বেশ কয়েক মাস ধরে ব্লগস্ফিয়ারে লক্ষ্য করছি যে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের মতে, বুয়েটের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে, তথা পরীক্ষা পেছানো ও সেশন জট এর যাবতীয়/সর্বোচ্চ পর্যায়ের দায়িত্ব বুয়েট এর শিক্ষকদের। বুয়েটের শিক্ষক কথাটা অনেকটা আমরা ঢালাও ভাবে মাকড়শা বা বানরকে যেভাবে একটা প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করি, সেভাবে stereotypically ব্যবহৃত হয়। এবং সেই প্রজাতির কাজ হল ক্লাস এ না পড়িয়ে প্রাইভেট ক্লাস নেওয়া। মজার ব্যাপার হল অন্যান্য ব্লগাররা বুয়েট এর শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও stereotype ব্যবহার করেন (দেশের খেয়ে দেশের প্রতি কোনও দ্বায়িত্ব নাই, অহংকারী, ...) তাই stereotype কী জিনিস তা বুয়েট এর শিক্ষার্থীদের অজানা থাকার কথা না।
আসলে বুয়েটের শিক্ষকদেরও বিভিন্ন প্রকারের মতাদর্শ আছে (ঠিক ছাত্রদের মত)। , প্রাথমিক ভাবে দুইটি ভাগ আছে। যারা সিনিয়র, এবং নীতি নির্ধারণী বিষয়ে ভূমিকা রাখেন তারা অতটা প্রযুক্তি সচেতন নন যে ব্লগ বা ফেসবুক এ এই লেখা গুলো পড়েন। যারা জুনিয়র, তারা আসলে এ ধরনের লেখাগুলোর নীরব দর্শক কিন্তু বুয়েট এর নীতি নির্ধারণী তে তাদের ভূমিকা নেই বললেই চলে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বুয়েটের পরীক্ষা পেছালে কার লাভ আর কার ক্ষতি? সল্পমেয়াদে শিক্ষকদের আসলে কোনও ক্ষতি নেই, এই অর্থে যে তাদের বেতন কমার কোনও রাস্তা নেই, ক্লাস হোক বা না হোক। শিক্ষক দের আসলে কিছুটা লাভ ই হয়, লোড কমে যায়, আরামে রিসার্চ করা যায় বা প্রাইভেট এ পড়ানো যায়। বুয়েট এর ছাত্র যারা কিনা মনে করে যে পাশ করে রাস্তায় রাস্তায় চাকরির জন্য বেকার ভাবে গুরতে পারে, এবং বুয়েটের হলের খেয়ে টিউশনি করানো আরামদায়ক (সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা) তাদের, আর ক্ষতি টা হয় তাদের, যারা পাশ করে দেখবে যে আই.ইউ.টি. বা অন্য প্রাইভেট ভার্সিটি এর তাদের যেসব বন্ধুরা এক কালে তাদের ঈর্ষা করত বুয়েট এ চান্স পাবার জন্য, তারা তাদের ইন্টারভিউ বোর্ড এ বসে আছে, এবং, ইন্টারভিউ এর প্রাইভেট ভার্সিটি এর প্রার্থীরা তাদের টিউশনির ছাত্রের বয়সী। এমনকি কিছু কিছু সিনিয়র, যারা এখন চাকুরীতে, এমন মনোভাব পোষণ করে যে আমরা সেশন জটে ছিলাম, এরা এত তাড়াতাড়ি পাশ করে কী করবে?
দীর্ঘ মেয়াদে কার ক্ষতি? এক কালে ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের সেরা কলেজ ছিল। সেরা এই কারণে ছিল কারণ দেশের স্কুল পাশ করা সবচেয়ে মেধাবী ছাত্ররা ঢাকা কলেজকে প্রথমে নির্বাচন করত। পলিটিক্স এ ঢাকা কলেজ এর পরিবেশ যখন নষ্ট হওয়া শুরু করল, তখন ২০০২ সালের দিকে ঢাকা কলেজের পতন ঘটলো, এবং সেটা ভয়াবহ ছিল। আমি এখন দেখেছি নটরডেমের কিছু ছাত্র ঢাকা কলেজ নাম শুনলেও নাক সীটকানি দেয়, তাই ২০০০ সালের আগের ঢাকা কলেজের আলমনাই দের কথা চিন্তা করলে খারাপ লাগে। প্রাইভেট ভার্সিটি এক কালে কংসেপ্ট ছিল যে বড়লোক দের ছেলে মেয়েরা ওখানে যায়, পড়াশুনা না করেই ডিগ্রী পায়, যা অর্ধেকের বেশি প্রাইভেট ভার্সিটির ক্ষেত্রে আজ প্রযোজ্য। কিন্তু কিছু প্রাইভেট ভার্সিটি কিন্তু এখন বেশ এগিয়ে গেছে এবং আরও এগিয়ে যাচ্ছে, (অন্যদের তুলনায়), সর্বনাশ হবে যদি আজ থেকে ১০ বছর পরের উচ্চমাধ্যমিক পাশ মেধাবীরা বুয়েটের আগে ওই সব ভার্সিটি কে বেছে নেয়। অন্যান্য দেশে এক নম্বর ভার্সিটি গুলি হয় রিসার্চ ফান্ড এর উপর। বুয়েটে মেধাবীরা আসে শুধু একারনে, যে বুয়েট এ তার আগের বছরে মেধাবীরা এসেছিল । খুব জোর গলায় কোনও ছাত্র বা শিক্ষক বলতে পারবেন না যে বুয়েটে গাধা টাইপের ছাত্র আসলেও তারা কয়লা পিষ্ট করে হীরা বানাতে পারবেন। বরং কিছু অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী ছাত্র বুয়েটে ভর্তি হয়ে অকর্মণ্য হয়ে যাবার ঘটনা বিরল না। দীর্ঘমেয়াদে ছাত্র শিক্ষক আলমনি সবার ক্ষতি যদি বুয়েট পিছিয়ে পড়ে। আলমনি র বুয়েটের প্রাক্তন ছাত্র বলে প্রাইভেট ভার্সিটি এর উপর যে advantage টা পেত সেটা আর পাবে না। শিক্ষকদের প্রাইভেট ভার্সিটি তে ক্লাস নেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, কারণ পেছনের দিকের প্রাইভেট ভার্সিটি তখন বুয়েটের চেয়ে এগিয়ে থাকে প্রাইভেট ভার্সিটি কে প্রাধান্য দিবে (এড এ থাকবে: আমাদের এখানে পড়ান পীচ-ব্লেণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর মেকনিক্যালের ডীন অধ্যাপক...)।
শিক্ষার্থীর যারা মনে করেন স্কুলের বাচ্চাদের মতন বেত দিয়ে শাসন করে কানে ধরে বুয়েটের "বাচ্চা"দের পরীক্ষা দেওয়ানো সম্ভব, তাদের ২০০৬ এর বিশ্বকাপের সময়কার ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। বুয়েট কর্তৃপক্ষের কঠোর পরীক্ষা নেওয়ার সিধান্ত এর প্রতিবাদে বুয়েটের কতিপয় ছাত্র শিক্ষকদের বাসায় হামলা করেছিল রাতের অন্ধকারে। বুয়েট অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছিল। এবং এর পর থেকে কর্তৃপক্ষ অনেকটা গা ছাড়া। যেটা বললাম, যাদের ক্ষতি, তাদের উপকার করতে গিয়ে যদি নিজের পরিবারের উপরে হামলা হয়, তাহলে গায়ে পড়ে প্রেসার দেবার দরকার টা কী?
বুয়েটের পরীক্ষা পেছানোর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি সবার হলেও, স্বল্পমেয়াদে কিন্তু ক্ষতি বর্তমান ছাত্রদেরই (যদিও, ironically পরীক্ষা পেছনোর দাবীটা তারাই করে, আলমনাই বা শিক্ষকরা না)।
জাতি গত ভাবে আমরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাতে বিশ্বাসী না। আমাদের দাদী নানী রা ১০-১২ টা করে বাচ্চা পয়দা করার সময় চিন্তা করেন নাই, তখন থেকে শত বর্ষ পড়ে তাদের সুজলা সুফল দেশটার প্রতিটা ইঞ্চি জমি তার ১৮ কোটি মানুষের খাবার যোগাতে ব্যবহার করা লাগবে। বুড়িগঙ্গা বাঁচাও কর্মসূচী নেয়া হয়েছে বুড়িগঙ্গা মরে যাবার পড়ে। তাই দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি যাদের, তারা সমষ্টিক ভাবে কিছু করবেন বলে আশা করত বৃথা। বরং বর্তমান ছাত্ররা এটা করার শক্তি রাখে। তবে সরাসরি আন্দোলন কারীদের সাথে confrontation এ গেলে কোনও লাভ হয় না। পরীক্ষা পেছনর একটা নিয়ম প্রতিষ্ঠা করা দরকার। হলে মিছিল করে পরীক্ষা পিছানোর চেয়ে অন্তত গণ সাক্ষর করে এইটা প্রতিষ্ঠা করা যায় যে, ছাত্ররা গোপন ভোটে ঠিক করবে পরীক্ষা পিছাবে কিনা (ভোটটা অনলাইন হতে পারে), ৭৫% ছাত্র যদি মনে করেন যে পরীক্ষা পিছানো দরকার, কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা পিছিয়ে দিবে। কিন্তু কোনও শিক্ষার্থী রকম মিছিলে সংশ্লিষ্ট হলে বা মিছিল আয়োজনের চেষ্টা করলে, বা ভোট এ কাউকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে ওই শিক্ষার্থী কে ১ টার্মের জন্য সাসপেণ্ড করা হবে, এবং পরীক্ষা পেছালেও তার ওই টার্ম এর সকল পরীক্ষার গ্রেড বাতিল করা হবে। মেজরিটি ছাত্র পরীক্ষা পেছানোর বিরুদ্ধে তার শক্ত প্রমাণ কর্তৃপক্ষের কাছে থাকবে। আর যদি ৭৫% এর বেশি ছাত্র প্রতি বার মনে করে যে পরীক্ষা পিছানো দরকার, তাহলে বুঝতে হবে বুয়েট এ আর মেধাবী ছাত্ররা পড়তে আসে না। তবে আমার বিশ্বাস, ভোট হলে ১০% ছাত্রের ও সমর্থন পাবে না পরীক্ষা পিছানোর দাবি।
বুয়েট কর্তৃপক্ষ গণসাক্ষর কে খুব গুরুত্ব দেয়। ১ সপ্তাহ গ্যাপে টার্ম ফাইনাল হবার বাজে নিয়মটাও করা হয়েছিল ছাত্রদের গণসাক্ষর এর প্রেক্ষিতে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বুয়েটএর ছাত্ররা তাদের আয়েশ করে পড়ালেখার জীবন, মুভি দেখা আর বেড়ানো ত্যাগ করে, বেরিয়ে ওয়ার্ক ফোর্স এ দ্রুত প্রবেশ করতে রাজি আছে কিনা?
আমি বুয়েট এর শিক্ষার্থীদের মতামত আশা করছি মন্তব্য হিসেবে।
prantorbuet at জিমেইল
মন্তব্য
ভালো পোস্ট।
পুরো টার্ম গায়ে হাওয়া লাগিয়ে পিএল-এ হাঁসফাঁস করাটা একটা ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। কেন? পুরো বুয়েট জীবনে আক্ষরিক অর্থেই ভালো শিক্ষক খুব কম দেখেছি। ক্লাসে এসে লেকচার দিয়েই দায় সারতে আরাম পান বেশির ভাগই। অ্যাডভাইজার থাকেন নামকা ওয়াস্তে। কোনো অ্যাডভাইজার তাঁর দায়িত্বাধীন কোনো শিক্ষার্থীকে কখনো কোনোরকমের অ্যাডভাইজ দিয়েছেন বলে মনে পড়ে না। প্রাইভেট ভার্সিটির বদান্যতায় বুয়েট-ছাত্রদের পাশ কাটানো আরো সহজ হয়েছে এখন। তাই ছাত্রদের নিজের ভালোটুকু বোঝা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে এখন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বুয়েটিয়ানদের কাছ থেকে এই পোস্টে একটা জমজমাট আলোচনার আশা করছি। পড়ালেখা-ক্যারিয়ার-রাজনীতি- এই তিনটার মিশেলে আলোচনা হলে একটা সার্বিক চিত্র পাওয়া যাবে বলে আমার ধারণা। আলোচনা শোনার জন্য গ্যালারিতে বসলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
পরীক্ষা সময় মত পরিচালনা করার দায়িত্বটা কার? ছাত্রের না প্রশাসনের? বুয়েটে শিক্ষকরাই প্রশাসক, সুতরাং তারাই ঠিক করেন প্রতিটা সেশনের শিডিউল। পরীক্ষা পেছালে প্রশাসক হিসেবে তাদের ব্যর্থতাই কি প্রমাণিত হয় না? তারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন যে তাদের অদক্ষতার কারণে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না? ঠিক কি কারণে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তার সেশন ঠিক মত পার করতে পারে, কিন্তু বুয়েট পারে না? কেন সাধারণ ছাত্ররা এটাকে স্বতসিদ্ধ হিসেবে নেয় যে রুটিনের রং তো একসময় বদলে যাবেই, সাদা হবে নীল, তারপর গোলাপী, তারপর লাল? দুই নির্বোধের চড় মারামারির কারণে কেন তাদেরকে মাসাধিক কাল বুয়েট বন্ধ রাখতে হবে?
কেন শিক্ষকদের এই অনুভূতি জাগে না যে পরীক্ষা পেছালে তারো ক্ষতি? প্রসাশক হিসেবে তার তো দায়িত্ব ছিল পরীক্ষা যাতে না পেছায় সেটা নিশ্চিত করা। নাকি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতাকে তারা নিজের ক্ষতি হিসেবে ভাবতে শিখেন নি? কখনো কি তারা ছাত্ররা যাতে পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে কোনো ইন্দন যোগাতে না পারে সেরকম কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন, কেবলমাত্র সব দোষ ছাত্রদের ঘাড়ে তুলে দেয়া ছাড়া? পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলন তো করে গুটিকয় ছাত্র।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে বুয়েটএর ছাত্ররা তাদের আয়েশ করে পড়ালেখার জীবন, মুভি দেখা আর বেড়ানো ত্যাগ করে, বেরিয়ে... ?
উপরের অংশের একটু ব্যাখ্যা জানতে ইচ্ছা করছে
সহজ ভাষায়, বুয়েটের বেশিরভাগ ছাত্রই পড়াশুনাতে খুব অল্প সময় দেয়। যা কিছু দেয়, তা শুধুমাত্র পিএল এই। এখন পরীক্ষার ভিতর গ্যাপ বাড়াতে তাও কমেছে।
সব জায়গাতেই এমন অন্তত ১০% লোক থাকে যারা ওখানে থাকবার যোগ্য নয় বুয়েটেও তাই। পরীক্ষা পেছায় অল্প কিছু ছাত্র। আর, মিছিল উঠলেই সবারই পড়া বন্ধ। বুয়েট যেন অটো পাইলটে চলবে- সবাই তাই চায়। কাল বুয়েটে গেলাম রিকোমেন্ডেশনের জন্য- স্যারেরা সেটা দিতেই চায়না। আর অ্যাডভাইস? তাও না। অন্য সমধর্মী প্রকৌশল ইউনির এক ছাত্রের সাথে দেখা, সে আমার ব্যাচের হলেও আমার চেয়ে পাক্কা ১ বছর ৬ মাস আগে বেরিয়েছে! ব্যাপারগুলো মোটেও একজন বুয়েটিয়ানের জন্য স্বস্তিদায়ক না।
অন্যরা এগিয়ে আসছে সময়ের দাবীতে। আর বুয়েট ক্রমশ নিচে নামছে সমান হবার জন্য।
যতদূর মনে পড়ে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন ছিল না। সুতরাং যারা চান্স পায় নি, তাদের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক স্টুডেন্ট বুয়েটে পড়ার যোগ্য এটা কমনসেন্স, কেননা সেই ৩ (না কি ২ ?) ঘন্টার পরীক্ষায় নানা কারণেই অনেকের পারফরমেন্স খারাপ হতে পারে।তবে যারা চান্স পেয়েছে তারা কি কারণে যোগ্য না ? তারা যোগ্যতাবলেই ঢুকেছে, তারপর হয়ত সেই পারফরমেন্স ধরে রাখতে পারে নি, অথবা চায়নি অন্যান্য প্রায়োরিটির কারণে।
এখন আমার প্রশ্ন হল জনাব মানিক এই ১০% এর সিদ্ধান্তে কিভাবে আসলেন ? কেনা এটা ৫% অথবা ১৫% না ? এটা কি ফাইনালের পাস-ফেলের হার ধরে বের করা না কি জিপিএ বেসড ? আরও বড় প্রশ্ন হচ্ছে এই ১০% অযোগ্য লোকের বুয়েটে ঢোকা আটকিয়ে কিভাবে সেটা ১০% যোগ্য লোক দিয়ে রিপ্লেস করা যায়।
@গৌতম = দোষের ব্যপারটা পুরোপুরি ভাবে একমত। কিন্তু আমার পয়েন্ট হচ্ছে যার দোষ সে এখানে একই ভাবে sufferer হচ্ছে না।
@অমিত = আমি 5 সপ্তাহ ব্যাপী Preperatory Leave এ একজন সাধারণ বুয়েট ছাত্রের প্রথম 4 সপ্তাহের কার্যকলাপের কথা বলছিলাম, এবং আমি নিজে ছাত্র থাকা অবস্থার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
@বুনোহাঁস = যেটা বললাম, stereotype। আপনার উল্লেখিত ধরনের প্রচুর শিক্ষক পেয়েছি। আবার অনেক dedicated শিক্ষক ও পাবার সৌভাগ্য হয়েছে। পি. এল. এ হাসফাস করার প্রবণতা চলে গেছে। এখন ধরে নেবা হয় পরীক্ষা পিছাবে এবং সে অনুযায়ী প্রথম সপ্তাহে পড়ালেখা হয় না।
@ফারুক হাসান : "কেন শিক্ষকদের এই অনুভূতি জাগে না যে পরীক্ষা পেছালে তারো ক্ষতি?" আপনি আমার লেখাটা অনুগ্রহ পূর্বক আরেকবার পড়ে দেখুন কেন জাগে না? আপনার কথা পুরোপুরি মেনে নিচ্ছি। প্রশাসন অতিরিক্ত নমনীয়। কিন্তু প্রশাসন সফল বা ব্যর্থ হলে কিছু আসলে আসে বা যায় না। কারণ প্রশাসনকে নির্বাচন করতে হয় না। এটা আমাদের সিস্টেম এর ব্যর্থতা যে কোনও রকমের জবাবদিহিতা নাই।
তবে ছাত্ররা ইচ্ছা করলে এটার পরিবর্তন ঘটাতে পারে। দাবি করতে পারে teacher ইভ্যালুয়েশন করবার। টার্ম ফাইনালে চাপ কমিয়ে টার্মের মধ্যে ইভ্যালুয়েশন বাড়ানোর। বুয়েট এর পরীক্ষার মূল structure বদলানো প্রয়োজন। এবং পরীক্ষা পেছানোর democratic platform দরকার, যেখানে সহজে সব সাধারণ ছাত্র র অংশ গ্রহণ করতে পারে। তাহলে "গুতিকয়েক ছাত্রের" দাবি পুরো পুরী অগ্রাহ করা যাবে।
পরে বিস্তারিত আলোচনার আশা রাখি। আপাততঃ এটুকু বলে যাই, বুয়েটের পরীক্ষা পেছানোর সমাধান করার প্রয়োজন দেখি না, প্রয়োজন পরীক্ষা আর ব্যবহারিকের পদ্ধতি পরিবর্তন। সারা বছর ব্যবহারিকের অব্জেক্টিভ, স্কেমেটিক ডায়াগ্রাম লেখা আর ক্লাস্টেস্টের জন্যে সারারাত পরিশ্রম করে মূল পরীক্ষার আগে সেই একই বিষয়ের উপরে সময় নষ্ট করানো হলে- পরীক্ষা পেছাবেই। আমি নিজেই এর জন্যে ভোট দেবো...
_________________________________________
সেরিওজা
আপনি আমার মন্তব্যের আগেই অনেক খানি ভাল ব্যাখা দিয়েছেন, ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যে +++++ রেটিং
টিচার ইভালুয়েশন করার ব্যবস্থা করলে শিক্ষক দের সমর্থন ও বাড়ানো যাবে।
১। শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি জরুরী। সেইসাথে ছাত্র ও শিক্ষক যৌথভাবে গবেষণা ও কামলা খাটা কাজের ক্ষেত্র তৈরি করা জরুরী। বেতন বৃদ্ধি ও গবেষণায় অর্থ দেয়ার কাজটা মূলত সরকারের, এর বাইরে কাজের ক্ষেত্র তৈরির কাজটা শিক্ষকদের এবং এই কাজে সহযোগিতা বা উৎসাহিত করার (চাপে ফেলে হলেও) দায়িত্ব বুয়েট প্রশাসনের। পৃথিবীর সব দেশেই ছাত্রেরা কাজ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক কাজ পেলে টিউশনির ওপর চাপ কমবে। যদিও টিউশনির অনেক ভালো দিকও আছে, তবুও সেটাকে বাণিজ্য হিসেবে না নেয়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় সংযুক্ত হওয়া কাজে আসবে।
২। ছাত্রদের কোয়ালিটি নিয়ে হা হুতাশ করার কিছু নাই। এসএসসি, এইচএসসির বর্তমান মূল্যায়ন ব্যবস্থায় সবচেয়ে ভালো অঙ্ক ও বিজ্ঞান জানা ছাত্রেরাই বুয়েটে আসতে পারবে, এটা নিশ্চিত হয় না। তবে যারা আসে, তারা সবাই অবশ্যই বুয়েটে পড়ার যোগ্য। সময় ও পরিস্থিতির সাথে মানুষের আউটপুট পরিবর্তিত হয়। উপরে মানিক যেটা বললেন, অনেক বুয়েট শিক্ষক এবং অপেক্ষাকৃত হাই জিপিএধারী স্টুডেন্টেরই এই মানসিকতা আছে যে, ল্যাগাররা বুয়েটে পড়ার যোগ্য না। এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। কারণ, এটা পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টির অন্তরায়। ইন প্র্যাকটিক্যাল লাইফ, অনেক টেনেটুনে পাস করা ছাত্রও অনার্স পেয়ে পাস করা ছাত্রের চেয়ে বেশি এফিশিয়েন্ট হতে পারে। জীবন একটা কনটিনিউয়াস প্রোসেস।
৩।যথাসময়ে পরীক্ষা নেয়ার দায়িত্ব বুয়েট প্রশাসনের। প্রশাসনে বুয়েটের সিনিয়র শিক্ষকরা থাকেন এবং অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় তারা (সমষ্টি, ইনডিভিজুয়াল না) চান না পরীক্ষা যথাসময়ে হোক। একবার দুবার দুর্ঘটনা ঘটতে পারে; কিন্তু দুর্ঘটনা যখন নর্ম হয়, তখন সেটা ইচ্ছাকৃত ঘটনাই। প্ল্যানিংয়ে ঘাপলা করে ছাত্রদেরকে পানিশমেন্ট দিয়ে, কঠোরতা দেখিয়ে কোনো কাজ হবে না। বুয়েটিয়ান গ্রুপেও এ নিয়ে অনেকবার অনেক আলোচনা হয়েছে, বুয়েট অথোরিটি তাতে কর্ণপাত করেছে বলে মনে হয় না।
৪। সব ব্যাচ এবং ডিপার্টমেন্ট একসাথে পরীক্ষা না নিয়ে এটাকে ডিপার্টমেন্টের ওপরে ছেড়ে দিলে একতাবদ্ধভাবে পরীক্ষা পেছানোর মতো পরিস্থিতিই সৃষ্টি হবে না। প্রত্যেক বিষয়ের পরীক্ষার ভার সেই বিষয় যিনি পড়ান, তার ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত। ছাত্রদের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে তিনি উভয়পক্ষের সুবিধামতো সময়ে পরীক্ষা নিতে পারেন। এখানে 'সহযোগিতা' শব্দটি গুরুত্বপূর্ণ; বাঁশের ভয় দেখানো কোনো কাজে আসবে না।
এখন আপনার জন্য একটা কুইজ: আপনার পোস্টের কোথায় কোথায় অ্যাটিটিউড আমার মন্তব্যের সাথে কন্ট্রাডিক্টিং?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বুয়েটের বর্তমান পরীক্ষার সিস্টেমটাই ভাল না। আয়োজন করে পরীক্ষা নেওয়ার "বুয়েটিয়" পদ্ধতি বাতিল করা দরকার। কোর্স টিচারের উপর দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে মনে করি। মিডটার্ম চালু করে টার্ম ফাইনালের উপর চাপ কমানো যায়। এরপর পরীক্ষা পেছানোর দাবি তোলার অধিকারই নাই ছাত্রদের। দেশের রাজনীতি নিয়ে ব্লগে ব্লগে ফেনা তুলব, আবার নিজেরাই দেশের টাকা নষ্ট করার যুক্তি কোথায়? ইন্ডিয়ান ছেলেমেয়েরা বলে তোমাদের ব্যাচেলর কি ৫ বছরের? আমরা বলি সেশন জট। সেশন জট কি জিনিস বুঝে না। কনভোকেশন হয়না সেই কবে থেকে, এটা তো আর ছাত্রদের তৈরি করা না। মাঝে মাঝে খুব হাসি পায় যখন দেখি ২ জনের মারামারিতে বুয়েট বন্ধ।তাহলে তো ঢাবি আজীবন বন্ধ থাকতো। টিচার্স ইভালুয়েশনটা জুরুরি মনে হয়। স্টুডেন্টদের জন্য ইউনিভার্সটি, টিচারদের জন্য নয়।
এখনকার বুয়েটিয়ান দের ট্রেন্ড হচ্ছে পি.এল এ মুভি দেখা। গুটি কয়েক ছাত্র আন্দোলন শুরু করে।তারপর সবাই পড়া বন্ধ করে দেয়। তারপর তো সবারই জানা। মিছিল "ভিসির চামড়া, তুলে নিবো আমরা"।পিছিয়ে যায় পরীক্ষা।সবাই আবার ১ টা সপ্তাহ পায় আরো কিছু মুভি দেখার জন্য।
যা যা করা উচিতঃ
১।টার্ম ফাইনালে ৪০ ভাগ নম্বর থাকবে। তাতে লোড কিছটা কমবে।
২। হলে internet ব্যবহার কিছুটা নিয়ন্ত্রন করতে হবে।বিশেষ করে আনলিমিটেড ডাঊনলোড বন্ধ করতে হবে।
৩। ছাত্র দের মধ্যে সেশন জট এর ব্যপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
৪। টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় 'Value of Time' টপিকে রচনা লিখতে হবে। এতে সময়ের মূল্য বুঝবে।
৫। ছাত্রদেরকে পাঁচ ওয়াক্ত মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। এতে তারা নৈতিক দিক দিয়ে উন্নত হবে। অমুসলিম ছাত্রদের জন্য বিকল্প হিসেবে ইয়োগা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৬। ইন্টারনেট পুরোপুরি কাট করে দিতে হবে। এতে পর্নোসাইটে গিয়ে চরিত্রের অধোপতন হবে না, ইউটিউবে গিয়ে হিন্দি খুল্লাম খুল্লা নাচ দেখা রহিত হবে, ফেসবুকে গিয়ে আজেবাজে স্ট্যাটাস দিয়ে সময় নষ্ট করা বন্ধ হবে ইত্যাদি। তাছাড়া মেধাপাচার রোধেও ইন্টারনেট কাট একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।
৭। হলের ডাইলে গরু মোটাতাজাকরন ট্যাবলেটের গুড়া মেশাতে হবে। এতে ছাত্রদের ক্ষুধা কমবে, খাওয়ার খরচ কমবে, টিউশনি করা কমবে, সময় বাঁচবে, পড়াশুনোয় নিয়মিত হবে।
৮। ছাত্রকর্তৃক হলের ছারপোকা সংগ্রহ করে উচ্চতর গবেষণার জন্য বিদেশে রপ্তানি করতে হবে। এতে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ২০% ছাত্রের আয় হিসেবে রেখে বাকিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্য, যেমন, টীচার্স কোয়ার্টার নির্মাণ, প্রভোস্ট অফিসের রেনোভেশন, সিনিয়র শিক্ষকদের পোষ্যদের জন্য নাইট শিফট খোলা, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের বেঞ্চি ক্রয় ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হবে।
৯। সাপের খোসার মতো ভিসির গায়ে একটি ফলস চামড়া লাগাতে হবে। ছাত্রেরা ভিসির চামড়া খুলে নেয়ার আন্দোলন করলে তাদেরকে সেই ফলস চামড়া খুলে নিতে দেয়া হবে। বাপধনেরা এরপর আর কোনো ইস্যু না পেয়ে পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে বাধ্য হবে।
১০। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি চালু করতে হবে। বাঙালি ফাও খাওয়ার মূল্য বোঝে না। তবে গরীব মেধাবী ছাত্রদের কথা চিন্তা করে এই টিউশন ফির হার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেক করতে হবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
মোক্ষম।
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
তীব্র ভাবে সহমত জানাচ্ছি। বুয়েটকে আর ঠেকায় কে?
অনন্ত
ছাত্রদের একটা অংশ ক্লাস-পরীক্ষা পেছাবে, বাকিরা চুপচাপ বসে থাকবে, মিছিল হতে দেখলেই বই-খাতা গুটায়া নতুন মুভি শুরু করবে। বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষাটা এক-দুই সপ্তাহ পেছালে খুশি হবে, বেশি পিছায় গেলে ব্লগে-ফেসবুকে এডমিনের খ্যাতা পুড়বে। সিনিয়রমোস্ট ব্যাচ ব্লগ-ফেসবুকে কান্নাকাটি করবে, যদিও তারা জুনিয়র থাকতে কি কি করছিল সেটা মনে করার চেষ্টা করবে না। পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে এডমিন সায় না দিলে ভাংচুর হয়ে আরো বেশি বন্ধ হবার ব্যবস্থা হবে। এডমিনেরও তাই ভাবখানা এমন--কি ঠ্যাকা পড়ছে?
সব মিলে বলা যায়, দুষ্টচক্রে পড়ে আছে। সমাধান নাই। নাই বললেও ভুল...ডিপার্টমেন্ট আলাদা করে দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়তো।
আনলিমিটেড ডাঊনলোড বন্ধ করতে হবে.!!!!!!!!!!!!
হাস্যকর যুক্তি।
এতোকিছু বললেন, রাজনীতির কথা কেন বাদ দিলেন সেটা বুঝলাম না। কিছুদিন আগে ১টি রাজনৈতিক দলের পদলেহনকারী ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের মারামারির কারনে বুয়েট বন্ধ ছিল। যদিও মিডিয়ায় ভিন্ন কথা উপ্সথাপন করা হয়েছিল। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হল না। বরং সেই কর্মীদের রক্ষা করার জন্য রাজনৈতিক দলের পদলেহী শিক্ষক নামের এক দালালকে বড় পদে আসীন করা হয়েছে। এসব ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এরা ভ্যবিষতে একই কাজ করবে, আর তার পরিনাম ভোগ করব আমরা সাধারন ছাত্র
কয়েকজনের মধ্যে মাইরপিট হলেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হবে কেন?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ক্ষুদ্র কিছু সমস্যা আছে এতে। যেমন কিছু কোর্স যা মেকানিকাল, ইলেকট্রিকাল বা কম্পিউটার সাইন্স এর কমন, সেগুলাতে শামলানোর জন্য ওই ডিপার্টমেন্ট এর টিচারদের চরম বাস হয়ে যাবে। একারনেই মনে হয় ডিপার্টমেন্ট আলাদা করা হয় না। তবে শুধু আলাদা করলে লাভ নাই। টার্ম ফাইনালে প্রেসার কমাতেই হবে।
একটু ভয়ে ছিলাম
"সচলায়তনের পেছনের রাজনীতির বিষয়টি এখন থেকে শক্ত হাতে দমন করা হবে" - (http://www.sachalayatan.com/sachalayatan/17756)
বাংলাদেশ যখন টি আই বি এর রাঙ্কিং এ দুর্নীতিতে চামপিয়ান হয়েছিল, তখনকার বি বি সি এর একটা উক্তি দিচ্ছি:
"A Fish Always starts rotting from its head"
যা বোঝার বুঝে নেন।
আমি অনেক ছেলেদের দেখেছি পি এল এ বাইরে ঘুরতে চলে যায়, ওদের জন্য তো আর হলে তালা মেরে রাখা যাবে না। যেইটা দরকার ছাত্রদের মনে এইটা গেথে দেওয়া যে পরীক্ষা সময় মতন হবে।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়! আমি পয়েন্ট আকারে কয়েকটি বিষয় লিখি। প্রয়োজনে আরো পয়েন্ট যুক্ত করব।
১। কমিউনিকেশনের জন্য দ্রুততর এবং আধুনিক সিস্টেম ব্যবহার:
ইন্টারনেট ফোরাম ভিত্তিক কোর্স আলোচনা, প্রজেক্ট সাবমিশন, কোর্সের ছাত্রদের মধ্যে এবং শিক্ষকের মধ্যে ইমেইল যোগাযোগ, রিসোর্স শেয়ার ইত্যাদি চালু করতে হবে। এর সাথে মোবাইলে সরাসরি টেকস্ট মেসেজ পাঠানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। মোদ্দা কথা খুবই রিলায়েবল, এবং ইনস্ট্যান্ট কমিউনিকেশন নেটওর্য়াক চালু করতে হবে।
২। ডিসেন্ট্রালাইজেশন:
প্রত্যেক কোর্স টিচার তার নিজের কোর্স সময়মত শেষ করার দায়িত্বে থাকবেন। প্রজেক্ট সাবমিশন অনলাইনে করা যাবে, তাই ফিজিকালী মিট করার 'প্রয়োজনীয়তা' থাকবে না। ক্লাস টেস্ট নিতে না পারলে অনলাইন টেস্ট দিতে হবে। ফিজিক্যাল পরীক্ষা নেবার ক্ষেত্রে শিক্ষক নিজেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে বুয়েটের বাইরে কোথাও পরীক্ষা নেবার ব্যবস্থা করতে পারেন। এক্ষেত্রে উপরোক্ত রিলায়েবল কমিউনিকেশন মাধ্যম খুব কাজে লাগবে।
কোর্স টিচার না হয়ে ডিসেন্ট্রালাইজেশনটা টার্ম ভিত্তিক, ইয়ার ভিত্তিক, ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক হতে পারে। ডিসেন্ট্রালাইজেশনটার সুবিধা হলো দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতা এবং একটা প্রতিযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা।
এছাড়া আরো কিছু মৌলিক পরিবর্তন দরকার। সেটা লিখছি - ব্রেক কে বাদ...
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মাহবুব ভাই খুব ভালো একটা পয়েন্ট তুলেছেন।
ই-লার্নিং এর বিষয়টা।বুয়েটের ইন্টারনাল নেট স্পিড অনেক সেক্ষেত্রে ই-লার্নিং একটা সমাধান হতে পারে। যদিও হলগুলোতে ছাত্ররা ঐ উচ্চগতি থেকে বঞ্চিত।
ডিসেন্ট্রালাইজেশনের সাথে পুরোপুরি একমত। সমস্যাটা ওখানেই। আমি একবার কোথায় কমেন্টে লিখেছিলাম এ বিষয়টা নিয়ে। *
উদাহরণ দেই একটা ওয়াটার ডিপিতে ৩০জন ছাত্র। এখন ডিপি যদি আলাদা হয় এবং নিজেদের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে দেখা যেত এই ত্রিশজন ক্লাস করছে। এখন বড় বড় ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা না করলে তারা নিজের বিশ্ববিদ্যালয়েই জুনিয়র হয়ে যাবে। সেটা কেউ কখনও চায় না। এর কোন সমস্যা নেই। কেন বলি, সব ডিপার্টমেন্টের
আর একটা জিনিস, অনেকে প্রশাসন থেকে শিক্ষকদের সরাতে বলছেন। এখন আমরা শিক্ষকদের দোষ দিচ্ছি তারা প্রশাসনে আছে দেখে। তখন দেখা যাবে প্রশাসন কোন কঠোর ব্যবস্থা নিলে শিক্ষকরা এর বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ না করলে আমরা আবার শিক্ষকদের গালি দিব।
আমি যা বুঝি আমরা ছাত্ররা যদি ক্লাস করতে চাই, শিক্ষকরা ক্লাস নিতে বাধ্য। না চাইলে তারা কতটা জোর খাটাবেন? জোর করে করালেও তাদের দোষ, না করলেও তাদের দোষ, তারা কৈ যাবেন।
এবারের রুটিনে যে কাজটা করা হয়েছে তা দেখলেই বোঝা যায়, শিক্ষকরা আর এই বিষয়ে কিছু করবেন না। কারণ যাদের বোঝার কথা তারা না বুঝলে ওনারা কি করতে পারেন। আমরা যদি ফুটবল, ভলিবল, বাস্কেটবল, ভলিবল, শীতকালীন অলিম্পিক উপলক্ষে বন্ধ নেই, ওনারা কেন শীতকালীন ছুটি, গরমের ছুটি ভোগ করবেন না?
আমরা দরকার পড়লেই টিচারের কাছে যাব, আর অন্য সময় রাস্তায় দাঁড়ায়ে বিঁড়ি ফুঁকবো আর সামনে দিয়ে গেলেও না চেনার ভান করবো, তো তারা আমার দরকারের সময় কেন আমাদের চিনবেন?
টিচারদের দোষ দিয়ে তেমন লাভ নেই। টিচাররা এত পাওয়ারফুল যদি হতই তবে ২০০৬ এ বউ-বাচ্চার সামনে ছাত্রদের হাতে অপমানিত হতেন না শিক্ষকরা, তাদের আটকে রাখা হত না।
আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখেন, ওদের সেসনজট আমাদের চেয়ে কম। ওদের রাজনীতির ঝামেলা আমদের চেয়ে বেশি। তারপর আমাদের চেয়ে কম সময়ে ওরা এখন বের হয়।
*এই কমেন্টে আমি আর একটা জিনিস বলেছিলাম, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোর্স শেষ করতে না পারলে বা কোন সরকার অঘোষিত অপ্রাতিষ্ঠানিক কারণে কোর্সের মেয়াদ বিলম্বিত হলেও ছাত্রদের সেই সময়কার খরচ পুরোপুরি পূরণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে বেতন ১০০০-২০০০% বেড়ে যাবার কথা। এমন ব্যয় ভার বহনের চাপ থাকলে সুঁড়সুঁড় করে সব এমনি ক্লাসে যাবে। পরীক্ষাও দিবে।
আর একটা জিনিস। আমাদের সিলেবাস মডিফিকেশন দরকার। এবং এটা খুবই জরুরি। কারণ এমন অনেককিছু কনটেণ্ট আছে, যা এখন আর লাগে না, অথবা বাইরের দেশে এক বিষয়ের আণ্ডারে না পরিয়ে ভাগ করে পরায়। প্রয়োজনে লাইনের বাইরের কোর্স বাদ দিয়ে বড় বড় বিষয়গুলোকে ভেঙ্গে দুটি বিষয়ে পরিণত করা যায়। আগেও এরকম করা হয়েছে। এখন করাটা সময়ের দাবি মাত্র।
একদম গোড়ার কিছু কথা বলি। প্রথমদিককার কমেন্ট দেখে মাথায় এল।
আমাদের অনেককেই ছোটবেলাতে শুনতে হয়েছে, "তুমি অংকে ভালো তুমি বুয়েটে পড়বে।"
তোর বড় ভাই/বোন মেধাবী হওয়া সত্ত্বে চান্স পায়নি, তোকে পেতেই হবে, তুই পারবি।"
এমনি আরো অনেক কথা।
ক'জন জেনে পড়তে যায়, ইঞ্জিনিয়ারিং কি????একেকজন একেক জিনিস কল্পনা করে, কারো কোন সঠিক ধারণা থাকে না। থাকলে হয়তো অনেকেই এই পথে আসত না।
বুয়েটের পরীক্ষা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। কারণ এতটা স্বচ্ছতা আর কোন ভর্তি পরীক্ষায় থাকে না।
কিন্তু সাবজেক্ট নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে আমার দ্বিমত আছে। এখন যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তা সাবজেক্ট নির্ধারণের মাপকাঠি কোন মতেই হবার যোগ্য নয়।
বর্তমান ব্যবস্থায় যে জিনিসটা হয় সেটা হল সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বিষয়গুলোকে সাজানো হয়। অর্থাৎ পুরোপুরি বাজার ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে। চাহিদা বাড়লে সাবজেক্ট প্রথম সারিতে এসে দাঁড়ায়, কমলে নিচের সারিতে।
গত ১০ বছরে যারা পাশ করেছেন তারা বিষয়টা আরো ভালো বলতে পারবেন।
কারণ গত ১০ বছরে বিষয়ের অনেক ups and downs হয়েছে।
আমি বুয়েটে এখন পর্যন্ত ল্যাব করে কেবলমাত্র দুটো ল্যাবে শান্তি পেয়েছি। এক অটোক্যাড আর ইলেট্রিক্যাল। এই দু'বিষয়ে মনে হয়েছিল শিক্ষকরা কিছু জানেন। ভালো একটা কথা মনে পড়লো। ল্যাব ক্লাস আমার মতে সিনিয়র শিক্ষকদের নেওয়া উচিত। কারণ প্রাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা তাদের বেশি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের জানার পরিধি বেশি হবার কথা।
আরো অনেক কিছু মাথায় আসছে, কিন্তু এখন রিপোর্ট লিখতে হবে। কাল শেষ ক্লাস , বন্ধের আগে।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
"কিন্তু সাবজেক্ট নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে আমার দ্বিমত আছে। এখন যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তা সাবজেক্ট নির্ধারণের মাপকাঠি কোন মতেই হবার যোগ্য নয়।
বর্তমান ব্যবস্থায় যে জিনিসটা হয় সেটা হল সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বিষয়গুলোকে সাজানো হয়। অর্থাৎ পুরোপুরি বাজার ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে। চাহিদা বাড়লে সাবজেক্ট প্রথম সারিতে এসে দাঁড়ায়, কমলে নিচের সারিতে। "
যদিও চাহিদা অনুযায়ী সাজানো হয়, তবে যতদূর মনে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ডিপার্টমেন্ট সিলেক্ট করার একটা অপশন থাকে।ভর্তি পরীক্ষার ফল অনুসারে কম্পিউটারে চান্স পাওয়া কেউ যদি ইলেকট্রিকালে পড়তে চায়, তাহলে সে সেটা পারবে। তখন ইলেকট্রিকাল ডিপার্টমেন্টে ভর্তি পরীক্ষার মেধানুক্রমে যার প্রথম চয়েস ছিল কম্পিউটার, তখন সে সেই খালি হওয়া জায়গাটায় চলে যাবে।
এই কথাটাতে আপত্তি জানাচ্ছি। বুয়েট এর শিক্ষার্থী ছাড়াও আরও অনেকে কনস্ট্রাকটিভ ক্রিটিসিজম জানাতে পারে। এই বাক্যটি তাদের বিরূপ করবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ঢালাওভাবে শুধু ছাত্রদের দোষ দিলেই হবে না। বুঝতে হবে ছাত্ররা কেন পরীক্ষা পিছাতে চায়? পরীক্ষাপদ্ধতির সমস্যাও একটা বড় ব্যাপার। আমার মতে,
১। ফাইনাল পরীক্ষার উপর চাপ কমিয়ে দিয়ে আরো বেশী প্রজেক্ট চালু করা উচিৎ।
২। শিক্ষক ইভালুয়েশন ব্যাপারটাও জরুরি।
৩। ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী পরীক্ষার রুটিন করে দেয়াটা এখানে সুফল বয়ে আনতে পারে।
পরিশেষে, বুয়েটের শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
অনেককেই দেখি, সিনিয়র ছাত্রদের সাথে নিজেদের তুলনা করে। ভাব এই রকম, উনারা পরীক্ষা পিছাইছে আমারাও পেছাবো। বড় ভাইরা ভুল করলেই ছোট ভাইদের ভুল করতে হবে এই রকম তো কোনো যুক্তি নাই।
ভুল ট্রাডিশন কখনোই অনুসরণীয় নয়।
একটু গোড়া থেকে ব্যাপারটা তলিয়ে দেখা যাক। সবার প্রশ্ন একটাই, কেন গুটিকয়েক ছাত্রের হম্বিতম্বির কারণে একটা বিশাল অংশের ছাত্রদের মৌনতা সত্ত্বেও (এখানে স্বতঃসিদ্ধ হিসেবে মৌনতা সম্মতির লক্ষণ কিনা সে প্রশ্ন চলে আসে ) স্যাররা কেন অবলীলায় কলমের এক খোঁচা পরীক্ষা পিছিয়ে দেন। পরীক্ষা পিছানোর জন্য যারা দেনদরবার করে, তাদের দুয়েকজন আমার বন্ধু মানুষ। মজার ব্যাপার হল, পরীক্ষা পিছানোর আগে তাদের আত্মবিশ্বাসের কখনোই খুব একটা খামতি থাকেনা। তারা আগে থেকেই এর সাফল্যের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত থাকে। আসলে,পয়লা রাতেই বিড়াল মেরেই আজ তাদের এই অঢেল আত্মবিশ্বাস। স্যাররা শুরুতেই যদি এসব ব্যাপারে অনমনীয় থাকতেন তবে এই বিষচারা আজ মহীরুহ হয়ে উঠতনা। এখন প্রথম বারব স্যাররা দুয়েকবার গাইগুই করেন, শোকজ দেওয়ার বেহুদা হুমকি দেন, এবং বলাই বাহুল্য পান্ডারা এসব হুমকির থোড়াই কেয়ার করে। আর, এসব ফাঁকা বুলিকে নিস্ফল প্রমাণিত করে অচিরেই হলগুলিতে নতুন পরীক্ষার রুটিন জুলজুল করে শোভা পায়।
আমার প্রস্তাব- বুয়েটের প্রশাসনিক বিভাগকে শিক্ষকের আওতার বাইরে এনে এর জন্য একটা স্বায়ত্তশ্বাসিত কমিটি গঠন করা হোক, যারা সব ধরনের প্রশাসনিক ব্যাপার তদারকি করবে। ডিএসডাব্লিওর মত গুরুত্বপূর্ন পদে যদি কোন মেরুদন্ডহীন সাক্ষী গোপাল বসে থাকে, তবে সেটার ফল আদৌ শুভ হতে পারেনা। আর ডিপার্টমেন্ট গুলোতে আলাদা পরীক্ষার ব্যবস্থা নিলে সাময়িক সুফল হয়তো পাওয়া যেতে পারে, তবে আখেরে এর সাফল্য নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাবে।
অদ্রোহ।
এখানে লেখকের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতে চাই বুয়েটের অনেক শিক্ষক সরাসরি ছাত্রদের ক্লাস অথবা পরীক্ষা পিছানোর জন্য প্রভাবিত করেন।২০১০ বিশ্বকাপের পূর্বে জনৈক শিক্ষক জুনিয়র ব্যাচের ক্লাসে এসে বলেছিলেন রাত জেগে খেলা দেখে কিভাবে ক্লাস করা সম্ভব।অন্য একজন সিনিয়র শিক্ষকতো ক্লাসেই বললেন আমরা ছাত্ররা কবে বুয়েট বন্ধ করছি।গত ১৯শে জুন গুটিকয়েক ছাত্রদের মারামারির সময় শিক্ষকদের আমাদেরকে অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।উল্লেখ্য উক্ত মারামারির মূলে থাকা এক ছাত্রের শাস্তি বাঁচানোর জন্য জনৈক শিক্ষক অনেক চেষ্টা চালিয়েছেন এবং সফলও হয়েছেন।শিক্ষক সব সময়েই ছাত্রের শ্রদ্ধার স্থানে প্রতিষ্ঠিত,কিন্তু বুয়েটে এসে দেখলাম শিক্ষকরা সেই শ্রদ্ধার স্থানটুকু হারিয়ে ফেলেছেন।বুয়েট অধিকাংশ শিক্ষকদের মনোভাব অনুবাধন করলে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে তারা একসময় বুয়েটের ছাত্র ছিলেন তা তাদের স্মরন শক্তিতে নেই। তারা মনে করেন সরাসরি স্বর্গ থেকে নেমে এসে বুয়েটের শিক্ষক হয়ে গিয়েছেন।চলতি টার্মের যে ক্লাস ও পরীক্ষা শিডিউল দেয়া হয়েছে তা দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে উনার আমাদের সন্তান তুল্য ছাত্র না বরং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার এলাকায় বাংলাদেশের সাধারন মানুষকে যে দৃষ্টিতে দেখে সেই দৃষ্টিতে দেখেন।তা না হলে ২২শে মে তে শুরু হওয়া টার্ম উনার ১০ মাসে শেষ করার শিডিউল দিতেন না।আজ থেকে ৪ বছর সাত মাস আগে ২০০৬ সালের ২৮শে জানুয়ারি ৮৩৫ জন শিক্ষার্থীর একজন হয়ে যে স্বপ্ন নিয়ে বুয়েটে এসেছিলাম তা আজ ফিকে হয়ে এসেছে।পরবর্তী সময়ে যারা আসবে তাদের স্বপ্ন যেন হারিয়ে না যায়।
shob e thik bolesen....but buet er teacher ra...eto ta kharap naa......deshpremik hate gona koikjon manush er majhae eder position je upor er dikae ta niae shongshoy nei........problem holo unara valo engineer/architect/planner......but management onno bepar....tai eto durabostha.........
r ekjon student hishabae bolsi........kisudin age world cup niae je barabari holo .....tarpor amra kon mukhae sir der/ management er dosh dei.......amader dosh e silo 100 % [nij er valo naki pagol ae o bujhae...... tobae ki amra জ্ঞানপাপি pagol... ]
etokhon ja bollam shob e onushochona/atto shomalochona ......tai bolae shopno dekha baad dei nai.......
asha kori ekdin shob shopno puron hobae....amader shubuddhir udoy hobae.....
nabin
কথিপয় জুনিয়রের দৃষ্টতামূলক আচরণের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে কাঙ্খিত প্রতিবাদ এবং অতপরঃ ক্যাম্পাস উত্তপ্তের ঘটনাকে কেন্দ্রকরে বুয়েট কর্তৃপক্ষের হল ভ্যাকেন্ট করা হয়।যে ধারনের ঘটনা বাংলাদেশের অন্যান্য পা্বলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে প্রতিদিনের অহরহ ঘটনা।অতপরঃ তদন্ত করার নামে যে কালেক্ষেপন করা হলো কোথায় সেই তদন্তের রিপোর্ট আর কোথায় সেই অবাঞ্চিতদের সাজা ? ক্যাম্পাসে তাদের উপস্থিতি দেখে মনে হয় একেকটা হীরো, বুক্ফুলায়ে ঘুরে বেরাচ্ছে । আহা.. কি এফিশিয়েন্ট বুয়েট কর্তৃপক্ষ !!
আর অন্য দিকে ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকে স্যারদের নীতি-আদর্শের জ্ঞান্গর্ভের বয়ান আমাদেরকে ক্লাসে ক্লাসে দিয়ে গেলেন,ভাবখানা এমন যেনো যত দোষ নন্দঘোষ,যেখানে হতভাগা নন্দঘোষ হচ্ছে তাদের এসব নাদান ছাত্ররা !! এমন কোনো স্যারকে দেখলাম না যিনি আমাদের অভিমত জানতে চাইলেন,এমনকি বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্র-শিক্ষক মতামত আদানপ্রদানের কোনো ব্যবস্তা করলেন । আমি বুঝিনা,তাহলে কোন যুক্তির রেশ ধরে অতিসম্প্রতি ঘটে যাওয়া বুয়েট বন্ধের ঘটনায় ছাত্রদের একতরফা দোষ দিয়ে যান !!
বুয়েটের সেশনজটের সংস্কৃতি অনেক পুরনো,কিছুদিন আগে '৭৬ ব্যাচের এক পূর্বসূরী বললেন তাদের সময়ও ছেলেরা শীতকালে কাথা গায়ে দিয়ে পরীক্ষা পিছানোর মিছিলে বেড়াতেন । এত পুরনো একটা সংস্কৃতি এতদিন ধরে চলে আসল আর বুয়েট কর্তিপক্ষ কিছুই করতে পারলনা !! তাহলে সেই কর্তিপক্ষ কি করে নিজেরদের সাফাই গেয়ে সব দোষ মাত্র চারবছরের জন্যে পড়তে আসা ছাত্রের ঘারে একতরফা চাপিয়ে দিয়ে যান, আমি অবাক হই !!
সুতরাং এসব নিয়ে প্যাচালপেরে লাভ নাই ...আমার পূর্বসূরীগণ,আমি এবং আমার উত্তরসুরীরা সবাই part of the system,যেখানে বুয়েট কর্তৃপক্ষ master of the system যাদের কোনদিনেও দায়সারা ভাব যাবেনা।
হাতে গোনা কয়েকজন দেশপ্রেমিকের মধ্যে বুয়েটের শিক্ষকেরা উপরে।কোথায় দেখলেন তাদের দেশপ্রম?বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়াতে নাকি "Consultancy" করাতে।বুয়েট ছাত্র মারা যাওয়ার চেয়েও তাদের কাছে দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছে ছাত্রদের গাড়ি ভাংচুর করা।যে মানুষ তার নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রটিকে নিজের শত্রু মনে করেন তাকে আপনি কি ভাবে দেশপ্রেমিক বলবেন?
মৌলিক পরিবর্তন ১: চোথা ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা দূরীকরণ
বুয়েটে ওপেন এন্ডেড সমস্যা দেয়া হয় না। এটা কোন কোন পরীক্ষায় অল্প বিস্তর করলেও বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এটা করা হয় না। ক্লাস নোটের বাইরে, লাইব্রেরীতে প্রাপ্ত বইয়ের বাইরে কিংবা বাজারে পাওয়া কোন চোথার বাইরে সমস্যা সমাধান করতে দিলেই পোলাপাইন কাইত হয়ে যায়। কিন্তু এটাই চর্চা করা উচিৎ আরও বেশী।
এটা করতে গিয়ে প্রথমতঃ প্ল্যাজারিজমের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান তৈরী করতে হবে। একটা সমস্যা সমাধান করতে দিলে গণহারে কপি করার প্রবনতা বন্ধ করতে হবে। সেইসাথে ওপেন এন্ডেড সমস্যা দিতে হবে পরীক্ষার খাতায়। সেই সাথে ওপেন বুক এক্সামের সংখ্যা বাড়াতে হবে। অর্থাৎ সমস্যাগুলো এমনই ওপেন এন্ডেড হবে যেন বইয়ের মুখস্ত বিদ্যা কোন কাজে না আসে। ইউজ ইউর ইন্টেলিজেন্স!
মৌলিক পরিবর্তন ২: প্রজেক্ট এবং পোর্টফোলিও
পরীক্ষা পাশের পর আমাদের হাতে থাকে শূণ্য। চাকরীর বাজারে গেলে কি করেছি সেটার চেয়ে একটি সংখ্যা মুখ্য হয়ে যায় - জিপিএ। প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজগুলো আরও বাড়াতে হবে। যেমন: মেকানিক্যাল মেশিন শপে ডাম্ব কিছু ক্লাস করায়। সেখানে একটা করে গ্রুপকে একটা সমস্যা দিতে হবে, সমস্যাগুলো সমাধান করতে গিয়ে তারা বিভিন্ন বিষয় উন্মোচন করবে। সেইসাথে তৈরী হবে তার পোর্টফোলিও।
মৌলিক পরিবর্তন ৩: জিপিএ যেন শিক্ষক নিয়োগের একমাত্র ভিত্তি না হয়
অনেক অনেক মেধাবী ছাত্র জিপিএয়ের দৌড়ে সফল না হলেও ইন্টেলেকচুয়ালী অনেক সুপিরিয়র। তাদের ক্ষেত্রে তাদের প্রজেক্ট, পেপার, পোর্টফোলিও এবং জিপিও এই সব কিছুর ভিত্তিতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। নইলে সত্যিকারের মেধার মূল্যায়ন হবে না।
ওফ! হাফায় গেলাম...
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মৌলিক পরিবর্তন ১: চোথা ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা দূরীকরণ
এই মৌলিক পরিবর্তনটা করতে গেলে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে সেটা আমি জানি। কারণ শিক্ষকেরাও দুদিন আগে ছাত্র ছিলেন ও তারাও তোতাপাখির মত মুখস্ত করেই পাশ করেছেন। তাদের পক্ষে এই নতুন ব্যবস্থায় প্রশ্ন সেট করা (মেধাভিত্তিক প্রশ্নপত্র) যথেষ্ট কঠিন হবে ও অনেক খাটতে হবে। পড়ানোও অনেক শক্ত হয়ে যাবে। একটা ওপেন এন্ডেড বিজ্ঞানসম্মত প্রশ্নপত্র তৈরী করা অন্তত এক মাসের কাজ।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। বুয়েটে ভাল ফলাফল করার একটা ফর্মুলা আছে। যারা সেটাকে প্রথম সেমিস্টার নথেকেই ধরে ফেলতে পারে তারাই দেখা যায় প্রথম ১০% এর মধ্যে জায়গা করে নেয়। টার্মের মধ্যে নেয়া কুইজগুলোতে যদি মোটামুটি জাতের পার্ফমেন্স থাকে তাহলে ফর্মুলার পরবর্তী ধাপ হচ্ছে টার্ম ফাইনালে চার চার করে দুই সেটে যে আটটি প্রশ্ন থাকে তা থেকে সাড়ে চার থেকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দেয়া। ব্যস, A+ হয়ে গেল। এর জন্য বেশি কিছু করার প্রয়োজন নেই, শুধু আগের তিন টার্মের প্রশ্ন সলভ করে প্রস্তুতি নিলেই হলো। টার্ম ফাইনালের প্রশ্ন এর মধ্যেই ঘুরেফিরে আসবে, যদি না কোর্স টিচার ইচ্ছা করে পুরো ব্যাচকে বাঁশ দিতে চায়। তার মানে গত তিন টার্মের ৩*৮ = ২৪ টা প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করে গেলেই ভাল ফলাফল নিশ্চিত। এর ফলে যেটা হয়েছে যে পোলাপাইন সহায়ক বই তো দূরের কথা পাঠ্য বইয়ের মূল চ্যাপ্টারগুলোও ঠিক মত পড়ে না, শুরুতেই চলে যায় এক্সারসাইজে আর পাশে চোথা নিয়ে সেগুলোর উত্তর মুখস্থ করে। পরীক্ষায় প্রায়শই ৩৫ নম্বরের একটা অংক কষার জন্য সময় বরাদ্দ থাকে আধা ঘন্টা। তার মানে বেশ বড় সড় সমস্যা। পুরো ৩৫ নম্বর পেতে হলে যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে ঐ অংকের বেশ কয়েকটা ধাপে যে বিশেষ টুইস্ট আছে সেগুলো মাথায় রাখা। ব্যস।
যতদিন পর্যন্ত পুরোনো বছরের প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি বন্ধ না করা হবে ততদিন পর্যন্ত চোথা বুয়েটে থাকবেই। সমস্যা হলো সিনিয়র শিক্ষকদের অনেকে নিজেরাই চোথা নির্ভর। নতুন প্রশ্ন তৈরি করা এবং তার উত্তর রেডি রাখার ঝামেলায় (!) তারা জড়ান না, সেই সময় তাদের নাই। এমনো আছে যে সাতাশ বছর ধরে একজন শিক্ষক একটা বিষয় পড়াচ্ছেন কিন্তু তার নিজের প্রিপারেশনো সেই সাতাশ বছর আগের অবস্থায় পড়ে আছে। লেকচার নোট, কুইজ ম্যাটেরিয়াল, ফাইনালের প্রশ্ন সব কিছু পঞ্চাশ বছর আগেকার বইয়ের সংস্করণ থেকে তৈরি করা।
আগে শিক্ষকদের চোথাবাজি বন্ধ করতে হবে, তাহলেই ছাত্রদের চোথাবাজি বন্ধ হবে।
একজাক্টলী! এই ফর্মুলা মানলেই মুক্তি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আসলে এক ই বিষয় বছরের পর বছর পড়তে থাকলে ও পড়াতে থাকলে চিন্তা ভাবনা এক ই রকম হবে এটাই স্বভাবিক । যেমন 1-1 এ আমাদের ফিজিক্স বিষয়ের সপ্তাহে 3 টা ক্লাস নিতেন 3 জন শিক্ষক, এবং এক ই শিক্ষক থার্মো ডায়নামিক্স এর উপরে ক্লাস নিতেন সব বিভাগে। বুয়েট এ নিয়ম করে দেওয়া উচিত যে এক ই বিষয় 2 বছরের বেশী পড়ানো যাবে না, এবং এক বার পড়ানোর পর 6 বছর ওই বিষয় রিপিট করা যাবে না।
মামু র (মাহবুব মুর্শেদ ভাই) সাথে একমত। টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা (যেন শেষ বিচারের দিন) জ়িনিষটার গুরুত্ব কমায় ফেলতে হবে। কোর্সের গ্রেডিং আর নম্বর ডিস্ট্রিবিউশন টা আরও ডাইভার্স করে ফেলতে হবে। আর ক্লাসে হাজিরার জন্য যে ১০% নম্বর আছে অইটা একদম বাদ। টার্ম জুড়ে হোমওয়র্ক, কুইজ, ২-৩ টা মাঝারি সাইজের পরীক্ষার মাঝে নম্বর ভাগাভাগি হলে এক দিনে ৭০% নম্বর কামিয়াব করা নিয়ে ছাত্রদের এত মাথাব্যাথা হইতো না।
আরেকটা বিষয় যে বুয়েটে সেশন্যাল নামে ব্যাবহারিক শিক্ষার সিস্টেম টাও সুবিধার না। ক্লাসে থিওরী পড়ানোর আগেই শুরু হয়ে যায় প্র্যাক্টিকাল ক্লাস। হাতে কলমে কাজটা করা হয় একরকম না বুঝে শুনে, ফটকপি করা ম্যানুয়াল এর স্টেপ ১,২ ধরে অন্ধের মত। যেসব শিক্ষক ক্লাস নেন, তাদের বেশিরভাগের প্রাক্টিকাল জ্ঞান শোচনীয়, নিজের অজ্ঞতা ঢাকতে তারা ভাইভাতে আজাইরা থিওরী ধরতেন, ছাত্ররাও ভুজুং ভাজুং দিয়ে পার পাইত। (২-১ টা ক্লাসে কিছু শিক্ষক সাহসী হয়ে প্রজেক্ট করতে দিয়েছিলেন, সেগুলাতে যা একটু কিছু শিখতে পেরেছি) পুরোটাই একটা প্রহসন। অথচ এর নামে থিওরীর ৩ ক্রেডিটের উপরি আরো ১,৫ ক্রেডিট দেয়া হয় আমাদের।
বিদেশে এবং দেশেও অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে থিওরী ও প্র্যাক্টিক্যাল একটি কোর্সের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত এবং সব মিলিয়ে ৩ ক্রেডিট, যে শিক্ষক থিওরী পড়ান তিনি ছাত্রদের জ্ঞানের বহরের অবস্থা জেনে বুঝে প্রজেক্ট করতে দেন। ফলে কোর্সের মোট নম্বর আরও ভাগ বন্টন করে দেয়া যায়। একজন ছাত্রর গ্রেড তোলার সুযোগ ও বাড়ে।
কিন্তু ভোট হইলে বুয়েটের ছাত্র-শিক্ষক দুই দলই এর বিপক্ষে যাবে, তাহলে উভয়-পক্ষেরই দৌড়ের উপর থাকতে হবে, পায়ের উপর পা তুলে মেরে জ্ঞানী ভাব নেয়ার চান্স নাই। আর কে না জানে, বাঙ্গালী অলস এবং ভাবুক জাত?
এখন বরং বুয়েটের চে' প্রাইভেট এর ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম গুলা বেশি ভাল, কারন একই শিক্ষক পড়াচ্ছেন, সিস্টেম এর গিয়াঞ্জাম কম, পয়সা দিয়ে পড়ছে বলে জবাব্দিহিতার একটা সু্যোগ আছে। একজন ভালো মনোযোগী ছাত্র বরং প্রাইভেটে পড়লেই আজকাল বেশি উপকৃত হবে। (বড় দুঃখে কথাখান বললাম)
-শিশিরকণা-
পুরো বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হবে, মনে হচ্ছে। পুরো আলোচনা যেন অর্থহীন সময় ক্ষেপণ না হয়। অনেকে অনেক সময় ব্যয় করে মতামত দিচ্ছেন। বিষয়টাতে সবার একমত হওয়া পারতই অসম্ভব। বিভিন্ন জন বিভিন্ন মতামত দেবেন। ক্ষেত্রবিশেষে পুরোপুরি বিপরীত। তারপরও আশা করব, ব্লগের কর্তাব্যক্তিরা সকল মতামত সংগ্রহ করে বুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করবেন। তাই যদি না পারেন, তাহলে এত গেজানোর দরকার কি? হয়ত বলবেন, বুয়েট আপনাদের কথা কেন শুনবেন? আসলেই তো! কিন্তু, "Nobody gonna listen to you, unless you make your voice heard".
ছাত্ররা কি কখনো বুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের অবস্থান শুনতে চেয়েছে? ছাত্ররা বিভিন্ন প্রোগ্রাম করে: বর্ষপূর্তি, র্যাগ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক, নাটক, ইত্যাদি। ওরকম একটা প্রোগ্রাম করে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাক, তারা এই সমস্যাটাকে কিভাবে দেখেন? তাদের পরিকল্পনা কী? একটা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হউক। প্রয়োজনে, অডিটরিয়ামে।
মজার ব্যাপার হল, ছাত্ররা যারা হয়ত পরীক্ষা পেছানোর জন্য কাঠখড় পোড়াচ্ছিল দুই মাস আগে, তারাই আর বিষয়টাকে সমস্যা বলে মনে করে না যখন বুয়েট নিয়মিত চলে। যেন কিছুই হয়নি। যারা নিয়মিত ছাত্র তারা কিছুদিন হ্যাপিত্যেশ করলো, পরে সব চুপ। সবাই ব্যস্ত তাদের পড়াশোনা নিয়ে। পরীক্ষার মৌসুমে এলেই এই জিনিস আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। কেউ হয়ত বলবেন, ছাত্ররা ডাকলেই কি কর্তৃপক্ষ আসবে? আসতে হবে, আসতে তারা বাধ্য। ছাত্ররা বিভিন্ন ক্ষুদ্র বিষয়েও আল্টিমেটাম দেয়, ভাংচুর করে একাকার করে। দরকার পড়লে, সে রকম কিছু করলো!
পরীক্ষা পেছানোর কারণ অনুসন্ধানে কেউ কেউ অহেতুক অন্য বিষয় টেনে নিয়ে আসেন। যেমন, একজন বলছেন কোর্সের সিলেবাস পরিবর্তন করতে হবে। কোর্সের সিলেবাসের সাথে পরীক্ষা পেছানোর সম্পর্ক কি? পরীক্ষা না পেছালে কি কোর্সের সিলেবাস পরিবর্তন করতে হত না? কোর্সের সিলেবাস পরিবর্তন তো একটা রুটিন কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি যাই থাকুক, এটাতো করতেই হবে। ছাত্ররা কোর্সের সিলেবাস পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করছে, এ রকমটা কখনও শুনিনি।
পরীক্ষা পেছানো একটা পর্যায়ক্রমিক (রিকারেন্ট) ঘটনা, মোটামুটি প্রতিবছরেই হচ্ছে। এর পেছনে হাজার কারণ থাকতে পারে না। দুই/তিনটা কারণই মূল। সে কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। সব পক্ষকে দায় স্বীকার করে নিতে হবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
একজন অ্যালামনাই হিসাবে বুয়েটের এই ঘটনাগুলো আমাকেও ব্যথিত করে। সবকিছু ভালো, অথচ ছোট্ট একটা কারণে কত কথা! যত যাই বলি, বুয়েট আমাদের পরিচয়ের গর্বিত অংশ। এর সুনাম রক্ষার দায় আমরা কেউ এড়াতে পারি না।
- খোলা জানালা
এই ধরনের শিক্ষকদের নামে সরাসরি complain করা উচিত্ । কেউ রেকর্ড করে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিলেই হয়। এনারা নিজে পপুলার হবার জন্য বলেন, নাকি আসলেই মীন করেন, তা কর্তৃপক্ষ বের করবে।
আপনি "গুটিকয়েক ছাত্রদের" কথাটা ব্যবহার করেছেন, আবার ঢালাও ভাবে "শিক্ষকদের" কথাটা ব্যবহার করেছেন।
আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কিভাবে এই মনোভাব আপনি অনুধাবন করলেন। আরেকটু বিস্তারিত বললে হত।
কর্তৃপক্ষ আগের থেকে চিন্তা করে দিয়ে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছিলো। যদি না দিত তাহলে প্রতিটা ছুটি (শীত কালীন টা বাদ দিয়ে ) ছাত্ররা দাবি করে / মিছিল করে / অটো নিয়ে আদায় করত। শীত কালীন ছুটি টা পি এল এর extension দিয়ে কভার হত।
এটা আসলেই খুব দুঃখ জনক যে বুয়েটের ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক খুব দুর্বল। বিশেষত এই কারণে - যে বুয়েট এর ৮০% শিক্ষক এক কালে এর ছাত্র ছিলেন। এবং দুর্বল সম্পর্কের জন্যই একে অপরকে বোধয় প্রতিপক্ষ মনে করে। ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক জোরদার করতে হবে।
ঠিক কথা। এবং প্রাকটিকাল জীবনে এটা ভয়াবহ সমস্যা করে।
এটা করার একটা সমস্যা হচ্ছে যে এগুলির সরাসরি কোনও পরিমাপ নেই। তাই দুর্নীতি হবার একটু সুযোগ আছে। জিপিএয়ের একটা সুবিধা হল হটাত্ করে কে টিচার হবে সেটা নির্বাচন করা যায় না। মনে করেন কোনও বিভাগে এক শিক্ষক তার পোষ্য কে নিতে চান। উনি 2-3 বছর ধরে সব থিসিস স্টুডেন্ট দের পেপারে পোষ্য এর নাম দিয়ে দিলেন। শুধু সি জিআই পি এ তে এ ধরনের সম্ভাবনা কম।
সুপার লাইক ++++++++
আপনার কমেন্ট গুলি কিন্তু চরম হচ্ছে। আপনার ফ্যান হয়ে যাচ্ছি।
শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কী পন্থা অবলম্বন করা উচিৎ- এটা বলা আমার শোভা পায় না। কিন্তু আমছাত্র হিসেবে আমি এবং আমার বন্ধুদের একটা বড় অংশই একমত যে কোন কোন শিক্ষকের 'শেখানোর' ক্ষমতাটি প্রশ্নবিদ্ধ- ডিপার্টমেন্ট নির্বিশেষে। ফলে মাত্র কিছুদিন সেই নির্দিষ্ট কোর্সটির ক্লাস করবার পরে ছাত্ররা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।... এইটার সল্যুশন কী, বা আদৌ আছে কী না- এই নিয়ে আমি সন্দিহান...
_________________________________________
সেরিওজা
বুয়েটিয়ানের বাইরে একজন পর্যবেক্ষক পাঠক হিসেবে উপস্থিতিটা জানান দিলাম। কেননা আমি না হলেও ক'বছর পর আমার সন্তান তো বুয়েটের দিকে কৌতুহলি আঙুল তাক করতে পারে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
"কতিপয় জুনিয়রের দৃষ্টতামূলক আচরণের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে কাঙ্খিত প্রতিবাদ এবং অতপরঃ ক্যাম্পাস উত্তপ্তের ঘটনাকে কেন্দ্রকরে বুয়েট কর্তৃপক্ষের হল ভ্যাকেন্ট করা হয়।যে ধারনের ঘটনা বাংলাদেশের অন্যান্য পা্বলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে প্রতিদিনের অহরহ ঘটনা।অতপরঃ তদন্ত করার নামে যে কালেক্ষেপন করা হলো কোথায় সেই তদন্তের রিপোর্ট আর কোথায় সেই অবাঞ্চিতদের সাজা ? ক্যাম্পাসে তাদের উপস্থিতি দেখে মনে হয় একেকটা হীরো, বুক্ফুলায়ে ঘুরে বেরাচ্ছে । আহা.. কি এফিশিয়েন্ট বুয়েট কর্তৃপক্ষ !!"
এখন আসলে আশা হারিয়ে ফেলছি যে এই সেশন জট সমস্যার আদৌ কোন সমাধান হবে।আমরা সেই ধুকতে ধুকতে পাশ করব,যেমন আমাদের সিনিওর রা করে গেছেন।
বুয়েট কর্তৃপক্ষের আরো কঠোর হওয়া উচিত। একটা কথা মনে রাখতে হবে, আমরা বাংগাল, "শক্তের ভক্ত, নরমের যম"। এটা আমাদের মজ্জার মধ্যে আছে। ছাত্ররাও এর ব্যতিক্রম নয়। যে সব শিক্ষক, যদি তেমন কেউ থাকেন, পরীক্ষা পেছানোর জন্য ছাত্রদের বলবেন তাদের প্রতিও আইনানুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নিতে হতে হবে, প্রয়োজনে জরিমানা করতে হবে।
একটা কথা মনে পড়ছে। আমরা ছাত্র থাকাকালে একবার এক জনৈক ছাত্রনেতা (কোনো এক পশুর নামে নাম) এরকম এক পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে হলে রুমে রুমে গিয়ে গণসংযোগ করছেন। আমার রুমেও এসেছিলেন। উনার সবাইকে বোঝাচ্ছেন, "তোমরা যদি সবাই আসো, তবে আমরা আমাদের কাজে সফল হব"। ভাবসাব এমন যেন উনি বড় একটা কাজে ছাত্রদের ডাকছেন, মহৎ কোনো ডাক!!! একটা মানুষ কতোটা বিকারগ্রস্ত হলে, এরকম করতে পারে?
বুয়েট কর্তৃপক্ষ চাইলে কতোটা অনমনীয় হতে পারে, তার একটি উদাহরণ দিতে পারি। সাবেকুন নাহার সনি নামে এক ছাত্রী মারা গিয়েছিলো মোকাম্মেল হায়াত খান মুকি এবং তার প্রতিপক্ষ গ্রুপের ক্রসফায়ারে। বুয়েট কর্তৃপক্ষ কোনো মামলা করেনি এ নিয়ে। মামলা করানোর জন্যে বুয়েটের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করেছে, কর্তৃপক্ষ পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে তাদের গরুর মতো পিটিয়ে ক্যাম্পাস থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলো। কয়েকটা ছেলে একদফা মিছিল করলে এইরকম কড়া কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা পিছিয়ে দেয় কেন?
আরেকটা নিয়ম চালু করা যায়। কোনো গণ্ডগোলে হল ভ্যাকেট করা হলে পার্শ্ববর্তী শিক্ষক কোয়ার্টারও ভ্যাকেট করে দেয়া যেতে পারে। দুই রামছাগল হাতাহাতি করেছিলো বলে কিছুদিন আগে বুয়েট ৩৫ দিন বন্ধ ছিলো, হল ভ্যাকেট করে দেয়া হয়েছিলো। ঐ দুই রামছাগলের প্রতিবেশী হবার কারণে হলের অন্য ছাত্ররা যদি ভুক্তভোগী হয়, তাহলে শিক্ষকরাই বা কেন দায় এড়িয়ে যাবেন?
সনির ঘটনায় শেষমেষ কী হয়েছিল? অনির্দিষ্ট কালের জন্য বুয়েট বন্ধ। না হয়েছে বিচার, না হয়েছে কারো লাভ। মাঝখান থেকে হয়েছে ছাত্রদের ক্ষতি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ছাত্রীদের কথাই বা বাদ দিলেন কেন?
অন্য কোনও বিশ্ব বিদ্যালয় সাইন ডাই হলে তার শিক্ষক দের কুয়ার্টার খালি করা হয় না। তবে অন্য কোথাও দুই বা ততোধিক ছাগলের মারামারি হবা মাত্র সাইন ডাই করা হয় কিনা সেটা একটা valid প্রশ্ন।
বুয়েটের মত এরকম ঠুনকো কারণে হল ভ্যাকান্ট করলে বাংলাদেশের আর সব পাবলিক ভার্সিটির কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ত। উনাদের(স্যারদের) ঘর কস্মিনকালেও পোড়েনি, গরুও নিশ্চয় তারা নন, তারপরও সিঁদুরে মেঘ দেখলে তাদের এই ডরের হেতু বোধগম্য নয়। আর তাই তারা কলমের এক খোঁচায় সবাইকে হলছাড়া করেন , আমরা বাড়িতে গিয়ে নামগোত্রহীনের মত বাউন্ডুলে জীবনযাপন করতে থাকি, ওদিকে রামছাগলদ্বয় যথারীতি বহাল তবিয়তে থাকে।
অদ্রোহ।
হুদা প্যাচাল।
চমৎকার এবং কার্যকর হওয়ার মত সম্ভাবনাময় অনেক পরামর্শ আসছে এখানে ... ... তারপরেও এগুলোর কোনো মূল্য নাই। এই ব্যাপারে চিন্তা করার জন্য বুয়েটে নিশ্চয়ই একটা কমিটি আছে। তাদের কাজ তারা করুক। আর আমাদের এই সব পরামর্শ নিজেদের পান্ডিত্য জাহির বা সোশালাইজেশনের শান্তি ছাড়া কোনো কাজে লাগবে না ... ... কারণ ঐ সব কমিটিরা পাবলিক পরামর্শের প্রয়োজন বোধ করেন বলে মনে হয় না (হয়তো নিজেদের সবজান্তা ভাবেন, অথবা, সুপেরিয়রিটি কমপ্লেক্স, অথবা, লজ্জা পান)।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করি এবং সবচেয়ে জুনিয়র না জন্য বিভিন্ন বিষয়ের আঁচ সরাসরি গায়ে এসে লাগে। এ থেকে আমার অনুমান, এখানে পরীক্ষা না পেছানোর কারণ হল অর্থনৈতীক। এখানে শাঁখের করাত আছে। না পড়িয়ে যেন তেন করে কোর্স শেষ করলে এই খবর বাইরে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগবে না ... .. দীর্ঘমেয়াদে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেপুটেশনের পাশাপাশি আমার বেতন ইনক্রিমেন্ট ইত্যাদিতে প্রভাব ফেলবে। আবার চারমাসের কোর্স ফী নিয়ে এর চেয়ে বেশি সময় দিতে হলে পরবর্তী সময়ে বেতন আকাশ থেকে পড়বে না।
বুয়েটে এমন জরিমানা সিস্টেম চালু করতে হবে তা বলছি না ... ... কারণ সেটার পরামর্শক আমি নই। আর যারা পরামর্শক, তাঁদের পরামর্শে কাজ না হলে এর দায়বদ্ধতা (ওয়ারেন্টি/ক্ষতিপূরণ) দেয়ার কোনো সিস্টেম এদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নাই (বিভিন্ন নির্মাণ প্রজেক্টে এই ধরণের ধারা থাকে)।
শিক্ষক ইভালুয়েশন করার উদ্দেশ্যটা কী? এর ভিত্তিতে কি শিক্ষকদের প্রমোশনের/ইনক্রিমেন্টের (যাদের প্রমোশন দরকার নাই = প্রফেসর হয়ে গেছেন) কোনো পয়েন্ট যোগ-বিয়োগ হবে? নাকি, তাদের মানোন্নয়নের জন্য কাউন্সিলিং/ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হবে? আমি যেখানে পড়াই, সেখানে ইভালুয়েশনের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ডবল ইনক্রিমেন্টও হয়, আবার প্রমোশন ও অন্য সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্র সংকুচিত হয় ... .... কাজেই দায়বদ্ধতা (অ্যাকাউন্টিবিলিটি) আছে।
এছাড়া কোনো শিক্ষকের পড়া বুঝতে পারি না ... ইত্যাদি টাইপের সমষ্টিক রিপোর্ট পেলে সেই কোর্স থেকে ঐ শিক্ষককে সরিয়ে দেয়া হয় অহরহ।
কোনো ব্যাচের উপর নাখোশ হইলেই বাঁশ দেয়া যাবে কেন? আগের ব্যাচের তমুক ভাই/আপা এ প্লাস পাইলো অথচ এই ব্যাচের কেউ এ রেগুলার পাইলো না ... তাহলে এরা তো কম মেধাবী! --- এই ধরণের খারাপ একটা চল্ বুয়েটে প্রচলিত আছে। রিলেটিভ গ্রেডিং বিষয়টা আমাদের শিক্ষকগণও খুব একটা বোঝেন বলে মনে হয় না। অথচ, ঢা.বি.র অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পাশ করা আমার ছোট ভাই বললো যে এক কোর্সে ৫২ পেয়ে এ পেয়েছে আর আরেকটাতে ৭২ পেয়েও বি পেয়েছে .... ..... তাই, বুয়েট শ্রেষ্ঠ বলতে পারছি না; এলামনাই হিসেবে এটা আমার জন্য দূঃখজনক।
ব্যাচমেট যারা বুয়েটে শিক্ষকতা করেন, আর যারা জিপিএতে ০.০১ কম পেয়ে একটুর জন্য সেই সুযোগ পান নাই ... সকলকেই কম বেশি চিনি। যারা চাকুরি ছেড়ে চলে গেছে আর যারা রয়ে গেছে তাদের খবরও পাই। তাতে বুয়েটের ছাত্রদের কপালে যে খারাবি আছে সেটা তখনই ভবিষ্যতবানী করেছিলাম।
যাউগ্গা অযথা প্যাচাল না পাড়ি, অন্যের কাজে নাক না গলাই .... যদিও সেই কাজে তাদের সফলতা নাই (পরামর্শও তো চায় নাই)।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বুয়েটের টিচারের যতদিন দেবতার আসন থেকে নেমে মানুষের পর্যায়ে না পৌছাবেন, ততদিন বুয়েটের কোন আশা নাই।
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
প্রতমত: আমি বলতে চাই জীবনে সফলতার ক্ষেত্র কনসিসটেন্সিটা বড় ব্যাপার....আমি আমার স্কুল লাইফের অনেক বাঘা বাঘা ছাত্রকে হারিয়ে যেতে দেখেছি। সো লেখক যে আশঙ্কা করেছেন তার সাথে আমি একমত। বুয়েটের ছাত্রদের অহমিকা একটু বেশি।
প্রথমত: তাদের আমি লোভী বলবো.....অর্থলিপ্সু...
দ্বিতীয়ত: দেশ ত্যাগের মনোভাবটা ৪-২ তেই চলে আসে।
তৃতীয়ত: সমাজের অন্যান্য শ্রেণীর মানুষের সাথে কমুনিকেশন গ্যাপ প্রচন্ড।
চতুর্থত: তারা অলস।
যেহেতু বুয়েটের টিচাররা একসময় বুয়েটের ছাত্র ছিলেন, তাদের মাঝেও উপরের সমস্যা গুলি প্রকট।
টিচাররা বেশি মাত্রায় ভাবিষ্ট....ভালো পড়াতে খুব কমজনই জানেন। ইউনিভার্সিটির পড়াটাকে তারা ইন্টারেস্টিং করতে ব্যার্থ। চোথা বানিজ্যের জঘণ্য কালচার, আর টিচাররাও চোথার বাইরে নন। শিক্ষক-ছাত্র ইন্টারএকশন খুব কম।
সোজা কথায় বুয়েট নামের উপরই চলে। তবে কতদিন চলে এইটা দেখার বিষয়।
সম্ভবত......... আঙ্গুর ফল টক
নতুন মন্তব্য করুন