আমার দিনলিপি...২৭/৫/২০১০

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: শনি, ২৯/০৫/২০১০ - ৮:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতিদিন মগজ জুড়ে অজস্র চিন্তা চলতে থাকে। শিকড়হীন ডালপালাওয়ালা সেসব চিন্তা মৌসুমী ফলের মত। এখন আছে আবার এখনই নেই।
ইদানীং একটা জিনিস লক্ষ্য করছি। আমার নিজেকে নিয়ে আমার কোন অসন্তুষ্টি নেই। আগে যা প্রচুর পরিমাণে আমার মগজে বিদ্যমান ছিল।
এখন যাচ্ছি পরিবাগের দিকে। রিক্সাওয়ালার সাথে গল্প করতে করতে।
রিক্সাওয়ালা পরিচিত। মাসদুয়েক আগে এক সন্ধ্যায় নাটক সরণী থেকে বাসায় আসার পথে তার সাথে কথা হয়।
লোকটার নাম বরকত। লালনের বিশাল ভক্ত সে। বলে, “লালন করেছেন পালন।”
বরকত বলে
-যখন বিয়া করছিলামহ, তখন তো এত কিছু বুঝবার পারিহ নাই। বুঝলেহ বিয়াই করতাম নাহ।
-কেন?
-থাকতাম নিজের মত নিজে একলা, লালনের সাথে। কি খাইতামহ, কি পড়তামহ তা নিয়া চিন্তা থাকতোহ নাহ।
বরকত আমার অনুমতি নিয়ে গান ধরে। লালনের গান।
বরকতকে বললাম আজকের ঘটনার কথা।
-আহারে, পোলাডা অল্প বয়সেই মইরা গেল গাহ। পোলাডার লগে ইনসাফ হয় নাইহ।
বরকত আবার গান ধরে, “খাঁচার ভেতর অচিন পাখি, কেমনে আসে যায়...”

পরিবাগের মাথায় এসে ওভারব্রীজ দিয়ে রাস্তা পার হলাম। পার হবার সময় নিচে তাকিয়ে দেখি, অনেকে সরাসরি পার হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
এখন যদি একটা দুর্ঘটনা ঘটে? দোষ কার?
সবসময় গাড়িচালককে দোষ দিয়ে লাভ নেই। নিজেদেরকেও একটু শোধরাতে হবে।
এপারে রিক্সার কোন অভাব নেই। কিন্তু ভাড়া চায় ন্যায্যের দ্বিগুণ, তিনগুণ।
আজকের সমস্যা অন্য। আজকে রিক্সাই নেই। অগত্যা হাঁটা ধরলাম। মোবাইলটা বের করে ঘড়ি দেখলাম। ৩:৫৬ বাজে।
মাথায় অনেকক্ষণ ধরে আজকের ঘটনা নিয়ে একটা ব্লগ লেখার চিন্তা ঘুরছে। কিভাবে লিখব সেটাই চিন্তা করছিলাম আর হাঁটছিলাম।
হঠাৎ দেখি একদম আমার গায়ের উপর এক রিক্সা উঠে আসছে। আমি তাড়াতাড়ি ফুটপাতের উপর উঠে পড়ি।
নিজের গাধামির জন্য নিজেকেই লাথি মারতে ইচ্ছা করছিল।
নিজের আর একটু আগের সেই লোকের মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পেলাম না।
ফুটপাত থাকতে রাস্তায় হাঁটা আর ওভারব্রিজ থাকতে রাস্তা সরাসরি পার হওয়া দুটোই সমান গাধামি।
ভাবনা বাদ দিয়ে দেখেশুনে হাঁটছি ফুটপাত দিয়ে।
কিছুক্ষণ পর আর ফুটপাতে থাকা সম্ভব হল না। একগাদা বিঁড়ি সিগারেটের দোকান ঠিক ব্যাঙের ছাতার মত।
বাসায় পৌঁছাতে বেশি সময় লাগল না।
রুমে ঢুকেই কম্পিউটারটা অন করলাম। সচলে ঢুকে প্রথমেই দেখলাম আজকের ঘটনাটা নিয়ে কেউ কোন ব্লগ লিখেছে কিনা।
না, টিকিটাও নেই।
শার্টটা খুলে সোফায় রেখে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখতে বসলাম।
আধাঘন্টার মধ্যে লেখা শেষ করে সচলে কপি পেস্ট মারলাম।
সকাল থেকে বাইরে ছিলাম। পেটে কিছু পড়েনি একটা আম ছাড়া। ক্ষুধা আছে। কিন্তু তারচেয়েও বেশি ঘুম পাচ্ছে।
বিছানায় গিয়ে শরীর এলিয়ে দিলাম। ঘুমকে বললাম,"ঘুম, এখন আমি তোমার।"

মা’র ডাকে ঘুম ভাঙলো। পানি ছেড়েছে, গোসল করতে হবে।
গোসল করে এসে খেতে বসলাম। ভাত আর মাংস।
খাওয়া প্রায় শেষের পথে এমন সময় ফারুক আঙ্কেল ফোন দিলেন। এঁটো হাতেই ফোন ধরলাম
-পলাশ বাবা, কেমন আছো?
-জ্বী আঙ্কেল ভালই। খবর শুনেছেন নিশ্চয়ই?
-হ্যাঁ বাবা, ১১টার সময় তো আমরা সবাই নিউমার্কেটে ছিলাম।
-নিউমার্কেটে??
-হ্যাঁ, কেনাকাটা করতে। বাইরে এসে দেখি বাস জ্বলছে। পরে ঘটনা জানতে পারি।
-ও।
-তো বাবা, তুমি যদি একদিন এসে দেখা করে যেতে ভাল হত।
-আঙ্কেল কি এখন বাসায়?
-হ্যাঁ।
-আমি যদি এখন আসি তবে কি সমস্যা হবে?
-এখন?অনেক রাত হয়ে গিয়েছে না? বাসায় সমস্যা হবে না তো?
আমার খেয়াল হল কটা বাজে জানিনা।
ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি সাড়ে আটটা।
-আমি সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে পৌঁছে যাব।
-তাহলে তুমি এদিকে এসে একটা কল দিও।
-ঠিক আছে আঙ্কেল।
নতুন গন্তব্য পাওয়া গেল-উত্তরা।
কিছুদিন ধরে মনে হচ্ছে টিউশনি করানো দরকার। ১ম বর্ষ, ২য় বর্ষ কিছু করলাম না। এখন ৩য় বর্ষের শেষে এসে টিউশনি করার শখ চাপছে।বুড়ো বয়সে ভীমরতি আরকি।
অনেক কষ্টে একটা টিউশনির খোঁজ পাইছি। ফারুক আঙ্কেলের ছেলেকে পড়াতে হবে। বাসা উত্তরা। এখন ধানমণ্ডি থেকে উত্তরা যাব।
রেডি হয়ে বের হয়ে পড়লাম। রাস্তায় রিক্সার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।
রিক্সা না পেয়ে ল্যাব এইডের দিকে হাঁটা ধরলাম।
বাস কাউন্টারে এসে দেখি বাস সামনে দাঁড়িয়ে। টিকেট কেটে উঠে পড়লাম। মোবাইলের ঘড়িতে তখন ৯টা বেজে ৬ মিনিট।
বাস হচ্ছে ভাবনা চিন্তার চরম এক জায়গা, যদি লোকাল বাস না হয়।
পিছনের দিকে বসলাম খোলামেলা জায়গা দেখে।
কিছুক্ষণ বাইরে তাকিয়ে থেকে বাসের ভিতরে তাকালাম।
বাসটা নিঃসন্দেহে এক সময় চেয়ার কোচ ছিল। মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পর লোকাল রুটে নামানো হয়েছে।ঢাকার লোকাল রুটের অধিকাংশ বাসই এমন।
বিমানবন্দর কাছাকাছি আসতেই ফারুক আঙ্কেল আবার কল দিলেন,
-পলাশ তুমি কোথায়?
-আঙ্কেল এইতো বিমানবন্দর ক্রস করলাম।
-আমি নিচে দারোয়ানকে বলে রেখিছি। তুমি এসে আমার নাম বললেই হবে।

বাস থেকে নামলাম রাজলক্ষীর সামনে। ১৩ নম্বর রোড রাস্তার ঠিক ওপারে।
১০টা বাজে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কথা বলে বাসায় ফিরতে হবে।
ওভারব্রিজটা চোখে দেখলেও কেন জানি মনে হল নিচ দিয়ে পার হব। হতে গেলামও তাই। কিন্তু মাঝপথে গিয়ে ঘটল বিপত্তি।
রোড ডিভাইডারগুলো উঁচু, এবং সরু, লাফ দিয়ে পার হতে হবে। কি করব ভাবছি এমন সময় দেখি গাড়ি আসছে। কোনমতে একটা লাফ দিয়ে অন্য পাশে চলে এলাম। এপাড়ে যাঞ্জট ছিল । কিন্তু আমি রোড ডিভাইডার ক্রস করবার সাথে সাথে সবুজ বাতি জ্বলে উঠল।
পড়ি মরি করে দিলাম ছুট। কোনমতে রাস্তা পার হলাম।
পার হয়ে একটু পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলাম। একদিনে দুটো ঘটনা হয়ে যেত হয়তো।

ফারুক আঙ্কেলের বাসা থেকে বের হতে হতে ১১টা বেজে গেল। আমার কপালে তখন চিন্তার ভাঁজ। ফিরবো কিভাবে?
এত রাত পর্যন্ত উত্তরা কখনও থাকিনি।
রাজলক্ষীর সামনে এসে দেখি লোকজনের অভাব নেই। একজনঅকে জিজ্ঞাসা করে জানলাম এখন সব বাস কাউন্টার বন্ধ। লোকালে জাওয়া ছাড়া কোন গতি নেই।
অগত্যা লোকাল বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রইলাম। একটু পর একটা বাস এল। জিজ্ঞাসা করলাম ফার্মগেট যাবে কিনা? জানালো যাত্রাবাড়ী যাবে।
উঠে পরলাম কারণ মহাখালী পর্যন্ত যাওয়া যাবে।
লোকাল বাসে চড়ার অভিজ্ঞতা নেই ঢাকার মধ্যবিত্তদের মধ্যে খুঁজে পাওয়া ভার। ছাদে আগে থেকেই কিছু মানুষ উঠে জায়গা দখল করে আছে। উদ্দেশ্য নিচে গুঁতোগুতির শিকার না হওয়া আর একটু হাওয়া খাওয়া।
বসার জায়গা নেই, দাঁড়িয়ে যেতে হবে।
আমি যেখানে দাঁড়িয়ে তার ডান পাশে দুজন ছেলে বসে আছে। আমার চেয়ে বয়স কম হবে। এক ছেলে হাতে একটা চাইনিজ মোবাইল, তা থেকে অনবরত এক বাংলা গান বাজছে।
এমনিতেই রাত ১১টার পর ভারী যানবাহনে চলাচলের কারণে রাস্তায় উচ্চশব্দের সৃষ্টি হয়। তার উপর লোকাল বাসের নিজের শব্দ তো আছেই। এর ভিতরে ছেলেটার গান বাজানো কোন ধরনের মানসিকতা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। নিজে একা শুনলেও এক কথা ছিল।
এয়ারপোর্ট থেকে তিনজন মহিলা উঠলো। আমার সাথে দাঁড়িয়ে ছিল জন দুয়েক মানুষ।
আমি আর একজন লোক মহিলাদের পিছনে যাবার জায়গা করে দিলাম। কিন্তু অপরজন তার জায়গায়তেই দাঁড়িয়ে থাকল।
মহিলাদেরকে তার গা ঘেঁষে যেতে হল। এমনিতেই একটু রেগে ছিলাম। এঘটনাতে মেজাজ যারপর নাই খারাপ হয়ে গেল।
ভদ্রলোকটিকে বললাম
-আপনি তো একটু চেপে আসলেই পারতেন। মহিলাদের এত কষ্ট করতে হত না তাহলে।
উনার উত্তর ছিল স্বভাবিক বাঙ্গালির মত।
-আমি সামনে নামব। তো পিছনের দিকে যাব কেন?
যুক্তি এমন শুনলে বোঝা যায়, বান্দরে পাইছে একটা খুঁটি, এখন ভাইঙ্গা যাক, ভাইসা যাক, তলায়ে যাক খুঁটি ধরে থাকা চাই-ই-চাই।
কাকলির সামনে এসে দেখি ৩ নম্বর বাস দাঁড়িয়ে আছে।
তাড়াতাড়ি বাস থেকে নেমে তিন নম্বরে উঠলাম। ইঞ্জিনের উপরে জায়গা ছিল, বসে পড়লাম।
পাশে এক ভদ্রলোক মোবাইলে কথা বলছিলেন।
-এইতো মহাখালী। দেখি ফার্মগেট থেকে কোন টেম্পু বা বাস পাই কিনা। ...না, না, না। জানি না কি ঘটছে। গন্ডগোল হইছে এইটুকুন জানি।
...কিছু না পাইলে রিক্সায় আসবোনে...ছেলেমেয়ে ঘুমায়াইছে?...আচ্ছা।
সিওডির সামনে থেকে এক ভদ্রলোক উঠলেন জিনিসপত্র নিয়ে। জানালার পাশে বসতে চাইলেন। কিন্তু জানালা পাশের লোকটি একচুল পরিমাণ নড়লেন না।
লোকটি আমার পাশে ইঞ্জিনে বসলেন। বসলেনও এমনভাবে যেন পুরো বাসটা ওনার, আমার পায়ের উপর পা তুলে দিয়ে। আমি ওনাকে খুব রুক্ষভাবে পা সরাতে বললাম। উনি আমার দিকে এক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে পা সরালেন।
দেখে কর্মজীবী মনে হল। বাসের হেল্পার ভাড়া চাইতেই গালি দিয়ে উঠলেন তিনি।
আজকাল বাংলাদেশে অতি শিক্ষিতরাই মানুষ হিসেবে সবচেয়ে জগন্য হয়। শিক্ষা যেন মানুষের খারাপ দিকগুলোকে বিকশিত করে তুলছে। আগে চুরি করার একটা উপায় জানতো, এখন শিক্ষিত হয়ে দশটা উপায় জানে। আগে বাংলা গালি জানতো এখন ইংরেজি গালিও জানে।
হঠাৎ এদিক ওদিক তাকাতেই চোখ পড়লো বাসের চালকের উপর। বয়স খুব বেশি হলে পনের।
আমি মনে মনে একটু হাসলাম। দুর্ঘটনা ঘটবে না কে?
পরিবাগের সামনে এসে নেমে পড়লাম। রিক্সা নেই। হাঁটা ধরলাম।
রাতে হাঁটতে ব্যাপক ভালো লাগে। একা একা ভাবা যায়। রাতটাকে অনুভব করা যায়।
সম্রাটের কথা মাথায় এল। একদম অল্প বয়সে মারা গেল ছেলেটা।
হাতিরপুলে কিছু মুদির দোকান এখনও খোলা। ডিম কিনলাম এক হালি।
হঠাৎ হর্নের শব্দে পিছন ফিরে তাকালাম। দেখি একটা গাড়ি দাঁড় করানো। পিছনে আর একটা গাড়ি হর্ন দিচ্ছে।
সামনের গাড়িটা একটু বাঁকা করে রাখা। চালক তার সিটে বসা। গাড়িটা একটু সামনে টান দিলেই পিছনের গাড়িটা চলে যেতে পারে।
চালক হর্নে কর্ণপাত না করে হাই তুলতে লাগলো। পিছনে তখন ছোটখাটো এক জটলা বেঁধে গেছে। আমি ডিমের টাকা দিয়ে বাসার দিকে হাঁটা ধরলাম।
এ অবস্থার কি কোন দিন উন্নতি হবে? হবে না। কারণ আমরা মানুষ হিসেবে উন্নত হচ্ছি না। আমি না, আপনি না, কেউ না। আমাদের দেশে অনেক কিছুর অভাব। তবে সবচেয়ে বেশি সচেতনতার, মূল্যবোধের আর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার। শেষেরটা কাগজে-কলমে ১০০% আছে, শুধু মানুষের মধ্যে মাইনাসের ঘরে।
আজকে সম্রাটের জায়গায় আপনি আমি বা যেকোন সাধারণ মানুষ থাকতে পারতো। হয়তো সম্রাট ছাত্র বিধায় মিডিয়া কাভারেজ পেয়েছে। যদি এক টোকাই হত তবে? শেষের পাতায় কোন এক চিপায় দুই ইঞ্চি কলামে তার জায়গা হত? হয়তো হত, হয়তো বা না।
গান গাইতে ইচ্ছা করছে। গলা ছেড়ে। দুপুরে বরকতের গাওয়া গানে কথা মনে পরলো। গাইতে শুরু করলাম,“খাঁচার ভেতর অচিন পাখি, কেমনে আসে যায়...”

পলাশ রঞ্জন সান্যাল


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অতিথি লেখক এর ছবি

বাউলদের মত দেশ, ধর্ম, জাত সব ভুলে যেতে পারলে ভাল হত। কিন্তু ভুলে থাকলে কিন্তু বিভেদ কখনই ঘুঁচে যায় না। মানুষ যদি তার চাহিদাকে একে বারে ছেঁটে ফেলে প্রায় নাই করে ফেলে, তাহলে বাউলদের মত জীবন যাপন করা সম্ভব। এই কারনেই বাউলদের সংখ্যা মুল জনগোষ্ঠীদের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া এখনকার সময় "আরো চাই, আরো বেশী, আরো বেশী" মনোভাবের মানুষের সংখ্যাই বেশী। এখন আর কেউ বলে না যে, আমি মানুষের মত মানুষ হব!

বাকী এই যে এত মানুষ, এত মানুষ, তারা সবাই সংগ্রাম করছে উন্নততর জীবন যাপনের জন্য। শুধু সার্টিফিকেট দিয়ে শিক্ষার মান যাচাই করা যায় না, এই যে এত শিক্ষিত মানুষ বের হচ্ছে তারা আসলে কত খানি শিক্ষিত? দেশে যা চলছে তা হল স্রেফ প্রতিযোগীতা। অভাবের বিরুদ্ধে যখন প্রতিযোগীতা শুরু হয় তখন সেটা কুৎসিত রুপ ধারন করে। আমরা তরুনরা, যারা এখনও এইদেশে স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকি, তারা বারবার এই কুৎসিত দৃশ্য দেখতে দেখতে অভিমান করি, কাঁদি তারপর একসময় ক্লান্ত হয়ে যাই।

আপনার লিখা পড়ে ভাল লাগল, শুভ ইচ্ছা রইল।


ছেড়া পাতা
ishumia@gmail.com

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগলো ... ঢাকার রাস্তায় এমন রাত করে চলাচলের অনেক অভিজ্ঞতা আছে, সেগুলির সাথে মিল পাইলাম দেঁতো হাসি

আন্ডারগ্র্যাডের সময় উইকেন্ডে যখন গাজীপুর থেকে ঢাকা আসতাম তখন ইচ্ছা করেই রাত করে ফিরতাম, এগারোটা সাড়ে এগারোটার দিকে ঢাকা থেকে শেষ বাসগুলি ছাড়তো, সেগুলিতে চড়ে একদম পিছে গিয়ে হাত পা ছড়ায়ে বসে থাকতাম ... রাতে গরমও কমতো, রাস্তায় জ্যামও কম থাকতো, জার্নিটা উপভোগই করতাম ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।