তামিমের কাছে খোলা চিঠি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০৮/২০১০ - ২:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় তামিম

জানি না এই লেখা আপনার কাছে যাবে কিনা। তবুও লিখছি। বাংলাদেশ ক্রিকেট এর একজন ভক্ত হিসেবেই বলেন কিংবা দেশের নাগরিক হিসেবেই বলেন, আপনার বিগত দুই দিনের কার্যকলাপে অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে আপনাকে কিছু বলার তাগিদ অনুভব করেছি।

এই তো মাত্র ৪-৫ দিন আগে আপনি আমদেরকে গৌরবান্বিত করেছেন বছরের সেরা ১৫ টেষ্ট ক্রিকেটারের তালিকায় নিজের নাম ঊঠিয়ে। আসন্ন বিশ্বকাপেও আপনি আমাদের আশার প্রতীক। কিন্তু এ আপনি কি করলেন তামিম? আপনার চিকিৎসার জন্য জনগনের টাকায় আপনাকে অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর সিন্ধান্ত বিসিবি। আপনার উচিত ছিলো হাসিমুখে বিমানে উঠে সৃষ্টিকর্তার নাম নেয়া যাতে তিনি আপনাকে তাড়াতাড়ি সুস্হ করে মাঠে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু আপনি এই পথে হাটলেন না। আপনার মাথায় ঢুকে গিয়েছিলো আরাম আয়েশের আর সামাজিক স্ট্যাটাস এর ভাবনা।"আমি তামিম ইকবাল কিভাবে বিজনেস ক্লাস বাদ দিয়ে ইকোনমি ক্লাসে যাই? যেখানে মাশরাফি, সাকিবরা বিজনেস ক্লাসে যাওয়া আসা করে"

ভাই তামিম আপনাকে বেশিকিছু বলতে চাইনা। শুধু মাত্র কয়েকটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। দেশের আপমর জনগনের ঘামেভেজা টাকায় আপনাদের জন্য বিদেশী কোচ আনা হয়। পাচ তারা হোটেলে রাখা হয় বিদেশ সফর এর সময়। একটু ভেবে দেখুন আমদের দেশের দরিদ্র মানুষ গুলোর কথা যারা একবেলা খাবারের পর জানেনা আবার কখন খাবার জোটবে।তাই বলি, এই শ্রেনীবিভেদ ভুলে যান দয়া করে। একটু দেশপ্রেমিক হন। আর কতকাল নিজের কথা ভাববেন। এবার দেশের কথা ভাবুন। তাই দোয়া করি, "আবার আপনি মানুষ হন"।

ইতি

আপনার গুনমুগ্ধ ভক্ত

ইশতিয়াক


মন্তব্য

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

যদ্দুর জানি, তামিম আবার একমত হয়েছেন বোর্ডের সাথে।
তিনি নাকি জানতেন না যে দলের অধিনায়কদের জন্য একরকম নিয়ম আর বাকী সদস্যদের জন্য অন্যরকম নিয়ম।
আমি যে জায়গায় থাকি সে জায়গার নিয়ম কানুন সবার আগে জেনে নেয়াটাই হচ্ছে আমার প্রথম কাজ। এটাই নিয়ম।
সেখানে তামিম বললেন তিনি নাকি নিয়মটাই জানতেন না। এটা কি বিশ্বাসযোগ্য কোন কথা?
এখন বুঝতে পারছি ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ আউট হয়ে যাবার মুল কারন টা কোথায়।
তিনি স্রেফ নিজের জন্য খেলেন। টিমের জন্য না। তিনি টিমের কিছু জানেন না। টিম মেম্বার দের সাথে তার দুরত্বও নিশ্চই অনেক।
প্রিয় তামিম ইকবাল,
আপনাদের দিকে গোটা জাতি তাকিয়ে থাকে। কবে আমাদের টাইগারেরা হুংকার দিয়ে প্রতিপক্ষকে ছিন্নভিন্ন করে দেবে। আপনারা আমাদের এই আশাটা পূরন করতে না পারেন, কাছাকাছি তো যেতে পারেন। যাতে বলতে পারি আমাদের ছেলেরা কাউকে ছেড়ে কথা বলেনা। ভালো থাকবেন।
প্রিয় ইশতিয়াক, ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য।

ইশতিয়াক এর ছবি

এখন বুঝতে পারছি ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ আউট হয়ে যাবার মুল কারন টা কোথায়

একদম ঠিক বলেছেন।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

সিমি এর ছবি

সত্যি, তামিম ইকবালের ব্যবহারের খবরটা পড়ে খুব অবাক হয়েছিলাম আজকে সকালে। ভিসা ফর্ম ও নাকি ছিড়ে ফেলে দিয়েছিল। পারফর্মেন্স ভালো বলে এত অহংকার চলে এসেছে!!! সালমান রুশদির একটা কথা মনে পড়ে গেল- the moment of one's greatest triumph also contains the seeds of one's final downfall মন খারাপ আশা করি তামিমের সাথে এইরকম কিছু হবে না।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

চিরদিন কারো সমান নাহি যায়। তামিমের দিন ফুরিয়ে আসছে মনে হয়। অহংকার পতনের মূল।

অতিথি লেখক এর ছবি

ইশতিয়াক ভাইকে ধন্যবাদ। আমি গতকাল খবরটা পড়ার পর একটু ভাবছিলাম একটা ছোট্ট লেখা দাঁড় করানো যায় কি না তা নিয়ে। কিন্তু আপনি সুন্দরভাবে বিষয়টা তুলে এনেছেন।

প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে দেখলাম বেশ কিছু পাঠক তামিমের দাবীর প্রতি সহমত পোষন করেছেন। তামিমরা আসলে দেশের মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করে। তারা আমাদেরকে ব্লাকমেইল করে। সর্বপরী শৃঙ্খলা নষ্ট করতে চায়।

বাংলাদেশী যারা বিজনেস ক্লাসে যাতায়ত করে তাদের অধিকাংশই নিজের পয়সায় ট্রাভেল করেনা। হয় সরকারী আমলারা, নয়তো বিজনেস ডেলিগেটরা, কিছু কোটিপতির পোলাপান, নয়তো আমার মতো কিছু মফিজ যারা মাঝে মাঝে ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লায়ার স্কীমের কিছু মাইলেজ ভাঙিয়ে ইকোনোমি ক্লাসের টিকেট বদলিয়ে বিজনেস ক্লাসে বোর্ডিং নেয়। আর হাজার কোটি টাকার মালিকরা সবাই ফার্ষ্টক্লাসে ট্রাভেল করে। আজ তামিম বিজনেস ক্লাসের টিকেট চাইছে, দুদিন পরে যে শাহাদাত এটা চাইবে না কে জানে। এই ধরনের সুবিধাবাদী স্বভাব খুবই সংক্রামক।

তামিমকে শুধু একটা প্রশ্ন করিঃ নিজের পয়সায় কতবার বিজনেস ক্লাসে ট্রাভেল করেছেন?

রাতঃস্মরণীয়

সংসপ্তক এর ছবি

শেষ পর্যন্ত তামিম ও? হতাশ।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

উড়ণচন্ডী [অতিথি] এর ছবি

ক্রিকেট নিয়ে বিন্দু মাত্র ধারনা নাথাকা সরকারী দলের ২ জন সাংসদ গতবছর বোর্ডের টাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিলেন দল কে "উৎসাহ" দিতে। আমার প্রশ্ন, ঊনারা কি ইকনমি ক্লাসে ভ্রমন করেছিলেন? এইসব গন্ড-মূর্খরা কারনে অকারনে দেশের মানুষের টাকা দিয়ে বিদেশ ঘুরতে পারলে, কেন একজন বোর্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিজনেস ক্লাসের টিকেট পাবে না!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

গন্ডমূর্খরা দেশের টাকা নষ্ট করাও অপরাধ, নিয়ম না মেনে তামিম ইকবালের বিজনেস ক্লাসের গোয়ার্তুমিও অপরাধ। রহিম খুন করলো বলে করিম কেন খুন করতে পারবে না টাইপ যুক্তি চলে না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ইশতিয়াক এর ছবি

oকুকুর কামড়ালে আমরাও কি কুকুরকে কামড়াবো?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সুন্দর বনে বান্দর রাজা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

দুঃখজনক!

mef এর ছবি

হাটুর সার্জারীর দুই সপ্তাহ পর বিশ ঘন্টা ইকনমি ক্লাসে ছয় ফুট লম্বা মানুষ কেমন করে বসে থাকবে? মাশরাফির কথা ভাবছিলাম..যখন ও কাপ্টেন না

অতিথি লেখক এর ছবি

কমার্শিয়াল প্লেনের আসনবিন্যাসের কিছু নিয়মকানুন আছে। বৃদ্ধ, অসুস্থ ও শারিরীক প্রতিবন্ধীদের জন্যে আইলের সিটে অগ্রাধিকার থাকে। আর প্রতি কম্পার্টমেন্টের সামনের সারি বরাদ্দ থাকে ছোট্ট বাচ্চাসহ যাত্রীদের যাতে তারা বাচ্চার কট রামনে রাখতে পারে। তবে চেক ইন ক্লার্ককে সমস্যার কথা বললে সে সামনের সারিতে সিট দিতে পারে যদি এমন হয় যে পা ভাঁজ করায় সমস্যা।

রাতঃস্মরণীয়

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

পোলাপাইন ঝামেলা করলে রগড়ে দিতে হয়, এর ক্ষেত্রেও তাই করা উচিৎ।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অতিথি লেখক এর ছবি

উড়ণচন্ডী অতিথি লিখেছেন:
এইসব গন্ড-মূর্খরা কারনে অকারনে দেশের মানুষের টাকা দিয়ে বিদেশ ঘুরতে পারলে, কেন একজন বোর্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিজনেস ক্লাসের টিকেট পাবে না!

গন্ডমুর্খরা বিজনেস ক্লাসের টিকেট পায় কারন তাদের সাথে বোর্ডের কোনও চুক্তি নেই। আর তামিম পায়না কারন তার সাথে বোর্ডের চুক্তি আছে এবং যে চুক্তিতে তার বিজনেস ক্লাসের টিকেট পাওয়ার কথা নেই। তার এই দাবী কন্ট্রাকচুয়াল অবলিগেশনের আওতায় পড়েনা এবং তার আচরন ব্রীচ অব কন্ট্রাক্টের সামিল।

আমরা সবাই সেলিব্রিটিদের অনুকরণ করতে অভ্যস্ত। বছর ত্রিশেক আগে আমাদের ছোটবেলায় খুলনা ষ্টেডিয়ামে একবার সেইসময়কার অন্যতম দেশসেরা স্ট্রাইকার বর্তমান বিজিএমইএ সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী আবাহনী সমর্থকদের গ্যালারির সামনে এসে নিজের নুনু প্রদর্শণ করেছিলেন। তারপর থেকে অনেকদিন আবাহনী ও মুসলিম (বর্তমান মোহামেডান) সমর্থকরা পরষ্পরকে নুনু দেখাতো।

জীবনে শালিনতাবোধ, পরিমিতিবোধ, শৃঙ্খলা, এগুলো খুবই প্রয়োজন। খাজা কায়সার হামিদ মোজাদ্দেদী খেলোয়াড় জীবনের শেষদিকে কোনও নতুন এলাকায় গেলে শুরুতেই নিজের লাইসেন্সড পিস্তল দিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে নিজের আগমনের জানান দিতো। এতে মানুষ তাকে কখোনোই সভ্য ভাবতো না। তারপর অবশ্য খুব বেশিদিন তাকে আর খেলতে হয়নি আর গুলিও করতে হয়নি, খরচ বেঁচে গেছে।

রাতঃস্মরণীয়

উড়ণচন্ডী এর ছবি

আমার বক্তব্য তামিমের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য নয়, আমি শুধু বলতে চেয়েছি যে বোর্ডের উচিত খেলোয়াড়দের আরো অগ্রাধিকার দেওয়া। পেশাদার খেলোয়াড়রা দেশের সন্মানের জন্যে খেলেন, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই বোর্ড কর্মকর্তারা তাঁদের সাথে আচরন করেন দিনমজুরের মতন (আমি অবাক হয়ে পড়েছি, অনেকে দেশের শ্রমজীবি শ্রেণীর মানুষের সাথে তামিমের তুলনা করছেন)।

কেউ কেউ দলের পারফর্মেন্সের কথা বলে খোঁচা দিয়েছেন, যেটা একেবারেই অগ্রহনযোগ্য। এই পর্যায়ের খেলায় জয়-পরাজয় দিয়ে কারো সন্মান বিচার করা যায়না, অন্যথায় র‌্যাঙ্কিং-এ নীচের দিকের দল গুলোকে ছেঁড়া পোশাকে খেলতে হত। আর কমল সাহেবদের কী মজা! কখনো মাঠে নামতে হয়না, এসি'র বাতাসে আরাম করে ভিআইপি বক্সে বসে খেলা দেখেন, ইঞ্জুরির ভয় নাই, তার চেয়েও বড় কথা, তাঁদের নিজেদের পারফর্মেন্স নিয়ে চিন্তা করতে হয়না। রাজনীতিবিদ দের পারফর্মেন্স সদা-সর্বদা কন্সিস্ট্যান্ট।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ভাই, আপনি যদি পেশাদার বলতে পেশাদারই বুঝিয়ে থাকেন, তাহলে ক্রিকেটও একটা পেশা এবং অন্যান্য পেশার মতো অর্থোপার্জনই ক্রিকেট খেলার মূল উদ্দেশ্য। দেশের সম্মান ইত্যাদি শুধুমাত্র পার্শ্ব বিষয় এবং মূল ফোকাস নয়। আপনার মন্তব্যে আমিই বরং অবাক হচ্ছি, আপনি তামিমকে গাছে তুলতে গিয়ে শ্রমজীবী মানুষকে অপমান করছেন। পাটকলের শ্রমিকও শ্রম বেঁচে, তামিম ইকবাল ক্রিকেটের মাঠে শ্রম বেঁচে আর বলাইও গবেষণা কাজে শ্রমই বেঁচে। প্রত্যেকের শ্রমই গুরুত্বপূর্ণ, কারোটার চেয়ে অন্যের শ্রম ইন জেনারেল কম গুরুত্বপূর্ণ না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

উড়ণচন্ডী লিখেছেন:
আমার বক্তব্য তামিমের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য নয়, আমি শুধু বলতে চেয়েছি যে বোর্ডের উচিত খেলোয়াড়দের আরো অগ্রাধিকার দেওয়া।

এটা পলিসি লেভেলের ব্যাপার। তবে আমিও অখুশী হবো না যদি তামিমদের সূযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়। যদিও অর্থায়ন হবে আপনার-আমার ট্যাক্স থেকে।

উড়ণচন্ডী লিখেছেন:
পেশাদার খেলোয়াড়রা দেশের সন্মানের জন্যে খেলেন,

এখানে শক্ত দ্বিমত। পেশাদার খেলোয়াড়রা খেলে নিজের সন্মানের জন্যে। নিজের পারফরম্যান্স তুলে ধরা তাদের একমাত্র লক্ষ কারন এতে তার নিজের বাজারদরটা ভালো তাকে। জাতীয় দলের যদি কোনও উপকার হয়, তবে হোক। তা না হলে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের মতো ঐতিহাসিক সাফল্যগাথার স্মৃতিচারণিক দলের গেইল-ব্র্যাভো এরা বিশ্বের প্রথম সারির পেইড হতো না। নিউজিল্যান্ডের মতো ইনকনসিস্ট্যান্ট দলের ম্যাককালাম-ভেটৌরী-ওরাম এরাও হাই রেটেড হতো না।

উড়ণচন্ডী লিখেছেন:
আমি অবাক হয়ে পড়েছি, অনেকে দেশের শ্রমজীবি শ্রেণীর মানুষের সাথে তামিমের তুলনা করছেন)।

শ্রমজীবি বা দিনমজুরের সাথে তুলনা করা হলে তামিমকে অন্যায্যভাবে সন্মানিত করা হয়েছে। দিনমজুরদের কনসিস্ট্যান্সি থাকে কিন্তু বাংলাদেশ দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারের কনসিস্ট্যান্সি নেই।

উড়ণচন্ডী লিখেছেন:
আর কমল সাহেবদের কী মজা! কখনো মাঠে নামতে হয়না, এসি'র বাতাসে আরাম করে ভিআইপি বক্সে বসে খেলা দেখেন, ইঞ্জুরির ভয় নাই, তার চেয়েও বড় কথা, তাঁদের নিজেদের পারফর্মেন্স নিয়ে চিন্তা করতে হয়না। রাজনীতিবিদ দের পারফর্মেন্স সদা-সর্বদা কন্সিস্ট্যান্ট।

নীতিমালা কমল সাহেবদের মজা নিশ্চিত করে, কমল সাহেবদের দোষ দিয়ে কোনও লাভ নেই। নীতিতে যদি থাকতো কমলরা ইকনোমি ক্লাসে চড়বে, ওরা বাপ বাপ বলে ব্যাগ গুছিয়ে চেক ইন ডেস্কে লাইন দিতো।

আপনার অবগতির জন্যে বলি, কেনিয়ার টিকোলো, উডুম্বে, সুজি এরা কিন্তু ট্যালেন্টেড প্লেয়ার ছিলো। কিন্তু কেনিয়ানরা বড়জোর টিকোলোর নাম টা শুনেছে, কখনওই টিভিতে বা নিউজে ছবি দেখেনি। কেনিয়ান সরকার ক্রিকেটের পিছনে কোনও পয়সা দেয় না; কর্পোরেট সেক্টরও দেয়না। যদি কেনিয়ায় কিছু গুজরাটি ক্রিকেটপাগল না থাকতো, তবে কেনিয়া থেকে ক্রিকেট চীরতরে বিলুপ্ত হয়ে যেতো। কেনিয়ান জাতীয় দলের ম্যানেজার একদিন আমাকে বলছিলেন যে বছরে সবোর্চ্চ ২ মাস ছেলেরা জিমখানা মাঠে প্রাকটিস করতে পারে। সে তুলনায় আমাদের ছেলেরা তো মহাসৌভাগ্যবান।

কামনা করি তামিমদের মাঝে চেতনা জাগ্রত হোক।

রাতঃস্মরণীয়

দ্রোহী এর ছবি

যা না আমার খেলোয়াড়! পেঁদিয়ে পোঁদের খাল তুলে ফেলা উচিত।

বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলা মানে পয়সা নষ্ট।


কি মাঝি, ডরাইলা?

শ্রাবন্তি এর ছবি

বাঙ্গাল স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকেই এই 'মুই কি হনুরে' এটিচ্যুড প্রব্লেমটা লালন করে চলেছে।উত্তরসূরীরা অনুসারী সেই এটিচ্যুডের।থিতু হতে আরো কিছুটা সময় লাগবে, সে রাজনীতিবিদ হোক,আমলা হোক,ব্যবসায়ী হোক, হোক শিল্পী অথবা খেলোয়াড়।
সময়োচিত লেখা।

অতিথি লেখক এর ছবি

দ্রোহী লিখেছেন:
পেঁদিয়ে পোঁদের খাল তুলে ফেলা উচিত।

পেদিয়ে পোদের খাল তুলে ফেললে লাভ হবে না দ্রোহী ভাই। দুদিন পর ঘা শুকিয়ে যাবে আর পোদে নতুন খাল গজাবে আর আগের প্যাদানী খাওয়া খালের ইনটারনাল লেয়ার আরও প্যাদানি প্রুফ হয়ে যাবে।

এদের এতো হুমহাম জাতীয় দলের জার্সিটার বদৌলতে। জার্সিটা কিছুদিনের জন্যে খুলে নেন, দেখবেন খেলা কারে বলে। দেশের মধ্যে ৫০০০-১০,০০০ টাকার খ্যাপ খেলে চলতে হবে। আইসিএল রেবেলদের অবস্থা তো সবার জানা। কুমিল্লা, সিলেট, চিটাগং, খুলনায় খ্যাপ খেলে চলতে হচ্ছে। আর অসুস্থ হলে প্লেনের টিকেট তো দুরের কথা, মুফতে ভলভোর টিকেট দেয়ার মতো পাবলিকও খুজে পাবেন না। আর একাডেমিক শিক্ষা এই প্রজন্মের খেলোয়াড়দের অধিকাংশেরই কম যে অন্য সেক্টরে করে ধরে খাবে। টিভি সাক্ষাতকারে এদের ইংরেজি শুনতে তো ভালোই ফান পাই।

যাইহোক, তামিম বাংলাদেশকে অনেক দিয়েছে। আমরা চাই ও আরও দেবে। আমরা ওকে নিয়ে গৌরব করতে চাই। ক্রিকেট বোর্ডকে ব্লাকমেইল করা মানে দেশকে ব্লাকমেইল করা এই বোধটুকু তামিমের মধ্যে জাগ্রত হোক।

রাতঃস্মরণীয়

অতিথি লেখক এর ছবি

তামিম তো এ বিষয়টাতে দূঃখ প্রকাশ করেছে। এ বিষয় নিয়ে এতো টানাটানির দরকার আছে কি?

ফাহিম এর ছবি

এইখানে একটু ভিন্নভাবে জিনিষটা দেখার অবকাশ আছে। যদি পায়ের অস্ত্রোপচার হয়ে থাকে, তার দুই সপ্তাহ পর ইকোনমি ক্লাসের চিপা সিটে জার্নি করাটা আসলেই একটু কষ্টকর। এটাই যদি তামিমের যুক্তি হয়ে থাকে থাকে, তাহলে ঠিক আছে।

তবে এই বিষয়টা নিয়ে তার নখরামিটা, বিশেষ করে ভিসা ফর্ম ছিঁড়ে ফেলাটা খুবই দৃষ্টিকটু। আজকে বাংলাদেশ দলে তার চেয়ে ভালো পারফর্মার থাকলে দেখা যেত সে করতো, তবে এই কাজ করার সাহস সে পেত না, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

তার ইনজুরি হাতে, পায়ে সমস্যা ছিলো মাশরাফির। এখানে আসলে ইগো ইস্যু, মাশরাফি-সাকিব (ক্যাপ্টেন হিসেবে) বিজনেস ক্লাসে গেলে ইকোনমি তামিমের মান-সম্মান থাকবে না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফাহিম এর ছবি

তাইলে দ্রোহীদার মন্তব্য রিপিট!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এটার একটা শর্টকাট ভার্সন বের করা যায়। যেমন, ঐ@দ্রোহী#১৩ হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফাহিম এর ছবি

রুমভর্তি কলিগের সামনে খ্যাক কইরা হাইসা বিপদে পড়লাম!!!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

এম্নিতেই [অতিথি] এর ছবি

দেমাগ কত!! ফাইজলামির সীমা থাকা দরকার! এগুলা যখন কানাডার মত টিমের কাছে হেরে আসে, চাবকে পশ্চাৎদাশের ছাল চামড়া তুলে দেয়া উচিৎ।

পাঠক [অতিথি] এর ছবি

এইরকম নখরাদের কাওরানবাজারের ট্রাফিক পোস্টে উল্টা করে ঝুলিয়ে বিছুটি পাতা দিয়ে প্যাঁদানো উচিত। ২ দিন কয়টা রান করেই পশ্চাদ্দেশে চর্বি জমে গেছে, নিজেকে ব্র্যাডম্যান ভাবা শুরু করেছে (যদিও ঐ ভদ্রলোকের মনে হয় এত ভাব ছিল না, শুনেছিলাম তিনি নাকি অফিস করে খেলার মাঠে নামতেন)। কেউ হয়তো বলছেন এরা দেশের সম্মানের জন্য খেলে, কিন্তু দেশের বা খেলার দিকে এদের যে বিন্দুমাত্র কমিটমেন্ট নেই সেটা এদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং থেকে যেমন বোঝা যায়, এই ঘটনার পরে আরো বেশি করে বোঝা গেল। অপেক্ষায় আছি, এই ঘটনা নিয়ে আলু গোষ্ঠী আবার হৃদয়বিদারক কোন প্রতিবেদন করে কিনা, উটু তো আছেই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।