হুমম!

আব্দুর রহমান এর ছবি
লিখেছেন আব্দুর রহমান [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০২/০৬/২০১০ - ৩:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আব্দুর রহমান

আমি এখন দেশের বাইরে।যখন দেশে ছিলাম, তখন রাত জেগে বালিকাদের সাথে চ্যাট করতাম। আমার মা-বাবা এতে মহাবিরক্ত হতেন। আমি তো সারারাতই প্রায় জেগে থাকতাম। আর ওনারা একটু পর পর এসে ধমকে যেতেন, প্রথমে মৃদু, পরে জোরেশোরে।
এখন একটু অন্যরকম ঘটনা ঘটছে, মা আগে নেট বা কম্পিউটার এর ব্যাপারে কিছুই জানতে চাইতেন না, এখন নিজে নিজেই পিসি অন করে, মেসেঞ্জার অবধি চলে আসতে পারেন। এসে আমার জন্যে অপেক্ষা করেন। আমরা মায়ে-ছেলেতে নিয়ম করে প্রতিদিন একই কথা বলে যাই। এখানকার সময় রাত ১১ টায় শুরু করি, শেষ বাসটা ছাড়ার ঠিক আগ দিয়ে আমি রওনা দিই।আর্থিক এবং অন্য কিছু ঝামেলার কারণে বাসায় আন্তর্জাল সংযোগ নেয়া যায়নি, তাই ল্যাব এর পিসিই ভরসা।রোজকার আলাপের নমুনা নিম্নে দেয়া হলো

মাঃ বাজান আছো?মা অপেক্ষা করছি
আমিঃ আছি
মাঃ তোমার সব খবর ভালো?
আমিঃ হুমম
মাঃ তুমি সহ সবাই ভালো আছে?
আমিঃ হুমম
মাঃ ঘরে বাজার আছে?
আমিঃ হুমম
মাঃ আজ কি খেয়েছো?
আমিঃ পরোটা মুরগি কেক
মাঃ আলহামদুলিল্লাহ।তোমার কথা বলো
আমিঃ আমার আর কি কথা
মাঃ যা কথা আছে তাই বলো
আমিঃ কি আর কথা
মাঃ তুমি ওখানে বিশ্বকাপ দেখতে পারবে?
আমিঃ জানি না
মাঃ আচ্ছা।রান্না করতে গেলে সাবধানে থাইকো
আমিঃ হুমম
মাঃ তোমার কি খুব মন খারাপ?
আমিঃ নাহ।কেন?
মাঃ মনে হয় তোমার শরীর আর মন ভালো নেই
আমিঃ কেন?
মাঃ তুমি তো কিছু বলোনা
আমিঃ কি বলবো? নতুন কিছু তো ঘটেনা
মাঃ বুঝতে পারছি। থীসিস এর কাজ আগাইতেছে?
আমিঃ করতেছি, দোয়া কইরেন।
মাঃ অনেক ঝামেলা
আমিঃ কি অনেক ঝামেলা?
মাঃ থীসিস এর কাজের কথা বলছি
আমিঃ হুমম
মাঃ কারও হেল্প পাওয়া যায় না?
আমিঃ হেল্প তো করেই, না করলে কাজ করি কিভাবে?
মাঃ অস্থির হয়োনা, সবঠিক হয়ে যাবে। দোয়া করি।
আমিঃ হুমম
মাঃ দেখতে দেখতে এক সময় সব কিছু হয়ে যাবে
আমিঃ হুমম।আমার বয়স ও বাড়বে।
মাঃ আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে বয়স তো বাড়বেই। আমি তো তাই বলি, জীবন আর কয় দিনের, এতো পড়াশোনার কি দরকার?
আমিঃ হুমম
মাঃ বুয়েট পাশ করেছ, এতেই অনেক হয়েছে
আমিঃ হুমম
মাঃ তোমার সময় হয়েছে যাওয়ার
আমিঃ এইতো
মাঃ ইনশাল্লাহ আবার কথা হবে
আমিঃ ইনশাল্লাহ
মাঃ প্রতিদিন এর এক কথা ,বাজান, সাবধানে যাইও, ভালো থাইকো
আমিঃ হুমম
মাঃ আমাদের জন্য দোয়া কইরো
আমিঃ হুমম
মাঃ সারাদিনই তোমার কথা মনে পড়ে আর দোয়া করি, আর তো কিছু করতে পারিনা
আমিঃ হুমম
মাঃ আল্লাহ হাফিয, ফি আমানিল্লাহ। যা-ই কর,সাবধানে কইরো।আল্লাহ ই তোমাকে দেখবে, সব সমস্যার সমধান করবে, এই দোয়া করি।
আমিঃ হুমম

মাঝে মাঝে ভাবি ,আমি যখন থাকবোনা, তখন যদি আমার মা বেঁচে থাকেন, কেউ যদি আমার হয়ে এই হুমম হুমম করে যায়, তাহলে অন্তত আরো কিছুদিন আমার মা জানবেন, তার বাজান ভালো আছে।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমম, পুরাই ফালতু।

আব্দুর রহমান

সাবিহ ওমর (অফলাইন) এর ছবি

ধুর মিয়া মন খারাপ করায় দিলেন...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আবারো একজন বাউলশিল্পী "একতারা" দান করে গেলেন। এঁনারা কেন যে "একতারা"র মাজেজা ব্যাখ্যা করেননা জানিনা। আমাদের মত ভোঁতা বুদ্ধির মানুষদের জন্য তাঁদের কোন মায়া নাই।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আজব!

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আজব । খুব সম্ভবত লেখাটা পড়ে কারো মন খারাপ হইসে , তাই সে ১ তারা দিসে । মন ভালো হইলে ৫ তারা দিত। এইভাবে আমি কয়েকজনকে অন্যত্র তারা গুনতে দেখসি মন খারাপ
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কোন লেখায় কোন পাঠকের দ্বারা এক তারা দেবার মানে হচ্ছে ঐ পাঠকের বিবেচনায় লেখাটি মানসম্মত নয়, সচলের ভাষায় "তেমন ভালো না"। এক তারা দেয়ার মানে "লেখা পড়ে আমার মন খারাপ হইসে" বোঝায়না। পাঠকের কাছে পোস্ট মানসম্মত মনে না-ই হতে পারে। তবে সেটা কেন মানসম্মত মনে হয়নি সেটা ব্যাখ্যা করলে লেখক যেমন উপকৃত হন তেমন অন্য পাঠকরা, যারা চার/পাঁচ তারা দিলেন তারাও লেখার মান বিচার কীভাবে করতে হয় তা শিখতে পারবেন। এখানেই ব্লগের সাথে অন্য প্রকাশ মাধ্যমের একটা বড় পার্থক্য। চুপচাপ এক তারা দিয়ে চলে যাওয়াটাতে লেখকের প্রতি এক ধরণের অন্যায় করা হয়। এতে তিনি তার সীমাবদ্ধতাটা বুঝতে অসমর্থ হন, অন্য পাঠকরাও একটু দোনোমনায় পড়েন।

সচলে কারা চাঁদ-তারা গুনেন জানিনা। গত দুই বছরেরও বেশি সময়ে সচলে অমন চাঁদ-তারা গোনা পাঠক চোখে পড়েনি। আর আমি নিজের লেখাতেও কতটা তারা পেলাম তা গুনতে আগ্রহী না।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই হুমম হুমম কইরা মায়ের দুশ্চিন্তা আর প্রকট কইরেন না, কথা বলেন, কারন মা-বাবারা সন্তানের ভাল থাকা জান্তে/চাওয়া ছাড়া আর কিছু চায় না। বৈদেশ ব্যাপারটাই এইরকম, ধৈর্য ধরে কষ্ট করেন একটা সময় ইনশাল্লাহ্‌ সব ঠিক হয়ে যাবে। "হাল ছেড়ো না বন্ধু তুমি কন্ঠ ছাড়ো জোরে"।
--শফকত মোর্শেদ

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমম। অনেক ভালো লাগলো।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

লেখা পড়লেন ?
হুম ।
পুরা পড়লেন ?
হুম ।
কিছু বুঝলেন ?
হুম
কি বুঝলেন ?
হুম হুম হুম -

তারানা_শব্দ এর ছবি

এভাবে হুম হুম করেন কেন? কথা বলতে পারেন না মা এর সাথে ? মা নিশ্চয়ই আশা নিয়ে থাকেন যে উনি যেমন আপনার খোঁজ নিচ্ছেন আপনিও নিবেন!

মা-ছেলেতে কত মজা করে কথা বলে!! আপনি দেখি হুম হুম করে চালায় দিলেন! ভেরি স্যাড! একে তো দূরে থাকেন, তার উপর হুম হুম করেন!!

বেচারি আপনার মা!!!!!

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

অতিথি লেখক এর ছবি

ধমক দিচ্ছেন? আমার ধারণা আমি হুমম করলেই মা ঠিকমতোন বুঝবে, বেশি কথা বললে সন্দেহ করতে পারেন যে আমি সত্যিই আমি কিনা।

আব্দুর রহমান

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কতো কথা বলতে ইচ্ছে করে, আর শুনতে ইচ্ছে করে মায়ের, বলেন। অথচ...
মন খারাপ হয়ে গেলো। মন খারাপ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি আসলে বুঝতে পারিনি যে লেখাটা আমার নিজের মনটাও খারাপ করে দেবে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আব্দুর রহমান

দৃশা এর ছবি

হুম হা দিয়া যদি সব কথা বুঝাইয়া দেওয়া যাইতো তাইলে খুব ভালো হইতো। আরাম হইতো। দেঁতো হাসি

আচ্ছা এই বাউল শিল্পীটা কে যে যত্র তত্র ১ দিয়া বেড়ায় কষ্ট কইরা? পইড়া দেয় নাকি না পইড়ায় দেয়?

দৃশা

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই মায়ের সাথে কথা বলেন, মা-বাবা সবসময় সন্তানের ভাল-মন্দ জানতে চায়। মাকে জানান আপনি ভাল আছেন যত কষ্টই হোক। যদিও বিদেশে শুরুতে একটু ধের্য ধরে কষ্ট করতে হবে, কিন্তু ইনশাল্লাহ্‌ একটা সময় সব ঠিক হয়ে যাবে।
--শফকত মোর্শেদ

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমম! মায়ের মন বলে কথা।

‌‍

সংসপ্তক এর ছবি

খুব ভালো করে বুঝতে পারলাম। আমারো একি সমস্যা হয়, হুমম-হাম ছাড়া আর কিছু আসে না.......
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

তাজিন [অতিথি] এর ছবি

হুমম্.............................

চিন্তিত

দ্রোহী এর ছবি

এমনিতেই নানান যন্ত্রনায় ভালো থাকি না তার উপর যদি এমন মন খারাপ করা লেখা দেন তাহলে ক্যামনে কী?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মন খারাপ হলে আপনার লেখা পড়ি, এটুকু বলতে পারি।

আব্দুর রহমান

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

মন খারাপ আপ্নে লুক ভালুনা! মন খারাপ

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতিথি লেখক এর ছবি

কি কন না কন, আই হ্যাভ গট দ্যা লুক, আরেকটু হইলে উত্তম কুমার ফেইল।

আব্দুর রহমান

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার এত সুন্দর কবিতা ছেড়ে এমন মন খারাপ করা লেখা কেন দিলেন বলেন তো হুমমম ????

সাবরিনা সুলতানা

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে মানে এই লেখাটা কি বেশি অসুন্দর?

আব্দুর রহমান

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার উল্টা, মা থাকে বিদেশে, আমি দেশে মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

মায়ে-পুতে যদি এক দেশে না থাকেন তাইলে কষ্টডা হমানই লাগনের কথা।

আব্দুর রহমান

জি.এম.তানিম এর ছবি

আপনি মানুষটা খুব খুব খুব খারাপ, এই ভাবে মন খারাপ করায় দিতে হয়?

মন খারাপ
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

আব্দুর রহমান এর ছবি

হুমম

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

স্পর্শ এর ছবি

খুব ছুঁয়ে গেল লেখাটা। মন খারাপ হলো। নিজেও বাইরে থাকি তো। আমার মায়ের সাথে কথোপকথনও হুবহু এরকমই। মন খারাপ
আপনার মাকে আমার পক্ষ থেকে সালাম দিবেন। শুভেচ্ছা।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রেশনুভা এর ছবি

মন খ্রাপ টাইপ লেখা। মন খ্রাপ হইছে।
আপনার লেখা সার্থক।

তিথীডোর এর ছবি

হুম হাম ছেড়ে মন খুলে কথা বলুন মায়ের সঙ্গে..
কিচেনে আজ কী অঘটন ঘটালেন, ল্যাবে বা গতরাতে বাড়ি ফেরার পথে কী হয়েছিলো.. টুকটুক করে বলেই ফেলুন না সব, দেখবেন কেমন ছেলেমানুষের মতন খুশি হয়ে উঠছেন তিনি!!

এই যে রাগ দেখিয়ে পিসি অন করে বসেছি, তবু ঠিকই কখন যেন খাবারের থালাটা আলতো করে নামিয়ে রেখে গেছেন পাশে..
মা বলেই।।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কাকুল কায়েশ এর ছবি

চলুক
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

তাহসিন আহমেদ গালিব এর ছবি

অভিমান করে দূরে চলে যেতে চাইছেন কেন?
নিজের ইচ্ছাতেই তো বিদেশ পাড়ি দিলেন, এখন আবার দেশের প্রতি, মায়ের প্রতি এতো অভিমান কিসের???

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এরপর থেকে এধরণের লেখায় ট্যাগ দিবেন। তাইলে ট্যাগ দেখেই আর লেখা পড়ব না। মন খারাপ

মন খারাপ হয়ে গেল। মন খারাপ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

গৌতম এর ছবি

এরপর থেকে এধরণের লেখায় ট্যাগ দিবেন। তাইলে ট্যাগ দেখেই আর লেখা পড়ব না।
ঠিক।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার কেন জানি খুব আপন জনের সাথেও ফোনালাপ, ভয়েস চ্যাট করতে ভাল লাগে না... কথা হারায় যায়, বকাবাগীশ আমার। লিখতে কিন্তু ভাল লাগে, টুক টুক করে যা যা মনে পড়ে দিন রাত শেয়ার করতে থাকি অনলাইন/আই এম বন্ধুদের সাথে। তবুও দিনের মাঝে ৮-১০বার ফোন দিয়ে আর ফোন ধরে হুম-হাম করতে হয়, করি। মাঝে মাঝে খুব মন খারাপ হলে কথা বলতে ইচ্ছা হয় না, আগে খালি আওয়াজটা শুনতে ইচ্ছা হত খুব, আর মনে হত মায়ের পাশে গিয়ে শুয়ে থাকা যেত যদি... ইদানিং এটা করতে পারছি, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু আমি জানি খুব বেশি দিন এই সুখ সইবে না... আবার দূরে চলে যাব... ব্যাকপ্যাকার না আমি?? মন খারাপ

মন খারাপ করেন না, কথা না বললেও মা-রা যে কত কিছু বুঝে নেন... আর প্রবাস জীবনের একাকীত্বটা এক সময় সহনীয় হয়ে যায়, নতুন শহর গুলিও আপন হয়ে যায়, এই সচলের প্রিয় অনেকেই লিখেছে সেই কথা বারবার। পারলে তিথীর আইডিয়া ফলো করে দেখেন, রান্নাঘরের বিপদ আপদের বিবরণ দেন, মা উপদেশ দিয়ে নিজেকে আপনার কাছে আছেন, কাজে লাগছেন ভেবে শান্তি পাবেন দু'দন্ড (আমাকে রেগুলার চুলার পারের সাবধানতা অবলম্বন জ্ঞান শুনতে হত)! আবার ধুগো'দার এক্সাম্পল-ও ফলো করতে পারেন। মা'কে সু্যোগই দেবেন না আপনার কথা জিজ্ঞেস করার, খালি আপনিই মা কী কী রাঁধলেন আর কীভাবে রাঁধলেন জিজ্ঞেস করতে থাকবেন... হাসি

ভাল থাকুন, ভাল করে কাজ শেষ করে মা'এর মুখ উজ্জ্বল করুন।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

যাক্‌ আমি একাই নাই...অনেকেই দেখা যাচ্ছে আমার দলে...

রিজভী

-------------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;

তাসনীম এর ছবি

আমাদের মেয়েরা আমাদেরকে মাঝে মাঝে ক্রমাগত প্রশ্ন করে যায়...তখন উত্তরে আমরাও "হুম" করি...দেখা যাচ্ছে বড় হলে এর উল্টোটা আসবে।

একটা কাজ করুন, ফোনটা তুলে নিয়ে মায়ের সাথে কথা বলুন। কম্পিউটারে চ্যাট করতে গেলে পুরো এটেনশন দেওয়া যায় না। তিথীর সাজেশনটা নিতে পারেন।

আমার মা কানে প্রায় কিছুই শুনতে পান না, আমি রীতিমত চেঁচিয়ে কথা বলি এই পাড় থেকে। প্রতিবারের মত মনে হয়, এই যে ফোনে মায়ের গলা শুনতে পাচ্ছি, এটাই অনেক বড় পাওয়া এবং ধন্যবাদ দেই নিজের সৌভাগ্যকে।

সুতরাং দেরি না করে ফোনটা তুলে নিন...

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

আব্দুর রহমান এর ছবি

"প্রতিবারের মত মনে হয়, এই যে ফোনে মায়ের গলা শুনতে পাচ্ছি, এটাই অনেক বড় পাওয়া এবং ধন্যবাদ দেই নিজের সৌভাগ্যকে। "

"হারাই হারাই, সদা ভয় পাই, হারাইয়া ফেলি চকিতে"

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

তুলিরেখা এর ছবি

মায়ের সাথে কথা বলুন অনেক, যা যা মনে আসে। ছোটো খাটো বা বড়সড় যা ঘটলো, আপনার আশেপাশে যা আছে, কেমন সেসব, যারা আছে কেমন তারা সব বলুন গল্প করতে করতে। আপনার চোখে দেখা কানে শোনা মনে মনে ধারনা করা সবকিছুর শেয়ার মাকে দিন, যেন উনি মনের চোখে দেখতে পান।
ভালো থাকবেন, নতুন জায়গায় প্রথম প্রথম ছাড়া ছাড়া লাগে, পরে দেখবেন এমন মিশে গেছেন আর অসুবিধা হচ্ছে না।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালও লাগল আবার মনটাও খারাপ হয়ে গেল...

-প্রভা প্রহেলিকা

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালও লাগল আবার মনটাও খারাপ হয়ে গেল...

-প্রভা প্রহেলিকা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।