আরিফিন সন্ধি
স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেন
প্রথম পর্বের পরে অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ করেছেন লেখাটির পরিমাণ এত কম কেন? সবার জন্য জানাচ্ছি আমার এই হাতদুটো এখনো বাংলা লিখতে (কম্পিউটারের কি বোর্ডে অতটা সচল হতে পারিনি)। তবে কথা দিচ্ছি, যতটা সম্ভব বড় করবো।
এখন কথা হলো এই কীট প্রতিরোধী জিএম পণ্যের দরকারটা শুরু হলো কখন থেকে। সত্তরের দশকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণা জরিপে দেখা গেছে, প্রতিবছর সারা বিশ্বে প্রায় ৫ লক্ষের মত লোক কীটনাশক বিষক্রিয়ায় শিকার হয়।যার মাঝে মৃত্যু ঘটে ৫ হাজার মানুষের, ভেবে দেখুন ফি বছর ৫ হাজার মানুষ একদম সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যাচ্ছে এই কীটনাশকের কারণে। একই সাথে মার্কিনিদের পরিবেশ প্রতিরোধ সংস্থা ( ইপিএ) জানায় তাদের দেশে কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রবিছর ১০ থেকে ২০ হাজার এই বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আফ্রিকায় এবং এশিয়ায় এই আক্রান্তের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি ।শুধাচ্ছেন কেন? সাধারণত দরিদ্র দেশগুলোতে কৃষিতে নারীদেরকে সরাসরি মাঠের কাজে লাগানোর পরিবর্তে এই ধরনের কীটনাশক প্রক্্িরয়াকরণের কাজগুলোতে যুক্ত করা হয়। কোন রকম প্রতিরক্ষামূলক পরিচ্ছেদ ছাড়াই তারা এই ভয়ংকর কাজটি করে থাকে পরিবারকে সহায়তা করার জন্য। শুধু নারীদের কথা বলছি না।বংলাদেশে গ্রামে গঞ্জে যারা বড় হয়েছেন তারা নিশ্চয়ই দেখেছেন কুষক বাবা যখন কীটনাশকগুলো মেশাতে থাকে, তখন তার শিশুরা বিপুল উৎসাহে সেটার দর্শক বনে যায়।ভাবখানা এমন যেন সার্কাস হচ্ছে। মাঝে মাঝে স্রেফ স্টুপিড হয়ে যাই ( এই কথাটি মনে হয় প্রবাসে থাকার জন্য আস্তে আস্তে আমার মাঝে চলে আসছে) এই কীটনাশক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুরো কেন মাঠ পর্যায়ে তাদের ভোক্তাদের এই বিষয়গুলোর ভয়াবহতা ভাল করে জানায়না। বাংলাদেশে এই বিষয়ে কোন জরিপ হয়না, কোন তথ্য ভান্ডার নেই, মানুষগুলো মওে যাচ্ছে শুধু উদাসীনতার জন্য। শধু মানুষ কেন এক বিশাল সংখ্যক পাখি স্রেফ হাপিস হয়ে যাচ্ছে এই কীটনাশকের কল্যাণে, এই সংখ্যাটি আমেরিকায় হচ্ছে ৭০ মিলিয়ন। গত পর্বে বলেছিলাম সূচনা লগ্নে মূলত তিনটি ফসলকে এই জিন পরিবর্তন করে তৈরী করা হয়েছিল ।মূলত সেই ব্যাকটেরিয়ার ( বিটি) আমিষকে আলাদা করে এই ফসলের জীনের মধ্যে ট্রান্সফার করে তৈরী করা হয়েছির প্রথম দিককার জিএম ফসলের জাতগুলোকে। মনে রাখবেন, দুটি কারনে এই জিএম ফসলের আগমনটা পৃথিবীতে আসাটা জরুরী হয়ে পরেছিল এক হচ্ছে হার্বিসাইড ( যেটাকে সোজা বাংলায় বলা চলে গুল্মনাশক) এবং কীট প্রতিরোধী ক্ষমতা ফসলের মধ্যে নিয়ে আসা।
হার্বিসাইড প্রতিরোধের কারণ হচ্ছে প্রতিবছর কৃষক যে পরিমাণ পানি,সার এবং উদ্ভিদেও পুষ্টি উপাদান ক্ষেতে দেয় তাতে অযাচিত অতিথির মতো এসে হানা দেয় ফসলের মাঠে লকলকিয়ে বেড়ে ওঠা আগাছা।আর প্রকৃতিগত কারণে মাঠের বুনো আগাছাগুলো ক্ষেতের ফসলের তুলনায় সহ্য করার ক্ষমতা বেশি তাকে।ক্ষেতের মাটিতে জোর যার মুল্লুক তার। সেখানে আধাআধি ভাগ করে খাওয়ার কোর প্রবনতা আগাছা কিংবা ফসলেল মধ্যে কারোর নেই। তা সহজ গণিত সমাধান ।কৃষক বিপুল পরিমাণ আগাছানাশক মাটিতে ঢেলে দিচ্ছে । সেই সাথে মরছে ক্ষেতের ফসলও। তাই জিএম ফসলের শুরু দিকে গ্লাইফসফেট এবং গ্লুফসিনেট- অ্যামোনিয়াম ভিত্তিক আগাছানাশক জিন ঢুকিয়ে দেয়া জিএম ফসলের জীনে।মরবে এবার শুধু আগাছা।শুধু আগাছা প্রতিরোধী জিএম ফসলগুলোকে বলা হত এইচটি (হার্বিসাইড টলারেন্স) জাত।
এবার আসি এই বিটি কাজ করে কিভাবে। জিএম ফসলের জীনে মূলত বিটি (ব্যাকটেরিয়া থেকে সংগ্রহীকৃত প্রোটিন) এক ধরনের ক্রিস্টাল হিসেবে পরাগরেণুর সাথে পতঙ্গের পেটের মধ্যে ঢুকে যায়। বিটির এই ক্রিস্টালগুলো পরিপাক তন্ত্রের মাঝে যেয়ে কিন্তু চুপটি করে বসে থাকেনা। ক্রিস্টালগুলোতে পিএইচ ( এসিড এবং বেস এর পরিমাপের স্কেল) অনেক বেশি থাকার কারণে এটি পরিপাকনালীতে ছিদ্র করে ফেলে। যার কারনে পোকার দেহে অভ্যন্তরীণ মারাত্বক ক্ষতি সাধিত হয়। আর কোন খাবার আর পোকার মুখে রোচে না। ঘন্টা দুয়েকের মাঝে খাবার খাওয়া বন্ধ হয়ে যায় আর মরে যেতে সময় লাগে ১-২ দিন। আপনারা যারা ছবিতে দেখছেন তারা দেখতে পারেন কিভাবে এটি পোকার দেহে আক্রমণ শুরু করে জানা গেছে ১৫০ ধরনের পোকা এই বিটি ক্রিস্টাল দিয়ে তাড়ানো সম্ভব।
বিটি কটনের কথা যখন আসলো তখন দেখা যাক বিটি কটনের আগে কেমন ছিল এই তুলার উৎপাদন। মূলত ১৯৯৬ সালের আগে আমেরিকাতে বিটি কটনের পরিবর্তে সাধারণ কটন চাষ করা হতো। এই সাধারণ তুলায় প্রতিবছর পোকার আক্রমণে শতকরা ৪ ভাগ উৎপাদন হ্রাস পেত যা কিনা ছিল এক বিলয়ন ডলারের চার ভাগ!! আর বিটি তুলার চাষ শুরুর পর ফসলের মাঠে উৎপাদন ব্যয় কমে গেছে ২৫ থেকে ৬৫ ডলার প্রতি একরে।মার্কিন মুল্লুক থেকে যদি চোখ ফেরাই আফ্রিকার দিকে। সেখানে তুলার প্রধান শত্রু ছিল আমেরিকান বোলওয়ামর্, রেড বোলওয়ামর্, এবং স্পাইনি বোলওয়ামর্, (খটমটো ল্যাটিন নাম দিচ্ছি না) কারোর প্রয়োজন পরলে আমাকে ইমেইল করতে পারেন নাম পাঠিয়ে দেবো। মাখাতিনি অঞ্চলে ( মেজাম্বিক এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সীমান্তেও কাছে অবস্থিত) এলাকাতে বিটি কটন চাষ করার ফলে সাধারণ তুলার তুলনায় উৎপাদন বেড়ে গেছে শতকরা ১৮ ভাগ ( ১৯৯৮/৯৯ সালে) এবং ৬০% ভাগ (১৯৯৯/২০০০ সালে)। যদিও বছর গুলো পরিসংখ্যানের ভাষায় ৫% পি ভ্যালুর লেভেল অব সিগনিফেকেন্স এ নন সিগনিফেকেন্স ছিল।
কিন্তু ু কিছুটা আশ্চর্যের ব্যাপার হলো চীন, আমেরিকা এবং আফ্রিকায় বিটি কটন নিয়ে কৃষক লাভের গুড় ঘরে তুললেও প্রতিবেশী দেশ ভারতের কৃষকদের জন্য বিটি কটন গলার ফাঁস হয়ে দাড়িয়েছে। তারা তো কোন লাভের মুখ দেখেনি।বরঞ্চ ফসল উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে আর ফলন গেছে কমে। ভারতের এই বিটি কটন সমস্যা নিয়ে সামনের কোন পর্বে কিছুটা গবেষনা সারসংক্ষেপ লিখবো
মন্তব্য
বিটি কটন নিয়ে আলোচনা করার সময় বন্দনা শিবার প্রসঙ্গ আনতে পারেন। বাংলাদেশের ফরহাদ মজহার তাঁর নয়াকৃষি নিয়ে আর ভারতের বন্দনা শিবা তাঁর নবধান্য নিয়ে আমাদের ইউনুস সাহেবের সোশ্যাল বিজনেসের তরিকায় এক ধরণের সোশ্যাল কর্পোরেট তৈরি করছেন যাঁর তথাকথিত মালিক বানানো হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে। আসলে তারা কামলা ছাড়া কিছুই না। বাংলাদেশে গণতন্ত্র যেমন অফ-বাই-ফর দা পিওপল অনেকটা সেই রকম। আসল মালিক মজহার শিবা কিন্তু উপরে দেখানো হচ্ছে মালিক গরীবগুর্বো কৃষক। মজহার আন্তর্জাতিক পাঠক খুব একটা পান নাই, শিবা সেখানে ব্যাপক লোকজনের নজরে পড়েছেন।
সুতরাং এঁদের ঠিক করে চেনানো প্রয়োজন।
----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ধন্যবাদ আপনাকে।রেফারেন্সের বিষয়টি আমি সবার আগে চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু কথা হলো আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য যেভাবে গবেষণা প্রবন্ধগুলো থেকে উপাত্ত দিচ্ছি, পাঠক কি তা সংগ্রহ করে পড়তে পারবেন? তবে আমি আগামী সংখ্যা থেকে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের লেখকের নাম এবং সাল সাথে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করে দেব।
আরেকটি কথা আমি আমার এই লেখাকে কাউকে ব্যক্তি আক্রমণ করার জন্য লেখছি না। কিছু জিনিস সম্পর্কে আমরা সবাই কিছুটা ধোঁয়াশার মধ্যে থাকি। যার মধ্যে জিএম ফসল একটি। শুধু আমাদেরে দেশের মানুষ নয়, ইউরোপের মানুষের মাঝেও এই জিএম ফসল অনেক নেতিবাচক ধারণা আছে। আমি চাচ্ছি কিছু বৈজ্ঞানিক ধারণাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে। যেহেতু ব্লগ একটি শক্তিশালী যোগাযোগ মাধ্যম , তাই এখানে সবার সাথে শেয়ার করছি।
ব্যক্তি আক্রমণ না করে ও প্রবন্ধ লেখা সম্ভব। আমি চাইছি বিটি কটন নিয়ে বন্দনা শিবার গবেষণার সাথে আপনার উল্লেখ করা ব্যাখ্যা মিলিয়ে নিতে। আপনি চাইলে নিজে এটা উল্লেখ করে কথা আগাতে পারেন। না হলে আমি বা অন্য কেউ সেখানে তথ্য যোগ করবো।
----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
পড়ছি। চলুক। পোষ্টের দৈর্ঘ্য এবার ঠিকাছে, চাইলে আরেকটু বড় ও করতে পারেন
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
তথ্যবহুল পোষ্ট। ফিগার তা একটি ব্যাখ্যা করলে ভালো হত। আচ্ছা সন্ধি ভাই, আপনি কি বিটিভি তে প্রোগ্রাম করতেন? নাম চেনা চেনা লাগছে।
আপনার স্মরণ শক্তির প্রশংসা না করে পারছি না।অসাধারণ। বিটিভিতে আমার শেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৮ বছর আগে।
আপনি শুধু নাম দেখে মনে রেখেছেন!! [i] যদিও আমার ধারণা ছিল দেশ ও বিজ্ঞান নামের সেই অনুষ্ঠানটি তেমন কোন গতানুগতিক বিনোদন অনুষ্ঠান না হওয়ায় দর্শক সংকটে ভুগতো।
ফিগার দেখে আমিই হতাশ। ছবিটি ঘোলাটে না হলে পরিষ্কার বোঝা যেত।কেমন আছেন আপনি?
না ভাই দর্শক সংকটে ভুগত না। রোজ সোমবার দেখতাম। কিন্তু আপনার ঊপরে খুব রাগ লাগত। সব প্রশ্ন এর উত্তর আপনিই দিয়ে দিতেন, কেউ আর চান্স পেতো না। আপনার বিশ শত বিশ এর ভবিষ্যৎ বানী শুনেও ভাবতাম লোকটা বড্ড বাজ়ে বকে। হা হা। খুব ভাল লাগছে আপনাকে এখানে দেখে। মনে হচ্ছে ছোট বেলায় ফিরে গেছি।
[ও আপনার গোলগাল চেহারাও মনে আসে কিন্তু।]
প্রিয় আরিফিন সন্ধি,
সচলায়তনে স্বাগতম।
সচলায়তনের রীতি হচ্ছে প্রথম পাতায় কোনো লেখকের একাধিক পোস্ট প্রকাশ না করা। আপনি সচলায়তনে নবাগত বলে এই রীতিটির সাথে পরিচিত নন। সচলায়তনের নীতিমালা অনুগ্রহ করে মনোযোগ দিয়ে পড়ে নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা আপনার কাছ থেকে ভবিষ্যতে নিয়মিত সুপাঠ্য লেখার প্রত্যাশা করি। নীতিমালায় বর্ণিত নিয়মগুলো সচলায়তনে আপনার অংশগ্রহণকে আরো সহজ করে তুলবে। ধন্যবাদ।
প্রিয় মডারেটর ,
ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সত্যিই আমি নীতিমালাগুলো খেয়াল করিনি।আশাকরি পরবর্তীতে আপনার সুচিন্তিত এরকম মতামত পাবো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার লেখায় দুটি দিক উঠে এসেছে - আগাছানাশক প্রতিরোধী জি এম উদ্ভিদ আর কীট প্রতিরোধী জি এম উদ্ভিদ। যদি ভূল বুঝে না থাকি আপনি দু ধরনের পরিবর্তনই সমর্থন করছেন। কিন্তু আপনার সমর্থনের কারণ গুলো পরস্পরবিরোধী।
1। আপনি কীট প্রতিরোধী প্রজাতি সমর্থন করেন কারণ তাতে চাষীদের মাঠে কীটনাশক দিতে গিয়ে বিষক্রিয়ার শিকার হতে হবে না।
2। আপনি গ্লাইফসফেট টলরেন্ট জি এম প্রজাতি সমর্থন করেন কিন্তু এই ধরনের আগাছানাশকের [url=http://en.wikipedia.org/wiki/Roundup_(herbicide)#Human_and_mammalian_health_effects]বিষক্রিয়ার [/url]ব্যাপারে আপনি নীরব।
তার একটা ব্যাখ্যা হচ্ছে মনসানটোর লাভকে আপনি বিষক্রিয়ার উপরে স্থান দিচ্ছেন।
বি টি পরিবর্তিত প্রজাতি কোন ম্যাজিক সমাধান নয়। এর মাঝেই পোকাদের মাঝে এটা সহ্য করার ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। কেমিক্যাল কোম্পানি গুলো ভালোই ব্যবসা বের করেছে। প্রথমে তারা বছরের পর বছর রাসায়নিক কীটনাশক দিয়ে আমাদের মাঠের সব উপকারী প্রজাতি নিশ্চিহন করেছে, এখন নতুন মায়াকান্না শুরু করেছে চাষীদের স্বাস্থ নিয়ে। রাউন্ড আপ নিয়ে পড়লেই বোঝা যায় they don't give a tiny rat's ass about the farmers.
আমি কিন্তু কাউকেই সমর্থন করছি না। আমি শুধুমাত্র ব্যাখ্যাগুলো দিচ্ছি। আর আমার প্রথম পর্বে আমি জানিয়েছি আমি জেনেটিকের গবেষণা থেকে অনেক দূরের একটি বিষয় নিয়ে কাজ করছি। আর রাউন্ড আপ এর পক্ষে বিপক্ষে সর্ম্পকে আমি এখনো কিছু লিখছি না । কাজেই এ সম্পর্কে আমি নীরব কিংবা সরব এটা কি আমার সর্ম্পকে বলা চলে?
আর বিটিকে কেউ ম্যাজিক সমাধান বলছে না। এটা জিএম ফসলের একটি শাখা হিসেবে কাজ শুরু করেছিল ।স্বভাবতই প্রকৃতিগত কারণে পোকাদের মাঝে যেকোন কীটনাশক সহ্য করার ক্ষমতা বেড়ে যায় সময়ের সাথে সাথে ।
এটা পড়ে মনে হয়েছে আপনি সমর্থন করছেন -
আমার ভুল?
আগের লাইনেই আপনি হার্বিসাইড প্রতিরোধী ফসলের কথা বলছেন আর রাউন্ড আপ তার একটা ভাল উদাহরণ নয় কী?
সামনের পর্ব গুলোতে উত্পাদন বাড়ানোর অন্যান্য বিকল্প গুলো নিয়েও বলবেন আশা রাখছি।
পোকা কী খাবে তাহলে? নাকি এই প্রশ্ন অবান্তর ?
_________________________________
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপনার প্রশ্নের একটা জনপ্রিয় উত্তর হচ্ছে, "আরে মানুষ খাইতে না পাইয়া মরতাছে আর আপনে পোকা কী খাইবো সেই কথা জিগান"! এর উলটা দলও বের হয়েছে এখন, যারা সব ধরণের কর্মকাণ্ডে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের আলামত দেখতে পান। অভাব পরিমিতিবোধের, অভাব মানবতাবোধের।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দুইটা উত্তরই কি সম্পর্কযুক্ত না? long run এ?
_________________________________
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ভারতে কৃষক চাষ করে সোনা তুলতে না পারার মূল কারণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। চাষের জন্য মূলধন সংগ্রহ করার মধ্যযুগীয় পদ্ধতির কারণে বেশী মূলধন লাগে এরকম যে কোনো চাষেই চাষীর ঝুঁকি বড় বেশী। তবে আপনার সাথে সর্বাংশে একমত নেই। অনেক রাজ্যেই চাষী যথেষ্ট টাকা আয় করেছে তুলোর চাষ করে, যার মধ্যে গুজরাট অন্যতম। তাছাড়া গত দশ বছরে ভারতে তুলো উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। চার্টে দেখুন -
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
নতুন মন্তব্য করুন