদ তুল্য। ওয়াসীম অঞ্জু ঘোষের সেই জ়ুটি ... আহা।
ঢাকায় থাকি'র "মাহমুদ সাব", সকাল সন্ধ্যের "মাখনা" ... এখনও যেন কান পাতলেই শুনতে পাই।
বি'টিভি আমাদের আস্ত একটা জেনারেশনের ভ্যালুস গুলো তৈরী করে দিয়েছিল।
মনির হাসান.
নস্টালজিয়া জাগানো একটা সিরিজ...
আর সেই বিজ্ঞাপনটা.....
সাদেক আলী:
"ঝাঁকে ঝাঁকে ঝাটকা
কারেন্ট জালে আটকা,
ইলিশ মাছের পোনারে....
ট্যাকার খবর শোনারে...."
সাদেক আলী তুমি দ্যাশের খতি করতাছো....
"মৎস মারলে দ্যাশের খতি?
ঠিক আছে তো মতিগতি?"
----------------------------------------------------------------------------
জেনে গেছো তুমি আমার সবই, তবু কেন বল "জানি না"?
হৃদযে আমার বেজে উটে যেন শত সহস্র বীণা।
আমিও জেনেছি এযে তোমার নিজের সাথেই ছলনা,
তাই তো আমার অবুঝ মনের সুর-ঝংকার থামে না।।
-----------------------------------------------------------------------------
রাজকন্যা
মীনা কার্টুনটার কথা কি ভুলে গেল সবাই???
http://www.youtube.com/watch?v=GCHchFb0UjM&feature=related
নতুন মন্তব্য করুন