- অনন্ত আত্মা
মির্যা গালিবকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। তার কিছু শেরের ছায়া অবলম্বনে আমি কিছু লেখার চেষ্টা করেছিলাম। এ যাত্রায় গোটা তিনেক দিলাম।
১.
আমার তো নেই হুশ, নেই মুখে রব;
প্রিয়তমা শুনেছ কি পাড়ার গুজব?
বলছে লোকে এটাই;
সর্বশান্ত, সর্বনাশ করেছে ঐ মেয়েটাই।
২.
আমার কান্ড দেখে হাসে দেখো ফুল;
আমি তো ছিলাম শুধু প্রেমে মশগুল।
বলে ফুল হেসে হেসে, দেয় ধিক্কার;
প্রেম, সে-তো মস্তিস্কের বেহুদা বিকার।
৩.
নদী আর কি ডোবাবে,
যেথায় তুমিই সাকী।
নেশার গাঙে ঝাঁপিয়ে মরে,
আমার পরাণ পাখি।
মন্তব্য
১ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ।
অনন্ত আত্মা
শায়ের ভাই, দু হাত খুলে শের পোস্টায়া যান।
আর প্রিয়তমা মনে হয় আপনাকে 'সর্বশান্ত' না করে 'সর্বস্বান্ত' করেছিল।
---------------------------------------------------------------------------------
চতুর্বর্গ
ধন্যবাদ ভাই। পস্তায় যাবার আগ পর্যন্ত পোস্টায় যাবার আশা রাখি
ইনশাল্লাহ্ । বানান শুধরানোর জন্য আরেকবার ধন্যবাদ।
অনন্ত আত্মা
১ আর ৩ বেশি ভালো লাগলো। ছায়া হলেও চমৎকার হয়েছে। চালিয়ে যান।
আমি সাধারণত 'তারা' নিয়ে বেশি মাথা ঘামাই না। কিন্তু এই পোস্টে কে যেন এক দাগিয়ে গেছেন, দেখে খারাপই লাগলো। হতে পারে গালিবের শের অবলম্বনে লেখা, কিন্তু এ রকম লেখার হাত আমার থাকলে আমি খুশীই হতাম। তাই এক দাগানো ভাল লাগলো না।
ছায়া না লিখে দূরবর্তী ছায়া লিখলে বোধহয় ভাল হত। গালিবের শের এর কঙ্কালের উপর মাংস চড়িয়েছি কিংবা চড়ানোর চেষ্টা করেছি মাত্র।
তারার জন্য ধন্যবাদ। আমি আর কী এমন লিখি যে তারা পাওয়ার আশা করব বলেন। যদিও আমার একতারা, দোতারা কিংবা সেতার সবই ভাল লাগে।
অনন্ত আত্মা
ধন্যবাদ।
অনন্ত আত্মা
ভাই, এতো কম কইরা দিলেন কেন? রাগ করছি। আপনার লেখা ভালো লেগেছে। বিশেষ করে প্রথমটা। ভালো থাকবেন। আরো চাই, আবারও বললাম।
ধন্যবাদ মানিকদা, কষ্ট করে পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য। আমার মত অভাজনের লেখা আপনার ভাল লেগেছে জেনে নিজেকে কী যেন বলে মানে ঐ আর কি ধন্য মনে হচ্ছে। গরীবের উরফে রাগ করিয়েন না। ভবিষ্যতে আরো দেবার চেষ্টা থাকবে ইনশাল্লাহ্।
অনন্ত আত্মা
(মির্যা গালিব)
ভাল লেগেছে।
-------------------------------------------------------
রাজকন্যা
ধন্যবাদ রাজার মেয়ে।
অনন্ত আত্মা
দারুন তো...
ডাকঘর | ছবিঘর
নতুন মন্তব্য করুন