ঝুলবারান্দার পাশে প্রতিদিন একটি কাক
ভোরের আলো ফুটে উঠতে না উঠতেই গলা সাধে
বিচিত্র ভঙ্গিমায় ।
পালকের ভাঁজে ভাঁজে অসম্ভব আকাশের ডাক
কিম্বা ডাস্টবিনের উচ্ছিষ্টের মোহন সংবাদে
উপেক্ষার হিম হানে, নির্জলা নিঃস্পৃহতায় ।
মাঝে মাঝে একটি কি দু’টি ঘুঘুর ডাক
দুপুরের স্তব্ধতাকে ছিঁড়ে স্পন্দমান মেঘের ভেলায় ভাসে
আকাশের নীলে দৃষ্টি মেলে নির্বাক
সোনালী ডানার চিল হয় সে
নিষ্ফল চেস্টারা তার সীমাবদ্ধ উচ্চতায় পাক
খায়, বেদনা জাগায় ।
পড়ন্ত বিকেলের এক ফাঁকে হয়তো সে কিছুটা বৈষয়িক
খরকুটো নিয়ে কুশলী বাবুই
এক টুকরো স্থিতি বুনে আর
অস্থির দু’কদম হেঁটে, গ্রীবা প্রসারিত করে ভাবে তার
কতটুকু হলো যে সঠিক ।
দিনের প্রান্তিক মুহূর্তে বসে পড়ে ডিমে দিতে তা
হয়তো নিজের, হয়তো কোকিলের, দুজনেরই হয়তোবা ।
রাতভর সেই কাক মৃত্যুহীন স্বপ্নের ডানায় উড়ে
আশায় আশায়, দেখবে বংশের বিকাশ সন্তানে ও সুরে ।
রোমেল চৌধুরী
মন্তব্য
আমার তো ভালোই লাগলো। কোথায় যেন একটা বিষাদাচ্ছান্নতার সুর, কোথায় যেন একটা মায়াময়তা। সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে প্রকৃতির শাখাময়, রূপময় হাত ধরে।
বানান ভুল আমার বড্ড চোখে লাগে। এখন তো আর সম্ভব নয়, সচল হলে হয়তো...
ভালো থাকবেন।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
আপনার কাব্যময় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ! ভবিষ্যতে বানানের বিষয়টি খেয়াল রাখবো ।
"একটুখানি ভুলের তরে অনেক বিপদ ঘটে,
ভুল করেছে যারা সবাই ভুক্তভোগী বটে ।"
নতুন মন্তব্য করুন