আপনি কী কখনো চকের ডলা খাইয়াছেন? ভাবিয়ালন একটা বলিষ্ঠ হাত আপনার পেটে বোর্ডে লিখার চক লাগাইয়া প্রচন্ড ডলা দিতেছে। বঙ্গদেশিয় পুলিশি রিমান্ডে রোলারের ডলা দিবার বিধান বর্তমান। সেই ডলা খাইলে পূর্ব-জন্মের স্মৃতি ফিরিয়া আসে বলিয়া জনশ্রুতি আছে। চকের ডলা ঠিক সেইরকম না হইলেও পাঁচ/সাত বছরের স্মৃতির ব্যাপারে গ্যারান্টি দেওয়া যাইতে পারে। আমাদের সাটিরপাড়া ইশ্কুলের মুকুল স্যারের বিখ্যাত চক-ডলাকে এইখানে রেফারেন্স হিসাবে টানিতেছি।
প্রশ্ন উত্থাপিত হইতে পারে এই বিষয়কে সচলায়িত করিবার হেতু কী? এত অতীত সুখ-স্মৃতি থাকিতে হঠাৎ কেন 'মাইর' লইয়া প্যাঁচাল পারিতেছি?
প্যাঁচালের উৎস একটি ক্ষোভ যাহা ইদানীং বড্ড বেশি তাড়িত করিতেছে _ ''গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শারিরিক শাস্তি নিষিদ্ধ করিতে যাইতেছে'', এই খবর পড়িয়া আক্কেল গুড়ুম হইবার উপক্রম হইয়া গেল। বেটা(ই)রা বলে কি? আমাদিগের উপর পিটুনি বর্ষনের হিসাব তবে কে লইবে?
সেদিন আমার এক ভগিনীর বাসায় গমনপূর্বক তাহার পুত্রের ভার-মুখ দেখিয়া ইহার ব্যাখ্যা চাহিয়া যাহা জানিতে পারিলাম তাহাও আক্কেলের উপর একটা আক্রমণ বৈকি ! সাটিরপাড়া ইশ্কুলের জনৈক শিক্ষক তাহাকে 'তুই' স্বম্বোধন করাতে সে মাইন্ড করিয়াছে !
এ কী শুনিলাম? কোন শিক্ষক আমাদিগকে 'তুমি' স্বম্বোধন করিলে কলিজা শুকাইয়া কাঠ হইয়া যাইত। ধরিয়া লইতাম ইহার পিছনে 'গরুতর' কোন কারন বিদ্যমান।
মনে পড়ে ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়াকালীন সময়ে একদিন ধর্ম-শিক্ষক শহীদুল্লাহ স্যার ক্লাসে ঢুকিয়াই আমার দিকে মিষ্টি একটা হাসি ছুড়িয়া কহিলেন ''বাপধন, ভালো আছ তো?'' এমন বে-আন্দাজী কুশল বিনিময়ের কারন ভাবিতে যাইয়া যথারীতি আমার কলিজা শুকাইয়া কাঠ। অনুমান করিবার চেষ্টা করিলাম, অপরাধটা কি হইতে পারে? স্মৃতি রোমান্থনে একটুখানি অন্যমনস্ক হইবার প্রাক্কালেই গালে এক বিশাল সাইজের বিরাশি-শিক্কা থাবড়া আসিয়া পরিল। থাবড়ার ধারাবাহিকতায় স্যার যাহা ব্যাক্ত করিতেছিলেন তাহার সামষ্টিক অর্থ দাড়ায়, আগেরদিন বৈকালে তিনি আমাকে ইশ্কুল মাঠে 'ন্যাংটু' ছেলেপেলের সাথে মিশিয়া মাছ ধরিতে দেখিয়াছেন। উক্ত মাছ ধরিয়া পিতা-মাতাকে কতো টাকার উপকার করিয়াছি, কিংবা সংসারে কীরূপ অবদান রাখিয়াছি, মাইরের সঙ্গে-সঙ্গে এইরকম প্রশ্নও উত্থাপিত হইতে লাগিল। পোড়া কপাল...জীভে তখনও সক্কালবেলাতেই সাবার করিয়া আসা টাকী মাছের ভর্তার স্বাদ উপস্থিত।
ইশকুল মাঠে বর্ষার পরবর্তি ভাদ্র মাসে যখন পানি কমিয়া আসিত, তখন ছোট পরিসরে কাঁদা দিয়া পানি আটকাইয়া সেঁচ প্রকল্প হাতে নিলে অন্তত দশ/বারটা টাকী মাছ লাভ করা যাইত। বলা বাহূল্য, ষষ্ঠ শ্রেনীতে উত্তীর্ণ হইয়া আমরা দারখিনা মাছ ধরা হইতে 'প্রমোশণ' পাইয়াছিলাম। ক্কি আর করা, ''পেটে খাইলে পিঠে সয়'', এই প্রবচণকে সত্য জানিয়া সান্তনা পাইবার চেষ্টা করিলাম।
বর্তমান আইনে যদি তাজুল ইসলাম নামক জনৈক ইংরেজী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইত তবে আমি হইতাম সেই মামলার রাজসাক্ষী। শাস্তি প্রদানে আমার দেখা সবচাইতে 'ক্রিয়েটিভ' শিক্ষক তাজুল স্যার। উক্ত কর্মে তিনি পূর্বসুরীদের দেখানো পথে হাটিতেন না, নিজেই পথ কাটিয়া লইতেন। চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াকালীণ সময়ে একবার 'insect' শব্দের অর্থ অনুসন্ধানে ব্যার্থতার অভিযোগে তিনি আমাকে চোখে পানি আনিয়া দেখাইতে বলিলেন, সময় পনের মিনিট। চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া বালকের অশ্রু-দর্শণ তাহার কাছে কেন উপভোগ্য মনে হইল তাহা কে বলিতে পারে? যাহা হউক, পাঁপড়ি না ফেলিয়া কিছুক্ষণ ড্যাব-ড্যাব করিয়া চাহিয়া থাকিলে অশ্রু বর্ষিত হয়, অল্পক্ষণেই এই প্রযুক্তি আবিষ্কারে স্যারের চাহিদা মিটাইলাম, ভান করিলাম শব্দার্থ নির্ণয়ে ব্যার্থতার অনুশোচনায় আমি কাতর। তবে সর্বদাই এমনতর পার পাইয়া যাইবার উপায় ছিল না। পরবর্তি দিনেই স্যার ক্লাস্-রুমে টেনিস বল দিয়া ফুটবল খেলার অপরাধে আমার জুলপি থেকে ছিড়িয়া আনা একটিমাত্র চুল দর্শণ করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। হূকুম পালন করিতে যাইয়া স্যারের প্রখর শাস্তি-জ্ঞ্যান সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ হইলাম। কারন জুলপি থেকে একটি চুল ছিড়িয়া আনা কীরূপে সম্ভব তাহা পাঠক 'ট্রাই' করিয়া দেখিতে পারেন। ব্যার্থ হইয়া মাথার উর্বর অংশের একটি চুল ছিড়িয়া দেখাইতে গেলেই বিপত্তি দ্বিগুন হইয়া গেল। একেতো ক্লাস-রুমে ফুটবল খেলা, উপর্যপুরি অসাধু-পন্থা অবলম্বন, বন্ধুরা ফোরকাস্ট করিল, ''বাপের বিয়ে দেখাইবে আজ''। কি দেখাইয়াছিলেন তাহা আর বলিতে চাহিতেছি না, লজ্জাজনক অধ্যায়। পরের ক্লাসেই স্যার যখন এক শত্রু-স্থানীয় সহপাঠি জুবায়েরের গায়ের ঘাম দর্শণের দাবী করিলেন, আমিতো আহ্লাদে আটখানা। ''হে হে হে...ব্যাটা বুঝ, গতকাল হাসিয়াছিলি, এখন মাঘ মাস, ঘাম আবিষ্কার কর''। স্যারমহলে পশ্চাদ্যেশে বেতের বাড়ির মতো জনপ্রিয় শাস্তিতে তাজুল স্যারের বিশ্বাস ছিল না, নিরূপায় হইয়া যদি সেই পথে যাইতেই হইত তবে তাহার পূর্বে ছাত্রদিগকে 'বাঘ-হাপ্পা' দিতে হইত, অর্থাৎ বেঞ্চে বাঘের মতো হামাগুরি আকৃতি লইতে হইত। সেই অবস্থায় তিনি বেত প্রয়োগ করিতেন।
এই কথা বলিয়া রাখা উত্তম যে, সাটিরপাড়া ইশকুলের শিক্ষকরা শাস্তি দিতে যতটা উদ্গ্রীব ছিলেন ক্লাসে পড়ানোর ব্যাপারে ততোটা উৎসাহি ছিলেন না। মাইর খাইতাম দুষ্টুমী করিয়া। প্রতিদিন আমরা নিত্য-নতুন 'বান্দরামী'(স্যারদের ভাষায়) আবিষ্কার করিতাম, আর স্যাররাও সেই অনুযায়ী শাস্তি নির্ধারণে নিজেদেরকে 'আপডেট' করিয়া লইতেন। স্পম্ভবত সবচাইতে মারাত্মক অপরাধ ছিলো কারো মাথায় চুইংগাম লাগাইয়া দেওয়া। একজনকে এই অপরাধে যেই শাস্তি পাইতে দেখিয়াছি, হিট্লার আমলের টেস্ট ম্যাচের সাথে তাহার তুলনা হইতে পারে।
পাঠক যদি ভাবিয়া থাকেন আমরা শুধুই শাস্তির উপর থাকিতাম, তাহইলে কিঞ্চিত ভুল হইবে। কারন বেশিরভাগ স্যারই ক্লাস-রুমে আসিয়া ঘুমাইতেন। ঘুমানো স্যারদের ক্লাস পাইলে নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান ভাবিতাম। ঘুমানো শিক্ষক-বোর্ডের প্রধান ছিলেন তাজুদ্দিন স্যার। ছাত্রদের কাছে সৃষ্টিকর্তার উপহার হিসেবে এই স্যার আবির্ভূত হইতেন। তবে কেহ ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাইলে থাবড়া মারিতেন। তাজুদ্দিন স্যারের ক্লাসে যেকোন এক প্যাড়ার একটি পড়া পড়িয়া সারা বছর সুখ-শান্তিতে বসবাস করা যাইতো। ঘটনাক্রমে কখনো পড়া জিজ্ঞেস করিয়া ফেলিলে ঐ এক প্যাড়া বলিলেই হইত। তিনি কিছু বুঝিতেন না, ঘুমের মধ্যে বিড়-বিড় শব্দ শুনিয়াই সন্তুষ্ট থাকিতেন। ফয়সাল(ওরফে বুইট্টা) নামের আমার এক বন্ধুকে একবার আচমকা পড়া ধরিয়া বসিলেন। সে উক্ত এক প্যাড়াও পড়িয়া আসে নাই। নো-চিন্তা, সে দাড়াইয়া তার ভান্ডারে যতগুলি গালি ছিলো, অস্ফুট শব্দে স্যারের উদ্যেশ্যে সব উজাড় করিয়া দিতে লাগিল। আমাদের হাসি কে দেখে? ভান্ডার ফুরাইয়া আসাতে সে যখন চুপ হইল, স্যার কিঞ্চিত জাগিলেন, অসন্তুষ্ট প্রশ্ন করিলেন,
''শেষ''?
সে কহিল,
''জী স্যার''
স্যার কহিলেন,
''একটু কইলেই হইবো? আরো বেশি কইরা শিইক্ষা আসতে হইবো...''
আমাদের পেট ফাটিয়া যাইবার উপক্রম।
একেক স্যারের বিবিধ বিষয়ে জোর দিবার ব্যাপারে বাতিক ছিল। গণিতের সামাদ স্যার পড়া না পারিলে অথবা দুষ্টুমী করিলে কিছু বলিতেন না। কিন্তু তার ক্লাসে কোন ছাত্র শার্টের নিচে 'সেন্টু গেঞ্জি' না পরিলে খবর ছিলো। জীভ বাহির করিয়া মেঝেতে ছোয়াইতে হইতো! তবে স্যর গণিত করাইবার সময় একটা মজার প্রপোজাল দিতেন_ ''এই অংকটা যে আগে করিতে পারিবে সে আমার মেয়ের জামাই''। এই অদ্ভুত প্রস্তাবে আমরা আহ্লাদিত হইতাম, স্যারের সুন্দরী মেয়েকে কল্পনায় দেখিবার চেষ্টা করিতাম। যদিও পরবর্তিতে জানিতে পারি স্যারের কোন মেয়ে নাই।
অত্যন্ত সাম্যবাদী ভাবধারার মানুষ ছিলেন মাওলানা স্যারগণ। তাহাদের ক্লাসে কেউ একজন অপরাধ করিলে স্যার সেই শাস্তি সকলের মাঝে বন্টন করিতেন। লুঙ্গির উপর পায়জামা পরিহিত হেড মাওলানা স্যার ছোট একটা বেত বহন করিতেন। ধর্ম ক্লাসে কেউ টুপি-হীন মাথা লইয়া বে-আক্কেলের মতো বসিয়া আছে? তো শুরু হইয়া গেল স্যারের মিশন। লাইন মেইন্টেইন করিয়া পিছন হইতে সবাইকে একটি করিয়া বাড়ি দিতে দিতে আসিতেন।
এইরূপই মজার ইস্কুল কাটিত আমাদের, যেইখানে লেখা-পড়া ছাড়া আর সবই হইতো! তারমানে ইহা নয় যে রেসাল্ট খুব খারাপ হইত। দিব্যি তো কত ছেলে দেশের সেরা-সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দাপাইয়া বেড়াইতেছে। হেন মিডিয়াম নাই যেখানে আমাদের একশ-দশ বছরের পুরোনো ইস্কুলের ছাত্র নাই। এখনকার মাইন্ড খাওয়া ছাত্ররা গুচ্ছের এ-প্লাস পাইয়া কোথায় যাইবে সে প্রশ্ন সময়ের জন্যে তোলা থাকল।
তবে গর্বের সহিত ইহাও বলিতে পারি, শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও এই ইস্কুল হইতেই বিদ্যা লাভ করিয়াছিল। মারদাঙ্গায় আমরা বরাবরই প্রথম স্থান অক্ষুন্ন রাখিতাম। ক্রিকেট খেলা কিংবা টেন্ডারবাজির ভাগ-বাটোয়ারাতে ছাত্র ধর্মঘটের মত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমরাই প্রথম আগাইয়া যাইতাম। স্যারদের উতসাহে ইস্কুল নিজেরাই ছুটি ঘোষণা করিয়া অন্য ইস্কুলের(বিশেষত মেয়েদের) কার্যক্রমও ভন্ডুল করিয়া দিতে সিদ্ধহস্ত ছিলাম। এহেন কর্মের জন্য শিক্ষক-মহোদয়গণ কখনো রাগ করিতেন না। প্রতিবাদী কন্ঠকে বাহবা জানাইতেন। মাইর দিতেন কদম ফুল পাড়ার অপরাধে, চাঁপা গাছের ডাল ভাঙ্গিলে, ডাব চুরি করিলে, অথবা কৃষ্ণচুড়ার ফল লইয়া টিপু সুলতান সাজিলে। ক্লাস ফাকি দিয়া প্রকৃতি দর্শণে বাহির হইলে, এবং ভিডিও গেমের দোকানের আশে-পাশে দেখা গেলে।
সেদিন এক পিটুনি-প্রবণ শিক্ষক হীরালাল স্যারের সহিত দেখা। প্রাতরাশে বাহির হইয়াছেন, স্বাস্থ্য ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। সালাম দিয়া অশৈশব দুষ্টুমী হাসিটা দিলাম। একযুগ পূর্বের ভয়াল কন্ঠ জিজ্ঞাসা করিল,
''তুই সেই লেঙ্গুর না? রাস্তায় পড়িয়া থাকা গোবরে ঢিল ছুড়িয়া পথচলায় বিঘ্ন ঘটাইতি?''
উক্ত অপরাধের দরূণ কঠিন শাস্তির সম্মুক্ষিণ হইয়াছিলাম, এবং 'লেঙ্গুর' টাইটেল কামাইয়াছিলাম। অধিকন্তু, স্যার এহেন নামকরণের সার্থকতা বাড়ি বহিয়া আসিয়া বর্ণনা করিয়া গিয়াছিলেন।
আর এখনকার ছাত্ররা বিনা বিচারে পার পাইয়া যাইবে? দুষ্টূমীতে তাহারা যে আমাদের চেয়েও কয়েক-কাঠি উপরে!!! লুকাইয়া ইস্কুলের ঘন্টায় বাড়ি মারিলে অথবা বালিকা বিদ্যালয়ে ঢিল ছুড়িলে তাহাদের কিছুই হইবে না !!! ইহা কিভাবে মানিয়া লই???
মন্তব্য
লেঙ্গুর ভাইজান, নিজের মাইরের খবর তো গর্বের সাথেই স্মরণ করি। কিন্তু নিজের সন্তান মাইরের কবলে কাবিলিয়াতি অর্জন করবে ভাবতে বড়ই কষ্ট হয়। জীবন বড়ই দ্বীমুখী।
অমিত্রাক্ষর
অমিত্রাক্ষর @ জিমেইল ডট কম
রম্য স্মৃতিচারণ উত্তম হইছে।
চকের ডলা খাইনি তবে এটেম্প-টু-মাইর-এর কারণে হেড স্যারের বেতের সাত থেকে আটটি বাড়ি খাইয়াছিলাম। যার কারণে আমার গায়ে বেতের বাড়ির দাগ পড়েছিল সেই গুনধর মোজাম্মেল সাহেবকে আমি ভুলি নাই। কোনদিন যদি দেখা হয় তো ঠিকই জিজ্ঞেস করব। পুরা দৃশ্যই আমার চোখের ক্যামেরায় ধারণ করে মস্তিস্কের ডিস্কে সেভ করা আছে।
মস্তিস্কের ডিস্কটিকে টাইপ করিলে মজা পাইব...
এসব কষ্টের স্মৃতি মনে করে কী লাভ বলুন। থাক ওগুলো গোপনই থাক। আপনি লিখতে থাকুন। তবে সাইজ আরেকটু ছোট হলে মনে হয় ভালো হবে
আমাদের হেড স্যারের বেত বলতে ছিলো ৪টা জালি বেত একসাথে জোড়া লাগানো, বাঁধা। বেশ কয়েকবার সেই বেতের বাড়ি খাওয়ার একেবারে লাস্ট স্টেপে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরেও কেমনে কেমনে জানি পিছলাইয়া টিছলাইয়া বাড়ি না খেয়েই চলে আসতে সক্ষম হইছিলাম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি তো পিছলাইয়া চলে আসছেন, আর আমি এতটাই হতবাক হয়েছিলাম যে মার খেতে খেতে ভুলেই গিয়েছিলাম যে হেডস্যার আমাকে মারতে মারতে চলে যেতে বলছেন। দৌড় দিলে হয়তো দুই/তিনটা বাড়ি কমই খাইতাম
নিজেকে দূর্ভাগাই ভাবছি তবে...পিছলাইয়া বের হয়ে আসার সুজুগ খুব কম ছিল...
@অমিত্রাক্ষর ভাইজান - জীবনের দুখঃজনক সত্যটি বলিয়া ফেলিয়াছেন...''জীবন বড়ই দ্বীমুখী''...স্যারদের মাইর খাইয়া সে বয়সে যখন ''এক সময় ইহার প্রতিশোধ লইব'' ভাবিতাম, সেই অণুভুতিগুলি বিকৃত হইয়া রোমান্টিক ভাবাবেগে পরিণত হইয়াছে...ধন্যবাদ ঃ)
@কৌস্তুভ ভাইয়া - পড়ার জন্যে ধন্যবাদ ঃ)
অতিথি লেখক মহাশয় নিজের নাম দিলেন না যে লেখায়...
আমার নাম দিগন্ত(diganta_bahar@yahoo.com)...সচলায়তনে লেখার অনভিজ্ঞতায় এই ধরাটা খেয়েছি...সুধুই সেভ করার জন্যে 'সংরক্ষণ' এ ক্লিক করলাম, কুর্তৃপক্ষ আর কিছুই শুনল না...
লেখা উত্তম হয়েছে। বেশ কিছু বাক্যে অবশ্য গুরুচন্ডালি দোষ থাকলেও লেখার মানের কাছে তা নগণ্য।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ...'দোষ' গুলো পরবর্তিতে কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করা হবে...
বাসযোগ্য করতে গিয়ে শিক্ষা বিভাগ রোবট বানানোর পদক্ষেপ না নিলেই হয়...
স্কুলে মাইর শাস্তি খাওয়ার ইতিহাস আমার ব্যাপক সমৃদ্ধ।
কিন্তু একটা কথা আমার খুব মনে হয়, সেই ২০/২৫ বছর আগের সেইসব শিক্ষকেরা আমাদের কতোটা আপন ছিলেন! আমি এলাকায় নাই, স্কুলের ধারেকাছে যাই না বহু বছর। কিন্তু এবছরই আমাদের স্কুলের আমাদের ব্যাচের রিইউনিয়ন হলো... সেই পুরাতন কালের কিছু শিক্ষক এখনো আছেন... দেখা মাত্র নাম ধরে জিজ্ঞেস করলেন 'নজরুল কেমন আছিস রে? শুনছি তোর একটা মেয়ে হইছে, সে কেমন আছে?' এই আন্তরিকতাটুকু কি প্রহারবিহীন বর্তমান শিক্ষার্থীরা পাবে?
আমাদের শিক্ষকগুলো ক্লাশ নির্ভর ছিলেন না, শুধু পাঠ্যদান না... আমাদের সবকিছুই দেখভাল করতেন, রাস্তায় দুষ্টুমি করতে দেখলে কানে ধরে নিয়ে যেতেন বাড়িতে। সন্ধ্যার সময় বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে বেত নিয়ে বের হতেন কোন ছাত্রটা এখনো খেলার মাঠ থেকে বাড়ি ফেরেনি... তারা বোধহয় শুধু পাঠ্যপুস্তক না পড়িয়ে মানুষ বানানোর চেষ্টাটাই করতেন। এখন সম্ভবত শুধু শিক্ষিত বানানোর চেষ্টাটাই চলে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পরবর্তিতে কত ডক্টর/পিএইচডি কে স্যার/ম্যাডাম পাইলাম ! কিন্তু স্কুল শিক্ষকদের জন্য যে অনুভুতি অনণ্য...
নজরুলসাহেব,
১) হয়তো আপনি এই অর্থে লেখেন নি, কিন্তু কোনো শিক্ষকের জন্য ছাত্রদের প্রতি আন্তরিক হওয়ার পূর্ব শর্ত কি প্রহারের অধিকার? অথচ এই বাক্যটি এমনকি কনটেক্সটে রেখে পড়লেও সে রকমই লাগে: "এই আন্তরিকতাটুকু কি প্রহারবিহীন বর্তমান শিক্ষার্থীরা পাবে?"। না মেরে ছাত্র মানুষ করা যায় না কি একেবারেই?
২) "এখন সম্ভবত শুধু শিক্ষিত বানানোর চেষ্টাটাই চলে..." এই নস্টালজিয়ার সুযোগও আমি পাই নি। আমাদের শিক্ষকেরা অধিকাংশই শিক্ষাদানের বিষয়টায় যথেষ্ট অবহেলা করেছেন, উন্নাসিক শোনালেও এটা সত্যি কথা। সেটা যোগ্যতা না ইচ্ছার অভাবে, সে কথা জানি না। অবশ্য প্রহারের প্রচলনটাও বিশেষ ছিলো না আমার স্কুলে। তো নিজের কাজটুকু যিনি ঠিকভাবে করেন নি তাঁর হাতে ধনঞ্জয়ত্ব প্রাপ্তি হয় নি এই নিয়ে খেদ হয় না।
হস্টেলে Ragging এর সমর্থকদের যুক্তি থাকে, ক্লাসনোট ও অন্যান্য সাহায্য করার মূল্য হিসেবে অল্পস্বল্প পিটুনি দেওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। আন্ডারগ্রাড বাড়িতে থেকেই করেছি, কিন্তু মাস্টার্স করতে গিয়েও এই জাতীয় বক্তব্য শুনেছিলাম, কুলোর বাতাস দিয়ে তাদের বিদায় করে খুব তৃপ্তি পেয়েছিলাম। তবে সে আরেক গল্প।
মূলোদার মন্তব্যটা খুব ভালো লাগল। নজু ভাই 'আমাদের সেসব কি দিন আছিল' মুডটা টেনে তখনকার শিক্ষকদের যত্নের কথা তুলেছেন, মেনে নিলাম, কিন্তু তার সঙ্গে এখনকার যুগে মার দেওয়া নিষিদ্ধ করার কি সম্পর্ক? (১) নিয়ে সহমত।
(২) নিয়েও সহমত। মূলোদা সম্ভবত সিপিএম জমানার স্কুলে পড়েছেন, আমিও তাই। আমাদের স্কুলে অবশ্য মার দেবার ভালই চল ছিল, খুবই নিরীহ বলে আমার কপালে ততটা পড়েনি অবশ্য। এবং এঁদের অনেকেই শাসকদলের পোষণে আছেন, তাদের কর্মচারী ইউনিয়ন ইত্যাদিতে হর্তাকর্তা, কিন্তু ক্লাসে পড়ানোর বেলায় ঢুঢু, কোচিং-এ আয়, নোটস দেব। এঁরাই হচ্ছেন, 'ভাত দেবার কেউ নয়, কিল মারবার গোঁসাই।' নতুন আইনে এঁদের মারার অধিকারটা কমেছে হয়ত, শিক্ষকদের কোচিং যখন নিষিদ্ধ হয়েছিল তখন লুকিয়েচুরিয়ে করতেন বলে শোনা যায়, পড়ানোর যে বিশাল উন্নতি হয়েছে তা তো শুনিনি।
আমার ধারণা নজরুল সাহেব আমার কাছাকাছি বয়সেরই হবেন, ছোটো হবারই সম্ভাবনা, কাজেই কী দিন আছিল বলার সুযোগ নেই। তবে স্থান আলাদা, এবং সে বাবদ পার্থক্য হতেই পারে। মোটামুটি ভালো স্কুলে পড়া সত্ত্বেও আমার অভিজ্ঞতা হলো এই যে বেশির ভাগ শিক্ষকই শিক্ষাদান পদ্ধতি নিয়ে বিশেষ ভাবনাচিন্তা করতেন না, তাঁদেরও যে হোমওয়ার্ক করে আসতে হবে এই ধারণাটাই ছিলো না, সর্বোপরি ছাত্রদের মধ্যে বিষয়টির প্রতি ভালোবাসা জাগানোর বিষয়ে কোনো উৎসাহ ছিলো না। কিছু ব্যতিক্রম ছিলেন, যৎসামান্য, কিন্তু তাঁরাও কোনো ক্রমে প্রথম দুটি নিয়েই ভাবতেন, এবং শাস্তি বা বকুনির মূল্যে পড়া মুখস্ত করিয়ে কার্য সমাধা করতেন। কারোর কারোর সাথে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠতো, কিন্তু ধরুন আমি যদি হাসপাতালের ডাক্তার হই এবং রোগীদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখি কিন্তু বাজে চিকিৎসা করি, তাহলে সেটা কদ্দূর কাম্য হতে পারে।
দুই নম্বর প্যারা নিয়ে অনেক গল্প কলকলিয়ে উঠছে। জ্ঞান হয়ে অবধি সিপিএম-এর সোনালি জমানাই দেখেছি। সেই স্বর্ণ যুগে শিক্ষাদীক্ষার উন্নতির কথা বলতে শুরু করলে তো আমাকে টেনে নামাতে হবে মঞ্চ থেকে, এখন সেই কথা থাক বরং।
পশ্চিমে অভিভাবকরা সন্তানদের মার লাগাতে পারে না পুলিশি ভয়ে...এমতাবস্থায় ওদের পিতা-মাতা-সন্তানের সম্পর্ক আমাদের সম্পর্কের নর্মের সাথে তুলনা করলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ায় ভেবে দেখা যায়...
'সিপিএম জমানা'?...নো আইডিয়া...
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ
-দিগন্ত
আন্তরিকতা প্রহারের সঙ্গে বিশেষত সম্পর্কিত নয়, তবে কর্পোরেট শিক্ষা ব্যাবস্থার যে বাতাস পাওয়া যাচ্ছে তাতে আন্তরিকতার অভাব প্রচন্ডভাবেই উপস্থিত...যে মুকুল স্যারের কথা লেখার শুরুতে বললাম, অবিশ্বাস্য হলেও সত্য তিনি আমাদের স্কুলের যত ছাত্র(আনুমানিক ১২০০) ছিল সকলের নাম জানতেন, বাড়ির ঠিকানা থেকে শুরু করে পারিবারিক ব্যাপারেও সকল শিক্ষকদের অংশগ্রহন ছিল...
আন্তরিকতার সঙ্গে পেশাদারিত্বের সংঘর্ষটা বোধয় ইউনিভার্সাল। বর্তমান স্কুল পরীক্ষা গুলোর ভালো-ফল বিস্ফোরণ পেশাদারিত্বের জয়গান গাইবে। তবে জীবনের জন্যে কোনটা প্রয়োজন বেশি তার উত্তর জীবনেই খুজে নেয়া যাক...ধন্যবাদ
- দিগন্ত
লেখা বেশি চমৎকার হইসে
ধন্যবাদ
দারুণ! দারুণ! আরো লেখেন!
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
অনেক ধন্যবাদ
-দিগন্ত
ঈদের পরই আমাদের স্কুলের পূর্নমিলনী...লেখাটা পড়ে অনেক ভাল লাগলো।
পুণর্মিলনী শুভ হোক...পড়ার জন্যে ধন্যবাদ
-দিগন্ত
স্কুলবেলার কথা মনে হলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে কৈশোরে, ইস্ সময় কত দ্রুত চলে যায় !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
''ইস্ সময় কত দ্রুত চলে যায় !''...অমোঘ নিয়তি থেকে নিস্তারের পথ নেই
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ
-দিগন্ত
The best one.....
স্বভাবতই মনে পড়ে গেলো আমাদের স্কুলবেলার কথা। কয়েকজন স্যারের সাথে এখনো পথে দেখা হয়। তাদের কয়েকজন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মত এখনো অপরিবর্তিত।
অপরিবর্তিত দেখতে খারাপ লাগার কথা না, একটা জায়গায় হলেও তো অতীতে ফেরা যায়...
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ
-দিগন্ত
স্মৃতিচারণ দারুন হয়েছে !
তবে আফসোস আমার স্কুলগুলা আমাকে পছন্দ করতো না, অনেক ডলা খাইছি প্রায় সবকয়টা স্কুলেই, প্রায় সব শিক্ষকদের কাছেই। তবে আমিও স্কুলগুলাকে পছন্দ করতাম না। মিউচুয়াল একটা ব্যপার। তবে আমি মানুষ বেশ খারাপ। সবাইকেই মনে আছে- আর সুযোগ পেলেই হাল্কাপাতলা শোধ নিতে ছাড়ি না। মাসখানেক আগে প্রাইমারির এক ম্যাডাম এসে হাজির- হাতে ব্যথা নিয়ে। আমিও ঠাট্টা করে বললাম - ম্যাডাম এখনো কি বাচ্চাদের পেটান? ভদ্রমহিলার মুখ একেবারে দেখার মতো হয়েছিলো!
আসলে লোকজন মানে পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষকেরা মাঝেমাঝে ভুলে যান যে অপোগন্ড পিচ্চিগুলাও একদিন বড় হবে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এই জাতীয় প্রতিশোধ নেওয়ার স্বপ্ন আমার বহুকালের!
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ
-দিগন্ত
"দিগন্ত" নিকে সচলে একজন নিবন্ধিত সদস্য রয়েছেন। আপনি যদি সচলায়তনে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে চান, অনুগ্রহ করে কি অন্য কোনো নিক বেছে নেবেন?
নিক বেছে নেয়ার কোন সুজুগ তো এখনো পর্যন্ত পাইনি ! লেখাটাতে ভুলক্রমে কোন নাম/ই-মেইল এড্রেস না দেয়াতে কমেন্ট এর পেছনে নাম জুড়ে দিচ্ছি শুধু...
ধন্যবাদ
প্রতিশোধ লাইক্কর্লাম, তবে ওনাদের কৃতকর্মের তুলনায় খুবই নগণ্য বলা চলে...
ভালো লেগেছে স্মৃতিচারণ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ
- দিগন্ত
তখন আমি সেভেনে পড়ি। আমাদের স্কুলটা ছিল। কো-এড। পেওতিদিন এসেম্বলী শেষে সবার আগে দৌড়ে ক্লাসে যেতাম। আসলে আমি আর আমার দুই বান্ধবী দাঁড়াতাম সেই ভাবে। আমাদের লাইনটাই আগে ছাড়া পেত। সেদিনও আম্রাঈ আগে ছাড়া পেয়ে সবার আগে ক্লাসে যাবার আনন্দে সিড়ি টপকাচ্ছি। এমন সময় আমাদের স্কুলের সব চেয়ে রাগী ম্যাডাম (রাশিদা আপা) কী বুঝলেন কে জানে? (হয়ত ভেবেছেন এসেম্বলী না করে ড্যাং ড্যাং করে ঘুরে বেড়াচ্ছি)। আমাদেরকে নিয়ে এলেন আবারও রোদের মধ্যে। সবার সামনে কাল ধরে উঠ বস করছি আমরা। বিনা কারনে। সবাই দেখছে। সবাই আমাদের আগে ক্লাসে চলে যাচ্ছে। ক্লাস নাইনের যেই ভাইয়াকে দেখলেই আমরা হাসতে হাসতে গড়া গড়ি খেতাম ( হাসতাম কারণ, আমাদের সামনে একদিন এক ম্যাডাম তাঁকে মেরেছিলেন। তারপর থেকে আমাদের টিজ তাকে সহ্য করতে হয়েছে এস,এস,সি পাস না করা পর্যন্ত।), সেই ভাইয়াও আমাদের দেখে হাসতে হাসতে যাচ্ছে। ''হু কেয়ারস'' এই ভাব নিয়ে আমরা কান ধরে উঠ বস করে যাচ্ছি।
বর্তমানে আমি নিজেই একটি স্কুলের সম্মানিত(??) শিক্ষক। আমার কিছু প্রিয় শাস্তি আছে, খুব কাজে দেয়। বড় ক্লাসের ছাত্র দুষ্টুমী করলে তাকে মেয়েদের সামনে কান ধরেইয়ে দাঁড় করে রাখি। আর মেয়েদের বলি ওর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে তোমরা হাসাহাসি কর। আর ছোট্ট ক্লাসের দুষ্টু গুলুকে ক্লাসের পেছনের ময়লা বেঞ্চে বসিয়ে রাখি। ব্যথাবিহীন শাস্তি। তারপরেও যে ধুমাধুম দুটা লাগাতে হয় না, তা নয়। কিন্তু এতে পাজিগুলু যদি সত্যি ব্যথা পেত! উলটো আমাকে বলে, ''ম্যাডাম, ও খুব লাকি। আপনার হাতের মাইর খেয়েছে।''
------------------------------------------------------------------------
রাজকন্যা
এসেম্বলী ফাকি দেয়া প্রতিদিনের অবশ্য কর্তব্য ব্যাপার ছিল, একবার কর্তব্যে ধরা খেয়ে জনসম্মুক্ষে ২০টা বুক-ডন দিতে হয়েছিল।
আগেই বলেছি...''জীবন বড়ই দ্বীমুখী...স্যারদের মাইর খাইয়া সে বয়সে যখন ''এক সময় ইহার প্রতিশোধ লইব'' ভাবিতাম, সেই অণুভুতিগুলি বিকৃত হইয়া রোমান্টিক ভাবাবেগে পরিণত হইয়াছে''...তা না হলে প্রতিশোধ স্পৃহা আপনার উপর ঝাড়ার একটা চেষ্টা করা যেত...বড় ক্লাসের ছাত্রদের কিভাবে শাস্তি দিন শুনলাম, ছাত্রীদের কি করেন বললেন না যে?...আমিও একবার এক ম্যাডামের শাস্তি পেয়েছিলাম, কথিত আছে লজ্জায় টমেটো হয়ে গিয়েছিলাম...
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ
- দিগন্ত
নতুন মন্তব্য করুন