রাজধানী ঢাকা,হয়তো বা শেষের শুরু

নীলকান্ত এর ছবি
লিখেছেন নীলকান্ত (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৬/২০১০ - ৮:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ কেন জানি হঠাৎ করে ভোর ৫টায় ঘুম ভেঙ্গে গেল।
বাইরে কেবল পাখির কিচিরমিচির। সুন্দর এক সকাল।
সিনেমা দেখতে বসলাম। 'ওল্ড ডগস'। সিনেমা দেখে হাতমুখ ধুঁইয়ে কিছু খেয়ে নিলাম।
১০টার দিক ক্লাসে গেলাম। ক্লাস শেষে দেখি বাইরে ব্যাপক বৃষ্টি। ছাতা নিয়ে আসিনি। রিক্সাও পেলাম না। অগত্যা পায়ে হেঁটে রওনা দিলাম।
বাসায় পৌঁছাতে ঠিক সোয়া ৪৫ মিনিট লাগলো। মৌচাক থেকে ধানমণ্ডি। বাসায় ধুকে দেখি গা-হাত-পা ঠকঠক করে কাঁপছে।
গোসল করে বাইরে বের হয়ে টিভি ছাড়লাম।
দেশি চ্যানেলগুলা টিউন করতেই দেখি শিরোনাম সবগুলোর একটাই। নিমতলীর অগ্নিকান্ড।
মনে পড়ল বাসা থেকে বের হবার সময় আজ পেপারটাও পড়া হয়নি।
ঢুকলাম নেটে, পেপারের ইন্টারনেট এডিসন দেখতে।
কাল রাতে নিমতলীতে ঘটা অগ্নিকাণ্ডের কথা জানতে পারলাম একটু আগে(নিজেকে ধিক দিলাম)!!!

আমি খুব আবেগী এক মানুষ। টিভিতে মানুষের আহাজারি দেখে চোখে পানি এসে গেল।
এক ভদ্রলোকের ছেলে, মেয়ে, নাতি-নাতনী সবাই মারা গেছে। কেবল ভদ্রলোক আর তার স্ত্রী বেঁচে আছেন। তাদের কথা তারা কেন বেঁচে আছে?
এক মেয়েকে তার মা দোকান থেকে জিনিস আনতে পাঠিয়েছিল। মেয়ে এখন আর নেই, মা বাকরুদ্ধ। এক ক্লাব কর্মকর্তার পরিবারের ৪ জন মারা গেছে। আরো অনেক হতাহতের ঘটনা।
ভয়াবহ এক অবস্থা।
হচ্ছে কি এসব?
সপ্তাহখানেকের মধ্যে শহরকেন্দ্রিক একাধিক দুর্ঘটনা। বেগুনবাড়ীতে বাড়ি ধসে মানুষ মারা গেল। একটু আগে শুনলাম সেখানেই নাকি আবার এক বাড়ি হেলে পড়েছে।
নিমতলী, বেগুনবাড়ীর এসব ঘটনা আস্তে আস্তে বাড়বে বৈ কমবে না। কারণ?
কারণ আমরা সকলে জানি। কারণটা আমরা নিজেরা।
কালকের নিমতলীর ঘটনা হয়তো ঘটতো না যদি আমাদের শহর পরিকল্পিত হত। কতগুলো বিষয়ঃ
১# একই গলিতে কেমিক্যাল গোডাউন, ছাপাঘর, বসতবাড়ী।
২# সংকীর্ণ রাস্তা(চিপা গলি)।
৩# আগুন নেভানোর কাজের প্রয়োজনীয় পানির অপ্রতুলতা।
৪# অপরিকল্পিত বৈদ্যুতিক সংযোগ ব্যবস্থা।

ঘটনা যা বুঝলাম তা হল ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ থেকে এসবের সূত্রপাত। ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ অহরহই হয়। কিন্তু কি এমন ছিল এক্ষেত্রে যেকারণে এত ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটলো?
আসলে আমাদের নগর জীবনে যেসব জিনিস আমরা থোরাই কেয়ার করি সব একসাথে এক্ষেত্রে কাজ করেছে।
ট্রান্সফর্মারের কাছাকাছি বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে নিয়ম হল ন্যূনতম ৫-৬ ফুট জায়গা ছাড়তে হবে। বাড়ির মালিকরা একথা শুনলেও জায়গা ছাড়েন না, জায়গা নষ্ট হবার দোহাই দিয়ে।
জানি না পৃথিবীর আর কোথাও এমন হয় কিনা, কিন্তু আমাদের দেশে একই ভবনে গার্মেন্টস কারখানা, মুদি দোকান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ব্যাংক এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আমি দেখেছি।
উদাহরণ- এলিফ্যান্ট রোড,আগে যেখানে কমপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ছিল। দোতলায় ব্যাংক, উপরে গার্মেন্টস।
মালিকরা এসব নিয়ে ভাবেন না। তারা মাস শেষে টাকা পেলেই খুশি। সে যাকে খুশী তাকেই ভাড়া দেন না কেন।ভাববেই বা কেন? নিজেরা তো এসব জায়গায় থাকেন না।
রাস্তার কথা বলে তো লাভ নেই। গত মঙ্গলবার ট্রান্সপোর্ট ক্লাসে স্যার বললেন যে রাস্তা বাড়ালেই যানজট কমবে না। যেসব রাস্তাঘাট আছে সেগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে।
আমি মনে মনে ভাবলাম, যা আছে তা যদি সর্বোচ্চ ব্যবহার করি তাইলে মানুষ আর হাটতেও পারবে না। এত ছোট রাস্তা মনে হয় না আর কোন দেশে পাবেন। পাবেন হয়তো বা তবে তা গাড়ি চলাচলের জন্য না।কিভাবে এখানে অন্য কোন উপায় বের করবো বলেন? এমনিতে তো সারা বছর ধরে খোঁড়াখুঁড়ি লেগেই আছে।
ঢাকা যেমন কাকের শহর তেমনি তারের শহরও। যারা টেলিফোন, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট লাইন মেরামত করেন, তারা যে কেমনে বোঝেন কোনটা কাদের আল্লাহই জানে। রাস্তার মত রাস্তার উপরে তারের জট। কয়েকদিন পর দেখবেন প্রতিদিন পেপারে নিউজ," তারের চিপায় পড়ে পাখি মারা গেছে।"

পানির কথা বলে তো লাভ নেই। চিপা গলিগুলোতে এমনই খাবার পানির সংকট, এর মধ্যে আবার আগুন নেভানোর পানি পাবে কই?
আবার আমাদের দমকল বাহিনীর স্টেশনগুলোর যে অবস্থা। পলাশীতে একটা আছে। প্রায়ই ওটার সামনে দিয়ে যাই। শেষ যে কবে ওটার জন্য কোন যন্ত্র কেনা হয়েছে, ওখানকার কর্মরত অফিসারও বলতে পারবে না। তারাও যে যন্ত্রের তুলনায় নতুন।
নগর কর্তৃপক্ষ রাজউক হল মাছি মারা কেরানীদের জায়গা। মাঝখানে শুনছিলাম, পূর্বাচলে জমি বরাদ্দের সময় যিনি সার্ভে করেছিলেন তিনি নাকি সরকারের টাকা খরচ করিয়ে গুগল আর্থ ব্যবহার করে সার্ভে করেছিলেন, ম্যাপিং করেছিলেন। পূর্বাচলে সশরীরে যাননি! এদের মত লোকদের জন্যই মানুষ প্রকৌশলীদের গাল দেয়।
ভাল কথা মনে পড়লো। আমার এক ফ্রেন্ড চায়না থাকে। মাঝখানে ও ফোন দিয়ে বলে পূর্বাচলে জমি কিনবে। কিভাবে কি করবে হেল্প চায়।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গত বছর পূর্বাচলে সার্ভে করতে পাঠানো হয়েছিল। ভাই, ঐজায়গায় জমি কিনলে আমি আমার লাইফ টাইমে কি, আমার নাতি পুতিও জমি খুঁজে পাবে না। এরমধ্যে আবার টিভিতে যেসব অ্যাড দেখি। ওখানে শহর উঠতে কমছে কম আরো ৫০ বছর লাগবে।

বেগুনবাড়ীতে আজ সকালে নাকি এক ভবন হেলে পড়েছে। বাড়ির মালিককে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন " দোতলা হবার পর জায়গা একটু বাড়িয়ে নেওয়ায় এমন হয়েছে।"
এই এক সমস্যা আমাদের। যা নিজের না তাও নিজের করে নেই।
আমার বাসার সামনেও একই ঘটনা। ডেভেলপার ব্যটা একতালা ঠিকমতই তুলছে। দোতলা তোলার সময় দিছে দুই ফুট বাড়িয়ে আমাদের রাস্তার উপর।
আমি মাঝখানে একবার ব্যটাকে পেয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম এই কাজ কেন করলেন।
সোজা উত্তর, বাড়ির মালিক চেয়েছে তো করতে হবে।
এই বাড়ির মালিকই বাড়ি ভেঙ্গে পড়লে বলবে, "সব প্রকৌশলীদের দোষ!"
দিনকে দিন ঢাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। গত সপ্তাহখানিক ধরে ঘটা ঘটনা আরো ভালভাবে আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিচ্ছে। হয়তোবা এটা ঢাকার শেষের শুরু। দেখা যাবে কয়েকবছর পর সবাই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে।
স্বাভাবিক, ৪০০ বছরের পুরনো নগরী তার উপর করা জুলিমের প্রতিশোধ একে একে নেবে। সবাই মাফ করলেও প্রকৃতি মাফ করবে না।

টিভিতে দেখলাম এবং নেটে পেপারগুলোতে পড়লাম, সব জায়গা থেকেই মানুষ গিয়েছে উদ্ধারকাজে অংশ নিতে। এই একটা জিনিস খুবই ভালো লেগেছে আমার। আরো ভালো লাগতো যদি সবাই মিলে এরকম ঘটনা ঘটতে না দেওয়া যেত। সবাই যদি সত্যিকারভাবে সচেতন হতাম।

পলাশ রঞ্জন সান্যাল


মন্তব্য

সৌরভ এর ছবি

হয়তো বা শেষের শুরু। মানবিক বিপর্যয় এড়ানোর উপায় আমাদের জানা নেই।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

অতিথি লেখক এর ছবি

এড়ানো কি, মানবিক বিপর্যয় কিরকম হতে পারে- আমরা জাতি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের পর এখনো কিছুই মোকাবেলা করিনি। অনেকে ৯১, তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলের বন্যা সিডর, এসবের কথা বলবেন। কিন্তু তা একটা অঞ্চলকে শুধু আঘাত করেছিল। পুরো দেশ স্থবির হয়ে যায়নি। ভূমিকম্প হলে আসলেই বোঝা যাবে, দেশের অবস্থা কি!
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

সাইদুল এর ছবি

আমরা কেন কোন নিয়ম মানিনা। এটা মাঝে মাঝে চিন্তা করি। এটা কি আমাদের রক্তের মধ্যে আছে নাকি ২০০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসন আমাদের সব ভাল গুণ গুলো কেড়ে নিয়েছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, ঔপনিবেশিক শাসন তো ইন্ডিয়া, আফ্রিকা, সিঙ্গাপুর আরো অনেক জায়গাতেই ছিল। এটা আসলে আমাদের নিজেদের দোষ, ভৌগোলিকভাবেই হোক স্বভাবগতভাবেই।
তবে আমরা বাংলাদেশীরা একটা কাজ খুব নিয়ম মেনে করি-নিয়ম ভাঙ্গার কাজটা।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

Decentralization দরকার। ঢাকা রাজধানী বলেই সবাইকে ওখানেই ছুটতে হবে কেন? শহরটা কোন আমলেই এত মানুষের ধারণ ক্ষমতার উপযোগী করে গড়ে ওঠে নাই। রাজধানীতে থাকবে প্রশাসনিক অধিদপ্তর সমূহ। নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, চট্টগ্রাম ছাড়া দেশের অন্য সব প্রান্তেই (মাঝেও আরকি) চাকরির সুযোগ সীমিত, শিক্ষিত/উচ্চ-শিক্ষিত মানুষের জন্যেই!

আর পুরোন ঢাকা তো সংরক্ষণের জায়গা, এভাবে আর কত দিন?? একটা সহজ জিনিস কেন আমাদের প্রশাসনের মাথায় ঢোকে না যে, Prevention IS better than cure!!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

সরকারের মাথায় কোন কিছু ঢূকবে না। ঢুকলেও তারা Implement করতে পারবে না। কারণটাও সহজ। আপনি ধরুন পুরান ঢাকার মানুষদের ওখান থেকে উঠিয়ে দিবেন । সেখানে কোন সমস্যা দেখা দেয়নি, দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। এলাকার লোকজন তো প্রথমেই সরকারের কথা শুনবে না। তাছাড়া তাদের যদি প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দিতে চাওয়া হয় অধিকাংশই দেখা যাবে বেশি চাইবে। এরপর যদি সরকার ফোর্স করে, তবে মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে আমরা আন্দোলন করবো।প্রশাসনের অনেকেই জানেন যে, Prevention is better than cure. কিন্তু তারা অনেক জায়গাতেই বাধা। একজন হবু পুরকৌশলী হিসেবে বলতে পারি, এসবের সাথে জড়িত যারা তারা অনেককিছুই করতে চান। কিন্তু সরকার করে না, কারণ ভোট হারানোর ভয়। আর জনগণ অংশ নেয় না, কারণ সে এখানে তার লাভের কিছু দেখে না।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

প্রাকৃত জন [অতিথি] এর ছবি

আমরা বদলাব না। দুই দিন পর সবাই সব কিছু ভুলে যাব আর অপেক্ষা করবো নতুন কোন দূর্ঘটনার।

হাসনাইন এর ছবি

আমরা সুখে থাকি কারণ সহজে ভুলে যাওয়া সুখে থাকার অন্যতম উপায় । নির্মাণ কার্যে সতর্কতা লাগে । সেই সতর্ক না হয়ে বলি - আরে কী আর হবে । যখন বাড়ী বানাই তখন পয়সার খরচ বাঁচিয়ে সমস্ত বিধিবিধান উপেক্ষা করে ..বাড়ি বানাই । শুধু অশিক্ষিত কেন, এমন কি উচ্চ শিক্ষিত মানুষটি যখন ঢাকায় থাকেন, চলা ফেরা করেন - তখন সেই "কী আর হবে" মানুষ । সৌভাগ্যক্রমে অধিকাংশ দুর্ঘটনা হয়না এটাই যেন একটা বড় উদাহরণ । কত লোক ভাঙা বাসে চড়ে, হলুদ লাইন অতিক্রম করে, কত লঞ্চ পাঁচ গুণ যাত্রী নিয়ে ঠিকই গন্তব্যে পৌছে - তো অসুবিধা কোথায়? এমন চরম দায়িত্বহীন যুক্তিতে সব হওয়ার দেশ বাংলাদেশ । ভেজাল খাদ্য খেয়ে সবাই অসুস্থ হয়না ( অথবা হয়ে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায় না ) এটার কারণ আমরা ভেজাল কে জীবনের অংশ করে ফেলছি । ট্রাফিক নিয়ম ভাঙাকে সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্য করেছি । সস্তায় ব্যবসা করতে গিয়ে অন্যের জীবনের ক্ষতি করতে গিয়ে, পুরোটাই দুধের বদলে ভেজালের পুকুর । এখন যে ভেজাল দিচ্ছে , যে নিয়ম ভেঙে সাময়িক সুবিধা পাচ্ছে সে নিজেও পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে ।

যখন পরিকল্পণা থাকে না তখন ভাঙা নৌকাতে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে যেখানে ফুটা হয় সেখানে ছুটে বন্ধ করার কথা মনে হয়, কিন্তু সেই বিশাল সংখ্যক ফুটা ক্রমাগত বাড়তে থাকে । পত্রিকায় বাড়ী ধ্বসে পড়ার পর দিন সবাই হৈ হৈ করবে, বস্তি পুড়ে ছাই হলে পরদিন বস্তি নিয়ে বিতর্ক হবে, বুড়িগঙ্গায় কিছু হলে সবাই পরিবেশের জন্য উচ্ছেদ শুরু করবে । এই তো ।

আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী জাতি । এর কারণ আমরা নিজেদের জন্যই সবচেয়ে কম দায়িত্ব পালন করি । ঘুমাই আর বংশবৃদ্ধি । বাকি যা হোক আল্লাহ তো আছেনই ।

অতিথি লেখক এর ছবি

একদম খাঁটি কথা বলেছেন।
টিভি খুলুন, দেখবেন কত বিশেষজ্ঞ মতামত। নিয়ে কি লাভ হয়? সবাই শুনবে, তারপর ঘুমাতে যাবে। সকালে উঠে যেই লাউ, সেই কদু।

পলাশ রঞ্জন সান্যাল

বাউলিয়ানা এর ছবি

বাইরের দেশগুলোতে "সেফটি ফার্ষ্ট" বলে একটা কথা প্রচলিত আছে। কোন কন্সট্রাকশন হবার আগে সেফটি বা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

আমাদের দেশে কবে যে এই নিয়ম কোন অবহেলা ছাড়া পালন করা হবে!

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি আসলে ক্লান্ত। অাবেগী হয়ে কোন কিছু বললেও কিছু হয় না, পরিসংখ্যান দেখালেও মানুষে বুঝেনা। যতই বলা হোক না কেন যে "শেষের শুরু", কিন্তু ঘুরে ফিরে "শেষ থেকে পুনরায় শুরুতে"। এক ধরনের চক্রে অবর্তিত হচ্ছে সবকিছু, এটা থেকে বের হয়ে আসতে পারছেনা এই দেশের কন্ট্রোল সিস্টেম। আসলে যদি কোন ভাবে এই লুপ ভেঙেও ফেলা যায় তাহলে তো আমরা উন্নত হয়ে যাব! এত সোজা? একটা গল্প আছে না? বাঙালীদের দোজখে কোন দারোয়ান থাকে না, তারাই কেউ কাউকে কখনো উপরে উঠতে দেয়না! মানে কী চরম এবং কী বিস্তৃত মানসিক পরিবর্তন সাধন দরকার, সেই রকম সত্যিকারের মানসিক শক্তি কি আমাদের আছে? যে পরিমান অর্থনৈতিক ভিত্তি দরকার তা কি আমাদের আছে? প্রাকৃতিক সম্পদ কত খানি আমাদের ছিল আর কতটুকু অবশিষ্ট আছে? ইনপুট ছাড়া শুধু আউটপুটের কল্পনা করলে কি সিস্টেম প্রসেস করতে পারবে? কন্ট্রোল সিস্টেমকে যতই গালাগালি করি না কেন, মূল সিস্টেম অনুপুযুক্ত হলে কোনই লাভ নাই, আজাইরা সিস্টেম রেসপন্স পাওয়া ছাড়া, যেমনটা আমরা পাইতেছি।
ছেড়া পাতা
ishumia@gmail.com

অভদ্র মানুষ [অতিথি] এর ছবি

ঢাকা শ্যাষ............ আসুন..... আমরা শহর ঢাকা'কে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করি........

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

"হয়তো বা শেষের শুরু" - সেটাই!

এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা যেন আর না ঘটে, সেই কামনা করি। সরকার, দেশবাসী, সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়ুক।

অতিথি লেখক এর ছবি

মানুষগুলোর জন্য খুব কষ্ট হয়, বুঝে না বুঝে বোকার মতন একেকটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তে সমাজ এবং পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি করছে, ভাল মন্দ বোধটা যে কবে আসবে, মানুষ মানুষের কথা ভাববে কবে ...

______________________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।