সকাল থেকে আমি আর কারলা খুবি আগ্রহ নিয়ে একটা প্ল্যান করছি। গত ৮ মাসে এতটা মনোযোগ দিয়ে কিছু করিনি আমি। তাই বোধহয় কারলা ছুটে এসেছে আমার কাছে আমাকে দিয়ে অন্যরকম কিছু একটা করানোর জন্য। প্রথম কাজ, অক্টোবরে মেলবোর্নে একটা কনফারেন্স আছে তার টিকেট বুক করা। রিসার্চ একাউন্ট থেকে এটা দেওয়া হবে, তাই আমরা বুক করতে পারবো না। ফ্লাইট সিলেক্ট করে জানাতে হবে ইউনিভার্সিটির ঠিক করা করপোরেট বুকিং এজেন্টকে। তারা সব ফাইনাল করবে। যাই হোক মেজাজ বিগড়ে গেল আমাদের দুজনের যখন আমরা জানলাম আমরা যে ফ্লাইট চাইছি সেটা না ঠিক করে বিজনেস ক্লাসে বুকিং দিয়েছে। ফোন করলাম সুপারভাইজরকে, শুনলাম বিজনেস ক্লাসে যাওয়ার টাকা ইউনিভার্সিটি দেবে না, বারতি টাকা নিজের পকেট থেকে দিতে হবে। মহিলাকে ম্যানাজ করতে অনেক খানি সময় চলে গেল। তারপর আমরা শুরু করলাম কোথায় কোথায় ঘুরবো তার প্ল্যান। মেলবোর্নে তিনদিনের কনফারেন্স, তারপর সেখান থেকে আমরা ৫ বন্ধু মিলে যাবো গ্রেট অশান রোড ট্রিপে। আমি কিছুই জানিনা, কারলাও না। ওর এক বন্ধু এটা কোঅর্ডিনেট করবে। আমি চোখ বন্ধ করে কারলার বক বকানী শুনছি আর ভাবছি। ছোটবেলায় পিকনিকে যাওয়ার অনুমতি কোনোদিন পাইনি, সেই আমি বন্ধুদের সাথে অস্ট্রেলিয়া টুরে বার হবো। সময় কত কিছু পাল্টে দেয়।
রোড ট্রিপ থেকে ফিরে চলে যাবো সিডনি। ইশনা আর ওর কিছু বন্ধুরা আমাদের সাথে যোগ দেবে আর ওরাই ঠিক করবে আমরা কোথায় কোথায় যাবো। কি মজা, আমাকে কিছুই ভাবতে হবেনা। এমন বন্ধু ক'জন মানুষের থাকে! টিকেট কনফার্ম করে ফেল্লাম। এরপর আবার আমার আর কারলার যাত্রা গোল্ড কোস্টে। রাফাইল ফিরবে গ্রেট বেরিয়ার রীফ থেকে। ওখানে ডাইভিং করতে যাবে এবং আমাদের সাথে গোল্ড কোস্টে জয়েন করবে। খুব আফসোস হচ্ছিল কেন যে ডাইভিং কোর্সটা করলাম না গত বছর। দাঁড়াতে পারা মাত্রই আমার প্রথম কাজ কোর্সটা করা । ডাইভিং আর সার্ফিং স্বর্গে থেকে এগুলো করতে না পারা এক রকম পাপ বলে মনে হচ্ছে আমার। ওদের তুলে আনা ছবি এবং ভিডিও গুলো যখন দেখি, তখন মনে হয় কত কিছু মিস করছি।
পকেটে টাকা আর শরীরে শক্তি থাকলে আরো কিছু জায়গায় যাওয়া হতে পারে। তা না হলে গোল্ড কোস্ট থেকে ফিরবো ব্রিসবেনে সুপারভাইজরের গোয়ালে ফিরে আসার ফ্লাইট ধরার জন্য। থ্রী চিয়ার্স ফর মাই ফ্রেন্ডস, স্পেশালী ফর কারলা। এই পর্তুগীজ মেয়েটা আমার চোখ খুলে দিয়েছে। এখন নিজেকে মেয়ে না, মানুষ বলে মনে হয়। আর ভাবি কত কিছু জানার আছে, কত কিছু দেখার আছে। আমার মতো গেয়ো আনাড়ী (!!) কোনো কাজের না টাইপের বাংগালী মেয়েও নতুনভাবে ভাবতে শিখেছে।
মন্তব্য
সব জায়গায় গিয়ে, দেখে এসে লম্বা পোস্ট দেবেন আশা করি
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
"সার্ফিং স্বর্গ", সার্ফার্স প্যারাডাইজ বলে একটা জায়গাই আছে গোল্ড কোস্টে। ভয়ানক রকমের সুন্দর। তার পাশ দিয়ে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীর ধরে হাতের ডানদিকে পাবেন সিনিক ওয়াক ওয়ে। কী যেনো নাম জঙলাটার। ঐটা ধরে হাঁটতে থাকলে এক সময় খুব নির্জন একটা ছোট্ট লেইকে পৌঁছে যাবেন। পানি অদ্ভূত রকমের নীল আর তীরের দিকে নুড়ি পাথরের কারণে বাদামী। চাইলে ওখানে খালি পায়ে একটু হেঁটে আসতে পারেন। ভালো লাগবে। তারও পাশ দিয়ে বহুদূর পর্যন্ত, মহাসাগরের বুক চিরে পাথুরে সেতু। হেঁটে আসতে ভুলবেন না। পৃথিবীর সর্বশেষ প্রান্ত!
ছোট্ট অথচ খুব ছিমছাম শহর গোল্ড কোস্ট। সিডনী, মেলবোর্ন এমনি ব্রিসবেনেও এতোটা ভালো লাগবে না যতোটা লাগবে ওখানে। সম্ভব হলে গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসটাও দেখে আসবেন। নাম ফলকের সামনেই দেখবেন ঘাসের গালিচা। একটু বসেও নিতে পারেন। একটু জিরোবেন, একটু অতীতচারীও হবেন। জনৈক খাজাবাবা মহামান্য ধুগো ওখানে বসেছিলো একসময়, ঠ্যাঙ হাত পাও ছড়িয়ে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি এমন ভাবে বর্ণনা করলেন যেন আমি অতীতে এই জায়গায় গিয়েছিলাম এবং বর্ণনা পড়ে আবার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল।
অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা চেয়ে পাইনি, কারণ বাবার ব্যাংক একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা ছিলোনা। অর্থাভাবে যেতে পারলাম না। দুঃখটা আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। মিস করবো সব।
কামরুজ্জামান স্বাধীন
দুঃখ করবেন না। সময় একদিন আপনারও আসবে। হয়তো বাবা টাকা না, নিজের টাকায় যাবেন একদিন।:)
লম্বা পোষ্ট? অবশ্যই দেব। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে। আমার আগবাড়িয়ে এই পোষ্ট টা দেওয়ার একটাই লক্ষ্য ছিল-কিছু সাজেশন পাওয়া। আপনার উল্লেখি্ত জায়গাগুলো তে যেতে ভুলবো না।
আমার বাপ মা আমাকে পিটুনি দিতে দিতে ক্লাস ৭/৮ ই ক্লান্ত হয়ে গেছেন। এরপর আর বেড়াতে যেতে অনুমতির দরকার হয় নি। আমার মা তো কক্সবাজার এ যাব শুনে বলেছিল, বুয়েটের ছেলে পেলে নাকি কক্সবাজারে গেলেই টুপ করে ডুবে যায়। আমি বলেছিলাম আমরা তো ৪ জন মেয়ে যাচ্ছি, এখন পর্যন্ত বুয়েটের কোন মেয়ের ডুবার খবর পেয়েছ? আম্মু এই বেয়াদবের সাথে আর কথা বাড়ায় নি। পরে কোনদিন দেখছিলাম মেয়ের বেয়াদবী নিয়ে কার কাছে গর্ব করছে!
সেইদিন আম্মু কে ফোনে বললাম ঘুরতে চাইতাম দেখেই কি এখন তোমাদের ছাড়া এখন এই সুদূর প্রবাসে থাকতে হচ্ছে?
আপনার ভ্রমন খুব সুন্দর হোক।
শিরোনাম টা বাংলায় হলে ভাল হত।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আপনি অনেক ভাগ্যবতী, আমি তা ছিলাম না। কাল যখন মা কে বল্লাম, আবারো সেই-"কি বলে মেয়ে? দুইটা মেয়ে যাবে টুরে?" তাকে শুধু বুঝালাম, অতপর: অনেক কষ্টে নিমরাজি। ধন্যবাদ আপনাকে।
মেলবোর্নে:
০ শহরের মধ্যে, ইমিগ্রেশন জাদুঘর, এবরিজিনাল জাদুঘর, ফেডারেশন স্কয়ার, ডকল্যান্ড, মেল ইউনি। একটু বাইরে সেইন্ট কিলডা বিচ, ব্রাইটন বিচ (বেশ নামি), তারপর সেইন্ট কিলডা পিয়ার (এখান থেকে স্পিরিট অফ তাসমানিয়া ছেড়ে যায়)।
০ এখন স্কিয়িং সিজন, সবচেয়ে কাছে লেইক মাউন্টেন, তারপর মাউন্ট বুলার। হ্যাঙ্গিং রক বলে একটা জায়গা আছে ভালো লাগবে, কাছেই একটা গোলাপ বাগান আছে। ওয়েরেবিতে সাফারি আছে।
০ গ্রেট ওশেন রোডে পুরো একদিন সময় নিয়ে স্টপ দিয়ে যেতে আসতে হবে। জিলং ওয়াটার ফ্রন্টে স্টপ দিতে পারেন। সর্বোচ্চ টরকোয়ে পর্যন্ত যেতে পারবেন। এপোসল পাবেন পোর্ট ক্যাম্পবেলে। ফেরার সময় ভিন্ন পথ ধরে আসতে পারেন।
০ উইলসন প্রম, লেইকস এনন্ট্রান্স আরো দুটো ভাল জায়গা, একটাতে একদিন করে লেগে যাবে।
ভ্রমণ আনন্দময় হোক।
ধন্যবাদ আপনাকে।
এইটা আসলে কী নিয়া পোস্ট?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এটা আবোল তাবোল পোস্ট। কিছু মনে নিয়েন না।:)
হাসিব্বাইয়ের পরোশ্নোটা হৈলো গিয়া জনগুরুত্বপূর্ণ তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন ১ এর গ। মাননীয় জনপ্রতিনিধি মেম্বর সাবের দৃষ্টি আকর্ষণ করতাছি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জনগুরুত্বপূর্ণ পরোশনের জবাবে মেম্বর কিছু বললে হাসিব্বাই এসে বলবে মেম্বরের মুখ খ্রাপ।
কি মাঝি, ডরাইলা?
হাসিব্বাই কিছু কৈবে মানে? হাসিব্বাই এর যে হাজার হাজার ইস্কিন শট জাতীয় আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে, সেই ডর কি হাসিব্বাইয়ের নাই?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরে নাহ। এগ্জন পোস্ট দিছেন অস্টিলিয়া ঘুরনের প্লান করতেছেন এই বৈলা। সাথে সাথে আমি দেখলাম মনির কীভাবে ডাইভ দিয়া কুন্খানে কী আছে সেইটা বৈলা বিশাল কমেন্ত করলো। দুয়েদুয়েচাইর মিলাইতে পার্তেছিলাম না। এখন মিলছে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ভাই মিলছে তো? তাইলে ঠিক আছে।
লুল্ছিব্বাইয়ের এই কমেন্তের ইস্কিন শট প্রবলভাবে রাখা হৈলো। প্রয়োজনে মুসা ভাইয়াকে দিয়া সত্যায়িত করা হবে জাগামতো পাঠানের আগে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমাকেও যদি সাথে নিতেন। তবে আমাকে লাগেজে দিতে হবে, পকেট একটা কানা কড়িও নেই যে।
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
চলে আসেন। তবে ৪০কেজির বেশি হলে লাগেজে নিতে পারবো না।
পবিত্র সিডনি শহরে গিয়ে ধুগো বাবার দরগায় মানত করবেন আর ফেরার পথে আস্ত আম্মার কাছ থেকে দু'আ নিয়ে আসতে ভুলবেন না যেন।
কি মাঝি, ডরাইলা?
ধুগো বাবার দরগায় এখন কাউয়া চড়ে! সেইখানে শিন্নি মানত করার চেয়ে অনলাইনে ধুগো বাবার দরগায় মুক্ত হস্তে দান করেন। ধুগো বাবা এমেক্সও এক্সেপ্ট করেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুজুর চামে চিকনে আস্ত আম্মার বিষয়টা এড়াইয়া গেলেন যে?
কি মাঝি, ডরাইলা?
এক পীরের মুখে আরেক পীরের সুনাম শুনতে চান? এইত্তা পীর সংবিধানে নাই। মাননীয় খাজা বাবা ধুগো হৈলো জগদ্বিখ্যাত পীর। এই পীরের লগে অন্য কোনো পীরের নাম অযু ছাড়া লৈলে মান হানীর মকদ্দমা করুম। জব্বার কাগুরে উকিল ধইরা। তয়, বহু আগে সামু দরগায় রাগিমনাপুম্নাস্তাদিদা নামক মহাপীরের নাম লৈলে কোনো অসুবিধা নাই। তিনি মহান। কেনো মহান, সেইটা ময়না বলিবে, কৃষ্ণরাগে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বুঝতে পারলাম না দৌহী ভাই, বুদ্ধি একটু কম আমার। একটু যদি বুঝাই বলতেন??
বিস্তারিত জানতে বুঝতে হলে যেতে হবে খাজাবাবা ধুগোর দরবারে
নতুন মন্তব্য করুন