গত পূর্ণিমাটা
পরিশ্রমে পরিশ্রমে গেছে চাঁদের,
এবারেরটায় তাই
বিশ্রাম চায় ও মেঘেদের।
মেঘ তাই ঢেকে দেয় ওঁকে;
জড়িয়ে নেয় চোখে, নাকে, মুখে।
বাতাসের প্রয়োজন হয় জ্যোৎস্না;
বাতাস তাই ক্ষণে ক্ষণে সরায় মেঘের ঢাকনা।
ঘোর লাগা মানুষ একবার দেখে চাঁদ;
পরক্ষণে দেখে মেঘের বোনা ফাঁদ।
যেন এক ট্রেন ঢোকে আঁধার সুরঙ্গে;
কিছু বাদে বেরোয় আবার তরঙ্গ-ভঙ্গে।
ঘোর কাটে অবিশ্রান্ত মেঘের পর্দা দেখে;
আধো-রাতে ঘুম নামে স্বপ্নগুলো ঝেঁকে।
শেষ প্রহরে ঘুম ভাঙে হঠাৎ অবশেষে;
সশব্দে চোখ মেলে তাকায় আকাশে।
অনেক দূরে, দূর নীলিমায় একাকী চাঁদ হাসে;
এবার তাকায় নিজের দিকে, তাকায় চারিপাশে;
আবিস্কারে সারা গা তার চাঁদের রক্তে ভাসে।।
অনন্ত আত্মা
মন্তব্য
আপনার আগের কবিতাগুলো আরো ভালো লেগেছে। আরো ভালো কবিতা পড়তে চাই। :)
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মুর্শেদ ভাই আগের কবিতাগুলো যে ভাল লেগেছে তাতো আগে বলেন নাই। আগের কবিতাগুলোর ২/১ টা আমার খুব প্রিয় কবিতা ছিল কিন্তু তেমন একটা মন্তব্য না পাওয়ায় ধরে নিয়েছিলাম জনগনের ভাল লাগে নাই। অনেক সময় আমি দেখি যে, যেসব কবিতা আমার পছন্দ না সেগুলো অন্যদের ভাল লাগে, তাই 'রোদ-রাত্রি' পোষ্ট করে আর একবার আমার ধারণাটা টেষ্ট করলাম।
যাই হোক কষ্ট করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।।
অনন্ত আত্মা
নতুন মন্তব্য করুন