চা-আড্ডা শেষে, আমি আর ইকো, দুজন নদীর পাশ ধরে হাঁটতে হাঁটতে গেলাম শিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে, ইকো’রা যেখানে পড়ছে। গল্প আর আড্ডার বিষয়বস্তু সম্পর্কে কেউ কেউ জানতে চাচ্ছিলেন, মূল বিষয়বস্তু চীন, বাংলাদেশ, কোরিয়া, ভ্রমন, ভালো লাগা, মন্দ লাগার মতো সাধারণ বিষয়গুলোও।
মাঝখানে কিছুক্ষন চললো ভাষা শেখার এবং শেখানোর চেষ্টা। আমি ‘শুভ সকাল’, ‘কেমন আছেন?’ ইত্যাদি প্রাথমিক কিছু বাংলা শেখালাম, শিখলাম, ‘ওয়া আই নি’(আমি তোমাকে ভালোবাসি), ‘ওয়া শিহোয়া ছংদু’(আমার ছংদু খুব পছন্দ হয়েছে) এমন কিছু চীনা ভাষা। আমার উচ্চারন দেখে অবশ্য ভবিষ্যতের চীনা ভাষার শিক্ষিকা ইকো খুব একটা সন্তষ্ট হতে পারলো না। একটা বিষয়ে ভুল ধারণা কাটলো, আমি আগে জানতাম চীনা ভাষায় অসংখ্য বর্ণমালা, ইকো বললো যে না, বেসিক বর্ণমালা মানে ‘উপর থেকে নিচ’, ‘নিচ থেকে উপর’, ‘প্লেইন’ এমন কিছু ধ্বনি, এগুলো খুব বেশি নয়। সমস্যা হলো এই অল্প কটা দিয়েই শব্দ তৈরী করতে হয়। আর এদিক ওদিক চক্রাবক্রা যে একটা রেখা সমস্টি আমরা দেখি ওগুলো একেকটা আসলে একেকটা শব্দ। যা আলাদা আলাদা করে শিখতে হয় ‘প্যাটার্ন’ ফলো করে করে। আগে ত্থেকে না বলে দিলে তাই কারো পক্ষে শুধুমাত্র ওই ধ্বনিগুলো দিয়ে শব্দ তৈরী করা সম্ভব নয়। 'গ্রামার' খুব একটা ‘মেইন্টেইন’ না করলেও হয়।
হবু-ভাষা শিক্ষিকার কাছ থেকে ভাষা জ্ঞান নিতে নিতে ক্ষুধাও কিছুটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। ইকোই জিজ্ঞেস করলো আগে, “কি খাবে?” বললাম, “প্রতিদিন তোমরা খাও এমন কিছু”। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইটের সামনেই একটা দোকানে গেলাম।যা খেলাম তা ছবিতেই দেখুন।
খাওয়া শেষে ইকো বললো, সে কোরিয়ান একটা ছেলেকে চাইনিজ শেখাচ্ছে, আজ তার পড়াতে যাওয়ার কথা, যেতে ইচ্ছে করছে না। আমি বললাম, যাও, আমার কিছু কেনাকাটা করতে হবে তুমি আমাকে একটা ‘শপিং সেন্টার’ এর ঠিকানা লিখে দাও আমি এই সময়ের মধ্যে কেনাকাটাটা সেরে নেই। ইকো আমাকে শাংজি রোড এর কথা বললো, সবকিছু পাওয়া যায় এমন একটা জায়গা। সে একটা কাগজে কি কি সব লিখে দিল বললো, এখন আমি একটা ট্যাক্সি ঠিক করে দিচ্ছি। ফেরার পথে তুমি এটা ট্যাক্সিকে দেখালে তোমাকে ঠিক এখানেই আবার নিয়ে আসবে। যাওয়ার আগে ইকো আমাকে একটা ফোন বুথ দেখিয়ে দিলো, এবং শিখিয়ে দিলো কি করে প্রয়োজন হলেই তাকে ফোন করতে হবে। ইকো পড়ানোর কাজটা শেষ করে আসুক। এবার আমার সাথে চলুন একটু শাংজি স্ট্রীট দেখে আসি।
ট্যাক্সিতে ওঠার আগেই ফোন বুথের একটা ছবি তুলে নিলাম, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে যেন এই ছবি দেখিয়ে অন্তত কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারি, এটা কোথায়!
শাংজি স্ট্রীটে এসে দেখি এলাহী কারবার! বসুন্দরা সিটির মতো সারি সারি শপিং কমপ্লেক্স, অনেক লোকজন এখানে সেখানে আড্ডায় মশগুল, ফুটপাথে খাবার এর দোকান
ইলেকট্রনিক্স মার্কেটে কিছুক্ষন ঘুরে দেখলাম।
হঠাৎ চোখ আটকে গেল, রাস্তার ঠিক মাঝখানে এই সুন্দর ডিজাইনের ছোট্ট বিল্ডিংটাতে, কেছে গিয়ে দেখলাম একটা কফি শপ। মনে মনে ভাবলাম এখানে একবার কফি খেতে আসতেই হবে, তবে একা নয়!
এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে এই স্টেচুটার দিকে চোখ গেল, ছবি তুলে নিলাম, পরে ইকো পরিচয় করিয়ে দিলো, বললো ইনিই সেই ‘চীন রিপাবলিক’ এর জনক, বিখ্যাত বিপ্লবী ‘সান ইয়াৎসেন’।
কেনাকাটার বিশেষ কিছু পেলাম না। দুটো পুতুল কিনলাম উ-লান আর জিন এর জন্য, আর পুতুল আকৃতির একটা ব্যাগ কিনলাম ইকো’র জন্য। ঘুরোঘুরি শেষে ততক্ষনে সময় হয়ে গেছে ইকো’র সাথে আবার দেখা করার।
ট্যাক্সি কে ইকোর দেয়া কাগজটা দেখানোর পরই ট্যাক্সি- ড্রাইভার আমাকে ইশারা করলো উঠে বসার জন্য। কোরিয়ার অভ্যাস অনুসারে সামনের সিটেই বসলাম। ওহ কোরিয়াতে ছেলেরা একা কেউ ট্যাক্সিতে উঠলে সামনের সিটেই বসে, এতা ড্রাইভার এর প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য। এখানে একটা মজার ঘটনা ঘটলো। ট্যাক্সি ড্রাইভার দেখলাম গাড়ী চালাতে চালাতেই ফোন বের করে কাকে যেন ফোন করলো। এর কিছুক্ষন পর সে ফোনটা আমার দিকে এগিয়ে দিলো। আমি হাতে নিলাম, iPhone, মনে হলো এখানে ট্যাক্সি ড্রাইভাররাও বেশ ধনী। সে আগ্রহ নিয়ে আমাকে দিলো ফোন দেখতে, আমিও আগ্রহ নিয়ে উলটে দেখছি, সে তখন কি জানি ইশারা করলো, আমি তখন ফোন স্ক্রীন এর দিকে দেখলাম, বুঝলাম, ফোনের অপর প্রান্তে কেউ একজন আছে এবং ড্রাইভার আমাকে তাঁর সাথে কথা বলতে বলছে। আমার বিষ্ময় বাড়লো! ফোন কানে নিয়ে বললাম “হ্যালো”। অপর প্রান্ত থেকে একটি মেয়ে কন্ঠ বললো হ্যালো… কিন্তু এটা ইকো নয়, আর ইকো’র নাম্বার তাঁর পাওয়ার কথাও নয়! বলুন দেখি এটা কে?
হা হা হা, আমি বেশ মজা পেলাম, মেয়েটা পরিচয় দিলো, বললো ট্যাক্সির ড্রাইভার তাঁর ‘বয়ফ্রেন্ড’। সে এখানে কোনো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, তাঁর বয়ফ্রেন্ড তাকে ফোন করেছে আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য এবং আমি কোথা থেকে এসেছি, কেন এসেছি, কি করছি এসব জানার জন্য। কথোপকথন শেষে মনে মনে হাসলাম।
পরিচিত লাগছে? ভাবছেন- আবার এই ছবি কেন? শিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছে দেখি ইকো অপেক্ষা করছে আমার জন্য গেটের বাইরেই। বললাম, চলো তোমাকে একটা জায়গায় নিয়ে যাবো, জানতে চাইলো কোথায়, বললাম শাংজি স্ট্রীটে। জিজ্ঞেস করলো আবার কেন? বললাম চলো আগে তারপর বলি। এসেছি কফি খেতে।
ভিতরে ঢুকে দেখলাম কফি হাউজটা আসলেই খুব সুন্দর।প্যারিসে শুনেছি রাস্তার মাঝখানে এমন কফিশপ থাকে, সম্ভবত ঐ রীতি অনুসারেই করা হয়েছে।
ভিতরের ডিজাইন এর কয়েকটা ছবি নিলাম সাথে সাথেই। মাঝখানে টেবিলে ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর ব্যবস্থা আছে, যারা একা একা আসে তারা মনে হলো কফি খেতে খেতে ব্রাউজিং করে। আছে নানা রকম ম্যাগাজিন।
ইকো বললো সেও এই কফি শপে অনেকবার আসতে চেয়েছে কিন্তু একা একা আসতে ইচ্ছে করেনি। আমরা দুজনে দুটো কফি নিলাম। চললো গল্প। সুখ-দুঃখের কথপোকথন।
ভাবুন দেখি কি হয়েছে! ইকো আমার ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা ব্যাগ থেকে সবেমাত্র বের করেছে, এর মধ্যেই আমি আমি ক্যামেরা তাক করে বসে আছি তার দিকে!
কফি আর গল্পে, সন্ধ্যা হয়ে গেল। ইকো বললো “চলো এবার আমি তোমাকে একটা জায়গায় নিয়ে যাবো।” আমি আর জিজ্ঞেস করলাম না “কোথায়!”, বললাম, “চলো।”
ইকো আমাকে নিয়ে এসেছে বার, ক্লাব এমন গ্যাঞ্জামের একটা জায়গায়। আমি বললাম, আমার গ্যাঞ্জাম ভালো লাগে না! সে বললো, “চলো সামনে!”
বার ক্লাবগুলো জমে উঠেছে ততক্ষনে। সামনে ঝোপ ঝাড় জঙ্গল গুলো পার হয়ে আসার পর দেখলাম সেই নদীটা, জিন নদী।
এত অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য! যা ছবি কিম্বা ভাষা কিছুতেই প্রকাশ করবার নয়! পাশে নদী বইছে নিস্তরঙ্গ।
সেই চা দোকান গুলোর মতোই এখানেও নদীর পাড় ধরেই টেবিল চেয়ার দেয়া হয়েছে অন্য পাড়ের ভয়াবহ সুন্দর দৃশ্য। যারা নিরবতা পছন্দ করে তাদের জন্য বারগুলো থেকে এখানেই ড্রিঙ্কস এনে দিয়ে যায়। এই ছবিতে ইকোর পিছনে যে ব্রিজের মতো দেখা যাচ্ছে ওটা আসলে ছংদু’র বিখ্যাত একটা ‘রেস্টুরেন্ট’।
গল্প, আড্ডায়, সময় ফুরিয়ে গেল দ্রুত।
ইকোকে জিজ্ঞেস করলাম, “তোমার ফিরতে হবে কখন?” বললো “১১টায় হলে ফেরার নিয়ম”। ঘড়ি দেখলাম, ততক্ষনে সাড়ে এগারোটা বাজে! ইকো বললো, “চলো তোমাকে হোটেলে পৌছে দিয়ে আমি হলে যাবো”। আমি বললাম, “না, আমার কাছী হোটেলের কার্ড আছে, ওটা দেখালেই ট্যাক্সি আমাকে নিয়ে যাবে, বরং আমিই তোমাকে পৌছে দেই। তাছাড়া হোটেলে ফিরেও আমার বিশেষ কিছু করবার নেই!”।
ট্যাক্সি নিয়ে শিচুয়ান ইউনিভার্সিটি গিয়ে ওর হল পর্যন্ত হেটে গেলাম। চলে যাওয়ার আগে প্যাকেট তিনটি ওর হাতে দিয়ে বললাম, এটা তোমার জন্য আর বাকী দুটো জিন আর উ-লান কে দিও। সে জিজ্ঞেস করলো “কি!” বললাম, “তেমন কিছুই না, রুমে গিয়ে দেখো।”
আজ এ পর্যন্তই। পরের পর্বে লিখবো, শিচুয়ান এর ভুমিকম্প বিদ্ধস্ত শহর এবং হাজার বছরের পুরোনো পৃথিবীর প্রথম “ইরিগেশন সিস্টেম”, এবং টাও-ইজম এর একটি মন্দির দেখতে যাওয়া নিয়ে।
কাজী মামুন
মন্তব্য
এবার ছবি আর লেখা দুইটাই ভাল্লাগছে। কফিশপ দেইখা এখনই যাইতে ইচ্ছা করতাছে। এত ছুন্দর ! খাবারের ছবি দেইখা জিবে জল চলে আসছে...
প্যাকেটের মধ্যে কি আছিলো ?
আমিও চীন যামু...ইকোর কোনো বান্ধবী নাই মামুন ?
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
অন্তত বছর পাঁচেক পুরোনো না হলে কোনো স্মৃতি ঠিক চারণ যোগ্য হয় বলে মনে হয় না। এটা একটু আগেই করে ফেললাম।
বছর পাঁচেক পরে আসলে বিচার করা যাবে।
চায়না যাওয়ার আগে আমাকে জানালেই হবে, বিস্তারিত জানাবো, তখন, আশা করছি সাহায্য করতে পারবো।
কাজী মামুন
১.
ইকোরে কফিশপে নিয়ে যাওয়া এবং হলে নামিয়ে দিয়ে আসার জন্য ++
২.
৩.
লেখা এবং ছবি দুইটাই ভালো হৈসে। পোস্টে ভার্চুয়াল পাঁচতারা।
--------------------
কুটুমবাড়ি
এতকিছু থাকতে ইকো মামুনরে অইটা শিখাইতে গেলো কেন্? ঘটনাটা কি মামুন?
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
গঠনা অত্যন্ত গোপন, এখানে বলা যাবে না। মামুন ভাই সেসব ছবি মেমোরি স্টিকে কইরা আপনারে দিয়া আইবেন খন।
হা হা হা! না গোপনীয়তার কিছু নেই। অছ্যুৎ বলাই দা দেখলাম নিচে ব্যাখ্যা করেছেন হয়তো মানুষের সাইকোলজি এমনই!
কাজী মামুন
আপনার সচলত্ব কামনা করছি আমার আগেই! অন্তত আমার পাঁচ তারার কথা চিন্তা করে!
শিখেছি এবং শিখিয়েছি তো আসলে অনেক কিছু, আমি কেবল দুদিককার উদ্যোগের উদহারণ দিয়েছি, স্বাভাবিক ভাবে চাইনিজটা বাংলা হয়েছে, আবার বাংলাটাও চাইনিজ হয়েছে।
কাজী মামুন
আপনার চৈনিক ছবিগুলো দেখে যাই, পড়ে যাই চুপচাপ। আজকেও দেখলাম, পড়লাম। কিন্তু যাওয়ার আগে মনে হলো কিছু বলে যাই, এই আরকি!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো দা, ভালো মন্দ বুঝলাম না, তবে পোস্ট পড়ছেন দেখছেন শুনে অন্তত এটুকু স্বস্তি পেলাম যে পড়ার আর দেখার মতো অন্তত হচ্ছে
কাজী মামুন
কফি শপ আর নদীর তীরে কাটানো একান্ত সময় গুলো ভাল লেগেছে।
ভ্রমনকাহিনীর চেয়ে গল্পই হয়ে যাচ্ছে আসলে বেশি! আমি একটু সংকিত ছিলাম! ভরশা পেলাম বোরিং হচ্ছে না জেনে!
ধন্যবাদ!
কাজী মামুন
এই সিরিজের মধ্যে এই লেখাটাই সবচে ভালৈছে।
ইকো প্রসঙ্গ বেশি এসেছে বলে কি? আসলে কনফিউশান এর কারণ নেই, ওরা না থাকলে আমার চীন দেখা অন্যরকম হতো, যতটা দেখেছি তাঁর বেশির ভাগই ওদের চোখ দিয়ে, স্বাভাবিক ভাবেই ওদের প্রসঙ্গ বেশি আসছে! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কাজী মামুন
সেজন্য না। এবারে আপনি লিখেছেন বেশি। এবং সেটা ছবির সঙ্গে দুকলম বিবরণ নয়, একটা পূর্ণাঙ্গ প্যারাগ্রাফ অন্তত হয়েছে। গল্প শুনে পেট ভরেছে আর কি। দেখেন না, অন্যরাও এবার লেখা ভাল বলেছেন সবচেয়ে।
ভালো লাগল এবারও।
আচ্ছা, আমরা বিদেশি ভাষা শিখতে গিয়ে সবার আগে ভালোবাসাবাসি বিষয়ক কথাগুলোই কেন শিখতে চাই?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এখানেও সমস্যা সেই লিঙ্গবৈষম্য। স্ট্রেইট পাবলিকের জন্য সাধারণত সমলিঙ্গের বিদেশি বন্ধুর কাছ থেকে গালি শেখার আগ্রহ বেশি থাকে আর বিপরীত লিঙ্গের হলে ভালোবাসাবাসির সংলাপ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
যুক্তি পছন্দ হয়েছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
যুক্তি পছন্দ হয়েছে আমারও। হিউম্যান সাইকোলজির কিছু বিষয় পরের পর্বে আসবে আশা করছি।
কাজী মামুন
এইজন্যই ধুগোর মুখে 'চৈনিক বালিকা' শব্দযুগল শোনা যায়! ছবি বিয়াপক হইছে, লেখা আরো ভালু পাইলাম, তিনপর্বের মধ্যে এটাই সেরা। তবে কবিগুরু বলে গেছেন, "রমণী ... অনর্থক হাসে ... তাহা দেখিয়া অনেক পুরুষ অনর্থক কাঁদে, অনেক পুরুষ ছন্দ মিলাইতে বসে, অনেক পুরুষ গলায় দড়ি দিয়া মরে।" রবিবুড়ো জানতেন না, একদিন শতবর্ষ পরে পুরুষ ব্লগও লিখবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অছ্যুৎ বলাই দা, আপনার এই মন্তব্য পড়ে কিছুক্ষন হাসলাম! একটু আগের আপনার ভাষা শিক্ষা বিষয়ক ব্যাখ্যাটাও বেশ পছন্দ হলো। এখনি প্রস্তুতি নিচ্ছি একটা দ্বীপে ভ্রমনে যাওয়ার। ফিরে এসে এই বিষয়ে আবার কথা বলা যাবে। আপনার মন্তব্যগুলো ভাবনার যোগান দেয়!
কাজী মামুন
আপনার চৈনিকভ্রমনকাহিনী কিন্তু বেশ হচ্চে! থামবেন না দয়া করে।
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
এই সিরিজটা একটানে শেষ করবো বলেছিলাম, তবে এবার ২/৩ দিনের একটা ব্রেক নিতেই হচ্ছে, লিখতে লিখতে ভ্রমন পিপাসা আবার তৈরী হয়ে গেছে। দেখা যাক আর কিছু রসদ যদি তৈরী হয়! ফিরে এসে লিখবো।
ভালো থাকুন!
কাজী মামুন
ভাল লেগেছে।
ভাল্লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লেখা, ছবি, নাকি ইকো ট্যুরিজম ?
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
নতুন মন্তব্য করুন