ঢাকায় বেড়াতে এলে গ্রামের আত্মীয়-স্বজনেরা যেসব জায়গায় বেড়াবার বায়না করেন, তার মধ্যে অন্যতম চিড়িয়াখানা, জাদুঘর -এগুলো। এটা সর্বজনীন চিত্র। আমার এক বন্ধু তো জাতীয় জাদুঘরে গিয়ে 'সরষের তেলের গন্ধ' পায়, কারণ সেখানে নাকি এইমাত্র গ্রাম থেকে আসা বাঙ্গালরাও চলে যায়। ঢাকার মানুষের কাছে অবহেলিত এই সরষের তেলের গন্ধসমৃদ্ধ স্থানটাতে কী পায় গ্রামের মানুষ? নাকি এটা শুধু গেঁয়োদেরই স্থান?
যদি আপনি জাতীয় জাদুঘরে যান, তবে যেদিনই যাবেন, গিয়ে দেখবেন জাদুঘর বন্ধ। এই ঘটনাটা ঘটে জাদুঘরের সময়সূচি জানা না থাকার কারণে। জাদুঘরে গিয়ে ফিরে আসার সময়ও কেউ এই সময়সূচি লিখে আনেন না। সকলের সুবিধার্থে সময়সূচি এখানে দিয়ে দিলাম:
* গ্রীষ্মকালীন (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর): শনি-বুধ ১০:৩০-৫:৩০; শুক্র ৩:৩০-৭:৩০
* শীতকালীন (অক্টোবর-মার্চ): শনি-বুধ ৯:৩০-৪:৩০; শুক্র ৩:৩০-৭:৩০
* রমযান মাসে: শনি-বুধ ৯:৩০-[সম্ভবত] ১টা; শুক্রবার বন্ধ
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটি (বন্ধ), সরকারি ছুটির দিনে বন্ধ থাকে।
এবারে আপনি যখন জাতীয় জাদুঘরে যাবেন, তখন শুরুতেই একটা মেটাল ডিটেক্টর দরজা (আর্চওয়ে) দিয়ে আপনাকে পার হতে হবে। এখানে আপনার টিকেট চেক করা হবে না। আপনার মনে হতে পারে, এরা টিকেট চেক করবে না, আপনার ধারণা ভুল। এসময় আপনার হাতে যা থাকবে, তা-ই পরীক্ষা করে দেখা হবে। যে জিনিস ভিতরে নেবার অনুমতি নেই, তা আপনাকে বাম দিকের একটা ডেস্কে জমা দিতে হবে। দামী জিনিস হলেও জমা দিতে হবে, দায়িত্ব নিজের, তারা শ্রেফ জমা রাখবে। তাই জাদুঘর ভ্রমণে কিছু সাথে না থাকাই শ্রেয়। আমার হাতে একগাদা বই ছিলো, তাও জমা দিতে হয়েছে। আর অবশ্যই কোনো ক্যামেরা বহন করা যাবে না, তবে মোবাইল সাথে নেয়া যাবে। অফ দ্যা রেকর্ডে বলি: আমার মোবাইলে অবশ্য ক্যামেরা ছিলো।
নিচতলায় একটা গ্যালারি আছে, আছে টয়লেট, অডিটরিয়াম, অফিস। আপনাকে সরাসরি সামনের বড় সিঁড়িটা দিয়ে দোতলায় উঠে যেতে হবে। এখানে আপনার টিকেট চেক করা হবে। আপনি প্রথমেই বাংলাদেশের বিশাল একখানা মানচিত্রের সামনে দাঁড়াবেন। বাতি জ্বালিয়ে ঐ মানচিত্রে বিভিন্ন জেলা চিনিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। দেয়ালে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রকম ভূ-তাত্ত্বিক, ভৌগোলিক আর অর্থনৈতিক মানচিত্র। এই কক্ষ থেকে আপনি ডানে-বামে যেকোনো দিকে যেতে পারেন। এব্যাপারে নিশ্চিত থাকুন, যেদিক দিয়েই যান না কেন, কোনো কক্ষই আপনার মিস যাবে না, কারণ জাদুঘরের নকশা করা হয়েছে অনেকটা চক্রাকার। আপনি সব দেখে আবার প্রথম কক্ষে ফিরবেন। এভাবে দেখে দেখে আপনি আবার এই প্রথম কক্ষে ফিরলে সিঁড়ি বেয়ে চলে যাবেন তৃতীয় তলায়, সেখানেই একইভাবে ঘুরতে থাকবেন। এই তলায় আছে মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহাসিক যুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবি পরিচিতি, অস্ত্রশস্ত্র, চিত্রকলা, শিল্পী...।
আর কী কী দেখার আছে তার বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না, সংক্ষেপে দুয়েকটার নামোচ্চারণ করছি: হাতির দাঁতের পাটি; বিশাল একটা মৌচাক মৌমাছিসহ স্টাফ করা; দেখবেন একটা আঁকা ছবি, যা দেখে আপনি ঠাহর করতে পারবেন না এটা কি একটা উল্টো করে রাখা ফ্রেম নাকি সত্যিই একটা আঁকা ছবি; দেখবেন বৌদ্ধযুগের বোধিসত্ত্ব মূর্তি...স্পর্শ করতে পারলেই যেন অতীত হাতড়ানো যাবে, তবে স্পর্শ না করলেই ভালো হয়; বিশালাকৃতির শিবলিঙ্গ; কা'বা ঘরের গিলাফের টুকরা; নাসখ-গুবর-নাস্তালিক আরবি ক্যালিগ্রাফি; জয়নুল আবেদিনের দুর্ভিক্ষের বিখ্যাত ছবিগুলোর কয়েকটি; এসএম সুলতান, কামরুল হাসান...সবাইকেই পাবেন; উদ্ভিদবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী না হলেও দেখতে পাবেন [হার্বেরিয়ামের মতো করে] একেকটা গাছের বাকল, কাঠ, বীজ, পাতা, তন্তু, আর ঐ গাছ থেকে তৈরি প্রাকৃতিক রং দিয়ে রং করা কাপড়ের নমুনা; দেখবেন বাংলাদেশের কত নকশার নৌকা যে আছে; আমাদের দুই নেত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও সেখানে জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনকারী জিয়াউর রহমানও যেমন আছেন, তেমনি আছেন জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান; আছেন সোহরাওয়ার্দি, এমএজি ওসমানি, শহীদুল্লাহ কায়সার; দেখতে পাবেন বেগম রোকেয়ার নিজ হাতে লেখা ডায়রি; দেখতে পাবেন কাজী নজরুল ইসলামের এতোটুকুন বিছানা, আশ্চর্য হবেন, এখানে জায়গা হতো তো তাঁর!...আমি বলে শেষ করতে পারবো না...দেখতে পাবেন প্রথম শহীদ মিনারের পিলার, ভাষা শহীদের রক্তমাখা কোট-শার্ট; পাকিস্তানী বাহিনীর টর্চার যন্ত্র গিলোটিন; বদ্ধভূমির খুলি আর খুলি... আর বলবো না।
আমি সবচেয়ে ভালোবাসি তৃতীয় তলা থেকে বেরিয়ে চতুর্থ তলায় চলে যেতে, যেখানে অনেকেই যান না, মনে করেন উপরে আর গ্যালারি নেই। যাবার পথেই তৃতীয় তলা আর চতুর্থ তলার মাঝখানে দেখতে পাবেন 'জাতীয় জাদুঘর গ্রন্থাগার'। তবে দুঃখের সাথেই বলছি, ভেতরে যাবার অনুমতি পাবেন না, আগে থেকে অনুমতি না থাকলে ভেতরে বসতে পারবেন না। ব্যর্থ মনোরথে চড়ে চতুর্থ তলায় গেলে মন ভালো না হয়েই যায় না...সেখানে স্থান দেয়া হয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্যকে। ডান দিকের কক্ষে প্রথমেই পাবেন চীনের বিখ্যাত টেরাকোটা ওয়ারিওরদের কয়েকজন আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছে। আশ্চর্য হয়ে দেখলাম চীনাদের বিখ্যাত ঐ ঐতিহ্যমন্ডিত সৈন্যদলের কয়েকজনকে...সামনেই কোরিয়ান ভাষার বর্ণমালা আর একটা যন্ত্র বসানো, বিভিন্ন বোতামে চাপ দিলে নির্দিষ্ট উচ্চারণে কোরিয়ান ভাষা আওড়াবে যন্ত্র; আছে চীন, জাপান, কোরিয়া, ফ্রান্স, ইতালি প্রভৃতি দেশের পুতুল, পোষাক সম্বলিত লাইফ সাইজ (বাস্তবাকৃতির) মূর্তি বা পুতুল, দেথতে পাবেন নানা রকম মুখোশ, সীল...। অন্য আরেকটা কক্ষে পাবেন প্রচুর আর প্রচুর পুতুল...বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যমন্ডিত, পোষাকসমৃদ্ধ পুতুল...ভালো না লেগেই যায় না...সবচেয়ে ভালো লাগবে যখন আপনি আরেকটা কক্ষে ঢুকে নিজেকে আবিষ্কার করবেন সরাসরি লিওনার্দো দা ভিঞ্চির "Last Supper"-এর সামনে, কিংবা পিকাসো'র "Guernica"-র সামনে। এই কক্ষে বিখ্যাত বিখ্যাত সব শিল্পীর আঁকা বিখ্যাত বিখ্যাত সব চিত্রকর্মকে ডিজিটাল প্রিন্টআউট করে ফ্রেম করে রাখা আছে। লুভরে না গিয়ে অনেক বিখ্যাত চিত্রকর্ম অনেকটা আসল ছবির আদলে দেখতে পাবেন।
এতো সুন্দর জাদুঘরে যতটা অনিয়ম আশা করছেন, অনিয়ম তেমন একটা চোখে পড়ে না। তবে চতুর্থ তলার কোরিয়ান ভাষার উচ্চারণ শোনার যে পোডিয়ামটা আছে, সেটা বন্ধ করে রাখা। সুন্দরবনের জঙ্গল আমি দুদিন গিয়েও পরিচর্যার অধীন দেখেছি। বিশ্ব চিত্রকলার কক্ষে হল্যান্ডের Jan Vermeer-এর আঁকা "Girl Reading a Letter at Open Window" ছবিটা সম্ভবত প্রথম দিকে কাচ দিয়ে বাঁধাই করা ছিলো না, সে সুযোগে কোনো এক স্বল্পশিক্ষিত প্রেমিক লিখে রেখেছে "অমুক+তমুক", "চিঠি পেলাম -তমুক"। তবে প্রশান্তির কথা এটাই যে, এটা মাস্টারপিস না। এতো সুন্দর নকশার জাদুঘরে নামায পড়ার কোনো কক্ষ নেই। অডিটোরিয়ামের পাশে একটা সিঁড়ির নিচে পাতা একখানা কার্পেটের উপর আপনাকে নামায পড়তে হবে। আর অডিটোরিয়ামে যদি সেদিন কোনো অনুষ্ঠান থাকে, তাহলেতো পোয়াবারো। কার্পেটটাও যত্ন করে রাখা হয় না, সেখান দিয়ে অনেকেই জুতো পায়ে মাড়িয়ে যায়। ...তারপরও এতোটুকু্ একটা দেশে এতো প্রাণ দেখে আপনি আশান্বিত না হয়েই পারেন না।
আজই যান, স্বপরিবারে যান। গ্রামের মানুষদেরকে আপনি গোঁয়াড়, বুদ্ধু ভাবলেও তারা যে ফাঁকতালে কী সম্পদ নিয়ে যাচ্ছে মাথায় করে, ঘুরে না এলে কল্পনাও করতে পারবেন না। মাত্র ৳৫ (পাঁচ টাকার) টিকেটে বাংলাদেশ তো বটেই বিশ্বটাকে দেখে আসার অপূর্ব সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। আর সেদিন যদি গ্যালারিতে কোনো প্রদর্শনী থাকে, তো সেটা বাড়তি পাওনা।
পরামর্শ: সাথে ছোট্ট এক বোতল পানি নিয়ে যাবেন। প্রচুর সময় নিয়ে যাবেন। যা দেখতে যাচ্ছেন, তার সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ জানাশোনা থাকলে দেখে আনন্দ পাবেন। সঙ্গে অভিজ্ঞ কেউ থাকলে অদেখার মাঝেও দেখার অভিজ্ঞতা হতে পারে। প্রবেশ টিকিট মাত্র, মাত্র ৫টাকা।
-মঈনুল ইসলাম
মন্তব্য
তথ্যগুলোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমিও চতুর্থ তলার কথা জানতাম না।
আচ্ছা, মিউজিয়ামে নামাজ পড়ার জায়গা থাকতে হবে কেন? যদি মিউজিয়ামে নামাজ পড়ার জায়গা রাখতে হয়, তাহলে বিমানে, স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে, সিনেমা হলে, এমনকি পরীক্ষার হলেও নামাজ পড়ার জায়গা রাখা দরকার। আর জাদুঘর থেকে অদূরেই দু'টি মসজিদ আছে।
আপনি যদি দুপুর বারোটার সময় ঢোকেন কয়েক ঘন্টা সময় কাটানোর উদ্দেশ্যে তাহলে হয় নামাজের চিন্তা বাদ দিতে হবে, অথবা বেরিয়ে এসে নামাজ সেরে ফের টিকিট কেটে ঢুকতে হবে।
সৌদি এয়ারলাইন্সের বিমানে নামাজের ঘর ব্যাবহার করেছিলাম। অন্যান্য গুলোতেও ব্যাবস্থা করে নেয়া মুশকিলের কিছু না।
বাড়ির পাশেই জাদুঘর বহুদিন যাওয়া হয়না।
জাদুঘরে একটা রান্নাঘরও তাহলে দিতে হবে। কারণ কয়েক ঘন্টা ঘুরতে ঘুরতে খিদা লেগে যেতে পারে। একটা চুলা থাকলে ডিমসিদ্ধ করে এক কাপ চা খেতে পারবো। একটা খাটিয়াও রাখা উচিত, ঘুম পেলে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারবো। খাওন-শোওনের জন্য বের হলে তো আবার টিকেট কেটে ঢুকতে হবে।
জাদুঘরে না হলেও সামনেই ফুচকা, চিনেবাদাম আর পপকর্ণের বেশ ভাল কালেকশন। আশেপাশে খাটিয়ার ব্যাবস্থা আশেপাশে কৈ আছে খবর লওন লাগবে। খাওন-শোওন জাদুঘর দর্শনের আগে-পরে সারা সম্ভব নামাজের সময়সীমার চাহিদা আরেকটু সুনির্দিষ্ট। একই বিষয়ে একাধিক ব্যাক্তির ভিন্নমত থাকতেই পারে। এই বিষয়ে আর বিশেষ বাড়ানোর কিছু নেই।
এই লেখাটায় বেশ মিঠে নস্টালাজিক একটা সূর আছে যেটা বেশ উপভোগ করলাম। তাই একটা তেতো ঝগড়া শুরু না করলেই মনে হয় 'আল ইজ ওয়েল' থাকবে
জাদুঘর থেকে একটু সামনে গেলেই কাটাবন মসজিদ, আর একটু পেছনে গেলে ঢাবি মসজিদ। ৫ টাকা খরচ করলেই গুনাহ এড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু এদিকে আবার কারো কারো খাবার ব্যাপারটা নামাজের ওয়াক্তের দৈর্ঘ্যের চেয়েও সুনির্দিষ্ট, ঠিক সময়ে ভোজন না করলে ডায়াবেটিসের রোগীদের সমস্যা হতে পারে। জাদুঘর যেহেতু জাতীয় জাদুঘর, তাই ধর্মপ্রাণ মুসলিমের পারলৌকিকতা রক্ষার পাশাপাশি গ্যাসট্রিক আলসার আর ডায়াবেটিক রোগীর ইহলৌকিকতা রক্ষার প্রতিশ্রুতিও তাকে দিতে হবে।
তেতো ঝগড়া আমি শুরু করবো না, এ প্রতিশ্রুতি দিতে পারি। তবে যুক্তির স্বাদ মিষ্টি হয় না সবসময়।
খুব সুন্দর লিখেছেন। জাদুঘরে আমি নিজেই গেছি বেশ অনেক বার!
সেই প্রথমে গ্রাম থেকে সরিষার তেলের গন্ধ মেখে গেছি... তার পর আস্তে আস্তে সেসব গন্ধ কেটে শহুরে হয়ে যাবার পথেও ওখানে গেছি বেশ কবারই। বই পুস্তকে তো পড়েছি সব সময় ল্যুভর-ট্যুভরের কথা। সেসব বর্ণনার কল্পনার সাথে মিলিয়ে ভাবতাম আমাদের জাদুঘরটা হয়তো তেমন ভালো না। কিন্তু সে ভুল ভেঙ্গেছে সিঙ্গাপুর এসে।
এখানে ন্যাশনাল মিউজিয়াম এ এলাহি কারবার! আপনাকে একটা পোর্টেবল ডিভাইস দিয়ে দিবে। কোনো আইটেমের সামনে গিয়ে নাম্বার চাপলেই সেই ডিভাইস থেকে আপনার পছন্দের ভাষায় বর্ণনা শুনিয়ে দেবে... বিল্ডিঙ্গের আর্কিটেকচারাল ডিজাইন ও অসাধারণ! এসব দেখেই মাথা ঘোরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসিটা মুখেই থাকে। এইসব ভুজুং ভাজুং ভরা থাকলেও এদের কোনো ঐতিহ্য নেই!! মানে মিউজিয়ামের কন্টেন্ট যাকে বরে খুবই দরিদ্র। ভাঙ্গা চিনেমাটির থালাবাটি... আর কি কি যেন... এই মিউজিয়াম দেখলেই বাংলাদেশের জাতীয় মিউজিয়ামটা নিয়ে গর্ব হয়। কত কিছু আছে! আমাদের জাতিয় জাদুধরের কন্টেন্ট নিয়ে এখানকার মিউজিয়ামের মত তিনটা বা আরো বেশি বানানো যেত।
এই কথাটা একদম সত্যি!! শুধু জাদুঘর না নভো থিয়েটার, আহসান মঞ্জিল এসব যায়গাতে গিয়েও আমার একই অভিজ্ঞতা হয়েছে কয়েকবারই।
আবারো বলি, খুব ভালো লেগেছে লেখাটা। এরকম আরো লিখুন।
শুভেচ্ছা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
দুনিয়ার কোথাও এ চল আছে বলে আমার জানা নাই যে যাদুঘর শুধু গ্রামীণ মানুষদের জন্য।বাঙালিরা যে কোথা থেকে কী গ্রহন করে তা কে জানে।
মোমেন
মিউজিয়ামে নামাজ পড়ার জায়গা এজন্য থাকবে, কারণ মিউজিয়াম থেকে বের হলে আবার টিকিট করে মিউজিয়ামে ঢোকা লাগবে। অথচ আপনাকে দীর্ঘ সময় নিয়ে জাদুঘরে ঢুকতে হবে, কিন্তু মুসলমান হয়ে থাকলে সময়মতো নামাযটাও পড়তে হবে।
হিন্দী সিরিয়াল দেখতে বসলে আপনি খুব অবাক হয়ে লক্ষ্য করবেন, কিছু ঘটলেই নায়ক-নায়িকা একটা মন্দিরে পূজা দিতে শুরু করে। এমনকি সবখানে তো মন্দির থাকেনা, কিন্তু হিন্দি সিরিয়ালে আপনি হাসপাতালেও মন্দির দেখবেন। হিন্দুদের অতো সময় করে দৈনিক আচার পালন করতে হয় না, যেমনটা মুসলমানদেরকে করতে হয়। তাই মুসলমানদের জন্য আলাদা নামাজের জায়গা থাকলে ভালো হয়, যে জায়গাটা পবিত্র থাকবে। মানুষ পা দিয়ে মাড়িয়ে চলে যাচ্ছে যে জায়গা, সেটা আর যাই হোক, পবিত্র নয়।
মুসলমানদেশের বিমানে নামাজের আলাদা জায়গা থাকে, একটা মনিটরে তীরচিহ্ন দিয়ে কেবলাও নির্দেশ করা থাকে। স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে আলাদাভাবে একটু আড়ালে নামাযের জায়গা থাকুক না, তাতে আপত্তির কিছু তো দেখছি না। তবে সিনেমা হল নিয়ে প্রশ্ন আছে। যে জায়গা নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ, সেখানে নামাযের ব্যবস্থা থাকা কতটা যুক্তিসঙ্গত আমি জানি না।
থাকুক না কিছু মানুষ ঈশ্বরকে সাথী করে? চলুক না ভালোর পথে? সে সুযোগ করে দিলে সমস্যাতো দেখছি না।
অসমাপ্ত এবং স্পর্শ-কে ধন্যবাদ। দোয়ার দরখাস্ত।
তাহলে তো দেখতে পাচ্ছি, জাদুঘর, বিমান, স্টেডিয়াম, সিনেমা হল আর পরীক্ষার হলেও নামাজ ঘরের পাশাপাশি ঠাকুরঘর, বুদ্ধাসন আর চ্যাপেল বসাতে হবে। বসাতে হবে নিসর্গপূজারীদের আলাদা আলাদা প্রার্থনা ঘর। কারণ শুধু মুসলমান নয়, প্রতিটি নাগরিকই ঈশ্বরকে সাথী করে চলার অধিকার সংরক্ষণ করে। আপনার ৫ টাকার টিকিটের দাম বাড়িয়ে ৫০ টাকা করলে হয়তো কর্তৃপক্ষ এই ব্যয় সংকুলান করতে পারবে।
সিনেমা হলকে আপনি যে কারণে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন, সেই একই কারণে আপনি জাদুঘরকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন। অসংখ্য প্রতিমা সেখানে রয়েছে। যদি অপর একটি কক্ষে সেই প্রতিমাগুলোকে রেখে নামাজ পড়তে সমস্যা না হয়, তাহলে সিনেমা হলে কেন নামাজ পড়া যাবে না, আমি বুঝতে পারছি না। ইসলামে যে তিনটি ক্রীড়াকে সিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে ক্রিকেট বা ফুটবল নেই। ফুটবল তো আবার ইসলামের পরিচ্ছদবিধিকেও লঙ্ঘন করে। ওরকম একটা খেলা দেখতে গিয়ে যদি গ্যালারিতে নামাজের জায়গার আবদার করতে পারেন, সিনেমা হল কী দোষ করলো ভাইটি?
আমার পয়েন্টটা খুব সহজ। জাদুঘরের কাছেই মসজিদ আছে, মুমিন ব্যক্তিকে নামাজ ঘরে আদায় না করে মসজিদে আদায় করার কথা রাসূল নিজেই বলে গেছেন। ধর্মপ্রাণ মানুষ তাই কষ্ট করে নামাজটা মসজিদ থেকে আদায় করেই জাদুঘরে যেতে পারবেন।
সাধু সাধু... আপনার যুক্তির ওপর আর যুক্তি হয় না!
---থাবা বাবা!
প্রথম বাক্যের দ্বিতীয় অংশটা নিয়ে একখান কথা আছে। বেশ আগে ঘরের লোকেদের ঠেলায় হিন্দি সিরিয়াল নিয়ে বসতেই হতো। কিন্তু, এমনও একটা হাসপাতাল পাই নি, রিপিট, এমন কোন সিরিয়ালে এমন কোন হাসপাতালের নজির পাই নি যেখানে কোন মন্দির আছে। সুতরাং, আপনার প্রদত্ত তথ্য অসত্য এবং সত্যে মোচড়। এছাড়া, আমি নিজেই একাধিক নামকরা ভারতীয় হাসপাতালে সশরীরে যাওয়ার অভিজ্ঞতাধারী। কোনটিতেই কোন প্রার্থনালয় ছিলো না, কোন ধর্মেরই।
দ্বিতীয় বাক্যের প্রথম অংশ নিয়েও আপত্তি।
ব্রাহ্মণদের উপনয়ন হওয়ার পর ত্রিসন্ধ্যা গায়ত্রী পাঠ বাধ্যতামূলক। এছাড়া, নানা গুরু/বাবা/মায়েদের কাছে দীক্ষা নেওয়া অনেকেই দিনে দুই থেকে তিনবার নিয়ম করে প্রার্থনায় বসেন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা।
সুতরাং, আরো একটু জানুন লেখার আগে।
আর হিমু নিচে যা বলেছেন, তার ওপর কথা হয় না।
সংখ্যালঘু হওয়ার একটা সুবিধে আছে, সবসময় নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণটা দেখা যায়।
ভালো থাকবেন।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
টুইস্টটা ভালো লাগলো।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
লেখাটা খুব ভালো লেগেছে। জাদুঘরে গিয়েছি অন্তত পঁচিশ বছর আগে, আপনার লেখা পড়ে মনে হল যেতেই হবে আরেকবার।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো লাগলো!
আসলেই অনেকদিন জাদুঘরে যাওয়া হয় না, অথচ সেইটার পাশেই কতো ঘুরাঘুরি করি।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
লেখাটা ভালই ছিল... কিন্তু নামাজের প্রসঙ্গ টেনে খেলো করে ফেলেছেন। নামাজ পড়ার জন্য এতো জায়গা আছে তার পরেও আরো জায়গা চাই? ঢাকার নাম না মসজিদের শহর? তাহলে জাদুঘরের পাশে দুটো বড় মসজিদ থাকতে আবার তার ভেতরেও মসজিদ থাকতে হবে কেন? শুধু ২য়বার টিকিট কাটতে হবে বলে???
এ ক'টা লাইন দিয়ে কী বুঝিয়েছেন?
এই কথাগুলো আমাদের শহুরেদের সাধারণ প্রবৃত্তির প্রতি ইঙ্গিত করছে। ধন্যবাদ।
চমৎকার লিখেছেন ! !কিছুদিন আগে ঘুড়ি প্রদর্শনী দেখার জন্য গিয়েছিলাম যাদুঘরে ।দেখি পুরো যাদুঘরটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করে ফেলা হয়েছে !! মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিশাল গ্যালারীটা একটু বেশিই ফাটাফাটি হয়েছে । তবে খারাপ লাগলো যাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য রাখা অনেক কিছুই যত্নের অভাবে তাদের জেল্লা হারিয়ে ফেলেছে দেখে। আবার দেশের অনেক আসল শিল্পকর্মই দর্শকদের অসচেতনতার কারণে তাদের সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলছে। খুব ভালো হত যদি পুরো যাদুঘরটিকে সিসিটিভির কাভারেজে আনা যেত ( যদিও কিছু সিসিটিভি দেখেছি কিন্তু ওগুলো যে নষ্ট তা বুঝতে কষ্ট হয় না)। তবু আমি খুশি কারণ লেখক যেরকম বললেন ,
জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে বলছি: হিমুদা যেহেতু বলছেন, তাই নামাযের ঘর করার আপনাদের কোনো দরকার নেই। কিন্তু যেহেতু সময়করে মন্দিরে বসে ত্রিসন্ধ্যা গায়ত্রী পাঠ করতে হবে, তাই আপনারা একখানা মন্দির বসান। ডায়াবেটিস রোগির জন্য রান্নাঘর বসান। অলসদের জন্য শোবার ঘর বসান। সেজন্য যদি আপনাদের টিকেট ৫টাকার জায়গায় ৫০টাকা হয়ে যায় হোক, আমার সেটা দিতে আপত্তি নেই। নামাজ পড়তে হলে দুবার দিলে ১০০টাকা দিতেও নেই। খুশি!
যাদের ভালো লেগেছে বলে জানলাম, তাদের কাছে দোয়াপ্রার্থী। নামাজঘরের দাবি রাখায় বাকিরা বদদোয়া দিবেন কিনা, সেটা তাঁরাই জানেন।
সবাইকে ধন্যবাদ।
আপনি মনে হয় খোঁচা দিতে গিয়ে ওপরের সব মন্তব্য/হিমুর মন্তব্য ঠিকমতো পড়েন নি। হিমু এবং অন্যান্য কেউ কেউ বলেছে - প্রথমতঃ নামাযের ঘর করার দরকার নেই যেহেতু কাছেই মসজিদ রয়েছে, আর দ্বিতীয়তঃ নামাযের ঘর করলে অন্যান্য ধর্মালম্বীদের জন্যেও তাদের উপাসনার ঘর করে দেয়া উচিত।
দুটো কথাই যুক্তিপূর্ণ, মানে আমার কাছে যুক্তিপূর্ণ, মানে আমি একমত। এতে আপনি এতো বিরক্ত হয়ে উঠলেন কেন?! শুধু নামাজের ঘর বানানো যাবে না, কিন্তু মন্দির আর রান্নাঘর বানিয়ে দেয়ার আবদার কি করেছে কেউ? মহাস্থবির জাতকের মন্তব্যটা পড়ে দেখুন - সংখ্যা গরিষ্ঠ অনেক সময় বুঝতেও পারে না যে তাদের দাবি কতটা ন্যায় অথবা কতটা অন্যায়। মুসলমানপ্রধান দেশ বলে কি শুধু সেই দলের মানুষের ধর্মপালন নিয়ে মাথা ঘামালেই চলবে? একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে আপনারই তো কথা - "থাকুক না কিছু মানুষ ঈশ্বরকে সাথী করে? চলুক না ভালোর পথে? সে সুযোগ করে দিলে সমস্যাতো দেখছি না।"
আপনি এই বাঁকা মন্তব্যটা না করলে আমি এই প্রতিমন্তব্য লিখতাম না।
গোসলখানা দিতে বলবে না? তারপর ঢিলা কুলুখের পর চল্লিশ কদম পায়চারির জন্য আলাদা করিডোর? এগুলি ভুইলেন না বাহে।
মন্তব্যটা পড়ে এটাই মনে হলো সম্প্রদায়ের হাত এড়ানোর মানসিকতা আমরা না শিখতেই বেশি ভালোবাসি।
হায়রে ধর্ম! হায়রে ধার্মিক!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ
________________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ
ভালো লেগেছে লেখা। এর সাথে যাদুঘরকে কিভাবে আরো জনপ্রিয় করা যায় সেগুলো নিয়েও লেখার অবকাশ আছে।
নামাজের জায়গা নিয়ে যেহেতু কথা উঠেছে তাই আমি দুই কথা যোগ করি। মাল্টিফেইথ প্রেয়ার রুম করা যেতে পারে যেখানে সবাই যার যার ধর্ম কর্ম পালন করতে পারে। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে দেখতে হবে। যেখানে অতি সামান্য পরিমাণ টাকা দিয়ে আমরা এধরনের জিনিস দেখি সেখানে সরকার আর কতটা ভর্তুকি দেবে সেটা বিবেচনা করা যেতে পারে।
বিকল্প হলো নামাজের সময়কে কেন্দ্র করে আপনার পরিকল্পণা সাজাতে পারেন। ধরুন জোহরের পরে ঢুকে আসরের আগে বের হয়ে আসলেন। আর তাও না হলে আপনি দুই দিনে বা দুই বারে পুরোটা দেখার চেষ্টা করতে পারেন।
নিজের একটা অভিজ্ঞতা বলি। সেদিন ইউনিভার্সিটিতে ডিস্ট্যান্স লার্নিং এর উপর একটা কোর্স শেষ হওয়ার পর সার্টিফিকেট এওয়ারর্ড সেরিমনিতে আমি যেতে পারিনি। কারণ সময়টি জুমআর নামাজের সময়ের সাথে কনফ্লিক্ট করে। সামারের কারণে এখন একবারই জুমআ। হয়। অন্য সময় হলে হয়তো দ্বিতীয় জামাতে যেতে পারতাম। যাহোক, আমি সেরিমনিতে যাইনি কনফ্লিক্ট এর কারণে। অপরদিকে জুমআর সময়ে যদি আমার কোন পরীক্ষা থাকে তাহলে নিশ্চই আমি পরীক্ষা বাদ দিবনা। হয়তো ভাবতে পারেন আমি তেমন সাচ্চা মুসলিম নই। কিন্তু আমি মনে করি এই সিদ্ধান্তটির সাথে ধর্মের কোন সংঘর্ষ নেই। যে দেশের যে নিয়ম সেটা মেনে চলা তো ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ার কথা নয়।
ধন্যবাদ লেখার জন্য।
যাদুঘরের একটা মজার ব্যাপার আছে, যতবারই যাওয়া হোক, প্রতিবারই বেশ খানিকটা নতুন নতুন লাগে।
আপনার লেখাটা পড়ে আরো একবার গিয়ে ঘুরে আসার ইচ্ছেটা চাগার দিয়ে উঠেছে। শেষ কবে গেছি মনে নাই!
এরকম আরো লেখার কথা চিন্তা করে দেখতে পারেন, অপেক্ষায় রইলাম
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
এক এক্কে দুই
দুঃখ কুথায় থুই?!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অনেক দিন যাই নাই। একবার যেতে হবে...
ছোটবেলায় দেখা যাদুঘরে অনেক ছোট খাট জিনিস আকৃষ্ট করেছিল। সেগুলি ছাড়াও আরো নতুন কী কী পরে যোগ করা হয়েছে দেখা দরকার আবার।
খালি জাতীয় জাদুঘরই নয় আমাদের দেশের বড় বড় প্রায় সব যাদুঘরগুলিই কিন্তু বেশ সমৃদ্ধ। সম্প্রতি ঢাকা থেকে আসা কিছু বন্ধুদেরকে নিয়ে গিয়েছিলাম রাজশাহীর বরেন্দ্র রিসার্চ মিউজিয়াম দেখাতে। অনেকদিন পরে জাদুঘর ঘুরে পূরাকীর্তি দেখতে যতটাই ভাল লাগল, ততটাই হতাশ হলাম তথ্য আর তার উপস্থাপনের অভাবে। জিনিসটা কী, কোথায় পাওয়া গেছে, কত সালে তৈরি, এক'টা তথ্য দেয়া আছে বটে (প্ল্যাকার্ডের অবস্থা বেশ করুণ হয়ে এসেছে যদিও), কিন্তু পেছনের ইতিহাসটা কোথাও দেয়া নেই। কোন কিছু দেখে আগ্রহ জন্মালে আরো তথ্য কোথায় কার কাছ থেকে পাব তার কোন দিক-নির্দেশনাও নেই।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমি লুভরে হাজার খানেক ছবি তুলেছি, কেউতো না করেনি।
লুভ কেন, পাশের দেশের কলকাতাতেই আমি বিনা বাধায় ছবি তুলেছি। মিশরের মমির ছবি তুলতেও কোন বাধা ছিলনা।
নতুন মন্তব্য করুন