‘লুঙ্গীর সাইডপকেট’, ‘ঠেলাগাড়ির হেডলাইট’- এই শিরোনাম লেখার পরই অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এক বন্ধু’র এই দুই উপমা’র কথা মনে পড়ে গেল। এর আগে অবশ্য শিরোনাম নিয়েও ভাবছিলাম কিছুক্ষন, প্রথমে ভাবছিলাম ‘বিদেশে ঈদ’ নামে লিখি, এরপর মনে হলো, বিদেশে ঈদের অনেক মজার অভিজ্ঞতা’র কথা তো শুনেছি অনেকের, আমি যে ঈদের গল্প লিখতে যাচ্ছি তা এর সাথে বেমানান, সুতরাং ভীন গ্রহ’ই বরং মানানসই। আর আমরা তো এখানে বিদেশী নই আমরা হ’লাম ‘এলিয়েন’ অর্থাৎ ভীনগ্রহেরই প্রাণী। যারা জানেন না তাদের জন্য তথ্য- দক্ষিন কোরিয়াতে বিদেশিদের কে যে ‘temporary residence card’ দেয়া হয়, তাঁর উপরের দিকে সুস্পষ্ট অক্ষরে লেখা থাকে-“Alien Registration Card”.
“প্রতিবছর ঈদে আমরা কোনো রকমে দুপুর পার হলেই, দাদার দোকানে (ভিক্টোরিয়া কলেজ রোড, কান্দিরপাড়, কুমিল্লায় আমাদের আড্ডা'র জায়গা) জড়ো হ'তাম। এক সাথে হিন্দু-মুসলমান ২০-৩০ জন বন্ধু, এরপর শুরু হতো শহরের এক পাশ থেকে হাটা শুরু, এক এক করে সব বন্ধু'র বাসায়। কখনো ২/৩ দিন কাটতো এভাবে! সন্ধার পর সারা বছরের স্মৃতির থলি নিয়ে বসে রানীর দীঘির পাড়ের আড্ডা।এখন কোনদিক দিয়ে ঈদ আসে কোনদিক দিয়ে যায় টেরই পাই না “ ফেসবুকে আমার এই স্টেটাসে দশের উপর ‘লাইক’। মাঝে মাঝে ফেসবুক লাইকের কোনো মানে বুঝি না!
“মামুন ভাই আইজকা তো চানরাইত”, দুপুরে এক্স-বুয়েটিয়ান ছোট ভাই নুভান এবং আমাদের এক চীনা বন্ধু ইউনি’র সাথে ক্যাফেটেরিয়া থেকে খেয়ে বের হ’বার পর ফেরার পথে দুঃখভরাক্রান্ত স্বরে নুভান মনে করিয়ে দিলো এই কথা।“আজ ঈদ, মদীনার ঘরে ঘরে আনন্দ”-এই কথাগুলো এখানে যন্ত্রণা’র। “হুম” বলে আমিও বিদায় নিলাম, কারণ ‘চানরাইত’ মানে এখনে বিশেষ কিছু নয়! ঈদ মানেই এখানে বিশেষ কিছু নয়। প্রথম ঈদের সময়টাতে পুরো ক্যাম্পাসে ৩০ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি আমরা তিনজন। বাকী দু’জনের সাথে আমার দুরত্ব যোজন যোজন, কারণ শুরুতেই জেনেছি তারা একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক, জেলখাটা জামাত কর্মী, অন্যজন বিখ্যাত শিবির ক্যাডার দেশান্তরী দীর্ঘদিন ধরে। সুতরাং প্রথম ঈদটা ল্যাবেই কাটলো, আর ‘উইকডেইজ’ বলে ল্যাব ফাঁকি দেয়ারও উপায় নেই। সন্ধা’র পর বাসায় কিছুক্ষন কথা বলে বিষন্নতা আর অবসন্নতা গ্রস্থ হওয়া ছাড়া আর কোনো পার্থক্য তৈরী হয় নি। এরপরের ঈদটা একটু ভালো কাটলো কারণ ঐ দিনই ছিল মাস্টার্স এর গ্রেজুয়েশন টেস্ট, ব্যস্ততায় নিজেকে আর মনে করিয়ে দেয়ার সুযোগ হয়নি যে আজ ঈদ, রাতটা অবশ্য বন্ধুদের যন্ত্রণায় খুব একটা ভালো কাটে নি, কারণ নিয়মিত ফোন করে না এমন অনেক বন্ধুও বিশেষ দিনগুলোতে ফোন করে জানাতে ভুল করে না তারা কত আনন্দে আছে, আর আমি কত কষ্টে! করে হয়তো বন্ধু’কে মিস করে বলেই কিন্তু আমার কাছে এখন এই বিশেষ দিনগুলোতে কেউ ফোন করলে খালি মনে হয়, আমাকে উপহাসই করছে, ছোট বেলায় স্কুলে ধনী বন্ধু’রা যেমন করে নতুন জামা পরে এসে দেখাতো- দেখ আমার ‘লাল জামা’ বন্ধু’দের এইসব বিশেষ বিশেষ দিনে ফোন করাকে আমার অমন উপহাসের মতোই মনে হয়।
প্রথম দিকে এসে ভীষণ একা ছিলাম, সকাল থেকে রাত দুটা-তিনটা পর্যন্ত ল্যাবে থাকতাম, না কাজ যে খুব করছিলাম তা না, কাজ এখনো করি কিন্তু তখন আসে পাশে কেউ ছিল না। এরপর কিছু বন্ধুদের ‘পটলিয়ে পাটলিয়ে’ স্কলারশিপ এর ব্যাপারে সাহায্য করে নিয়ে আসা গেল, একাকিত্ব কিছুটা কাটলো।কিছু বিদেশী বন্ধুও জুটলো, ‘Alien’ জীবন উপভোগ করতে শুরু করলাম। কাটছে ভালোই। কিন্তু আবার ঐ বিশেষ দিনের যন্ত্রণা। একাকিত্ব নিয়ে কিছুটা অভ্যস্থ হয়ে ওঠেছি। লিখতে বসা’র পরও একজন ফোন করলো মনে করিয়ে দিলো, আজ চানরাইত, কালকের কি ‘প্লান’? ‘প্লান’ জানি না কিছুই, সকালে ওঠে ল্যাবে যাবো। কোনো কাজ হবে না, জানি, তবুও যাবো। কাজের ফাঁকে ফাঁকে প্রতিদিনকার মতোই সচলায়তনে ঢুঁ মারবো, ফেসবুকে পুরোনো ছবি দেখবো- অন্তত দিনটা কেটে যাবে কোনোরকমে! পরশুদিন বাংলাদেশে ঈদ, আর আমার এখানে ‘উইকএন্ড’ অনেকে এটা সেটা প্লান করছে আমাকে নিয়ে, ‘হু’ ‘হা’ করছি সায় দিচ্ছি, করবো, করছি। শরীর করছে মন করছে ভিন্ন কিছু!
আজ থাকুক এখানেই, ভীনগ্রহের ঈদের গল্প দিয়ে আপনাদের ঈদের আনন্দ মাটি করতে চাই না।
যে যেখানেই থাকুক সকলের ঈদ কাটুক, সুস্থ-সুন্দর-ও আনন্দময়!
কাজী মামুন
মন্তব্য
ভালো। তবে স্মৃতি আরেকটু দীর্ঘ হলে মন্দ হতো না আপনার দুজন সঙ্গীর যেরম পরিচিতি দিলেন তাতে হাসিও এল ভয়ও লাগল। সাবধানে, এবং দূরে থাকাই ভাল।
ঈদ মোবারক। আমার এখানে অবস্থা অনেক ভালো। বাচ্চার স্কুলের এজেন্ডাতে ঈদ, রোশ হাসানা, দেওয়ালী সবই আছে।
প্রকৃতিপ্রেমিক দাদা ঈদ মোবারক! ভয় কেটে গেছে এখন, দু'জনের কেউই নেই এখন। আর খুব ছোট বেলা থেকেই এদের ফেইস করতে হয়েছে তো, তাই এখন অভ্যাস হয়ে গেছে, জানি কি করে দুরত্ব রেখে চলতে হয়।
স্মৃতিচারণ, আবার করবো, আপাতত ঈদের আনন্দে আর খাদ না মেশাই।
কাজী মামুন
ঈদ মোবারক!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আজ ঈদ, নাহ এখন আর খারাপ লাগছে না। একটু ভিন্ন দিন তো বটেই! ভালো থাকুন- ঈদ মোবারক।
কাজী মামুন
কে বলেছে, আপনি একা ঈদ করছেন, সচলায়তন তো আছে, সচলায়তনের হাজার হাজার বন্ধু আপনার সাথে ঈদ করবে।
ঈদ মোবারক
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
হুম ভালোই বলেছেন! এজন্য সচলায়তনের পাশেই আবার আসলাম। ভাবছিলাম ফাঁকা থাকবে, এখন দেখি না, অনেকেই আছেন!
ঈদ মোবারক!
কাজী মামুন
পরবাসে ঈদের এই হাল বুকে কাঁপন ধরায়। একদিন হয়তো আমাকেও...
--------------------------------
আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
সমুদ্রে পাইতাছি সয্যা, শিশিরে কি ভয়!
ভয় পাইলে চলবো না মিয়া ভাই!...
পরবাসে না আসলে স্ববাসে'র মর্ম বুঝবেন কি করে!
কাজী মামুন
"‘প্লান’ জানি না কিছুই, সকালে ওঠে ল্যাবে যাবো"
ভাইয়া, শান্তনা দেবার কোন ভাষাই তো রাখলেন না। কেউ পায় না, আবার কারো থেকেও নেই। শুধু প্রার্থনা করছি,
আপনার ঈদের দিনটা সুস্থ শরীরে; ভালো মনে কাটুক।
হা হা হা! নারে ভাই, এখন আর শান্তনা প্রয়োজন নেই, বললাম না, একটা অভ্যস্ততা তৈরী হয়ে গেছে! আর আমার আসলে 'মানুষ' হলেই হয়। বাঙালিই হতে হবে এমন নয়। এখানেও অনেক 'মানুষ'। এক কোরিয়ান বন্ধু আমার ঐ খারাপ সময় গুলো কাটাতে অনেক সাহায্য করেছে। বেশ তো আছি! তবে এলিয়েন হয়েই থাকারও কোনো ইচ্ছে নেই! কোনো রকমে পি এইচ ডি হয়ে গেলেই 'ফুটবো'।
কাজী মামুন
খুব ভালো একজন আগামীর বেস্টসেলার মনে হচ্ছে,ফুলটাইম লেখার সময় পেলে কখনো। অনেক শুভেচ্ছা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে! নিয়মিত হবো কিনা জানি না, তবে এই বেস্ট সেলার হওয়ার প্রতি আমার আগ্রহ একটু কম আছে, কেন জানি লেখালেখির মতো বিষয়টাকে পণ্য হিসেবে দেখতে ভালো লেগে না- কিছুদিন আগে আধখানা কবিতায় লিখেছিলাম-
"বাপ-দাদার ভিটেমাটি নিলাম হয়ে গেছে বহু আগে।
পায়ের নিচে যা কিছু, কিম্বা মাথার উপর
কোনোকিছুই আর আমার নয়!
ব্র্যান্ডিং এ ঢেকে গেছে পা থেকে মাথা,
পানাহার, এমনকি চোখের পাতা!
ঝালমুড়ি, চানাচুর, ভিক্ষের ঝুলি, নারীর শরীর,
অন্ধের সাদা ছড়ি থেকে কবির কাব্য
কোনোকিছুই এখন আর বিজ্ঞাপনমুক্ত নয়!
ম্যাকডোনাল্ডস শিশুরা বিভক্ত দুইভাগে-
কোক নয় পেপসি!
চুরি হয়ে গেছে মাথার উপরের আকাশ, দৃষ্টিসীমা।
কালরাতে,
অপরিচিত এক ফুটপাথে শুয়ে,
দূরের বিলবোর্ডের ঝিকিমিকি আলো কে সপ্তর্ষী ভেবে
ভুল করছিলাম বারবার।
কালরাতে,
এমনই এক দুঃস্বপ্ন দেখেছি!
এখনই একটা পাখি উড়ে গেল, একা,
ডানায় আঁকা 'ফ্রিডম বিস্কুট' এর লোগো।।"
শুভকামনা আপনার জন্যও।
কাজী মামুন
আমেরিকাতেও বিদেশীদের Alien বলা হয়। প্রথম প্রথম অবাক হতাম - এখন আর না। নামে কি আসে যায়।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
তাই নাকি!
তাহলে কোরিয়ানরা সম্ভবত আমেরিকান দের কাছ থেকেই শিখেছি তাহলে।
কোনো জিনিশ আমেরিকান মানেই এখানে ভালো। আবার বিদেশী কাউকে দেখলেই ওদের এখনো অনেকে আমেরিকান মনে করে। কতবার যে এই কথা বলতে হয়েছে যে,নাহ আমি আমেরিকান না! বাংলাদেশ বলে পৃথিবীতে একটা দেশ আছে, ওটাও বিদেশ!
কাজী মামুন
একটি মহৎ উদ্যোগ ও অর্জনের জন্য বিদেশে গিয়েছেন। কিছুতো ছাড় দিতেই হয়। গায়ে একটু হালকা কাঁদা মাটি ছিটকে আসলে গায়ে মাখবেন না। আপনার ক্ষেত্রে Alien শব্দটার বাংলা ভিনগ্রহী না বলে মুসাফির হলেই সংঘত হয়। আপনি বাংলাদেশ ছেড়ে দ.কোরিয়া গিয়ে মুসাফির হলেন। আমার আকাঙ্খা হচ্ছে,বিধাতা যেন আমাকে এই বিশ্বালয়ে মুসাফিরের মতো চলার জন্য মানসিক শক্তি অর্জনের কারন গুলো সৃষ্টি করে দিক।
কুমিল্লায় আপনার আড্ডা দেয়ার ব্যাপারটায় ফেইসবুকওয়ালারা যে সবাই লাইক দিচ্ছে, তার সম্ভাব কারন হচ্ছে দুটি। একটি হচ্ছে আপনি যে Alien তা আপনাকে স্মরন করিয়ে দেয়া। দ্বিতীয়টি হচ্ছে আপনাকে লাইকওয়ালারা খুব ভালবাসেন সেজন্য লাইক দেন। অবশ্য একথাটিও ঠিক যে, অনেকে ফরমালিন বা ফরমালিটিস দেয়া হিসেবেও লাইক দিতে পারেন।
“আমার ‘লাল জামা’ বন্ধু’দের এইসব বিশেষ বিশেষ দিনে ফোন করাকে আমার
অমন উপহাসের মতোই মনে হয়।” আমার নিয়ম হচ্ছে ঈদের দিন সকালবেলা
উঠে মোবইলখানা অফ করে দেই। ব্যাস, অত্যাচার থেকে বাঁচার সহজ উপায়।
খাওয়া দাওয়ার দিকে একটু নজর থাকে। মা, ভাই,বোন, দুই মেয়েও স্ত্রীকে
নিয়ে খুব আনন্দেই দিন কাটে। ঈদের দিন মানুষের মনে কোথা থেকে এত
আনন্দ আসে ! এই আনন্দে নিজে সামিল না হয়ে কি পারি।
“এরপর কিছু বন্ধুদের ‘পটলিয়ে পাটলিয়ে’ স্কলারশিপ এর ব্যাপারে সাহায্য করে
নিয়ে আসা গেল, একাকিত্ব কিছুটা কাটলো। কিছু বিদেশী বন্ধুও
জুটলো,‘Alien’ জীবন উপভোগ করতে শুরু করলাম।” সময়ের পরিক্রমায় সবকিছূ ঠিক হয়ে যাবে। কোনদিন হয়তো এমনো হতে পারে যে, আপনিও ইবনে বুতুতার মতো ইতিহাস লিখা শুরু করে ফেলবেন । বাংলার মানুষের কাছে আপনার নামটি চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে। আমিও র্গববোধ করবো যে, ড. কাজী মামুন নামে আমার এক বন্ধু আছে।
সুন্দর থাকুন। আনন্দ করুন। প্রয়োজনে র্স্বগের পানি পান করুন। মনটাকে নিয়ে ঝাপ দিন আনন্দ সাগরে। আমিও রাতের বেলা আনন্দ সাগরে ঝাপ দিবো।
মহসিন ভাই,
একটা ইমেইলে কাল রাতে আগামী তিন দিনের 'ডিনারে'র দাওয়াত এসেছে, আমাদের ধারে কাছেই। নাহ আমার এই লেখার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
এখন আসলে অবস্থা পালটে গেছে, এখন আমার এই বিশ্ববিদ্যালয়েই দশজন বাঙালী। যদিও আমি বাঙালীদের চাইতে বিদেশীদেরই বেশি পছন্দ করি একসাথে সময় কাটানোর জন্য, তবু মাঝে মাঝে মনে হয় যে, একটু বাংলায় কথা বলতে পারলে বা বাংলায় আড্ডা দিতে পারলে মন্দ নয়! কেউ কেউ বলে আমি ইন্টারনেট ফ্রিক! না হয়ে উপায় কি! আপনারা আছেন যে! আর আপনাদের কাছে পাওয়ার এটাই তো মাধ্যম!
আর কোরিয়া আসলে একরকম শান্তিরও জায়গা। বাইরে থেকে মনে হয় আহারে যুদ্ধ চলছে, কি যে অবস্থা। যুদ্ধ কি প্রকার তা আমাদের টের পাওয়ার কোনো উপায় নেই। এত 'সোসাল সিক্যুরিটি' খুব কম দেশেই আছে বলে আমার মনে হয়।
এখানে রাত ৩/৪টায় মদ খেয়ে মাতাল হয়ে একা একটা মেয়ে হেটে হেটে বাড়ি ফিরতে পারে নিরাপদে। আমাদের দেশের সাথে তুলনা থাক, উন্নত অনেক দেশেই এটা পারে না।
শুরুর দিকে ভাষার যে সমস্যাটা ছিল এখন ওটা তেমন নেই, কোরিয়ান রা ইংরেজী শিখছে আমরা শিখছি কোরিয়ান। মিথস্ক্রিয়ায় তেমন আর সমস্যা থাকছে না।
তবে বন্ধুদের সাথে ঈদে ঘুরে বেড়ানো আর রানীর দীঘির পাড়ের বা দাদার দোকানের আড্ডা খুউব মিস করি~!~
ভালো থাকবেন! আপনার ঈদ কাটুক আনন্দে!
কাজী মামুন
ঈদ মোবারক মামুন ভাই
ঈদ মোবারক নুভান!
কাজী মামুন
এলিয়েন বলে দুঃখ হচ্ছে? চেষ্টা করলেই মুক্তি মেলে, কিন্তু আমরা কেউ চেষ্টা করতে রাজী না!
"চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না" এরকম কিছু বলবো না। আসলে এখনো চেষ্টাই করিনি। তবে হুম যুদ্ধ শুরু করার আগে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কোনোরকমে পি এইচ ডি টা শেষ হোক খালি!
ধন্যবাদ আপনাকে!
কাজী মামুন
আপনার সাথে ঈদের সময়টা পাল্টাপাল্টি করতে পারলে ভালো হইতো। আমার ঈদ বিষয়ক কোনো আগ্রহ নাই। অন্তত তিনটা দিন চুপেচাপে ঘরে বসে সিনেমা দেখে আর বই পড়ে কাটাতে চাই। কিন্তু আত্মীয় স্বজনের জ্বালায় পারি না। বিদেশ থাকলে ভালো হইতো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই, ঠিকই বলছেন পাল্টাতে পারলে আসলেই ভালো হতো, তবে আমার ঈদ তো আর আত্মীয় স্বজনদের সাথে কাটতো না, আত্মা'র সাথে সম্পর্কীয়দের সাথে কাটতো, সুতরাং খুব একতা 'লস' হতো না আমার
কাজী মামুন
নতুন মন্তব্য করুন