চলছে যেমন চলবে তেমন
রবিউল ইসলাম
চলছে যেমন চলবে তেমন
আজব এই দেশটাতে
যার যা খুশি করছে সবাই
টানছি মিলে পশ্চাতে।
গাড়ির নিচে পড়ছে কেউবা
কেউবা চাপা ভবন ধ্বসে
জানটা নিয়ে বাঁচবো নাকি
এই হিশেবই করছি কষে।
ট্র্যাফিক জ্যামে বসে বসে
বয়সটা ভাই যাচ্ছে বেড়ে
বাসে উঠলে তাকিয়ে দেখি
যমদূতটা আসছে তেড়ে।
সিএঞ্জি তে যাবেন নাকি?
আছেন রাজি চুক্তিতে?
দ্বিগুন ভাড়া নিচ্ছে যারা
তারাই আছে ফুর্তিতে।
দিনবদলের বলছি কথা
মানছি নাতো মন দিয়ে
আগুন মাঝে পুড়ছে জীবন
ঢাকছি মাছ শাক দিয়ে।
ঘুমের ঘোরে স্বাপ্ন দেখি
একটি সোনার বাংলাদেশ
লোডশেডিং এ ঘুম ভেঙ্গে যায়
হাপিত্যেশ এর নেইকো শেষ।
চলছে যেমন চলবে তেমন
শত হলেও বাংলাদেশ
যে যা পারিস লুটে নে ভাই
পাবি কোথায় আর এমন দেশ!
মন্তব্য
ভাল্লাগলো।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হ
[স্বাপ্ন কে স্বপ্ন করে দেওয়া যায় না?]
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ।আমার সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।
রবিউল ইসলাম
আইডিয়া ভাল লাগলো।
ছড়ার প্রাণ হচ্ছে তার অনুপ্রাস আর মাত্রা।
আপনার ছড়ায় বেশির ভাগ অন্ত্যমিল সার্থক নয়। আর মাত্রাও ঠিক থাকেনি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। আশা করছি পরের ছড়ায় ব্যাপারগুলো মাথায় থাকবে!
ধন্যবাদ।
জহিরুল ইসলাম নাদিম
ধন্যবাদ আপনাকে।লেখার সময় নিজেরই খটকা লাগছিলো।
আমার ছন্দজ্ঞান বেশি একটা নেই।সচলে লিখে ভুল থেকেও শিখতে পারবো এই জন্যে লেখা।
রবিউল ইসলাম।
সিএঞ্জি তে যাবেন নাকি?
আছেন রাজি চুক্তিতে?
দ্বিগুন ভাড়া নিচ্ছে যারা
তারাই আছে ফুর্তিতে।
ঠা ঠা ঠা
ছড়ার ভাবনাটুকু সুন্দর। কিন্তু মাত্রার উপযুক্ত প্রয়োগের অভাবে কিছু জায়গায় হোঁচট খেতে হলো।
দেশটাতে-পশ্চাতে, চুক্তিতে-ফুর্তিতে, মন দিয়ে-শাক দিয়ে দুর্বল অন্ত্যমিল।
বানানেও ভুল আছে কিছু:
ধ্বসে > ধসে, হিশেব > হিসেব, দ্বিগুন > দ্বিগুণ, ফুর্তি > ফূর্তি, স্বাপ্ন > স্বপ্ন, ভেঙ্গে > ভেঙে
'করছি কষে' হয় না, চলছি কষে হতে পারে।
সবশেষে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনার লেখায় কাঁচি বসাচ্ছি বলে। তবু দেখুন কেমন লাগে:
চলছে যেমন চলবে তেমন
আজব আমার দেশটাতে,
যার যা খুশি করছে সবাই
কী যে হবে শেষটাতে!
গাড়ির নিচে পড়ছে লোকে
ভবনধসে দিচ্ছে প্রাণ,
দিনে-রাতে কষছি হিসেব
কেম্নে পাবো পরিত্রাণ?
ট্র্যাফিক জ্যামে বসে বসে
বয়স আমার যায় বেড়ে,
বাসে উঠে তাকিয়ে দেখি
যমদূত এলো ওই তেড়ে!
সিএঞ্জিতে যাবেন নাকি?
আছেন রাজি চুক্তিতে?
দ্বিগুণ ভাড়ায় বন্দি আমি,
তারাই আছে মুক্তিতে।
দিনবদলের বলছি কথা
একে ওকে ডাক দিয়ে,
তিলে তিলে পুড়ছি নিজেই,
মাছ ঢাকা রয় শাক দিয়ে।
ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখি
একটি সোনার বাংলাদে্শ,
লোডশেডিং-এ ঘুম ভেঙে যায়-
হাপিত্যেশের নেইকো শেষ।
চলছে যেমন চলবে তেমন
শত হলেও বাংলাদেশ!
যে যা পারিস লুটে নে ভাই,
পাবি কোথায় এমন দেশ!
আপনার কাছ থেকে সুন্দর সুন্দর ছড়া পাওয়ার আশা রইলো। ভালো থাকবেন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আপনার লেখাটিই বেশি ভালো লাগছে!আমার লেখা পড়তে গিয়ে নিজেও হোঁচট খেয়েছি।অল্প জানলে যা হয় আরকি!তবে আপনার সার্বিক বিশ্লেষণ এ ভুলগুলো অনেকটাই বুঝতে পারলাম।তবে আমি দেখেছি হিশেব বানানটি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সহ আরো অনেকেই "শ" দিয়ে লিখে থাকেন।সঠিক বানান আসলে কোনটি?
অনুপ্রেরণার জন্যে ধন্যবাদ।
রবিউল ইসলাম
সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। "হিশেব" বানানটি কতখানি সঠিক বলতে পারছি না। আমার হাতে যে অভিধানটি তাতে নেই, সেটুকু বলতে পারি। তবে "হিশেব" বানানটিই উচ্চারণানুগ। তাই এটি সঠিক বানান হলেই খুশি হবো আমি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
দারুণ বুনোহাঁস!
আমিও তেমনটি লিখেছিলাম। তবে এতো সাহস হয়নি যে কাঁচি চালাই।
এবার সাহস হলো।
ট্র্যাফিক জ্যামে বসে বসে
বয়স আমার যায় বেড়ে,
বাসে উঠে তাকিয়ে দেখি
যমদূত এলো ওই তেড়ে!
শেষ লাইন কি একটু খাপছাড়া (মাপ ছাড়া!) না?
এভাবে লিখলে..
ট্র্যাফিক জ্যামে বসে বসে
বয়স আমার যায় বেড়ে,
বাসে উঠে তাকিয়ে দেখি
আসছে দানব ওই তেড়ে!
জহিরুল ইসলাম নাদিম
আপনার অংশটুকু আমার চেয়ে ভালো হয়েছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হি হি....ছড়া লেখার ও এত্ত হ্যাপা..।
রবিউল ইসলাম কে অভিনন্দন।
শাফি।
নতুন মন্তব্য করুন