পর্ব আকর্ষণঃ পান্ডা দেখা ও চীনা বহুবর্ণিল চা খাওয়া
চার হাজার বছরের পুরোনো ব্রোঞ্জ সভ্যতার শহর ‘ছংদু’, দক্ষিন চীনের রাজ্য সিচুয়ান এর রাজধানী, আমার যাত্রার কেন্দ্রস্থল। চীনের যে কোনো দিকে গেলে আমরা পাবো হাজার হাজার বছরের ইতিহাস।
ছবি ও গল্পে প্রথম পর্বে যাত্রার উদ্দেশ্য সম্পর্কে লিখেছিলাম, লিখেছিলাম আমার ভ্রমন ও প্রথম দিনের দেখা ও জানা ছংদু সম্পর্কে। সেই সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম আমার ভ্রমন সঙ্গিনীদেরকে।
চীনের সবাই কেমন জানি না, তবে ওদের তিনজনকে দেখলাম ওদের ইতিহাস ওরা খুব ভালোই জানে। খ্রিস্ট জন্মের ৩০০/৪০০ বছর আগের ইতিহাসও গড়গড় করে বলে গেল। শুধু রাজ-রাজরা দের ইতিহাসই নয়, আছে সাধারন মানুষের সুখ দুঃখের ইতিহাসও। ওদের গল্পে অনায়াসেই ঠাই করে নিয়েছে সপ্তম অষ্টম শতাব্দী’র চীনা বিখ্যাত কবি লি বাই ও দু ফু’র ইতিহাসও। আছে মোঙ্গল দের অত্যাচার এর কাহিনীও। তের শতাব্দীতে ছংদু’র ১৪ লক্ষ নিরিহ লোককে কি করে মোঙ্গলরা হত্যা করলো, সেই বর্ণনা আছে এতে। আজ যখন আমি মঙ্গোলিয়ান বন্ধুটির কাছে মঙ্গোলিয়ায় চীনাদের অত্যাচার এর গল্প শুনি তখন মনে মনে ভাবি, প্রতিটি জাতিকেই তাদের পূর্বপূরুষদের অত্যাচার এর প্রতিফল ভোগ করতে হয়! চীন ডাউনাস্টি নামে একটা ডায়নাস্টির গল্প শোনলাম ওদের কাছে, সম্ভবত ওটা থেকেই বাংলায় চুংগোয়া (চীনের চীনা নাম যার মানে পৃথিবীর কেন্দ্র বা এরকম কিছু) কে আমরা বলি চীন, ইংরেজীতে চায়না। ওহ! ‘বাংলাদেশ’ যদি হঠাৎ করে কোনো চীনাকে বলেন তাহলে চিনবে না, ওরা আমাদের দেশকে চিনে ‘মনজালাগোয়া’ নামে। গোয়া মানে রাষ্ট্র বা দেশ।
ইতিহাস অনেকের কাছে বিরক্তিকর, আবার মজারও। ইতিহাসের দর্শন আরো মজার! তবে আজ আর ইতিহাস নয়, আমরা ফিরে যাই ছবি গল্পে। হটপট খাওয়া পর্যন্ত শেষ করেছিলাম প্রথম পর্বে- আজ এরপর থেকে।
হটপট খেয়ে আমরা হেটে হেটে রাতের ছংদু দেখতে বের হলাম। ছংদু শহরটি বৈচিত্রময়। একদিকে দেখলে মনে হবে, এশিয়ার উন্নত শহরগুলোর একটি, অন্যদিকে মনে হবে ছিমছাম কোনো মফস্বল শহর। জিন নদীর এপার ওপারে অনেক পার্থক্য। তবে দুপাশই আমাদের ঢাকার চাইতে হাজার গুন পরিচ্ছন্ন নিঃসন্দেহে।
.
.
ইকো আমার নতুন বন্ধু, সে বললো ছংদু শহরের মানুষ একটু আয়েসী জীবন যাপন করতেই পছন্দ করে। চীনের অন্যান্য উন্নত শহরগুলোর ব্যস্ততা নেই এখানে। কাজ সেরে হেলে দুলে বাড়ি ফিরছে লোকজন, কেউবা এখানে ওখানে আড্ডায় মেতেছে।
.
.
পরদিন সকালের ছবি, আমার সাথে ইকো। তিনজনের মধ্যে তার সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এখনো মাঝে মাঝে চিঠি লেখে; কাগজের চিঠিও, শুধু ইমেইল নয়।সকালে নাস্তা সেরে, চা হাতে নিতেই ইকো’র ফোন- “তাড়াতাড়ি বের হও, আমাদের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে, আমরা পান্ডা দেখতে যাবো আজ”। তড়িঘড়ি করে পেন্ট এর মধ্যে দু’পা ঢুকিয়েই নিচে নামলাম। এই দিন জিন এর ‘মিস করা যাবেই না’ এমন কিছু ক্লাস থাকায় আমার সঙ্গী হয়েছে ইকো আর উ-লান। আমরা এসেছি পান্ডা দেখতে। পৃথিবীর বিলুপ্তপ্রায় প্রানীদের অন্যতম পান্ডা, সবচেয়ে বেশি টিকে আছে এই শহরেই। এখানকার আবহাওয়া, বিলুপ্তপ্রায় বাঁশ, মানুষের ভালোবাসা সবকিছুই এখন পর্যন্ত এখানে পান্ডাগুলোকে টিকিয়ে রেখেছে।কথা কম বলি, আমরা এখন ঝটপট কিছু ছবি দেখে নেই।
.
.
আহারে এমন নিরিহ সুন্দর প্রানীর নাম পান্ডা। বাংলায় ‘পান্ডা’ গালি হিসেবে ব্যবহৃত হয় কেন কে জানে!
.
.
দিনের অধকাংশ সময় এরা ঘুমায়। বিশেষ করে বয়স্ক পান্ডাগুলোর খাওয়া, ঘুম আর বাচ্চা উৎপাদন ছাড়া আর কিছুই করতে দেখা যায় না। আমার ভাগ্য ভালো, তখন আধা বয়স্কগুলো ঘুম থেকে উঠে সবে মাত্র খেলাধুলা করতে শুরু করেছে। না হলে বাংলাদেশের মতো ঢিল দিয়ে তো কেউ ওদের জাগ্রত করতো না!
.
.
যদিও দেখছেন খুব কসরত করছে, আসলে তা না! একজন উঠেছে গাছে তার পিছনে পিছনে একে আরো কয়েকটা উঠে গেল।
.
.
এবার আহার পর্ব। পান্ডা এই বিশেষ প্রজাতির বাঁশ ছাড়া আর কিছুই খায় না। ভালুক এর কাছাকাছি জাত হয়েও এদের নিশ্চিহ্ন হওয়ার এটা একটা বড় কারণ। এদের খাওয়া খুব সুন্দর, মানুষের আখ খাওয়ার মতো করে বাঁশ ছিলে ছিলে ভিতরের শাঁষটুকু খাচ্ছে।
.
.
জায়ান্ট পান্ডা দেখা শেষ, অনেক ছবি তুলেছি, সব দেয়া গেল না। এবার অন্যদিকে যাওয়ার পথে ফটোসেশন। বাঁশ বাগানের ভিতর দিয়ে সুন্দর বাঁধানো রাস্তা, এ ছবিতে আমার সাথে আছে এখানে উ-লান।
.
.
যাত্রাপথে একি! এ দেখি ময়ুর! না খাঁচা বন্দী নয়, একেবারেই উন্মুক্ত। তাও একটা নয় দুটো একসাথে। একটা দুটো ছবি তোলার পরই পাতার আড়ালে লুকিয়ে পড়লো।
.
.
এবার আরো একজন সামনে এসেছে, কিন্তু না তিনি মুখ দেখাতে রাজী নন!
.
.
এটা শিশু পান্ডাদের উৎপাদন ও পরিচর্যা কেন্দ্র। বাচ্চা অবস্থায় এদের কে বিশেষ যত্নে রাখা হয়। গ্লাস বন্দী অবস্থায় আমার বন্ধু দু’জন শিশু পান্ডার সাথে হাত ছোয়া ছোয়ির চেষ্টা করছে। পান্ডা শিশুও ভীষণ দুষ্ট, সে একবার হাত দেয়, আবার সরিয়ে নেয়। এদের বিন্দুমাত্র মনুষ্যভিতি নেই দেখে কিছুটা অবাক হলাম। পান্ডাও মনে হয় মানুষ চিনে!
.
.
সাফারী পার্কের ভিতরেই লাঞ্চ সেরে নেবো ভেবে আমরা ভিতরের একটা রেস্টুরেন্টের দিকে যাচ্ছিলাম। সুন্দর একটা লেকের পাড়ে রেস্টুরেন্ট। পথে এই ফুল এ চোখ আটকে গেল। যতই সুন্দর হোক এই ফুল কিন্তু পোকা ধরে ধরে খায়। ছোট বেলায় আফ্রিকার জঙ্গলের মানুষ খেকো গাছের কথা অনেক বইয়ে পড়েছি, সে গল্প মনে পড়ে গেল!
.
.
আমরা খেতে বসেছি লেকের পাড়ে, লেকে মাছ আর রাজহাঁস এর অবস্থা দেখুন! এ দিকে সম্ভবত মাছদের খাবার দেয়া হয় এজন্য এতটা ভীড়।
.
.
টমেটো দিয়ে ডিম ভাজির মতো একটা খাবার এবং আরো কিছু চীনা খাবার দিয়ে লাঞ্চ সেরে, চা খেয়ে আমরা এসেছি রেড ‘পান্ডা দেখতে’। গড়ন কিছুটা বেড়ালের মতো হলেও দেখতে এরা ‘জায়ান্ট পান্ডা’র চেয়ে কম সুন্দর নয় কিছুতেই!
.
.
এখানে একজন গাছে গাছে ছুটোছুটি করছেন। জায়ান্ট দের চেয়ে রেড পান্ডারা একটু বেশি দ্রুত গতির তবে নিরিহ একই রকম। এটাও বিলুপ্তপ্রায়।
.
.
নিচ থেকে একজন ওঠার চেষ্টা করছেন, আর উনি আগ্রহ ভরে দেখছেন তা। পান্ডাগুলো নিরিহ হলেও ওদের কাছ থেকে দূরে থাকা ভালো কারণ, এদের নখ খুব ধারালো, এই নখ এদের বাঁশ ছিলে খেতে সহয়তা করে।
.
.
এই দৃশ্য দেখি আমি পান্ডা দেখে ফেরার পরদিন। এদিন ইকো’র সাথে বের হয়েছি জিন নদীর পাড়ে হাঁটতে। ইকো এসেছে আজ সামনে ঝুড়িঅলা একটা সাইকেল নিয়ে, জিন আর উলান দু’জনই ব্যস্ত আজ। ইকো কিছুটা টমবয় টাইপ মেয়ে। মেয়েদের চাইতে ছেলেদের সাথে মিশতেই সে বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করে। বোর্ড স্কেটিং এ পারদর্শী, ভ্রমনপ্রিয়। আজ দুজনের নদীর পাড় ধরে হাটাহাটি আর শহর দেখা পর্ব। আমি একটু অবাক হলাম, দেখলাম নদীর পাড়ে পাড়ে বিভিন্ন জায়গায়, মঞ্চ’র মতো করে দেয়া- সেখানে মিউজিক হচ্ছে, বুড়োবুড়িরা হাত ধরে ধরে নাচানাচি করছে। ভাবলাম, কোনো বিশেষ দিন! ইকো বললো, না, এমনটা প্রতিদিনই হয়, আগেই বলেছি ছংদু’র লোকেরা আমুদে প্রকৃতির!
.
.
এটা জিন নদী। শহরের বুক চিড়ে বয়ে গেছে। এক পাশে ব্যস্ত আধুনিক শহর অন্যপাশে শান্ত সুনিবিড় মফস্বল। নদীর এই পাড়ে গড়ে উঠেছে চা দোকান, না আধুনিক দোকান নয়, আমাদের বাংলাদেশের মতোই ছাপড়া চা দোকান। নদীর ঠিক পাড় ঘেষেই বসতে দেয়া হয় লোকজনদের, চা খেতে খেতে এরা দেয় ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা, চা শেষ হয়ে গেলে কিছুক্ষন পরপর এসে আবার গরম চা ঢেলে দিয়ে যায়। আমরা হাটছি। গল্পে গল্পে, ইতিমধ্যেই বেশ ভালো বন্ধু হয়ে গেছি আমরা দু’জন।
.
.
নদীর পাড় ঘেষে একটা দোকানে বসেছি আমরা। সস্তা কাচের গ্লাসে চা দেয়া হয়েছে। দামও অনেক কম। এখানে আছে শত রকমের চা। নানা রকম ফুল থেকেও এরা চা তৈরী করে। নানা বর্ণের নানা গন্ধের চা পাওয়া যায় এখানে। আমি কিছুই চিনিনা। ইকোকে বললাম আমার জন্য একটা পছন্দ করে নিতে।
.
.
গল্পে গল্পে কতক্ষন কেটেছে মনে নেই। হঠাৎ ইকো বললো- “তোমার সাথে পরিচয় মাত্র দু-দিন হলো, অথচ মনে হচ্ছে কতদিন ধরে চিনি তোমাকে!”
আজ এখানেই!
সম্ভবত আগামী পর্বে শেষ করবো. পর্ব আরো বাড়বে কিনা নির্ভর করছে পাঠকদের আগ্রহ, গল্প বলার মুড আর ছবি আপলোড করার ধৈর্য্য’র উপর!
প্রথম পর্ব (যারা পড়তে ইচ্ছুক, তাদের জন্য লিঙ্ক)
কাজী মামুন
ছবিস্বত্ত্ব- লেখকের। (আমার সকল ছবি বানিজ্যিক স্বার্থে অনুমতি ছাড়া ব্যবহার যোগ্য নয়, তবে অনুমতি ছাড়াই আমার নাম দিয়ে অবানিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে।)
মন্তব্য
ছবিগুলো দেখে ভালো লাগছে, লেখা আরেকটু বিস্তারিত হলে ভালোলাগা আরেকটু বিস্তারিত হয় !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
জাকির ভাই, লেখা একটু বেশি বিস্তারিত করা নিয়েই আসলে আমি চিন্তিত। ছবিব্লগ বলে যদি খালি ভ্রমনগল্প দিয়ে ভরিয়ে ফেলি তাহলে আবার না পাঠক বিরক্ত হয়! আচ্ছা নেক্সট পর্ব থেকে তাহলে ঐদিকে মনোযোগ দেবো। তখন আবার গালিগালাজ কইরেন না!!
কাজী মামুন
আপনি কি শুধু ছংদু গেছিলেন ? ছংদু নিয়ে ছবির পাশাপাশি ভ্রমণ কাহিনীও লিখেন। ভালো লাগলে একবার ট্রাই করুম।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
বেশি জনপ্রিয়তার প্রতি আমার কেমন জানি একটু দূরত্ববোধ কাজ করে।
ভাবছিলাম, চীন এলাম, চীনের প্রাচীর না দেখেই ফিরবো। এরপর মনে হলো সময় মাত্র পাঁচদিন, এ সময়ে আমি চীনের প্রাচীর দেখতে গেলে আর কিছুই দেখা হবে না। শুধু এটুকু বলতে পারি পাঁচদিন খুব ভালো কেটেছে। মনে রাখার মতো সময় কেটেছে। আপনি কখনো গেলে জানাবেন, সাহায্য করতে পারবো, আর আমার বন্ধু'রা এখনো আছে।
কাজী মামুন
এই চ্রম খ্রাপ পোস্টের জন্য আপনাকে নুরুমানিকের্বামহাত দেওয়া হল -
আর আপনি পেয়েছেন কি? খালি ইঙ্গিত দিয়ে চুপ যাবেন, আর উসখুস করার দায়িত্ব পাঠকের? এইসব অশ্লীষ কাজকর্ম চলবে না। চা খাওনের ধুনফুন রাখেন, ব্যাপার্স্যাপার পষ্ট কইরা কন। নইলে আপনার ইকো-ট্যুরিজমের খবরই আছে!
ধুর মিয়া লিখতে আসছি ছবি ব্লগ আপনি জানি কি না কি শুনতে চান!
নেন আপাতত (গুড়) খান, সচলে নতুন আইছে। যৌবন বর্ধন (গুড়) এটা, এভারেষ্টে চড়তে পারবেন।
উপরেরটায় মন না ভরলে-
নিচের এইটা থেইকা বাইছা নেন!
কাজী মামুন
এ গুড়ে চলবে না। ভালো চৈনিক নলেনগুড় চাই।
(গুড়)
সবকিছু কিলিয়ার করতে অইবো মামুন !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
জোস হইছে ভাইয়া
থ্যাঙ্কস জেমাম। পড়ছো, আমি এতেই খুশি!
কাজী মামুন
হায় চিন,,, সোনালী স্বপ্নের চিন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কি নজরুল ভাই, যাবেন নাকি? গাইড লাগলে আওয়াজ দিয়েন
কাজী মামুন
ভালো লাগল।
ফুলগুলো এত সুন্দর! ছোপ ছোপ বেগুনি রঙ দেখে নকশা মনে হচ্ছিলো। এর চরিত্র জানার পরে মনে হচ্ছে জমাট বাঁধা রক্ত।
লেকের মাছগুলো দেখে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়।
ইকো মেয়েটা ভারি মিষ্টি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বাহ! এভাবে তো আমিও ভাবিনি! কবিত্ব আছে আপনার মধ্যে!
অনেক ধন্যবাদ!
কাজী মামুন
আমিও বেশ আরাম আয়েশ করে পড়লাম। পান্ডার ছবি ভাল লাগল। তবে প্রতিধ্বনির ছবিটা বেশি ভাল পাইলাম। আশায় আছি পরের পর্বে ওই "আলোচনা"র পরের অংশ থাকবে।
অনন্ত
উচ্চারণের ঝামেলার জন্য আমি ইকো নিম্ফ থেকে নাম দিলাম ইকো আপনি দেখি একেবারে বাংলা নামই দিয়ে দিলেন!
হা হা হা!
কাজী মামুন
চলুক আপনার ইকো-ট্যুরিজম। চোখ-কান খোলা রাখলাম। পরের অংশ তাড়াতাড়ি ছাড়েন, নইলে আপনার খবরই আছে।
কুটুমবাড়ি
আগ্রহের কথা জেনে ভালো লাগলো। আজই আরো একটা পর্ব শুরু করবো। ছবি আপ করা শেষ।
ভালো থাকুন
কাজী মামুন
বানান যোদ্ধাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, আপনারা চোখে পড়লে দয়া করে আমার লেখার বানান ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন।
অনেক বানানই আমার জানা নেই, 'টাইপো' বা 'অনিচ্ছাকৃত' অযুহাত দেবো না।
আরেকটা ব্যাপার পাঠক এবং কষ্ট করে মন্তব্যকারীদের প্রতি আমি চেষ্টা করি প্রতিটি মন্তব্য'র উত্তর দিতে। এটা আমার অভ্যাস, তবু মাঝে মাঝে নানারকম ব্যস্ততার কারণে এক-দুইদিন দেরি হলে আপনারা দয়াকরে মনোক্ষুন্ন হবেন না।
কাজী মামুন
দেখে দেখে পান্ডা,
মন হল ঠান্ডা !
নানা রঙের চায়ের স্বাদে,
পাইনা কিছুই ইকো বাদে !!!
ফিসফিস
মন দিয়ে আপনার এই সিরিজ পড়ছি। বেশ ভাল লাগছে আপনার সাথে ছংদুর রাস্তায় বেড়াতে।
---
" যতই সুন্দর হোক এই ফুল কিন্তু পোকা ধরে ধরে খায়"
মনে হয়না। ছবির ফুল দেখতে ফক্সগ্লভ এর মত। ডিজিটালিস গোত্রের এই গাছ-ফুল বিষাক্ত বটে, কিন্তু যে পরিবেশে থাকলে গাছের আমিষে রুচি হয়, এরা মোটেই সে পরিবেশের নয়।
নতুন মন্তব্য করুন