দেশ ছাড়ার আগে গ্রামের বাড়িতে নানা নানী আর অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করার সময় পাইনি। নানা ব্যাস্ততা, সবছেয়ে বড় কারন, প্রিয় মানুষটাকে ছেড়ে থাকতে চাইনি। আমার স্বপ্ন ছিল তার সাথে সমুদ্র সৈকতে সুর্যাস্ত দেখা। অনেকবার চেষ্টা করেও সু্যোগ পাইনি। অবশেষে পেয়ে গেলাম, অফিসিয়াল টুর।
একসাথে যেতে পারিনি, ওর অফিসের কাজের জন্য। রাতের বাসে যাবে ও, আমি গিয়েছি একদিন আগে। যদিও কাজ করতে গিয়েছি, কিন্তু সারাদিন মন বসাতে পারিনি ওর টেনশনে। আমার সবছয়ে বড় ভ্য় আর কষ্ট হয় ওর যখন মাইগ্রেন এর ব্যথা শুরু হয়। কিছু করতে পারিনা, শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে ওর কষ্ট দেখতে বুক ফেটে যেত। যাই হোক সকাল বেলা ভালোভাবেই এসে পৌঁছালো সে। আমরা আমাদের সমুদ্র দেখা শুরু করেছিলাম ইনানী বীচ থেকে। কি সুন্দর যাওয়ার পথ টুকু। শুধু মনে পরছিল সেই গানটি "এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলো তো?"। সত্যি ভাবছিলাম যদি সময়টা থেমে যেত। কিন্তু সময় তো থেমে থাকেনা।
এতো সুন্দর ইনানী বীচ। বিদেশে এসে অনেক বীচ দেখেছি, কিন্তু কক্সবাজার, ইনানী বীচ আর সেন্ট মার্টিনের মতো এত সুন্দর কোথাও দেখেনি। অনেকখানি সময় ছিলাম আমরা সেখানে। তারপর আসার পথে হিমছড়ি দেখে ফিরে এলাম হোটেল কোরাল রীফ। দুপুরে অনেক মজার সেই খাবার খেয়ে একটু রেস্ট নিয়েই আমার ছুটে গেলাম বীচে। পুরো বীচ জুড়ে ভালোবাসার মানুষটার হাত ধরে চলা, তারপর স্বপ্নের সেই মুহু্র্ত সুর্যাস্ত দেখা। জীবনটা সত্যি স্বপ্ন হয়ে গিয়েছিল। এত সুন্দর সময় আর কোনোদিন আসবে কিনা জানিনা।
মারমেইডে ডিনার শেষ করে আবার কোরাল রীফ। আমি কোনোদিন ভুলতে পারবো না।।
মন্তব্য
আপনার লেখা পড়ার আগে টাইটেল দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কোরাল রীফ প্রপার্টিজ নিয়ে কিছু কি না! কারণ আমি ও আমার এক বন্ধু সম্প্রতি ওখানে শেয়ার্ড ফ্লাটের বুকিং দিয়েছি এবং বেশ কিছু টাকাও দিয়ে ফেলেছি এবং দিচ্ছি।
যাইহোক, ভয় ভাংলো লেখাটা পড়তে শুরু করে। আপনার বর্ণনা অসাধারণ, মন ছুঁয়ে যায়। আমার একসময় খুব মাইগ্রেনের সমস্য হতো। মনে হতো আমার স্ত্রী যেন তখন আমার থেকেও বেশি কষ্ট পাচ্ছে।
কখনও ইনানী বিচে যাওয়া হয়নি। সূযোগ পেলেই যাবো।
রাতঃস্মরণীয়
আপনাকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্য দুঃখিত। কোরাল রীফ নামটা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল, তাই টাইটেল দেওয়া। অবশ্যই যাবেন ইনানী বীচে। শুভকামনা।
আকাশনীলা
এটা কেমন স্মৃতিচারণ হলো বুঝতে পারলাম না।
আমিও বুঝতে পারিনি। শুধু এটুকু জানি অনেক মিস করি সময়টা। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আকাশনীলা
এইটুকুতেই শেষ?!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনার জন্য নিশ্চই খুবই আনন্দের ছিলো সময়টুকু।
এত সংক্ষেপে লেখার কারণেই পাঠক হিসেবে পুরো চিত্রটা পেলাম না।
প্রবাস জীবন আনন্দময় হোক।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নতুন ব্লগ লেখা শুরু করেছি। এই টুকু টাইপ করতেই অনেক ক্ষন লেগেছে। আশা করি ভবিষ্যতে বড় কিছু লিখতে পারবো। ধন্যবাদ।
আকাশনীলা
নতুন মন্তব্য করুন