বিব্রত.....
০৪ বা ০৫/০৬/২০১০খ্রীস্টাব্দ ।
আমেরিকায় এখন কত?
০৩/০৪/০৫/০৬
/০৫/০৬/০৭--২০০৯/১০/১১ খ্রীস্টাব্দ /পুর্ব
আমরা খুব ভোরে ঘুরতে থাকি । ঠিক যেমন করে ঘুরছিল কলোনীর মাঠের মাঝে হারুন মিয়ার ডাব্ববার সাদা, লাল ,নীল , সবুজ, হলুদ, কালো ,লাল নাগরদোলাটি । প্রতি ডাব্বায় ৬ জন । ভয়ঙকর শাইশাই করে ঘুরছিল হারুনমিয়ার নাগরদোলা। ঠিক যেন লোহার আঙটা বাধা নাইলনের দড়ি মাথার উপর ঘুরছে। সেই আঙটায় বসে আমরা আমাদের নাকের নিচের শূন্য মাটি আর বুড়ো আঙ্গুলকে চিনতে পারতাম। আমরা কলেনীর পূর্ব পাশের মসজিদ চিনতে পারতাম না ,দক্ষিণ পাশের রাস-া চিনতে পারতাম না, পশ্চিম পাশের স্কুল বা আমাদের কলোনীটা ও চিনতে পারতাম না। আদতেই কি পূর্ব পাশে মসজিদ ছিল বা উত্তর পাশের তিনতলার কোন একটা ঘরের জানালা কি আমার ঘরের? নিচে দাড়ানো শুকনো বা স্যাতস্যাতে মুখগুলো হঠাৎ করেই শুন্যে উঠে যেত। উপরের আকাশের সঙ্গে মিলিয়ে যেতে না যেতেই আবার ধামে দাড়িয়ে । আমরা ওদের চিনতে পারতাম না । ওরাই কি একটু আগে আমদের সাথে দাড়িয়ে ছিলো ? ওদেরই দেখবার জন্য আমরা নাগরদোলায় ঘুরছি না আমদের দিকে চেয়ে থাকার জন্য ওরা ? নিছক ঘূর্ণিটাই কি আমাদের পছন্দ ? সে কি প্রবল ঘূর্ণি।
ঠিক যেন আমাদের মতো ............
মাঝে মাঝে যখন আব্বাস আমাদের ডাব্বার পেছনে কাঠ ধরে ঝুলে পড়তো ঘূর্ণি থামাতে -তখন আমাদের কি হতো ?
১।ভয় ?
২।হাসি ?
৩।বিরক্তি ?
৪। কিছুই না ?
আব্বসের - ?
আব্বাস কি আমদের নামাতে ডাব্বার কাঠ ধরে ঝুলতো না অন্য কাউকে ?
ডাব্বার সেই কাঠকে কি রেলিং বলবো ?
সবাইকে নামাতো না একজন কে ?আব্বাস হাফ প্যান্ট পড়তো না লুঙিগ ?
আমরা বা উসকো চুলের হাফ প্যান্ট ছেলেমেয়ে গুলো কি আব্বাসের সেই রেলিং ধরে ঝুলে পড়া দেখতে ভীড় করতো ?
দিনে কয়বার আব্বাস শুন্যে উঠতো ?
শুক্রবার ছাড়া অন্যান্য দিনে আব্বাস কি করে ? কোথায় থাকে ?
আমাদের সাথেই খেলে ?
আমরা আব্বাসের নাম জানলাম কিভাবে ?
স্কুলে একদিন সাদা ধুতি আর পৈতা পরে য়ে ছেলেটা মা’র মৃত্যুর জন্য টাকা তুলতে এসেছিল সেই ছেলেটাই কি আবাস না ?
আব্বাসের কি মুসলমানী হয়েছে?
আব্বাস কি কখনো ডাব্বায় উঠে বসে না ?
একদিন পুষ্প আসে । আমাদের বাসায় । স্কুলের সবাই মিলে ছুটিতে গেছে । কেউ আসেনা ।একদিন পুষ্প আসে । বলে- ’চল ব্রীজ ধরে মাঝ নদীতে যাই । নতুন চর হইছে। গাছ উঠে নাই । চরে গিয়ে জুলাপাতি খেলবো । তারপর নৌকায় করে ফেরত আসবো ঘরে। ” তখন নদীতে যাওয়া আমার ছিলো মানা । তাছাড়া নদীতে তখন অনেক ডাকাত । আমার আর যাওয়া হয়নি । পুষ্পরা গিয়েছিল । সে অনেক বছর আগের কথা । হয়তো ঐ চরে এখন কোনো লাল জট,কালো চুল মেয়ে সেখানে বাগান করেছে । সেখানে এখনো পুষপরা হাসে । ব্রিজের ওপর দিয়ে ট্রেনে যাবার সময় পুষ্পরা যে কেউ সেই জুলাপাতির কথা ভাবে। সেখানেতো আমি ছিলাম না । তাই আমার কথাও ভাবেনা । কিন' পুষ্প কি ভাবে - ও আমাকে নেবে বলেছিল । আমাদের মাঝের শুধু পারকির-ই বখে যাবার সম্ভাবনা বেশী। ও- একটু ঐ রকমই ছিল । ও কি হারিয়ে গেছে ? অন-ত ঐ দিন ডাকাত দলে হারায়নি। শনিবার দিন যখন ফাহমিদা আমাকে গত শুক্রবার ৩ টা ২০শে দেখা সিনেমার গল্প করছিলো , তখন গল্পে ক্লাইম্যাক্সের একটু আগে নায়িকার ইজ্জত হরণ হয় । সেদিন আমি এক নতুন শব্দ পেয়েলিাম , আকাঙ্খিত । এরপর বেশ কয়েকদিন জিজ্ঞেস করতে চেয়েছি শব্দটির মানে। কেন যেন পারিনি । মাঝে ফাহমিদার বাবার বদলী হয়ে গেল রাঙামাটি না যেন খাগড়াছড়ি । যমুনা অয়েল /মেঘনা অয়েলের ম্যানেজার ছির ওর বাবা । নাকি পদ্মা অয়েল ?
স্কুল চত্তর হারিয়ে যায় । রেল লাইন পেছনে পড়ে থাকে। নাকি সামনে ? সেতো জানে লাইনে কাটা পড়া লাশের আত্না। আমিতো ছুটে চলি সময় কে খুন করতে । সকালে খুন করি ,দুপুর গুলিতে করি , বিকেলে করি , রাতে করিৃ...
তবু সময় বাড়তেই থাকে। (নাকি কমতে ? )। ১৭ তারিখ এসে পড়েছে ছুটতে থাকি এখানে ওখানে । ঠিক হয়েছে সবাই যাবো সুন্দরবন। আমি আর শিশির। দূর্দান- ছুটছি । এমদাদ স্যার যাবে আমাদের গাড়িতে , নাকি জাহিদ স্যার ? জাহিদ স্যার টোটালি না গেলেই ভালো হয় । খাবার কি থাকবে? কয়দিন । মেয়েরা কোথায় ? প্রিন্সিপাল স্যারের বউ যাবে নাকি ? এ খবর গুলো নিয়ে বন্ধু মহলে দৌড়াদৌড়ী । এসব খবরের নিশ্চয়তা যে শুধু আমি আর শিশির ই দিতে পারি । আনন্দ । আনন্দ গুলো বিদেশী সিনেমায় দেখা বড় বড় চোঙা প্যাকেটে খই ওড়ানোর মতন । আমরা হাওয়ায় খই ওড়াই ্। সময় কে খুন করতে করতে আমরা এেেগাই । ১৭ তারিখের দিকে।
ক’দিন আগে বাওয়ালীদের সাথে জলদস্যুদের খুব হয়েছে একচোট । তিনজন বাওয়ালীকে জিম্মি করেছে জলদস্যুরা । আমাদের এক বন্ধুকে দেখে ছিলাম এক বয়াম মধু এনেছে । আমার বা শিশির কারওই সেবার সুন্দরবন যাওয়া হয়নি।
এখন আমার অনেক সময় । জীবন গুলা কাটছে অলসতায় ;সাহিত্যের আশ্রয়ে । ভিড়িয়ে দেই নিজেকে। ঘুরতে থাকি পিঠা উৎসবে । সেকি আমেজ !দেখে যাও ! দেখে যাও !এক্কেবারে নতুন এক পিঠা। এ পিঠার ডাইসটাও আমার নিজের বানানো । পূর্বে এমন কোন পিঠার কথা কোথাও পাওয়া যায়না । অষ্টাদশ শতাব্দী খ্রীষ্টপুর্বের সেই কেনএ্ক বিখ্যাত নিদোঙলাখটিপ্লাস্ট ঘরানার আদলে আমার এই সমকালীন সমকামী পিঠা । কোথা থেকে নূতন কিছু উৎপাদিত হবার পথ নেই্ ।
ৃ. এ যেন এক বিপ্লব , এক রেনেসাঁ, ......
টু বি কনটিনিউড। পিঠা খাই । আহ্লাদিত হই ......এই পিঠাই তো তুলে ধরেছে আমাদের কৃষ্টি কে । যাই বলো তাই বলো এই আদলের পিঠাতেই কিন' সব নিহিত । এটা আমাদের আনচলিক পিঠা ।
ঘুরতে ঘুরতে গাড়ির চাকা ঘুরে। চলে আসি বাড়ীতে । সেই ঘর । মফস্বল শহরের সেই অপরিপক্ক বাড়ীটায়। টলস্টয়ের থার্ড ক্লাস বগি ,ভাঙা কাচ, ট্রেনের সিট জানালা ,সরে যাওয়া সিগন্যাল লাইট, কটু গন্ধের তামাক , ভিড় , অবলা শিশুর তিতে পড়া চিটচিটে সবুজ হাফ প্যান্ট, মেদহীনকালো শরীরের অকাম ভঙ্গি, সামনের দু পাটির উচু দাঁতের পোকা ধরা যুবতীর নিচু বুক কালো মাজা , মাঝ রাতের গাঁজা খোজা , ফেরারী স্টেশনের নামহীন যাত্রীদের ভেজা কাপড় পাল্টানো। কোথাও যেন নেমে যাওয়া । -স্টেশনের ফাঁকা হোটেলে নাশতা , ভোরের আকাশে তারা খুজি ;কোথায় যে হারিয়ে গেল !
এবার আামার সাথে কিছু সঙ্গী আছে । অলস আশ্রয়ী। সবাই মিলে পাড় হচ্ছিলাম কোন মড়া নদের সেতু । যেন কোন ফোলা রগের বৃদ্ধের রগ বরাবর হেটে যাওয়া - ক্লানি- ঘুম । চোখ গুলো লাল । ফোলা ফোলা । ’’ঢুলূ ঢুলূ চোখ শালা .... .বাড়ী ফিরি ভোর বেলা । পেছন বছরের অসংলগ্ন স্মৃতি হাতড়াই । অভিজ্ঞ দুজনে । চলে যাই রেল লাইনের ওপরে । দুই ধারে জল । জলছত্র। আদিমতায় ঝাপিয়ে পড়ে কেউ । জলে ভেসে ওঠে ভাসা চোখ গুলো। চলো জলে। জলে জ্বলে যাই। এই জলই কি মেঘ কুমারীর।
মেঘ কুমারী -
কোন কিশোরীর বুক ভিজিয়ে
আমার বুকে দিচ্ছ মিশিয়ে?
জলে ক্লান- হই । গা এলিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি জলে । জল গুলো সব ব্রম্মপুত্রের সখী বা তার কাছুয়া সন-ান । তারা কি সোমেশ্বরীর সন-ান ? মগড়া কে ? জ্বলে ডুবে মরি জলে । হা জল ! তীর্থ হও ! হাত ছোয়াছুয়ি করে গা এলানো নতুন জল । নতুন নিয়ম ।
হা জল ! তীর্থ হও ।
জলে ঢলে পড়ে চিতায় পোড়া লাশ । পোড়া লাশের নাকি কপাল পোড়েনা। লাশটা শুয়ে আছে জলের দিকে চেয়ে । ধীরে ধীরে বৃষ্টি পড়ে । ধীরে ধীরে লাশটা বৃষ্টির দিকে জেগে ওঠে । চেয়ে ওঠে যেন জল আকাঙখায় । ঢলে পড়ে ।
হা জল ! তীর্থ হও ্ মাঝ রাতের কোন অশরীরীর গোপন ভূমিকা । রাতটা মাঝ বরাবরএলেই অশরীরী জেগে ওঠে শরীরে । খুন চেপে যায় । খুন করি কোটি কোটি । যেদিন যেদিন ঘুম আসেনা । বর্ষায় বলি ; হা জল ! তীর্থ হও । কেউ কেউ আটকে থাকে সারগামে । সবাই যেন এসেছি কোন রাধার বনে । রাধার বনে রাধার আশ্রয়ে কেউ চখা খোজে । হায় ! কামাখ্যার মেয়েরা কেমন ? চরুর দেশ , চখার দেশ । এখানকার মেয়েরা খুবই ভালো । এরা জলের মেয়ে । এরা জলকন্যা। চখাচুর আটকে থাকে সারগামে। চরুর দেশে, রাধার বনে ,কেউ শ্যামপুরে যায়। শ্যামল সুপ্ত কাব্যে ক্ষীপ্ত হয় । অলসতা ক্ষীপ্রতাকে ডুবিয়ে দেয় জলে । নরম জলে গা ডুবায় সুপ্তকাব্য। উদগিরীত হয় । নিসে-জ হয় । সারগামে বাধা আছে সুপ্তকাব্য । শ্যামল সারগামের খোজে। মেঘ দূতের খোজে । আজও তার সারগাম শেখা হলোনা।
শ্বাপদের সাথে ঘুরে বেড়াই জলে । মোটেই ভয়ং্কর নয় ওরা । কচি ডগা সবুজ সবুজ । শ্বাপদ ! তুই কৈশোরে পদ্ম ধরিস ? বাহ রে তোর সাহস । হাত বাড়িয়ে টেনে নেই কাছে । গাল- ঠোট- বুক জড়িয়ে চুমু খাই । স্পর্শে নন্দিত হয় । শ্যাওলা শরীরে হাত বাড়াতে কেঁপে উঠি । শ্বাপদ ছুটতে থাকে নৌকার বেগে । যাহ, তোকে ছেড়ে দিলাম । রাধা আসে। রাধা যেন সরাইকন্যা। রাধাও দ্রৌপদী হয়ে ওঠে । রাধাকে ভুলে যাবার সত্য প্রতিশ্রুতি দেই । দ্রৌপদীরা আসে যায় অনেক। সেই দূর দেশ থেকে। তারা কি মিথ্যা ? ক্লান- হই । সময় মন'নে ক্লান-।্ কেউ জানে না । গতি পাই ছুটে চলায় । বন্ধুরা ছুটে চলে। সেই চেনা আশ্রয়ে। নতুন নতুন পিঠা হবে । পিঠা উৎসব হবে । গল্প হবে স্রোতের । গল্প হবে ভাটির দেশের কন্যার । গল্প হবে আশ্রয়ের । আমরা খুব ঘুরতে থাকি । আজ ও আমরা জানি না কেন নাগর দোলায় চড়া।
অভদ্র মানুষ
মন্তব্য
যত্ন অযত্ন নিয়ে ভাবিত না। কিন্তু অযত্নের ছাপ আছে। অযত্ন জিনিসটা আজকের দিনে বড়ো প্রয়োজন। অভদ্র শব্দটাও আমার পছন্দ। 'অফেন্ডিং দা অডিয়েন্স'ও খুবই প্রয়োজনীয় একটা কাজ আজকের তারিখে। টুইটারে নিজের পরিচয়ে আমি অভদ্র শব্দটা ব্যবহার করেছি। গল্পটাকে 'চিত্রকল্পময়' বলে দায়সাড়া কমেন্ট করতে চাইনা বলে এতকথা বললাম।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অনেক ধন্যবাদ.... । আপনার মন্তব্য কেমন যেনো সাহস দিলো... অন্ততপক্ষে মন্তব্যের জবাব দেয়ার। আর যাই হোক... অভদ্র বলে আপনি আমাকে গাল দিতে পারবেন না...
বাই চান্স আপনার মন্তব্যটাই সচলায়তনে আমার অনেক সাহস (!!!) করে পাঠানো পাঠানো প্রথম কোনো লিখার প্রথম কোন মন্তব্য। সে হিসাবে নিজের লিখার প্রথম জাবাবো এটাই... কেমন যেনো নিজেকেই জবাবদিলাম বোধ হচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ.... । আপনার মন্তব্য কেমন যেনো সাহস দিলো... অন্ততপক্ষে মন্তব্যের জবাব দেয়ার। আর যাই হোক... অভদ্র বলে আপনি আমাকে গাল দিতে পারবেন না...
বাই চান্স আপনার মন্তব্যটাই সচলায়তনে আমার অনেক সাহস (!!!) করে পাঠানো পাঠানো প্রথম কোনো লিখার প্রথম কোন মন্তব্য। সে হিসাবে নিজের লিখার প্রথম জাবাবো এটাই... কেমন যেনো নিজেকেই জবাবদিলাম বোধ হচ্ছে।
অভদ্র মানুষ
এত চমৎকার কি করে লিখলেন, মন্ত্রমুগ্ধের মতন পড়লাম, ভীষণ ভাল লাগল, পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম...
_____________________________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ
পড়ার জন্য এবঙ বিশেষ করে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হয়েছি। সত্যি সত্যি।
অভদ্র মানুষ
১.
অতি চমৎকার কিছু অণু গল্পের সমষ্টি বলা যেতে পারে আপনার লেখাটিকে। কয়েকটা প্লট তো রীতিমতো অসাধারণ! কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত বানান ভুল লেখাটিকে খানিকটা পীড়াদায়ক বানিয়ে ফেলেছে।
২.
আরেকটা ব্যাপার। ক্যাটেগরি হিসাবে মূলত একটি বা একাধিক শব্দবন্ধ ব্যবহার করা উচিৎ যাতে ভবিষ্যতে আপনার লেখাগুলোকে বিষয়বস্তু হিসাবে আলাদা করা সহজ হয়।
দ্রোহী দা'
সচলঅয়তনে যতদিন কেবল নিরব পাঠক ছিলাম... ততদিনই আপনার বেশকয়েকটা লিখা পড়েছি। আমার প্রথম লিখায় আপনার মন্তব্য কেমন যেনো ভাললাগা দিচ্ছে।
১. মাত্রাতিরিক্ত বানান ভুলের জন্য ক্ষমা কি করা যায়? আমি রীতিমতন আই.টি মূর্খ এবঙ অশিক্ষিত। এম.এস । ওয়ার্ডে লিখে কিভাবে সেটা সচলে বাঙলায় নিয়ে আসা যায় তা অনুসন্ধান করতে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। এখনো আমি নিশ্চিত না ঠিক কিভাবে কিভাবে বাঙলায় লিখে ফেলেছি। সবচেয়ে সহজ কোনো পদ্ধতি বলে দিলে ভাল লাগবে।
২. ক্যটাগরি ব্যপারটা ভালো করে না বুঝলে ক্যাটাগারাইজড করবো কিভাবে...? আপনি কি বলতে চেয়েছেন...গল্প ক্যাটগরিতে ক্লিক না করে অণু গল্পে ক্লিক করা উচিৎ ছিলো...?
অভদ্র মানুষ
১.
প্রথম লেখা হিসাবে বানান ভুল ব্যাপার না। তবে বানান ভুল ঠেকাতে একটা কাজ করতে পারেন। যদি ফায়ারফক্স ব্যবহার করেন তাহলে "Bengali (Bangladesh) Dictionary" আর Dictionary Switcher অ্যাডঅন দুটো ইনস্টল করে নিন।
আর লেখার জন্য ওয়ার্ডের বদলে গুগল ডক ব্যবহার করলে লেখার সময়ই অ্যাডঅন ব্যবহার করে বেশ কিছু বানান ঠিক করে নিতে পারবেন।
বলতে দ্বিধা নেই। আপনার লেখার হাত অতি চমৎকার।
২.
ক্যাটেগরিতে নিদ্দিষ্ট শব্দ বা শব্দবন্ধের ব্যবহার আপনার লেখালেখি সম্পর্কে একটা সংক্ষিপ্ত ধারণা তৈরিতে সাহায্য করবে। ধরুন আপনি ২ বছর পর সচলায়তনে কী কী বিষয় নিয়ে লিখেছেন তা যদি জানতে চান তাহলে আপনার ক্যাটেগরিতে ব্যবহৃত শব্দগুলো দেখেই তা বলে দেয়া যাবে। আবার ধরুন আপনার লেখাগুলো থেকে শুধুমাত্র গল্পগুলো আলাদা করে খুঁজতে শুধু "গল্প" ট্যাগটাই যথেষ্ট হওয়ার কথা।
উদাহরণস্বরুপ ব্লগার হিমুর royesoye.blogspot.com এর ট্যাগগুলো দেখুন।
"রাজনীতি" (29) অনুবাদ (7) অন্যান্য (3) আন্তর্জাতিক (18) কিছুমিছু (38) ক্রিকেট (13) গল্প (102) গোয়েন্দাগল্প (13) চলচ্চিত্র (6) ছড়া (14) দেশ (76) নবায়নযোগ্য শক্তি (2) পোল (2) প্রবাসে (83) ফিডব্যাক (1) বইপাগল (10) বরাহশিকার (4) বিবর্তন (1) বৃথা (85) ভ্রমন্থন (4) মুক্তিযুদ্ধ (7) শক্তি (6)
ট্যাগগুলো দেখে হিমুর লেখালেখি সম্পর্কে একটা ধারণা হয়ে গেল না? সে সবচেয়ে বেশি লেখে গল্প। এছাড়াও দেশ নিয়ে, ক্রিকেট নিয়ে, রাজনীতি নিয়েও সে লেখে।
এখন হিমুর লেখালেখি থেকে গল্পগুলো খুঁজে বের করতে গল্পে ক্লিক করলেই চলবে।
আশা করছি ক্যাটেগরিতে ট্যাগের ব্যবহার সম্পর্কে একটা ভাসাভাসা ধারণা দিতে পারলাম?
আপনাকে সচলায়তনে স্বাগত জানাই। হাত-পা খুলে লিখতে থাকুন।
বেশ লাগলো তো!
অস্থির কোনো মনকে রিফ্লেক্ট করলো যেন।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ। সত্যি সত্যি।
অভদ্র মানুষ
তুই তো এরকম লিখবি জানিই। তুই ভালো লিখবি তাও জানি। তুইও যেহেতু জানিস তোর লেখা পড়ে আমি কী মন্তব্য করব, তার আর মন্তব্য করলাম না
বানান যেগুলো তুই ভুল করেছিস সেগুলোর কারণ বানান না-জানার চাইতে ইউনিকোডে লিখতে না জানাটাই বেশি। "ত"-যুক্ত বেশিরভাগ যুক্তাক্ষরের "ত" কেটে গেছে। ওয়ার্ডেই ইউনিকোডে লিখতে পারিস। অভ্র ব্যবহার কর। তোর বিজয়ে লেখার অভ্যাস। অভ্র'র ইউনিজয় অপশনে প্রায় একইভাবে লিখতে পারবি। অভ্রর সঙ্গে একটা ফন্ট নামিয়ে নে। omicronlab.com এ ভাল ফন্টের লিঙ্ক পাবি। আমি সোলায়মান লিপিতে লিখি। ওয়ার্ডে ইউনিকোডে লিখে কেবল কপি পেস্ট করেই সচলে পোস্ট করতে পারবি। আর সচলেও তো একইভাবে লেখা যায়। সচলে সবাই (সঙ্গত কারণেই) বানান বিষয়ে স্পর্শকাতর। আমার জানামতে তুই নিজেও তাই।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অভদ্রের মতন তোকে আর ধন্যবাদ দিয়ে বড় করতে চাই না। তুই ভালোই জানিস যে আমার কাছ থেকে ধন্যবাদ পাবার যোগ্যতা তোর নেই।....
বাই দ্যা ওয়ে.... তুই যা যা করতে বল্লি তা তো কেবল তুই আর আমিই বুঝলাম। এখন দয়া করে আমার বাসায় এক রাত থেকে এগুলো যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দে...
অভদ্র মানুষ....
পোস্টের ট্যাগ দেখে আমি টাশকিত।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এটা যদি প্রশঙসা হয় তবে আমি উস্কিত........ না হলে দুষ্কিত...
..................... ....................
অভদ্র মানুষ (নাম টা লিখতে লিখতে টায়ার্ড হয়া গেলাম)
tusharbabu@ymail.com
(বিশ্বাস করেন সচল অতিথী হইতে নিজের নামে খোলা মেইল এ্যড্রেস বারবার দিতে হবে জানলে একটা ফেইক একাউন্ট থিকা লগ-ইন করতাম)
সচলে অতিথি লেখকের লেখা বা মন্তব্যের শেষে মেইল এড্রেস দেবার প্রয়োজন নেই। কেবল নাম দিলেই চলবে। যেমন এই মন্তব্যের শেষে আমি নিজের নাম জুড়ে দিলাম।
... আর গল্পগুলোর সূচনায় থিমটা আমার ভালো লেগেছিলো বিধায় পড়া শুরু করেছিলাম। কিন্তু বানান ভুলের পরিমাণ 'একটু' বেশি হওয়ায় পারলাম না প্রকৃত স্বাদটা নিতে। আশা করি এ ভুল অন্যভস্ততার... আপনার পরের লেখাটা নিশ্চয় আরো পরিপূর্ণ হবে।
সুহান
_________________________________________
সেরিওজা
"একটু" বলছেন.......? আমিতো সামনে পাইলে মাইর-ই দিতাম। আপনারাতো বেশ বিনয়ী । ব্যাপারটা ভাল লাগলো । পরে চান্স পেলে কাজে লাগাবো..........(;D
অনেক ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য । আমিও আশা করছি এর পরেরবার বানানের একটা না একটি বিহিত করে ফেলাবোই....
অভদ্র মানুষ
নতুন মন্তব্য করুন