বাংলাদেশ; ভারত পাকিস্তানের ৬০ বছরের দ্বন্দের বাই-প্রোডাক্ট???

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৮/০৮/২০১০ - ১২:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোট পোষ্টের জন্য আন্তরিকভাবে দু:খিত।

গতকাল আলজাজিরাতে আমার অন্যতম প্রিয় একটি প্রোগ্রাম দেখছিলাম। নাম রিজ খান শো। গতকালের বিষয় ছিল ভারত পাকিস্তান কি পেল স্বাধীনতার ৬০ বছরে।

অনুষ্ঠানের ৯ মিনিট ১০ সেকেন্ড এর সময় এ পর্যন্ত ভারত পাকিস্থানের যত সঙ্ঘাত হয়েছে সেগুলোর একটা ছোট প্রোফাইল দেখানো হল। আমি খুব অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম ১৯৭১ সালকে তারা ভারত পাকিস্থানের আরেকটি সঙ্ঘাত হিসাবে দেখেছে এবং বলেছে সেই সঙ্ঘাতের ফলে বাংলাদেশ তৈরী হয়েছে।
শো এর স্ক্রীনশটশো এর স্ক্রীনশট

সাথে সাথে আমি এসএমএস করলেও কোন জবাব মেলেনি, ফোনও রিসিভ করেনি এবং পরে ই-মেইল করলেও জবাব দেয়নি। সবার কাছে অনুরোধ করছি এই অমার্জনীয় তথ্য বিকৃতির বিরুদ্ধে অন্তত একটা ই-মেল এই ঠিকানায় পাঠানোর জন্য।

ধন্যবাদ।


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ফেইসবুকে এই পোস্ট শেয়ার করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। দলবেঁধে মেইল বম্ব না পাঠিয়ে একটা কোঅর্ডিনেটেড ওয়েল রিটেন মেইল পাঠানো বেশী কার্যকর হবে বলে মনে করছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।
ফেসবুকে রিজ খানের পেজ রয়েছে। সেখানে আজকেই কেবল শোটা আপলোড হল। সেখানেও মন্তব্য করা যায়, এছাড়া ফেসবুক কর্তিপক্ষের কাছেও এব্যাপারে রিপোর্ট করা যেতে পারে। কোঅর্ডিনেটেড ওয়েল রিটেন মেইল পাঠানোর পাশাপাশি এগুলো অপশনও ব্যবহার করার জন্য তৈরী থাকা উচিত বলে মনে হয়।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

উইকিপিডিয়াতে কাজ করার কারণে এই বিষয়ে কিছু অভিজ্ঞতা আছে (রাগিব ভাইয়া আরো বিস্তারিত আলোকপাত করতে পারবেন)। সেই দৃষ্টিকোন থেকে লিখছি। উল্লেখ্য যে আমার এই মন্তব্য আলোচ্য ভিডিও ক্লিপকে সমর্থন করে অথবা বিরোধীতা করে দেয়া নয়। এমন কি ক্লিপটি এখনও দেখার সুযোগ হয় নি - ফাঁকিবাজ শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিতে নিতে ব্লগিং করার কারণে!

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ তথা মুক্তিযুদ্ধ[১] বলতে যে যুদ্ধকে বোঝানো হয় সেটা সংঘটিত হয়েছে ২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত। অন্যদিকে পাক-ভারত যুদ্ধ ১৯৭১[২] বলতে যেটাকে বোঝানো হয় সেটা সংঘটিত হয়েছে ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত। এখানে উল্লেখ্য যে পাক-ভারত যুদ্ধটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধেরই একটা অংশ হিসেবে গণ্য করা যায়। ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত ইন্ডিয়া গেটে যেখানে ভারতীয় শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে সেখানেও তারা যুদ্ধটাকে পাক-ভারত যুদ্ধ ১৯৭১ হিসেবে লিখেছে।

[১] http://en.wikipedia.org/wiki/Bangladesh_Liberation_War
[২] http://en.wikipedia.org/wiki/India_Pakistan_war_of_1971

অতিথি লেখক এর ছবি

নিয়াজ ভাই যুদ্ধের বহুমাত্রিকতা দেয়া যায়। কেউ কেউ তো সিভিল ওয়ারও বলে। তাই বলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বলার কোন অবকাশ নেই [আপনার রেফারেঞ্ছ এর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি]। ভারতীয়রা তো বলবে ওটা ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ ছিল। এটারও কারেকশন দরকার। ওটা [৩-১৬ ডিসেম্বর] যৌথ বাহিনীর অধীনে পরিচালিত যুদ্ধ।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

কিন্তু এই কারেকশনটা করানো বেশ কঠিন। এক সময় পকিস্থান সংক্রান্ত আর্টিকেলগুলোতে মুক্তিযুদ্ধকে সিভিল ওয়ার বলা হতো। সেটার পরিবর্তন বাংলাদেশি ইউকিপিডিয়ানরা করেছেন। কিন্তু ঐ ক্ষুদ্র সময়ের প্রেক্ষাপটে হলেও পাক-ভারত যুদ্ধ নামটা পরিবর্তন করা সম্ভব নয় কেননা সেই যুদ্ধে আসলেই তারা একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল এবং সেটার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও রয়েছে। এ বিষয়ে ইন্দো-পাক যুদ্ধের মূল আর্টিকেলটা পড়ার অনুরোধ রইলো [১]। এছাড়াও আগের আর্টিকেলগুলোর ডিসকাশন পেইজ[২][৩] পড়ে দেখতে পারেন। সেখানে রাগিব ভাইয়া সহ অন্যান্য বাংলাদেশি উইকিপিডিয়ানদের যুক্তিপূর্ণ বিতর্ক রয়েছে পাকিস্থানী এবং ভারতীয় উইকিপিডিয়ানদের সাথে।

তবে এটাও জোরালো ভাবে যুক্তি দিয়ে বলা যায় যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পাক-ভারত যুদ্ধের কারণে আসেনি। এ বিষয়ে ডাবলিনে আমার পাকিস্থানী সহপাঠিদের সাথে একবার তর্ক হয়েছিল। তখন তারা বলেছিল বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারতো না যদি ভারত সৈন্য না নামাতো। আমি তাদের শুধু একটা যুক্তি দেখিয়েছিলাম:

হয় পাকিস্থানের একটা খুব দুর্বল মেরুদন্ডহীন সেনাবাহিনী ছিল যারা মাত্র ১৩ দিনে নিজেদের দেশে (তখনও তাদের হিসেবে বাংলাদেশ পাকিস্থানের অংশ বটে!) ভারতের সৈন্যদের কাছে পরাজীত হয়েছিল অথবা বাংলাদেশি মুক্তিবাহিনী প্রায় নয় মাস তাদের নাস্তানাবুদ করে এমন অবস্থা করেছিল যে ভারতীয় সৈন্যরা খুব সহজেই তাদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করে।

বলাবাহুল্য, এরপর তারা আর কথা বলে নি।

[১] http://en.wikipedia.org/wiki/Indo-Pakistani_Wars
[২] http://en.wikipedia.org/wiki/Talk:Indo-Pakistani_War_of_1971
[৩] http://en.wikipedia.org/wiki/Talk:Bangladesh_Liberation_War

কী কমু [অতিথি] এর ছবি

১৯৭১ সালের যুদ্ধ এবং বাঙলাদেশের জন্ম প্রসঙ্গে কিছু কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া দরকার রিজ খানকে:

১. যুদ্ধটা ছিল বাঙলাদেশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যে, সস্পূর্ণ অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক পরিণতি হিশেবে, ভারত শেষের কয়েকদিন বাদে এতে বাঙলাদেশের পক্ষাবলম্বনকারী একটি দেশ ছিল, যেমন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ছিল পাকিস্তানের পক্ষে।

২. ভারত যুদ্ধে জড়াত না, যদি না পাকিস্তান প্রায় নিরস্ত্র বাঙালির হাতে পরাজয় অবশ্যম্ভাবী জেনে ভারত আক্রমণ করে (ডিসেম্বর ৩, ১৯৭১) তাকে টেনে না আনত। স্যাণ্ডোগেঞ্জিলুঙ্গিপরা ভেতো বাঙালি নয়, পাকিস্তান শক্তিশালী ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আত্মসমর্পণ করেছে, নিছক এই তৃপ্তি পাওয়ার জন্য ভারতকে জড়ায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, পাকিস্তানের স্বঘোষিত পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সেনাবাহিনী আর তার তাবড় জেনারেলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়ী হওয়ার জন্য গাদাবন্দুকহাতে স্যাণ্ডোগেঞ্জিলুঙ্গিপরা বাঙালি কিশোরই যথেষ্ট।

৩. যুদ্ধ হয়েছে বাঙলাদেশের রাজনৈতিক সীমানার মধ্যে, এবং পাকিস্তানের সম্পূর্ণ পরাজয়, অস্ত্রসমর্পণ, আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষর, সবই হয়েছে বাঙলাদেশের রাজধানী ঢাকায়, ভারতের নয়াদিল্লীতে নয়।

৪. পাকিস্তান তৈরি করেছে বাঙালি, ভেঙেছেও বাঙালি। ইতিহাসের প্রয়োজনে বাঙালি এরকম অনেক রাজ্য ও রাষ্ট্র অতীতে তৈরি করেছে, সময় ও সুযোগ এলে হয়ত ভবিষ্যতেও করবে। ইংরেজরা বাঙালির এই ক্ষমতা তাদের সজহাত দূরদৃষ্টির কৃপায় টের পেয়েছিল। তারা ভয় পেয়েছে, অখণ্ড ভারতের ক্ষমতার শীর্ষে বসে বাঙালি একদিন ইংরেজের লুঙ্গি ধরে টান দেবে, তাই ১৯৪৭-এ বাঙলা বিভাজন করে গেছে।

বাঙলাদেশ ঐতিহাসিক বাস্তবতায় বহুযুগ ধরে দরিদ্র রয়ে গেছে বটে, কিন্তু আর সব সামাজিক সূচকেই পাকিস্তানের চেয়ে অনেক ঋদ্ধ ও শক্তিশালী, তাই যে কোনও শিক্ষিত ইতিহাসপাঠকেরই (যে দেশেরই হোক) বাঙলাদেশকে অন্যদেশের রাজনীতির বাইপ্রোডাক্ট না ভেবে একে এর জনগণের ইচ্ছা ও দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফসল হিশেবে দেখলেই তা ইতিহাসসঙ্গত হবে। ইতিহাস পাঠ না করে কিংবা এর বাস্তবতাকে অস্বীকার করে একটা কিছু তথ্য দিলেই তা কালের বিবেকের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। পাকিস্তান আর তার জন্মসূত্রে নাগরিক রিজ খানদের কাছে যতই তিক্ত লাগুক, ইতিহাসের অকাট্য সত্য হচ্ছে ১৯৭১-এ পাকিস্তান বিংশ শতাব্দীর চতুর্থ দেশ হিশেবে নাম লিখিয়েছে, যে যুদ্ধে গোহারা হেরে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেছে। বাকী তিনটি দেশ হল ইতালি, জার্মানী আর জাপান, যারা ১৯৪৫-এ মিত্রবাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করে।

হে পাকিস্তানি ও তার সহমর্মীগণ, যতই চেষ্টা কর, আপাদমস্তক পরাজয়ের এই গ্লানি গায়ের জোরে অস্বীকার করে ইহজনমে ভোলা যাবে না। আমরা বার বার মনে করিয়ে দেব।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই কথাগুলোই রিজ কে কোর্ডিনেটেড মেইল এবং অন্যান্য সব উপায় অবলম্বন করে জানাতে হবে এবং আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি তার এ ব্যাপারে ভুল স্বীকার করা ফরয। আমার দেশের জন্ম হচ্ছে অন্য দুই দেশের মারামারির কারনে এটা আমি মেনে নিবোনা এবং এটা সত্য না।

কী কমু [অতিথি] এর ছবি

রাগিব ভাই, আমার মনে হয় এখানে battle আর war-এর মধ্যকার তফাৎটা চলে আসা উচিত। ভারত পাকিস্তানের মধ্য যা হয়েছিল, তা একটি battle, যা সামগ্রিক বাঙলাদেশ-পাকিস্তান war-এর একটি অংশ। এরকম battle আমাদের সেক্টর কম্যান্ডাররা একেক অঞ্চলে করেছেন। দিবাশেষে এটি ছিল বৃহত্তর বাঙলাদেশ-পাকিস্তান যুদ্ধের একটি মাত্রা। এতে ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ইত্যাদি অনেক দেশই জড়িত ছিল, তাতে করে সামগ্রিক war-এর চারিত্র্য কিন্তু হ্রস্ব হয়ে ভারত-পাকিস্তান battle-এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় না। ভারত বা পাকিস্তান গায়েগতরে বড় বলেই আজ সত্যের পটভূমি উল্টে যাবে, তা হতে পারে না। এদিকটা উপলব্ধিতে ভুল করলে আমরা চিরকাল উপজাত হিশেবেই পরিচিত হব, যা ঐতিহাসিকভাবে বস্তুনিষ্ঠ নয়।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

বাসায় এসেই ক্লিপটা দেখতে বসলাম। টাইম লাইনটা ছাড়াও আলোচনায় মূলতঃ ভারত বিভাজনকে উপজিব্য করে পরবর্তীতে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও আমি পুরো ২২ মিনিট দেখিনি, তবে আমার মনে হয়েছে ভারত বিভাজনের ফলে পাওয়া-না পাওয়া নিয়েই মূল অনুষ্ঠানটা ছিল। আর বাংলাদেশ সৃষ্টির বিষয়ে যা বললেন উপস্থাপক তা হলো,

India defeated Pakistan and independent Bangladesh was created from East Pakistan.

এই লাইন থেকে বাংলাদেশ পাক-ভারত যুদ্ধের বাই প্রোডাক্ট সরাসরি না বোঝানো হলেও স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল। এক্ষেত্রে বলতে বাধ্য হব ভদ্রলোকের জানার ঘাটতি আছে। "ক্রিয়েশন অভ বাংলাদেশ" যে রাতারাতি হয় নি এবং এর সাথে শুধু রাজনৈতিক নয়, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কারণও জড়িত সেটা বোধগম্য হওয়া তার সাধ্যের বাইরে। পাক-ভারত যুদ্ধ হয়তো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ধাপ সমূহের একটা অংশে এসে ভূমিকা রেখেছে কিন্তু সেটাই যে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে এমনটা বলা মূর্খতা। তবে উপস্থাপক যখন ইয়েমেনী বর্ন ইন্ডিয়ান ব্রিটিশ - তখন ভারতের প্রতি তার পক্ষপাতিত্ব থাকবেই। আর এই অনুষ্ঠানটাকে আমি ঠিক "নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক মিডিয়া" বলবো না।

মনমাঝি [অতিথি] এর ছবি

'পা+i'কিস্তানিগুলা আর মানুষ হইল না !

জোচ্চর দোজখে গেলেও নাকি জোচ্চুরি করে - আর পাকিস্তানিরা দেইখা মনে হয় বিলাত-আম্রিকা-দুবাই-কাতার যেইখানেই যাক আর উপ্রে উপ্রে যত শিক্ষিত আর পালিশ-ই হউক, ওই 'পা+i'কিস্তানি'ই থাইক্কা যায়, মানুষ হয় না। কয়লা হাজার ধুইলেও ময়লা যায় না। এইজন্যেই বোধহয় এখন চতুর্দিক থিকা 'পা+i'কড' হইতেসে।

আসলে এদের মনে বাংলাদেশ এখনো তাদের হারানো জমিদারি রয়ে গেসে - বাংলাদেশের মানুষ, তাদের অধিকার, তাদের মনুষত্ব্য, তাদের স্বাতন্ত্র্য, তাদের পরিচিতি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য - এসব কিছুই তাদের মাথায় তখনো ছিল না, এখনো নাই। অবশ্য, থাকবেই বা কেমনে - কেবল মানুষের পক্ষেই অন্য মানুষের মনুষত্ব্য চেনা সম্ভব - নচেৎ নয়। সুতরাং আমার ধারনা শুধু ঐ খান ব্যাটার কাসে ধরনা দিয়া কোন লাভ নাই, ও পা+i'কি ছিল, আসে, এবং পা+i'কিই থাকবে। মানুষ আর হবে না।

মেইল-টেইল করলে -- আলজাজিরারেই করা উচিত।

দিগন্ত এর ছবি

আমিও শুনলাম, ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধও হয়েছে, বাংলাদেশও স্বাধীন হয়েছে, দুটোই ঘটনা। রিজ খান তো কোনো বিশ্লেষণে যান নি বা কারণ হিসাবে কিছু আলোচনা করেননি, তাই এটা বেনিফিট অব ডাউট, ১৯৭১কে একরকম আলোচনায় পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে পার্টিশন নিয়ে আলোচনা হিসাবে এটা খুব একটা উন্নতমানের হয়নি। হতে হলে বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি থাকা উচিত ছিল, সেক্ষেত্রে ১৯৭১ নিয়ে আরো একটু আলোচনা হত আর ব্যাপারটা রিজ খানের অজ্ঞতা কি না সেটা জানা যেত।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

তবে পার্টিশন নিয়ে আলোচনা হিসাবে এটা খুব একটা উন্নতমানের হয়নি। হতে হলে বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি থাকা উচিত ছিল, সেক্ষেত্রে ১৯৭১ নিয়ে আরো একটু আলোচনা হত আর ব্যাপারটা রিজ খানের অজ্ঞতা কি না সেটা জানা যেত।

সহমত। ভারত ভেঙ্গে যে তিনটা দেশ হয়েছে তার মধ্যে একটাকে বাদ দিয়ে দেশ বিভাগ নিয়ে আলোচনা অনেকটা অসম্পূর্ণ।

বাউলিয়ানা এর ছবি

দেখলাম। আলজাজিরার মত আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও যদি বাংলাদেশ সম্বন্ধে এমন ধারণা প্রচার করা হয় তা সত্যিই আমাদের জন্য দুঃখজনক।

বিষয়টা সামনে নিয়ে আসবার জন্য ধন্যবাদ।

কালো-মডু এর ছবি

একজন সচল আল-জাজিরার সাথে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করেছেন। তাকে জানানো হয়েছে যে, প্রতিবাদটি আসতে হবে এমন একজনের কাছ থেকে যিনি অনুষ্ঠানটি দেখেছেন।

লেখককে একটি লিখিত প্রতিবাদ নিয়ে সচলায়তনের কর্তৃপক্ষের সাথে, contact এট সচল বরাবর যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানাই। সচলায়তন কর্তৃপক্ষ সেই সচলের কাছে সেটি ফরোয়ার্ড করার ব্যবস্থা করবেন। তিনি পুনরায় সেটা ফরোয়ার্ড করবেন আল-জাজিরাকে এবং প্রয়োজনবোধে যোগাযোগ করবেন লেখকের সাথে।

উপরন্তু উল্লেখ্য সচল চাইলে সরাসরি এই পোস্টে তার নাম প্রকাশ করতে পারেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। আমি পাঠাচ্ছি।
আল জাজিরার আইন তো দেখি পাকিস্তানের ধর্ষন মামলার মত আইন। একজন পুরুষকে স্বাক্ষ্য দিতে হবে তিনি ঐ নারীকে ধর্ষিত হতে দেখেছে। নইলে মামলা গৃহিত হবেনা।

থার্ড আই এর ছবি

কালো মডুকে ধন্যবাদ।
বিষয়টি এমন নয় যে প্রতিবাদটি আসতে হবে এমন একজনের কাছ থেকে যিনি অনুষ্ঠানটি দেখেছেন বরং যেহেতু ব্লগের লেখক অনুষ্ঠান চলাকালে টিভি পর্দায় দেয়া নম্বরে এসএমএস করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এবং ইমেইল করেও কোন উত্তর পাননি তাই পূর্ব সূত্র উল্লখ করে প্রতিবাদ জানালে ব্যাখ্যা দাবী করা সহজ হবে। তাছাড়া আমি আল জাজিরার আমার এক পরিচিত সাংবাদিকের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। সেই সাংবাদিক জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট লেখকের ইমেইল রেফারেন্স সহ যদি পুণরায় আরেকটি ইমেলই তাকে করা হয়, অথবা অনুষ্ঠানের কোন অংশে ভুল অথবা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়া হয়েছে তার বিস্তারিত জানানো হয় , তাহলে তিনি বিষয়টি নিয়ে অনুষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সাথে কথা বলতে রাজি আছেন।

এক্ষেত্রে সচলায়তন কিংবা সামগ্রিকভাবে একটা প্রতিবাদ পাঠানো যেতে পারে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমান ও লিংক সহ । এতেও যদি কোন প্রতিউত্তর না আসে সেক্ষেত্রে অফিস অব কমিউনিকেশন বা অফকমের কমপ্লেইন বিভাগে সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠান নির্মাতা ও আলজাজিরার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া যেতে পারে।
পাশাপাশি অফকমের লিংক ধরে যে কোন সচল/ দর্শক আল-জাজিরার রিজ খানের অনুষ্ঠান সম্পর্কে সরাসরি অফকমে প্রতিবাদ জানাতে পারেন।অফকম প্রতিবাদের ধরণ ও সংখ্যা বিবেচনা করে আল-জাজিরার কাছে কৈফিয়ত তলব করবে। এক্ষেত্রে টেলিভিশন কতৃপক্ষ একজন দর্শকের প্রতিবাদের জবাব না দিলেও , অফকমের কাছে কৈফিয়তের ব্যাখা দিতে বাধ্য। অফকম যদি মনে করে আল-জাজিরার রিজ খানের অনুষ্ঠানে ভুল তথ্য ও অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে দর্শকে বিভ্রান্ত করেছে সেক্ষেত্রে আল-জাজিরাকে জরিমানা দিতে হবে এবং ক্ষেত্র বিশেষে ঐ অনুষ্ঠান আবারও প্রচার করে বাংলাদেশ বিষয়ে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে হবে। এবং অফ কম তার ওয়েব সাইটে আল-জাজিরার ঐ জরিমানার অংক উল্লেখ করে নিউজ লেটার প্রকাশ করবে।
এক্ষেত্রে অফকমে যতো বেশী প্রতিবাদ পাঠানো যায় আবেদন ততবেশী শক্তিশালি বলে বিবেচনা করা হয়।

লেখক প্রয়োজনে সরাসরি আমাকে ইমেইল করতে পারেন :

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

হাসান মইখল এর ছবি

রিজ খান ইয়েমেনি বর্ণ ব্রিটিশ নাগরিক হলেও তার মা, ভারতীয় বাবা পাকিস্তানি কিংবা উল্টোটা। সে অজ্ঞতাবশত এমনটা করেছে এমনটা ভাবার কোন কারন নাই। সে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নামজাদা সাংবাদিক হিসেবে আছে দীর্ঘদিন।স্টিফেন সাকুর যেমন বিবিসি'তে, ঠিক সেইরকম না হলেও আলজাজিরার মুল সাক্ষাত্‌কারগুলো সেই নেই।

এখানে একটা বিষয় উল্লেখ্য আন্তর্জাতিক মিডিয়া যেমন সি,এন,এন,বিবিসি, আলজাজিরা ইত্যাদিতে ভারতীয় দের মতো না হলেও পাকিস্তানের যথেষ্ট ভালো প্রভাব আছে এবং সেটা পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত সাংবাদিকদের কারনেই।এবং তাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা পাকিস্তানি এলিটদের চেয়ে আলাদা কিছু নয়।

আলজাজিরার তো বড় অংশের সাংবাদিকই পাকিস্তানি প্রোডাক্ট।পাকিস্তান প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মাত্রায় আলোচিত সেখানে।আগে সি,এন,এন, বিবিসি'র বিকল্প হিসেবে দেখতাম, পরে পাকিস্তান নিয়ে বাড়াবাড়ির জন্য বাদ দিছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

একটা বিষয় আমি কখনও মর্মভেদ করতে পারি নাই। হয়ত আমার পড়াশোনা কম।

বাংলা অঞ্চলের ইতিহাস প্রায় হাজার বছরের। একটা সমভাবাপন্ন জনগোষ্ঠির বসবাস এখানে। এ অঞ্চলের মানুষ রাষ্ট্র গঠনের জন্য পাকিস্তানের সাথে কেন গেল, কিভাবে গেল? কোনোভাবেই তো তাদের সাথে আমাদের মেলে না। কেউ কেউ বলে থাকেন, ধর্মের কারণে। তাহলে তো, ভারতের ভেতরে যে মুসলিম অধ্যুষিত অংশ আছে, সেগুলোও তো পাকিস্তানের অংশ হতে পারতো। সেটাতো হয়নি। নাকি, বাংলার মানুষ একসাথে থাকে ঠিকই, একক জাতিসত্তার সেটাও ঠিক আছে, কিন্তু রাজনীতির প্রশ্ন প্রজ্ঞা কম ছিল। তাই, পাকি নেতার যা বুঝাইছে তাতেই বুঝ মানছে।

পুরো বিষয়টা গোড়াতেই কেন জানি গোলমাল মনে হয়। ঠিক মিলছে না।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।