আজকাল আমার রোগ বালাই খুব বেড়ে গেছে। শান্তির জীবনে অশান্তি নেমে আসছে। রাতের ঘুম হারাম হয়েছে।এরই মধ্যে এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি এর সব কোর্স শেষ করে ফেলছি। কিছুতেই কোনো কাজ হচ্ছেনা। ভাবছি একজন আলেম হুজুরের কাছে যাবো। এলাহি ভরসা।যাওয়ার আগে মনে হলো হঠাৎ আপনাদের কাছে আমার ঘোড়া রোগ সমূহের কথা বলে যাই কারন হুজুরের পানি পড়া আর ফু খাওয়ার পর এইসব তো আর মনে থাকবে না।যাই হোক সিরিয়ালি বলি..
১।রাতে বিছানায় শুলেই জানা অজানা সব টাকা পয়সার হিসেব মাথায় চলে আসে।এক...দুই.. তিন...। ঘুম হাওয়া।(আপনাদের কানে কানে একটা কথা বলি।আমি কিন্তু হায়ার মেট্রিক পাশ। অংকে ৩৫। আমার নামে বেনামে সব টাকা হিসেবের জন্য দুই জন মাইনে দেয়া লোক আছে কিন্তু তাদের উপর বিশ্বাস নাই। জানেন তো চোর জোতচরে দেশটা ভরে গেছে।)
২. আমার গাড়ি আছে গোটা তিনেক। একটা আমার, একটা বউয়ের, আর একটা আমার আলট্রা মডার্ন মেয়ের। আমার আদরের টমি রোজ সকালে মর্নিং ওয়াকে বের হয়। কি কষ্ট এতো হাটতে। ওর ঘেউ ঘেউ ডাক কানে লাগলেই মনে হয় ওর জন্য আরেকটা গাড়ি কিনি।
৩. আপনাদের দোয়ায় পাঁচ মহাদেশে আমার বাড়ি আছে। আলিশান!! কিন্তু আরেকটা বাড়ীর জন্য মন উচাটন।শুনছি চাঁদে জমি বিক্রি হচ্ছে।নতুন বাড়ী চাঁদেই হইতে হবে।
৪। ইনকাম ট্যাক্স এর লোকদের জ্বালায় ঘুম হারাম।দিন রাত ঘুরঘুর। দশ কোটি ঘুষেও কাজ় হইয়নাই। ভাবছি ডাইরেক্ট এ্যাকশনে যাব।তাই তিনবেলা খেতে গেলেই শুধু কালা জাহাঙ্গীর এও নাম মনে পড়ে।
৫. এই সব তো গেলো সব কাজের ঘোড়া রোগ। অকাজের ঘোড়া রোগ গুলা এখন বলি।মাথার ভিতর কিসে যেনো লাঠি দিয়ে পিটায় আর বলে একটা টিভি চ্যানেল... আর একটা দৈনিক পত্রিকা...এই দুইটা করতে পারলে আমারে আর পায় কে। চৌদ্দ গোষ্ঠীরে মডেলিং এ নামায়ে দিব।
৬।অনেক ঘোড়া রোগের কথা বললাম। আপনাদের শিওর মাথা গরম...আর একটা রোগের কথা বলেই শেষ। দেশের রাজা হইতে বড্ড মন পোড়ে.........।
গাড়ীটা মাত্র হুজুরের বাড়ীর সামনে থামলো। আপনারা আমার জন্য দোয়া কইরেন...।
ইশতিয়াক
মন্তব্য
- এইবার গাড়ি থাইকা নাইমা ডান পা আগে বাড়ায়া সিঁড়ির ডান দিন ধইরা সামনে আগায়া আসেন। আমার পানি পড়ার মাশাল্লা দেশ বিদেশে বহোত সুনাম আছে। এক ঢোঁক গেলার পরেই দেখবেন আপনের ঘোড়া রোগ উধাও। মৎস্য রোগ (এইটা ভালো রোগ) দেখা দিবে তৃতীয় ঢোঁকে। তারপর আর কোনো টেনশন নাই। এনশাল্লা সব মুশকিল আছান হয়ে যাবে।
তবে আমার হাদিয়াটা ভুইলেন না জনাব।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শিরোনাম যতটা আকর্ষণীয় লেখা ততটা হয়নি। আরো ভালো স্যাটায়ারের অপেক্ষায় থাকলাম।
পিপি ভাই ধন্যবাদ। মাত্র লিখা শুরু করছি। তাই গুছিয়ে লিখা হচ্ছেনা।কিন্তু মাথার ভিতর আইডিয়া গিজগিজ করতেছে।ঃপঃপ
ওক্কে।
সহমত। আমিও অপেক্ষায়।
বেশি ভাল্লাগলো না।
কি মাঝি, ডরাইলা?
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
নতুন মন্তব্য করুন