আমি ব্রিটিশ টেলিকমে কাজ করি। বেডরুম অফিস করি। বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছাকাছি আমাদের অফিস ইন্ডিয়াতে। তাই মাঝে মাঝেই ব্যাঙ্গালরে গিয়ে ইন্ডিয়ান এঞ্জিনিয়ারদেরকে জ্ঞ্যান বিতরণ করে আসতে হয়। ঢাকায় ফিরতে আকাশ পথে প্রায় ১০ ঘন্টার মত ভ্রমন। ব্রিটেন যেতে ১২ ঘন্টার মত লাগে, তাই বলাই বাহুল্য আমার জন্য এটা যথেষ্টই ক্লান্তিকর। ভোর ৩টায় উঠে ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিতে হয়। অন্য বিমানের কথা জানি না, কিংফিশারের খাবার বাংলাদেশিদের মুখে কতটুকু ওঠে আমার সন্দেহ আছে। তাই যখন ঢাকায় ল্যান্ড করি ৩টায় – বড়সড় ধরনের ক্ষুধা নিয়েই।
ঢাকা-ব্যাঙ্গালর সরাসরি ফ্লাইট নেই। হায়দেরাবাদ আর কলকাতাতে যাত্রাবিরতি থাকে। তাই যখন কেউ ঢাকায় আমাদের সাথে ব্যাগেজ কালেকশনের বেল্টে আসেন বোঝা কঠিন তিনি ব্যাঙ্গালর না কলকাতা থেকে উঠেছেন। আমার দেখা ও জানা মতে কলকাতা থেকে যেসব ইন্ডিয়ান আসেন তারা মূলত ব্যবসার কারনে আসেন। জানি না তাদের মধ্যে কয়জন আমার মত ক্ষুধা আর ক্লান্তি নিয়ে সেদিন বেল্টে অপেক্ষা করছিলেন। ৪৫ মিনিট দাঁড়িয়েও যখন একটা লাগেজও লোড হলনা, একজন বাংলাভাষী ইন্ডিয়ানের মেজাজ উঠলো সপ্তমে।
- বাংলাদেশ বিমানের “অমুকের” বাচ্চারা এখনো একটা মালও লোড করে নাই। “তমুকের” বাচ্চারা। বাংলাদেশ একটা বাস্টার্ডের দেশ। এরা খালি টাকা খায়। কোন কাজ করে না।
পাশে দাঁড়ানো হিন্দি (বা ঊর্দু) বলা দুজন মহিলা বলতে থাকলঃ “উই আর ইন বাংলাদেশ। ইয়ার, এভরিথিং হ্যাপেনস হিয়ার।“ তাদের দেখে আমার কাছে পাকিস্তানি মনে হল।
বেল্টের আরেক পাশের অপেক্ষমানরা তার চিৎকার শুনতে পায়নি যারা তাদের সুবিধার্থে ভদ্রলোক সেখানে গেলেন এবং আরেকদফা গালিগালাজ করলেন। বিমানের কোন অফিসিয়ালের কাছে অভিযোগ না করে, যাত্রীদের এক করার ব্যপারে উনি চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। বাংলাদেশের মাটিতে উনি যেটাতে ডেফেনিটলি কোন সাফল্য পাবেন না। যাই হোক, মিনিট দুয়েক পরেই ব্যাগ আসতে শুরু করল।
বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে এক বিদেশি বললঃ “বাংলাদেশ একটা বাস্টার্ডের দেশ।“ – আমার মাথা ঘুরতে শুরু করল। মনে হল আমাকে কেউ বাপ-মা তুলে গালি দিল।
বিমানের গ্রাউন্ড স্টাফ কম বা যাই হোক, কোন সন্দেহ নেই যাত্রীদের এই হয়রানির জন্য বিমানবন্দরই দায়ী। কিন্তু গালি খাওয়াটা মানতে পারলাম না। ইচ্ছে করল বলিঃ “ভাই, বাংলাদেশে এই রকম অভিজ্ঞতা আর কোনদিন হবে না তার নিশ্চয়তা নেই। তাই আপনি যদি চান, আবার নাও আসতে পারেন। ইন্ডিয়ার প্রতিবেশী অন্য কোন দেশেই ব্যবসাটা করলেই পারেন।“ বা আরও কঠিন কিছু।
বললাম না, কারন এই ধরনের মানুষের সাথে কথা বলার রুচি পেলাম না। অনেকেই হয়ত সীমাহীন বিরক্ত, তবু যারা নূন্যতম সভ্য তারা নিশ্চয়ই মনে মনে এই ভদ্রলোকের আচরণকে সমর্থন দিচ্ছেন না। আবার মনে হল কিছু বলা উচিত ছিল। না বলে বলেই এরা দেশ, জাত নিয়ে গালি দিতে পারে। আবার আমার জোর গলায় কিছু বলার নেই কারন ব্যাগেজের অপেক্ষায় কয়েকজন হুইলচেয়ারে ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলাও ছিলেন। তাদের কষ্টের ক্ষতিপূরন দেয়া সম্ভন নয়।
আমি গল্পের নায়ক নই। তাই, কিছু না বলে ব্যাগ কালেক্ট করে বের হয়ে গেলাম। কিন্তু নিজেকে ক্ষমা করতে পারলাম না।
সবাই জানে জীবনটা অভিনয়। মানুষকে ডিজাইন করা হয়েছে অত্যন্ত চতুরতার সাথে। যখন কোন বিশেষ আবেগ মানুষকে তার স্বাভাবিক কাজ কর্ম থেকে থেকে বিরত রাখে, ব্রেইন তার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায় তা থেকে উত্তরন ঘটানোর। এক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম হল না। আমার মনও আমাকে স্বাভাবিক চিন্তাভাবনায় ফিরিয়ে আনতে সবরকম ছলনা, চতুরতা, অভিনয়ের আশ্রয় নিল। আমি যে খুব রুচিশীলতার পরিচয় দিয়েছি এবং এই ধরনের ক্ষুদ্র-প্রান মানুষ কি বলল তা নিয়ে সময় অপচয় করা যে ঠিক হচ্ছে না, সেটা যুক্তিযুক্ত করার জন্য সে একটা ইন্টার্যাক্টিভ ডেমন্সট্রেশন দেয়ার চেষ্টা করল। রাতে সে একটা স্বপ্ন দেখালোঃ
ইন্ডিয়াতে এক বাসে উঠতে যাচ্ছি। দেখি এক বাংলাভাষী (এবং স্বপ্নে মনে হল বাংলাদেশি) সন্তানসম্ভবা তরুনীকে এক তামিল জোর করে বাহু ধরে, খুব নিষ্ঠুরতার সাথে নামিয়ে দিচ্ছেন। তামিলের কোলে বাচ্চা। আমার মনে হল হয়ত কোনভাবে আত্বীয়। তরুনী কোনভাবেই নামবে না দেখে, ওই লোক তখন তার পিঠে কিল ঘুষি দিয়ে নামিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমি তরুনীকে জিজ্ঞেষ করলাম, ম্যাডাম আপনি কি ওনার রিলেটিভ? তরুনী বললঃ না। তখন আমি লোকটাকে চ্যালেঞ্জ করলাম। মেয়েটা জানালো, এই ভদ্রলোক বাসে উঠেই মেয়েটাকে সিট ছেড়ে দিতে বলেছিল কারন তার কোলে বাচ্চা ছিল। মেয়েটা বলেছিল, সে নিজেও প্রেগনেন্ট। যদি সম্ভব হয় যেন অন্য কারও সাথে সিটটা সোয়াপ করে নিতে পারেন। সমস্ত বাসভর্তি পুরুষ তার কারও সাথে ওই লোকটা সিট সোয়াপ করতে নারাজ। বাসের কেউ কোন কথা বলেনি। সবাই মজা দেখছিল।
যখন আমি চ্যালেঞ্জ করলাম, যে আপনি যে বাচ্চাটা কোলে নিয়ে আছেন, যদি তার মায়ের সাথে আপনার মত কেউ বাসে এমন করত তাহলে আপনি সহ্য করতেন? আমি প্রতিবাদ করায় তখন লোকটার জ্ঞান হল যে এই মেয়ে এখন আর একা না আর তার এই আচরনের কোন অধিকার নেই। লোকটা বাস থেকে নেমে গেল। মেয়েটা তার সিটে ফিরল। আমি বিপরীত দিকে জানালার পাশে আমার সিটে বসলাম।
জানালা খোলা ছিল। লোকটা আমাকে বাপ-মা তুলে গালি দিয়ে একটা থুতু দিল। সোজা আমার মুখ এসে পড়লো। আর সারা বাসে হাসির রোল পড়ে গেল। ইন্ডিয়ান বিশেষ কায়দায় তারা আমার দিকে তালু ওপরের দিক দিয়ে, আংগুলগুলো এক করে, আমার মুখের দিকে ইংগিত করে ব্যাপক তামাশা করতে লাগলো। আর আমি, সাধারনত যা করি, তাদের দিকে মিষ্টি হাসি দিয়ে রুমাল বের করে মুখটা মুছে নিলাম। তবে, বিমানবন্দরের ওই লোকটা থাকলে হয়ত বলতেন ইন্ডিয়া একটা বাস্টার্ডের দেশ।
লেখাটা কি খুব ইন্ডিয়াবিরোধী হয়ে গেল? কারন আমার সেটা উদ্দেশ্য ছিল না। মন যেভাবে আমাকে জিনিয়াসভাবে কনভিন্স করার চেষ্টা চালাচ্ছে তাতে আসলে আমি এই ব্যাপারে নিজের মতামতের ওপর খুব একটা আস্থা রাখতে পারছি না। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করা। আপনাদের মতামত কি?
সেদিন বিমানবন্দরে লোকটার কথার প্রতিবাদ না করে কি অপরাধ করেছি?
তানজিম সাকীব
মন্তব্য
সরাসরি কনফ্রন্টেশনে না গিয়ে ঠান্ডা মাথায় জিজ্ঞেস করতে পারতেন, 'ভাই কি আমাকে বাস্টার্ড বললেন?' সাধারণতঃ যা হয়, লোকটা হয়ত অস্বস্তিতে পড়ে যেত।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
পাত্তা দিতে চাইনি। তাতে সে আরও অ্যাটেনশন পেয়ে যেতে পারত।
সচলায়তনে স্বাগতম।
স্বপ্নটা কেন দেখেছেন বোঝা যাচ্ছে। চিলেকোঠার সেপাই ইফেক্ট।
এটা আসলেই ঠিক যে অনেক সময়ই উচিৎ কথাটা বলা হয়ে ওঠে না আমাদের।
লিখতে থাকুন হাতখুলে। দেশবিদেশ ঘুরছেন, মজার কিছু ঘটনাও নিশ্চই আছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অনুপ্রেরণার জন্য ধন্যবাদ।
তানজিম সাকীব
ঠিক করেছেন একথা চট করে বলতে পারলাম না, যদিও আপনার জায়গায় আমি হলেও হয়ত ঠিক একই কাজ করতাম। হয়ত নিজেকে বুঝ দিতাম এই বলে যে, আমি তো বিশ্বের সকলের সচেতনতা গড়ে তোলার চাকরি নেই নাই। এবং পরে অনুতপ্তের অনলে বারংবার দগ্ধ হতাম। লোকটার উপরে রাগ পুষে রাখবেন না, পরে এই রাগ অন্যের উপর দিয়ে ভুল সময়ে বয়ে যেতে পারে, যেটা হয়ত আপনি আদৌ চাইতেন না। এমন লোক অনেক পাবেন, আমাদের দরিদ্র দেশ, কিছু না হবার দেশ- স্বয়ং বাংলাদেশেই এমন অনেক বাংলাদেশি পাবেন। মাঝে মাঝে এদের ইগনোর করলে বড়-সড় ক্ষতি হবে না হয়ত।
তবু বাংলাদেশ মহান।
শাফি।
ভালো বলেছেন!
কুটুমবাড়ি
রাগ নিয়ন্ত্রন করা শিখছি। রাগ করার চেয়ে শেখা সহজ। এটা শিখতে কিছুটা সময় লেগে গেছে যদিও।
তানজিম সাকীব
ঠিক কাজটিই করেছেন।
আপনার মতামত জেনে খুশি হলাম।
তানজিম সাকীব
আমাদের এয়ারপোর্টের বেল্টে লাগেজ কতক্ষণে আসবে তার সময় নির্ভর করে এয়ারলাইন্সের খরচের উপর, হ্যান্ডেলিং এজেন্টের উপর না। ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলি, “ক” এয়ারলাইন্স যাত্রীদের গুরুত্ব দেয়, তারা বেশি খরচ করে যাত্রী নামায় দোতলার সিঁড়িতে, ‘খ’ এয়ারলাইন্স বাইরে যাত্রী নামিয়ে বাসে করে ইমিগ্রেশনে নিয়ে আসে। প্লেনে যাত্রী তোলার ব্যাপারেও একই অবস্থা, ‘ক’ এয়ারলাইন্সে সরাসরি উঠা যায়, আর ‘খ’ এয়ারলাইন্সে বাসে করে যেয়ে উঠতে হয়। মালামাল আসার ব্যাপারটাও তেমন, কম খরচে দূরে পার্ক করা প্লেন থেকে মালামাল আনতে যতটুকু সময় লাগে তার চাইতে অনেক কম সময় লাগে বেশি খরচ দিয়ে কাছাকাছি পার্ক করা প্লেন থেকে মালামাল আনতে। আরো ব্যাপার আছে, প্লেন থেকে মালামাল নামানো উঠানোর জন্য কতগুলা গাড়ি/ট্রলি এয়ারলাইন্স ভাড়া করলো তার উপরেও সময় নির্ভর করে।
সুতরাং বেল্টে মালামাল দেরীতে আসার জন্য হ্যান্ডেলিং এজেন্টের চাইতে এয়ারলাইন্সকে দায়ী করাটাই সঠিক হবে।
'কিংফিশার' কিংবা 'এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস' দুটোই লোকস্ট এয়ারলাইন্স, খরচ বাঁচাতে ওরা এগুলো করে। খেয়াল করে দেখবেন সব লোকস্ট এয়ারলাইন্সে ইমিগ্রেশনের পর সবচাইতে দূরের গেট গুলো দিয়ে যাত্রী উঠিয়ে থাকে।
...........................
Every Picture Tells a Story
জানা ছিল না। তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।
তানজিম সাকীব
সবাই জানে জীবনটা অভিনয়। মানুষকে ডিজাইন করা হয়েছে অত্যন্ত চতুরতার সাথে। যখন কোন বিশেষ আবেগ মানুষকে তার স্বাভাবিক কাজ কর্ম থেকে থেকে বিরত রাখে, ব্রেইন তার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায় তা থেকে উত্তরন ঘটানোর।
...ঠিক বলেছেন।
প্রয়োজনে আমার দেশের সমালোচনা আমি করবো,কিন্তু ভীনদেশিদের কটুক্তি শুনলে মেজাজ এমন চড়ে যায়!যে কোনোকিছু করে ফেলতে পারি...
সুমিমা ইয়াসমিন
ঠিক ধরেছেন!
তানজিম সাকীব
ইন্ডিয়া-পাকিস্তান দুই জাতিই বাঙ্গালীদের সাথে বাস্টার্ডের মত আচরণ করে, অভাগা জাতি হিসেবে আমরা চুপচাপ মেনে নেই
-----------------------------------------
এই গল্প ভরা রাতে, কিছু স্বপ্ন মাখা নীল নীল হাতে
বেপরোয়া কিছু উচ্ছাস নিয়ে, তোমার অপেক্ষায় ...
-----------------------------------------
এই গল্প ভরা রাতে, কিছু স্বপ্ন মাখা নীল নীল হাতে
বেপরোয়া কিছু উচ্ছাস নিয়ে, তোমার অপেক্ষায় ...
স্বপ্ন দেখি একদিন কর্ম দিয়েই আমরা প্রাপ্য সম্মান আদায় করে নেব।
তানজিম সাকীব
অপমান সহ্য করাটাই কি সবচেয়ে বড় শাস্তি না?
--- থাবা বাবা!
হ্যাঁ এটা একটা শাস্তি।
তানজিম সাকীব
একজন বাংলাভাষী ভারতীয় হিসাবে আরেকজন বাংলাভাষী ভারতীয়ের আচরণে ঘৃণা বোধ হল। গরীব ছোটভাইকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার বদস্বভাব তো কম নেই। এই লোকই আমেরিকা গিয়ে এমন দেরি হলে বলত 'আরে, এদেরও তো দেখি আমাদের মতই অবস্থা...' কিন্তু গালিটা দেবার সাহস পেত না।
এই যে লিখে ফেললেন ব্যাপারটা, এবার হয়ত আপনার মনের অস্থিরতাটা কমবে। এমনই ভালমন্দ লিখে যেতে থাকুন।
" গরীব ছোটভাই" ব্যাপারটা কি ?
বাংলাদেশ কি ভারতের "গরীব ছোটভাই"? আপত্তিকর লাগল কথাটা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হয়ত গরিব প্রতিবেশি বলতে চাইছিলেন।
তানজিম সাকীব
'গরীব ছোটভাই' শব্দটায় যাঁরা আপত্তি জানিয়েছেন, উচিত কাজ করেছেন, আমিও তাঁদের সঙ্গে একদলে। যে ভারতীয়রা বাংলাদেশকে নিন্দেমন্দ করে বেশ একটা কিছু করলাম ধরণের আত্মসুখ অনুভব করে, তারা এরকম একটা দৃষ্টিভঙ্গী রাখে বলে আমার মনে হয়েছে, তাই তাদের সম্বন্ধে বলতে গিয়ে এটা লিখেছি তাদের ভাষায় - কোট করলে ভাল হত, এটা আমার মতামত বলে সন্দেহ হত না তাহলে। 'গরিব প্রতিবেশি' কথাটায় তো তাদের সেই অহঙ্কারটা পুরোটা আসে না।
ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে আবারও বলি, ওই শব্দটায় আমারো প্রচুর আপত্তি আছে। যে হতভাগাদের নিয়ে কথা উঠেছে, তাদের এমন বলতে শুনেছি বলে রেফার করছিলাম। কোট করলে ঠিক হত।
তাই তো বলি, কৌস্তুভ ভাইয়ের হলো কী?
আসলে আপনি যে 'কোট' করেছেন তা বোঝা যায়নি। সেজন্যই এই বিভ্রান্তি। জেনে ভালো লাগল যে আপনি অন্তত নিজেকে ভারতীয় ধনী বড়ভাইদের একজন বলে মনে করেন না।
কুটুমবাড়ি
ধন্যবাদ ভাই। আসলে পড়ে এত রাগ হল তাড়াতাড়ি কমেন্ট করে ফেললাম আমার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা মিলিয়ে। তাড়াহুড়োয় বাদ পড়ে গেছে খেয়াল হয় নি, আরেকটু যত্নশীল হওয়া উচিত ছিল।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
কুটুমবাড়ি
লেখা টা ভালো হয়েছে... আমার ও হয়ত ওই লোককে জবাব দেওয়ার ইচ্ছা করত কিন্তু রুচি পাইতাম না কথা বলার .......এই রুচি টা অনেক কাজ করতে দেই না
একমত।
তানজিম সাকীব
ভারতীয়/পাকি একজন আমাকে হেনস্তা করেছিল দুবাই এয়ারপোর্টে। সেবার বিদেশে প্রথম বলে সব মুখ বুজে সহ্য করেছিলাম। সেই থেকে আমি কোন এয়ারপোর্টে এদের দুই চোখে দেখতে পারিনা।
ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারাই সবচেয়ে কঠিন। নানা কারণেই গালি-সহকারে একটা মন্তব্য লিখে আবার মুছে দিলাম। নিজেকে জয় করার চেষ্টা করি বরং।
দেশের বাইরে আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে খুব ক্ষুদ্র সার্থের জন্য অনেক সময় কেউ কেউ অন্যের বড় ক্ষতি করতে দুইবার ভাবে না। তাই আমি পারতপক্ষে যাদের ক্ষতিকর মনে হয় তাদের এড়িয়ে চলি।
তানজিম সাকীব
মুস্তাফিজ ভাই এয়ারলাইন্সের খরচের কথা বলেছেন। এটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।
তবে আমি এমিরেটসেও আকামের মুখোমুখি হয়েছি। দেশ থেকে একবার আসার সময় আমি, আমার বউ আর একটা ফ্রেন্ড তিনজনের আলাদা আলাদা সিট দিয়েছে। সিট বরাদ্দের আগেই তাকে অনুরোধ করা হয়েছিলো একসাথে দেয়ার জন্য, সিট খালিও ছিলো। ইনফ্যাক্ট, এটা খুবই কমন প্র্যাকটিস যে একসাথে ভ্রমণ করাদের একসাথে সিট দেয়া হয়। কিন্তু সেই লোক ইচ্ছাকৃতভাবেই আকামটা করেছে। লাগেজের বেলায় আমাদের প্রত্যেকের ব্যাগ আলাদা আলাদাভাবে ওজন করেছে, আমরা দুজন মিলে ওয়েট লিমিট মেনে লাগেজ এনেছি; কিন্তু দুই ব্যাগের ওজন আলাদা (কোনোটাই ৩২ কেজির লিমিট ক্রস করে নাই), সেই লোক এভাবে অ্যালাউ করবে না!
হ্যাঁ, এটাই ঢাকা (আগে জিয়া বিমানবন্দর ছিলো, এখনকার নাম কি?) এয়ারপোর্ট। ওই যাত্রীরা আসলে প্রাপ্য গালির চেয়ে কমই দিয়েছে। উই সাক অ্যান্ড দ্যাট'স দ্য ট্রুথ।
ঝামেলা অন্য দেশের এয়ারপোর্টেও হয়; কিন্তু ঢাকা এয়ারপোর্টে এটা নিয়মে দাঁড়িয়ে গেছে, পার্থক্যটা এখানেই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অনেক কিছুতেই আমরা বিশ্বসেরা না। এটা জেনেশুনেই আশা করি ওনারা এই দেশে এসেছেন। সবসময় আশানুরুপ সার্ভিস পাওয়া অযৌক্তিক। সেটাও ব্যাপার না। যেটা খারাপ লেগেছে তা হল দেশের মাটিতে আমার সামনে দেশের মানুষকে বাস্টার্ড বলা।
তানজিম সাকীব
এক্সপেক্টেড সার্ভিস পাওয়া অযৌক্তিক কেন হবে? ভালো সার্ভিস পাওয়াটাই তো স্বাভাবিক হওয়া উচিত।
সবকিছুতে বিশ্বসেরা না হওয়ার সাথে হয়রানির পার্থক্য অনেক। ঢাকা বিমানবন্দরের লাগেজ বেল্টে মালপত্র যে শুধু দেরিতে আসে, তাই না, লাগেজ বেল্টের অবস্থা এমন (অন্তত আমার লাস্ট ট্রিপ পর্যন্ত এমন ছিলো) যে, ব্যাগ নিজেই গড়িয়ে পড়ে যায়। লাগেজ বেল্টের ওখানে কাজ করা বিমানবন্দরের লোকজন লাগেজ নামিয়ে এমনভাবে স্তুপ করে রাখে যে, নিজের লাগেজ কি বেল্টে আছে, নাকি সেই স্তুপের ভিতরে এটা খুঁজে পেতেই খবর হয়ে যায়। এই সমস্যা দূর করা কি খুবই কঠিন কাজ?
আমরা যখন দেশে ফিরি, তখন এক ধরনের আবেগ কাজ করে। এইসব হয়রানি অনেক সময়ই তীব্রভাবে অনুভব করি না। কিন্তু একজন বিদেশি ছাড় দিবে কেন?
আমরা সময়মতো প্রতিবাদ করতে পারি না কেন এই জিনিসটা ভাবলাম। আমার মতে, আমাদের সমস্যা আছে বলেই আমরা ভিতর থেকে প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পাই না। বাস্টার্ড মানুষ হওয়া মোটেই অসম্মানের নয়; কিন্তু এটা গালি অর্থে ব্যবহৃত হলে সেটা অসম্মানের। আমাদের দেশে বিভিন্ন সেক্টরে যে দুর্নীতি আর আকামে হয়রানি, তাতে আমরা খুব ভালোভাবেই এই গালিটা ডিসার্ভ করি। গালিটায় যদি আমাদের গায়ের গন্ডারের চামড়াও জ্বলে, তাইলে আমাদের উচিত ওই দুর্নীতি আর হয়রানি দূর করা। সেটা করতে পারলে কেউ গালি দিবে না; আর কেউ গালি দিলেও সেটার প্রতিবাদ আপনা-আপনিই আসবে। তার জন্য কোনো বাড়তি প্রস্তুতির দরকার পড়বে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- বলাই'দা, বাস্টার্ড গালিতেও কোনো সমস্যা নাই, কিন্তু সেই গালিটা আসতে হবে যোগ্য কারো কাছ থেকে। আপনি ভারত গিয়েছেন গিয়েছেন কিনা মনে নেই, আমি গিয়েছি। কলকাতার সল্ট লেক থেকে দিল্লীর চানেক্কাপুরী, পুরো যাত্রাপথে "বাস্টার্ড দেশের" আমিও ভয়ানক রকম বিরক্ত হয়েছি। পুরো যাত্রাপথে সময় এবং টাকা, দুইয়েরই গচ্ছা দিতে হয়েছে বহুগুণে কেবল আমি বিদেশী বলেই। গালি দিতে চাইলে অনেক উঁচু লেভেলের গালিই দেয়া যেতো, দেই নাই। দেই নাই কারণ আমি পেট্রাপোল ক্রস করার সাথে সাথেই বাধ্য হয়ে মানসিকতা সেট করে নিয়েছি, আমি ভারতে যাচ্ছি, কোনো পশ্চিমা দেশে না।
দুই সপ্তাহ আগে, আমার এক বন্ধু নীলস ফিরলো প্রায় ছয় মাস পর। সে আর তার বান্ধবী গিয়েছিলো সাউথ এশিয়া ট্যুরে। ও এসে ভারতীয়দের ব্যাপারে যা বয়ান করলো, তাতেও অন্তত তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশিরা 'বাস্টার্ডের দেশ' বলে কোনো গাল ডিজার্ভ করে না। প্রায় একই সময়ে তার বাবা-মা তাঁদের বাংলাদেশী এক বন্ধুর আমন্ত্রণে বাংলাদেশ ঘুরে এসেছেন। কই, তারা তো খোদ জার্মান হয়েও বলেনি, "বাংলাদেশ একটা বাস্টার্ডের দেশ"! বরং তাঁরা বেশ উচ্চকণ্ঠই হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাপারে, আর নীলস কান ধরে তওবা করেছে, জীবনে আর ভারতে না।
এই ভারতীয়দেরই কেউ একজন এসে যখন বাংলাদেশের এয়ারপোর্টে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বাস্টার্ড বলে গালি দেয় তখন গণ্ডারের চামরা না খালি হাড্ডিতে গিয়েও লাগার কথা বলাই'দা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সুঁই-চালুনির গীত আর কি
আমরা গ্রামে একটা কৌতুক শুনতাম, এক বুড়ি আরেক বুড়িকে বলছে, "খুদ খাইসনা, ****"
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
এয়ারপোর্টে যে সার্ভিসটা প্রাপ্য, সেটা না পেলে গালিটা আসবেই, যার কাছ থেকে গালিটা এলো, তার দেশ কতোটা বাজে, এটা গুরুত্বপূর্ণ না। এটা গুরুত্বপূর্ণ হলে পৃথিবীর কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার বাংলাদেশীদের থাকে না।
ভারতীয়রা সার্ভিস খারাপ দিলে তারাও গালিটা ডিসার্ভ করে। তারা খারাপ বলে আমাদের এয়ারপোর্টে তাদের প্রাপ্য সার্ভিসের ঘাটতির ব্যাপারে কথা বলার অধিকার হারায় না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কোন অবস্থাতেই গালি গ্রহণযোগ্য কিছু না বস। তবে হ্যাঁ, ঐ গালি অবশ্যই আক্ষরিক অর্থে উনি হয়তো ব্যবহার করেন নি, মনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে তা বুঝতে পারছি।
পিপিদা, এখানে গালিটা প্রতিবাদের ভাষা। নিয়মানুযায়ী অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কথা। যেহেতু বাংলাদেশে এসব অভিযোগ করে কোনো লাভ নেই, সেহেতু গালিই শেষ ভরসা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হয়ত ওদের কাছে তাই, কিন্তু তাও গালি দেওয়াটা কোন কাজের কথা নয়, আর এভাবে জাত তুলে গালি দেওয়া তো কোনো সভ্যলোকের ভাষা কি করে বলি। আমি কখনওই বলছি না যে আপনি ওদের সমর্থন করছেন, তবে এবিষয়ে আমি পিপিদার মতাবলম্বী। দেশ তুলে গালি আদৌ কোন ভরসা কি হতে পারে? বরং যদি লোকজন এসে ব্যাটাদের দুঘা বসিয়ে দিত, তখন হিতে বিপরীত হত...
গালি দেয়ার সাথে সভ্যতা-অসভ্যতার প্রশ্ন এতো সোজাসুজি জড়িত না। আমারে ঘন্টার পর ঘন্টা আকামে হয়রানি করলো, আর আমার মুখ থেকে চ-বর্গীয় শব্দ বের হলেই আমি অসভ্য হয়ে গেলাম, এরকম হলে কেমনে কি? হয়রানির প্রতিক্রিয়া হিসেবে শুধু দেশ কেন, দেশের মা-বাপ তুলেও গালি দেয়া জায়েজ, বিশেষ করে, যেখানে হয়রানি প্রতিরোধের আর কোনো রাস্তা খোলা না থাকে। হয়রানির শিকার হয়ে সভ্যতা দেখিয়ে মুখ বন্ধ রাখা বরং অন্যায়; কারণ, তাতে অন্যায়কারী আরো বেড়ে যায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- যে গালি দিলো তার দেশ কতোটা বাজে, সেটা নিয়ে বলছি না। বলছি যে গালি দিলো তাকে নিয়েই। সে কতোটা বাজে, সেটা নিয়ে। সে বাংলাদেশে সবকিছু টু দ্য পয়েন্ট না পেলে একবার 'বাস্টার্ডের দেশ' বলে গালি দিতে সক্ষম হলে আগে নিজেকে চৌদ্দবার 'বাস্টার্ড' বলে গালি দিতে হবে একজন ভারতীয় হিসেবে। সে কি সেটা করবে? যদি না করে তাইলে তার মুখ থেকে আমি 'বাস্টার্ড' জাতীয় গালি শুনতে ইচ্ছুক না, স্যরি।
আমাদের এয়ারপোর্টে লাগেজ বেল্টে লাগেজ ঠিকমতো না আসলেই "এরা কেবল টাকা খায়", “উই আর ইন বাংলাদেশ। ইয়ার, এভরিথিং হ্যাপেনস হিয়ার।“— এই কথাগুলো হজম করার মতো শক্তি আমার পাচকযন্ত্রে নাই। আবারও বলছি, এই কথাগুলো যদি এমন কোনো দেশের নাগরিক বলতো যাদের এসংক্রান্ত কোনো দায় নাই, আমি মেনে নিতাম এক বাক্যে। কিন্তু ভারত আর পাকিস্তান? হুঁ-শ-শ-শ!!
আমাদের হাজারটা সীমাবদ্ধতা আছে। সেগুলো স্বীকারও করি আমরা। আমাদের পাছায় গু রেখে আরেকজনকে গিয়ে আমরা বলি না যে ভাই তোমার পাছা ধোও। পোস্টে উল্লেখিত ভারতীয়রা সেটা করে আমাদের দেশে এসে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এটা প্রতিযোগিতার বিষয় না, এটা প্রাপ্য সার্ভিসের প্রশ্ন। সমস্যা যতোক্ষণ থাকবে, ততোক্ষণ কথা শুনতেই হবে। কথা শুনতে না চাইলে সমস্যা দূর করা উচিত।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- আমি বোধ'য় আমার পয়েন্ট পরিষ্কার করতে পারি নাই বলাই'দা।
সমস্যার কারণে কথা শুনতে আমার আপত্তি নাই, কিন্তু কার কাছ থেকে শুনছি, এইটা নিয়ে আমার তীব্র আপত্তি'র অবকাশ আছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনেকগুলো কমেন্ট পড়লাম। সব পড়ে মনে হল একজনের পয়েন্ট - বাংলাদেশিদের এই ধরনের সার্ভিস চলতে থাকলে "হাই" এর পরিবর্তে "হ্যালো বাস্টার্ড" একটি প্রচলিত ও গ্রহনযোগ্য স্যালুটেশন হতে পারে এবং এতে কোনরকম অবার হওয়ার অধিকার রাখি না? এই রকম ভাবনা এই দেশের আরও কিছু লোকের মধ্যে যদি থাকত, "বাস্টার্ড, বাস্টার্ড" জিকির শুনতে শুনতে পথে-ঘাটে, অফিস-আদালতে চলতে হত। যেহেতু, গালিই শেষ ভরসা!
তানজিম সাকীব
ভাইরে, গালি খাওয়ার কাজ করলে গালি খাবে, সোজা হিসাব। আমার দেশের বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হওয়া কেউ আমাকে 'হাই বাস্টার্ড' বললে আমি সেটা মাথা পেতে নেবো; কারণ, আমার দেশে এই হয়রানিটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা না, এটা একটা প্র্যাকটিসে পরিণত হয়েছে। দায়টা আমারও। অন্যায় করে সেটা নিয়ে উলটা গোয়ার্তুমি করাটা আমার কাছে অসম্মানের মনে হয়; কারণ, এতে অন্যায়টা শুদ্ধির চেয়ে ভবিষ্যতে অন্যায়ের পথ সুগম করা হয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এয়ারপোর্টের সামনে বড় করে একটা বিলবোর্ডে "আমরা বাস্টার্ডের দেশ" লিখলে বোধহয় আপত্তি করাদের মধ্যে একজন বাদ পড়তে পারে। কারন আমরা ডিজার্ভ করি, আফটার অল, তাই না?! আমরা বাস্টার্ড জাতি কিনা এটা ভ্যালিডেশনে আসলে আমার ব্যাক্তিগত আগ্রহ কম। কারন এটা গিয়ে শেষমেষ সেই মান্ধাতা আমলের বিতর্কে গিয়েই শেষ হবে।
সংক্ষিপ্ত জবাব দেয়াতেই আমার সব সময় আগ্রহ, কারন কারো এত বড় জবাব পড়ার সময় হয় না। সেক্ষেত্রে অনেক সময় অনেক ডিটেইল মিস হয়ে যায়। যাই হোক, মনে হল আপনিও কিছু জরুরী ডিটেইল মিস করেছেন।
আপনার মন্তব্য মজার।
তবে বিমানবন্দরের আচরণ পরিবর্তিত না হলে ওখানে 'এটা একটা বাস্টার্ড বিমানবন্দর, যেকোনো হয়রানি বিনাবাক্যে মাথা পেতে নিন' লিখে বিলবোর্ড লাগানো উচিত। তাতে সবাই আগে থেকেই প্রস্তুত থাকবে, দেশের সম্মান বাঁচানোর নাইটগিরি করতে (ইনফ্যাক্ট, অন্যায়কারিকে বাঁচাতে এবং ফলস্বরূপ দেশের সম্মানের বারোটা বাজাতে) আমাদেরকে আর চোর পালালে বুদ্ধি বাড়িয়ে কান্নাকাটি করতে হবে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- ভাই, যেকোনো এয়ারপোর্টেই লাগেজ আসতে দেরি হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না। কিন্তু নিজের নাকের ডগায় দাঁড়িয়ে নিজের দেশকে 'বাস্টার্ডের দেশ' বলে গালি দিলে, বিশেষ করে ভারতীয় কেউ, তাকে কোনো কথা ছাড়াই কানসা পাতালি কষে চটকানা মারা উচিৎ। যে নিজের পাছায় নয় মণ গু রেখে বাংলাদেশকে বাস্টার্ডের দেশ বলে গালি দিতে আসে তার প্রতি কোনো ভদ্রতা দেখানোতে ভদ্রতা করার মতো অভদ্র আমি নই ভাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার আনুভূতি জেনে সাহস বাড়ছে।
তানজিম সাকীব
করা উচিত ছিল কিন্তু করিনি সময়মত- এই অনুশোচনা আসলেই অনেকদিন মাথার ভিতরটা জ্যাম করে রাখে। তবে আমার মতে কনফ্রন্ট যদি করতেই হয় তাহলে মাথা ঠান্ডা রেখে যুক্তি দিয়েই করা উচিত। এসব ক্ষেত্রে অনেক সময়ই মাথা ঠান্ডা রাখা কষ্টকর। আমারই থাকেনা।
ভাল করেছেন সবার সাথে এই ব্যাপারটা শেয়ার করার জন্য।
অনন্ত
মতামত জেনে ভাল লাগল।
তানজিম সাকীব
@কৌস্তুভ- "গরীব ছোটভাইকে" ????
কী বোঝাতে চাইলেন
সাইদ, উত্তরটা ওখানেই দিলাম, একটু দেখে নিন দয়া করে।
সেদিন আমার এক আমেরিকান ফ্রেইন্ড আমাকে বলছিলো কোনো এক বারে বসে আমাদের দুজনেরই পরিচিত এক সেীদি ছেলে বলেছে "Bangladesh is a country of thieves and dogs"... আমার বন্ধুটি আমেরিকান হযেও তীব্রভাবে এর প্রতিবাদ করেছে। গত সপ্তাহে শুনলাম এঘটনা... এর পর ছেলেটার সাথে দেখা হলে কি করব জানিনা..
খুব একটা কিছু হয়তো করবো না... আমেরিকায় বসে আমার বাংলাদেশী বন্ধুরা যখন আমেরিকাকে গালি দেয় আমি তখনও খুব একটা কিছু বলি না... ওরা বোঝে না আমরা বাংলায় বলি বলে । ঐ ব্যক্তি আরবিতে একই কথা বললে হয়তো আপনিও বুঝতেন না... বুঝলেও বেশি কিছু কি করার ছিল? কিছু একটা বলা যেত.. কিন্তু কি লাভ বলে... যার যা ইচ্ছা বলতে থাকুক ... দুই একজন সব সময়ই এমন বলবে... এটা শুধরে দেওয়া মানে তার একটা উপকার করা... আমি তা করতে রাজি নই... কোনো না কোনো একদিন সভ্য দুনিয়ার সামনে এমন কিছু বললে ধরাটা সেই খাবে।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
বেনাপোল বর্ডারে যেই সার্ভিসের কথা শুনি তাতে আপনি পরেরবার একই রকম ঘটনার সামনে পড়লে একটু চড়া গলাতেই ছন্দে ছন্দে সূঁচ-চালুনির ছড়াটা শুনিয়ে দিতে পারেন
এটা বলেছি রাগ দমনের জন্য
তবে এটা অবশ্য অস্বীকার করার জো নেই যে বিমানবন্দরে অনিয়ম খুব বেশী হচ্ছে ...
এবার দেশ থেকে আসার সময় দেখি ইমিগ্রেশন চেকের কাউন্টারে সবার ছবি তোলা হচ্ছে, আনাড়ী অফিসার, একেকজনের জন্য সময় নিচ্ছে নরমালের চেয়ে কয়েকগুণ বেশী, দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে লোকজনের অবস্থা খারাপ। দেশী পাসপোর্ট/বিদেশী পাসপোর্ট সবার লাইনেই একই অবস্থা। সবখানেই অফিসার ছবি তোলার কাজে আনাড়ী। লোকজন ভীষন বিরক্ত, বিশেষ করে বাচ্চা কোলে মায়েরা, কতক্ষণ এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা যায়!!
এরমধ্যে দু'জন বৃটিশ পাসপোর্টধারী মহিলা তরতর করে এসে আমাদের দেশী পাসপোর্টের লাইনের একদম সামনে চলে গেলেন, মহামান্য অফিসারকে ওপাশ থেকে এক "ভদ্রমহিলা" সবার চোখের সামনেই নির্বিকারভাবে হাতের ইশারায় কি যেন ইঙ্গিত করলেন, অফিসার সুন্দরভাবে অন্যদের কাজ ফেলে দুই মহিলার পাসপোর্ট নিয়ে কাজ শুরু করে দিলেন।
এখন বলুনতো ঐ পাশ থেকে ইঙ্গিত দিয়েছেন কে?
ইঙ্গিতটা দিয়েছেন চেক-ইনের সময় কাউন্টারে বসে থাকা গ্রাউন্ড স্টাফদের লিডার (এখানে এখন এয়ারলাইনসের লোকেরাই বসেনা, এয়ারপোর্টের লোকও বসে), কাউন্টারে দেখেছিলাম ঐ লিডারকে চারপাশের লোকজন শুধু "ম্যাডাম, ম্যাডাম" করছে। আর বৃটিশ পাসপোর্টের ব্যাপারটা উল্লেখ করলাম এইজন্য যে, বিদেশী পাসপোর্টের লাইনে ক্রম ভেঙে মহিলাদ্বয়কে আগে সুযোগ দেয়ার সাহস মাননীয়া লিডারের হয়নি, তিনি দেশী হাড়-হাভাতেগুলোর উপরই কুঠার চালিয়েছেন। দুই বিদেশী পাসপোর্টধারী "সভ্য" নাগরিকও খুব সুন্দরভাবে অনিয়মটার সুযোগ উপভোগ করে নিলেন, আবার দেখা যাবে বৃটেনে গিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে নাক সিঁটকাচ্ছেন, "দেশে কোন সিস্টেম নাই" বলে।
আমাদের লাইনের লোকজন ভালোই প্রতিবাদ করছিলো ঘটনার, কিন্তু ঐ দুই মহিলাসহ ইমিগ্রেশন কর্তাব্যক্তি, গ্রাউন্ড লিডার তারা সবাই এমনভাব করছিলেন যে কিছু শুনতে পাচ্ছেননা।
একসাথে একদল মানুষ যে এতটা নির্লজ্জ হতে পারে, জীবনে এই প্রথম দেখেছি!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ঠিক উল্টো কানাডিয়ান একটা ঘটনা শোনাই তাহলে?
আমি বসে আছি ডায়াগনস্টিক ল্যাবে, রক্তের স্যাম্পল দিবো। আমি (এদর ভাষায়) ভারতীয় মানুষ, ভিজিবল মাইনরিটি। ল্যাবে গিয়ে প্রথমেই একটা শীটে নাম লিখে বসে থাকতে হয়। তারপর নাম ধরে ডাক আসে। আমার পাশে এক মহিলা (সাদা এবং খুব সম্ভবত কানাডিয়ান) ডিজ্যাবল একজন মানুষ নিয়ে আসলেন। (এখানে এরকম প্রায়ই দেখেছি বয়স্ক কোন মহিলা মাঝবয়েসি ডিজ্যাবল একজন মানুষকে পথ চলতে সঙ্গ দিচ্ছেন)। ভদ্রমহিলা আমার পরে এসে নাম লিখে আমাকে অনুরোধ করলেন তাঁর সাথের মানুষটা রক্ত দিতে ভয় পায়। অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে নিয়ে এসেছেন-- আমার আগে যদি উনি যান তাহলে আমি সেটা এলাও করবো কিনা। আমি অবাক হয়ে (সেটা প্রকাশ না করে) সানন্দে রাজী হলাম।
তার কিছুক্ষণ পরে ল্যাবের সেই মেয়েটা এলো। এসে আমার নাম ধরে ডাকতেই ডিজ্যাবল মানুষটার সাথের ভদ্রমহিলা সেই একই কথা তাকে বললনে। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে ল্যাবের মেয়েটি রোবটের মতো সিরিয়ালের কথা শুনিয়ে দিল, ভদ্রমহিলার কথা শুনলোই না
এজন্য আমারো কানাডায় বসে ধর্মের দোহাই দিয়ে কিংবা অন্য কোনকিছুর দোহাই দিয়ে যখন কেউ এদেশের নিন্দা করে তখন আমি সেখান থেকে উঠে যাই, আমার অরুচি লাগে। সেরকম কিছু ঘটনা আছে, যেগুলো কোন এক দিন শেয়ার করবো।
জ্বিনের বাদশা ভাই, আপনার বর্ণনার এই ঘটনা থেকেই বুঝা যায়, কেউ বাংলাদেশকে বাস্টার্ডের দেশ বলে গালি দিলে তার প্রতিবাদ না করে ওই লিডার মহিলাকে গিয়েই গালি দেয়া উচিত, "শুয়োরের বাচ্চা, তোদের জন্যই বাংলাদেশকে মানুষ বাস্টার্ডের দেশ বলে।" এতে তাদের আকামের প্রতিবাদ করা হয়, সাথে বিদেশিকেও বুঝানো হয়, বাংলাদেশেও মানুষ আছে। এটা না করে উলটা বিদেশিকে দু'কথা শুনিয়ে দিলে ওই জেনুইন বাস্টার্ড লিডার মহিলাই সেই সুযোগটা উপভোগ করে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- ঐ লিডার মহিলাকে যেমন "শুয়োরের বাচ্চা, তোদের জন্যই বাংলাদেশকে মানুষ বাস্টার্ডের দেশ বলে" বলে পাছায় গজারির ডাল দিয়ে বাড়ি মারা উচিৎ তেমনি কোনো ভারতীয় 'বাস্টার্ডের দেশ' বলে গালি দিলে "খানকির পোলা তোর সাহস কতো, আমার দেশের মাটিতে খাড়ায়া আমারেই বাস্টার্ড কস!" বলে তার কানপট্টি গরম করে দেয়া উচিৎ। নাইলে বাংলাদেশে 'মানুষ' আছে এটা প্রমাণ করা গেলেও 'পুরুষ' যে নেই, পাশাপাশি সেটাও প্রমাণিত হয়ে যায়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো, ওই লোক কিন্তু খামাখা বাস্টার্ডের দেশ বলছে না, অন্যায় আচরণের শিকার হওয়ার পরেই বলছে। দুইজনের জন্য একই ট্রিটমেন্ট না। বিশেষ করে যাদেরকে ব্যবসায়িক বা অন্য প্রয়োজনে এই হয়রানির ভেতর দিয়ে নিয়মিতভাবেই যেতে হয়, তাদের ফ্রাস্ট্রেশনটা বোঝার চেষ্টা করো। তাকে কানপট্টি জড়িয়ে চড় দেয়ার হুমকি দিয়ে বাংলাদেশে যে মানুষ আছে, সেটা প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না; বরং এটা যে বাস্টার্ডের দেশ, যেখানে অন্যায়কারীকে কিছু না বলে তার প্রতিবাদকারীর ওপর চড়াও হয়, তার সেই ধারণাই আরো পোক্ত হবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
পাদ দেয় সবাই কিন্তু দোষ পড়ে খালি ফজলুল হকের উপর।
কি মাঝি, ডরাইলা?
ভাই মাঝে মাঝে মনে হয় ইনডিয়ানরা কি আমাদের দেশ কিনে নিয়েছে। এর আগেও ইনডিয়ান টাইমসে এরকম মন্তব্য শুনেছি। আমরা দেশ হিসাবে ছোট হতে পারি কিন্তু আমাদের দেশ তো আর ওদের হাতে দিয়ে দেইনাই। এই বিষয়টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার এক বন্ধু একটা পোলিশ ট্রেইনিং কোম্পানীতে ট্রেইনার।একবার ও পোল্যান্ড থেকে ইন্ডিয়াতে যায় ট্রেইনিং দিতে। এরপর সে আসবে বাংলাদেশে।সব যোগাড়যন্ত্র এইভাবেই করা।
দিল্লী এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশনের এক কর্মকর্তা তাকে কোনভাবেই বাংলাদেশে আসতে দিবেনা।তার একমাত্র যুক্তি সে পোল্যান্ড থেকে এসেছে, পোল্যান্ডে গিয়ে বাংলাদেশে যেতে হবে।ভারত থেকে সে সরাসরি যেতে পারবেনা। সে তাকে সমস্ত পেপারস দেখানোর পর একই ঘ্যানরঘ্যানর। ফ্লাইট মিস হয় হয় অবস্থা।যাহোক শেষমেষ তাকে বাংলাদেশে আসতে দিয়েছিলো।
এখন সে জন্য সে যদি ভারতকে "বাষ্টার্ডের দেশ" বলে গালি দেয় সেটা কি ঠিক হবে!তখন কি আমরা বলবো যতক্ষণ পর্যন্ত না এমন কর্মকর্তা থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তার গালি দেওয়া জায়েয!
ইন্ডিয়ান এয়ারপোর্ট সম্পর্কে ধারণা নেই। তবে তাদের সার্ভিসের রেগুলার অবস্থা যদি ওরকম হয়রানির হয়, তাইলে অবশ্যই গালি দেয়া জায়েজ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
প্রথমত যে লোকটা গালাগালি করছিলো যে শব্দ প্রয়োগ করে তাতে প্রমানিত হয় যে সে অতিমাত্রায় বাজে, নোংরা একজন লোক। আপনি যদি ওই অবস্হায় তার কথার প্রতিবাদ করতেন তবে কি ঘটতো?
হয়তো তার দেশ নয় বলে সে চুপচাপ শুনে যেতো, বেশী ফালতু লোক হলে আপনার সাথে তর্ক লাগিয়ে দিতো। ধূসর গোধুলী দাদার মতোন যদি আপনি কানসা পাতালি কষে চটকানা মারতেন কি হতো ? একটা বাজে লোকের জন্য আপনি একটা বিশ্রী পরিস্হিতির মুখোমুখি হতেন। আর নিজের জীবনের অভিজ্ঞতাতে দেখেছি এভাবে প্রতিবাদ করে আপনি কোন কিছুই বদলাতে পারবেন না। প্রতিবাদের ভাষা হতে হবে সংঘবদ্ধ'তায়, তবেই হয়তো পরিবর্তন সম্ভব। অবশ্যই আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি, ভালোবাসতে চাই।
কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের যারাই এদেশের ক্ষমতায় বসে তারাই ..........................আমাদের গালি শোনাবার ব্যবস্হাকে আরো শক্ত গাথুনিতে বুনন করে দিয়ে যায়।
আপনি আমারে হয়রানি করবেন আর আমি মুখ খুললেই বাজে লোক হয়ে যাবো? বাহ! এই ভাবনার জন্যই আমাদের এই অবস্থা। ঘটনার বিচার ঘটনা দিয়া করেন, দুয়েকটা শব্দ শুনে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লে বিচার-বিবেচনাবোধ সেখানেই অক্কা পায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- এর চেয়েও বেশি হয়রানির শিকার হয়ে আপনি ভারতের কোনো এয়ারপোর্টে বা হাওড়া স্টেশনে উচ্চস্বরে "ইন্ডিয়ানরা সব বাস্টার্ড" কিংবা "ইন্ডিয়া বাস্টার্ডের দেশ" নামক উচিৎ কথা বলে দেইখেন বলাই'দা। সেখান থেকে সুস্থাবস্থায় ফিরে আসলে পরেই তখন এ নিয়ে কথা হবে নি আমাদের মাঝে, কেমন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি দুনিয়ার খুব বেশী বিমান বন্দর দেখি নাই। কিন্তু ঢাকা বিমান বন্দর আমার সব চেয়ে অপছন্দের। যতোবার গিয়েছি হয়রানি ছাড়া ঢুকতেও পারি নাই, বেরও হতে পারি নাই। ঢুকার সময় লাগেজের জন্য দুই ঘন্টা সব সময় নির্ধরিত। এর কোন ব্যতিক্রম এখনো পর্যন্ত দেখি নাই।
বের হওয়ার সময়ও কোন কিছু খুজে না পেলে অন্তত এই শেষ প্রশ্নটা করবেই, নামাজ পড়েন তো? অথচ এর আগে কতো হাইকোর্ট দেখায়! কোন কিছুতে কাজ না হলে বলবে, ভাই কয়টা টাকা দিয়া যান ছেলে-মেয়ে নিয়া খামু।
জানিনা ব্যপারটা শুধু আমার বেলাই ঘটে হয়তো।
ঢাকা বিমান বন্দর আমার দেখা পৃথিবীর সব চেয়ে নিকৃষ্ট জায়গা। আমি জানি এর প্রতিকার আমার হাতে নেই। কাজেই চুপচাপ সব সহ্য করি। আমারইতো দেশ। এর অবস্থা খারাপের জন্য আমারও দোষ আছে। যেমন আছে দেশের অন্য সব অরাজকতার জন্য। উপরের দিতে থুতু ফেললে নিজের গায়ে পড়ে, খামাখা মুখ নষ্ট করে লাভ কী!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আমরা গালি না দিলাম, বিদেশিরা গালি দিলে ঠেকাবে কে? আমরা সব তালপাতার সেপাই তখন বিদেশিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বো 'হারামজাদা, গালি দিলি ক্যান' বলে আর বিমানবন্দরে কাজ করা জেনুইন বাস্টার্ডরা তা দেখে বগোল বাজাবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাইদা,
আমরা গালি দিলে মার খাওয়ার ভয় আছে। কয়েক বছর আগে এক ভদ্রলোককে বিমান বন্দরের কর্মকর্ত কর্মচারীরা মিলে পিটিয়ে মেরে ফেলে ছিলো। তার বউ-বাচ্চা এয়ার পোর্ট থেকে ফেরেত পেয়েছে তাদের মৃত প্রিয়জনের লাশ। লাশ হয়ে ঘরে ফিরতে চাই না। আর বিমান বন্দরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সব সময় ক্ষমতাশীন রাজনৈতিক দলের স্নেহভাজন থাকেন। কাজেই কোন নিয়ম-নীতি এদের জন্য খাটে না।
বাংলাদেশের দোজখ-বাসটা অল্পদিনের এবং সেটা ঢাকা বিমান বন্দর থেকেই শুরু হয়। এই দোজখ থেকে ফেরার যেহেতু পথ আছে, কাজেই সব মেনে নেই।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
পুতুল ভাই, ওই ঘটনার কোনো লিংক আছে? আরেকটা মারপিটের ঘটনা পেলাম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
- মনে হচ্ছে বারবার ভুল মেসেজ পাচ্ছেন বলাই'দা। হয়তো আমারই ব্যর্থতা।
মন্তব্যের কোথাও অন্তত আমি বলি নি যে বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট কিংবা আমাদের গোটা দেশ বসরার গোলাপের বাগান। এর কোনো সমালোচনা করা যাবে না, এমন কথাও বলেছি কি? কোনো বিদেশী অনিয়মের স্বীকার হয়ে গালি দিলেই তার উপর চড়াও হওয়া ফরযে আইন, এমন কথাও মন্তব্যে আসে নি। কোথাও ভুল বুঝে থাকলে উল্লেখ করুন, আবারও পরিষ্কার করে দিচ্ছি।
আমার সোজাসাপ্টা পরিষ্কার কথা, "কোনো ভারতীয়'র কাছ থেকে, আই রিপিট, কোনো ভারতীয়'র কাছ থেকে অনিয়মের কারণে 'বাস্টার্ডের দেশ' গালি শুনতে আমি রাজী না!"
আপনি কেনো ভারতীয়দের কাছ থেকে গালি শুনতে ইচ্ছুক, সেটা আমি বুঝতে পারছি না। "অনিয়মের স্বীকার হয়ে গালি দিয়েছে", এছাড়া অন্য কোনো কারণ থাকলে সেটা জানতে ইচ্ছুক আমি। কারণ, একজন ভারতীয় অনিয়মের ধোঁয়া তুলে বাস্টার্ডের দেশ বলে গালি দিবে, আর এটা আপনি সমর্থন করছেন, এটা মানাটা আমার জন্য একটু কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। দুঃখিত।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি হুদাই আগ বাড়িয়ে আকাম করলে যার সাথে আকাম করা হচ্ছে, সে অবশ্যই আমাকে গালি দেয়ার অধিকার রাখে। ভারতীয় হলে অনিয়মের শিকার হয়ে গালি দিতে পারবে না কেন? সীমান্তে বিএসএফের আকামের জন্য ভারতকে ডাবল বাস্টার্ডের দেশ বলা হোক; কিন্তু আমাদের বিমানবন্দরে নিয়মমাফিক হেনস্তা হওয়ার জন্য আমাদেরকে গালি দেয়ার অধিকার কেউই হারায় না, সেটা ভারতীয় হোক, পাকি হোক আর ইজরায়েলী হোক।
আমি গালিটা শুনতে ইচ্ছুক না বলেই সমস্যার মূলে ফোকাস করতে চাই। গালিটা না শুনতে চাইলে আমার আচরণকে ভালো করতে হবে, যতোক্ষণ আচরণ ভালো না হচ্ছে, ততোক্ষণ গালিটা হজম করা ভিন্ন উপায় নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সবাই মুখে কি সব কথা মানায় বলাই ভাই ? ধর্মের নামে মানুষ হত্যা অন্যায়, কথাটা তো ভুল না।কিন্তু এই কথাটা গোলাম আযম বললে আপনার কেমন লাগবে ?
অমিত, গোলাম আযম তার ন্যায্য সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হলে সেটার প্রতিবাদ করতেই পারে। তোমার গোলাম আযম সিনারিওর সাথে একটু পার্থক্য আছে, ভারতীয় ওই লোক থার্ড পার্সন হিসেবে অকারণে বাংলাদেশকে গালি দিচ্ছে না, নিজেই বাংলাদেশের বিমানবন্দরে হয়রানির পরে দিচ্ছে।
ধরলাম বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ দেশ, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, খুনখারাপিতে ভরপুর। এখন আমি বাংলাদেশী বলে কি আমেরিকায় কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে বলতে পারবো না?
আমার জানামতে আমরা বিদেশে বাংলাদেশের তুলনায় অনেক ভালো সার্ভিস পেয়েও একটু হয়রানির শিকার হলেই সেই দেশ ও জাতি তুলে গালি দেই। যেমন, বাংলাদেশীদের মুখে 'জার্মানরা রেসিস্ট' কথাটা গত কয়েক বছরে শুনতে শুনতে কান পঁচে গেছে; কিন্তু জার্মান সিস্টেমের ওভারঅল সার্ভিসের জন্য তাদের স্যালুট প্রাপ্য। এর মধ্যে রেসিজমের যারা শিকার হয়, তারা রেসিস্ট বলে গালি দিলে পুরা জার্মান জাতিকেই গালি দেয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
না সিনারিওর কোনও পার্থক্য নাই।বেনাপোল বর্ডারের ঘুষের বহর দেখলে এইকথা বলতেন না।নিজের দেশেরটা ঠিক থাকলে অন্য দেশের সমালোচনা করা যায়। দমদম এয়ারপো্র্ট থেকে আমার ঢাকা এয়ারপোর্টের সার্ভিস এমন কোনও কমবেশি লাগেনি, যদিও প্রথম এয়ারপো্র্টে আমি শেষবার গিয়েছিলাম ১০ বছর আগে।
আমেরিকার অনিয়মের বিরুদ্ধে বলতেই পারেন। তবে যদি সেটা দেশ, জাতি এগুলার সংগে তুলনা করে দেন, তাহলে অভিযোগটার কোনও ওজন থাকবে না।
আখাউড়া দিয়ে যখন আগরতলা গেলাম তখন আমাদের তিন সহযাত্রীকেই বাংলাদেশে দেড়শ টাকা করে ঘুষ দিতে হলো। না দিলে সোজা জবাব, তারা সিল-ছাপ্পড় মারবে না। দেড়শ টাকা করে ঘুষ দিয়ে মোট দু'ঘণ্টায় তিন জনের কাজ শেষ করে যখন ভারতীয় কাস্টমসে গেলাম কোনো টাকা ছাড়াই ১৫ মিনিটে তিনজনের সব কাজ শেষ হয়ে গেল।
উল্টো পথে আসার সময় একই ঘটনা। ওদিকে টাকা ছাড়া ১৫ মিনিট সময় লাগলো আর এদিকে আবারো ১৫০ টাকা করে দেড় ঘণ্টা সময় লাগলো।
এ অবস্থায় ভারতীয়দের গালিগুলো না হয় না-ই বললাম, কিন্তু বাংলাদেশীদের দেওয়া গালিগুলোও শুনলে নাকি অযু করতে হয়!
×××
গালি দেবার মানসিকতা থাকলে গালি খাবার মানসিকতাও থাকতে হয়। একের অপরাধে অন্যকে যদি গালি দিতে পারি, তাহলে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের ইনবিল্ট সিস্টেমে পরিণত হওয়া দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশী হিসেবে গালিটা আমাদেরই খেতে হবে। আফটারঅল, ওখানে যারা আছে তারা আমাদেরই প্রতিনিধি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
২০০২-এ বেনাপোলে আমার ঠিক উল্টো ঘটনা ঘটেছে। পার হওয়ার আগে ভারতে পড়াশুনা করে এমন একজনের সাথে পরিচয় হল। তার কাছে থেকে আগেভাগে কিছু জেনে নেয়ার চেষ্টা করলাম। সে শুধু একটা কথাই বলল-- সীমানার এপাড় আর ওপাড়ে মানুষে-মানুষে যে কত যে পার্খক্য সেটা গেলেই বুঝবেন। উনি সীমান্তের মানুষদের কথাই বুঝিয়েছেন, দেশের সব মানুষের কথা বলেননি।
হলোও তাই। এপারে আমরা সুন্দর সিল সাপ্পর নিয়ে ওপাড়ে গিয়েই পড়লাম খপ্পরে। দেড়শ করে টাকা চাইল, নাহলে নাকি লাগেজ চেক করতে পাঠাবে। লাগেজ চেকে পাঠানো আর কিছুই না, হয়রানি। আমার কাছে খুচরা তেমন টাকা পয়সা ছিলনা, যা ছিল প্রায় ৭০-৮০ টাকার মতো, তাই দিয়ে বললাম আর নাই আমার কাছে। ভদ্রলোক টাকা হাতে নিয়ে আমার দিকে হা করে বললেন-- "দুই জনে এই টাকা?"
তবে কাস্টমসে ওনাদের ব্যবহার খারাপ ছিলনা।
ফেরার পথে কোনখানেই টাকা দিতে হয়নি।
নতুন মন্তব্য করুন