জহিরুল ইসলাম নাদিম
আজ ঘুম থেকে জেগেই দেখি
ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে
একেবারে কুকুর বেড়াল!
ঢাকা ঢেকে গেছে - জলে, কাদায়, সোঁদা গন্ধে!
ধুলোর উত্তরীয় ধুয়ে ফেলে পাতারা সেজেছে তারুণ্যের দীপ্তিতে।
অভিযাত্রীর মতো সেজে-গুজে পথে বেরুলাম।
ওমা! এ পথ যে আমার অচেনা
রাস্তা চুই চুই পানিতে সয়লাব
কারেন্টের তারে ভেজা কাক
পথ-ঘাট পুরো জন-মানব শূণ্য
যেন বা রূপকথার রাজ্যে এসে পড়েছি।
ভয়ংকর দর্শন কোনো দৈত্য
শহরের সবাইকে নিকেশ করে
রাজকন্যাকে রেখেছে বন্দী করে-
আমি আগুন্তুক রাজপুত্র
আমার দায়িত্ব দৈত্যের প্রাণ ভোমরাকে হরণ করে
রাজকন্যা উদ্ধার!
গাড়ির শার্সিতে হীরের কুচির মতো বৃষ্টির ফোঁটা আছড়ে পড়ছে
দৃষ্টির গম্যতা নেমে এসেছে বেশ নিচে
পিচের রাস্তা, রিকশা-স্কুটার আর ইতঃস্তত পথযাত্রীকে
মনে হচ্ছে অপার্থিব কিছু।
কল্পনা আর বাস্তবের ব্যবধান ঘুচে গেল?
যে সূক্ষ্ম ফারাক তাদেরকে আলাদা রাখে
তা বেমালুম গায়েব।
তখন তোমার কথাই মনে হলো।
পকেট থেকে মুঠো ফোন বের করে বার্তা পাঠালাম
‘কী করছো?’
লিখতে চেয়েছিলাম ‘তোমার কাছে বৃষ্টির পাঠ নিতে চাই’
লেখার সাহস পাইনি!
মন্তব্য
ব্যাপারটা কল্পনার চেষ্টা করলাম। পারলাম না।
একবার না পারলে দেখুন শতবার!
আরেকটু চেষ্টা করুন-ঠিক পারবেন!?
বৃষ্টি নিয়ে মনে হয় এখনো কিছু লিখিনি, আপনার লেখা সে কথাই মনে করিয়ে দিল। ভাল হয়েছে আপনার লেখা। আমার কাছে বাংলা অভিধান নেই, আপনি কি 'শার্সি' শব্দের অর্থটা আমাকে একটু বলবেন?
অনন্ত আত্মা
ধন্যবাদ অনন্ত আত্মা। আর হ্যাঁ উত্তর তো পেয়েই গেছেন।
ধন্যবাদ তুহিন। আপনি বেশ খেয়াল করেন দেখছি। ঠিক ধরেছেন কবিতা লেখার প্রাথমিক প্রয়াস!
নতুন মন্তব্য করুন