১.
চিকচিক করে রোদ
লিকলিক কড়ে
ফিকফিক হাসে সোনা
গড়াগড়ি করে
২.
চিটচিটে ঘাম দিলে
খিটখিটে মেজাজে
গিঁটগিঁটে বেদনাটা
এ সময়ে কী কাজে?
৩.
ক্যাঁকক্যাঁক করে ছা
প্যাঁকপ্যাঁক হাঁস
ভ্যাকভ্যাক করে ঘুম
দেন হরিদাস
৪.
কটকটে রোদ্দুরে
খাটে দিন-রাত
চটপটে ছেলেটার
তবু নাই ভাত
৫.
পড়িমড়ি ভিতু ছোটে
তড়িঘড়ি শয়তান
হরি হরি জপে সাধু
হরি মরি পায় ত্রাণ
কুটুমবাড়ি
মন্তব্য
প্রথমে সমালোচনা করি। ছড়াগুলো ভাল লাগলো না। খুব বেশি ম্যাড়ম্যাড়ে মনে হলো।
ওহে কুটুম, জরুরী ব্যাপার হচ্ছে ছড়ায় বানান ভুল ছড়ার বারোটা বাজিয়ে দেয়।
ভিতু/ভীতু - কোন বানানটা বেশি শুদ্ধ? সংসদ অভিধানে দুইটাই আছে দেখি!
কি মাঝি, ডরাইলা?
মন্তব্য দেয়ার জন্য ধন্যবাদ, দ্রোহীদা।
হুম... একটু ম্যাড়ম্যাড়ে হয়েছে ঠিকই। ভাব বা বিষয়বস্তু হিসেবে তেমন কিছু ছড়ায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শব্দের ওপর বেশি জোর দিতে গিয়ে মনে হয় ব্যাকফায়ার করসে।
উদ্ধৃতি
লিকলিক কড়ে
- করে হবে না?
'কড়ে' শব্দের অর্থ কনিষ্ঠ। কড়ে আঙুল যেমন লিকলিক করে তেমনটি বোঝাতে চেয়েছিলাম। ১, ৩, ৫ - এই তিনটি ছড়ার দ্বিতীয় লাইনগুলোয় ক্রিয়াপদ উহ্য আছে, দ্বিরুক্তি ঠেকাতে। আমি তো কুটুম, এডিট করতে পারছি না। না হয় বিশেষ করে ১ নং ছড়াটা এডিট করে দিতে পারলে ভালো হতো।
'ভিতু' বানানটাই ঠিকাছে। সংস্কৃত 'ভীত' শব্দটির সাথে বাংলা উ প্রত্যয় যোগ হয়ে শব্দটি তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ শব্দটি তৎসম নয়। তাই অকারণ ঈ-কার পরিত্যাগ করতে পারলেই ভালো মনে করি। বাংলা একাডেমীর ব্যবহারিক বাংলা অভিধানেও প্রথমে আছে 'ভিতু' (একই ভুক্তির প্রথম বানানটি প্রমিত, অভিধানটির নিয়ম অনুসারে)।
চেষ্টা করতাসি তো ভালো ছড়া লেখার। একটু হাত মখসো করতাসি, আপ্নাগোরে ভালোই জ্বালামু মনে হইতাসে সামনে।
কুটুমবাড়ি
আমার কাছে ভালো লাগছে।
আব্জাব!
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
ধন্যবাদ
কুটুমবাড়ি
আবজাবই তো, মজাই লাগল।
মধুবন্তী মেঘ
অনেক ধন্যবাদ। মজা পেয়েছেন জেনে ভালো লাগল
কুটুমবাড়ি
আমার কাছে একটু "ননসেন্স" বা আবোল-তাবোল জাতীয় প্রচেষ্টা মনে হলো।
দুই আর তিন তাতে অনেকটাই সফল। চলতে থাকুক।
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
সাঈদ ভাই, অনেক ধন্যবাদ।
কুটুমবাড়ি
নতুন মন্তব্য করুন