ভিসার জন্য অ্যাপ্লাই করার জন্য তর সইছিলনা, কারণ সব ঝামেলা শেষ না হলে শেষ কয়টা দিন শান্তিতে কাটানো যাচ্ছেনা। ভার্সিটির তরফ থেকে ভিসা এলিজিবিলিটির প্রত্যায়ন (I20 ফর্ম) দরকার, সেটা এসে গেলেই দৌড়ে অ্যাম্বেসিতে ঢুকে যাই, এই হল আমার অবস্থা। কিন্তু I20 আর আসেনা। আমি ইন্টারন্যাশনাল অফিসে জিজ্ঞেস করার সাহস পাইনা, কারণ ওদের ওয়েবসাইটে খুব ভদ্র ভাষায় অভদ্র একটা কথা লিখা আছে, "তুমি মেইল করলে আমরা অবশ্যই রিপ্লাই দেব, তবে সেটা তোমার I20 ইস্যূ করার জন্য বরাদ্দ সময় থেকে কিছুটা খরচ করে, ব্লা ব্লা..."। আমি অসহায়ের মত ডিপার্টমেন্টের গ্র্যাজুয়েট সেক্রেটারী জেনেট রে ফোন করি, "আপা কিছু করেন..."। জবাবে জেনেট বলে, "লুক স্যায়জেল, আমার তেইশ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, তারা সময়মত তোমারে ইউএস এতে নিয়ে আসবে"। কথায় কথায় কেন যে তেইশ বছরের কথা বলে কে জানে, বয়সের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আমাকে বিকর্ষিত করার চেষ্টা?
তারপর দিন যায়, বন্ধুরা তাদের ভিসা হওয়ার খবর জানিয়ে ফোন করে কয়দিন পর পর। আমি অদৃষ্টবাদী হয়ে যাই। অফিসে গিয়ে নতুন যোগ দেয়া জুনিয়রদের কে ফিন্যান্স, ম্যাথ, কম্পিউটার সায়েন্স ব্লেন্ড করে লেকচার দেই। ওরা হাই চাপতে চাপতে লেকচার শুনে অথবা শোনার ভান করে। এরই মাঝে একদিন ডেস্কে ফিরে দেখি, হা করা ইউপিএসের খামে শুয়ে আছে আমার I20। খুশিতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দুনিয়ারে জানান দেই। লোকজন জিনিসটা কী তা জেনে হোক, আর না জেনেই হোক কনগ্র্যাচুলেট করতে থাক, অনেকটা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে।
ভিসার প্রসেস্ হচ্ছে প্রথমে অনলাইন ফর্ম পূরণ করা লাগে, তারপর কিছু কাগজপত্র সহ থার্ড পার্টির কাছে অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজ জমা দিতে হয়। ওরা ইন্টারভীউর ডেট দিলে আখেরাতের শেষ বিচার শুরু হয়। অনলাইন ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে দেখি অনেক বিনোদনমূলক প্রশ্ন দিয়ে ওয়েবসাইট টা সাজানো। শুরু হয় স্মলটক দিয়ে, যেমন নাম কী, জন্ম কই, পাসপোর্ট কয়টা ইত্যাদি। তারপর পড়াশোনা, চাকুরীর মত ব্যাক্তিগত জিনিস হয়ে চলে আসে বিনোদন অংশে। এই অংশের একটা প্রশ্ন হচ্ছে, "তুমি কি টেরোরিস্ট?", আমি চিন্তায় পড়ে যাই, সত্যি কথা বলে দেব? তারপর প্রশ্ন হচ্ছে, "তুমি কি টেরোরিস্টদের জন্য টাকা পয়সা দেয়ার জন্য আমাদের দেশে এসে কাজ করবে?"। আমি বুঝতে পারিনা, ভার্সিটি আমাকে সপ্তাহে বিশ ঘন্টার বেশি কাজ করতে দিবে কিনা, যদি দেয় তাইলে না হয় টেরোরিস্ট ভাই বেরাদরদের জন্য পার্টটাইম কাজ করলাম। এরপরের অংশটা একটু ইজ্জতে লাগার মত, যেমন চুরি-ডাকাতির রেকর্ড আছে কিনা, পলাতক আসামী কিনা, ভিক্ষা করার অভ্যাস আছে কিনা এইসব। চাপা আর্তনাদের সাথে বলতে ইচ্ছা হয়, "স্যাম চাচা, গরীব হতে পারি তাই বলে..."। আর একটা প্রশ্নে আমার মাথা হ্যাঙ হয়ে যায়, বুঝতে পারিনা কী প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত। প্রশ্নটা হচ্ছে, "Do you intend to come to our country for prostitution?"।
এবার কাজ অ্যাপ্লিকেশন জমা দেয়া। কী কী নিতে হয় তার যাবতীয় চোথা সংগ্রহ করে, সেমত প্যাকেজ তৈরী করে হাজির হই সাইমন সেন্টারে। কাউন্টারে বসা প্রায় সুন্দরী একজন আমাকে তার সামনে ডেকে নেয়। কাগজ পত্র সব একপলকে দেখে নিয়ে চোখমুখ ভাঁজ করে একটা হাসি দেয়, আর হাতে ধরিয়ে দেয় একটা প্রশ্নমালা। বলে এটা পূরণ করে বাকি কাগজের সাথে জমা দিন। হাতে নিয়ে দেখি, আমার বংশবৃত্তান্ত জানতে চায়। আমি পানিতে পড়ি, এই জিনিসতো চোথায় ছিলনা। একে তো গেছি বন্ধ হওয়ার আগে আগে, তার উপর দেখি ছবি খুঁজে পাচ্ছিনা। কাউন্টারে গিয়ে কাচুঁমাচু হয়ে জিজ্ঞেস করি, আমার ছবি কি ডেস্কের উপর পড়ে গেছে কিনা। তেমন একটা পাত্তা পাইনা । একটু পরে আবার যাই, একই কথা জিজ্ঞেস করি, তবে ঈষৎ ট্রান্সলেটেড ভার্সন প্রয়োগ করি, "কাইন্ডলী দেখবেন, আমার পেপারস দেয়ার সময় আমার ফটোটা স্লিপ করে গেছে কিনা?"। এবার ফল হয় সাথে সাথে, আগের চেয়েও উজ্জ্বল হাসি দিয়ে আমার ছবিটা ফেরত দিয়ে দেয়। কিন্তু ততক্ষণে টাইম আউট, অফিস বন্ধ হয়ে যায়। বের হওয়ার আগে পরেরদিন আসার জন্য প্রেরণা সংগ্রহ করে নেই, নভিস কিছু দেখন সুন্দরীর চেহারা মাথায় গেঁথে নিয়ে পা বাড়াই বাসার দিকে।
পরের দিন আর ঝামেলা হয়না। ফী জমা দেয়ার পর, পরের দিন ই ইন্টারভীঊর ডেট দিয়ে দেয়।আমি কিছুটা হকচকিয়ে যাই, একদিনে সব জোগাড় করব কে জানে। একটা ব্লগে বাংলাদেশী এক সিনিয়র ভিসা ইন্টারভীঊতে যেসব জিনিস নিয়ে যেতে বলছে, তা দিয়ে একজন মানুষের কয়েক প্রজন্মের ইতিহাস নির্ভুল ভাবে লিখে ফেলা যায়। আর আমার হাতে একাডেমিক সার্টিফিকেট, স্কোর রিপোর্ট, I20 আর চাকুরীর অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার ছাড়া কিছুই নাই। এই দিয়ে আমাকে প্রমাণ করতে হবে, দেশে আমার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, দেশের সাথে আমার বাঁধন এত শক্ত যে ইউএসএ'র মিলিয়ন ডলারের টান ও তা ছিড়তে পারবেনা; সুতরাং আমি পড়াশোনা শেষ করেই সুড়সুড় করে দেশে ফিরে আসব। অর্থাৎ আমার মাঝে গ্রীনকার্ডের কোন বদনিয়ত নাই। কাগজপত্র যা আছে, তাই বারবার গোছাই। কিন্তু কী পড়ে অ্যাম্বেসীতে যাব, সেটা খুঁজতে গিয়ে দেখি, জামা কাপড় যা আছে তা দিয়ে অফিসে চলে যাওয়া যায় (কারণ ওইখানে রিসার্চার রিসার্চার ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াই বলে লোকজন কিছু বলার সাহস পায়না), কিন্তু অ্যাম্বেসীতে গেলে নিশ্চিত না খাওয়া পার্টি ধরে নিবে। একঘন্টার মাঝে জামা-জুতা-বেল্ট সব কিনে বাসায় ফিরি। তারপর রাতে আর্জেন্টিনাকে জিতিয়ে ঘুমাতে যাই।
সকাল হয়। আমি পেন্টের ভেতর শার্ট গুজে, ফুলবাবুটি সেজে, অনভ্যস্ত স্মার্টনেস চোখে মুখে ফুটিয়ে তুলে রওয়ানা দেই অ্যাম্বেসীর দিকে। সিএনজি এসে থামে উলটা দিকে, আমি লাজুক লাজুক ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে ইতস্তত করতে থাকি রাস্তা পার হওয়া, না হওয়া নিয়ে। নজর যায় ক্যামোফ্লেজ ড্রেস পড়া চৌকষ এক পুলিশের দিকে। জিজ্ঞেস করি কোনদিক দিয়ে ঢুকব, সে ভালমত উত্তর দেয়। আমি পুলিশের কাছ থেকে ভাল ব্যবহার পেয়ে একেবারে গলে যাই, আরো টুকটাক কথা বলে একসময় রাস্তা পার হই।
ঢুকার পথে একটু পর পর সিকিউরিটি চেক। অ্যাম্বেসীতে ঢুকা মানে হচ্ছে রাজার দরবারে যাওয়া, যেতে হবে একেবারে রিক্তভাবে। মোবাইল বা যেকোন ধরনের ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী সাথে নিয়ে ঢুকা যাবেনা। এইতালিকায় পেনড্রাইভ ও পড়ে। এক ভদ্রমহিলা হাতে ব্যবহার করা টিস্যূ নিয়ে ঢুকতে গেলে বলা হয়, এটা বাইরে রেখে আসেন। আমাকে জিজ্ঞেস করা হয় সাথে স্পেয়ার সীমকার্ড আছে কিনা। আমি তাজ্জব বনে যাই, আমার মাথায় যে সীম ঢুকানোর স্লট আছে, সেটা ওরা জানল কিভাবে!! পকেট চেক করতে গিয়ে হাত পড়ল চাবিতে, জিজ্ঞেস করল, এটা গাড়ির চাবি কিনা। আমি একপলকে নিজের দিকে তাকাই, খুশিতে মনে মনে নিজের পিঠ চাপড়ে দেই, যাক মানজ়া মারা সার্থক। মূল বিল্ডিং এর সামনে সিকিউরিটি চেকের দ্বায়িত্বে আছে দুই চলনসই সুন্দরী। কই হালফ্যাশানের কাপড় পড়ে তীর্যক চাউনী হানবে, আর আমার হার্ট কয়েকটা বীট মিস করবে, তা না ওই মেয়ের চোখে এত সন্দেহ আর তাচ্ছিল্য যে আমার মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছা করে। এগোই ওয়েটিং রূমের দিকে, পথে ভারী দরজা ঠেলে খুলতে গিয়ে জিভ বের হয়ে যায়।
অপেক্ষা করি নিজের ডাক আসার জন্য। আগেই নিজের নামের বিচিত্র সব উচ্চারণ মুখস্ত করে গেছি, যেন উচ্চারণ না বুঝতে পেরে আমার শিডিউল মিস না হয়ে যায়। মাইকে প্রতিটা নাম বলা হয়, আর সবাই বিভ্রান্ত হয়ে এদিক ওদিক তাকায়, আসলে নামটা কী বলল সে নিয়ে গবেষণা চলে কিছুক্ষণ। একসময় আমাকে চমকে দিয়ে আমার নাম বলা হয় এবং তাও মোটামুটি সঠিক উচ্চারণে, নামের দুটি অংশই এই সৌভাগ্যের ছোঁয়া পায়। ভেতরে গিয়ে হাতের ছাপ দিতে হয়। মনে পড়ে, এই নিয়ম হওয়ার পরে ইরানের ছাত্রছাত্রীদের একটি দল ইউএসএ তে যেতে অস্বীকৃতি জানায়, আর ইরান সরকার ইউএসএ'র সিটিজেন দের জন্য একই নিয়ম চালু করে। দুঃখ হয়, এইরকম মেরূদন্ডের জোড় নেই বলে।
আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে আবারো অপেক্ষা করতে থাকি। একসময় আরেক কাউন্টার থেকে আমার নাম বলে ভেতরে যেতে বলা হয়। ভিতরে গিয়ে মুখে একটা হাসি ফোটানোর চেষ্টা করি। তারপর দেড়মিনিটের ঝটিকা প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে দুইদিন পর পাসপোর্ট নিতে যাওয়ার আমন্ত্রণ লিখা কুপন ধরিয়ে দিয়ে আমাকে বিদায়ী ধন্যবাদ দেয় ভদ্রলোক। ক্লাসটেস্ট দিয়ে আগে আগে বের হলে বন্ধুরা ছেঁকে ধরত, "দোস্ত কোন কোন প্রশ্ন আসছে?" বলে। তাই সবার জন্য ছোট্ট চোথা। প্রশ্নগুলো ছিল, "নাম কী?", "কেন যাবে?", "কী পড়তে যাবে?", "খরচ কে দিবে?", "জি.আর.ই দিছ?", "স্কোর দেখা যাবে?"। একটু গর্বের ব্যাপার হচ্ছে, প্রোফাইল দেখে ওই লোক আমার আন্ডারগ্রেড ভার্সিটির নাম ঠিক ঠিক গেস করতে পারে, জানিনা যেভাবে চলছে তাতে কয়দিন আর এই গৌরব টা ধরে রাখা যাবে।
আপডেট হচ্ছে দুইদিন পরই ভিসা পেয়ে গেছি। ভিসা পাওয়ার পর অনেক খুশি লাগার কথা, আমার কেন জানি কিছুই বোধ হলনা। মাথা ফাঁকা লাগছিল, তাই কারেন্ট চলে গেলে পান্থপথের সামনের রাস্তা দিয়ে ঘন্টা খানেক হাটা হাটি করে বাসায় ফিরে ঘুম। সামনে নতুনের হাতছানি আর পেছনের অনেক কিছু হারিয়ে ফেলার আশংকা পরস্পরকে প্রশমিত করে আমাকে নিষ্কৃতি দেয়।
সজল
৩০/০৬/২০১০
মন্তব্য
মজা পেয়েছি।
ভিসা ফর্মের প্রশ্নের (টেররিস্ট বিষয়ক) কথা এক মার্কিন বন্ধুকে বলেছিলাম, সে বলল যে এভাবে ওরা নাকি শুধু বেকুব টেররিস্টদেরই ধরতে পারবে।
প্রস্টিটিউশন বিষয়ক প্রশ্ন আগে ছিল না, এগুলো বর্তমানে যুক্ত হয়েছে। গ্রীনকার্ডের আবেদনপত্রে এরকম একটা প্রশ্ন মনে হয় আছে যে আপনার প্রস্টিটিউট ভাড়া করা বা খাটার অভ্যাস আছে নাকি...
যাহোক ওয়েলকাম টু আমেরিকা...ভিসা অফিসের লোকজনের ব্যবহারের চেয়ে অনেক গুনে ভালো ব্যবহার পাবেন এই দেশে।
উপভোগ করুন নিজ দেশের বাকি দিনগুলো।
++++++++++++++++++++++++++
কোথাও পাখির শব্দ শুনি;
কোনো দিকে সমুদ্রের সুর;
কোথাও ভোরের বেলা র'য়ে গেছে - তবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
তবে ভিসা অফিসের সবার ব্যবহার খারাপ ছিল, তা নয় কিন্তু। বিশেষত যিনি আমার ইন্টারভীউ নেন, উনার ব্যবহারে আমি খুবই মুগ্ধ।
প্রস্টিটিউট বা টেরোরিস্ট প্রশ্নের মাজেজা খোঁজার ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে।
সজল
আপনার লেখা চোখে পড়লে ভবিষ্যতে আমি অন্ততঃ চেষ্টা করবো মিস না করার...
প্রবাস ভ্রমণ আনন্দের হোক।
নিয়মিত লিখুন।
_________________________________________
সেরিওজা
লিখে পোস্ট করার সময় ভাবছিলাম, সবাই না বিরক্ত হয়। আপনার প্রতিক্রিয়া দেখে খুবই ভাল লাগছে। এরকম উৎসাহ পেলে লিখার চেষ্টা করা যায়। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সজল
বহুদিন পর একটা খাঁটি 'ব্লগ' পড়লাম।
তবে লেখককে কেন জানি চেনা চেনা লাগে.......
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ব্লগের সংজ্ঞা নিয়ে আমার একটু ঘাটা দরকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমাদের অনেকের গল্প একইরকম, তাই হয়তো চেনা লাগছে। অথবা আগের লেখা "আম্রিকা গমন বৃত্তান্ত" এর জন্য ও হতে পারে। আর আমার ইমেইল অ্যাড্রেস যদি চেনা হয়, তাইলে অবশ্যই চেনা।
সজল
ভুলও হতে পারে...
তবে হিন্টস দেই আমি বুয়েট'০৩...
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
তাইলে ঠিকই আছে। আমিও বুয়েট/সিএসই-০৩। দুনিয়াটা আসলেই গোল। আর আমি যাচ্ছি নর্থ ক্যারোলিনাতে। ফেসবুকে সার্চ করে দেখলাম, তোমার প্রতিবেশী হতে যাচ্ছি।
সজল
সচলে প্রচুর ০৩ আর ০৫...০২ ও কম নাই...
_________________________________________
সেরিওজা
চমৎকার, সাবলীল, সহজপাঠ্য, বর্ননা কিন্তু স্বয়ংসম্পূর্ণ। ভালো লাগল।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনার মন্তব্য ও স্বয়ংসম্পূর্ণ :D। ধন্যবাদ।
দারুণ লিখেছেন ভাইয়া!!!! মজা পেলাম পড়ে...
শেষ লাইনটায় একটুস মন খারাপ!!
তা "কী পড়তে যাবে?", "খরচ কে দিবে?", "জি.আর.ই দিছ?", "স্কোর দেখা যাবে?" .... তো???
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ধন্যবাদ আপু :)। শেষ লাইনটায় আটকে আছি কয়েকদিন ধরে :(।
প্রশ্নগুলো আসলে ফর্মালিটিজ। অ্যাপ্লিকেশনেই সব লিখা আছে, তাও জিজ্ঞেস করে মনে হয় কথা বলতে পারি কিনা দেখার জন্য
০৫ কই রে, দেখি না তো?আমরা তো সংখ্যালঘু , কি বলিস সুহান?
লেখাটা অসাধারণ হয়েছে। আপনার লেখার হাত বস মনে হচ্ছে ন্যাচারাল।
চালিয়ে যান।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
আমি তো একখান জলজ্যান্ত বুয়েটিয়ান ০৫! চোখে পড়ে না?!!
লিন ০৫ ।
তিথীডোর
তারানা ফেরদৌস
...আরো জানি কে কে আছে ভুলে গেছি!
@সজল ভাই চমৎকার লেখা হইছে! দুর্দান্ত! আপনার সাথে দেখা/কথা বার্তা হয় নাই ক্যান বুঝতেছি না! ০৩'র একটা বেশ বড় অংশের সাথেই আমার মোট্মুটি ভালো পরিচয় আছে ।
শুভকামনা ।
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
ধন্যবাদ। আমি নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম অনেকটা, এইজন্য হয়তো কথাবার্তা হয়নি। অথবা হয়তো নামে চিনতে পারছনা। ভালো থেক।
এইচ.এস.সি ০৫:
সচল:--
পরিবর্তনশীল।
রায়হান আবীর।
স্বপ্নাহত।
শিক্ষানবিশ।
হাচল:-
তিথীডোর।
তারানা_ শব্দ
লিন ।
বোহেমিয়ান
স্পার্টাকাস।
ভণ্ডমানব।
অতিথি লেখক:-
মুক্ত বয়ান ।
পুরো লিস্টি ঝুলিয়ে দিলাম!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি আরো লেখায় ভার্সিটির নাম চেপেচুপে রাখছিলাম। এখন দেখি ভাই-বেরাদরে সচলায়তন ভর্তি। চালানোর ইচ্ছা আছে। আর পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সজল
কানাডার অটোয়াতে বউ সহ ইন্টারভিউ দিছি ১১জুন। চেকিং এ পড়ছি এবং এখন পর্যন্ত কোন খবর নাই। তবে তেমন কিছু জিজ্ঞাসা করে নাই। দেশে ফেরত যাওয়ার কথা এবং জি আর ই স্কোর- কিছুই না। আমি আবার জি আর ই দিইনি! লোকজন বলে কানাডিয়ান বাচ্চা আছে তাই অতো কিছু জানতে চাই নি।
যাই হোক, পড়ে ভাল লাগল আপনার অভিজ্ঞতা। শুভ কামনা।
কানাডিয়ান ভিসার প্রসেসের কথা যা শুনি, তাতে অ্যামেরিকান প্রসেসকে মনে হচ্ছে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস। বউ সহ আপনার ভিসা হয়ে যাক, এই কামনা রইল।
না, আমি আসলে অলরেডি কানাডাতে আড়াই বছর ধরে! ইউএস ভিসার এপ্লিকেশনের কথা বলছিলাম।
পইড়া মজা লাগল। লেখার স্টাইলটা মজার। আরো লেখার জন্য বইসা থাকলাম।
আম্রিকার ভিসা নিয়ে সবার অভিজ্ঞতাই বোধ হয় এইরকম। ফর্ম পূরণ করতে করতে বিরক্ত হয়ে যাই, একটার পর একটা আজিব প্রশ্ন। ফর্ম দিয়ে আসার পর শুরু হয় ইন্টারভিউ নিয়ে নানা মুনির নানা মত শোনা, হাজার রকম উপদেশ। আমার সময় আরো ভয় ছিল। আগে একবার একটা কনফারেন্সের জন্য দাঁড়ায়ে রিফিউজ খাইসি। তার উপর ফান্ড পাইনাই, খালি বউ পাইসে বলে তার সাথে স্পাউজ ভিসা নেওয়ার জন্যে দাঁড়াইসি। সবাই ডাবল রিস্কের ভয় দেখায়। মাথা খারাপ হয়। বাংলাদেশে খুব বাজে একটা মেন্টালিটি দেখি, কিসু হইলেই শার্ট ইন কইরা চুল আঁচড়ায়ে কিলিন শেভ হইয়া কেতাদুরস্ত ফুলবাবু হইয়া যাওয়ার উপদেশ দিতে থাকে সবাই। পরিপাটি হইতে সমস্যা নাই, কিন্তু ফুলবাবু সাজার আসলে দরকার নাই - আমার মনে হইসে।
একগাট্টি কাগজপত্রের (বাপমা - চৌদ্দগুষ্টির সহায়সম্পত্তির দলিল-হিসাবসহ) বিশাল মোটা একটা বান্ডিল দুইজনে মিলা ধরাধরি করে নিয়ে গেলাম, খালি বউয়ের I-20 দেখল, আমারে জিগাইল আমি গিয়া কি করুম, অ্যাডমিশন লেটার দেখায়া বললাম পরের টার্মে ফান্ড পাইলে ভর্তি হব, তারপর বিয়ের ফটো দেখতে চাইল, তারপর বঊরে কইল তিনদিন পরে ভিসা লাগানো পাসপোর্ট নিয়ে যাও, আমারে কইল, ক্লিয়ারেন্স নিয়ে দেখি। এক হপ্তা পরে ফোন আসল, ভিসা হইসে।
ভিসা পায়ে নিয়ে হেভি মজা লাগসে, যদিও। সম্ভবত, আগে একবার রিফিউজ খাইসি বইলা সামনে নতুন অ্যাডভেঞ্চার! আসার আগে অবশ্য মন খারাপ হয়ে যায়।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
ফর্ম পূরণ করা বাদ দিলে মনে হয় পুরা ব্যাপারটাই বেশ আরামের। আমাদের দেশে আরেকটা সমস্যা হচ্ছে, সবাই খালি ভয় দেখায়। ভিসা পায়ে নিলেন কেন, বুঝলামনা।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
Knoxville, TN আছি, এইদিকে ঘুইরা যাইও। স্মোকি মাউন্টেন দেখায়া দিব। বড়ই সোন্দর!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
পাশাপাশি স্টেট দেখতে পাচ্ছি। আশা করছি ঘুরতে যাওয়া হবে। কারণ সোন্দরের প্রতি আমার বড়ই আকর্ষণ
হা হা হা। দারুণ লেখা।
খালি একবার গিয়ে উঠেন। দেখবেন মজা কারে কয়!!!!!!!!!
কি মাঝি, ডরাইলা?
ভয় দেখাইয়েন নারে ভাই । ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
বাহ, ভালো লাগলো।
প্রবাসে আপনার অভিজ্ঞতার নিয়মিত আপডেট চাই।
ধন্যবাদ। দোয়া কইরেন যেন যাওয়ার পর 'অভিজ্ঞতা' বলার মত থাকে।
।
একটু হিংসা লাগলো। আপনাগো বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য জিনিসটা আমাদের মত বিজনেস গ্র্যাজুয়েটগো থিকা অনেক অনেক সোজা!
মূল ব্যাপার মনে হয় ফান্ডিং। ওইটা ঠিক থাকলে মনে হয় কাউরেই ঝামেলা করেনা। তবে ইঞ্জিনীয়ার দের ফান্ডিং ভালো, এটা ঠিক। আর হিংসা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালোনা ।
আমি ভিসা-কুফা লোক।
১ম বারে রিফিউজ করে, পরে দেয়...
আপনারে নিয়ে একটু খেলাধূলা করে মনে হয়।
ভাই, আপনার কাছাকাছি অভিজ্ঞতা আমার ও আছে । বছর ঘুরে আজ গ্রীন কার্ডের অধিকারী। বাংলাদেশে সরকারী চাকরী পেলাম না। আমার রাজনৈতিক বন্ধুদের হয়ে গেল। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য বিদেশ ছাড়া আমার উপায় নাই ।
দেশের প্রতি অভিমান রাইখেননা। সিস্টেম তো আর একদিনে বদলাবেনা। ভালো থাকবেন।
আরে ভাই আপ্নের লেখার হাত তো চমতকার।
বৈদেশ থিকা লেখালেখি জারি রাইখেন।
শুভকামনা
ধন্যবাদ ভাই। বৈদেশ যাওয়ার পর কতকিছু লিখতে হয় কে জানে । ভালো থাকবেন।
সজল ,
ভাল লিখেছ। আরেকটা ব্যাপার খেয়াল করেছ কিনা জানিনা - আমেরিকানদের থেকে ওখানের বাংলাদেশিদের আচরন আরো বেশি অদ্ভুত । ওরা যেন বেশি আমেরিকান ।
রামি
সত্যি বলতে কি, প্রায় সবাই বাংলাদেশি ছিল। আর তাদের অনেকেই ভিজিটরদের দিকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টি দিচ্ছিল। তাদের ব্যাপারে আমার ব্যাখ্যা হচ্ছে, তারা আসলে আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগে। তবে সবাই ওইরকম না।
সজল, ডেব্যু ম্যাচেই সেঞ্ছুরি মাইরা দিলা তো ! যাহোক, শুভকামনা রইল--সেইসাথে অন্য অনেকের মত পরবর্তী "অভিজ্ঞতা" শুনার অপেক্ষায় ।
নোবেলদা, সেঞ্চুরি হইছে কিনা জানিনা, আর এইডা আমার সেকেন্ড ম্যাচ । দোয়া কইরেন যেন সেইরকম অভিজ্ঞতা কিছু হয়
স্যরি, প্রথম টা মিস করেছি . এটা নিশ্চিত যে, ওইটা ও সেঞ্ছুরি ছিল . "শে(সে)ইরকম" অভিজ্ঞতার কামনা রইলো
রাফি মন্তব্য করেছেন "বহুদিন পর একটা খাঁটি 'ব্লগ' পড়লাম।"
আমার মনে হলো বহুদিন পর একটা খাঁটি 'ব্লগ' ও মন্তব্য পড়লাম।
আরো লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
ধন্যবাদ আপনাকে। আমিও আশায় আছি, লেখার শখটা যেন থেকে যায় ।
সজল
ডুপ্লিকেট কমেন্ট। আমার দোষ নাই। দায়ী নেট এর স্পিড।
সজল
চমৎকার লেখার হাত!
লিখুন নিয়মিত ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথীডোর।
আরে সজল, খুব ভালো হয়েছে !!!
থ্যাঙ্কস, দাদা।
khubi moja pelam........chorom likes............
ধন্যবাদ
মজা পেলাম।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ধন্যবাদ
আরে মামা পুরা ফাডাইয়ালচছ...............
দীপেশ।
হ মামা। কী ফাডছে, সেটা গবেষণার বিষয়।
সজল
আমিও অনেক দৌড় ঝাপ পেরিয়ে আজকে কল পেয়েছি যে আমার কানাডার ভিসা হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত জিআরই স্কোর ক্যানসেল করায় ইউএস ভিসার জন্যে অ্যাপ্লাই করার সুযোগ হয়নি। সজলের লেখা পড়ে সে অভিজ্ঞতাটাও পেয়ে গেলাম।
যাই হোক আমিও কিন্তু শূণ্য তিন তড়িতকৌশল।
_____________
ত্রিমাত্রিক কবি
ই-মেইলঃ
শূণ্য তিনে দেখি ভর্তি। Sicko দেখে ডিসিশন নিছি, বড় কোন অসুখ হইলে কানাডা দৌড় দিমু। আর নামের ব্যাপারে, ত্রিমাত্রিক কেনরে ভাই? ডাইমেনশন রিডাকশন করা যায়না?
সজল
গত বছর আমারো একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তবে আমি আমার মোবাইল কুরবানির বিনিময়ে ভিসা পেয়েছিলাম। সেও এক মজার লুল ধাঁচের গল্প।
অনন্ত
লুল গল্প শুনতে মন চায় । মোবাইলের বিনিময়ে অন্যকিছু নিশ্চয় পেয়েছিলেন। বলেন সেই গল্প।
সজল
লেখাটি বেরে হয়েছে।এটা অবশ্য পড়ার আগেই বুঝেছি size দেখে ....
পার্থ, বাংলার মাস্টারের মত সাইজ মেপে মার্কস দিলি? যাকগা, তর মত জ্ঞানীর পাড়া আমার ব্লগে পড়ছে, ধন্য হয়ে গেছি
সজল
নতুন মন্তব্য করুন