অনলাইন মিডিয়ায় মডারেশন একটা অনন্য সংযোজন। জানিনা কতদিন হলো অনলাইন নিউজ বা ব্লগে মডারেশন চালু হয়েছে তবে যতোদিনই হোক না কেনো, তা ভার্চুয়াল মিডিয়া বা ব্লগ সাইটগুলোতে পরিচ্ছন্ন আলোচনা-সমালোচনার সূযোগ দিয়েছে বলেই আমি মনে করি। মডারেটররা আমার দারনায় অনেকটা ছাঁকনির মতো। তারা দেখেন, বোঝেন এবং তারপরই একটা সিদ্ধান্তে আসেন যে লেখা বা মন্তব্যটা অনুমেমাদন পেতে পারে কি না। মডারেটর অমনো ...অনলাইন মিডিয়ায় মডারেশন একটা অনন্য সংযোজন। জানিনা কতদিন হলো অনলাইন নিউজ বা ব্লগে মডারেশন চালু হয়েছে তবে যতোদিনই হোক না কেনো, তা ভার্চুয়াল মিডিয়া বা ব্লগ সাইটগুলোতে পরিচ্ছন্ন আলোচনা-সমালোচনার সূযোগ দিয়েছে বলেই আমি মনে করি। মডারেটররা আমার দারনায় অনেকটা ছাঁকনির মতো। তারা দেখেন, বোঝেন এবং তারপরই একটা সিদ্ধান্তে আসেন যে লেখা বা মন্তব্যটা অনুমেমাদন পেতে পারে কি না। মডারেটর অমনোযোগি হলে কিন্তু সর্বনাশ। আমরা নিজস্ব চিন্তাধারনা দিয়ে পরিচালিত হয়ে মনে করতে পারি যে আমার ধারনাটাই সঠিক। কিন্তু মডারেটরের চিন্তাটা হতে হয় সার্বজনীন অন্যার্থে পক্ষপাতহীন ও দূরদর্শী।
তবে এটাও সত্যি যে মডারেটর তার নিজস্ব ধারনা দিয়ে চালিত হতে পারেন অথবা তার প্রতিষ্ঠানের কোর ভ্যালুজ (কোর মূল্যবোধ) দ্বারাও পরিচালিত হতে পারেন। ধরেন, আমি যদি বলি ‘গো এহেড রাজাকার্স’, আমার ধারণা সচলের কোনও মডারেটর সুস্থ মাথায় অন্ততঃ এই মন্তব্যটাকে অনুমোদন দেবেন না।
আমি বেশ কিছুদিন ধরে সচলে তালিবানের জন্মকথা ও ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো নাম দিয়ে একটা সিরিজ লিখছি যার ৫ম পর্ব পর্যন্ত পোষ্ট হয়েছে এবং শেষ পর্বটা দু’এক দিনের মধ্যে মডারেশনে দেবো। আমার ধারণা পৃথিবীতে সভ্যচিন্তাধারার কোনও মানুষ তালিবানকে সমর্থন করতে পারেনা। তবে পৃথিবীতে যেমন সভ্য মানুষ বাস করে তেমনই অসভ্য মানুষও পৃথিবীতে কম না। সম্ভবতঃ অসভ্যের সংখ্যাই বেশি।
আজ প্রথম আলো পড়তে গিয়ে থমকে গেলাম। তালিবানরা খোস্ত প্রদেশের আমেরিকান সেনাছাউনিতে হামলা চালিয়ে বেশ কিছু সেনাকে হত্যা করেছে। ন্যাটো এই হামলায় প্রাণহানির ঘটনা স্বীকার করেছে। আফগানিস্তানে আজপর্যন্ত যতগুলো যুদ্ধ হয়েছে তার সবগুলোই ঐতিহাসিকভাবে ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রমানিত হয়েছে এবং এর অধিকাংশের উৎপত্তি বৃটেন, আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের একপেশে স্বার্থসংশ্লিষ্ঠ। এই হামলাটা একটা খবর হিসেবে অবশ্যই প্রথম আলো ছাপবে, সন্দেহ নেই। কিন্তু যখন প্রথম আলোর একজন রেজিষ্টার্ড পাঠক তালিবানের এই উন্মাদনার সমর্থনে ‘গো এহেড’ মন্তব্য করলেন, এবং সেই মন্তব্য মডারেশন পার হয়ে পোষ্ট হলো, তখন কিন্তু প্রথম আলোর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন আসতে বাধ্য। আমি এই ছোট্ট কিন্তু সিরিয়াস বিষয়টাকে মডারেটরের ভূল বলে মানতে পারছিনা। প্রথম আলোর মডারেটর তার কর্তৃপক্ষের নীতিমালা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিচালিত, এটাই আমার যৌক্তিক বিবেচনা। স্ক্রীনশট দিলাম, তার নিচে খবরের লিংক দিলাম-
মন্তব্য
প্র-আলোয় নিউজের শেষে কমেন্ট পড়াটাও বিশাল এক বিনোদন হয়ে যায় মাঝে মাঝে।
আমিতো তেমন কোনও চিন্তাশীল মন্তব্য এখানে দেখিনা। কিছু থাকে সাদামাটা আর কিছু তাকে ভাঁড়ামো।
রাতঃস্মরণীয়
খাইছে আমারে!!! সিরিয়াস ব্যাপার!!!
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজ ভাই, ইনকিলাব হলে তেমন আশ্চর্য হতাম না কারন ওরা বাংলাদেশে মুজাহেদিন-ইজমের জনক। এখানে মডারেটরের ভুলেও যদি এটা হয়, তারপরও কিন্তু আমি সিরিয়াসলি নিচ্ছি। দেখা যাক এর পরে কি আসছে ............................ ।
রাতঃস্মরণীয়
যা কিছু ভালু,
তার সঙ্গে প্রথম আলু।
কিছু গালিগালাজ আসছে মুখে। কিবোর্ডে আসছেনা।
থাক দাদা কিবোর্ডে আনার দরকার নেই।
রাতঃস্মরণীয়
মুসা ইব্রাহিমের এভারেস্ট এর লেখায় একটা কমেন্ট দিয়েছিলাম যে "আপনি নামবেন কবে?" সেটা আর আলোর মুখ দেখে নাই।
মোসেস তো এভারেষ্টে একা উঠেছিলেন না, তিনি তার সাথে আলম-কেও তুলেছিলেন। এই আলম হচ্ছেন-
আ>আনিসুল হক,
ল>লতিফুর রহমান, ও
ম>মতিউর রহমান।
আমার এক ভাগ্নে আছে এফডিসির দূর্দান্ত ড্যান্স ডিরেক্টর, প্রথমে আজিজ রেজার সহকারী ডিরেক্টর ছিলো পরে নিজেই ডিরেক্টর হয়েছে, তা'ও অনেক বছর হয়ে গেলো। ওর আসল নাম আলম। ওর আলম নামটা নিয়ে একসময় এর কয়েকটা পোংটা বন্ধু খ্যাপাতো। সেই খ্যাপানোর ব্যাখ্যা দেবোনা কারন সচলে আলম নামে অনেক বন্ধু থাকতে পারেন যারা ব্যাথিত হবেন।
মোসেসের শর্ত ছিলো যে মোসেস নেমে আসবেন কিন্তু আলম এভারেষ্টের সুউচ্চ চুড়ায় চিরস্থায়ীভাবে রয়ে যাবেন। আলমকে ওখানে না বসিয়ে তো মোসেস নামতে পারেন না।
রাতঃস্মরণীয়
তাদেরই মানায় যারা সব কিছুতে প্রথমে থাকে এবং আলু দেখায়
ঠিক বলেছেন সুব্রতদা।
রাতঃস্মরণীয়
এই পোষ্টটাকে একটু বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে। পাঠকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। তার সে মত অন্যের পছন্দ না হলে তার কিছু করবার নেই। প্রথম আলো পাঠকের মতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছে। এটা নিয়ে এতো হৈ চৈ করার মতো কারন দেখছি না।
অপরের মতকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন প্লিজ।
আমার মত হচ্ছে, আপনি একটা ছাগল।
এটাকে এখন বসে বসে শ্রদ্ধা করুন।
তাহলে আমার মুসাকে নিয়ে করা কমেন্টকে শ্রদ্ধা দেখায় নাই কেন? জবাব চাই :@
অতিথি ভাই, শ্রদ্ধা পাননি, বেঁচে গেছেন। টাউট-বাটপার কাউকে শ্রদ্ধা করলে তার পিছনেও টাউটারি-বাটপারি ধান্ধা থাকে। এরা বাপের 'জিনিস' সাপরে দিয়ে খাওয়াতে পারে।
রাতঃস্মরণীয়
মাজহারুল ইসলাম (এফডিসি-তে গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলে এক ভদ্রলোক আছেন না?) কারে আগাইয়া যাইতে বললেন সেইটাই তো বুঝলাম না। আলু পেপারকে, রিপোর্টারকে, আম্রিকা বাহিনীকে নাকি মোল্লা ওমরের দান তালিবানকে!
আমার মনে হয় মাজ-হারুল ভাই মন্তব্য করতে গিয়ে মাঝ পথে খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাই পুরোটা লিখতে পারেন নাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এখন বুঝতার্ছি, একটি বিশেষ প্রত্রিকার পাঠকদের মতামতের প্রতি কেন ওনার এত শ্রদ্ধা!
-বুদ্ধু
ব্যাপার না। যা কিছু ভালু তার সাথে প্রথম আলু।
কি মাঝি, ডরাইলা?
তালেবানকে কেউ সমর্থন করে না এটা ঠিক, তবে আমেরিকাকে কিন্তু অনেকে ঘৃণা করে। আমার মনে হয় এখানে ওই ব্যক্তি আমেরিকার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে তালেবানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করছেন- "শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু"।
এইটা তো বরবাদ মজহারীয় ধরণের চিন্তা ভাবনা, আমি আম্বিলীগ পছন্দ করিনা তাই আম্বিলীগের শত্রু জামাত আমার দোস্ত।
...........................
Every Picture Tells a Story
আজকাল প্রায় সব পত্রিকার ই-ভার্সন আছে। ইপ্রথমালোতে চোখ বুলাই বলে এই ব্যাপারটা খেয়াল করিনি।
এধরনের মডারেটেড মন্তব্য আসলেই চিন্তার বিষয়।
মাফ-হুজুর তো এক মহান চিন্তাবিদ হে ... এইখানে তার আরেক মন্তব্য। নিচের মন্তব্যগুলাও দেইখেন। এক বি-রা-ট গরুছাগলের হাট ... কুরবানি আয়া পড়লনি?
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মনে হচ্ছে প্রথম আলো ইদানিং ইনকিলাব-সংগ্রামের পাঁকাগুলোকে রিক্রুট করছে।
ভাবতে অবাক লাগে যে কারা প্রথম আলো পড়ে। দেশকে ভূমিকম্প দিয়ে মিশিয়ে দেওয়ার কামনা যারা করতে পারে তারা আরও অনেক কিছুই পারে।
হায়রে প্রথম আলো, এই কমেন্টগুলোও পোষ্ট করা লাগে, পোষ্ট করে এইসব বেয়াদবগুলোকে আরও ভয়ংকর কমেন্ট করতে উৎসাহিত করা লাগে। 'আলম' চক্র ভালোই দেখাচ্ছে।
রাতঃস্মরণীয়
নতুন মন্তব্য করুন