শীতের রাতে হিম প্রহরে
তোমায় পড়ে মনে,
দেখে তুমি চাদর দিতে
জড়িয়ে সযতনে।
জ্বরের ঘোরে প্রলাপ বকে
মাগো যখন ডাকি,
তোমার হাতের মাথা ধোয়া
কেউ পারবে নাকি?
কত জনেই ধুলো মাথা
কেউ পারেনা কেন,
পানি তোমার হাতের ছোয়ায়
জ্বর কেড়ে নেয় যেন।
তুমি যখন মারতে মাগো
ব্যথা সাথে সাথে,
এত বছর পরে বুঝি
আদর ছিলো তাতে।
আমার পেটে লাগলে ক্ষুধা
দুঃখ তোমার বেশী,
তুই কি খাবি? তুই কি খাবি ?
রাধঁি চুলার পাশি।
তোমায় কত ভালবাসি
দেখতে যদি পেতে,
সাথে সাথে আমায় তোমার
বুকে জড়িয়ে নিতে।
শেষ প্রহরে কে মা আমায়
একটু দেখে যায়,
চোখ বুলিয়ে যায় যে খানিক
পরম মমতায়।
দুনিয়াতে আসার সময়
কষ্ট দিলাম কত,
বুকের দুধে হলাম বড়
কষ্ট অবিরত।
ঋণ থাকা তো ভালো না মা
সারা দিনের বোঝা,
কিভাবে তোমার শুধবো এ ঋণ
বলে দাও মা সোজা।
মাফ করে দাও মা’রে আমায়
মমতার এ ঋণ,
আমার দেবার সব ক্ষমতা
ভালোবাসায় লীন।
যখন তুমি থাকবে না, মা,
কেমনে আমি রব,
তোমার কোলে শুয়ে থাকি
তখন কোথায় শোবো।
তুমি তো মা চলে যাবে
মরণের ঐ পাড়ে,
বুকের মাঝে কান্না চেপে
রাখবো কোথায় তারে।
তখন তো আর বলবে না কেউ
দুপুরে কি খাবি ?
বলবো কাকে, অমুকটা চাই
তমুক আমার দাবি।
আমার বুকে তোমার আসন
কেমনে রবে ফাঁকা,
তুমি ছাড়া এ ভুবনে
থাকবো মাগো একা।
যদি আমি যাই গো চলে
মাগো তোমার আগে,
মাথাটা খানিক জড়িয়ে রেখো
গলার নিচের ভাগে।
তোমার চোখের নোনা জলে
গোসল আমায় দিও,
কাফনের ছোট টুকরা খানি
তোমার আচল নিও।
কত ভাগ্য যদি আমি
মরি তোমার সাথে,
দু’কবরে থাকবো পাশে
সাথী দিবা রাতে।
চাঁদের আলো চুমবে দু’গোর
চুমবে একই সাথে,
দু’কবরের ঘাসগুলো সব
হাসবে চাঁদনী রাতে।
মুক্তো মুক্তো শিশির বিন্দু;
পরবে শেষের রাতে।
-- কেমন সুর
@ ২০০৪ সাল (আনুমানিক),
@ মুহাম্মদপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
যারা কবিতাটা আমার পছন্দের ফরমেটে দেখতে চান, তারা এইখানে চইলা যান।
মন্তব্য
ভালু পাইলাম, ক্যাটেগরীতে মা এর অন্যান্য ডাক গুলাও দিলে পারতেন, (যেমন মাম্মি, মাম্মা, আম্মা ইত্যাদি ইত্যাদি) জায়গার তো অভাব আছিল না তারপরে অন্য ভাষার গুলাও। কন দেখি, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত শব্দ কোনটা?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ক্যাটাগরির বেপারটা আসলে ভালা বুঝি নাই; নয়া মানুষ তো :|
কিছু অদ্ভুত এবং মজার ব্যাপার আছে আপনার লেখায়:
১) ট্যাগে মা, আম্মু দুটোই দিয়েছেন। আবার ma, mom, mother ও আছে। এর বিশেষ কোনো কারণ আছে কি?
২) যদিও ছড়াটা মাকে নিয়ে কোনো বালকের লেখা মনে হচ্ছে কিন্তু বয়সের ট্যাগ দেওয়া "প্রৌঢ় (৩০ বছর বা তদুর্দ্ধ)"। কেন?
৩) অন্য ব্লগের লিঙ্ক না দিয়ে কবিতার পটভূমিটা সংক্ষেপে এখানে দিয়ে দিলেই বোধহয় ভালো লাগত। তাই না?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
১. নয়া মানুষ তো; ট্যাগের ব্যপারটা ভাল বুঝি নাই; মোটামোটি যায় এরকম সবই তাই চলে এসেছে
২. ব্যাপারটা তাড়াহুড়ো জনিত; বয়সের ট্যাগ হওয়া উচিত "২০ বা তদুর্ধ"
৩. হয়তো
মায়ের ঋণ কোনভাবেই কখনই শোধ করা করা যায় না বোধহয় ।
ভালো লাগলো ।
সাবরিনা সুলতানা
ঠিকই বলেছেন.
আপনাকেও ধন্যবাদ
নতুন মন্তব্য করুন