বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতি এবং করণীয়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৮/২০১০ - ৯:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অসংখ্য সমস্যার সম্মিলিত নাম বাংলাদেশ। উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে উল্লেখ করা হলেও কতটুকুইবা উন্নয়নশীল?

যে দেশ ঘুস দুর্নীতিতে প্রতি বছর বিশ্বে অর্জন করে সর্বোচ্চ স্থান। যে দেশে ভাসমান মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার বিশ শতাংশ, এবং ক্রমাগত বেড়েই চলেছে এই ভাসমান মানুষের সংখ্যা। যে দেশে পানি সমস্যার কারনে প্রতি বছর জান মালের হচ্ছে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি, এবং খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এর কোন স্থায়ী সমাধান। দৈনন্দিন দ্রব্য সামগ্রীর দাম ক্রমাগত বেড়েই চলেছে,যার নেই কোন সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা। সে দেশে নীতি নির্ধারকদের মুখের বুলি শুধু চপাবাজি আর মিথ্যে আস্ফালন ছাড়া আর কিছুই নয়।

আমরা 'ভাতে মাছে' বাঙ্গালী, কিন্তু এই মাছ যখন সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, তখন ঘোষিত হয় আমরা 'ডালে ভাতে' বাঙ্গালী। এই ডালও এখন সধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তাহলেকি এখন ঘোষিত হবে যে, আমরা 'নুনে ভাতে' বাঙ্গালী? লবনের দামও কিন্তু ক্রমাগত বাড়ছেই। এই লবনও যখন সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাবইরে চলে যাবে তখন একটাই পথ খোলা থাকবে, আর তা হচ্ছে 'পানি ভাতে' বাঙ্গালী, কিন্তু এখানেও সেই একই সমস্যা, পানি সংকট। এই বাংলাদেশ, যেখানে জীবন মানেই সংকট এবং সমস্যা, সেখানে জীবন যাত্রা কেমন দুর্বিষহ তা আর বর্ণনার অপেক্ষা রাখেনা। এখানে এই বাংলাদেশে ভাল কিছু আশা করা 'গুড়ে বালি' ছাড়া আর কিছুই নয়।

ধরা যাক বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কথাই। বাংলদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলতে গেলে বলতে হয়, বাংলাদেশর শিক্ষাব্যবস্থার এখনও তেমন কোন অগ্রগতিই সাধিত হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থা কি পদ্ধতিতে হতে পারে এবং হওয়া উচিত, নীতি নির্ধারকরা তাও এখন পর্যন্ত সঠিক ভাবে নির্ধারন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। যার শিকার হচ্ছে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষাগারে, সাধারণ ছাত্র ছাত্রী গিনিপিগ হিসাবে ব্যবহ্নত হচ্ছে। এই শিক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষাগারে পরীক্ষা নিরীক্ষায় সধারন ছাত্র ছাত্রীর জীবন অতিষ্ঠিত।'গ্রাম পুরে ছাই হয়ে যাক, তাতে কি, আমার গায়ে আগুনের উত্তাপ চাই'। এই হলো আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় নীতি নির্ধারকদের ভুমিকা। এত সবের পরেও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কাছুটা হলেও উন্নতির পথে এও কম কথা নয়, কিন্তু এখানেও সমস্যা। সেশন জট, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ইত্যাদি, কিন্তু কেন? এর উত্তর খোজলে একাধিক কারনের মধ্যে যে কারনটি বিশেষ ভাবে লক্ষ্যনীয়, তা হলো ছাত্র রাজনীতি।

বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতি মানেই লেজুর বৃত্তি। স্বর্থের আশায় একে অন্যের পা চাটা। ছাত্র রাজনীতি মনেই পিতার স্কন্ধে সন্তানের লাশ, অকালে তরতাজা প্রান ঝরে যাওয়া। ছাত্র রাজনীতি মানেই চর দখলের মত হল দখলের স্বসস্ত্র মহড়া। ছাত্র রাজনীতি মানেই রাজনৈতিক দলের শক্তি বৃদ্ধি করা।ছাত্র রাজনীতি মানেই ছাত্রীতে ছাত্রীতে চুলাচুলি, দিগম্বর করে অপমান করা। ছাত্র রাজনীতি মানেই ন্যায্য প্রতিবাদের ভাষা রোধ করে দেয়া আর যা ইচ্ছে তাই করা, বম ফাটানো, কথায় কথায় গাড়ী ভাঙ্গা, যাকে তাকে আক্রমন চালানো, লুটপাট, চাদাবাজী ইত্যাদি ইত্যাদি।

ছাত্র রাজনীতি নিয়ে অভিভাবক মহলে আতংকের শেষ নেই। কারণ ছাত্র রাজনীতির নামে কোন বাবাই দেখতে চাননা তার যুবক ছেলের লাশ কিংবা সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ। তাই অভিভাবক মহল ছাত্র রাজনীতি নামের লেজুর বৃত্তির রাজনীতি বন্ধের পক্ষেই অভিমত পোষন করেন। কিন্তু কোন কোন বুদ্ধিজীবী আবার ছাত্র রাজনীতি বন্ধের তীব্র সমালোচনাও করেন। যুক্তি দেখান ছাত্র রাজনীতি বহালের পক্ষে। কিন্তু তাদের এই যুক্তি কতটুকু গ্রহন যোগ্য তাও বিবেচ্য বিষয়।

প্রথমেই আসি, জীবনের জন্য রাজনীতি, নাকি রাজনীতির জন্য জীবন? যদি জীবনের জন্য রাজনীতি হয়, তাহলে রাজনীতির জন্য অকালে ঝরে যাবে কেন তর তাজা প্রান গুলি? যুক্তিবাদীরা কি জবাব দেবেন তার?

তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসাবে সকল ক্ষেত্রেই আমরা উন্নত বিশ্বের প্রায় সবকিছু অনুকরনের মাধ্যমে দারিদ্রতা থেকে উত্তরনের বা মুক্তির পথ খোঁজছি, এবং সেই সাথে সফলতার দ্বার প্রান্তে পৌছার আশা পোষন করছি। এমতাবস্থায় রাজনীতির ক্ষেত্রে আমরা কি তাদের অনুকরন করতে পারিনা? যুক্তিবাদীরা বলবেন কি, বাংলাদেশের মত এমন উল্লেখ যোগ্য ভাবে বিশ্বের আর কোন দেশে ছাত্র রাজনীতি নামে এমন লেজুর বৃত্তির রাজনীতি প্রচলিত আছে? বলতে গেলে কোন দেশেই নেই।

ছাত্র রাজনীতির পক্ষে যুক্তি দেখানো হচ্ছে যে,'ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা নয়, প্রয়োজন মূল রাজনীতির সংস্কার।'( রাশেদ খান মেনন, উপসম্পাদকীয় মুক্ত চিন্তার কলাম।'ভোরের কাগজ' ২২ অক্টোবর'৯৬ )। এখানে আমরা রাশেদ খান মেনন সাহেবের সাথে একমত হতে পারছি না।

ধরা যাক একজন মা সদ্য সন্তান প্রসবের পর সংক্রামক রোগে মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত হলেন। এখন তিনি তার সন্তানকে যদি বুকের দুধ পান করান তাহলে ঐ সন্তানও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হবে। এমতাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ হবে, সন্তানকে আপাতত মায়ের বুকের দুধ পান করানো থেকে বিরত থাকা, যতক্ষন না মা সর্ম্পূণ রুপে সুস্থ হয়ে উঠেন। তা না হলে জন্ম গ্রহনকারী ঐ শিশুটিও একই রোগে আক্রান্ত হয়ে নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে পারে।
কাজেই আমাদের দেশে যেখানে মূল রাজনীতিই আজ বিষাক্ত। স্বার্থপর, বেইমান, চাটুকার, চামচা, ক্ষমতালোভীদের বিষাক্ত নিশ্বাসে ভরপুর। সেখানে এই বাষাক্ত রাজনীতির সাথে জড়িত অংগ সংগঠন গুলো বিশেষ করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করেই মূল রাজনীতির সংস্কার করতে হবে। তা না হলে ঐ বিষাক্ত রাজনীতির বিষক্ত ছোয়ায় বা বিষ বায়ুতে অংগ সংগঠন গুলো বিশেষ করে ছাত্র রাজনীতি বিষাক্ত হয়ে অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। বর্তমান ছাত্র রাজনীতির প্রেক্ষাপটই এর প্রকৃষ্ট উদাহরন।

ছাত্র রাজনীতির পক্ষে যারা যুক্তি দেখাচ্ছেন, তারা আরো বলছেন - ছাত্র রাজনীতির কারনেই সম্ভব হয়েছিল ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীল নক্সা প্রতিরোধ করা। বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে সফলতা অর্জন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ। ১৯৯১ সালে স্বৈরাচার সরকারের উৎখাত ঘটানো, ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবে ঐ দিনগুলোর ছাত্র রাজনীতি দলীয় রাজনীতির বিষাক্ত ছোয়ায় বিষাক্ত ছিলনা। ঐ দিনগুলোতে ছাত্র রাজনীতি ছিল জাতীয় ছাত্র রাজনীতি। যা ছিল ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে জাতীয় এবং জীবন মরনের সাথে সর্ম্পকিত। যা ছিল বিবেকের ধ্বংশনের প্রতিক্রিয়া বা প্রতিফলন। আর তাই বর্তমানের দলীয় ছাত্র রাজনীতির চেয়ে অতীতের জাতীয় ছাত্র রাজনীতির ভুমিকা ছিল খুবই জুড়ালো এবং সফলতার উজ্জ্বল্যে ভাস্বর ও চিরস্মরনীয়।

বর্তমানে ছাত্র রাজনীতি মানেই হল দখল, টেন্ডার চিন্তাই, দলীয় সংঘাত, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি। কাজেই পবিত্র ছাত্র রাজনীতিকে দলীয় সংঘাতের বা ক্ষমতায় টিকে থাকার রাজনীতি দিয়ে আর কলংকিত করা যায় না।

কেউ কেউ আরো বলছেন, ছাত্রদের লেখা-পড়ার পাশাপশি রাজনীতিও তাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু আমরা বলব দলীয় রাজনীতির নামে বর্তমান ধারায় প্রচলিত ছাত্র রাজনীতি কখনও ছাত্রদের মৌলিক অধিকার হতে পারে না।

ছাত্রদের মৌলিক অধিকার রাজনীতি। এ ক্ষেত্রে অর্থাৎ এই ছাত্ররাজনীতির ক্ষেত্র হতে পারে, যেমন- লেখা পড়ার সঙ্গে জড়তি সকল কিছু সুষ্ঠু ও সঠিক ভাবে ছাত্র ছাত্রীদরে প্রাপ্য নশ্চিতি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অগ্রণী ভুমিকা পালন করা। জাতীয় ইস্যুতে, যেমন - সবার জন্য খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের সমস্যা দূরীকরণে সরকারকে সহযোগীতা প্রদানের মাধ্যমে সকল নাগরিকের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করা।

ছাত্র রাজনীতি হবে সুশৃংখল। যা হতে পারে তার লেখা পড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা সমধানের অন্যতম হাতিয়ার। ছাত্র রাজনীতি হবে জাতীর ক্রান্তি লগ্নে এক অনন্য সত্ত্বা যার কোন বিকল্প নাই। অতীতে জাতীর ক্রান্তি লগ্নে ছাত্র রাজনীতি ছিল উল্লেখ যোগ্য ভাবে প্রশংসনীয়। ছাত্র রাজনীতির সেই ঐতিহ্যগত সুনাম ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ ফিরে পেতে দলীয় রাজনীতি নামের ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

বর্তমান প্রজন্মকে সুস্থ ও সুন্দর শিক্ষার পরিবেশ উপহার দিতে হলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের কোন বিকল্প নাই।

অহিদ


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

লেখায় ব্যবহৃত আর্গুমেন্ট মানসম্মত মনে হয়নি। ১ তারা।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

যুক্তি খণ্ডনের জন্যও প্রথমত যেইটা লাগে সেইটা হইল মিনিমাম একটা যুক্তি। আমারও ১।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি যতটুকু আবেগ দিয়ে লিখেছেন তার চেয়ে আরো বেশি যুক্তি দিয়ে লিখলে ভাল হত।
শাওন জুবায়ের (shawonjubaer@gmail.com)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমিও ১ দিয়েছি। কেন দিলাম তা ব্যাখ্যা করছিঃ

১. মূল প্রসঙ্গে আসতে এত আশকথা-পাশকথা বলা হয়েছে যে পাঠক আর মনোঃসংযোগ ধরে রাখতে পারেন না।

২. ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দেবার জন্য নতুন কোনো যুক্তিতো দূরে থাক যৌক্তিক কোনো প্রস্তাবই দেখতে পাইনি।

৩. একটি সমস্যার সমাধানের জন্য সমস্যার মূলকে চিহ্নিত না করে বা সে চেষ্টা না করে মাথা কাটার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

১৮-এর উপরে যে কোনো নাগরিক রাজনীতি করার অধিকার রাখেন। সেক্ষেত্রে ১৮-এর উপরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর রাজনীতি করার অধিকার কিসের বলে বন্ধ করা হবে? বয়সের সীমা বাড়িয়ে নাকি রাজনীতি করার স্থান সঙ্কুচিত করে। এই সব কথা শুনলে আইয়ুব খানের "বুনিয়াদী গণতন্ত্রের" কথা মনে পড়ে যায়। আজকে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার কথা হচ্ছে, কাল শ্রমিক রাজনীতি বন্ধ করার কথা হবে, পরশু পেশাজীবিদের রাজনীতি বন্ধ হবে......



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ফাহিম এর ছবি

১৮-এর উপরে যে কোনো নাগরিক রাজনীতি করার অধিকার রাখেন। সেক্ষেত্রে ১৮-এর উপরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর রাজনীতি করার অধিকার কিসের বলে বন্ধ করা হবে?

সেইটা তো কেউ বন্ধ করতে বলছে না। ব্যক্তিগতভাবে যে কেউই রাজনীতি করুক, তা তে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়কে ভিত্তি করে রাজনীতি করতে হবে কেন? বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌদ্দটা বাজিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ দিলে আখেরে কার লাভ? ২% তথাকথিত রাজনীতিমনস্ক ছেলেমেয়ের জন্য বাকি ৯৮% কেন সাফারার হবে?

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১. বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস করবো, লেখাপড়া করবো অথচ তার সমস্যা, সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলবোনা, প্রয়োজনে আন্দোলন করবোনা; যাবতীয় রাজনীতি করবো কেবল পার্লামেন্ট গঠন নিয়ে - রাজনীতি মানে এই নাকি?

২. বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌদ্দটা বাজানোর কারণগুলোর একটা তালিকা করুন, সেখানে দেখুনতো আসলে রাজনীতি বলতে যা বোঝায় তার অবস্থান কোথায়?

৩. ৯৮% রাজনীতি-অন্যমনস্কদের sufferings-এর একটা দায় তাদের উপর পড়ে তাদের এই অন্যমনস্কতার জন্য। এই অন্যমনস্কতা, এই ভাবালুতা, এই নিষ্ক্রয়তা দিনে দিনে দুর্বৃত্তদের মাঠদখলের সুযোগ করে দিয়েছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।