ছোট বেলায় শত মনীষীর কথা নামে একটি গ্রন্হ সমগ্র পড়েছিলাম। চার খন্ডের ধারাবাহিক ছিলো এটি। সেখানে পড়েছিলাম প্রায় চারশত মনীষীর জীবনকথা। তার একজন ছিলেন মহাকবি কালিদাস। জেনে ছিলাম এক অতি সাধারন যুবকের মহাকবি হওয়ার পেছনের গল্প। কালিদাস এর জীবন সম্পর্কে খুব একটা বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। খুব সম্ভবত তার জন্ম চতুর্থ বা পঞ্চম খ্রীষ্টাব্দে গুপ্ত সাম্রাজ্য এর সময়ে হিমালয়ের কাছাকাছি কোনো এক স্হানে।
এবার আসল গল্পে আসি। কালিদাস ছিলেন অক্ষরজ্ঞানহীন এক যুব্ক। তার বিয়ে হয় অতি রূপবতী ও বিদূষী এক নারীর সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের রাতেই স্ত্রী তাকে বলে যে কালিদাস যদি কোনোদিন বিদ্যার্জন করে আসতে পারে শুধু তখনই সে কালিদাস এর ঘর করবে। রাগে, দুংখে, অপমানে কালিদাস বিয়ের রাতেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পরে। আর এই অপমানই কালিদাস এর ভেতর জন্ম দেয় জেদ। কালিদাস জ্ঞানগুরুর কাছ থেকে বিদ্যার্জন শুরু করে। এর পরেই কালিদাস রচনা করেন সংস্কৃত ভাষার অমর মহাকাব্য মেঘদূত যেখানে অনেক দূরে নির্বাসিত নায়্ক তার প্রেমিকার কাছে মেঘ কে দূত বানিয়ে খবর জানায়।
কালিদাস তার রূপবতী ও বিদূষী স্ত্রীর কাছে এর পর ফিরে গিয়েছিলেন নাকি তা আর জানা যায়নি কিন্তু এই নারীর কারনেই তিনি রচনা করতে পেরেছিলেন মহাকাব্য মেঘদূত।
আমাদের ঘরে ঘরে আজ যদি নারীরা একই ভাবে দূর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতো তাহলে আর বিশ্বের সবচেয়ে দূর্নীতিগ্রস্হ দেশ হিসেবে আমাদের নাম আসত না।
তথ্যসূত্রঃ ১- শত মনীষীর কথা, ভবেশ রায় সম্পাদিত
২- wikipedia
ইশতিয়াক
মন্তব্য
লেখাটা অতটা ভালো লাগেনি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
জানলাম। আরো কিছু জানতে পারলে সংযোজন করতে পারেন।
........................
শ্যামল
মুর্শেদ ভাই ধন্যবাদ।
লেখাটা ঠিক মতো গাথতে পারিনি।
শ্যামল ভাই, কালিদাস আর মৃর্তুটাও রহস্যময়। কালিদাস ছিলেন রাজকবি। রাজা তাকে অত্যন্দ পছন্দ করতেন। শোনা যায় রানী হিংসান্বিত হয়ে রাজার অবর্তমানে তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিলো।পরে রাজা ফিরে এসে সব জানতে পেরে কালিদাস এর জলন্ত চিতায় রানীকে পোড়ানোর আদেশ দেন।
নতুন মন্তব্য করুন