তেনারা আমাকে মনে হয় ভালোমতো পেয়ে বসেছেন। অনেকদিন পরে ল্যাব ওয়ার্ক আবার শুরু করার প্ল্যান করছি। খুব মনোযোগ দিয়ে প্রটোকলগুলো দেখছি, সবাই ইতোমধ্যে ল্যাব ছেড়ে চলে গেছে। আমি অপেক্ষা করছি ইশনার জন্য কখন ও ইয়োগা থেকে ফিরবে আর আমাকে আমার ফ্ল্যাট পর্যন্ত লিফ্ট দেবে। কেউ নেই আশে পাশে। হঠাত শুনলাম কেমন যেন একটা শব্দ হচ্ছে, গা ছমছমে একটা ভাব, কেন যেন মনে হলো কেউ আমাকে নাম ধরে ডাকছে। ল্যাবের মেইন ডোরটা টাশ করে বন্ধ হয়ে গেল। আমি ভয় পাইনি, ভাবছি হচ্ছেটা কি। অনেক সময় রাত ১২-১টা পর্যন্ত কাজ করেছি, অন্যরাও করে এমন তো কোনোদিন হয়নি বা শুনিনি। তখনি বুঝতে পারলাম, কাজটা কে করছে। এই তেনাটা হচ্ছে আমার সুপারভাইজর, কাল তার সাথে এইসব নিয়ে গল্প করেছিলাম। ল্যাবের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে একা দেখে একটু মজা করার লোভটা সামলাতে পারলোনা। আমি চুপ করে বসে আছি, কিছু বলছিনা দেখে হো হো করে হেসে ফেললো। আমি তাকে জানালাম, এই সাউথ আমেরিকান গোস্টকে আমি চিনি :)। কিন্তু গাড়িতে বসে আমি সত্যি অনুভব করছিলাম কে যেন আমার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। ইশনাকে বলতেই ও হাসলো, আর জানতে চাইলো এতগুলো সাগর মহাসাগর পেড়িয়ে কিভাবে তেনারা এখানে আসলো। আমি জানি কিভাবে। কারন গতকাল রাতে আমি স্বপ্ন দেখেছি, রুকিকে।
কে এই রুকি? ওর পুরো নাম রোকাইয়া। আমার থেকে বছর পাচেক বড় ছিল। যার কথা আমি ধুগো দা'র গল্পে কমেন্ট করতে গিয়ে বলেছিলাম। আমাদের গ্রামের বাড়ির পুর্ব পাশে একটা ছাপড়া ঘর ছিল, সেখানে রুকিরা থাকতো ওর বাবা মা আর তিন ভাইবোন। ওদের ছোট উঠানে একটা তেলের ঘানি ছিল। ওর মা আরো কয়েকজনকে নিয়ে সেই ঘানিতে সরষে মাড়াই করে তেল বার করতো আর তার বিনিময়ে ধান পেতো। উঠানের আরেকপাশে, ওর বড় বোন ডেকিতে আমাদের বাড়ির ধান বানতো। সেই তুষ নিয়ে আমরা খেলা করতাম। রুকির কাজ ছিল আমাদের পিচ্চিদের সাথে সাথে থাকা আর আমরা যেন কোনোভাবেই পুকুর এবং কড়ই গাছের কাছে না যাই তা নিশ্চিত করা। সেই সাথে মা চাচীদের টুকটাক কাজ করে দেওয়া। ওর কাছেই শিখেছিলাম কিভাবে খলই এ (বাশের বেত দিয়ে বানানো এক ধরনের ছোট ছোট ছিদ্র ওয়ালা পাত্র) করে মাছ, শাক ধোয়া যায়। কাজটাকে ও এমনভাবে করতো সেটাকে আমার রীতিমতো শিল্প বলে মনে হতো :D। কিন্তু তার বাইরেও রুকি অনেক কাজ করতো। আমাদেরকে নিয়ে ছুটে যেত এক জংগল থেকে আরেক জংগলে, মনকাঠ্ঠল (এক ধরনের বুনো ফল, পেকে গেলে খয়েরী রং ধারন করে, খেতে খুব মিষ্টি) অথবা লটকন খোঁজার জন্য। কখনো বিশাল বড় গাব গাছ বেয়ে উঠে যেত আর আমরা গাছের নিচে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম পাকা গাবের জন্য। এছাড়াও রান্নাঘর থেকে তেল, নুন, চাল, মসলা চুরি করে ফাকা মাঠের মধ্যে পিকনিক করার বুদ্ধি আমরা ওর কাছ থেকেই পেতাম। কোনো কোনো সময় দাদার হুক্কাটা চুরি করে সবাই এক দুইটা করে সুখ টান দিতেও ভুলতাম না। আবার কোনো কোনো সময় চাচাজানের সিগারেটের প্যাকেট টা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, সেটা আমরা পেতাম রুকির কাছে। সবাই মিলে কি মজা, একটা একটা সিগারেট নিয়ে ফু দেওয়া। একমাত্র রুকি জানতো কিভাবে সিগারেটে টান মারা যায়। সবাইকে ও ট্রেনিং দিত। আমি ছিলাম সবচেয়ে আনাড়ী স্টুডেন্ট, শিখতে পারিনি এটা। মোটাকথা, আমাদের কাছে রুকি ছিল সুপারহিরো। আমাদের বড় হয়েও ওর হাইট ছিল আমাদের সমান, ওর কালো মুখে দুটো বড় বড় চোখ। ওর হাসি এখনো আমার চোখে ভাসে। অসম্ভব সাহসী ও শক্তি ছিল ওর মধ্যে। আমাদের পুকুরটা এক নিমিষে পাড় হতে পারতো, এটা ওর জন্য ডাল ভাতের মতো ব্যাপার ছিল। মাঝে মাঝে সাতার কাটতে গেলে আমাদের কাউকে কাউকে ইচ্ছা করে চুবানি দিত। প্রতিবাদ করলে বলতো "কান্দস কেন, তর কইলজাডা বড় করনের লাইগ্যা করি, তরে আমি মরতে দিয়ামনি? ডরাইসনা, আমি আছি না?"। হ্যা, ডরাইসনা, আমি আছি না-এই কথাটা আমাদের জন্য অনেক বড় ভরসার মতো ছিল। এখনো আমার কানে ভাসে এই কথাটা।
স্কুল ছুটিতে নানা বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের দুবোনের চলে সাতার ট্রেনিং। আরে ভাটি এলাকার মেয়ে সাতার না শিখলে হবে কেমনে। বিয়ে দিতে হয় যদি হাওর বিলের মাঝখানে কোনো এক গ্রামে, তাইলে তো সাতার জানা মাষ্ট। শহরে থাকার কারনে সাতার শেখা হয়নি বলে নানী হায় হায় করে উঠলো। তাই সেজ মামা ট্রেনার হয়ে এগিয়ে আসলো। এ যেন জীবন মরন ব্যাপার, না লায়েকদের লায়েক করা। এই রকম ট্রেনিং মনে হয় লাইফ এ কোনো দিন পাইনি। ভালই আয়ত্ব করলাম সাতার। একসাতারে পুকুর পাড় হতে পারিনা, কিন্তু শশুড় বাড়ী যাওয়ার সময় হাওরে পরে গেলে গেলে নাকি সাতার কেটে নৌকায় উঠতে পারবো-মামা সার্টিফিকেট দিলেন। দাদার বাড়িতে ফিরে গর্বে তো আমাদের পা মাঠিতে পড়ে না। কিন্তু রুকির কাছে এই সার্টিফিকেটের কোনো দাম নাই। সে নিজে টেস্ট না করে চুড়ান্ত সার্টিফিকেট দিবে না। আমার তো মেজাজ গরম। আত্মসম্মানে লাগলো খুব। ও বাজি ধরলো একসাতারে আমাদের পুকুর পাড় হতে হবে। আমাদের কম্পিটিটর রুকি শ আরো দুই কাজিন। আমি মার কথা ভাবে ভয় পেয়ে রাজি না হওয়ায় বললো "তর কইলজা যে ছুডু, এইডা তো আগেথ্থে জানি"। আর যায় কই, এমন বড় অপমান তো জীবনে কেউ কোনোদিন করে নাই। আমি একসেপ্ট করলাম চ্যালেন্জ, কিন্তু বুঝতে পারিনি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন তেনারা অথবা অশরীরী কেউ।
সাতার কাটছি প্রানপনে। শেষ হচ্ছে না পুকুরটা। আমি কিন্তু সবার শেষে ছিলাম না, আমার পেছনে ছিল আমার এক কাজিন। আমরা জানি রুকি অনেক জোরে সাতার কাটতে পারে। মাঝ পুকুরে গিয়ে হঠাত টের পেলাম আমার পা ধরে টানছে কেউ।কোনোভাবেই উঠতে পারছিনা, সাতার কাটতেও পারছি না। ভাবলাম এটা রুকির একটা কৌশল আমাকে বাজিতে হারানোর জন্য অথবা আমার কইলজা বড় করার কোনো টেকনিক। আশা করছিলাম সামনে এসে আমাকে বলবে "ডরাইসনা, আমি আছি না?" কেউ আসেনি বলতে। ভয় পেয়ে গেলাম। আমার আরেক কাজিন মাঝ পুকুরে খাবি খাচ্ছি দেখে ঝাপ দিয়ে পুকুরে নেমে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে গেল। পেট পুকুরের পানিতে ততক্ষনে ভরে আছে। এরকম ভয় আমি আর কোন দিন পাইনি। অনেক রাগ হলো রুকির উপর। চাচীদের এসে জানাতে তারাও অনেক রেগে গেলেন। আমাদের নিয়ে পুকুরে নামার কথা তো ছিল না। এর মধ্যে সব পিচ্চিরা কোন এক কারনে এক জোট হয়ে গেল আর বয়ান করা শুরু করলো রুকির সব নিষিদ্ধ কাহিনী-সিগারেট চুরি সহ অন্যান্য। আমার একটু খারাপ লাগছিল এই ভেবে বুদ্ধি রুকির হলেও কাজ তো সবাই মিলেই করেছি। কিন্তু অজানা এক অভিমানে ভরে ছিল মন, কিছু বলা হয়নি। এক চাচী বল্লেন, আমাকে নিয়ে রুকির মা'র কাছে অভিযোগ করে আসতে। আমরা ততক্ষনে ধরেই নিয়েছি, রুকি সাতরে পুকুর পাড় হয়ে পাকিয়েছে ভয়ে। পিচ্চিবাহিনী মিছিল করে হাজির হলো তেলের ঘানির পাশে। দেওয়া হলো বিচার, রুকির মা খুব বিজি, শোনার প্রয়োজন মনে করলেন না। খালি বল্লেন "বাইত আউক, দেখবাম নে"। পিচ্চিবাহিনীর কাছে এটা গ্রহনযোগ্য না হওয়ায় সবাই মিলে তুষ বর্ষন করলো রুকির মা আর বোনের দিকে। আমি তখনো কিছু বলতে পারলাম না।
সন্ধ্যা হলো, আমরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। একবার ঘুম ভেংগে রুকির মা এসে জানাচ্ছে, মেয়ে বাড়ি ফিরেনি। সবাই ভাবলো পাশের গ্রামে বোনের বাড়িতে ঠাই নিয়েছে বোধহয়। সকাল হওয়ার পরও না ফেরায় ওর বোনের বাড়িতে খবর নেয়া হলো। না ওখানেও নাই। সব খুজেও না পাওয়ায় জাল ফেলা হলো পুকুরে। অনেকে নামলেন পুকুরে। দুপুরের পরে ঠিক কড়ই গাছটার নিচে একটা ডুবানো নৌকার নিচে চাপা অবস্থায় পাওয়া গেল রুকির লাশ-আমার জীবনে প্রথম দেখা লাশ, কেমন যেন নীলচে হয়ে যাওয়া। ভেতরটা কেমন যেন করে উঠেছিল তখন।
এরপর সেই লাশ আমাদের কাউকে দেখতে দেওয়া হয়নি। শুনেছি, গালের কাছে বিশাল পাচ আংগুলের ছাপ ছিল, মুখটা একটু বেকে গিয়েছিল। নৌকার নিচে চাপা পরে থাকার কারনে লাশটা ভেসেও উঠতে পারেনি। কিভাবে ও নৌকার নিচে গেল সেটা নিয়েও অনেক কথা। কেউ কেউ বল্লো, টাখরিরা (অশরীরী পিশাচ টাইপের কিছু) ওকে টেনে নিয়ে গিয়ে ওখানে পুতে রেখেছে, কেউ বল্লো, এটা কড়ই গাছের তেনাদের কাজ। আমরা কেউ এখনো জানিনা, রুকি কেন আর ফিরে আসেনি। আমি এখনো মাঝে মাঝে ওকে স্বপ্নে দেখি, আমাকে বলছে "ডরাইসনা, আমি আছি না?"
মন্তব্য
রুকির ডুবে মরার ঘটনাটা নিয়ে চিন্তা না করলেই ভাল করবেন। ট্রমা খুব একটা ভাল জিনিস না।
কি মাঝি, ডরাইলা?
ডুবে মরাটা নিয়ে চিন্তা করতে হয়না, এটা অবচেতন মনে এমনিতেই থেকে যায়। ধন্যবাদ।
আকাশনীলা
শেষ অংশে গা-টা কেমন শিউরে উঠলো, বিশ্বাস না করলেও...
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
এটা একটি সত্য ঘটনা।বিশ্বাস নাও করতে পারেন।
আকাশনীলা
গল্পটা যদি সত্য হয় তাহলে বোঝা যাচ্ছে সাঁতারে দক্ষ মেয়েটাকে খুন করা হয়েছে। হয়তো সে এমন কিছু দেখে ফেলেছিলো যা অন্য কেউ জানলে ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের অসুবিধা হতো। অথবা তাকে হয়তো ধর্ষন করে খুন করা হয়েছে। অথবা সহায়-সম্পত্তি সংক্রান্ত কোনো গোলমাল ছিল। অথবা পূর্ব-শত্রুতার (তার সাথে বা পরিবারের অন্য কারো সাথে) জের ধরে খুনটা করা হয়েছে। গ্রামে-গঞ্জে ঘটা এমন অনেক হত্যাকাণ্ডে মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হয়না। আব্ঝাপ্ গাল-গল্প বলে সত্যকে ধামাচাপা দেয়া হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সহমত।
কিন্তু আপনি এমন অবিশ্বাসী, যে এমন সুন্দর একটা গল্প, শুনলেই বোঝা যাচ্ছে তেনাদের কাজ, সেটাকে খুন বলে চালাতে চাইছেন? কে করেছিল, কিভাবে করেছিল ইত্যাদি বিস্তারিত তথ্য দিন শিগগির, প্রমাণ বা যুক্তি সহ, আপনার দাবিকে টিঁকিয়ে রাখতে গেলে... নইলে কিন্তু খবরই আছে কইলাম!
এটা আসলেই গবেষনার ব্যাপার।
আকাশনীলা
হে তেনাদের উকিল, তেনাদেরকে ছোট করার অপরাধে তেনারা কি আমার বিরূদ্ধে মানহানির মামলা করতে চাইছেন? সাহস থাকলে তাদের তাই করতে বলুন। শুধু কানে কানে একটা কথা জানিয়ে দেবেন আমি কিন্তু "তেনা প্যাঁচানী" খুব ভালো পারি। এমন প্যাঁচ দেবোনা যে তেনারা টেকার জন্য বাঁশঝাড়, তেঁতুল গাছ, শ্যাওড়া গাছ, বট গাছ, পাকুড় গাছ, তাল গাছ কিছুই পাবে না। শেষে ভুষণ্ডীর মাঠে গিয়ে নিজেদের মধ্যে সেই পুরনো ঝগড়াটাই করতে হবে কেবল।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হা হা হা... জব্বর বলেছেন। প্যাঁচখানা দেখার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে পড়ছি!
আকাশনীলা
যতটুকু জানি, এখন বুঝি, হয়তো এটা খুনের ঘটনা ছিলনা। আমার মতে কোনো কারনে পুকুরে ডুবে থাকা নৌকার নিচে চলে গিয়েছিল এবং সেখান থেকে ফিরে আসতে পারেনি। আসলেই জানিনা, কি হয়েছিল। ধন্যবাদ।
আকাশনীলা
সত্যিই ব্যাপারটা কিভাবে ঘটে ছিলো কে জানে,
তবে পড়তে গিয়ে যে একটুও ভয় ভয় লাগেনি তাও নয়..
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এটা জীবন থেকে নেয়া গল্প, যা এখনো আমাকে নাড়া দেয়।
আকাশনীলা
শিউরে উঠেছিলাম মেয়েটার পরিণতির কথা ভেবে। দমবন্ধ করে হত্যা-করা, বা যেভাবেই মারা যাক, মৃত্যুযন্ত্রণাটার কথা ভাবছিলাম।
কল্পনাটাই বেশি ভয় পাওয়ায়, চোখের সামনে দেখলে হয়তো অন্যরকম লাগতো।
ডুবে সে যে মরে নি এবং তার মৃত্যু যে-লৌকিক এবং ষষ্ঠ পাণ্ডবের কথাটাই যে অনস্বীকার্য, তার প্রমাণ কিন্তু আপনি নিজের লেখাতেই দিয়ে রেখেছেন।
ইয়ে...চন্দ্রবিন্দুগুলো কি লাল গোলাপ কিনতে গেলো?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
খুব জানতে ইচ্ছ করে কি হয়েছিল, আসলেই কেউ জানেনা। খুন না অন্যকিছু। আমার কাছে এটা বিশাল এক রহস্য।
আকাশনীলা
নতুন মন্তব্য করুন