----------------------রোমেল চৌধুরী
জানি আমি থাকি একটি নিরালা গৃহে
তার, চিহ্ন মুছেছে বহু বসন্ত আগে
গর্ভগৃহের দেয়াল ক'টির ওপর
সূর্য পরায় রোদেলা আলোর টোপর
আর, বেগূনী শাখার বুনো কুঁচফল জাগে।
জীর্ণ বেড়ায় আঙুরলতার আঁচল
গাছে গাছে ভরে নিড়ানো ক্ষেতের কোল
কাঠুরেরা মাতে বৃক্ষের সংহারে
পাবে নাকো খুঁজে কুয়োতলা বরাবর
পায়ে হাঁটা সেই পথের চিহ্ন আর।
আমি বেঁচে আছি বিচিত্র হৃদয় মাঝে
দূ্র নির্জনে বিস্মৃত সেই বাঁকে
ভুলে যাওয়া পথ অনাদরে শুয়ে থাকে
নেই ধুলোস্নান, গোধুলী লুটিয়ে পড়ে
রাত্রির বুকে; হুতুম পেঁচার ডাকে।
(Robert Frost রচিত 'The Ghost House' এর ছায়া অবলম্বনে )
মন্তব্য
এটাও ভাল লেগেছে।
ভাই,
ধন্যবাদ
রোমেল চৌধুরী
নাহ, আপনি ভাই কবিতা পড়িয়ে ছাড়ছেন 5*
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ভাই,
এ আপনার বদান্যতা, ধন্যবাদ!
রোমেল চৌধুরী
ভালো লাগলো।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
কবি আপনাকে ধন্যবাদ!
রোমেল চৌধুরী
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বোন,
তোমার প্রেরণা যেন 'আসাদের শার্টে' বোনের স্নেহহাতে বুনে দেয়া মুক্তোর মতো কিছু বোতাম!
রোমেল চৌধুরী
আবারো ভাল লাগল।
অনন্ত
অনন্ত ভাই,
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকবেন।
রোমেল চৌধুরী
ভালো লেগেছে। প্রথম আর পঞ্চম লাইনে ছন্দে যেন বাধা পড়লো কোথায়। আমি নিজে ছন্দ ভালো বুঝি না, একটু দেখবেন। ভালো থাকুন...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
তানিম ভাই,
আপনি তো দেখছি পাকা জহুরী। জারিজুরি ঠিক ঠিক ধরে ফেলেছেন। মাত্রাবৃত্তে অক্ষর গুণে গুণে মাত্রা, ঋ-কার কিংবা র ফলাতে তে কোন অতিরিক্ত মাত্রা হবে না।
এই হিসেবে যদি দেখি,
জানি আমি থাকি(৬)একটি নিরালা(৬) গৃহে(২)
দুই পর্বে ৬+৬ এর চাল, শেষে ২ মাত্রার একটি অতিরিক্ত পর্ব।
তার(২), চিহ্ন মুছেছে(৬) বহু বসন্ত(৬) আগে(২)
দুই মাত্রার বিরাম,তারপর প্রথম চরণের সাথে সংগতি রেখে দুই পর্বে ৬+৬ এর চাল, শেষে ২ মাত্রার একটি অতিরিক্ত পর্ব।
গর্ভগৃহের(৬) দেয়াল ক'টির(৬) ওপর(৩)
দুই পর্বে ৬+৬ এর চাল, শেষে ৩ মাত্রার একটি অতিরিক্ত পর্ব।
সূর্য পরায়(৬) রোদেলা আলোর(৬) টোপর(৩)
তৃতীয় চরণের সাথে সংগতি রেখে দুই পর্বে ৬+৬ এর চাল, শেষে ৩ মাত্রার একটি অতিরিক্ত পর্ব।
আর(২), বেগূনী শাখার(৬) বুনো কুঁচফল(৬) জাগে(২)।
দ্বিতীয় চরণের সাথে সংগতি রেখে দুই মাত্রার বিরাম(বিরামে বিরামে অন্ত্যমিল আবশ্যকীয়), দুই পর্বে ৬+৬ এর চাল, শেষে ২ মাত্রার একটি অতিরিক্ত পর্ব।
বিরামের ব্যাপারটি বাংলা কবিতার ছন্দে তেমন বহুল ব্যবহৃত না হলেও ইংরেজি কবিতায় এর ব্যবহার ব্যাপকতা পেয়েছে!
বড় ভাগ্যে আপনার মতো এমন নিবিষ্ট পাঠক মেলে।
রোমেল চৌধুরী
ভাল লাগল।।চালিয়ে যান।।
ইশান ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ!
রোমেল চৌধুরী
নতুন মন্তব্য করুন