গতবছর মে মাসে চীন দেশে গিয়েছিলাম IEEE(Institute of Electrical and Electronics Engineers) আয়োজিত একটি বৈজ্ঞানিক সভায় অংশগ্রহন করে আমার একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করতে।
কলাবেচার চাইতে আমার রথ দেখাটাই বরং বেশি হয়েছিল। একদিন বৈজ্ঞানিক সভাস্থলে বিরক্ত হয়ে বাকী পাঁচ দিন ঘুরে দেখেছি সিচুয়ান(চীন)। প্রধান যাত্রাস্থল ‘ছংদু’ হলেও এর পাশাপাশি আরো কয়েকটি শহর আমি ঘুরে দেখেছিলাম। সংগ দিয়েছিল তখনকার সদ্য পরিচিত এবং এখনকার আমার তিন বন্ধু। ‘মেয়ে’ বলে ওদেরকে আলাদা ভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই না। কারন ওদের দেখে আমার চীনা মেয়েদের প্রতি ধারণাই পালটে গেছে। পুরো সময়টা আমি যে আমি উপভোগ করেছি তার অর্ধেকের বেশি কৃতিত্ত্ব ওদের। কৃতজ্ঞতা আমার এখানকার বন্ধু ফ্রেয়া’র প্রতিও যে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল ওদের সাথে।
সিচুয়ান প্রভিন্স এর ছংদু(CHENGDU), চীনের বড় শহরগুলোর মধ্যে একটি। ছংদু সম্পর্কে একজন ভ্রমনকারীর একটি উক্তি-
"Countless people are making their romantic and fond dreams in Chengdu, where even a rice ball has a legend. Poets with their pens compose exquisite lines; singers with beautiful rhythm in instruments deliver melodies at night; painters with their color-wheel draw dreamlike works...
Chengdu is a very generous city, a traditional and modern combination, co-existence of tranquility and passion. This is what I like for Chengdu. I am impressed by Jinli, Wenshufang, Kuanxiangzi alley, and Zhaixiangzi alley, etc. Chengdu is a city where once you come and you will feel reluctant to leave"
খুব বেশি কথা না বাড়িয়ে বরং গল্প হোক বরং ছবি দেখে দেখে--
যাত্রা হলো শুরু, ইনচন এয়ারপোর্ট (কোরিয়া) থেকে।
এয়ার চায়নার এই বিমানটি ঢাকার ৩ নাম্বার ৬ নাম্বার বাস এর চাইতে খারাপ। আমার অভিজ্ঞতার সবচাইতে খারাপ বিমান ভ্রমন। সুন্দরী বিমানবালাদের মুখ দেখেও বিরক্তি কাটাতে পারছিলাম না- পরে এক ঘুমে চলে গেছি 'হ্যাফে' শহরে। এখানেই ইমিগ্রেশন পার হয়ে আমাকে অন্য বিমান ধরে আবার ছংদু যেতে হবে। ভয়ে ভয়ে ছিলাম ওদের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এর বিমান এর যদি এই দশা হয় তাহলে লোকালটা না জানি কেমন! না দ্বিতীয়টা এতটা খারাপ ছিল না!
পৌছে গেছি ছংদু। এখানে একটা মজার কাহিনী ঘটেছে। আমার বন্ধু ফ্রেয়া বলেছিল, ট্যাক্সি ড্রাইভাররা নাকি এখানে বিদেশি পেলে ঠকায়, বৃষ্টি হচ্ছিল ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ট্যাক্সি কে কিছু বলারও প্রয়োজন নেই, ফ্রেয়া একটা কাগজে লিখে দিয়েছিল। ওটা দেখালেই হবে। এর মধ্যে একজন এসে আমাকে ইংরেজীতেই জিজ্ঞেস করলো কোথায় যাবো--বললো তাঁর গাড়ী আছে, সে আমাকে পৌছে দেবে। টিপ টিপ বৃষ্টি এর মধ্যে অসহায় এর সহায় হয়ে এলেন ঐ লোক। গাড়িতে উঠলাম, গাড়িটা ভালো পেছনের সিটে ব্যাগ রেখে বসলাম সামনের সিটে। এরপর অনেকক্ষন ঐ লোকের আর কোনো খবর নেই। সে গাড়ি এবং আমাকে রেখে কোথায় যে গেল!! আসে পাশে কোনো লোক নেই, ফোন বুথ নেই। আমি তো পড়লাম মহা চিন্তায়! গাড়ি ছেড়ে যেতেও পারছি না, বাইরে বৃষ্টি! ৩০ মিনিট পর সে ফিরলো আরো কয়েকজন লোক নিয়ে। বুঝলাম পুরো গাড়িটা আমার একার নয়। মনে মনে ভাবলাম, যাক কিছু টাকা বাঁচবে অন্তত! হোটেলে পৌছে দিয়ে সে আমার কাছ থেকে ৭০ ইয়েন নিল। পরে জেনেছি ট্যাক্সিতেই নাকি ভাড়া আসে ৪০ ইয়েন এর মতো!
আর যাই হোক না হোক, হোটেলে এসে রুমটা বেশ পছন্দ হলো। ফ্রেয়া মেয়েটাই ঠিক করে দিয়েছে, কোরিয়া থেকে ফোন করে। এখন আমার প্রথম দায়িত্ব হলো, Wu Qian যার উচ্চারন উ-শিয়ান টাইপের কিছু একটা, ঝামেলা বাদ এখন তাকে আমি ইকো নামে ডাকি, ইকোকে একটা ফোন করে আমার পৌছানোর খবর দিতে হবে, এবং পরবর্তী ৫দিন আমাকে ওদের সাহায্য'র উপরই নির্ভর করতে হবে। ফোন করলাম। ইকো ফোন ধরেই বললো, সে খুব টেনশন করছিল, ঠিক ভাবে পৌছালাম কিনা, হোটেল পছন্দ হলো কিনা, হাবিজাবি নানা প্রশ্ন, কন্ঠে আন্তরিকতার আভাস পেলাম। এবার লাইট নিভিয়ে একটা ঘুম দেয়ার পালা। ইকো পরদিন সকালে আমাকে ডেকে তুলবে ফোন করে।
সকালে ঘুম থেকে উঠলাম ইকোর ফোনে, সে আমাকে রিসিপসানে যেতে বললো সেখানে সে ফোন করে কি একটা কাগজ লিখিয়ে রেখেছে আমার জন্য, যেটা দেখালে ট্যাক্সি আমাকে কনফারেন্স স্থলে নিয়ে যাবে। কনফারেন্স আমার জন্য এই প্রথম নয়, জানি কি হয় না হয়! একটু ভয়ে ছিলাম সব চাইনিজ হয় কিনা, না ওরা ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স এর সম্মান রেখে ইংরেজীতেই বকবক করছে, যাইহোক, কফি খেতে খেতে দুপুর পর্যন্ত কাটানো গেল। মাঝখানে KAIST(কোরিয়ার এক নাম্বার বিশ্ববিদ্যালয়) এর একজন প্রফেসর এর সাথে আলাপ পরিচয় হলো, ভদ্রলোক আমিও কোরিয়া থেকে এসেছি জানতে পেরে...এটা সেটা বললেন কিছুক্ষন এরপর ঢেকি স্বর্গে গেলেও যা করে তাই হলো দু-জনের আলোচনা গিয়ে ঠেকলো টেকনলজিতে, আপাতত সেদিকে না যাই।
আমার গবেষণাটি ছাপার অক্ষরে দেখে ভালোই লাগলো।
কনফারেন্স গুলোতে আমি লাঞ্চ মিস করি না...নতুন নতুন খাবার পরক্ষ করে দেখা যায়। চীনে এসে এই প্রথম চীনা খাবার...এই ছবির পর আর বর্ননার প্রয়োজন নেই আশা করি!
এবার আমার বন্ধুদের সাথে প্রথম পরিচয়ের পালা। ওহ তাঁর আগে বলে নেই
কনফারেন্স থেকে লাঞ্চ শেষেই চলে এসেছিলাম হোটেলে। এরপর ঘন্টাখানেক পরই দেখলাম দরজায় নক, বিরক্তি নিয়ে দরজা খুলতেই দেখি সুন্দরী তিন নারী হাঁসি মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই ছবিতে আমার ঠিক পাশেই আছে ইকো, শিচুয়ান ইউনিভার্সিটিতে চাইনিজ ল্যাংগুয়েজ নিয়ে পড়ছে। তাঁর পাশে উ-লান(এক মাত্র এই নামটাই উচ্চারণ করতে পেরেছি ঠিক মতো) পরছে ফার্মেসিতে, একই ইউনিভার্সিটিতে। আরেকজনের ছবি সামনে কোথাও দেখা হবে। হোটেলে চা দিয়ে গিয়েছিল, চা খেয়েই আমরা বের হয়ে পড়লাম। কোথায় যাবো জানি না। এখানে পৌছার পর ওরা পরিচয় করিয়ে দিল এটা হলো থ্রি কিংডম ছবির সেই বিখ্যাত রাজ-রাজরাদের জায়গা Wuhou (Martial Marquis) Memorial Temple ।
কথিত আছে এই পাত্রে রান্না করে খাওয়া হতো, এটা আমার বন্ধুরাই বিশ্বাস করে না, আমার তো প্রশ্নই আসে না!
যতদূর মনে পড়ে তিনি হলেন রাজামশায়।
এটা একটা বাদ্যযন্ত্র, জীবিত অল্প ক'জন লোক এটা বাজাতে পারে, ওদের একজনই বাজিয়ে না দেখালে আমি বিশ্বাস করতাম না! ভাবতাম মেয়েগুলো আমাকে বোকা বানাচ্ছে।
এই ছবিতে আছে তিনজনই। দুপাশের দুজনের পরিচয় আগেই দিয়েছি, মাঝখানের জনের নাম 'জিন' পুরো নামটা আমি উচ্চারন করতে পারছিলাম না বলে সে ছোট করে এই নামই আমাকে বলেছিল।
এবার আমার পালা ওদের সাথে ছবি তোলার, জিন সাহায্যে এগিয়ে এলো। জায়গাটা খুবই সুন্দর ছিল, একটা বনসাই গার্ডেন, দুঃখজনক ভাবে তখন আমি ডি এস আল আর নিয়ে যাই নি।
জিনলি স্ট্রীট। এ জায়গাটা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল। এতা আসলে একটা আড্ডার চত্তর, কফিশপ, নানারকম শোপিস এর দোকান। এখানে ওখানে আর্টিস্টদের ছবি আকা আকি। রাস্তার খাবার দাবার। এখানে সন্ধার পর আরো একবার আমি যাবো, কারন ইকো বললো সন্ধায় এটা খুব বেশি সুন্দর!
চাইনিজ লন্ঠনের দোকান, এখান থেকে ওরা একটা কিনে আমাকে গিফট করলো। এ জায়গাটার বর্ণনা নিয়ে পরে কখনো লেখার ইচ্ছে রাখছি, কারণ ভালোকরে লিহতে চাইলে এ জায়গা নিয়েই একটা-দুটো ব্লগ লিখতে হবে।
এটা হলো শিচুয়ান ইউনিভার্সিটি, চীনের নামকরা ইউনিভার্সিটি গুলোর একটি, এখানেই আমার বন্ধুরা পড়ছে। সন্ধ্যাটা ওদের ক্যাম্পাসে আড্ডা দিয়ে কাটলো।
সন্ধার পর ওরা আমাকে নিয়ে গেল হটপট খেতে। হটপট চীনের বিখ্যাত একটা খাবার, এটা মূলত ছংদুতেই বেশি পাওয়া যায়। ৩০-৩৫ রকমের মশলা দিয়ে মাঝখানের লালচে যে তরলটা দেখছেন ওটা বানানো হয়। একবার খেলে আজীবন অনে থাকবে এমন ঝাল। এর মধ্যে নানারকম মাংস, সবজী(এমনকি কচি বাঁশও) এগুলো কাঠিতে নিয়ে সিদ্ধ করে খেতে হয়।
ফ্লিক-আর এ একবার আপ করা, এরপর ওখান থেকে শেয়ার করার লিঙ্ক কপি করে করে টায়ার্ড হয়ে গেছি আজ আর শেষ করতে পারলাম না…বাকিগুলো আরেকদিন! এরপর আমরা যাবো পান্ডা দেখতে। যারা জানেন না, ছংদু হলো পান্ডা'র হোম টাউন। আপাতত একটা ছবি দিয়ে দিলাম। বাকী আছে মজার আরো অভিজ্ঞতা। পরের পর্বে লিখবো।
কাজী মামুন
মন্তব্য
ওরে পান্ডার ছবি দেখে শেষটা ভালো লাগলো। লেখাটা পড়ে পড়ি।
পিপি দা, ভ্রমন কাহিনী যেন বিরক্তিকর না হয় এজন্য ছবি যুক্ত করলাম, আর আপনি ছবিগুলোই আগে দেখলেন!! ঠিক আছে লেখা পড়ে আবার মতামত জানাবেন।
কাজী মামুন
ছবি, লেখা ভাল হয়েছে।
আগে কি ধারণা ছিল, এখন কি ধারণা, কি করে পাল্টালো তার বিশদ বিবরণ চাই, নইলে খবরই আছে...
হা হা হা! জায়গা মতোই ধরছেন দেখি! আসলে কোরিয়ান মেয়েদের দেখে আমার ধারণা হয়েছিল, ইস্ট-এশিয়ান মেয়েগুলো সবাই মনে হয় ন্যাকাই হয়, বয় ফ্রেন্ড এর হাতে ব্যাগটা দিয়ে ওদের কাধে চড়তে না পারলে এদের ডেটিং পূর্ণ হয় না। এই ন্যাকামো নিয়ে বিশদ বর্ননায় আলাদা পোস্ট দেয়া যাবে। আমার চাইনিজ ঐ তিন বন্ধুকে দেখে মনে হলো না ন্যাকামোর ঐ সমস্যাটা কোরিয়ান মেয়েগুলো অনন্য, এর চাইতে চাইনিজরা অনেক স্মার্ট। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকুন।
কাজী মামুন
মামুন ভাই, পোস্ট পছন্দ হয়েছে
কুটুমবাড়ি
চাইনিজ মেয়েরা বিদেশী ছেলেদের খুব পছন্দ করে, কেন করে তা কানে কানে বলতে হবে আপাতত এটুকু তথ্য জেনে রাখুন। আর এমনিতে ওভার-অল আরো কিছু আলোচনা আসবে। তত্ত্বের চাইতে গল্পে গল্পেই বলবো!
হটপট আসলেই মজার। তবে ওটা ছংদু গিয়ে খাওয়াটাই ভালো হবে। কারণ এখানে কোরিয়াতে আমি খেয়েছি জঘন্য লেগেছে।
কাজী মামুন
আমি কান পেতে রই...
কুটুমবাড়ি
অস্ট্রেলিয়াতে নাকি আফ্রিকান ব্ল্যাক ছেলের ভালো ডিমান্ড, একই অবস্থা কোরিয়াতেও। লম্বা সময়ের জন্য না হলেও অল্প সময়ের ফ্যান্টাসীর জন্য মেয়েরা ওদের ঠিকই পছন্দ করে। কেন করে এটা অনুমান করে নিতে পারেন।
এখনে গণ গোসল খানা টাইপ একটা জায়গা আছে, সবাই একসাথে ন্যাংটা-পুটো হয়ে গোসল করে, এরকম কোনো জায়গায় কখনো চাইনিজ কোরিয়ান দের সাথে গেলে বুঝতে পারবেন কেন চাইনিজ মেয়েরা ইস্ট এশিয়ান দের বাইরের বিদেশী ছেলেদের পছন্দ করে।
কাজী মামুন
একই কথা মনে হয় চাইনিজ মেয়েদের জন্যও প্রযোজ্য।
কুটুমবাড়ি
এখানে এখন অমন জায়গা কোথায় পাই? আপনিই খুলে কন...
লেখা পড়ে আর ছবি দেখে ভালো লেগেছে। পুরোপুরি মুগ্ধিত।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
আরো অনেক ছবি আছে, লেখা শেষ হলে আমি ফ্লিক-আর এ দিয়ে দেব সবগুলোই। আসলে এখানে ছবি সংযুক্ত করাটা এবং সেই ছবিকে প্লেসমেন্ট করাটা আমার বেশ ঝামেলাকর মনে হচ্ছে। সচলায়তন কর্তৃপক্ষ এটা নিয়ে ভাবতে পারেন। ফেসবুক নোটস কে এক্ষেত্রে ফলো করা যেতে পারে।
ধন্যবাদ জাকির ভাই।
কাজী মামুন
"সুন্দরী তিন নারী হাঁসি মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।"
তাই ... না?? হে হে ভালা ভালা চালাই যান
আরো একজন এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চেয়েছিলাম।
কারণ সহ জানাবো নাকি এখানে?
কাজী মামুন
ভাইয়া, আপনার ভ্রমন তো জোস হইছে......আমারো কনফারেন্স এ যাইতে ইচ্ছা করে।
গ্রেজুয়েশন শেষ করে যোগাযোগ করো।
এখানে মাস্টার্স-পি এইচ ডি স্কলারশীপ এর সাথে প্রতি বছর বিভিন্ন দেশে ঘুরোঘুরিটাও যুক্ত থাকে। বিনে পয়সায় ঘুরতে ভালোই মজা!
শুভকামনা!
কাজী মামুন
দাদা অনেক দিন এক চৈনিক ললনার প্রেম এ হাবুডুবু খেতাম ...পরে মনে হলো ললনা করলো কি ছলনা ..
ওরা বাঙালি বিয়ে করে ঠিকই, কিন্তু ভাষা নিতে অনেক ফাপরে পরতে হয় ..
চীন আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র অথচ কত আকাশ পাতাল দুরত্ব মানুষ আর সমাজ এ
এ তো দেখি মা'র কাছে মামা'র বাড়ি গল্প হয়ে গেল, আপনি চীনা জামাই, আর আমি পাঁচ দিনের বৈরাগী। সময়করে আপনার গল্পও শোনাবেন একদিন।
কাজী মামুন
চাইনিজ খাওয়া দেখে তো জিবে জল এসে গেল দাদা। ছবি গুলাও দারুন হয়েছে। আর ললনাদের কথা আলাদা ভাবে বললাম না।
অনন্ত
চাইনিজ খাবার এর মধ্যে, ছংদু'র খাবার একটু অন্যরকম। আমাদের অনেক মশলা'র সাথে মিল আছে ওদের। হটপট টা তো অসাধারণ, আরো কিছু স্ট্রিট ফুড এর কথা আসতে পারে পরের পর্বগুলোতে। ললনা...হা হা হা! আমাদের এখানে অনেক চৈনিক প্রেমিক আছে...
থ্যাঙ্কস!
কাজী মামুন
"কারণ সহ জানাবো নাকি এখানে?"
কৃতজ্ঞতা জানান, সমস্যা নাই, কিন্তু কারনটা আপাতত উহ্যই না হয় রাখেন
সুধী দর্শক থুক্কু পাঠক, আমার এই ট্যুর এর জন্য আমি নুভান এর কাছেও কৃতজ্ঞ, কারণতো বলা নিষেধ! কানে কানে বলার একটা সিস্টেম থাকলে ভালো হতো
কাজী মামুন
চমৎকার লেখা পড়ে লেগেছে বেশ ভালো,
ইচ্ছে করছে চাইনিজ লন্ঠন দিয়ে জ্বালাই ঘরের আলো !
খাবারগুলো দেখে লেগেছে খুবই লোভ,
আমায় না দিয়ে একাই খেলেন মনে ভীষন ক্ষোভ !!!
ফিসফিস
কোবতে টা মারাত্তক হইসে! আগে পাইলে লেখার সাথে জুইড়া দিতাম!
কাজী মামুন
সিরিজ চলুক...
হাতুড়ি বাটাল রেডি আছে, খালি পোস্ট প্রথম পাতা থেকে সরে যাওয়ার অপেক্ষায় আছি, এই সিরিজটা এক টানে শেষ করবো আশা করছি।
নতুন মন্তব্য করুন