১.আজ খবরে পড়লাম নির্বাচন কমিশনের কথামত জামাত তাদের দলের গঠনতন্ত্র কিছু পরিবর্তন আনছে। কি কি পরিবর্তন তা খবরে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আগ্রহীরা সেখান থেকে জানতে পারেন।
২.ছোটবেলায় গ্রামের ঝোপঝাড়ে মাঝে মাঝে সাপের খোলস পাওয়া যেত(আমরা বলতাম ছলম)। প্রথমদিকে ভাবতাম সাপটা বুঝি মরে শুকিয়ে ওই রকম হয়ছে, কিন্তু বড়রা সর্তক করতো এই বলে যে আসলে সাপটা মোটেই মরেনি বরং নতুন উদ্যমে কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করছে। অসর্তক হলেই ছোবল মারবে।
জামাত সেই চেনা বিষাক্ত কাল সাপ। শুধু প্রয়োজনে 'ছলম' বদলায়।
-----------------------------------------------------------------------------------------------
তারাপ কোয়াস
মন্তব্য
একদম খাঁটি কথা...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এখান ডকিনসের "শিফটিং মোরাল জাইটগাইস্ট" বিষয়টি লক্ষ্যণীয়। আমরা যা ঘটতে দেখছি সেটা "শিফটিং মোরাল জাইটগাইস্ট" এর একটা পার্ফেক্ট উদাহরন।
"শিফটিং মোরাল জাইটগাইস্ট" তত্ত্বটি অনুযায়ী সময়ের সাথে সাথে আমাদের নীতিগত স্ট্যান্ডার্ড উন্নততর হয়। এর পিছনে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন, নতুন তথ্যের সম্মুখীন হওয়া এই বিষয় গুলি থাকতে পারে। তবে কারন যাই হোক না কেন আমরা ক্রমাগত বৃহত্তর নীতিগত উন্মোচনের দিকে আগাই।
এতদিন জামাতের নীতিমালায় কোরানের আইন, ইসলামী শাসনের কথা বলেও হয়ত পার পেয়ে গেছে। কিন্তু নীতির প্রশ্নে আধুনিক বাঙ্গালীর/বিশ্ববাসীর কাছে সেটা আর ধোপে টিকবে না। তাই নির্বাচন কমিশনের চাপে হোক আর যাই হোক, জামাতের আধুনিকীকরন হচ্ছে।
এখানে দুটো প্রশ্ন আছে আমার। প্রথমতঃ জামাতের গঠনতন্ত্র এতো খানি রেসিস্ট হবার পরও কিভাবে টিকে থাকতে পারে? নির্বাচন কমিশন কেন গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের মাধ্যমে তাদের দ্বিতীয়বার সুযোগ দিল? উত্তর অবশ্য আমি জানি - ডানপন্থি রেসিস্ট দল যুগে যুগে দেশে দেশে ছিল এবং থাকবে। কিন্তু পরিবর্তন হবে তাদের নীতিগত অবস্থানের - "শিফটিং মোরাল জাইটগাইস্ট"।
দ্বিতীয় প্রশ্ন হল জামায়াতের মূল ভিত্তি ইসলামের শাসন। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান অনুযায়ী, ইসলামিক রাষ্ট্রের নিয়ম হল, অমুসলিমরা রাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে থাকতে পারবে কিন্তু তাদের অতিরিক্ত জিযিয়া দিতে হবে। মুসলিমদের সাথে উঁচুস্বরে কথা বলতে পারবে না। ধর্মপালনের সময় সেটা অন্যরা জানতে পারবেনা, ইত্যাদি। কিন্তু আমার ধারনা যদি সঠিক হয় তাহলে জামাতের পরিবর্তীত গঠনতন্ত্র [১] অনুযায়ী জামাত শাসিত রাষ্ট্রে (!?) অমুসলিমরা প্রায় সমানাধিকার পাবে। জামায়াত শাসিত রাষ্ট্র কি তাহলে "মুসলিম রাষ্ট্র" হবে?
এটার উত্তরও অবশ্য আমি জানি। আধুনিক রাষ্ট্রের সংজ্ঞার সাথে ইসলামিক রাষ্ট্রের সংজ্ঞা মেলে না। তাই এই "শিফটিং মোরাল জাইটগাইস্ট"।
সবশেষে "শিফটিং মোরাল জাইটগাইস্ট" উপর একটি ভিডিও।
[১] যেমন জামাতের গঠনতন্ত্র থেকে এই বাক্যটি সরানো: ‘কাহাকেও স্বয়ংসম্পূর্ণ বিধানদাতা ও আইনপ্রণেতা মানিয়া লইবে না এবং আল্লাহর আনুগত্য ও তাঁহার দেওয়া আইন পালনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত নয়, এমন সকল আনুগত্য মানিয়া লইতে অস্বীকার করিবে’
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
গঠনতন্ত্র তো স্রেফ একটা কাগজ। যেই আদর্শ এই কাগজের উপরে ওই বাক্যটি লিখেছিল, সেই আদর্শ কি পরিবর্তিত হয়েছে? আমার মনে হয় না। একারণে একে বোধহয় জাইটগাইস্টের বিবর্তন বলা যাবে না।
এক আত্মীয়কে জিজ্ঞেস করেছিলাম ইসলামে নারী নেতৃত্ব নিষেধ হওয়ার পরেও কেন নিজামীরা খালেদার আঁচলে লুকিয়ে থাকেন। সে বলল জামায়াতের মহিলা নেত্রীরা বলে উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের(বলাই বাহুল্য, সেখানে কোন মহিলা নেই) কাছে এর কৈফিয়ত জানতে চেয়েছিলেন এবং জামায়াতের নেতৃবৃন্দ তাদেরকে এই বলে আশ্বস্ত করেছিলেন যে এটা পুরোটাই একটা রাজনৈতিক চাল। একবার জামায়াত হাতে পরিপূর্ণ ক্ষমতা পেলে নারীনেতৃত্বের মত কুফরী ব্যাপার-স্যাপার ৯০ শতভাগ মুসলমানের দেশে তারা থাকতে দিবেন না।
মানুষের পরিবর্তনশীল নীতিবোধের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য তারা গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে কেবলমাত্র খোলসটাই বদলিয়েছে। একবার হাতে ক্ষমতা পেলে সব "ব্যাক টু দ্যা জঙ্গল"।
জাইটগাইস্টের বিবর্তনের উদাহরণ হিসেবে ডকিন্স খুব সম্ভবত গড ডিল্যুসনে আব্রাহাম লিংকনের এই উক্তিটি উদ্ধৃত করেছিলেন,
আজকের মানদন্ডে এটা বর্ণবাদী হলেও সে সময়ের মানদন্ডে তিনি আহামরি কিছু বলেননি।
৪/৫টা বলিষ্ঠ কলাগাছ আল্লাপাকের কাছে কেদে-কেটে বললো-
হে পরওয়ারদিগার আমরা ভুরা হয়ে বেড়াতে চাই।
আল্লাহ্ পাক্ তাই- ১৯৮৮ সালে বণ্যা দিয়েছিলেন///...
১৯৯৮,২০০৮/০৯-তে কেন দিয়েছেন তা জানিনা!!!!!
আর, ঘটনাটা মিথ্যা হয়ে থাকলে- কলাগাছের প্রচার হলো ঠিক আছে
কিন্ত, জামাতের কেন?!! প্রচারেই প্রসার তাই ওদেরকে না টানলেই ভালো হয়না!?
তুহিন নূর
জামায়াত আগেও যে অবস্থানে ছিলো, এখনও একই অবস্থানে আছে। যারা রাজনীতির জন্য ধর্মকে ব্যবহার করতে পারে, তারা রাজনীতির প্রয়োজনে যে কোনো কিছুই করতে পারে। মিষ্টি কথা বা সুশীল ভাষার চেয়ে কার্যকারণ বিশ্লেষণ করাটা জরুরি। পোস্টে পিলাচ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
না কইয়া পারলাম না.../
দ্যাশের বুদ্ধিজীবি/মিডিয়া ব্যাক্তিত্ত্ব/ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ত্ব/ সামরিক জান্তা/ ডাক্টার/ শিক্ষক/.../জাতীয় দৈনিক... নির্বিশেষে সবাই...
কুফল গাইয়া-গাইয়া একটা বিশেষ উত্তেজক মাদকের বিনামূল্ল্যে বিঞ্জাপন কইরা দিছে কতদিন...
ড্রাগ ট্রাফিকিং বন্ধ হইছে কিনা তার খবর কয়জনে লয়?!!
আর, জামাততো দাউদ একজিমার মত; এরে লইয়া টানা হেছরা কইরা সচলে অচল রাজনীতি'র জায়গা দেওয়ার মানে আছে?... ও'রা ফাকে গিয়া মরুকগা// আমগো কি...?
অগো যে, ২/৪টা বড়ো (বদ)মাথা আছে তারা বয়সের ভারে এমনেইতো কাইত// আর, শিবিরের অবস্থা আশংকা জনক।
কয়দিন পরে ভাত না পাইয়া এমনেই ভালা মানুষ হইয়া যাইবো... কি দরকার একটা মরা ইন্দুরের লেজ ধইরা ঘুরানির.......................????????????????
আপনি জামায়াতকে আন্ডার এস্টিমেট করছেন। তারা অত্যন্ত স্বচ্ছল এবং সুসংগঠিত দল। বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতা করার পরেও এই দেশে তারা মন্ত্রী হয়েছে, এখনও তাদের এমপি আছে। দাউদ একজিমা পুরোপুরি শেষ না হওয়ার আগে তাকে ইগনোর করলে সেটা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়বে। ইনফ্যাক্ট জামায়াত নামের দাউদ এখন বাংলাদেশের সারা শরীরে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। আপনি যদি নাকে শরিষার তেল দিয়ে ঘুমাতে থাকেন, ঘুম থেকে আর উঠতে হবে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বাবা বলছিলেন তার মেয়েকে- "যে, এক মুখে দুই কথা বলে তাকে বিশ্বাস করোনা।"
মেয়ের ঝটপট উত্তর- "বাবা স্যার আজ বল্রেলন ২+২=৪ আবার ৩+১=৪.../ স্যারকে কি বিশ্বাস করা যায়...?"
ভাই, আমরা কেউই অন্তত জামাতের ভোটার নই/.. আর, মেডিকেল কলেজ/কোচিং সেন্টার/ জমির দালালি সহ জামাতের নানাবিধ আয়ের উৎস সম্পর্কেও সচেতন/.. তথাপি আমি বলতে চাচ্ছি- অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল এবং সংগঠিত এ (তথাকথিত) রাজনৈতিক দলটিকে কোন রুপ
স্বীকৃতি না দিতে../
এতে করে আমাদের দেশের ধর্মান্ধ, কম শিক্ষিত, বেকার, হতাশ এবং সম্ভাবনা হীন যুবকরা আর ওদের প্রতি আস্থা রাখতে পারবে না । সমালোচনার প্রকারন্তরে আমরা ওদের অস্তিত্ত্ব স্বীকার করে নিলে এক জন নতুন কর্মীও যদি ওরা পায় এটা আমাদেরই ক্ষতি!!! এতো ভেঙ্গে বলতে হলে নিজেকে অচল মনে হয়.../ আমরা কি ভিন্ন...???
আর, এটাতো সত্য- পূজিবাদ থেকে ধর্মে(ধর্মভিত্তিক রাজনীতি)'র জন্ম../ তাই, টোটাল সিস্টেম একবারে পাল্টে দেবার অনর্থক ব্যার্থ চেষ্টা না করে- একটু ধৈর্য্য আর কৌশল অবলম্বনই কি বুদ্ধিমানের পরিচায়ক নয়...?
সর্বোপরি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
তুহিন নূর
ডুপ্লি
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ঠিক বলেছেন..
___________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ
জামাত তার মৌলিক কোনো পরিবর্তনই করবে না। সব সময়ই তারা ক্ষমতালোভী একদল ধর্ম ব্যাবসায়ী সন্ত্রাস ছিলো, এখনও তাই থাকবে।
জামাত পরিচালনায় যে গোষ্ঠিবদ্ধ জীবগুলো আছে তাদের চাহিদার মূলসূত্র একই।
চাহিদার যোগানদিতে কেবলমাত্র ব্যবস্থাপত্র পরিবর্তন করা হবে। আর কিছুই না।
অভদ্র মানুষ
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নহারা, মুর্শেদ ভাই , বলাইদা।
মুর্শেদ ভাই আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা বুঝি সেটা হচ্ছে প্রথমদিকে জামায়তকে জোর করে টিকিয়ে রাখা হয়েছিলি কপট দেশপ্রেমিক, সেনাকুঞ্জ থেকে আসা খালকাটা নায়কের জন্য। পরবর্তী রাজনৈতিক পটভূমি এই রাজাকারদের আরও সংগঠিত করে এবং একটা সময় প্যারাসাইটের মত
ছড়িয়ে পড়ে আমাদের চোখের সামনেই। নির্বাচন কমিশনের কথামত জামায়ত তাদের দলের গঠনতন্ত্রে যে
পরিবর্তন এনেছে আমার ধারণা এটা ওরা দূর ভবিষ্যৎএর কথা মাথায় রেখে। এই দলকে ব্যান করার মত সাহস বা ঝুকি কোন সরকারই নেবে না, কিন্তু যদি কোনদিন যুদ্ধাপরাধীর বিচারে দলের মাথাদের সরে হারাতে হয়,
বা তখন এই দল ব্যানের আওয়াজ আসে তা যেন শক্ত হাতে দমন করা যায় নির্বাচন কমিশনের এই সার্টিফিকেট দেখিয়ে। কমপক্ষে ওদের আইনগত ভিত্তি থাকবে রাজনীতির মাঠে গোল দেওয়ার।
আপনার ২য় প্রশ্নের উত্তরই বলে দেয় এই দলের ভণ্ডামির (ইসলামী লেবল নিয়ে রাজনীতি)কথা।
এই বিষয়ে মৌলবাদপসন্দ উত্তরাধুনিকরা কী বলেন?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
শুকরের বাচ্চা শুকরই থাকে... গায়ের রঙে কি আসে যায়!!!
---থাবা বাবা!
মন্তব্য করার জন্য সকল অতিথি ও সচলদের ধন্যবাদ।
অফটপিক: 'ছাগুবান্ধব' অতিথির দেখা পাওয়া গেল!
নতুন মন্তব্য করুন