বর্ষার বইমেলায় ৯

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০৮/২০১০ - ৭:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ নজরুল ভাই আজকে ফাঁকি মারসে। বইমেলায় আসেন নাই। অন্যান্য তাগড়া সচলরাও আজ অনুপস্থিত। তাহলে কি মেলার আজকের আপডেট পাবে না সচলের ব্লগাররা? তাই এই আনাড়ির হাতেই কীবোর্ড। নিজ দায়িত্বে পড়ুন এই অনাকর্ষনীয় বইমেলা আপডেট।] সকাল থেকে দু’দুটো টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরে ক্লান্ত আমি চিন্তা করছিলাম আজ মেলায় যাওয়া হবে কি না? পেটে দানাপানি কিছু পড়তেই দৌড় লাগালাম। হাতে আছে আরো দেড় ঘন্টা। মেলায় ঢুকে ইতিউতি করি, কারো দেখা পাই না। শেষমেষ একবার মামার দোকানেও উঁকি দেই, নাই। অরুণদাকে জিজ্ঞেস করতেই জানালো, নজরুল ভাই বা কোন সচল পাপীকেই তখনো মেলায় দেখেননি তিনি। নজরুল ভাইকে ফোন দিতেই উনি জানালেন বিশেষ(!!!) কাজে আটকা পড়ায় আজ মেলায় আসবেন না তিনি। আমি আর কী করি; মেলায় ঢুকে বই নাড়াচাড়া শুরু করে দেই। ততক্ষণে মঞ্চে উঠেছেন বিশিষ্ট সম্পাদক ও লেখক সলিমুল্লাহ খান, চমক জাগানো শুরুটার সাথে সাথে পুরো মেলা চত্তরের সবার সম্পুর্ণ মনোযোগ নিয়েছেন নিয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণে। আজকের আলোচনার বিষয় ‘বাংলাদেশের প্রবন্ধ সাহিত্য’ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি তুলে ধরেন বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া পরিবর্তন, অসংগতি, ভাষার অপব্যবহার ও প্রবন্ধ প্রাসংগীক অন্যান্য অভিযোগ বিষয়। তাঁর বক্তৃতার সময়ই আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করি, এই প্রথমবারের মত মেলার মঞ্চের সামনের অংশের চেয়ারগুলোর পাশাপাশি পাশের সিড়িগুলোতে ভীড় জমেছে তন্ময় শ্রোতাদের! তারপর মঞ্চে ওঠেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বক্তৃতার প্রারাম্ভে তিনি প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য নিয়ে কথা বলেন। পরে তাঁর বক্তব্যে তিনি সমাজব্যবস্থা, সংগঠন, রাজনীতির সাথে সাহিত্যের পরিবর্তনগুলোকে তুলে ধরেন। পাশাপাশি নানা মুনির নানা মত বিশ্লেষণ করে তিনি বাংলা সাহিত্যে প্রবন্ধের পথ পরিক্রমার ইতিহাস বর্ণনা করেন। তাঁর বক্তৃতার সময় শ্রোতাদের আগ্রহ ও প্রতিক্রিয়া ছিলো লক্ষ্য করার মত। আলোচনা পর্ব শেষ হতেই মেলায় উপস্থিত দর্শনার্থীরা ফের বই দেখা ও কেনায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন। লুল নিক্ষেপকারী দুর্বৃত্তদের অনুপস্থিতিতেই কীনা; আজ মেলায় সুন্দরী পাঠিকাদের সংখ্যা ছিলো অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি। তারা আজ কোন উপদ্রব ছাড়াই মেলা পরিদর্শন করতে সক্ষম হয়েছেন। মেলায় আজ বিক্রি-বাট্টা ভালো হয়েছে বলেই মনে হোল। শেষ আধাঘন্টায় মেলার দক্ষিণ দিকের দোকানগুলোতে বেশ ভীড় এবং বেচাকেনা হয়েছে। মেলা শেষে গেলাম মামার দোকানে। সচলরা নাই, আড্ডা নাই… তাই বলে মামার পুরি আর আলুর চপ মিস করে কোন আহাম্মকে?!?! তাই খেয়েদেয়ে রয়েসয়ে ডেরায় ঢুকে পড়লাম। লেখক-পাঠক-প্রকাশক-দর্শকের এই মিলনমেলা শেষ হয়ে যাবে কাল। বই উৎসবের শেষদিনে ব্যস্ততাকে কয়েকঘন্টার জন্য ফাঁকি দিয়ে চলে আসুন প্রাণের এই প্রাঙ্গনে। এইবেলা কিছু ফটুক তুলে দেই- চলছে বই দেখা, বই কেনা- http://www.facebook.com/photo.php?pid=31571886&id=1345533775&ref=fbx_album#!/photo.php?pid=31571881&id=1345533775&ref=fbx_album&fbid=1583153422496 মঞ্চে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী http://www.facebook.com/photo.php?pid=31571886&id=1345533775&ref=fbx_album#!/photo.php?pid=31571883&id=1345533775&ref=fbx_album&fbid=1583154982535 উৎসুক শ্রোতাদল- ১ http://www.facebook.com/photo.php?pid=31571886&id=1345533775&ref=fbx_album#!/photo.php?pid=31571885&id=1345533775&ref=fbx_album&fbid=1583155062537 আগ্রহী শ্রোতা-পাঠক-ক্রেতা-দর্শনার্থী... http://www.facebook.com/photo.php?pid=31571886&id=1345533775&ref=fbx_album#!/photo.php?pid=31571891&id=1345533775&ref=fbx_album&fbid=1583156582575 উৎসুক শ্রোতাদল- ২ auto মেলা প্রাঙ্গণ- auto শেষমেষ পেটপুজো- auto ---- মনজুর এলাহী ----


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হা হা ফটুক কই? কোড ঠিকমতো এমবেড হয়নি মনে হচ্ছে।

কৌস্তুভ এর ছবি

ভাগ্যিস কোড এমবেড হয়নি। নাহলে আবার খাবার-দাবারের ছবি দেখতে হত!

অতিথি লেখক এর ছবি

পিপিদা, কোড ঠিকঠাক মতো দিতে পারিনি। লিঙ্কগুলো ক্লিক করলে অবশ্য দেখতে পাবেন।
নিচে মন্তব্য ঘরে ছবিগুলো আপলোড করেছি। এইবার মনে হয় ছবি গুলো ঠিকঠাক হয়েছে, কিন্তু ক্যাপশন উলটাপালটা যায়গায় রয়ে গেছে।

---- মনজুর এলাহী ----

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবিগুলো এলো না কেন?
আমি লেখার পর ছবি অপশনে গিয়ে কোড বসিয়েছি। এতেই তো হবার কথা।
মহামান্য মডুরা কী একটু কষ্ট করে ঠিক করে দেবেন?

---- মনজুর এলাহী ----

অতিথি লেখক এর ছবি

চলছে বই দেখা বই কেনা-

auto

মঞ্চে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী- auto

উৎসুক শ্রোতাদল ১-

auto

উৎসুক শ্রোতাদল ২-

auto

আগ্রহী পাঠক-দর্শক-ক্রেতা-

auto

শেষমেষ পেটপুজো-

auto

কী জ্বালা; কমেন্টেও দেখি ছবির ক্যাপশন জায়গামতো আসে না!

পাঠকদের প্রতি ক্ষমা চাইছি এই অবাঞ্ছিত অসুবিধার জন্য।

---- মনজুর এলাহী ----

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখক-পাঠক-প্রকাশক-দর্শকের এই মিলনমেলা দেখার বড় সাধ জাগে। সকালে অফিসে ঢুকতে না ঢুকতেই টিবিলে বেশ জটিল কাজ এসে হাজির হয়েছে। বসের তাগাদার পর তাগাদা আসছে কালকের মিটিং এ প্রপোজাল দিতে হলে আজকের মধ্যে তা রেডি করতে হবে। তবুও শেষ মূহুর্তে হলেও মেলায় যাব।

সুবীর কর

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ওরে পাপীষ্ঠ... এই কাম করবেন জানলে কি আর আমি অতো কষ্ট করে ক্লান্ত মন নিয়া রাইতে তাও লেখতে বইতাম? আগে কইবেন না?

যাহোক, লেখা দারুণ হইছে। ছবিগুলা এখানে দেখা যাইতেছে না, ফেসবুকে দেখতেছি।

আর সত্যিই মিস করলাম আজকে। আজকের আলোচনাটা শুনতে চাইছিলাম। ধুর... মনডাই বিলা হইতেছে মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

হা হা হা...
বেশ কাজ করেছেন এটা মনজুর এলাহী... হাসি
ছবিগুলো দেখতে পারলে আরোও ভাল্লাগতো...

--------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

দ্রোহী এর ছবি

হা হা হা। পারলেন না। নজু ভাই আগেই পোস্টাইয়ালাইছে।


কি মাঝি, ডরাইলা?

গৌতম এর ছবি

বক্তব্য পছন্দ হোক বা না হোক, কয়েকজন মানুষের কথা একটানা অনেকক্ষণ মন্ত্রমুগ্ধের কথা শোনা যায়, কোনো ক্লান্তি বা বিরক্তি আসে না। কঠিন কঠিন অনেক কথা তাঁরা খুব সহজেই গুছিয়ে এবং আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করেন। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সেরকমই একজন। সেদিন না গিয়ে তাহলে তাঁর বক্তব্যগুলো মিস-ই করলাম। মন খারাপ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।