বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফির ওপর ৪.৫% মূল্য সংযোজন কর(মূসক) আরোপের প্রস্তাব। গত কাল এ.আই.উ.বি তে পড়ুয়া আমার ছোট ভাই এর কাছে খবরটা শুনেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। কি অদ্ভুত! অন্য সব বাণিজ্যিক পণ্য এবং সেবা দান কারি প্রতিষ্ঠানের মত বিশ্ববিদ্যালয়কও মূসক দিতে হবে। এবং এটা শুধুমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর জন্য প্রযোজ্য; যেখানে টিউশন ফি আগে থেকেই আকাশ চুম্বী। এই ব্যয় যে শেষ ...বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফির ওপর ৪.৫% মূল্য সংযোজন কর(মূসক) আরোপের প্রস্তাব। গত কাল এ.আই.উ.বি তে পড়ুয়া আমার ছোট ভাই এর কাছে খবরটা শুনেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। কি অদ্ভুত! অন্য সব বাণিজ্যিক পণ্য এবং সেবা দান কারি প্রতিষ্ঠানের মত বিশ্ববিদ্যালয়কও মূসক দিতে হবে। এবং এটা শুধুমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর জন্য প্রযোজ্য; যেখানে টিউশন ফি আগে থেকেই আকাশ চুম্বী। এই ব্যয় যে শেষ পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবককেই বহন করতে হবে তা বোঝার জন্য রকেট ইঞ্জিনিয়ার হবার দরকার হয় না। এমনিতেই এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি দিতে হিমশিম খেতে হয়। পর্যাপ্ত সংখ্যক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু করতে ব্যর্থ রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকগন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো ছাত্রদের খরচ বহন করতে যেয়ে নাভিশ্বাস উঠা পরিবারটি কে কিভাবে সাহায্য করা যায় সেদিকে নজর দেয়া তো দূরে থাক, তারা আছেন যন্ত্রণা বাড়ানোর তালে। গতকাল খবরটি প্রকাশ হবা মাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে সরকার তার এই অবিবেচকের মত প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
কেউ কেউ হয়তো ভাবছেন এসব জায়গায় তো শুধু ধনকুবেরের ছেলেমেয়েরা পড়ে। তাদের তো অন্তত এটুকু বুদ্ধি থাকা উচিত যে ৪.৫% কর মওকুফ করার জন্য তারা তাদের ছেলে মেয়ে কে রাস্তায় আন্দোলন করে পুলিশের লাঠি পেটা খাওয়াতে পাঠাবেন না অন্তত।
লক্ষ্য করার মত হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে। আমাদের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম সাহেব দৈনিক সমকালকে বলেছেন তিনি ব্যাপারটি জানেনই না। মহাখালী, ধানমন্ডি এলাকার চা এর দোকানদাররা পর্যন্ত সরকারের এই প্রস্তাবনার কথা জানেন। আর তিনি তখন আমতা আমতা করে বলেন অর্থমন্ত্রনালয়ের কাছে জিজ্ঞাস করে জানতে হবে ঘটনাটা কি!
প্রত্যাহার তো হলোই। তাহলে আবার এই সব নিয়ে লেখা লেখির দরকার কি? দরকারটা বলছি-
আমি আট দশটা সাধারণ মানুষের মত পৃথিবীর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে লেখা বিজ্ঞজনদের পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা পড়ি আর মাথা ঝাঁকাই। মনেমনে ভাবি এরা কত কিছু জানে। আপাত দৃষ্টিতে নিরহ কোন ঘটনার আড়ালে লুকিয়ে থাকা ষড়যন্ত্র কি সুন্দর ভাবে আমাদের মত পাঠকের কাছে তুলে ধরেন। কিন্তু আমার এই প্রচণ্ড মন খারাপ করা ঘটনাটা নিয়ে তারা সবাই আশ্চর্য জনক ভাবে চুপ রইলেন। এমন কি সমসাময়িক ঘটানায় সরব ব্লগ গুলোতে আতিপাতি খুঁজে দুই একটি ‘দুর্বলের প্রতিবাদ’ চোখে পড়ে। অনেকে আবার কর বসানোর পক্ষেও লেখা দিচ্ছেন! বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছাত্রদের জন্য ঘটনাটি শুধু মাত্র মন খারাপ করা নয়, অপমানেরও বটে। কেননা এ দেশে রেস্টুরেন্ট ব্যবসার উপর যেমন করে মূসক ধার্য করা হয় ঠিক তেমন করেই আমাদের এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর কর ধার্য করা হচ্ছিল। আর সবাই বসে বসে তামাশা করছে। যারা কিনা ৩০ টাকা বেতন ৪৫ টাকা করলে কাঁটা রাইফেল নিয়ে বের হয় তারাই কিনা উল্টো সরকারের পক্ষে সাফাই গাইছে! বাংলাদেশে এখনো (প্রায় অবৈতনিক) সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ভুর্তুকি দিয়ে চালাচ্ছে সরকার, সেই ভুর্তুকির টাকার একটা বড় অংশ যে এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছাত্রদের বাবা মা’র প্রদত্ত কর থেকে আসে তা ভুলে গেলে চলবে না। পরোক্ষ ভাবে তারা নিজের সন্তানের পাশা পাশি অন্যের ‘মেধাবী’ সন্তানদেরকেও পড়াশুনা করার অর্থ যোগানে সরকার কে সাহায্য করছে।
বাজেটে এমন একটি অবিবেচক প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে কোন শিক্ষাব্রতী, কলাম লেখক, রাজনৈতিক নেতা, প্রতিষ্ঠিত ছাত্র সংগঠনের নেতা একটি লিখিত কিংবা মৌখিক প্রতিবাদের খবরও কোন পত্রিকাতে দেখতে পেলাম না। যে দেশে ফেসবুক বন্ধের ঘোষণা দেয়া মাত্র দেশের বিরোধী দলীয় নেতারা হরতাল আর লাগাতার আন্দোলন করার ঘোষণা দেয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েরা মানব বন্ধন করে, তাদের কাউকেইতো এবার চোখে পড়লো না। এখান থেকে কি কিছু বুঝে নেবো আমরা?
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের প্রতি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছোটবেলার বন্ধুরাও যখন বিমাতা সুলভ আচরণ শুরু করে তা কিন্তু দেশের ভবিষ্যতের জন্য মোটেই ভাল ইঙ্গিত বহন করে না। কিছুদিন আগে বেসরকারি ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ নেয়ে কাজ হলো। কথা ছিল টিউশন আর অন্যান্য ফি ঠিক করবে ইউ জি সি। তখন সরকাকের নীতি নির্ধারকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের কাছে ঠিকই ‘ম্যানেজ’ হয়ে গেল। যার যেমন ইচ্ছামত টিউশন ফি নিবার নিয়ম অনুমোদন করে দিল। এখন এসেছে টিউশন ফি এর উপর কর বসিয়ে ছাত্রদের বোঝার উপর শাকের আঁটি তুলে দেবার উদ্দেশ্যে।
এই সুযোগে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছেলে মেয়ে ব্লগে ঝড় তুলেছেন- ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা হয় না। সার্টিফিকেট বেচা কেনা হয়’। এ ধরনের বিরক্তিকর বোধ বুদ্ধিহীন সরলীকরণ এর জবাব দিতে গেলে আজ আর আমার লেখা শেষ হবে না। আমার প্রবাস জীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে হোটেল রেস্টুরেন্ট এ বাসন মাঁজার কাজ করতে; আবার দেখেছি কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে আশা ছাত্র কে ফান্ড সহ পি. এইচ. ডি তে সুযোগ পেতে। (হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আর ছাত্রের পরিচয় উল্লেখ করেলে অবিশ্বাস করার পথটা হয়ত বন্ধ করা যেত কিন্তু তারাও আমার বন্ধু, তাদের দুর্ভাগ্য নিয়ে পরিহাস করতে রুচিতে বাধছে।) এখানেতো নিশ্চয়ই কেউ বলতে পারবে না যে তারা মামা চাচার জোড়ে ঢুকেছে।
পরিশেষে আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এই দুঃসময়ে তারা দেশের কোন তথা কথিত শিক্ষাবিদকে কাছে পায় নি। এমন কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটের মত দেশের সব চেয়ে ‘মেধাবী’ ‘দেশপ্রেমী’ ‘মুক্তমনা’ ছাত্র ছাত্রীরা পরস্পরের কোমল হাত হাত ধরাধরি করে কোন এক গাছের ছায়ায় মানাব বন্ধন করে রাস্তায় আন্দোলন করে পুলিসের কাছে মার খাওয়া ছাত্রদের সাথে একটু একাত্বতা প্রকাশ করার কষ্ট টুকু স্বীকার করেনি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র ছাত্রী কে আমি আমার লেখার মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আর অভিনন্দন জানাচ্ছি সরকারের একটি স্বেচ্ছাচারী, অযৌক্তিক এবং অবিবেচকের মত মূল্য সংযোজন কর আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে বাধ্য করার জন্য। তোমরা উদাহরণ হয়ে রইলে ছাত্র রাজনীতি আর ছাত্র নামধারী রাজনৈতিক গুণ্ডা-পাণ্ডার মদত ছাড়া রাজপথে পুলিশের লাঠি পেটা সহ্য করে কিভাবে যৌক্তিক দাবি আদায় করতে হয়। অভিনন্দন তোমাদের।
মন্তব্য
মুসক বিষয়ক তুঘলকি কারবারের নিন্দা জানাই এবং এই বিষয়ে ছাত্রদের আন্দোলন সমর্থন করি। তবে এই লেখার কিছু অংশ বিরক্তি উৎপাদন করলো শুধু।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আপনার বিরক্তি উৎপাদনের জন্য দুঃখিত।
মূসক আরোপের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছি না, কিন্তু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি আজকে নিজে থেকে যে কোনো অজুহাত দেখিয়ে প্রতি সেমিস্টারে ফি পাঁচ হাজার টাকা করেও বাড়ায়, আমার মনে হয় না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছাত্রছাত্রীরা পড়ছেন, তাঁরা বা তাঁদের অভিভাবকরা কোনো সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ করতে পারবেন। বরং ঘাড় গুঁজে চুপচাপ সেই ফি দিয়ে যাবেন। অতীতে বেসরকারী কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স ফি বৃদ্ধির সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ হয়েছে কি?
আমি অন্তত একটা ঘটনা বলতে পারি যেখানে ছাত্ররা প্রতিবাদ করেছিল। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে, ২০০৮ সালে। আমি তখন সেখানে প্রভাষক ছিলাম। ছাত্ররা প্রতিবাদ করে, কয়েকদিন ক্যান্টিনে একজোট হয়ে নিজেদের দাবি-ও জানায়। শেষ পর্যন্ত কতটা সফল হয়েছিল জানিনা, কারন আমি তার আগেই বিদেশে চলে আসি। তবে এইটা ঠিক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে অনেকেই ভয় পায়। ছাত্র-শিক্ষক সবাইকেই খানিকটা চাপের মাঝে থাকতে হয় সেখানে।
হাম্মাদ আলি
অবাক হলাম আপনার প্রশ্নে। হ্যাঁ, হয়েছে। NSU যখন গত বছর অযৌক্তিকভাবে বেতন বাড়াল তখন প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবেই বিরোধিতা করা হয়।
দেখুনঃ
http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=87911
- আচ্ছা, এবারো কি 'প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবেই বিরোধিতা' করা হয় নাকি শুরু থেকেই 'বিরোধিতা অশান্তিপূর্ণ ছিলো'! জানি না, জানতে চাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
৩ ঘণ্টা রিকোয়েস্ট করেও ফল না পাওয়ায় পুলিশ "মৃদু লাঠিচার্জ" করে। ফলাফল কিছু গাড়ি ভাংচুর। তাছাড়া প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত ছিলো। আমি বনানি এলাকার ঘটনাপ্রবাহের প্রত্যক্ষদর্শী।
সেদিনের সমস্যাটা সরকারের। অবরোধের ৩ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও কোন প্রতিনিধি আসেনি। বরং তারা ভেবেছে পুলিশের "মৃদু লাঠিচার্জেই" "ফার্মের মুরগি" দের এই আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটবে।
অথচ দেখেন, যদি ছাত্রলিগ, যুবলিগ বা কোন এলাকাবাসি আন্দোলন করতো তাহলে সরকারি প্রতিনিধি পারলে দৌড়ে আসে।
আমার মনে হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে যথেচ্ছ ফি নির্ধারণের অধিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকপক্ষের একচ্ছত্র এখতিয়ারে থাকার ব্যাপারটা ভবিষ্যতে এরকম অবরোধের সংখ্যাই বাড়াবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উচিত এই ধারাটির বিরুদ্ধেও আন্দোলন করা।
নারে ভাই, আসে না । চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। ফল এখনও তথৈবচ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
১।
অতীতে প্রায় প্রতিটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স ফি বৃদ্ধির সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ হয়েছে। আপানার পরিচিত কেউ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে অথাবা পড়ে থাকলে তাদের সাথে কথা বললে জানতে পারবেন। আমার নিজের চোখে দেখা এসিয়া পাসেফিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদের কথা আপনাকে বলতে পারি। শুধু কোর্স ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ নয়, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালানা করার আভিজ্ঞাতাহীন (হয়ত অন্য ক্ষেত্রে পারদর্শী) ভিসি’র বিরুদ্ধের শান্তি পূর্ন এবাং সংঘবদ্ধ প্রতিবাদের মাধ্যমে অবসর প্রাপ্ত ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, এ এস এম শাহ্জাহান কে সরিয়ে প্রশাষন তাঁর জায়গায় পরবর্তিতে প্রোফেসর আব্দুল মতিন পাটোয়ারি কে নি্যোগ দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে পাবলিক ইন্টারেস্ট না থাকায় মিডিয়া গুলোতে তা প্রচার পায় না। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় বেশ জনপ্রিয় হবার কারনে খবরটি গুগুল এ সার্চ দিয়ে পেলাম। নিচে একটি লিঙ্ক দেয়া হলোঃ
http://prothom-aloblog.com/posts/16/18082/
২।
আপনার লেখনি শক্তি আছে এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাও আছে। আর আপনি মূসক আরোপের পক্ষে যুক্তি দিতে চাইলে অবশ্যই দিতে পারেন। তবে এটি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার বর্তমান প্রেক্ষিতে কতটুকু গ্রহন যোগ্য দয়া করে সেটিও আলোচনা করবেন আশা করব।
কমল
আপনি একটু মন দিয়ে যদি আমার কথা আবার পড়ে দেখেন, দেখবেন মূসক আরোপের ওকালতি করা আমার উদ্দেশ্য নয়, কিংবা মূসক আরোপের প্রতিবাদে ছাত্রেরা বিক্ষোভ করারও বিরোধিতা আমি করছি না। আমি জানতে চেয়েছি, এতদিন যাবত যতবার কোর্স ফি বেড়েছে, সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ হয়েছে, নাকি হয়নি। প্রশ্নটা না করলে উত্তরগুলোও আসতো না। এই প্রশ্নের উত্তর এই ইস্যুতে আসা অবশ্যই জরুরি।
এই প্রশ্নের উত্তরে তিনটা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এ পর্যন্ত এসেছে, ব্র্যাক, এশিয়া প্যাসিফিক আর নর্থসাউথ। আমার সম্পূরক প্রশ্ন, এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করে কি ফি-বৃদ্ধি স্থগিত করতে পেরেছিলো ছাত্রেরা?
যতদুর জানি, ব্র্যাকে শেষ পর্যন্ত রফা হয়েছিল যে আগেই ভর্তি হয়ে যাওয়া ছাত্রদের জন্য বেতন বাড়ানো হবেনা। নতুন যারা ভর্তি হবে তাদের ক্ষেত্রে নতুন বেতন স্কেল ধরা হবে। অনেকদিন দেশের বাইরে, কাজেই আমার জানায় ভুল থাকলে ক্ষমা করবেন।
রফা হয়নি। পুরানোদের ও বেতন বেড়েছে।
ব্র্যাকের ফী কমানো যায়নি, কারণ রেজিস্টার জবাব দিয়েছিলো, পড়তে না চাইলে চলে যাও, ব্র্যাকের জন্য স্টুডেন্টের অভাব নেই। নর্থ সাউথ মনে হয় কমাতে পেড়েছিল, এশিয়া প্যাসিফিকেরটা জানিনা।
এসিয়া প্যাসিফিকে পুরানোদের বেতন বাড়েনি কিন্তু নতুন যারা ভর্তি হয়েছিল তাদেরকে বেশি টাকা দিতে হয়েছে।
ভাই আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না ,গত বছর NSU আন্দোলন করেছিল এবং তারা সফল হয়েছিলো।
আর্মি যখন দুই বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে তান্ডব চালাচ্ছিল তখন এরা কোথায় ছিল ?
আপনার প্রশ্নটি এক লাইনের হলেও উত্তর দেবার জন্য অনেক সময় এবং ধৈর্য্য নিয়ে কম করে হলেও ২০০ শব্দের একটি লেখা লিখতে হবে। আপনার উত্তরের জন্য সচলায়তনেই প্রকাশিত নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে মন্তব্যের ঘড় গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। হয়তো আপনার উত্তর পাবেন।
http://www.sachalayatan.com/shohailmc/8137
কমল
একটু যদি কষ্ট করে খোঁজ নিতেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার প্রতিবাদে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা গত পনেরো বছরে কয়বার মানববন্ধন করেছেন, কিংবা তাঁদের নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অঘটনের প্রতিবাদেই কয়বার মানববন্ধন করেছেন, কিংবা যে কোনো জাতীয় ইস্যুতে কয়বার মানববন্ধন করেছেন ...। খোঁজ নিয়ে সংখ্যাটা জানালে আলোচনা একটা নতুন মাত্রা পাবে বলে বিশ্বাস করি।
লজ্জার সাথে হলেও মেনে নিচ্ছি কথাটা। নিজে যা করতে পারিনি, আশা করি এখনকার ছাত্ররা তা করবে। হয়তো সামনে একদিন দেশের সব ছাত্র নিজেদের বিরুদ্ধে যেকোন অন্যায় এর প্রতিবাদ একসাথে করবে।
হাম্মাদ আলি
আপনার প্রশ্নের জবাব ২০০৭-০৮-২২ তারিখে লেখা ‘দেশের সব ছাত্ররাই কি দেশের ছাত্র?’ শিরনামের পোস্টে আপনার লেখা মন্তব্য থেকেই দিলাম। বুঝতে পারছি আমার লেখার কোন কোন লাইনে পড়ে বিরক্ত হবার কারনেই আপনার এ ধরনের প্রশ্ন করা।
(সামহয়ারইন ব্লগে এই বিষয়ে বেশ কিছু ব্লাগারের বিরক্তিকর লেখা পড়ার কারনেই বোধহয় আমার লেখায়ও বিরক্তিকর কিছু লাইন চলে এসেছে।)
একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রে সংখ্যা তুলনামুলোক ভাবে অনেক কম হওয়ায় তাদের উদ্যোগ গুলো চোখে পড়ে না। পাবলিক ইন্টারেস্টের অভাবে মিডিয়াতেও আসে না। তাই গত পনের বছরে এত গুলি ইউনিভার্সিটির বিচ্ছিন্ন উদ্যোগের সংখ্যা অনুমান করে বলাও যে প্রায় অসম্ভব সেটা নিশ্চই আপনিও বুঝতে পারছেন। আমি শুধু আমার ইউনিভার্সিটির সোশাল এওয়ারনেস ক্লাবের উদ্দ্যগে ছাত্র ছাত্রিদের সরাসরি অংশ গ্রহনে দেশের জন্য কিছু প্রয়াস তুলে ধরতে পারি, যেখানে আমি নিজে সরাসরি অংশ গ্রহন করেছি।
১। বন্যার সময় ইউনিভার্সিটির ল্যাবে পাইলট ব্যাচে পানি বিশুদ্ধি করন ঔষধ ও খাবার সালাইন বানিয়ে বিতরন। (মানুফ্যাকচারিং এর সময় শিফট করে উপস্থিত ছিলেন আমাদের ডিপার্টমেন্টের প্রায় সকল ছাত্রে শিক্ষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালায়ের ফার্মেসি বিভাগের কয়েক জন শিক্ষক)
২। রাস্তা ও বিভিন্ন মার্কেটে ব্যানার নিয়ে ঘুরে বন্যা-দুর্গতদের জন্য সাহায্য যোগার
৩। শীতার্থদের জন্য সাহায্য যোগার করে আমারা পাঁচ জন ছাত্র মিলে রংপুরে খাবার আর গরম কাপড় চোপড় বিতরন করেছি।
৪। ড্রাগ এডাল্টারেন্স এর প্রতিবাদে মানব বন্ধন কর্মসূচি।
৫। কোয়ান্টামের সহায়তায় নিয়মিত রক্তদান কর্মসুচী
৬। হেপাটাইটিস এর বিরুদ্ধে টিকাদান কর্মসূচী
এছারা কলের পানির সঠিক ব্যাবহারে সচেনতা সৃষ্টির জন্যে একটি সামাজিক প্রচারনা কর্মসূচীও ছিলো যেটিতে আমি কোন একটি কারনে সরাসরি অংশ নিতে পারিনি।
এই মুহুর্তে আর বিশেষ কিছু মনে পড়ছে না। কারো মনে এই লিস্ট নিয়ে কোন সন্দেহের উদ্রেক হলে আমার সাথে ব্যাক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করা সাপেক্ষে ক্লাবটির পরিচালনাকারী শিক্ষকের সাথে ফোনে কথা বলার ব্যবস্থা করে দেয়া যেতে পারে।
কমল
ভাই, সামুর লেখা পড়ে সচলে ঝাল ঝাড়তে ভবিষ্যতে আসবেন না। সামুতে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে ওখানে লিখবেন। সামুর গুগোবর মাড়িয়ে এসে লেখালেখির জন্যে আমরা সচলায়তনে সময় দিই না।
এইবার একটু বলুন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের কোনো ইস্যুতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা কবে কোথায় মানববন্ধন করেছিলেন? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হাঙ্গামাগুলোকে তো আমরা সবাই টেকেন ফর গ্র্যান্টেড ধরে নিই, নিয়ে হাসাহাসিও করি, কখনো কি মনে হয়েছে, ওসব সমস্যা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের বাপের সম্পত্তি না, বরং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা দিতে পারে, এবং সে পরিস্থিতিতে কাঙালের মতো প্রশ্ন করতে হতে পারে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পাশে এসে কেন দাঁড়ালো না?
সহানুভূতি চাওয়ার আগে দিতে হয়।
একটা লিস্ট করেন, কী কী ভালো দাবির জন্য পাবলিক ইউনিভার্সিটি গুলা প্রতিবাদ করেছে। তারপর জবাব দিব।
অর্থাৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের দাবিগুলি সব "খারাপ", এ কারণে একমত হওয়া যায় না, নাকি?
খারাপ ভালোতো লিস্ট দেখার পর বুঝব। যে কেন প্রাইভেটের ছেলে-মেয়েরা প্রতিবাদ করে নাই। আগে কিভাবে বলি?
অন্য কোন পত্রিকা বা ব্লগের লেখা পড়ে সে বিষয় নিয়ে সম্পুরক লেখা যদি এখানে লেখা যায়। তাহলে আমিও সামু আমু জামুর যেখানে যা পড়ে লিখতে ইচ্ছা করবে সচলেই পোস্ট করব। আপনি যদি সচলের মডারেটরদের কেউ হয়ে থাকেন তাহলে সে লেখা প্রাকাশের আগেই ডিলিট করে দিন। চাইলে এই লেখাটিও সরিয়ে দিতে পারেন। আর তা না হলে গু গোবর মারিয়ে আসা আমার মত অলেখকের লেখাতে সময় দিতে থাকুন। কেননা আমার এই লেখাটির আগে উচ্চ মানের কোন লেখক বিষয়টি নিয়ে লেখার তাগিদ অনুভব করে নি।
আপনার এই কথাটার সাথে সম্পূর্ন একমত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠা প্রায় ১০০ বছর আগে। এদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর জন্ম হলো মাত্র ১৫ বছর আগে। এসব বিশ্ব বিদ্যালয়ের আবাসিক কোন হল নেই। অনেক ছাত্র ছাত্রি ঢাকার বাইরের মফস্বল থেকে এসে মেসে থাকে। সেটি মোটেও হলের মত পরিবেশ না। স্বাধীন ছাত্র সংগঠন থাকে না। তবুও অন্তত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছা কাছি থাকা এবং যাদের বন্ধুরা সেখানে পড়ছে তারাও অন্য সবার মত বন্ধুর পাশে থেকে প্রতিবাদে অংশ নেয়। ব্যানার অথবা শক্তিশালী সংগঠনের অভাব থাকার কারনে তাদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠার এই ১০-১৫ বছরের মধ্যে উল্লেখ করার মত কোন অংশ গ্রহন চোখে না পরলেও অদূর ভবিষ্যতে তাও দেখতে পাবেন বলে আমার বিশ্বস। কিন্তু এ পথটি মসৃন করতে হলে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেখান থেকে পাশ করা দেশের বিজ্ঞ জনের কাছ থেকে সঠিক পথ নিদর্শনা অথবা সহানুভূতি পাওয়ার আশা করাটা কি অযৌক্তিক?
কমল
না, অন্যান্য ব্লগের লেখার প্রতিক্রিয়া সচলে আসে না। আপনি সচলায়তন মন দিয়ে পড়েন না, তাই জিনিসটা খেয়াল করেন না। এখন থেকে খেয়াল করতে পারেন। আর আপনার আহ্বান আশা করি মডারেটররাও শুনবে।
আপনি যদি তলিয়ে দেখেন, "ব্যানার অথবা শক্তিশালী সংগঠন" না থাকাটাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশই তো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কালক্ষেপণ করতে চান না বলে ভর্তি হন। আজ আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, আপনি চাইছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলোর সমাধানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের "ব্যানার" বা "শক্তিশালী সংগঠন" এর হস্তক্ষেপ। অথচ এই দু'টি জিনিসকে নিগেইট করেই কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেড়ে উঠেছে। স্ববিরোধী হয়ে গেলো না?
"ঐতিহ্যবাহী" পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ছাত্রী গুলি খেয়ে মারা যায়, ছাত্র হলের মারপিটে মারা যায়, সান্ধ্যকোর্স বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা কয়বার রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করেছে?
আপনার লেখা পড়ে মনে হয়েছে, যাবতীয় আন্দোলনগুলির দায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের। মূসক ইস্যুতেও তাদের উচিত এসে আন্দোলনের খাটনিটা খেটে যাওয়া, যাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েগুলি ঠিকমতো ক্লাসে যেতে পারে। ছাই ফেলতে ভাঙা কুলাই তো লাগে, নাকি?
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা বিজ্ঞজনের তো কোনো অভাব দেখি না। কয়টা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন থেকে বিবৃতি গেছে কাগজে? গত পনেরো বছরে পাশ করা ভাইয়া-আপুরা কোথায়? এই প্রশ্নটাও আপনার লেখায় এলো না কেন?
ঐতিহ্যবাহী" পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ছাত্রী গুলি খেয়ে মারা যায়, ছাত্র হলের মারপিটে মারা যায়, সান্ধ্যকোর্স বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা কয়বার রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করেছে? " ---সাল গুলাও সাথে একটু দেখবেন যে তখন কয়টা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ছিল আর কয়টা স্টুডেন্ট ছিল।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা বিজ্ঞজনের তো কোনো অভাব দেখি না। কয়টা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন থেকে বিবৃতি গেছে কাগজে? গত পনেরো বছরে পাশ করা ভাইয়া-আপুরা কোথায়?---- এইগুলা নিয়ে কথা উঠেছে। এইজন্যই ওইদিন সবার রাগ বেশি ছিল।
সালগুলো ২০০২ আর ২০১০। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একটা থাকলে আর তাতে একজন মাত্র স্টুডেন্ট থাকলেও কিছু যেতো আসতো না। অতীতের গৌরব আর দায়. দুইটাই বহন করতে হয়।
ঐদিন কী হয়েছে না হয়েছে, সেটা এই পোস্টে যত না আলোচ্য, তারচেয়ে বেশি আলোচ্য হয়ে গেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি পোস্ট লেখকের সীমাহীন তাচ্ছিল্য আর অসূয়া। তাই আমি প্রশ্নগুলো রেখেছিলাম এই পোস্টের লেখকের কাছে। বারবার আপনাকে মাথা গলাতে দেখে অস্বস্তিতে পড়ে যাচ্ছি। আপনি কি একটু কষ্ট করে লেখককে উত্তরগুলো দিতে দেবেন? যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর আপনি জানেন, আমি ধরে নিচ্ছি।
অকারণে খোঁচা দেয়াটা বিরক্ত করল।
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা বাণিজ্যিক পণ্যমাত্র এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় 'সেবা দানকারী' প্রতিষ্ঠানমাত্র - এই দুই 'নির্মম' সত্য না মানলে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
সমস্যাটা সরকারের সাথে না। মুনাফাখোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলার সাথে। মুনাফাখোরগুলাকে টাকা দিবেন আর সরকারকে দিবেন না এইটা অগ্রহণযোগ্য। মূসকের ইস্যুটাতো মাত্র আসল। এর আগেও দফায় দফায় শিক্ষাপণ্যের দাম বাড়ার ঘটনা ঘটসে ...
"যারা কিনা ৩০ টাকা বেতন ৪৫ টাকা করলে কাঁটা রাইফেল নিয়ে বের হয় তারাই কিনা উল্টো সরকারের পক্ষে সাফাই গাইছে"
এই বাক্যটির জন্য আপত্তিকর হিসেবে অভিযোগ করলাম।
______________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
গুরুত্ত্বপূর্ন একটি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করলে আগে আবেগকে বর্জন করে যুক্তি দিয়ে লিখতে হয়, আপনি সেটি করতে ব্যার্থ হয়েছেন। আপনি নিজেই জানেননা আসলে আপনি কি লিখতে চাইছেন। আপনার যুক্তিহীন আবেগ আপনার লেখনীকে দূর্বল বই সবল করেনি।
ব্যাক্তিগত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফির উপর ভ্যাট আরোপ আমি সমর্থন করিনা, সেজন্য সরকারের সমালোচনা করে আরো উদাহরণ দিয়ে লেখাটি লেখা যেত তা না করে আপনি শুধু শুধু সেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে টেনে আনলেন। উপরে হিমু যা বলেছে তার উত্তর পারলে দিন তারপর সেটি নিয়ে বিতর্ক করা যাবে। লক্ষ্য করে দেখবেন আপনার এই যুক্তিহীন আবেগের কারনে এই লেখার মূল আলোচনা ভ্যাটকে ছাড়িয়ে প্রাইভেট বনাম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাবে।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই যেমন সাধারণ মানের না তেমনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই আইনস্টাইন বা নিউটন হয়ে আসেনা বা বেরও হয়না। আমি নিজে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি এবং শিক্ষকতা করেছি। সেই সাথে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেছি। এই নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা নেহায়েত কম নয়। সেটি নিয়ে যদি বিতর্ক করতে চান তাহলে সেই বিষয়ক পোষ্ট দিবেন, একটি গুরুত্ত্বপূর্ন বিষয়ে নিছক ছেলেমানুষি তর্ক করতে আসবেননা।
পুনশ্চঃ যুক্তিহীন ভাবে একটি গুরুত্ত্বপূর্ন বিষয়কে নিছক অন্য স্রোতে নিয়ে যাবার কারনে পোষ্টে ১ দিলাম।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
লাইক বাটনটা আসার পর সহমত, মানিকমত লোপ পাইছে
বা্টনটার দরকার আছিল।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
সহমত!
প্রতিবাদের মুখে মূসক প্রত্যাহারের পরেও আমার লেখার একটি কারন হলো এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে কোন পত্রিকা বা ব্লগে যুক্তিবাদি আবেগহীন সবল কোন লেখকের লেখা পেলাম না বলে। সাধারণ পাঠক যখন বিজ্ঞ লেখকদের নিশ্চুপ বসে থাকতে দেখে কলম ধরে তখন তার লেখায় যদি কিছুটা আবেগ চলেই আশে তাতে কি খুব বেশি অবাক হবার কিছু আছে?
তাঁর একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিয়েই চলেছি…
টিউশন ফির উপর সরকারের মূসক কর আরোপ সমর্থন করতে পারি না শিক্ষার ব্যয় কে সীমিত রাখার স্বার্থে। এই সম্পর্কে কিছু পড়তে পোস্ট ঢুকে দেখছি লেখক তার মূল বক্তব্য থেকে সরে এসে বরং অন্যদের দোষারোপেই বেশী ব্যস্ত হয়ে পরেছেন। কিছু কিছু লাইন আমার কাছে মনে হয়েছে অশালীন এবং এদের মধ্যে কিছু লাইনের আমার মতে লেখকের ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন। যেমন-
সচলে এই পর্যন্ত সম্ভবত দুই বা তিন বার এক তারা দাগিয়েছি এবং সঙ্গ্ত কারণে এই পোস্টেও এক তারা দিচ্ছি।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণাটিই বাণিজ্যিক। তাই এতে মূসক বসানোয় অবাক হই নি। আন্দোলনের কারণ বাড়তি ব্যয়ভার বহনে অপারগতা। বাধ্য হয়েই ছাত্ররা পথে নেমেছেন। দেয়ালে পিঠ না ঠেকলে শুধুমাত্র শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের অনৈতিকতার ভিত্তিতে কেউ প্রতিবাদ করতেন বলে মনে হয় না। আপনার লেখায় সরকারি বনাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক পুরোনো ত্যানাপ্যাঁচানিতে বিরক্ত হলাম। সুযোগ পেলেই এহেন বিষোদ্গারের প্রবণতা থাকলে সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে সব ছাত্রের এক কাতারে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানানোর সম্ভাবনা খুব একটা উজ্জ্বল বলে মনে হয় না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণাটা বাণিজ্যিক নয়। কেউ কেউ এর সুযোগ নিয়ে বাণিজ্য করার চেষ্টা করছে। লিঙ্কটিতে আমেরিকা কানাডা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েরও কিছু তথ্য পাবেন।
লক্ষ্য করলে দেখবেন, পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর টিউশন ফি এবং গবেষনার উপর ভ্যাট বসানো কে অনুৎসাহিত করা হয়, হোক তা সরকারি কিংবা বেসরকারি। ভ্যাট বসানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রয়-বিক্রয়ের উপর।
কমল
আলোচনা যাতে প্রাইভেট বনাম পাবলিকে না যায় এই বিষয়টা সবাইকে খেয়াল রাখতে অনুরোধ করছি।
পোস্টের কনটেন্টের চেয়ে বিষয়ের ওপর কথা বললে মনে হয় সেটা সম্ভব। বাংলাব্লগে রিভার্স খেলার পরিমাণ ইদানিং বেড়ে গেছে।
(ডিটেলস মন্তব্য পরে)
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অনিন্দ্য রহমান, "বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা বাণিজ্যিক পণ্যমাত্র" মানে কী একটু এক্সপ্লেইন করবেন?
হিমু ভাই একদম পারফেক্ট প্রশ্নটি করেছেন। তার প্রশ্নের কোন উত্তর পেলে আলোচনা আরো দীর্ঘ হত।
অবশ্যই শিক্ষা পণ্য নয়, শিক্ষা অধিকার। সুতরাং শিক্ষার উপর ভ্যাট দেওয়া নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়।
আমি যে প্রশ্নটি অধিকাংশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের করি, তা হল," কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলে কি?"
উত্তর অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেটা আসবে তা আপনার কল্পনার বাইরের নয়। প্রশ্নের উত্তরের সাথে সময়, দীর্ঘসূত্রিতা ইত্যাদি অনেক কারণের মত স্ট্যাটাস একটা কারণ হয়ে আসবে। টাকা আছে সেই হিসেবে বেসরকারীতে পড়বো, কিংবা ইংরেজী মাধ্যমের ছাত্র, সুতরাং বেসরকারী ছাড়া সরকারীতে পড়বো না এ ধরনের ধ্যান-ধারণা কিন্তু কম নয় বরং বেশি।
এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রথম থেকেই প্রাইভেটের ব্যয় অনেক অনেক বেশী। কিন্তু অন্যান্য কারণসমূহ মূখ্য হওয়ায় অর্থনৈতিক বিষয়টি গৌণ হয়ে পড়ে।
যেকারণে আজকের এই দুর্বিসহ অবস্থা।
আর পাবলিক ভার্সিটির কোন আন্দোলনের সময় প্রাইভেটের কাউকে পজিটিভ কোন কিছু বলতে শুনিনি। পাবলিকগুলো কোন কারণে বন্ধ হয়ে গেলে খালি হাসির আওয়াজ পেয়েছি।
আর একটা জিনিস, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রশাসনের এ বিষয়ে বক্তব্য কি?জানলে আরো ভালো হত।
আমি এ প্রতিবাদকে সমর্থন করতাম যদি তা শান্তিপূর্ণ থাকতো। কিরূপ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদটি ছিল তা টিভি চ্যানেলগুলোতে গুটিকতক ছাত্রের প্রতিক্রিয়া দেখেই বুঝেছি।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
শান্তিপূর্ণ হয়নি কারণ ওদের জবাব ছিলো, কোনদিন শান্তিপূর্ণ ভাবে কিছু করলে সরকার পাত্তা দেয়না।
এক ছাত্র আরেক ছাত্র কে চড় মারার কারনে যদি ইউনিভার্সিটি বন্ধ থাকে ৩৫ দিন, সেটা নিয়ে তো ওরা নিজেরাই হাসে... আর প্রাইভেট ভার্সিটি এর ছেলে-মেয়ে হাসলে দোষ কেনো হবে!!! আপনার হাতে যদি ক্ষমতা থাকে চার বছরে পড়া শেষ করার একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে, আপনি যাবেন পাবলিক এ পড়তে? আর আপনি এমন ভাবে বলছেন যেন, পাবলিক ইউনিভার্সিটি তে সিট গড়াগড়ি খাচ্ছে কিন্তু কেউ পড়তে যাচ্ছে না। আর কে কোথায় পড়বে সেটা তার নিজের ব্যাপার। কথা ভ্যাট নিয়ে হচ্ছে। একবার একটু কষ্ট করে প্রাইভেট এর টিউশন ফী এর খোঁজ নিয়েন।
নিজেকে নিয়ে হাসা বা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকাই ভালো, অন্যকে নিয়ে হাসার ব্যাপারটা কী ঠিক। অবশ্য টিকেট কেটে স্ট্যান্ডআপ কমেডির কমেডিয়ানকে নিয়ে হাসতে পারেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
হাসাহাসি করতে চাইলে আসলে ইস্যুর অভাব থাকে না। অযথা কাউকে না খুঁচিয়ে নিজেদের নিয়েই হাসা ভালো।
দেখেন, আপনি বললেন-
আবার বললেন-
...তারচেয়ে অনাবশ্যক সারকাজমটা ছেড়ে-
আলোচনা এখানেই সীমাবদ্ধ রাখি, আখেরে সেটাই মঙ্গল। ভালো থাকুন।
_________________________________________
সেরিওজা
যার ক্ষমতা আছে সে তো এম্নিতেই যাবে। টিউশন ফী এর কথা বলার কারণ হচ্ছে যে পাবলিকে সুযোগ পাবেনা, সে যদি প্রাইভেটে ভর্তি হয় তার মানে তো এই না যে তার অনেক টাকা। অনেক স্টুডেন্ট আছে যাদের ওইরকম সামর্থ্য নেই কিন্তু রেসাল্ট ভালো করে স্কলারশপে পড়ে।
আপনার এত আক্রমনাত্মক প্রশ্নটার পিঠে আমারো একটা প্রশ্ন করতে মন চাইছে-
চাইলেই পোস্টটাকে পাবলিক বনাম প্রাইভেট এর একটা নোংরা লড়াই বানিয়ে ফেলা যায়, তাই লেখক এবং সিমি দুজনের প্রতিই অনুরোধ, আবেগে আক্রান্ত হয়ে আক্রমনাত্মক ও অশোভন কমেন্ট করা পরিহার করুন |
দিয়েছিলামতো।
নিজের ধারনাটারে আরেকজনের মগজে সেট করতে যাওয়া সবসময় ভালো না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নিজের ধারনা আরেকজনের মগজে সেট করিনি। কেন ইংলিশ মিডায়মের ছেলে-মেয়েরা প্রাইভেট বেছে নেয় সেটার একটা সম্ভাব্য কারণ বললাম।
অবশ্যই আপনি হাসতে পারেন। আপনার অধিকার আপনি হাসুন।
আপনি একটি ঘটনাকে এখানে তুলে ধরেছেন। অবশ্যই আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সমস্যা আছে। রাজনীতি, দুর্নীতি আরো মেলা নীতি আছে। আমরা আন্দোলন করি, ভার্সিটি বন্ধ হয়ে যায়। সময় এবং জীবন দুটোই নষ্ট হয়। মনে করে দেখুন তো পাবলিক ভার্সিটি নিয়ে এই প্রথম হেসেছেন কিনা।
প্রাইভেটের ছাত্রছাত্রীরা এখন পর্যন্ত(মেডিক্যাল বাদে) সবসময় মাঠে এসেছে এই এক ইস্যুতে-বেতন বৃদ্ধি আর অন্য কোন বিষয়ে কিন্তু কখনও আন্দোলন করতে দেখিনি। লাইব্রেরি করতে হবে, জায়গা ঘিঞ্জি এগুলো শুনি। কিন্তু এগুলোর প্রতিকারে কখনো তাদের রাস্তায় দেখা যায় না।
একটা কথা যেটা আমি উপলব্ধি করতে পারছি, গত কয়েকবছরে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা ভর্তি হয়েছে। যে কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি। তারাই মূলত এই আন্দোলনের সাথে ছিল।
আগেও কিন্তু প্রাইভেটে পড়তে আকাশ্চুম্বী ব্যয় বহন করতে হত। তখন শুধু একটা নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষই এই পণ্যের ভোক্তা ছিল।
"আপনার ক্ষমতা রয়েছে" এ নিয়ে কিছু বললাম না আর, নিচে অনেকেই অনেক কিছু বলেছে। আপনি কি জানেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৬ সালের ব্যাচ থেকে সেসন জট নেই???তারা চার বছরেই বের হবে। ওদের এত ক্ষমতা নেই।
পাবলিকে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছিলাম শুধুমাত্র একটি কথা বোঝাতে। কথাটি হল মূলত কারা প্রাইভেটে যায়।
আর সিট কখনই গড়াগড়ি খায় না, কিন্তু খালি তো থাকে। চেষ্টা তো করা যেতে পারে নাকি?
টিউশন ফির খোঁজ আমিও রেখেছিলাম। কারণ ভেবেছিলাম পাবলিকে ভালো কোথাও চান্স না পেলে প্রাইভেটে যাব। কিন্তু প্রাইভেটে পড়ার খরচ আমার সাধ্যের বাইরে ছিল। তখন মা বলেছিল পাবলিকেই পড়তে। তখন ঠিকই করে রেখেছিলাম প্রয়োজনে কৃষি বা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে কোন এক কলেজে ঢুকতাম।
মদ্দা কথা যাদের একটু সামর্থ্য আছে তারাই প্রাইভেটে যায়। সুতরাং "জেনে শুনে বিষ করেছি পান" এরপর চিল্লাপাল্লা করে আর কতটুকু লাভ হয় বলুন??
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
আমিতো বলিনাই যে প্রাইভেটের ছেলে-মেয়েরা হাসাহাসি করে। এইটা বলেছেন আপনি। লাইব্রেরি যেহেতু আমাদের অনেক বড় তাই সেটা নিয়ে কখনো আন্দোলন করার দরকার পরেনি। আর জায়গার কথা বলছেন? এমন তো না যে ঢাকা শহরে অনেক জায়গা খালি পরে আছে কিন্তু আমাদের ক্যাম্পাস হচ্ছে না। ক্যাম্পাস বানালেও সেটা ঢাকা থেকে দূরে বানাতে হবে, কে যাবে এত দূরে? এক নর্থ সাউথেরই ক্যাম্পাস বানাতে লাগ্লো ১৬ বছর। আর বাকি গুলাতো হলোই দুই দিন আগে!! যেটার যুক্তি নাই সেটা নিয়ে কী প্রতিবাদ হবে!!
কী জানি আমি যখন পরীক্ষা দিয়েছিলাম কোথায় ছিল খালি সিট গুলা!!! যাদের একটু সামর্থ্য আছে শুধু তারা না, যাদের সামর্থ্য নাই কিন্তু রেসাল্ট ভালো আর পাবলিকে চান্স পায়না, তারাও প্রাইভেটে ভর্তি হয় কারণ স্কলারশিপ গুলা বেশ ভালো রকমের ছাড় দেয়।
"আপনার হাতে যদি ক্ষমতা থাকে চার বছরে পড়া শেষ করার একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে, আপনি যাবেন পাবলিক এ পড়তে?"
আপনি কি মনে করেন ঠিক এই কারণেই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যায়? শুধু শুধু প্রাইভেট-পাবলিক ইউনিভার্সিটি প্রসংগ নিয়ে আসলেন।
তাহলে কেন যায়?
যাক না ...
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আরো দশ-এগারো বছর আগের কথা। বুয়েটে পড়ি শুনে এক আত্মীয় জিজ্ঞেস করেছিলেন, বুয়েটে ভর্তি হলাম কেন, নর্থ-সাউথে কি চান্স পাই নাই? আমি ওনার কথা শুনে অনেক আশ্চর্য হয়েছিলাম। আপনার প্রশ্নেও সেরকম আশ্চর্য হলাম।
পছন্দমাফিক বিষয় পড়ার জন্য পাবলিক ও প্রাইভেট দুটোরই সুযোগ থাকার পরেও কেউ পাবলিক বেছে নেয়, কেউ প্রাইভেট বেছে নেয়। এক্ষেত্রে স্বল্পসময়ে পাস করে বের হওয়াই একমাত্র চলক না। প্রাইভেটের খরচ অধিকাংশ স্টুডেন্টের জন্যই একটা লিমিটিং ফ্যাক্টর। শিক্ষার মান নিয়েও এক একজনের এক এক রকম পূর্বধারণা আছে। যেমন, অনেকের ধারণা প্রাইভেটে সার্টিফিকেট বিক্রয় হয়। ধারণাটা সত্য নয়। আমি একটা প্রাইভেটে পড়াতাম। ওখানে ছাত্রদেরকে পড়াশুনা করতে হয়। তবে গ্রেডের ক্ষেত্রে শিথিলতা আছে। আমার অভিজ্ঞতায়, বুয়েটে যতোটুকু জেনে কোনো বিষয়ে B+ পাওয়া যায়, ওখানে A+ পাওয়ার জন্য ততোটুকু জানাই যথেষ্ট। তবে বুয়েটতুল্য A+ পাওয়া স্টুডেন্টও আছে। সমস্যা হলো, এসএসসি-এইচএসসির গ্রেডপ্লাবনের মতো ওখানেও মুড়ি-মুড়কি একদর করে ফেলা হতো। এখন, গ্রেডিংয়ের এরকম ধারণা থেকে একজন হয়তো তুলনামূলক সস্তা গ্রেডিংকে প্রায়োরিটি দিবে, অন্যজন নিজের লেভেল বাড়ানোর জন্য তুলনামূলকভাবে কঠিন পথে যাবে, বিশেষ করে যখন পড়াশুনাটা প্রায় বিনামূল্যে।
'সোসাইটি' মেইনটেইন করার একটা ব্যাপারও আছে। 'প্রাইভেটে ধনীর ছেলেমেয়েরা পড়ে' এ ধারণার বশবর্তী কোনো মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত লোক তার সন্তানকে পাবলিকে পড়াতে আগ্রহী হওয়া স্বাভাবিক। অন্যদিকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াকে গৌরবের বিষয় হিসেবে দেখা কোনো বাবা-মা হয়তো প্রাইভেটে পড়াকে সোশ্যল স্ট্যাটাসের চলক হিসেবে দেখবে।
সব পাবলিক ইউনির সব অনুষদেই সেশন জ্যাম নেই। যেমন, আমার ভর্তির সময়ে শাহজালাল ও খুলনা ইউনিতে সেশন জ্যাম ছিলো না। ঢাকা ইউনির অবস্থাও একটু বেটার ছিলো। তারপরেও জ্যামে জ্যামারণ্য বুয়েটকেই বেছে নিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে পাস করতে প্রয়োজনীয় অবশ্যই প্রধান বা একমাত্র বিবেচ্য বিষয় না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
লেখকের তেনাপ্যাঁচানির কারণে লেখাটা এখন প্রাইভেট-পাবলিক তর্কাতর্কিতে গড়াবে।
শিক্ষা জিনিসটাকে বাণিজ্যিক পণ্যের মত করে ভ্যাট বসানোটাকে সমর্থন করছি না। লেখক চাইলেই কেবল এইটা নিয়েই যুক্তি দিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারতেন। অযথা, "যারা কিনা ৩০ টাকা বেতন ৪৫ টাকা করলে কাঁটা রাইফেল নিয়ে বের হয়" টাইপের "বিরক্তিকর বোধ বুদ্ধিহীন সরলীকরন" করে লেখাটাকে সিম্পলি বিরক্তিকর করে ফেললেন।
"এমন কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালায় বা বুয়েটের মত দেশের সব চেয়ে ‘মেধাবী’ ‘দেশপ্রেমী’ ‘মুক্তমনা’ ছাত্র ছাত্রিরা পরস্পরের কোমল হাত হাত ধরাধরি করে কোন এক গাছের ছায়ায় মানাব বন্ধন করে" - কথাটা অশালীন লাগল। পারলে হিমু ভাইয়ের প্রশ্নটির জবাব দিন।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
যেটা বলতে চেয়েছিলাম সেটা সচল জাহিদ খুব ভালো ভাবে বলে দিয়েছে।
ছাত্রদের আন্দোলন গতকাল টিভিতে দেখেছিলাম, এবং সেটা ন্যায্য বলে মনে হয়েছে।
কিন্তু এই বিষয়ে নিয়ে লেখার সময় প্রাইভট বনাম পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে না লিখলেও হল। উপরের মন্তব্যগুলো পড়লে বোঝা যায় যে এটা আলোচনাকে ডিসকোর্স করেছে এবং কোন প্রয়োজন ছিল না এর।
আশা করি ছাত্রদের ন্যায়সংগত দাবী মানা হবে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
@পলাশ ভাই- বুয়েট বাদে আর সব জায়গায়তে (ঢাবি, মেডিকেল) মানে যেখানে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছি সুযোগ পেয়েছি। বুয়েট- এ দিতে পারিনি - হিটে বাদ পড়েছিলাম (সাড়ে তিন হাজার পরীক্ষার্থির মধ্যে আসতে পারিনি-৯৭ এর কথা)।
বাবা তার জমি বিক্রি করে অনেকটা জোর করে আহসানউল্লাহতে ভর্তি করে দিয়েছিল। আজকে জীবনে ভালই আছি। হয়ত বুয়েট- এ পড়তে পারলে আর একটু ভাল হত।
তবে দেশে থাকতে কোন চাকুরী পাইনি। কারণ আমি প্রাইভেটের এবং আমার কোন চাচা মামা ছিল না।
মুস্তাফিজ
কিস্তা,
এরিকসন অফিস,
সুইডেন
দুঃখ প্রকাশ করছি যদি আমার কথায় আপনার খারাপ লেগে থাকে। আমি কিন্তু অধিকাংশ কথাটা উল্লেখ করেছি। সবাইকে বুঝাইনি। কিন্তু বেশিরভাগই এই চিন্তা করে যায় টাকা আছে তো সময় কেন নষ্ট করবো, তাই প্রাইভেটেই পড়ি।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
রকিবুল ইসলাম কমল,
আপনার লেখা পড়ে মন খারাপ হলো তাই লিখছি। শিক্ষাক্ষেত্রে কর বাড়ানো, সেটা ছাত্রদের ঘাড়ে পড়া খুবই খারাপ ঘটনা সেটা সরকারী বেসরকারী যেকোন প্রতিষ্ঠানেই হোক না কেন।
আপনি অবাক হয়েছেন সমাজ এতে সাড়া দিলো না কেন, কেন আপনার চোখে অল্প বেতনের প্রতিষ্ঠানের ছেলেদের পক্ষে সমাজ লেখে প্রতিবাদ করে।
পাকিস্তান আমলে বাইশটা পরিবারের ছেলে মেয়ে এখনকার নর্থ সাউথে পড়তে পারতো। চল্লিশ বছরে বারবেডোসের বানিজ্যের সুবাতাসে,উন্নয়নের রসট্রো মডেলের মোহন যাদুর কাঠিতে বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অন্তত ২২০০০পরিবারের ছেলে মেয়েরা পড়তে পারে, অধ্যাপক বারাকাত হয়ত এই হাইপোথিসিস নিয়ে কাজ করতে পারেন কিংবা সচলায়তনের কোন গবেষক তো অবশ্যই পারেন।
আপনি আলোচনাটাকে সরকারী-বেসরকারী ইউনিভার্সিটির অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের দিকে ঠেলে না দিলে আপনার পরিমিতির পরিচয় পাওয়া যেত। আপনি একজন আধুনিক মানুষ কোন পেশাকে অসফল বা দলিত হিসেবে দেখবেন, পশ্চিমের সমাজে বসে এটা ভাবতেই পারছি না। ধরুন আপনার, না থাক আমার দাদা বৃটিশদের খানসামা ছিলেন, তাই ওইরকম পেশার প্রতি আমাদের সমানুভূতি থাকা উচিত, দাদার পেশা, বা খান বাহাদুর ছিলেন, পুরোনো এলিট,তাহলে তো কথাবার্তা আরো অভিজাত হবার কথা আমার বা আপনার।
আমরা যদি ট্রাফিক লাইটে দলিত শিশুদের মুখের ওপর গ্লাস তুলে দিয়ে ভিসা ফর্ম পূরণ করতে ব্যস্ত থাকি, শুধু আমি আমি চাকরী স্কলারশীপ নিয়ে ভাবি তাহলে সমাজ আমার প্রয়োজনে নির্লিপ্ত থাকবেই।
লেখাটা ছাত্রদের খরচ বাড়ার প্রতিবাদের মধ্যে থাকলে নানা রকম বিভাজনের প্রসঙ্গান্তর হতো না। আপনি আজকে যেটাকে সাফল্যের মানদন্ড ধরছেন,অভিজ্ঞতা সেটাকে হয়ত নাকচ করে দেবে।
আপনার লেখার বেদনার সুর যখন দম্ভ হয়ে দাঁড়ালো, তখন আবারো শিক্ষাব্যবস্থার শালীনতা আর হাইসিরিয়াসএর অভাব বোধ করলাম।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
নিজের হীনম্মন্যতা প্রকাশের দায় লেখাটাকে না দিলে পারতেন। একটা গুরুত্বপুর্ণ ইস্যুকে নিয়ে গেলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন খাতে। আপনার এই র্যাম্বলিং, চিন্তা ভাবনা না করে লেখা বার্তা কি করে ইস্যুর ক্ষতি ই করে তার একটা চমৎকার উদাহরণ হয়ে থাকবে আমার কাছে।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
সমস্যাটা কি আইন ঘটিত নয়? তাই তো মনে হচ্ছে।
http://sphotos.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-snc4/hs120.snc4/36387_1275144570676_1591822768_30529980_2654449_n.jpg
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ছাত্রদের প্রতি অনুরোধ আপনারা মাঠে নামবেন তখনই যখন নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে দাবী আদায়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমেই রাস্তা বন্ধ করা কোন কাজের কাজ নয়। টিভিতে এই মাত্র দেখলাম কিভাবে পুলিশ ছাত্রদের পেটাচ্ছে আর শার্টের কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে।
কালের কন্ঠের (২০১০-০৭-২৭) ছবি/খোরশেদ আলম রিংকু
ধিক্কার জানাই তাদের প্রতি যারা শিক্ষার উপর ভ্যাট বসায়। ধিক্কার জানাই কলুষিত ছাত্র রাজনীতির সেই সব নেতাদের প্রতি যারা ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করেনা, কাজ করে নিজের পেট ভরাতে আর রাজনৈতিকে নেতাদের পা চাটতে। ধিক্কার দেই তাদের যারা ১ টাকা বেতন বাড়লে বিশাল বিশাল ব্যানার নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে অথচ এখন চুপচাপ বসে বসে পাবলিক-প্রাইভেটের বিভেদ টানছে।
এই পুলিশগুলা চিরকালই পশুই থেকে গেল। একটা ছেলেকে কিভাবে মারছে দ্যাখেন!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই ছবিটা যতবার চোখের সামনে পরে ততবার মনে হয় এই স্কুল-ব্যাগ কাঁধে মার খাওয়া ছেলেটা আমার আপন ছোটভাইও হতে পারত! কারন সে ও একটি প্রাইভেট ইউনির ছাত্র।
পিপিদা,
তাদেরও ধিক্কার দ্যান একটু যারা শামসুন্নাহার হলের ছাত্রীদের যখন পুলিশ পিটাচ্ছিল, তখনও চোখ-কান বুঁজে ৪ বছরে বৈতরণীর পার হওয়ার মহানব্রত পালন করছিল। আর তাদেরও একটু ধিক্কার দ্যান, যারা আর্মি যখন ছাত্রদেরকে শাহবাগের মোড়ে লাইন দিয়ে দাঁড় করায়া লাঠি দিয়ে পিটাচ্ছিল তখনও নিজেদের 'অকুলুষিত' রাখতে ঘরে বসেছিল।
এবং আপনার ধিক্কারটা আমি পার্সনালিও নিতে চাই। কারণ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে '১ টাকা বেতন বাড়া' আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতনের ওপর কর আরোপের মধ্যে যে ব্যপক মৌলিক পার্থক্য আছে সেটা আমি মানি।
প্রাইভেট আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিভেদ ছিল। এবং থাকবে। এটা খরচের প্রশ্নই না। এটা রাষ্ট্র ও তার নাগরিকদের উচ্চশিক্ষার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গীর প্রশ্ন অনেকটা।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এই ধিক্কার তাদের সবার প্রতি, তবে আপনি পার্সোনালি নিয়েন না। পাবলিক প্রাইভেট বিতর্ক আমরা অনেকেই করি, তবে এটা সেই সময় না। ছাত্র রাজনীতি কেমন হওয়া উচিত এখান থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যাবে। রাজনীতি মানেই খারাপ কিছু না, তবে ছাত্র রাজনীতির নামে এখন যা চলছে সেখানে ভালো কিছু আছে কি? থাকলে তো সেসব ছাত্রদের এসব ছাত্রদের হয়ে কিছু বলার কথা। বলেছে কি? বলবে কি? কী মনে হয়?
ছাত্র রাজনীতি ছাত্রদের জন্যই হওয়া উচিত যেখানে একজনের ব্যথায় অন্যজন ব্যথিত হবে, তা উপশমে এগিয়ে আসবে। না হলে আর কিসের রাজনীতি। এই জন্মদিন পালনের ছাত্র রাজনীতির নিকুচি করি।
একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লিখতে গিয়ে লেখাটা শেষ করলেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর ঝাল ঝেড়ে। এইটারেই বলে বুদ্ধির দোষ! এখন হুড়া খান।
ভাই "কাঁটা রাইফেল" কী জিনিস? এই রাইফেলে কি গুলির পরিবর্তে কাঁটা ব্যবহার করা হয়?
কি মাঝি, ডরাইলা?
আমার লেখাতেই আমি বলেছি যে- আমি সাধারণ পাঠক মাত্র। গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিজ্ঞজনের লেখা পড়ে ঘটনার গভীরতা বোঝার চেষ্টা করি। কিন্তু এই গুরুত্বপুর্ণ ইস্যুটাতে তাদের নীরবতার কারনেই আমি কাঁচা হাতে লেখতে বসেছি। আমার ‘বুদ্ধির দোষে দুষ্ট’ লেখা আপনাকে হতাশ করে থাকলে আমি দুঃখিত।
আমি সচল জাহিদ ভাই এবং পিপিদা- দুজনের সাথেই একমত।
নিজের কথা বলতে গেলে-
১। শিক্ষার্থীদের উপর কর বাড়ানো কোন কাজের কথা না। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা আমার সমর্থন পাবে।
২।... একমত পোষণ করার পরেও লেখকের দৃষ্টিভঙ্গী আর বর্ণনা তীব্র পীড়াদায়ক।
_________________________________________
সেরিওজা
শিক্ষা একটা মৌলিক অধিকার। এই অধিকারের চর্চা নিশ্চিত করতে সরকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে টাকা-পয়সা তো দেয়ই না আবার ভ্যাট বসাতে চায় - ব্যাপারটা আসলে কী মেসেজ দিচ্ছে সেটা নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে। ভ্যাট না বসিয়ে বরং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার মানের ব্যাপারে কড়া নিয়মনীতির আওতায় আনার আন্তরিক চেষ্টা করলে খুশি হতাম।
বেশিরভাগ মানুষের একটা বদ্ধমূল ধারণা যে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে ম্যালা টাকা লাগে। - এটাকে একটা সরলীকরণ মনে হয়। নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, এ.আই.ইউ.বি ইত্যাদি বাদ দিলে বাকী অনেকগুলোর ফী কিন্তু কম, অবশ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ল্যাব + ভাল শিক্ষকের অভাব দিয়ে সেই কম-ফী এর লস উসুল করে নিয়ে ওগুলো বাণিজ্যিকভাবে লাভে থাকে।
আমি প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে পড়াই; মন্তব্যের বাকী অংশটুকু তাই বিজ্ঞাপন মনে হতে পারে । এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড মেম্বাররা এটাকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বানান নি -- এবং আমি যতদুর জানি, এখান থেকে কোনো মাসিক/বাৎসরিক রিটার্ন নেননি এখনও (নতুন বিনিয়োগও করেননি); তারপরেও এর খরচ (=শিক্ষক+স্টাফদের বেতন, ইউটিলিটি বিল ...) চালাতে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সবসময় টাকাপয়সা নিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়।
এতে টিউশন ফী ওয়েইভার না থাকলে (ব্যাপারটা অস্বাভাবিক) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর খরচের ব্রেকডাউনটা সাদা চোখে এমন:
কোর্স ফী: ১৪৬ ক্রেডিট × ২৪০০টাকা/ক্রেডিট = ৩,৫০,৪০০টাকা
ভর্তি ফী (এককালীন) = ১২,২০০ টাকা
সেমিস্টার ফী (ল্যাব+উন্নয়ন ইত্যাদি): ১৫০০ টাকা/সেমিস্টার × ১০ সেমিস্টার = ১৫,০০০ টাকা
মোট: ৩,৭৭,৬০০ টাকা। রেফারেন্স
এই টাকা একবারে দেয়া লাগে না। ভর্তি ফী বাদে বাকী টাকা পুরা সেমিস্টারে ৩ ভাগে শোধ করা যায় যেন এককালীন চাপ না পড়ে (এই পদ্ধতি অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে কি না জানিনা)।
তবে ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী (১২ সেমিস্টার বা ৪ বছর ধরা হয়েছে)
জিপিএ ৫.০ পাওয়া ছাত্রের মোট খরচ হবে ৪২ হাজার টাকার মত।
জিপিএ ৪.৮ এর বেশি হলে মোট খরচ হবে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকার মত।
জিপিএ ৪.৫ এর বেশি হলে মোট খরচ হবে ২ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকার মত।
জিপিএ ৪.০ এর বেশি হলে মোট খরচ হবে ২ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকার মত।
জিপিএ ৩.৫ এর বেশি হলে মোট খরচ হবে ৩ লক্ষ ১১ হাজার টাকার মত।
জিপিএ ৩.০ এর বেশি হলে মোট খরচ হবে ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার মত।
৪.৫% মুশক দিতে হলে ৩ লক্ষ ৪৫ হাজারের খরচ বেড়ে দাঁড়াতো ৩ লক্ষ ৬১ হাজার টাকার মত। অর্থাৎ চার বছরে তাকে ১৬ হাজার টাকা কর দেয়া লাগতো।
... প্রাইভেট ভার্সিটির খরচ কী আসলেই খুব বেশি?
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বাদ দিয়ে ইন্টারমিডিয়েট/কলেজের সাথে ছোট্ট একটা তুলনা করি ... ইদানিং শুনলাম বুয়েটের একজন ছাত্র ইন্টারমিডিয়েটের টিউশনি করতে ৭০০০ টাকার মত নেয়। একজন ছাত্র যদি এরকম একজন মাত্র প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ে তবে কলেজের খরচ বাদ দিয়েই চারবছরে তুলনীয় খরচ হল: ৪ বছর × ১২ মাস × ৭০০০ টাকা/মাস = ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা!
এখানে অবশ্যই বিতর্কের অবকাশ আছে ... সমস্ত অভিভাবক প্রাইভেট টিউটর রেখে পড়ানোর মত সামর্থবান নয়। অন্তত পক্ষে প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়াতে পারেন এমন অভিভাবকের পক্ষে সম্ভবত প্রাইভেট ভার্সিটি অতিরিক্ত খরুচে নয়। এই খরচ দিয়ে আমার বাবা সম্ভবত আমাকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে পারতেন না।
এখন পাবলিক বিশ্বিবিদ্যালয়ের সাথে তুলনার জন্য অন্যরকম লাইনে চিন্তা করি। বুয়েটে কোন রকম ফেল না করেই আমার আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষা সম্পন্ন হতে সময় লেগেছিলো ৬ বছর ১০ মাস। কাজেই একজন প্রেসিডেন্সির ছাত্র'র চেয়ে আমি কমপক্ষে ২ বছর ১০ মাস দেরীতে চাকুরীর বাজারে ঢুকতে পেরেছি। চাকুরী পাইতে কিছু সময় লাগে ... তাই যদি ধরি এই সময়ের মধ্যে সে ২ বছর চাকুরী করে তবে অন্তত ১৫,০০০ টাকা/মাস × ২৪ মাস = ৩,৬০,০০০ টাকা উপার্জন করতে পারে, যা ঐ চারবছরের খরচকে পুষিয়ে দিত ভালভাবেই, আর পাশাপাশি দুই বছরের চাকুরীর অভিজ্ঞতা সাথে থাকলো যেটা বুয়েট থেকে এই সময়ে পাশ করে বের হওয়া আমার থাকতো না।
এই লাইনে চিন্তা করেও কিন্তু বেশি কিছু ছাত্র পাবলিক ছেড়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। আবার কেউ কেউ আছে, কম টিউশন ফী ওয়ালা প্রাইভেটে পড়তেই চায় না ... কেননা এতে স্ট্যাটাসের সমস্যা হবে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বাংলাদেশে গড় আয় কত এখন?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হাসিব ভাই, স্ট্যাটিকস পকেট বুক (২০০৮) অনুযায়ী বাংলাদেশের গড় আয় ৫৯৯ ডলার (অবশ্য এইটা ২০০৭-০৮ অর্থ বছরের পরিসংখ্যান)
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আইএমএফ বলছে এবছর সেটা ৬২৪ ডলার। বেশী রকমের আয়ের বৈষম্যের কথা মাথায় আনলে এই আয় খুব বেশি না সেটা নিশ্চিত বলা যায় । উপরের দিকের ১০ পার্সেন্টাইল কেটে ফেলে দিলে এই আয় ২০০ ডলার পেরোবে না এটা আমি নিশ্চিত। এইরকম একটা দেশে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো যেই ফি নির্ধারণ করে সেটা কখনোই আমজনতার জন্য এ্যাক্সেসিবল না। অতএব, শামীম প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির খরচ কম না বেশি নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন সেটাতে আমি সন্তুষ্ট নই।
তবে এগুলো বাদ দিয়েই আমরা প্রশ্ন তুলতে পারি শিক্ষা কেন ফ্রি হবে না। নিজেকে ওপরে ওঠানোর জন্য শিক্ষার বিকল্প নেই এবং রাষ্ট্রের সেই দায়িত্বটা নিতে হবে। একই দাবি চিকিতসা, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও আমি করতে চাই।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এটা যদি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান না হয় তাহলে এটা কী? দাতব্য প্রতিষ্ঠান? নটফরপ্রফিট অর্গানাইজেশনেও প্রফিটটা নিদেনপক্ষে কস্ট+এক্সপেন্ডিচারের সমান হতে হয় বলে জানতাম।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বাণিজ্যিক:
ঠিক ঐ অর্থে কথাটা যে লিখিনি সেটা বুঝানোর ব্যর্থতার দায় মাথা পেতে নিলাম। দাতব্য প্রতিষ্ঠান না হলেও শুরুতে পরিচালনা বোর্ড থেকে যে ৫/১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিলো, সেটা লভ্যাংশ হিসেবে তুলে নেয়ার ইচ্ছা পোষন করেনি। নিজস্ব জমি/ভবন কেনার জন্য তহবিল তো আপাতত অকল্পনীয় মনে হয় (এই একটা শর্ত পূরণ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ)।
এখন অবস্থা, আয়=ব্যয় (বিনিয়োগকারীগণ কোন রিটার্ন নেন না); এমনকি স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধিও আছে বলে মনে হয় না; তবে ছাত্রসংখ্যা বাড়লে প্রবৃদ্ধি হবে - কিন্তু এই উদ্দেশ্যে প্রচারের জন্য কোচিং সেন্টার স্টাইলে ব্যানার টাঙানোতেও চরম আপত্তি। আসলে এই প্রতিষ্ঠানটাকে অতি সহজেই লাভজনক (আয়> ব্যয়) করা যায়; কারণ ব্যয়ের সিংহভাগ হল এর হেভী ডিউটি শিক্ষক প্যানেলের বেতন। এদেরকে বাদ দিয়ে সহজলভ্য ও সস্তা শিক্ষক নিয়োগ দিলেই হয়। কর্তৃপক্ষ একটা আদর্শ আঁকড়ে ধরে এখনো ঐ পথ অনুসরণ করেননি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আবেগ-সংযমের অভাবে অত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় মাঠে মারা গেল।
@শামীম ভাই
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে কিনা একটু সন্দেহ আছে আমার।
@হাসিব
কত শতাংশ মানুষের আয় সে গড় আয়ের সমান বা বেশী সেটা গুরুত্বপূর্ণ। কয়েক বছর ্আগে সম্পদের ভাগ ছিল ২০/৮০ (২০% লোকের কাছে দেশের ৮০% সম্পদ), এখন সেটা ১০/৯০ হবে।
আলমগীর ভাই, আমি যেটা বুঝি, শিক্ষা মানেই মৌলিক অধিকার, সেটা প্রাইমারি স্কুলে গিয়ে শেষ হবে, নাকি কলেজে, না বিশ্ববিদ্যালয়ে, না ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ে, তা নির্ভর করে দেশের প্রয়োজনের ওপর। দেশের যদি বছরে ১০০০ জন ইঞ্জিনিয়ার দরকার হয়, তাহলে সেই ১০০০ জনকে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা দেয়ার সুযোগ সরকারকেই সৃষ্টি করতে হবে। এখানে অধিকারটা প্রয়োজনানুযায়ী 'সংখ্যায়' এবং সেই সংখ্যাটা পূরণ করবে সবচেয়ে যোগ্যরা।
দেশে যে হারে প্রাইভেট ইউনি গড়ে উঠছে, তাতে বুঝা যায়, 'সংখ্যাটা' বিশাল।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সহমত মন্তব্যে। তবে একটা বিষয়ে সামান্য অন্যরকম মত আছে:
মাসে ৫-৬ হাজার টাকা পারিবারিক উপার্জনের যেমন অনেক পরিবার আছে, তেমনি এর চেয়ে কম উপার্জনের পরিবারও আছে ... ... তারাই বা আর বাদ পড়বে কেন! দেশের উন্নয়নের জন্য যত বেশি মানুষকে সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া যায় ততই মঙ্গল।
খুব গরীব পরিবারের সন্তানগণ হয়তো বিনামূল্যের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করছেন। ধারণা করা হয়, নিঃসন্দেহে পরবর্তী প্রজন্মকে আরও উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার ক্ষমতা হবে তাঁদের।
লোডশেডিং
(সংযোজিত)
আর অত্যন্ত গরীব থেকে শীর্ষে যাওয়ার সুযোগ কিন্তু দেশে বন্ধ হয় নাই; তা-নাহলে ড. আতিউরের মত কাউকে দেখতাম না; ওনার মত আরো অনেক লোককে রাখালগিরি করেই জীবন পার করতে হত।
আমার নিজের বাবা-চাচা-ফুফুদের অর্থনৈতীক অবস্থা ড. আতিউরের শৈশবের মতই ছিল, দাদা যথেষ্ট শিক্ষিত ছিলেন (বি.এ. বি.টি), হাইস্কুলে হেডমাস্টারি করতেন, কিন্তু বৈষয়িক ছিলেন না মোটেও, আর বেতনের ১২ আনা স্কুলের উন্নয়নে কাজে লাগাতেন। ফলে বাবারা ভাঙ্গা ঘরে থাকতেন, মুষ্টির চাল দিয়ে চূলা জ্বলতো ... ... কিন্তু লেখাপড়া ছাড়েননি (আমার মরহুম দাদী যখনই অতীত রোমন্থন করতেন, ঐসব দিনের কথা মনে করে কেঁদে ফেলতেন)। এর ফলে ওনারা তাঁদের সন্তানদেরকে আরেকটু বেশি সুযোগ তৈরী করে দিতে পারছেন। আবার আমার বাবা আমাকে যেই সুযোগ তৈরী করে দিতে পেরেছেন, আমি নিশ্চয়ই আমার সন্তানকে তার চেয়ে আরেকটু ভাল সুযোগ তৈরী করে দিতে পারবো। উন্নয়ন ও সুযোগ এভাবে ধাপে ধাপে আসাটা খারাপ নয় মোটেও ... .. কারণ শিক্ষা ও অর্থের পাশাপাশি সভ্যতর আচার-আচরণ রপ্ত করতেও সময় লাগে।
যে পরিবারের উপার্জন ৫-৬ হাজার টাকা তার ক্ষেত্রেও এমন পথ খোলা রয়েছে।
শুধুমাত্র বিদেশে (ভারত/সাইপ্রাস ইত্যাদির প্রসঙ্গে) উচ্চশিক্ষার্থে যত ছাত্র চলে যেত, এবং এর জন্য বৈদেশিক মূদ্রা যা চলে যেত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে সেইটার বিকল্প হিসেবে চিন্তা করলে, এর খরচ কিন্তু বেশি না বলেই মনে হয় এখনো (দুই একটা উচ্চমূল্যের বাদে)।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ড. আতিউর রহমান একজন এক্সেপশন। উদাহরণ নন। আমাদের আগের জেনারেশনের সাথেও এখনকার জেনারেশনের তুলনা করা ঠিক না। আগের জেনারেশনে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে যেই মাইগ্রেশন হয়েছে এদিক ওদিক সেটা এখন হয় না। ছাত্র অবস্থায় এটা নিয়ে জরীপ করেছিলাম। ফলাফল এরকমই ছিলো। হতদরিদ্র পরিবার থেকে হাতে গোনা কয়েকজন পেয়েছিলাম পুরো ৪-৫ হাজার ছাত্রের মধ্য থেকে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই হাল হলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল কি সেটা সহজেই অনুমেয়।
ফিনান্সের ছাত্র হিসেবে আরো একটা নোট রাখি। বাংলাদেশি একজন ছাত্র বিদেশে যা নিয়ে যায় আমার ধারনা তার থেকে অনেকগুন বেশি টাকা তারা দেশে পাঠায়। ইউএসএ ইউকে ইউরোপে যারা মাইগ্রেট করে তারা দেশে দেশে প্রতি মাসেই টাকা পাঠায়। কালক্টিভলি এটা অনেক বড় একটা টাকা, শিক্ষার জন্য বাইরে যাওয়া টাকার তুলনায়। কোন ড্যাটা নেই হাতে, অবজারভেশন থেকে বললাম।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
(মন্তব্য মূলত ব্লগগুলোতে দেখা তথ্যের ভিত্তিতে, কোনো ভুলভ্রান্তি থাকলে নিঃসংকোচে দেখি্যে দিবেন।)
প্রাইভেট ভার্সিটি কেন দরকার হয়?
শিক্ষা একটি রাষ্ট্রের প্রয়োজন। বাংলাদেশের জন্য এই প্রয়োজন মেটাতে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষা যেমন দরকার আছে, তেমন দরকার আছে উচ্চশিক্ষারও। নাগরিকদের কর্মসংস্থানের দায়িত্বও রাষ্ট্রের। সেই কর্মসংস্থান দেশের ভেতরেও হতে পারে, দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্টক্ষেত্রে দেশের বাইরেও হতে পারে। এজন্যই উচ্চশিক্ষিতের সংখ্যা দেশের ইকোনমিতে অ্যাবজর্ব করার পাশাপাশি বিদেশে জনশক্তি রপ্তানিদ্বারাও প্রভাবিত হয়।
বিপুল সংখ্যক চাহিদার বিপরীতে যে স্বল্পসংখ্যক ইউনিভার্সিটি আছে, তা যথেষ্ট না হওয়ায় সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরিতে বেসরকারী বিনিয়োগও দরকার হয়। অবশ্য শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেটের তুলনায় সামরিক খাতের মতো কম গুরুত্বপূর্ণ খাতেই সরকারের উদারতা লক্ষ্য করা যায়।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশন জটের কারণে সুযোগ থাকারা এইচএসসি বা এ-লেভেলের পরেই বিদেশে পাড়ি জমাতো। প্রাইভেট ভার্সিটি এসে সে প্রবণতা কমাতে সাহায্য করেছে। এটা একটা ভালো দিক। কিন্তু গত এক বা দেড় দশকে যেভাবে ঝিনুকের মতো প্রাইভেট ভার্সিটির বংশবিস্তার ঘটেছে, দেশের শিক্ষা ও অর্থনীতিতে তার অবদানের চেয়ে মূখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে নন-প্রফিট অর্গানাইজেশনের বোরখা পরে ওয়ান অ্যান্ড ওনলি 'বিজনেস'।
এই বিজনেসকে প্রভাবিত করতে পাবলিক পরীক্ষাগুলোয় স্টুডেন্টদের প্রাপ্ত গ্রেডকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে ক্যান্সারে রূপ দেয়া হয়েছে। প্রকৃত মেধা যাচাইয়ের সুযোগ না থাকায় মুড়ি-মুড়কির এক দর হয়ে গেছে। এতে করে দেশের প্রয়োজন না থাকলেও অধিক সংখ্যক স্টুডেন্ট তাদের মেধা সম্পর্কে ভুল ধারণা পেয়ে উচ্চাভিলাসী হয়ে উঠছে। সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়েও কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটেই চান্স না পেয়ে বা উচ্চাভিলাসউদ্ভূত পছন্দের বিষয়ে সুযোগ না পেয়ে প্রাইভেটে ভর্তি হচ্ছে।
এই প্রাইভেটে ভর্তি হওয়াদের সবাই স্বচ্ছল না, নিম্ন-মধ্যবিত্তদের মধ্য থেকেই সম্ভবত এখন প্রাইভেটের সিংহভাগ ছাত্র আসে। এদের অনেকেরই বাপ-মায়ের সারাজীবনের সঞ্চয় ব্যয় করতে হয় প্রাইভেটে পড়া একটি সন্তানের পেছনে। এই টাকাগুলো চলে যাচ্ছে ভার্সিটি মালিকদের হাতে।
এর আরেকটা সাইড এফেক্ট হিসেবে দরিদ্র-মেধাবীদেরকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ থেকে একেবারেই বঞ্চিত করা হচ্ছে। পাবলিকে চান্স না পেয়ে আগে যারা ডিগ্রি বা মাস্টার্স করে চাকুরি পেতো, এখন প্রাইভেট থেকে পড়ুয়াদের সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের আর কানাকড়িও দাম নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় করেও যে লাউ, সেই কদু।
প্রাইভেট ভার্সিটির মালিক কারা?
প্রাইভেট ভার্সিটি খাতকে ননপ্রফিট হিসেবে দেখালেও এর মূলে আছে শুধুই বাণিজ্য। এই বাণিজ্যের কারণে সুবিধাপ্রাপ্ত হচ্ছে গুটিকয় মানুষ। এই মানুষদের ব্যাকগ্রাউন্ড আমার জানা নেই। অন্য একজন ব্লগারের মন্তব্য থেকে সামান্য তথ্য পেলাম:
একটি প্রাইভেট ভার্সিটির অনুমোদন পাওয়ার প্রক্রিয়াটি কতোটা স্বচ্ছ, তা নিয়েও সংশয় আছে। অনেক ইউনির বিরুদ্ধেই অভিযোগ আছে পর্যাপ্ত ফ্যাসিলিটিজ না থাকার। তবে সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো সরকারের এদের ওপর তেমন কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। যে কোনো ভার্সিটিই ইচ্ছেমতো টিউশন ফি আরোপ করতে পারে, শিক্ষকদের বেতন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে; অর্থাৎ, তাদের লাভের অঙ্কটাও তাদের নিয়ন্ত্রণে। কোনো কোনো 'ননপ্রফিট' প্রাইভেট ইউনিতে বাৎসরিক লাভের অঙ্কটা ১০০ কোটিরও ওপরে।
এই লাভবান মালিক পক্ষের পরিচয়ের ওপর নির্ভর করে সরকার এই বিষয়ে কি আইন প্রণয়ন করবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, যেখানে মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্তরাই প্রাইভেটের সিংহভাগ স্টুডেন্ট, সেখানে তাদের স্বার্থ না দেখে বাংলাদেশের দুর্নীতির নিয়মে মালিকপক্ষের স্বার্থ দেখাই স্বাভাবিক এবং সরকার ভার্সিটি মালিকদেরকে পুরোপুরি ছাড় দিয়ে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে অপরাধ করা শিক্ষার্থীদের ওপরেই করের বোঝা চাপাবে এটাও স্বাভাবিক!
প্রাইভেট বনাম পাবলিক:
আসলে শিক্ষার্থীদের মাঝে এই বিভাজনটা আসাই উচিত না। দেশের নাগরিক হিসেবে শিক্ষা সবার অধিকার। সরকার সেই অধিকারটা নিশ্চিত করতে পারছে না শিক্ষাবাজেটে প্রাপ্য গুরুত্ব না দেয়ার কারণে। এই অধিকারের প্রশ্নে সবারই এক থাকা উচিত।
কোন ইউনির ছাত্ররা বেশি মেধাবি, কারা বেশি স্মার্ট, কারা প্রফেশনাল লাইফে বেটার, এই আলোচনার কোনো অন্ত নাই এবং কোনো উপসংহারও নাই। সবচেয়ে বড়ো কথা, এই আলোচনা করে তেমন কোনো ফায়দা নাই।
আমাদের ফোকাস কি হওয়া উচিত:
এককথায় বলতে গেলে, শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা, দেশের জনগণের মেধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। দেশের চাহিদা অনুপাতে নোতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা। টাকার প্রবলেম? সামরিক খাতের মতো কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাজেট কমালেই এটা সম্ভব। জিয়ার বিধবাপত্নী নিঃসঙ্গ খালেদাকে ২০ বিঘার ওপরে বাড়ি না দিয়ে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যায়। বিমানবন্দরের নাম পালটানোর খরচ দিয়ে একটা বিশ্বিবিদ্যালয়ের কয়েক বছরের ব্যয় নির্বাহ করা যায়। আসলে মানি কোনো প্রবলেম না, প্রবলেম হলো সরকারী অর্থের সদ্ব্যবহার না করা।
এই সাড়ে চার পার্সেন্টের শাঁকের আঁটিই আমাদের চোখ খুলে দিক টাকা দিয়ে শিক্ষা কেনার মতো অযৌক্তিক বোঝা দেখতে পাওয়ার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
দরিদ্র অমেধাবি বা দরিদ্র মোটামুটিমেধাবি (যেমন আমি) এই দুই গ্রুপেরও উচ্চ শিক্ষা পাবার অধিকার আছে। কিছুদিন পরে জন্মালে আমার হয়তো উচ্চশিক্ষাই নেয়া হতো না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ঠিক। আমার মন্তব্যের 'মেধাবী' অর্থ টার্গেট কাজের সাপেক্ষে যোগ্যতা। একটি নির্দিষ্ট টার্গেট কাজের স্কোপ লিমিটেড হলে তখন অধিকতর যোগ্যরাই আগে সুযোগ পাবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
''Govt. University তে পড়ব আমি? ছিঃ !! ওটাতো বস্তির ছেলেমেয়েদের জন্য।'' অনেক পরে জানা গেলো, আমার বন্ধুটি সমস্ত Govt. University তেই পরীক্ষা দিয়েছিলো কিন্তু ''চক্রান্ত'' (!!) করে কেউই তার নাম লিস্টে ছাপেনি...
আপনি বললেন- '' সরকারী বিশ্ববিদ্যালায় গুলো ভুর্তুকি দিয়ে চালাচ্ছে সরকার, সেই ভুর্তুকির টাকার একটা বড় অংশ যে এই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছাত্রদের বাবা মা’র প্রদত্ত কর থেকে আসে তা ভুলে গেলে চলবে না।''
আমার এই ''বড় অংশ'' কথাটা নিয়ে আপত্তি আছে। কারণ, আমার চেনা সরকারী চাকরী করা “আংকেল-আন্টি''দের কথাই বলি যাদের ছেলে-মেয়েরা প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ে- তাদের অনেকেই একক ইনকামে কোটি টাকা দামের ফ্ল্যাট কিনেছেন, গাড়ি কিনেছেন... অন্যান্য আরো কি কি করেছেন তা না হয় বাদই দিলাম। চেনা গুটিকয়েক জন আছেন যাঁরা ছেলেমেয়ের ফি দিতে হিমশিম খান। পরিচিত রাজনীতিবিদ-ব্যবসায়ী শ্রদ্ধেয় ‘আংকেল-আন্টি’দের কথা বললে বলতে হয় বেশির ভাগই ঋণ খেলাপী, কর ফাঁকিবাজ... কথাটা শুনতে অনেক বাজে শোনাবে হয়ত- তাও বলি, তাদের কাছ থেকে কর নেয়ার সুযোগ হাতছাড়া করবে কেনো সরকার?
আপনি বললেন, কোনো নেতাকেই নাকি দুঃসময়ে পাননি... পাবেন কিভাবে? করের অজুহাতে বাড়তি টাকা ‘আরো বাড়তি’ বানাতে পারলে তো তাদেরই লাভ... কেনো লাভ সেটা ‘না বুঝলে’ (!!) চিন্তা করে বের করেন। নিজেই বললেন- নীতি নির্ধারকেরা ‘ম্যানেজ’ হয়ে গেছে... ‘ম্যানেজ’ও সেই একই কারণেই হয়েছে...
Privet university তে পড়াশোনা অনেক কম হয়, কারণটা ওখানকার guest teacher, Govt. University’র teacher দের দিয়েই বলি- ওনারা ওখানে ‘কোচিং’ স্টাইলে পড়ান, পরীক্ষা নেন কিন্তু Govt. University তে পড়ানোর সময় বলেন- ‘সব পড়বা, ইন ডিটেইল পড়বা’ ... কয়েকটি Privet university থেকে আমাদের অফার দেয়া হয়েছে একটা নির্দিষ্ট amount দিলে CGPA ‘3.9’ এ MBA পাশ নিশ্চিত... আপনার মতে এটা ‘বোধ-বুদ্ধিহীন’ কথা হয়ে গেলো... আশাকরি কোনো একটা লেখায় ‘সরলীকরণ’এর জবাব দেবেন।
আমরা পরস্পরের ‘কোমল হাত ধরাধরি’ করে ঘুরি... ছিঃ !! কি খারাপ আমরা...
কিন্তু অনেক ‘সেকেলে’ (!!) আংকেল-আন্টি প্রাইভেট ভার্সিটিতে ছেলেমেয়েকে ভর্তি করানোর পর, তাদের ওভার স্মার্টনেস, পাংকু টাইপ কাপড়, ড্রাগস, ড্রিংস, মাঝরাতে পুল খেলা, কথা বলার স্টাইল, ভিনদেশী কায়দায় বন্ধুদের সাথে মেলামেশা ইত্যাদি ইত্যাদি জিনিস নিয়ে যে কেনো আক্ষেপ করেন বুঝি না... ওরা তো আর ‘হাত ধরাধরি’ করে না... ওরা তো DU, BUET অন্যান্য সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল কলেজের বিপদে এগিয়ে আসে, আর আমরা কি না... ছিঃ !!
আমি ‘বস্তির ছেলেমেয়েদের জন্য’ বরাদ্দ একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। উপরে আমার চোখে দেখা, কানে শোনা কিছু ‘বোধ-বুদ্ধিহীন’ জিনিস শেয়ার করলাম... আপনার লেখায় অনেক বানান ভুল, ভুল করেই মনে হয় ভুল হইছে অথবা নাদান আমিই চক্ষে ভুল দেখছি... ‘বাসন মাজা’ খুব ‘নীচু’(!!) কাজ, না? আমার তো ‘বাসন মাজা’ ছাড়া উপায় নাই দ্যাখতাছি...
যা হোক- ভাল-মন্দ সব জায়গায়ই থাকে। কেউ/কোনো কিছুই ১০০% ভাল না... তবে ভালোর পরিমাণটা বাড়ানোর চেষ্টা সবারই করা উচিত।
সরকারী/বেসরকারী যেকোনো ক্ষেত্রেই শিক্ষা নিয়ে বানিজ্য খুবই জঘন্য একটা জিনিস। দুঃখজনক ভাবে বেসরকারী শিক্ষাক্ষেত্রে এমনটা অনেক বেশি হয়... আমার মতে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উচিত সত্যিকার শিক্ষার পরিবেশ যাতে নিশ্চিত হয় সেজন্য কতগুলো দাবি শান্তিপূর্ণ ভাবে সরকারের কাছে তুলে ধরা। দুদিন পরপর শুধু ফি নিয়ে আন্দোলোন না করে পুরো কাঠামোটাকে ঠিক করার জন্য উদ্যোগ নেয়া... উচিত গুণীজনদের আরো জোরালো ভাবে তাদের জন্য কাজ করতে আগ্রহী করা... সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সাহায্য positive way তে নেয়া। কারন, মানেন আর না মানেন যেকোনভাবেই হোক, রাষ্ট্রে তাদের একটা আলাদা গুরুত্ব আছে। শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যরা যদি বিভিন্ন বিষয়ে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সুস্থ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করে তাহলেও হয়তবা পরিবেশ অনেক উন্নত হবে। রাষ্ট্র অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ, অনেক ক্ষেত্রেই সে বিমাতা... তাকে ভুল থেকে সঠিক পথ দেখানোর দায়িত্ব আমাদেরও...
আশা করি মূল বিষয় থেকে সরে গিয়ে বিভেদ সৃষ্টির পরিবেশ আর সৃষ্টি করবেন না। ভাল থাকুন...
''চৈত্রী''
- সারছে!
চৈত মাস অন ফায়ার!!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খাইছে! চৈতি আপাতো ফুডাইয়ালাইছেন!!!!!!!
কি মাঝি, ডরাইলা?
@চৈত্রীঃ Privet university কী????? এটা আবার কোনটা??
মুস্তাফিজ
কিস্তা,
এরিকসন অফিস,
সুইডেন
ভাইয়া, দয়া করে সংযত হোন। এইভাবে একজন আরেকজনকে কথা শুনিয়ে সমাধান হবেনা।
হাম্মাদ আলি
বানান ভুল করছেন উনি।
হাসিব
চাংখারপুল,
মম্তাজের চায়ের দোকান,
ঢাকা
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
@মুস্তাফিজ, ভাইয়া আপনি কি বিবাহের জন্য মেয়ে খুঁজছেন? আমার হাতে ইংরেজিজ্ঞানপ্রিয় নর্ডিকে বসবাসিচ্ছুক সুন্দরী, সুশীলা, ৫'৫", উজ্জ্বলবর্ণা সম্ভ্রান্তবংশীয়া, প্রাইভেটপড়ুয়া সিএসই চতুর্থ বর্ষ উইথ এ-লেভেল ব্যাকগ্রাউন্ড পাত্রী আছে। আপনার সিভিপ্রাপ্তিসাপেক্ষে পাত্রীর বংশলতিকা সম্বন্ধে বিস্তারিত জানান হইবে।
মিজান
সিরিয়াস ম্যাচ মেকিং,
কলাবাগান,
দূরালাপনী - ০১৭৬৬৭৩৩৩১
তড়িৎডাক -
@হাসিবঃ ধরুন একজন public লিখতে যেয়ে publeek লিখল।
যদি সে public university-র হয় তখন অনিচ্ছাকৃত ভুল
আর যদি সে private university-র হয় তাহলে গাধা...
কি বলেন???
অবশ্য privet (প্রিভিট) নামে একটা শব্দ আছে এর আভিধানিক অর্থ
"বাগানে বেড়া দেয়ার জন্য বহুল ব্যবহৃত, ছোট ছোট সাদা ফুল বিশিষ্ট চিরহরিৎ গুল্ম বিশেষ"
কিনতু এজাতীয় কোন বিশ্ববিদ্যালয় আছে বলে শুনিনি।
আশা করছি মম্তাজের চায়ের দোকান এটা আপনার জায়গা নয়।
ভাল থাকবেন
মুস্তাফিজ
কিস্তা,
এরিকসন অফিস,
সুইডেন
মুস্তাফিজ,
'কিনতু' (উচ্চারণ- কিনোতু) জিনিসটা কি? এটা কি বাংলা ভাষার শব্দ- "কিন্তু" টাইপ কিছু? যদি হয়, তাহলে এটা কি (বাংলা) বানান ভুলের মধ্যে পড়ে? জানতে চাই...
আমি বস্তির ছেলেমেয়েদের জন্য বরাদ্দ, কাঁটা রাইফেলের গুদাম, নরম হাত ধরে ঘুরাঘুরি করা ছেলেমেয়েদের আস্তানা, মামুলি-ফালতু... ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি...
নিতান্তই বেকুব আমি বাংলাই পারিনা আর 'ভিনদেশি' ইংরেজি !! বানান আমি ভুল করুম না তো আর ক্যাডা করবো?
anyway, আমার total comment টা ছিলো লেখক 'রকিবুল ইসলাম কমল' এর উদ্দেশ্যে... আমি ওনার কাছ থেকে feedback আশা করেছিলাম। কিন্তু কি আর করা, ওনাকে তো এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না...আপনার কাছ থেকে পেয়েও ভাল লাগল...
লেখাটিতে প্রচুর “বাংলা” বানান ভুল... বানান ভুল যে কারো হতেই পারে, এ নিয়ে কাউকে কিছু বলার শখ আমার কখনোই ছিল না, লেখক কি বোঝাতে চাইছেন সেটাই আমার কাছে সবসময় মূখ্য... এক্ষেত্রে যদিবা শখ হতোও লেখাটি যদি মূল track এ থাকত তবে তা বলার chance’ই আমি পেতাম না। chance আমাকে লেখকই করে দিয়েছেন। কিভাবে দিয়েছেন তা জানতে ইচ্ছা হলে লেখাটি আরো একবার পড়ে খুঁজে বের করুন।
আপনি আমার comment টা ভাল করে পড়লে হয়ত দেখতেন, লেখকের প্রত্যেকটা লাইনের জবাব আমি আমার দৃষ্টিতে দিয়ে মূল problem টাকে highlight করেই শেষ করতে চেয়েছি। এ অবস্থায় এসেও “শুধুমাত্র” এবং “শুধুমাত্র” বানান ভুল নিয়ে আপনার করা comment গুলো বেশ স্থুল লাগল। লেখকের পর আপনি আবারো (এর আগে আরো কয়েকজন) দু জায়গায় পড়া student দের মধ্যে দাগ টানার চেষ্টা ইচ্ছাকৃত ভাবেই করলেন।
মূল বিষয় থেকে সরে গিয়ে এখানে আরো একবার বিভেদ সৃষ্টির পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ...
''চৈত্রী''
আমি নিখোঁজ হয়ে যাই নাই। আমার এই বানান ভুলে ভরা আর গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে লিখতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলা লেখাটাতে সময় দেবার জন্য আপনার সাথে সাথে অন্য সবাইকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। লেখাটি অন্তত সচলায়তন কে একটি গুরুত্বপুর্ণ ইস্যুতে সম্পুর্ণ নীরব থাকার দায় থেকে তো কিছুটা রেহাই দিলো!
প্রথমত, ব্যাক্তিগত কাজে ব্যাস্ত থাকায় সবার মন্তব্যের জবাব দিতে পারি নাই। দিত্বীয়ত, যেটা আমি আমার লেখায়ও উল্লেখ করেছি, আমি নিয়মিত লেখক নই। তাই মন্তব্যের উত্তর দিতেও অনেক সময় লেগে যায়। আমার দৃষ্টিতে গুরুত্বপুর্ণ মন্তব্য গুলোর আগে উত্তর দেবার চেষ্টা করেছি।
অনেকর মন্তব্যে বুঝতে পেরেছি যে তারা আমার লেখায় বিরক্ত। ঠিক যেমন আমিও অনেকের মন্তব্যে কিছুটা বিরক্ত। বিরক্তি-বিরক্তি কাটাকাটি ধরে ব্যাপারটা সয়েনিচ্ছি।
কমল
কমল, একটা ছোটো পর্যবেক্ষণ দিচ্ছি। সচলায়তন তো কোনো প্রেস মাধ্যম না, যে একটা ইস্যু ইচ্ছাকৃত বা নিয়ন্ত্রিতভাবে এড়িয়ে যাবে বা নিরব থাকবে। এখানে প্রত্যেকে স্বতন্ত্রভাবে লেখেন [একটা নীতিমালা মেনে চলে]। সচলায়তন কাউকে সার্ভিসও দিয়ে বেড়ায় না যে কোনো একটি ইস্যুতে অবশ্যই কথা বলতে হবে বা চুপ করে থাকতে হবে। সচলায়তনের কণ্ঠস্বর হচ্ছে আপনার মতো মানুষের কণ্ঠস্বর। আপনি যদি নিজে চুপ করে থেকে আশা করেন, অন্য লোকে লিখবে আর আপনি পড়বেন বা তার সাথে সুর মেলাবেন, তাহলে কি লেখক সমাবেশের ধারণাটাই পানিতে পড়ে যায় না?
এ কারণেই, যখন এখানে একটা কিছু লিখছেন, আপনি "ভালো" লেখক, নাকি নন, সেটা অবান্তর। চেষ্টা করুন যা বলতে চাইছেন, সেটা গুছিয়ে লিখতে। নিজের লেখাটা আরেকবার পড়লে বুঝবেন, আপনি ইস্যুটাকে হয় ভালোমতো অ্যাড্রেস করতে পারেননি, অথবা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ঝাল ঝাড়তেই লিখেছেন। দুইটার একটাও গ্রহণযোগ্য নয়। আপনার সরবতা আরো প্রাসঙ্গিক হলে ভালো হতো।
আমার একটা প্রশ্ন আছে। সত্যি জানতে চাই। যেইসব দেশে শিক্ষা (বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা ফ্রি, সেই সব দেশে আয়কর কত? আর বাংলাদেশে কত?
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
একটা দেশে উচ্চশিক্ষা ফ্রি বা সাবসিডাইজড মানে হলো ঐ দেশে সরাসরি সেবা গ্রহণকারির বদলে দেশের জনগণ সম্মিলিতভাবে কর বা অন্য কোন মাধ্যমে সেই সেবার দাম পরিশোধ করে।
কর থেকে কতটাকা আসলো সেই প্রশ্ন মাথায় নিয়ে ঐ দেশগুলো শিক্ষা ফ্রি করেনি। জার্মানিতে বহু খারাপ সময়েও এই ফ্রি বা স্বল্পমূল্যে শিক্ষা চিকিতসা ইত্যাদি থেকে সরে আসেনি। এটার কারণ হলো ওখানে এই খাতগুলোকে বাজারের হাতে ছেড়ে দেয়া যায় না বলে মনে করা হয়।
পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও সম্পদের প্রাচুর্যের সমস্যার চাইতে সম্পদের বন্টন অনেক বড় সমস্যা। বাংলাদেশের আর্মির পকেট ঝাড়লে এক হাজার কোটি টাকা বছরে বের করা কোন সমস্যা না। ঐ টাকা দিয়ে ঢাবির সাইজের (২২০০০ ছাত্র) ১০টা বিশ্ববিদ্যালয় বছরে চালানো সম্ভব। আমাদের দেশে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর ব্যাপারে কোন লবিং হতে দেখি না। এই খাতে বরাদ্দ বাড়ালে উচ্চশিক্ষা আরোও অনেকের কাছে পৌছনোতে সমস্যা হবার কথা না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ওয়েলকাম টু রিয়েল বাংলাদেশ।
নতুন মন্তব্য করুন