মধ্যবিত্তেরা জীবনভর এক রিলে রেস্-এ দৌড়ায়। জীবন ফুরিয়ে যায়, দৌড় ফুরোয় না। হাতবদল হয়ে ব্যাটন চলে যায় পরের প্রজন্মের কাছে। একঘেয়ে, বিরামহীন রেস্ চলতেই থাকে। ভীষণ সাহসী কয়জনা ব্যাটন ছুড়ে ফেলে অর্থহীন রেস্টাকে কাঁচকলা দেখায়। কেউবা হাঁছড়ে-পাঁছড়ে মুখ থুবড়ে পরে অক্ষমতায়। বাদবাকিরা ভবিতব্য মেনে দৌড়ায়। রিলে রেস্টায় জেতা যায় না, রিলে রেস্টায় হারতে মানা।
দৌড় শিখতে না শিখতেই ব্যাটন চলে এসেছে আমার হাতেও। আগের জন দৌড়েছিলেন সাধ্যের সবটুকু দিয়ে, পরম মমতায়। আমি দৌড়াই দৌড়াতে হবে তাই। পা কি আর চলতে চায়?
আসাদুজ্জামান
Email:
মন্তব্য
দৌড় ভালোই লাগল, তবে উসাইন বোল্টের মতোন এমন সংক্ষিপ্ত দৌড় না দিয়া আর একটু বড় দৈর্ঘ্যের দৌড় করলে মন্দ হত না। আর বানান একটু খিয়াল কইরা, (হাঁছড়ে-পাঁছড়ে -> হাঁচড়ে-পাঁচড়ে) নইলে কিন্তু পাঠক উস্টা খেয়ে পড়ে যেতে পারে।
--চিরায়ত পাঠক
উপমা ভাল লেগেছে, আরো আরো লিখুন
___________________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ
@চিরায়ত পাঠকঃ উস্টা খাওয়াইলাম বইলা দুঃখিত মিয়াভাই । শরমিন্দা হইলাম। ...পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
@বর্ণ অনুচ্ছেদঃ ধন্যবাদ। নিজস্ব এক টুকরো গ্লানি। পাঠকের খুব একটা ভাল লাগার কথা না।
অনুভূতিটা ভালো লাগলো। এই দৌড় সহজে শেষ হবার নয়। সেই যেদিন থেকে শুরু হয়েছে, তারপর থেকে শুধু চলছেই। কখনো আর হয়তো থামবে না। একদল ক্লান্ত হয়ে বিদায় নেবে ঠিকই, কিন্তু বাকিরা দৌড়িয়েই যাবে। এটাই জীবনের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন।
ভালো থাকবেন। আরো লিখুন নিয়মিত।
ঠিক তাই।
ধন্যবাদ অতন্দ্র প্রহরী।
আসাদ ভাই। এত কম দিলে চলবে?
দৌড়ের ফাঁকে ফাঁকেই সময় বের করে নেন। আরও লিখুন। সচলে স্বাগতম।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ধন্যবাদ তানিম। ...হ, জোরে দৌড়ান লাগবো। আরো কিছু অখাদ্য সাপ্লাই করুম ভাবতাছি ।
নতুন মন্তব্য করুন