গত ৩০জুন ৩০ তম বিসিএস পরীক্ষার পর থেকে পরীক্ষার্থীদের মনে শুধু ক্ষোভ আর ক্ষোভ। এই ক্ষোভ প্রশ্ন কঠিন হওয়ার জন্য নয়, প্রশ্ন ভুল আর সঠিক উত্তর না থাকার জন্য। এর ফাঁদে পড়ে কেউ লাভবান হবে, কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু যাদের জন্য এ ভুল– তারা বহাল তবিয়তে থাকবে। সভ্য দেশ হলে এ অমার্জনীয় ভুল স্বীকার করে পিএসসির সবাইকে পদত্যাগ করতে হত এবং করত। বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক উপদেষ্টা ব্যতীত কেউ এ সৎ সাহস দেখায়নি।
অবাক লাগে এত বড় বিসিএস পরীক্ষার দিনে পিএসসির কর্ণধারসহ সবাই ছুটিতে ছিলেন। পিএসসি সিদ্ধান্ত দিবে রবিবার--অফিস খুলবে ,তারপর। উচিত ছিল এই সপ্তাহে সবার ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে তাৎক্ষণিক দিকনির্দেশনা দেয়া। সরকারের অন্যান্য বিভাগ তাই করে থাকে। ইতিমধ্যে পিএসসি চেয়ারম্যান ১০০ এর স্থলে ৯৮ তে কনভার্ট করে সমাধানের একটি তত্ত্ব দিয়েছেন পত্রিকায়। এ মন্তব্য শুনে মনে হয়েছে, তার আদৌ প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষা নেয়ার যোগ্যতা নেই। অবশ্য তার অনিয়ম নিয়ে পত্রিকায় অনেককিছু পড়েছি- তিনি এসবে কোন পাত্তা দেন না।
বিসিএস পরীক্ষায় একটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ +, ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ কাটা, খালি রেখে দিলে ০। তাহলে কিভাবে এর সমাধান হয়।
২নং সেটে যে ৫টি ইংরেজি প্রশ্নের ভুল ছিল– সে ব্যপারে পিএসসির সিদ্ধান্ত যদি পরীক্ষার্থীদের পক্ষে যায়– তাহলে ১নং ও ৩নং সেট যারা পেয়েছিল তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারন সঠিক প্রশ্ন পেলে ২নং সেট প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদেরও ভুল হতে (-০.৫)পারত।
আবার দেখুন-
১।রেডক্রস প্রতিষ্টা হয় কতসালে-
২।নবায়নযোগ্য জ্বালানী কোনটি-
৩।পাহাড়তলী কার গ্রামের বাড়ী
এই তিনটা প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর নাই। ৩নং প্রশ্ন করা হয়েছে যতটা না মেধা যাচাইয়ের জন্য তার চেয়ে বেশী প্রার্থীদের বাঁশ দেয়ার জন্য। কাছাকাছি উত্তর শামসুর রাহমান। //http://en.wikipedia.org/wiki/Shamsur_Rahman//
শামসুর রাহমান জন্ম গ্রহণ করেন পূরান ঢাকায়। তার পিতার পৈত্রিক বাড়ি ছিল নরসিংদির পারাতলীতে, পাহাড়তলী নয়। এই রকম প্রশ্ন যদি করা হয়– তাহলে ভবিষ্যতে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি কোথায় প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের খুলনা লিখলেও উত্তর সঠিক হওয়া উচিত। পারাতলী ও পাহাড়তলী বানানে বিশাল পার্থক্য। সাহিত্যে যেখানে আ-কার, ই-কার মানে বিশাল ভুল সেখানে পুরো বানান তো আরো বিশাল ব্যাপার।
আরেকজন লেখকের গ্রামের বাড়ী নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে।
প্রশ্নটি ছিল– কাঠালপাড়ায় কার গ্রামের বাড়ী– উঃ বংকিমচন্দ্রের। দেখা যাচ্ছে প্রশ্নকর্তার কবি- সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম নিয়ে যত না ভাবনা তার চেয়ে বেশী ভাবনা তাদের গ্রামের বাড়ী নিয়ে।
সমালোচনা যখন করতে বসেছি– তখন আরেকটি প্রশ্ন দেখুন।
কোন কবি নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন–
ক।গোবিন্দদাস
খ।কায়কোবাদ
গ।কাহ্নপা
ঘ।ভুসুকু পা
এর মাঝে উত্তর ভুসুকু পা- কারন তিনি চর্যাপদে এরকম কিছু লিখেছেন।
কিন্তু গোবিন্দদাস ও কায়কোবাদকে বাঙালি বলতে সমস্যা কোথায়? তারা কি নিজেকে কখনো অবাঙালি বলেছেন? তাদের কবিতায় বাংলার আকাশ বাতাস, মানুষের সুখ দুঃখ নিয়ে এত কথা বলার পরও কি তারা বাঙ্গালি নয়? নজরুল, জসীমউদ্দীন এরা তো কেউ লেখায় বাঙালি বলে পরিচয় দেয়নি, তাই বলে কি তারা বাঙালি নয়? প্রশ্নটা হওয়া উচিত ছিল- চর্যাপদের কোন কবি নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন?
৪টা অপশনে চারজন চর্যাপদের কবির নাম দেয়া যেত।
দেখা যাচ্ছে বাংলা প্রশ্ন কর্তার উদ্দেশ্য প্রার্থীদের মেধা যাচাই নয়– জ্ঞানের জগতটাকে বিভ্রান্ত করে দেয়া। নিশ্চিত প্রশ্নকর্তার মাথায় গোবর ছাড়া কিছু আছে বলে মনে হয় না।
এখন ইংরেজি ৫টি +
১।রেডক্রস প্রতিষ্টা হয় কতসালে-
২।নবায়নযোগ্য জ্বালানী কোনটি-
৩।পাহাড়তলী কার গ্রামের বাড়ি
এই তিনটি প্রশ্নসহ মোট আটটি প্রশ্নের ব্যাপারে পিএসসি কি সিন্ধান্ত নিবে?
বাদ দিলে যারা ভুল উত্তর দিয়েছে তাদের পক্ষে যাবে, আর যারা সঠিক উত্তর দিয়েছে তাদের বিপক্ষে যাবে। ইংরেজির জন্য ২নং সেটের প্রাথীদের সুবিধা দিতে গেলে অন্য সেটের প্রার্থীদের অসুবিধা হবে– কারন এটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা।
এই পরিস্থিতিতে আপনাদের মতে গ্রহণযোগ্য সমাধান কি?
আমার মতে, খাতা মুল্যায়নের আগেই নুন্যতম ৫০ নম্বর পেলে সবাইকে লিখিত পরীক্ষায় বসতে দেয়া হবে– এমন ঘোষনা দেয়া হোক। এতে মনে হয় ক্ষতিগ্রস্ত , সুবিধাভোগী সবাইকে এক কাতারে আনা যাবে। যদি প্রার্থীসংখ্যা বেশী হয়ে যায় তাহলে লিখিত পরীক্ষায় ঝাড়ার সুযোগ তো আছেই।
আপনারা কি বলেন?
এ ছাড়া প্রচলিত নিয়ম ঠিক রেখে পিএসসি যে ঘোষনাই দিবে তা কারো পক্ষে কারো বিপক্ষে যাবে– সাম্য থাকবে না।
মূল প্রশ্ন
২ নং সেটের ভুল প্রশ্ন
২৯তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নে ভুলের মহোতসব দেখুন
টুটুল বরকত
মন্তব্য
টুটুল বরকত কী বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছেন? আপনার লেখায় বানানের যা অবস্থা (আমার চাইতেও খারাপ) তাতে মূল আলোচনায় যাবার আগেই আমাদের হবু সরকারী কর্মকর্তাদের জ্ঞানের বহর দেখে টাস্কী খাইতে হইলো।
...........................
Every Picture Tells a Story
কর্তৃপক্ষ কতোটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে একটা প্রশ্নপত্রে এতোগুলো ভুল থাকে, সেটাই ভাবছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ভেতরে কাহিনী আছে।
@ মুস্তাফিজ |
--না ।
---দয়া করে ভুল গুলো ধরিয়ে দিন ।উপকৃত হবো ।
টুটুল বরকত
যতিচিহ্ন, যেমন- দাঁড়ি ও কমার ঠিক আগে স্পেস দিতে হয় না; দিতে হয় তার পরে।
@আলমগীর
---কাহিনীটা জানতে চাই।
----আমাদের হবু সরকারী কর্মকর্তাদের জ্ঞানের বহর দেখে টাস্কী খাইতে হইলো– এ ধরনের উক্তি না করে সরাসরি বললে ভালো লাগে। আগে জানতাম না, উপকৃত হলাম।
টুটুল বরকত
আমি বানান বিশারদ না। তারপরও যতটুকু চোখে দেখলাম বললাম। এ রকমের একটা লেখায় একাধিক বানান ভুল পীড়াদায়ক। আর প্রতিমন্তব্য করার আগে নিজের লেখায় একটু চোখ বুলিয়ে নিলে বেশ কিছু ভুল নিজের চোখেই পড়তো, আপনি তা করেননি।
এটা ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসাবে দেখবেননা। ব্লগে লেখা লেখির শুরুতে আমার লেখায় যে পরিমাণ বানান ভুল হতো তা এভাবে দেখিয়ে দেওয়াতেই ইদানীং ভুল কম হয়।
প্রশ্ন পত্রে>প্রশ্নপত্রে
ফাদে >ফাঁদে
ক্ষতিগ্রস্থ> ক্ষতিগ্রস্ত
উপদেস্টা> উপদেষ্টা
ব্যতিত> ব্যতীত
কর্নধারসহ> কর্ণধারসহ
সিন্ধান্ত > সিদ্ধান্ত
তাতক্ষনিক> তাৎক্ষণিক
প্রতিযোগিতামুলক>প্রতিযোগিতামূলক
জ্বালানী>জ্বালানি অবশ্য জ্বালানী ও সঠিক
বাড়ি>বাড়ী (কোন কোন মতে দুটোই সঠিক, কিন্তু একই লেখায় দুটোর ব্যবহার করা ঠিক না, আপনি সেটাই করেছেন)
বাশ>বাঁশ
জম্নগ্রহন> জন্ম গ্রহণ
পূরান> পুরানো/পুরাতন
বাঙ্গালি> বাঙালি অথবা বাঙালী
বাংগালী>বাঙালি অথবা বাঙালী
গ্রহনযোগ্য> গ্রহণযোগ্য
ঘোষনা> ঘোষণা
সুবিধাভুগী> সুবিধাভোগী
বেশী> বেশি
মহোতসব> মহোৎসব
.................................................................................
একই লেখা অন্য একটি ব্লগেও প্রকাশিত হতে দেখেছি, সেই ব্যাপারটা মডুরা দেখবেন।
পোস্ট করবার আগে নীতিমালা পড়ে নেবেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
আসলেই দুর্ভাগ্যজনক। আমার কয়েকবন্ধুও বিসিয়েস দিয়ে এসে এসব বলল। কী অদ্ভুত!!
এভাবে ওরা কাদের বাছাই করতে চায় দেশ চালানোর জন্য?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বানান ভুল একটা বড় ইস্যু। তার চেয়ে বড় ইস্যু ছিল লেখার মুল বিষয়বস্তু। বানান ভুল ধরতে পেরেছিলাম কিন্তু এডিট করার অপসন দেখিনি। আশা করি পিএসসি আজকে বৈঠকের শুরুতেই অন্যকোন ইস্যুকে সামনে না এনে মুল বিষয় নিয়ে আলোচনা করে ছাত্রদের জন্য কল্যানকর কোন সিদ্ধান্ত নেবেন।
এই ব্লগে বেশীরভাগ ব্লগার বিদেশে পড়াশুনা বা চাকুরীরত। ভেবেছিলাম সেসব দেশের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কিভাবে কি করা হয় তা জানা যাবে। ভবিষ্যতে সরকার বা পিএসসির কাজে আসতে পারত- এমন কিছু উপদেশ তারা দিবেন। তা না হয়ে শুরুতেই আলোচনা অন্যদিকে চলে গেছে।
আলমগীর সাহেবের “ভেতরে কাহিনী” জানার প্রতীক্ষায় রইলাম। এরপর পোস্টটি ডিলিট করা হোক।
টুটুল বরকত
অপসন>অপশন
মুল>মূল
কল্যানকর>কল্যাণে
বেশীরভাগ>বেশীর ভাগ কিংবা বেশিরভাগই (বেশীর ভাগ ব্লগারই, ব্লগারদের বেশিরভাগই)
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনি যদি সমালোচনার জন্য এটা লেখে থাকেন তাহলে বলবো এই জ্ঞান নিয়ে সমালোচনা মানায়না, নিজের দৈনতাই প্রকাশ পায়। আর যদি এটা প্রতিবাদ হয় তাহলে সেভাবে লেখুন।
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই, আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই বানান পারে না। লিখতেই পারে না। পড়তেও পারে না।
এই অক্ষমতার কারণে কি তারা প্রতিবাদ করবে না?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
স্পর্শ, প্রতিবাদ যে কেউই করতে পারে। অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করাটাই কাম্য। লেখাটা পড়ে আমার কাছে প্রতিবাদ নয় বরঞ্চ সমালোচনা/কুৎসা মনে হয়েছে। সমালোচনা তারই করা উচিত যার সমালোচনা করার যোগ্যতা আছে। একটা ভুল জিনিষের সমালোচনা আরেকটা ভুল দিয়ে হয়না।
বানান আমারও ভুল হয়।
...........................
Every Picture Tells a Story
টুটুল বরকত ভাই
ভেতরের কাহিনীটা আপনি নিজ উদ্যোগে জানতে চেষ্টা করুন না।
আপনি পিএসসির চেয়ারম্যানের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, এর কর্ণধারদের জ্ঞান দিচ্ছেন। আবার পোস্ট ডিলিট করে দিতে বলছেন। সিরিয়াস একটা লেখায় অহরহ বানান ভুল করেছেন, মুস্তাফিজ ভাই বলেছে, তার উপরও ক্ষেপে আছেন।
সবার উপর ক্ষেপে গেলে কেমনে হবে?
টুটুল বরকত,
মাল্টপল চয়েস প্রশ্নে চারটি অপশনের মধ্যে একটি উত্তর থাকবেই এটা আশা করা ভুল। বরং কিছু প্রশ্নে কোন উত্তর থাকবে না, কিংবা একাধিক উত্তর থাকবে (তুলনামূলকভাবে সবচে সঠিক উত্তর বেছে নিতে) এরকমটা হওয়াই উচিৎ। এটা বাস্তব জীবনের সাথে আরো ঘনিষ্ট।
বাস্তব জীবনে যখন সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন তখন চারটি জায়গায় ছয়টি অপশন হয়ত থাকবে। এবং হয়ত ছয়টি সমাধানই গ্রহনযোগ্য। কিন্তু আপনাকে বেছে নিতে হবে তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য সমাধানটি। আমার তো মনে হয় বিসিএস পরীক্ষায় এরকম প্রশ্নই হওয়া উচিৎ।
আপনার কষ্টটি বুঝতে পারছি। কিন্তু আমি দায়িত্বে থাকলে বরং আরো জীবনঘনিষ্ট প্রশ্নই করতে বলতাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
গ্রামের বাড়ি নিয়ে প্রশ্নকর্তাদের ফেটিশ দেখে বিস্মিত হলাম। সরকারী চাকরি যারা করতে যাবেন, তাদের কি বসে বসে কার গ্রামের বাড়ি কোথায়, সেটার ওপর ভিত্তি করেই ক্যারিয়ার গড়তে হবে?
বিসিএসের প্রশ্নপত্রের চরিত্র বিশ্লেষণ করে কি কেউ একটা পোস্ট দিতে পারেন?
@আলমগীর সাহেব,
আমি তো আপনার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করিনি, খুশি হয়েছি। বরং আপনি ভিতরের যে কাহিনীটা জানেন তা জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছি মাত্র। যাই হোক মনে হচ্ছে আমার ভুল হচ্ছে কোথাও, ঠিক মত বুঝাতে পারছি না।
বলেছি কারন, আমি আমার মূল বক্তব্য আপনাদের কাছে ঠিক মত দিতে পারিনি। আলোচনার বিষয়বস্তু অন্যদিকে চলে গেছে। ফলে মূল বিষয়বস্তুর দিকে কেউ আর যায়নি।
@মুস্তাফিজ সাহেব ,
অপসন>অপশন
কল্যানকর>কল্যাণে
বেশীরভাগ>বেশীর ভাগ কিংবা বেশিরভাগই (বেশীর ভাগ ব্লগারই, ব্লগারদের বেশিরভাগই)
কেন ভুল ?
উদাহরন ঃ
মানায়না => মানায় না ।
ভুল জিনিষের=> ভুল বিষয়ের
দৈনতাই =>দীনতা
অনঢ়=>অনড়
ভালোই হইছে => ভালোই হয়েছে
প্রায় ১০বছরের মতন=> প্রায় ১০বছরের মতো
টুটুল বরকত
ধন্যবাদ।
আমি আপনার সাথে তর্কে যেতে চাইনা।
আপনার লেখায় বরকত হউক।
ভালো থাকবেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
হিমু ভাই ও মুর্শেদ ভাইকে ধন্যবাদ ।
আপনারা মুল আলোচনাতে ফিরে এসেছেন।
মুর্শেদ ভাই, আমাকে বানান গুলো এডিট করার সুযোগ দেন, যাতে সবাই মুল আলোচনাতে ফিরে আসে।
বাংলাদেশে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এই নিয়ম আছে। কিন্তু বিসিএসে বলা আছে চারটা মাল্টপল চয়েস থাকবে, একটা সঠিক উত্তর থাকবে। বিসিএসেও যদি এমন বলা তাহলেও কোন আপত্তি নেই, কিন্তু আগে বলতে তো হবে।
টুটুল বরকত
বানান শুদ্ধ করা লেখাটি contact অ্যাট সচল বরাবর পাঠাতে পারেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আজকাল স্কুল/কলেজে কি বাংলা লেখার চল উঠে গেছে? অনেকেই (অনেক ঘাগু লোকজনও) দেখা যায় যতি চিহ্নের আগে যে স্পেস হয়না সেটা জানেনা।
বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, তবে মুর্শদের মতোই বলতে চাই মাল্টিপল চয়েসে কাছাকাছি উত্তরটিই বেছে নিতে হয়। এটাও হয়তো একটা পরীক্ষা।
বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ। তবে বিদেশের উদাহরণ যেহেতু চেয়েছেন তাই আমার সাম্প্রতিক একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। এখানে এরকম মাল্টিপল চয়েস পরীক্ষার আগে অনেক সময়ই "চোথা" পাঠিয়ে দেয়। মানে কী রকম প্রশ্ন আসে তার একটা ধারণা বা গাইড। কিন্তু সেই চোথার উপর ভরসা করে গেছেন তো মরবেন। প্রশ্ন এমন ভাবে করবে যে কোন বই পড়ে এর উত্তর আপনি পাবেন না, যদি বিষয়টি সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকে তাহলেই জাজমেন্ট থেকে আপনি উত্তর করতে পারবেন।
কার গ্রামের বাড়ি কোথায় কিংবা এই গ্রামের বাড়িতে কে জন্মেছেন এসব প্রশ্ন যারা করে তাদের মাথায় গোবর নয়, অন্য কিছু আছে। কিংবা এটুকু আন্দাজ করতে পারি যে প্রশ্ন করার মতো সময় তারা দেননি, অথবা দিতে চাননি।
অদূর ভবিষ্যতে হয়তো এরকম প্রশ্ন আসবে:
১। কে মায়া বড়ি সেবন করে?
(ক) জমির
(খ) সমির
(গ) দবির
(ঘ) সখিনা
পরিশেষে বলি-- এই পোস্টের মন্তব্যগুলো না পড়লে আমি হয়তো পোস্টটি পড়তাম না। কারণ, ঠিকমতো বাংলা না লিখতে পারার পক্ষে কোন অজুহাতই গ্রহণযোগ্য নয় (সবার জন্যই প্রযোজ্য)। বানান ভুল অন্য জিনিস। সবারই বানান ভুল হয়। লেখা পড়ার মধ্যেও একটা গতিময়তা আছে। অসাধারণ কিছু ভুলের কারণে লেখা পড়ার আগ্রহ কমে যায়। (অন্তত আমার এমন হয়)।
একমত।
আমি সামু ব্লগে ব্লগাই। সেখানে বানানে এত ধরাধরি নেই। তাছাড়া টাইপ করতে গিয়ে কাছাকাছি উচ্চারনের বর্ণ এলেই ভুল হলেও আর শুদ্ধ করি না। ফলে নিজের মধ্যে একটা বদ অভ্যাস গড়ে উঠেছে। কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
টুটুল বরকত
অন্যভাবে নিয়েন না, একটা কথা বলি। এই যে ধরাধরি, সেটা কিন্তু লেখকের জন্যই ভালো। অন্তত লোকজন লেখাটা পড়ছে-- সেটাই বা কম কী? কেউ ভুল ধরে না মানে হতে পারে আসলে কেউ পড়েই না
আপনি ফনেটিকে লেখেন?
আপনার ঔদাসীন্যে চমৎকৃত হলাম।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
---হ্যাঁ
নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো
যুগ জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরে আলো
কিন্তু উপরে কয়েকটা কমেন্ট দেখুন, পু্রো ব্যক্তি আক্রমন। সচলায়তনে এসব নিষিদ্ধ বলেই জানি। পোস্ট দেয়ার প্রায় ২০ ঘন্টা পরেও কেউই মূল আলোচনাতে যা যাওয়াতে পুরা বেকুব হয়ে গেছিলাম।
টুটুল বরকত
২০ঘন্টায় আলোচনা শুরু না হওয়ার বিষয়টা নিয়ে বলি। সময়ের একটা ব্যাপার আছে: ধরেন আপনি উইকএন্ডের শুরুতে পোস্ট করলেন অথচ উইকএন্ডের কারণে সবাই ঘরের বাইরে। অনেক সময় অন্য আরেকটি পোস্ট/টপিকে আলোচনা সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। (একই সময়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে পোস্ট হলে এমনটা হয়)।
'আক্রমনের' ব্যাপারটা অনেক সময় আপেক্ষিক-- হয়েছে না হয়নি তা দেখার জন্য মডুরা আছেন। আমার কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট আছে, তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে অপারগ। তবে প্রথম মন্তব্যে যা বলা হয়েছে তা আমার মনেও এসেছিল।
সমালোচনা মানেই ব্যক্তি আক্রমন নয়। ভুল ধরার পর সেটার ডিনায়াল দেখালে সমালোচনা ক্রমাগত কঠোর হতে থাকে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার মনে হয়, লেখকের জন্যেও একটা সঙ্কেত এতে আছে। নিশ্চয়ই লেখাটায় কোনো সমস্যা আছে, তা না হলে ২০ ঘন্টাতেও কেন কোনো পাঠক প্রাসঙ্গিক আলোচনায় গেলেন না?
ভুল বানানে লেখা পড়তে বিরক্ত লাগে। পাঠকের কাছে আপনার আবদার হচ্ছে, বানান চুলায় যাক, আপনি লেখা পড়ে আলোচনা করতে থাকেন। সেটা কি সম্ভব?
আপনার ভুল ধরিয়ে দিলেই যদি আপনি তার মধ্যে ব্যক্তি আক্রমণের আভাস পান, তাহলে সচলায়তনে লিখে আপনি আরাম পাবেন না। এখানে উঠতে বসতে একে অন্যের ভুল ধরিয়ে দেয়। এটাই এখানকার চর্চা।
--ধন্যবাদ।
---আমিও সেটা বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু কি করব? না পারছি এডিট করতে, না পারছি ডিলিট করতে। উনাদেরও বোঝা উচিত ছিল- যেহেতু আমি অতিথি লেখক যত ভুলই আমার থাকুক সচল সদস্যদের মত লেখা এডিট করার ক্ষমতা আমার নেই।
---একমত।
সমালোচনা হওয়া উচিত আলমগীর সাহেবের মত। যদিও সর্বশেষ কমেন্টে তিনিও অন্যরকম হয়ে গেছেন।
টুটুল বরকত
যে কাজটা নিজে করতে অপারগ তা অন্যের কাছে আশা করছেন।
আপনি আপনার লেখার সমালোচনা করে বলা একটা লাইন মেনে নিতে পারছেন না। আর পিএসএসসির চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে বলছেন।
আপনি যে সব প্রশ্ন ভুল বলছেন, বা উত্তর নেই বলছেন সেগুলো হয়ত তা না।
আমি একবর্ণও না পড়ে দিব্যি পরীক্ষা দিয়ে এলাম। সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার জন্য এমন সব আহাম্মকি প্রশ্নের উত্তর কেন দিতে হবে সেটাই আমি বুঝি না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
@বুনোহাঁস
ভাই,
সামান্য একটু কষ্ট করে GRE/IELTS দিয়ে বিদেশ চলে যান।
টুটুল বরকত
এই সারকাজম-এর কারণ কী?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অঃ টঃ
ঘনিষ্ঠ না ঘনিষ্ট - কোনটা সঠিক।
জিনিস না জিনিষ- কোনটা সঠিক।
দয়া করে জানাবেন কেউ।
ঘনিষ্ঠ, জিনিস - সঠিক বানান।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
--আপনিই কিন্তু বলেছেন, ভেতরে কাহিনী আছে।
--আমার দ্বারা কোন শিক্ষার্থীর কোন ক্ষতি হয়নি, হচ্ছে না, হবেও না। কিন্তু এখন পিএসসির কারনে যে পরিস্থিতি- এতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবেই। আজকের পত্রিকা দেখুন, শিক্ষার্থীরাও কিন্তু তাই দাবী করেছে।
----এতক্ষন পরে মূল আলোচনায় এসেছেন। আমি তো আমার দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাখ্যা দিয়েছিই। আপনার ব্যাখ্যাটা জানলে বিভ্রান্তিও দূর হবে, কিছু শিখতেও পারব।
---টুটুল বরকত
নতুন মন্তব্য করুন