~ তোরে দ্যাখলেই আমার ঘিন আহে, ছিহ্ !! হালার হালা দূরে গিয়া খাড়া...
~ ক্যান? অই মিয়া, অই...নামডা য্যান কি কইছিলি? হ...লতিফ...লতিফ তোর পবলেমডা কি? উলডা কথা কস ক্যা? নিজেরে দ্যাখছোসনি একবার?
~ ক্যা? উলডা কথা হইবো ক্যা? তোর শইলডা দ্যাখ, তারপর কথা ক...
~ কয়লা হইলো গিয়া হীরার জাত ভাই, বুঝছোস? আমি তোর লাহান থ্যাতলানো-গান্ধা কিরায় ভরা শইল নিয়া ঘুরতাছি না...
~ বাল !! তোরে দিয়া মাইনষে অহন দাঁত মাজতারবো।
~ অই ফকিন্নী, বেগুনবাড়ি বস্তির মইদ্ধে জীবন কাটায়া তুই অহন আইছোস নবাবকাটরার বাসিন্দার লগে মাঞ্জা মারতে? হালার পো, তোর সাহস তো কম না... মরছোস তো আমগো মতো ধনীর পাঁচতলা বাড়ির চাপা খাইয়া, অত দেমাগ দেহাস ক্যা?
~ আর তুই, তুই যে আগুনে পুইড়া কয়লা হইছোস তার কি? তোগো পাঁচতলা এত্তো গুলান বাড়িও আগুনে শ্যাষ... আমরা এই আগুন দিয়া রান্ধি,বিড়ি ফুঁকি...এইডা কুনো নয়া আর আহামরি জিনিস না। আমাগোরে মারবার সময় তগো অই পাঁচতলা বাড়িও মরছে... আর তোরা ধনীরা হইলো গিয়া চোর-স্বার্থপর-হারামী...
~ কয় কি হালা !! আগুন দিয়া য্যান আমরা রান্ধি নাই !! আগুন আমাগো হীরার জাত ভাই কয়লা বানাইছে, তগো মতো থ্যাতলানো বালডা বানায় নাই...আর আমি তোর মতো অশিক্ষিত না, এচ.এচ.ছি পাস...দুকান আছে দুইডা। আমার বড় ভাইজান বি.চি.এচ পাইসে...চাচাতো ভাই ইমতি-ইশতি ফাইব পাইছে, কলেজে পড়তো...
আমরা শিক্ষিত প্যামিলি... আর অই, ফকিন্নীরা য্যান চোর হয়না?
~ ভুদার বাল আমার... তোর... ...
আচ্ছা, এখানে হচ্ছেটা কি? আরে মতি ভাই থামেন না, ইমতি-ইশতি ওইদিকে আপনারে খুঁজতেছে...যান, আরে যান না...
আপনি বুঝি বেগুনবাড়ির?
~ হুম...
~ ভালই হল দেখা হয়ে, আপনাদের আর সবাই কই?
~ জ্বি, অইদিকে আছে...
~ আমি ঝিলিক, ইডেনে পড়তাম... নবাবকাটরার নিমতলীতে গুলজার আংকেলের বাড়িতে আমরা ভাড়া থাকতাম, মানে মতি ভাইয়ের চাচার বাড়িতে। আমরা চার ভাইবোন। জানেন সেদিন না আমার পানচিনি ছিলো, কিন্তু হঠাত'ই এই কান্ড... কেমন লাগে বলেন তো? হাতে মেহেদি দিয়েছিলাম, টিউব মেহেদি দিয়েছিলাম তো তাই রংটা কেবল বেরুতে শুরু করেছে এরই মধ্যে কিনা হাতটা পুড়তে শুরু করলো...মেহেদি আর আগুনের রঙ মিশে একাকার... খুব জ্বলছিলো... ... তারপর, তারপর আমার হাত ভর্তি লাল কাঁচের চুড়িগুলো গলতে শুরু করলো... উফ্ !! মাগো সেকি কষ্ট... কালচে লাল কাঞ্চিভরম শাড়ি পড়া ছিলাম, পায়ে নানীর দেয়া নূপূরটা ছিল, গলায় মায়ের দেয়া সীতাহার আর আঙ্গুলে ওর পড়িয়ে দেয়া আংটিটাও ছিল... সব গলে-পুড়ে আমার শরীরের সাথে মিশে যেতে থাকল... চুল গুলো পুড়লো পটপট শব্দ করে... যে চোখে পৃথিবী দেখতাম, যে হাতে মাকে জড়িয়ে ধরতাম, যে পায়ে ভর দিয়ে বাবার পিছু-পিছু দোকানে যেতাম
একটা বাকরখানি পাবার লোভে, যে হৃদয়ে ভালবাসা জমাতাম-বিলাতাম...একে একে সব পুড়লো... আমার পোষা বিড়াল ঝিকমিকও পুড়লো... আমার হবু জামাই, ধ্যাত ওতো আমার জামাই'ই...ও না খুব ভীতু। আগুন দেখে সেকি চিল্লাচিল্লি... তবে একটা সময় না আমার হাত ও খুব শক্ত করে ধরে ছিল, যাতে আমি ভয় না পাই... ভীতুটা-লক্ষ্মীটা আমার... ...
আচ্ছা, আপনি বিরক্ত হচ্ছেন, না? কিছু বলছেন না কেনো? মা আমাকে বকা দিত আর বলতো আমি নাকি বেশি প্যাটপ্যাট করি...কাউকে কিছু বলতে দেই না...আমার কথার কারণে নাকি কানের পোকাও কান ছেড়ে পালাতে পারলেই বাঁচে...আমি কি আসলেই বেশি বকবক করি?
~ হুম... না আপা...শুনতাছি... সারাদিন গতর খাইটা হেইদিন রাইত দশটা-নয়টার দিকে শুইয়া পড়ছিলাম। তারপর ঘুমের মাঝেই থ্যাতলানো লাশ হয়া গেলাম... এইহানে আমার মা আর ছুডো বইনও আছে...
~ থাক, এসব কথা থাক... চলেন ওইদিকে যাই, মতি ভাই আছে। মতি ভাই লাশটা কিন্তু খারাপ না...
মতি ভাই, আপার কথা শুইনা মন্ডা বিলা হয়া গেলো... আমার আগের কথা গুলার লাইগা মাইন্ড খাইয়েন না...
~ আবে লতিফ্ফা , তুমার মুখে একি কথা শুনতাছি? হা হা হা... ঠিকাছে, তুমিও মাইন্ড খাইয়ো না... লাশ হইবার পর আমাগো মাইনষের মতো বুদ্ধি হইবার লাগছে দেহন যায়, আমরা অহন অনুতপ্তও হই !! কিন্তু যহন মানুষ আসলাম তহন অমানুষের মতো সব কাম করছি, চিন্তা করছি !! হায়রে বিধি !!
সব লাশই লাশ, থ্যাতলানো হোক আর কয়লাই হোক...
~ আইচ্ছা মতি ভাই, আমরা এইহানে কয়জন আছি? আপনিতো জ্ঞানী-গুণী, কন দেহি...
~ দ্যারশো হইতারে, আরো আসতাছে... আরো আসপে...যাও, অইদিকে যাও...স্বর্গে কারা যাইবো হের লিস্টি হইতাছে, লাইনে খাড়ায়া জয়েন দাও। গাইল পাইড়ো না, বাদ দিয়া দিবো কইলাম...
~আইচ্ছা, ভাল থাইকেন আর ভাই দুয়া রাইখেন...
~ হুম... ভাল থাকপো, আমরা অহন ভাল থাকপো...দ্যাশের স্বার্থপর কর্তাগো সব অন্যায় মাফ কইরা দিলাম, আমাগো বিভীষণ চেহারা দেইখাও যদি অগো আনুশোচনা হয়...তাও যদি সাধারণের সত্যিকার ভালোর লাইগা অরা এইবার চিন্তা করে, কাম করে...দ্যাশের সবাই ভাল থাকুক, এই ফরিয়াদই করি...জানিনা এইডা কোনদিন কবুল হইব কিনা... ...
''চৈত্রী''
মন্তব্য
কোন কথা যোগাচ্ছে না মুখে। আপনার লেখার হাত খুব ভালো......
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
অনেক ধন্যবাদ... সচলে এটাই আমার প্রথম লেখা, একঘন্টার মধ্যে প্লট চিন্তা-লেখা-পোস্ট সব করেছি...গল্পটা আসলে অনেক কষ্ট নিয়ে লেখা, প্রতিভা জাহিরের উদ্দেশ্যে লিখিনি...আহত-নিহত সবার জন্য দোয়া করি এবং বেঁচে থাকা অন্যান্য মানুষের জন্যও ...
''চৈত্রী''
ishumia@gmail.com
অনেক ধন্যবাদ...
''চৈত্রী''
ভাই কেন খামাখা এত চমৎকার লিখে, এইভাবে আরও কষ্টটা বাড়াচ্ছেন?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কষ্ট বাড়ানোর জন্য দুঃখিত...
''চৈত্রী''
একটা তথ্য দেই। যে দুইজনের বাগদান হবার কথা ছিল, তারা দুইজনই আল্লাহর অশেষ দয়ায় বেঁচে গেছেন। তবে আহত হয়েছেন ভাল ভাবেই। আর আত্মীয় স্বজন হারিয়েছেন অনেক। লেখা প্রসঙ্গে বলি, অসম্ভব ভাল লেগেছে। কল্পনার দৌড় মারাত্মক। মনটা ভারী হয়ে গেল লেখাটা পড়ে।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ... তাদের বেঁচে থাকার ভাল খবরটা আমিও শুনেছি, তবে গল্পে আমি সরাসরি কাউকে তুলে ধরিনি...তার অবকাশও নেই, কারণ সবাই আমার অচেনা... সত্যিকার কিছু নাম ব্যবহার করেছি মাত্র, ভয়াবহতা বোঝানোর জন্য বাকি সবই কাল্পনিক..
''চৈত্রী''
লেখাটা বড় জীবন্ত।
আর কিছু বলার কি আসলেই আছে?
আরো অনেক অসাধারণ, নিজেকে ছাড়িয়ে লেখা আসুক আপনার কীবোর্ড থেকে।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
এটাই আমার প্রথম লেখা, এরকম মন্তব্য দেখে সত্যিই খুব ভাল কিছু লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে... আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ...
''চৈত্রী''
একটা প্রচন্ড সুন্দর দিনে কিভাবে দু'টো মানুষ সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গ্যালো, তাই না!!! যার হারিয়েছে সেই জানে এর ভয়াবহ কষ্ট ... গতকাল রাত থেকে একটু পর পর চোখ ভিজে যাচ্ছে ... কাল হয়তো আমিও এভাবে এই শহরের অভিশাপে পড়ে হারিয়ে যেতে পারি ... হয়তো হারাতে পারি কোনো বন্ধু ... পরিচিত জন ...
এই প্রচন্ড কষ্টের মাঝে আপনার লেখাটা একটা ভিন্ন হাহাকার এনে দিলো। মানুষগুলো ওপারে ভালো থাকুক ... জান্নাতবাসী হোক ...
আপনার লেখা খুব ভালো লাগলো ... আগামীতে আরো ভালো ভালো লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম ...
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ঠিকই বলেছেন, হারিয়ে যেতে পারি অথবা হারাতে পারি... ...
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ...
''চৈত্রী''
চৈতী দারুন লিখেছেন। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। অসাধারণ বর্ণনা। চালিয়ে যান, আপনাকে দিয়েই হবে।
যারা এই দুইটি মর্মস্পর্শী দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের বিদেহী আত্বার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন ওনাদের এখন ভালো রাখেন।
কামরুজ্জামান স্বাধীন।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ... তবে নামটা 'চৈতী' নয়, ''চৈত্রী''...
''চৈত্রী''
আরো লিখুন
নতুন এক বিপ্লব আসবে
বর্ণ অনুচ্ছেদ
অসংখ্য ধন্যবাদ...
''চৈত্রী''
পত্র-পত্রিকার ছবি আর বর্ণনা পড়ে এমনিতেই মন খারাপ ছিলো, আপনার লেখা পড়ে সেটা আরো বাড়লো
চমৎকার লেখার জন্য অভিনন্দন এবং সচলায়তনে স্বাগতম। লিখতে থাকুন।
- মুক্ত বিহঙ্গ
দুঃখিত এবং ধন্যবাদ
''চৈত্রী''
... অনবদ্য, এরকম ভয়াবহ একটা দূর্যোগে এরকম সুতীক্ষ্ম পোস্ট ... সিম্পলি গ্রেট । দুয়েক জায়গায় সুর কেটেছে ... তারপরও জোস্ ...
অনেক ধন্যবাদ...
''চৈত্রী''
মনটা অসম্ভব খারাপ। আপনার লেখাটা পড়ে আরো ছটফট লাগছে ...
সচলায়তনে স্বাগতম। খুব সুন্দর লেখেন আপনি।
মন আমারো খুব খারাপ, অচেনা ঐ মানুষগুলোর জন্য দোয়া আর কান্না করে বুঝলাম আমি এখনো রক্ত-মাংসের মানুষই আছে, পুরোপুরি যান্ত্রিক হয়ে যাইনি...
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ...
''চৈত্রী''
এমনিতেই মন খারাপ ছিল, আপনার গল্প পড়ে মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল। খুব ভাল লিখেছেন গল্পটা। আহারে এতগুলো জীবন, এতগুলো সম্ভাবনা, এতগুলো স্বপ্ন- সবকিছু মুহূর্তের মধ্যে ছাই হয়ে গেল। ভাবলেই বুকের ভেতরটা মুচড়ে উঠছে।
------------------------------------------------------------------
It is impossible to be a mathematician without being a poet in soul.
------------------------------------------------------------------
It is impossible to be a mathematician without being a poet in soul.
ঘটনাটা ভুলতে চাইছি, নয়তো বারবার খালি মনে হচ্ছে আর মনটাই চরম খারাপ হয়ে যাচ্ছে...
''চৈত্রী''
- ভালো লাগে না এইসব ঘটনা ঘটলে, জানলে। কালকে দুপুরে একজন আমাকে জিজ্ঞেস করতেছে আমার দেশের (ঢাকা'র) খবর দেখেছি কি না! এখানকার টিভিতেও নিমতলীর খবর এসেছে।
পেপারে দেখলাম, বেগুনবাড়ি, নিমতলী'র পর এবার নাখালপাড়ায়ও একটা ভবন "কাইত" হয়ে গেছে। কনকর্ড গ্র্যান্ড টাওয়ার এর "ঝুঁকিপূর্ণ নয়" সাট্টিফিকেট পাওয়ার পর মনে হচ্ছে এইটা একটা বানিজ্যিক শ্লোগানে পরিণত হবে। নতুন নতুন যে সব বাবুইয়ের খোপ তথা হাউজিং-এ্যাপার্টমেন্ট তৈরী হবে তার বিজ্ঞাপনে থাকবে, "তমুক অনুমোদিত, অমুক সত্যায়িত, নন-ঝুঁকিপূর্ণ আবাসন।"
আমরা ম্যাঙ্গো-পিপোলরা তখন পাড়াপাড়ি করে সেইসব বিজ্ঞাপনে সাড়া দিতে গিয়ে আবারো মারা পড়বো। একবার, তারপর বারবার। জীবন নিয়ে যেখানে বানিজ্য হয়, সেখানে মারা পড়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না আসলে!
আপনার লেখাটা ভালো লেগেছে, বেশ ভালো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একদম ঠিক কথা বলেছেন ধুগো'দা...
''ঝুঁকিপূর্ণ নয়'' শোনার সাথে সাথে মনে হলো, ওনাদের ''খুশি'' করে দেয়া হয়নি তো !!! আমার ধারণা ভুল হলেই খুশি হবো...
''চৈত্রী''
অনেক দিন পর টাইম হল সচলায়তন এ আসার- ভাল লাগ্লো লেখাটা। শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ...
''চৈত্রী''
নিমতলীর আগুন নিয়ে বাংলঅ সাহিত্যে লেখা প্রথম গল্প কি এটাই।
ইয়ে ঠিক জানিনা তবে হতেও পারে..বাংলাদেশীরা আগুন খুব দ্রুত নিভিয়ে ফেলতে পারে...আর কোন জামতলীতে আগুন লাগলে হয়তোবা বাংলা সাহিত্য আরেকটি আগুন গল্প পাবে...তবে আমি চাই আর না পাক...
''চৈত্রী''
গল্পটা পড়ে করানো ভাল লাগলো। আপনার লেখার হাত ভালো। আশা করি ভবিষ্যতে নিয়মিত সচলে আপনার লেখা পড়তে পারবো।
ভাল থাকবেন।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
অনেক ধন্যবাদ, আপনিও ভাল থাকুন...
''চৈত্রী''
কত আগের একটা লেখা, তারপরও যেন একদম নতুন। আর কত কাল এভাবেই চলবে অথবা এভাবে আমরাই চলতে দেবো?
নতুন মন্তব্য করুন