কালো বরফ ও আমার শৈশবচরিত

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৮/০৮/২০১০ - ১:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার জগতে তখন সাদাকালোর কোন ঠাঁই ছিলনা, পুরোটাই ছিল ভীষণ রকম রংদার। স্কুলের ঘন্টা বাজত ঢংঢং, একছুটে চলে যেতাম লালচে ইটের স্কুলমাঠে, বিকেলের ফিকে আলোয় দেখতে পেতাম যেন রংধনুর সাত রঙ। বাড়ি ফেরার সময় চারপাশটা আগাপাশতলা চেখে ফেলত আমার নবিশ চোখ; টুংটুং করে বেল বাজানো রিকশাওয়ালা, স্টেশনারি দোকানের ক্লিশে সাইনবোর্ড, অদূরের প্যারেড ময়দান কাঁপিয়ে বেড়ানো ছোকরার দল, সবকিছুই দেদারসে আনন্দ বিলিয়ে যেত, আমার মনে তখন অবারিত আনন্দের ফল্গুধারা। বিকেলটা যেন টুপ করে কেটে যেত, আমার কেবলই মনে হত হতচ্ছাড়াকে যদি আচ্ছাসে পাকড়াও করে ধরে রাখা যেত ,তবে বেশ হত। আমাদের কলোনির সামনে ছিল পুরনো ইটের স্তুপ, সেই ইটের স্তুপে চলত লুকোচুরি খেলা। একসময় হলুদরঙ আলোটা মিইয়ে আসত, মুয়াজ্জিনের জলদগম্ভীর আযান শোনা যেত একটু পরেই, আমরা দমে যেতাম ভীষণভাবে, খেলা এই সাঙ্গ হয়ে এল বলে। সেই থুত্থুড়ে পুরনো কলোনির বাতাসটাকে আমার বেকায়দা রকম গুমোট মনে হত, আঁধার জেঁকে বসার সাথে সাথে সেই ভাবটাও আরো প্রকট হত।

কালো বরফ পড়তে পড়তে এইসব কথাই ঘুরেফিরে আমার করোটিতে পাক খেতে লাগল। আমার বয়সও তখন পোকার মতই, তবে পোকার মত আঙ্গুল চোষার বাতিক বোধহয় ছিলনা। তবে পোকাকে আমি হিংসে করি, একটু বেশি রকমই। পোকার মত আমার কল্পনার পালের হাওয়া কি এত ফুলেফেঁপে উঠত। কী জানি? তবে যে অদ্ভূত ইন্দ্রজাল মাহমুদুল হক সৃষ্টি করেছেন উপন্যাসের শুরুতেই, সে ঘোর থেকে চট করে বের হওয়া খুবই মুশকিল।শুরুতেই তার নিরাসক্ত কথন-

তখন আমার অভ্যেস ছিল বুড়ো আঙ্গুল চোষার। কখনো পুকুর-ঘাটে, কখনো বারান্দার সিঁড়িতে, কখনো- বা জানালায় একা একা বসে কেবল আঙ্গুল চুষতাম। আঙ্গুলের নোনতা স্বাদ যে খুব ভাল লাগতো, ঠিক সে রকম কোন ব্যাপার নয়। তখন ভাললাগা বা মন্দলাগা এসবের কোন ঝক্কি ছিল না, যতোটুকু মনে পড়ে; পৃথিবী যে গোল, একথা শুনে কানমাথা রীতিমতো ঝাঁ ঝাঁ করতো। সে একটা গোলমেলে বিষম ব্যাপার। ভাবতাম আমরা তাহলে কোথায় আছি, কমলালেবুর তলার দিকে না ওপরের দিকে; তলার দিকের মানুষজনের তো টুপটাপ ঝরে পড়ার কথা।

এইভাবে মাহমুদুল হক ভোজবাজির যে রমরমা পসরা সাজিয়ে বসেন, আমার সাধ্য কী এই কুহকের জাল ভেদ করা? আমিও মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়ে যেতে থাকি। মাঝে মাঝে আবছা আবছা মনে পড়ে, এরকম বিটকেলে ভাবনায় আমিও সময় সময় বুঁদ হয়ে থাকতাম। মা বলতেন, আমি নাকি প্রায়ই নানা প্রশ্নবাণে সবাইকে জেরবার করে ফেলতাম, জবাব না দেওয়া অবধি এসব উটকো সওয়াল থেকে রেহাই পাওয়ার সাধ্য নাকি কারও ছিলনা। কালো বরফ মন্থনকালে কত কথাই যে মনে আসে!এমন ভয়ঙ্কর সুন্দরভাবে কেউ কি লিখতে পারে-

হু হু বাতাসের গায়ে নকশা-তোলা ফুলের মতো অবিরল আকুলতা,পোকার বুকের ভেতরের ফাঁকা দালানকোঠা গুম গুম করে বাজে, পোকা তুই মর, পোকা তুই মর!

যা কিছু নিঃশব্দ, যা কিছু শব্দময়, যা কিছু দৃশ্যগোচর, দৃশ্যাতীত, সবকিছুই একজোট হয়ে হাত ধরাধরি করে ঘিরে ধরে; অদ্ভুত এক আব্জনার তালে তালে আস্ত একটি রাত মোমের মত গলে পড়ে, জিনজার-হিনজার জিঞ্জার-গিনজার, জিনজার-হিনজার পোকা শুনে, শুনতে পায়। পোকা পোকা হয়ে যায়।

তবে অচিরেই ভাবালুতায় চুর হয়ে আমাকে এক লহমায় মাটিতে নামিয়ে আনেন লেখক, আবদুল খালেককে সাক্ষী রেখে দাঁড় করিয়ে দেন বাস্তবতার কর্কশ জমিনে। বৈষয়িকতার সাথে ক্রমাগত যুঝতে থাকা খালেককে আশেপাশের মানুষগুলোর সাথে মেলাতে যায়, শৈশবে ফিরে যেতে খাবি খেতে হয়না আমাকে। এদিকে উপন্যাস এগোতে থাকে তরতর করে, আর আবদুল খালেক ওরফে পোকার দ্বৈত বয়ান আমাকে ধন্দে ফেলে দেয়। দুজনকে মেলাতে পারি তখন, যখন শৈশবের গিরিবালার ঝুপ করে নেমে আসে আবদুল খালেকের ভাষ্যে-

"বাইরে আকাশ বলে একটা কিছু আছে, তা জান তো ! সেখানে একটা চাঁদ আছে, গোল চাঁদ। ঐ চাঁদের ভেতর হাঁটুমুড়ে কতোকাল বসে আছে। চরকায় সুতো কাটছে বসে বসে। "

পোকা ও আবদুল খালেকের এই আজব যুগলবন্দি চলতে থাকে মেলাক্ষণ। বাবা ,মা ,মনি ভাইজান, টিপু ভাইজান, রানিবুবু,পুঁটি, কেনারাম কাকা, ছবিদিরা পোকাকে অহর্নিশ সুখস্বপ্ন দেখিয়ে যায়, তার ছোট্ট জগতে তারা একেকজন অধীশ্বর হয়ে ওঠে, নিজেদের অজান্তেই। ওদিকে আবদুল খালেকও কী প[আরে নিজের ভাবালুতাকে বেনোজলে ভাসিয়ে দিতে? স্ত্রী, শিশুসন্তান নিয়ে তার ছোট্ট সংসার, তারপরও নগ্ন বৈষয়িকতার রক্তচক্ষুর সামনে সন্ত্রস্ত থাকতে হয়। এতকিছুর পরেও তার ভেতরের পোকা মাঝেসাঝেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। স্ত্রীকে সে ভালোবাসে, কিন্তু সেই ভালবাসায় আটপৌরে সমস্যা সূঁচ হয়ে ঢোকে, আর ফাল হয়ে বেরুবার প্রাণপাত চেষ্টা করে। এই টানাপোড়েনে সে বিচলিত হয়, তার ভেতরটা পুড়ে খাক হতে থাকে, কিন্তু আর দশটা মানুষের মত সবদিক সামলে সুমলে চলার ব্যাপারে সে আনাড়িই থেকে যায়। রেখা ও আবদুল খালেকের এইসব ছোটখাট মান- অভিমানের ভেতর দিয়ে আবদুল খালেকের কল্পনাবিলাসী মন পাঠকের কাছে আরও গভীরভাবে ধরা দিতে থাকে এইভাবে-

রেখা আর টুকু, এই দুজনের জন্যে তার ভাবনা। নিজেকে সে বাদ দেয়; নিজেকে নিয়ে তার কোন সমস্যা নেই, কোনো না কোনোভাবে তার চলে যাবে।

এটাও একটা বাতুল চিন্তা, ফালতু ধারণা। আবদুল খালেক শুধরে নেয় নিজেকে, তার ভাবনা -চিন্তায় ওদের ভূমিকা যেন নিছক বোঝার। এর ভেতরে আচ্ছন্নভাবে তার একটা অহমিকা আছে, সে চালাচ্ছে ওদের। কে কাদের চালায়, আসলে তো যে যার নিজের জীবনকে নিজেই চালায়। চালানো মানে জিবনটাকে কোনমতে টেনে বেড়ানো। চেয়ে-চিন্তে, মেরে-কেটে, যেভাবেই হোক।

উপন্যাসের দ্বিতীয়াংশ শুরু হয় অনেকটা আচমকা, "আলো ছায়ায় যুগলবন্দি" শিরোনামে। রেখা ও খালেকের টানাপোড়েন এখানে অনেকটা থিতিয়ে পড়ে, তারা সহসা আবিষ্কার করে, তাদের সম্পর্কের গাঁথুনি পলকা নয় মোটেই। কিন্তু চমকে উঠতে হয়, যখন হঠাৎ পাঠক আবিষ্কার করে, দেশভাগের সময় পোকার ঘরছাড়ার সেই স্মৃতি আবদুল খালেককে আজতক ফেরারি হয়ে তাড়া করে, আর কোন এক আলটপকা মুহুর্তে ছাইচাপা আগুনের মত বেমক্কা জ্বলে ওঠে। পাঠক ধাক্কা খায়, যখন মনিভাইজান ছবিদির কাছ থেকে বিদায় নেয়। আর সেই যে সুর কেটে যায়, আর আবদুল খালেকের সারাটা জীবন বেসুরো হয়ে যায়; পোকা হয়ে সেই হারানো সুরের হদিস ঝুঁজে ফেরে সে,জনমভর।

অদ্রোহ।


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

লেখার প্রশংসা আগেও করেছি... চাঁটগাঁইয়া জেনে আরো ভাল্লাগলো!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

অদ্রোহ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চলুক

আমি এখনো পড়ি নাই...

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

পইড়া ফ্যাল, রোজার মাসে ভাল কাজের এরকম মওকা আর পাবিনে।

অদ্রোহ।

নুসায়ের এর ছবি

বছরখানেক আগে পড়সি।

অতীত আর বর্তমানের Transition টা বেশ চমৎকার। পুরো বইটাই চমৎকার। ঢাকায় বড় হলেও আমার শৈশবের অনেক কিছুই ঐরকম। পড়তে পড়তে নিজের ছেলেবেলায় হারায় গেলাম।

অমিতাভ চক্রবর্তীর "ছায়ারেখা" পড়ে প্রায় একই ধাচের Transition Effect পাইসিলাম। দুইটা বইয়েই কাছাকাছি সময়ের কথা বলা। কাহিনীও প্রায় একই ধরনের। কেবল ভিন্ন পারিপার্শ্বিকে।

অতিথি লেখক এর ছবি

মজার ব্যাপার কী জানেন, এই পুরো বইটা কিন্তু মাত্র দশদিনে লেখা। আমার মনে হয়,একটা প্রবল ঘোরের ভেতর থেকে তিনি বইটা লিখেছিলেন। যাই হোক, অমিতাভ চক্রবর্তীর বইটা পড়িনি,এবার পড়ে নেব খন।

অদ্রোহ।

কনফুসিয়াস এর ছবি

আপনার লেখাটা খুব ভাল লাগলো। কালো বরফ আমারও খুব প্রিয় বই। এই বইটা পড়ে আমিও ঘোরের মত করে একটা লেখা লিখে ফেলেছিলাম, আপনার এখানে পেস্ট করে দিলাম।
----------
মাহমুদুল হকের "কালো বরফ" পড়তে পড়তে, সম্ভবত, বার তিনেক আমাকে পাতা উল্টে প্রথম প্রকাশের তারিখটা দেখে নিতে হয়েছে। ১৯৯২ সালে বেরিয়েছিলো এই বই। ঠিক সতের বছর আগে। কিন্তু তারচেয়েও বড় ব্যাপার হলো, এটির রচনাকাল আরও পেছনে, অগাস্ট ১৯৭৭! তিরিশ কিংবা তারও বেশি বছর বাদে, আমার নিজের চেয়েও বেশি বয়েসী এই বইটা হাতে নিয়ে আমি অবাক হয়ে ভাবছি, মাহমুদুল হক কেমন করে এত বছর আগেই এরকম একটা চির-আধুনিক উপন্যাস লিখে গেলেন!

চারপাশের পাওয়া বইগুলোকে চিরকালই আমি উঁইপোকার চেয়েও বেশি যত্নে আর আদরে গিলে নিয়েছি। লেখক বা বইয়ের সংখ্যা হিসেব করলে সেটা অ-নে-ক ল-ম-বা একটা লিস্টি হয়ে দাঁড়াবে কোন সন্দেহ নেই। এবং, কে জানে, মনের গভীরে কোথাও এই নিয়ে হয়তো কোন আত্মতৃপ্তিও কাজ করে আমার মধ্যে। কিন্তু সেটি যে আসলে অনেকটা বোকার স্বর্গের মতই ব্যাপার, এটা টের পেলাম সম্প্রতি "প্রতিদিন একটি রুমাল" আর "কালো বরফ" পড়ার পরে।

লেখায় জাদু-টাদুর কথা শুনেছি অনেক। কালো বরফের প্রতিটা পাতায় আমি মনে হলো সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। উত্তম পুরুষে লেখা একটানা উপন্যাস। আবার ঠিক একটানা নয়। একটা জীবনেরই দুটি সময়ের কথা পরপর অথবা পাশাপাশি বলে যাওয়া, অবলীলায়। এরকমটা অবশ্য অনেক দেখেছি। এই মুহুর্তেই মনে পড়ছে দূরবীন এর কথা, শীর্ষেন্দুর, আমার খুবই পছন্দের একটা লেখা। কিন্তু সেখানে একটা আয়োজন ছিল। একটা মানুষের জীবনের গল্প ফুটিয়ে তুলবার জন্যে যে বিপুল বিস্তারের দরকার, যতখানি আড়ম্বরের দাবীদার সেটা, শীর্ষেন্দু সেসবে একেবারেই অকৃপণ। কালো বরফে তার একদম উল্টো। কোন আয়োজন নেই, যেন, আমি বলে যাচ্ছি, তুমি শুনলে শুনো না শুনলে নেই, এরকম একটা ড্যাম কেয়ার ভাব।

একটু আগে বলেছিলাম উত্তম পুরুষে লেখা, আসলে পুরোপুরি তা নয়। শৈশবের অংশটুকু উত্তম পুরুষে, কিন্তু সাথে সাথেই বড় হয়ে যাবার অংশটুকু লেখকের বয়ানে বলা। কিন্তু কোথাও বেসুরো লাগেনি। বেসুরো, এই শব্দ ব্যবহারের কারণ, প্রতিটা চমৎকার গল্প বা উপন্যাসই আমার কাছে খুব যত্ন নিয়ে গাওয়া গানের মত মনে হয়। ঠিক সুরে, তালে মিলিয়ে মিশিয়ে একটা চমৎকার সঙ্গীত। কালো বরফও তাই।

প্রচ্ছদ আকর্ষণীয় নয়, রঙের বাহুল্য চোখে লাগে। আমাদের এখনকার বইগুলোর মত ব্যাক কাভারে ছবিসুদ্ধ লেখক পরিচিতি নেই। কিন্তু বাইরের সৌন্দর্যের পুরো ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছে বইটার ভেতরকার সৌন্দর্যটুকু।

হক সাহেব শুনেছি ব্যক্তিজীবনে রত্ন বা পাথর নিয়ে কাজ করতেন। ওনার লেখা পড়ে আমার সন্দেহ হচ্ছে, উনি গোপনে গোপনে সাপুড়ে ছিলেন না তো? তা নইলে এরম অদ্ভুত সম্মোহনী শক্তির খোঁজ উনি কেমন করে পেলেন! লেখা পড়ে যাই, কিন্তু লেখা তো নয় যেন সাপের চোখে চোখ ফেলে বশ হয়ে গেছি!
তো পড়ে টড়ে, সবমিলিয়ে, নিজের প্রতি আমার গভীর অনুকম্পা হলো। এরকম দুর্দান্ত লেখা পড়তে আমার জীবনের সাতাশটা বছর খরচ করে ফেললাম, দুর!
আমায় দিয়ে আসলে কিসসু হবে না।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ লেখা কনফুদা।এখন, আমার মনে হচ্ছে ইশ, এমন করে যদি আমিও লিখতে পারতাম...মন খারাপ

অদ্রোহ।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

কালো বরফ আসলেই মাস্টারপিস।

আপনার ব্যাখ্যা ভালো।

কনফুসিয়াসের কথা ঠিক। কালো বরফ আয়োজন ছাড়াই এগিয়েছে।

--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভাশীষদা, মাহমুদুল হকের উপন্যাসগুলোর মধ্যে কালো বরফকেই কি সবচে এগিয়ে রাখবেন?

অদ্রোহ।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

না।

মাটির জাহাজ, জীবন আমার বোন, অনুর পাঠশালা- এই তিনটাও উল্লেখ করার মতো উপন্যাস।

--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অতিথি লেখক এর ছবি

মাটির জাহাজ পড়িনাই। জীবন আমার বোন আরেকটা ক্লাসিক। এটা পড়তে গিয়ে আমাকে চরম খাবি খেতে হয়েছিল। অনুর পাঠশালাও ভাল, তবে অসাধারণ...,কী জানি?

অদ্রোহ।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আমি দূর্বল পাঠক।
মাহমুদুল হক শুরু করে শেষ করতে পারি না।

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে, শিমুল ভাই, খানিকটা আদিখ্যেতা হয়ে গ্যাল না ? দেঁতো হাসি

অদ্রোহ।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

না রে ভাই---

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এই কথাটাই কয়েকদিন আগে সচল রাফি ভাইকে বলছিলাম... মাহমুদুল হককে দ্রুত ঠিক আহরণ করা সোজা কাজ না, নানারকম অদ্ভূত অকল্পনীয় উপমার কাজ অনেক বেশি তাঁর লেখায়, বড় কঠিন লাগে...

_________________________________________

সেরিওজা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মাহমুদুল হকের উপন্যাসগুলোর মধ্যে আমি সম্ভবত কালো বরফকেই বেশি এগিয়ে রাখবো। হয়তো তাঁর লেখা এটাই প্রথম পড়েছি বলে মুগ্ধতার জোয়ারটুকু এই বইতেই বেশি।
তবে মাহমুদুল হক সব উপন্যাসেই দুর্দান্ত। অসাধারণ।
লেখাটার জন্য ধন্যবাদ
ভালো হইছে অনেক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

সেটাই। কালো বরফ আমাকে স্রেফ বিহবল করে দিয়েছিল। কয়েকটি উপন্যাস এখনো খেলাপি হয়ে আছে,অচিরেই পড়বার আশা রাখি।

অদ্রোহ।

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

মাহমুদুল হকের প্রথম যে-বইটা পড়েছি তার নাম 'কুশল ও চিক্কোর মারণ কাবুক', শিশু একাডেমী থেকে প্রকাশিত। এর পর বড় হয়ে তাঁর 'প্রতিদিন একটি রুমাল' ও অন্য কিছু। এই মানুষটার নির্মেদ, গতিময়, ঘোর-লাগা গদ্য আমায় মুগ্ধ করে রাখতো। আপনার পাঠপ্রতিক্রিয়াও ভালো লাগলো। চট্টগ্রামে থাকনে কি? কোথায় বলুন তো?

সময়সুযোগ পেলে এই একাউন্টে একটা ইঠি পাঠাতে পারেন: bornil1912এটyahooএকবিন্দুকম।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

অতিথি লেখক এর ছবি

চট্টগ্রামেই আমার শেকড় গাঁথা, তবে এই মুহুর্তে জ্ঞানার্জনের ব্রতে ঢাকায় খাবি খাচ্ছি।অবশ্য এখন ছুটি, সামনের কদিন চাঁটগাতেই কাটবে :)। আপনিও কি চাঁটগাইয়া নাকি ?

অদ্রোহ।

তিথীডোর এর ছবি

যেচে একটা বুদ্ধি দেই, হাসি ঈদের ছুটিতে খোদ চাঁটগাঁতেই কিন্তু একটা ছোটখাট 'সচলাড্ডায়' বসতে পারেন!
সচল: নীড়সন্ধানী, তারেক, সুহান রিজওয়ান, পরিবর্তনশীল, নিবিড়, অতিথি লেখক: তানভী, মুক্ত বয়ান, সাবরিনা সুলতানা-- অনেকেই এ শহরের তো...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

হুম, চিন্তাটা ভালোই। কিন্তু, বেড়ালের গলায় ঘণ্টাটা বাঁধছে কে? আর, তাছাড়া ইদের ছুটিতে নানাজনের নানা পরিকল্পনা থেকেই যায়। যেমন এখন যেকোন ছুটিতে আমায় অবধারিতভাবে কষ্টদায়িত্বপালনের টানে ঢাকায় ছুটতেই হচ্ছে। এই ছোটাছুটি চলবে প্রায় মাসখানেক।

তবে, এটা ভাবা যায়, উচিত।

ইয়ে, আমার নামটা মনে হয় দেখলাম না??? নাকি, আমি এর যোগ্য নই?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

অতিথি লেখক এর ছবি

স্থবিরদা, আপনি আর আমিই তো বাতচিত করছিলাম, তাই আমাদের
নামদুটো উল্লেখের প্রয়োজন বোধ করেননি আর্কি হাসি

অদ্রোহ।

তিথীডোর এর ছবি

প্রস্তাবটা দু'জনকেই দেয়া, যৌথ প্রযোজনায়.. হাসি

ছুটিতে নিজস্ব প্ল্যান থাকবেই.. আমি নিজেও লম্বা সময় শহরের বাইরে থাকবো, তবে অন্যসময়ে সবাইকে একসঙ্গে জড়ো করার সুযোগ আরো কম!
সম্ভাব্য সচলাড্ডার জন্য শুভকামনা খাইছে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

উত্তম প্রস্তাব। এনাদের কয়েকজনকে আমি হাড়ে হাড়ে চিনি,অতএব আড্ডার এন্তেজাম করতে বেশি হ্যাপা হওয়ার কথা নয়। দেঁতো হাসি.

অদ্রোহ।

তিথীডোর এর ছবি

কালো বরফ একটা অ-তি অসাধারণ বই!
গত সপ্তাহেও একজনকে জোর করে গছিয়ে ছেড়েছি। এটা মিস করাও ক্রাইম!। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অদ্রোহ এর ছবি

এই লেখাটা আমার ‌অ্যকাউন্টে নাই, এই দুঃখ কই রাখি? মন খারাপ

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।