বানান, বর্ণক্রম, অর্থনির্দেশ প্রভৃতি বিষয়ে নতুন নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থিত হয়েছে। সেগুলি সম্পর্কে রীতিমতো অভিনিবেশ দরকার। কোনো এক ব্যক্তির আলোচনা বা মন্তব্য এ-বিষয়ে শেষ কথা হতে পারে না। তবে আলোচনা সর্বদাই স্বাস্থ্যকর, হিতকর।–সুভাষ ভট্টাচার্য, বাংলাভাষা চর্চা (১৯৯২) পৃ ৪।
ং, ঙ, ঙ্গ
এই তিনটি বর্ণের কোনটি কখন বসবে তা নিয়ে কমবেশি আমরা অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগি। আজকের বানানাসরে চেষ্টা করা হবে এই দ্বন্দ্ব দূর করার, সাথে থাকছে এ/এ্যা/অ্যা নিয়ে কিছু কথা।
ং বনাম ঙ
বাংলায় অনুস্বার (ং) তার পরিচয় নিয়ে যতটা সঙ্কটে ভোগে, ঙ ততটা নয়। ঙ একটি ব্যঞ্জনবর্ণ, তালিকায় পঞ্চমে যার অবস্থান। অনুস্বারও প্রকৃতপক্ষে ব্যঞ্জনবর্ণ। কিন্তু বাংলায় সর্বাধিক প্রচলিত পাঁচটি অভিধানের (জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের বাঙ্গালা ভাষার অভিধান, হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঙ্গীয় শব্দকোষ, রাজশেখর বসুর চলন্তিকা, সংসদ বাঙ্গালা অভিধান ও বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান) বর্ণানুক্রমে অনুস্বারকে স্বরবর্ণের শেষে নিয়ে আসা হয়েছে। এমনকি এ বর্ণের আচরণ অন্য স্বর বা ব্যঞ্জনের মতো নয়। ক্ + অ = ক; কিন্তু ং + অ = কোনো কিছুই না। তবে অন্য ব্যঞ্জনের ঘাড়ে বা পিঠে বসতে পারলে (কিছুটা বিসর্গ বা চন্দ্রবিন্দুর মতো) তখন একটি ধ্বনি তৈরি করতে পারে। ক্ + অ + ং = কং। অর্থাৎ পরিচয়ের দিক থেকে ব্যঞ্জনবর্ণ হলেও অনুস্বারের আচরণ স্বরবর্ণের মতো।
তা সে যা-ই হোক, এই ং, ঙ, এবং যুক্তবর্ণ ঙ্গ (ঙ + গ) অনেক সময়ই একে অপরের স্থান দখলের মাধ্যমে আমাদের ধৈর্য, মনোযোগ ও অধ্যবসায়ের পরীক্ষা নিয়ে থাকে। তারপরও প্রায়ই ফলাফল যা দাঁড়ায় তা হলো অনিচ্ছাসত্ত্বেও বানান ভুল থেকে যাওয়া, যা লেখক এবং পাঠক উভয়কূলের জন্যই ব্রিব্রতকর। কোনো সমাধান কি নেই এর, অন্তত কিছুটা নিস্তার পাওয়া যায় এ রকম কিছু কি আছে? হ্যাঁ, আছে! চলুন একটু খতিয়ে দেখি।
তৎসম শব্দের ক্ষেত্রে
তৎসম শব্দে ং এবং ঙ যেখানে যেমন ব্যবহার্য ও ব্যাকরণসম্মত সেইভাবে ব্যবহার করতে হবে। [সূত্র : বাংলা একাডেমীর প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মের ২.১০ অনুচ্ছেদ] তা, কখন ং এবং কখন ঙ ব্যবহার্য ও ব্যাকরণসম্মত তার কোনো সূত্র কি আছে? আসুন একটু খুঁজে দেখি।
বাংলা একাডেমী তার প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মের ১.০৪ অনুচ্ছেদে বলেছে-
‘সন্ধির ক্ষেত্রে ক খ গ ঘ পরে থাকলে পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে অনুস্বার (ং) লেখা যাবে।
যেমন : অহংকার, ভয়ংকর, সংগীত, শুভংকর, হৃদয়ংগম, সংঘটন।
তবে অঙ্ক, অঙ্গ, আকাঙ্ক্ষা, গঙ্গা, বঙ্গ, লঙ্ঘন, সঙ্গ, সঙ্গী প্রভৃতি সন্ধিবদ্ধ নয় বলে ঙ স্থানে ং হবে না।’
এখন আমাদের তো জানাই আছে যে, ক বর্গে (ক, খ, গ, ঘ) ‘ng’ (অং) ধ্বনির ক্ষেত্রে সাধারণভাবে ঙ ব্যবহার করতে হবে। যেমন :
অশুদ্ধ বানান-----------শুদ্ধ বানান
অংক-----------------------অঙ্ক
আশংকা--------------------আশঙ্কা
আতংক---------------------আতঙ্ক
শংখ------------------------শঙ্খ
অংগ------------------------অঙ্গ
আকাংক্ষা-------------------আকাঙ্ক্ষা
বংগ------------------------বঙ্গ
সংগ (companion)-------সঙ্গ
সংগী-----------------------সঙ্গী
বংকিম---------------------বঙ্কিম
কাজেই ক বর্গের আগে ঙ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে দ্বিমত নেই। বরং ওপরের উদাহরণগুলোর মতো অনেক তৎসম শব্দেই শুধু ঙ শুদ্ধ, কিছুতেই ং ব্যবহার করা চলে না।
তো, সন্ধির ক্ষেত্রে ক খ গ ঘ পরে থাকলে পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে অনুস্বার (ং) লেখা যাবে—বাংলা একাডেমী এই নিয়মটি আবার কেন করল? আসলে এই দিকনির্দেশনাটি দেয়া হয়েছে বানানকে সহজ করার জন্য। বুঝতে না পারলে বা বলা ভালো ইচ্ছে করে বুঝতে না চাইলে সৃষ্টি হয় অহেতুক জটিলতা, বাড়ে বিভ্রান্তি। অথচ দোষ হয় নিয়মের।
হয়তো লক্ষ করেছেন সন্ধির ক্ষেত্রে পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে ং হয়ে থাকে। কয়েকটি উদাহরণ দেখা যাক :
প্রিয়ংবদা = প্রিয়ম্ + বদা
বশংবদ = বশম্ + বদ
সংবাদ = সম্ + বাদ
সংস্কৃত = সম্ + কৃত
সংবর্ধনা = সম্ + বর্ধনা
সর্বংসহা = সর্বম্ + সহা
সংহার = সম্ + হার
সংলাপ = সম্ + লাপ
সংশয় = সম্ + শয়
একইভাবে,
কিংকরী = কিম্ + করী
সংঘাত = সম্ + ঘাত
সংকলন = সম্ + কলন
সংকীর্তন = সম্ + কীর্তন
অহংকার = অহম্+কার
ভয়ংকর = ভয়ম্+কর
সংগীত = সম্+গীত
শুভংকর = শুভম্+কর
অর্থাৎ সন্ধির ক্ষেত্রে সর্বাবস্থায় পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে ং লেখার জন্য বলেছে বাংলা একাডেমী। ফলে শব্দের উৎপত্তি যেমন বোঝা যাবে, তেমনি একই রকম নিয়ম অনুসরণ করতে হওয়ায় মনে রাখাটাও সহজ হবে। তাই ধারণা করা যায় বাংলা একাডেমী এসব দিক চিন্তা করেই উক্ত নিয়মটি করেছে এবং উদাহরণ হিসেবে সেখানে অহংকার, ভয়ংকর, সংগীত, শুভংকর, হৃদয়ংগম, সংঘটন প্রভৃতি শব্দ উল্লেখ করেছে।
অতৎসম শব্দের ক্ষেত্রে
বাংলা একাডেমীর প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মের ২.১০ অনুচ্ছেদে বলা আছে-
তৎসম শব্দে ং এবং ঙ যেখানে যেমন ব্যবহার্য ও ব্যাকরণসম্মত সেইভাবে ব্যবহার করতে হবে। এ-সম্পর্কে পূর্বে ১.০৪ অনুচ্ছেদে কিছু নিয়মের কথা বলা হয়েছে। তদ্ভব, দেশী, বিদেশী, মিশ্র শব্দের বানানের ক্ষেত্রে ওই নিয়মের বাধ্যবাধকতা নেই। তবে এই ক্ষেত্রে প্রত্যয় ও বিভক্তিহীন শব্দের শেষে সাধারণভাবে অনুস্বার (ং) ব্যবহৃত হবে। যেমন : রং, সং, পালং, ঢং, রাং, গাং। তবে শব্দে অব্যয় বা বিভক্তি যুক্ত হলে কিংবা পদের মধ্যে বা শেষে স্বরচিহ্ন থাকলে ঙ হবে। যেমন : বাঙালি, ভাঙা, রঙিন, রঙের। বাংলা ও বাংলাদেশ শব্দ-দুটি ং দিয়ে লিখতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে তাই করা হয়েছে।
স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে বাংলা এবং বাংলাদেশ—এ দুটো বানানকে বিশেষ বিবেচনায় আলাদা করে ফেলা হয়েছে এবং সংবিধানেও তা যুক্ত করা হয়েছে। এই নিয়মটির বাকি অংশটুকু বোঝার সুবিধার্থে আসুন উদাহরণগুলো বিশ্লেষণ করে দেখি :
উদাহরণ :
শব্দ----প্রত্যয়যুক্ত-----বিভক্তিযুক্ত
রং-------রঙিন-------------রঙের
ঢং-------ঢঙি--------------ঢঙের
সং-------------------------সঙের
গাং------------------------গাঙের
ঙ বনাম ঙ্গ (ঙ+গ)
কিছু কিছু শব্দে ঙ এবং ঙ্গ দুটো বানানই প্রচলিত, যার ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এক্ষেত্রে উচ্চারণ-নির্দেশ অনুসরণ করার জন্য কোমল উচ্চারণের ক্ষেত্রে ঙ এবং যুক্তধ্বনি (ঙ+গ) উচ্চারণের ক্ষেত্রে ঙ্গ ব্যবহার করাটাই শ্রেয়। যেমন :
কোমল (ঙ) উচ্চারণের ক্ষেত্রে-
বর্জনীয় বানান---------প্রার্থিত বানান
বাঙ্গালি----------------বাঙালি
কাঙ্গাল-----------------কাঙাল
ভাঙ্গা-------------------ভাঙা
রঙ্গিন------------------রঙিন
নোঙ্গর-----------------নোঙর
লক্ষণীয় : (ঙ+গ) উচ্চারণের ক্ষেত্রে লিখতে হবে- জঙ্গি, দাঙ্গা, লুঙ্গি, ভঙ্গি, প্রসঙ্গ ইত্যাদি।
এ/এ্যা বনাম অ্যা
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মের ২.০৮ অনুচ্ছেদে আছে-
এ, অ্যা
বাংলায় এ বা ে-কার দ্বারা অবিকৃত এ এবং বিকৃত বা বাঁকা অ্যা এই উভয় উচ্চারণ বা ধ্বনি নিষ্পন্ন হয়। তত্সম বা সংস্কৃত ব্যাস, ব্যায়াম, ব্যাহত, ব্যাপ্ত, জ্যামিতি, ইত্যাদি শব্দের বানান অনুরূপভাবে লেখার নিয়ম রয়েছে। অনুরূপ তত্সম এবং বিদেশী শব্দ ছাড়া অন্য সকল বানানে অবিকৃত-বিকৃত নির্বিশেষে এ বা এ-কার হবে। যেমন : দেখে, দেখি, যেন, জেনো, কেন, কেনো (ক্রয় করো), গেল, গেলে, গেছে।বিদেশী শব্দ অবিকৃত উচ্চারণের ক্ষেত্রে এ বা এ-কার ব্যবহৃত হবে। যেমন : এন্ড (end), নেট, বেড, শেড।
বিদেশী শব্দে বিকৃত বা বাঁকা উচ্চারণে অ্যা বা অ্যা-কার ব্যবহৃত হবে। যেমন : অ্যান্ড (and), অ্যাবসার্ড, অ্যাসিড, ক্যাসেট, ব্যাক, ম্যানেজার, হ্যাট।
তবে কিছু তদ্ভব এবং বিশেষভাবে দেশী শব্দ রয়েছে যার অ্যা-কারযুক্ত রূপ বহুল-পরিচিত। যেমন : ব্যাঙ, চ্যাঙ, ল্যাঙ, ল্যাঠা। এসব শব্দে অ্যা অপরিবর্তিত থাকবে।
[ব্যাঙ, চ্যাঙ, ল্যাঙ - এই তিনটি শব্দ তৎসম নয় এবং প্রত্যয় বা বিভক্তিও যুক্ত হয়নি। তাই ২.১০ অনুচ্ছেদ (ওপরে আলোচনা করা হয়েছে) অনুযায়ী এখানে ং বসার কথা। খুব সম্ভবত শব্দগুলো বহুল-পরিচিত হওয়ায় ঙ অপরিবর্তিত রয়েছে (যেমনটি অ্যা-কারের ক্ষেত্রে ঘটেছে), তবে বাংলা একাডেমী এ কথাটি উল্লেখ করে দিতে পারত বোধ হয়। ]
ক. বাংলায় অ্যা স্বরধ্বনিটির ব্যবহার থাকলেও এর কোনো বর্ণ বা হরফ নেই। এজন্যে প্রায়ই অনেকে ভুলবশত এ্যা ব্যবহার করে ফেলেন। এক্ষেত্রে প্রমিত বানানে অ্যা ব্যবহার করাই শুদ্ধ। যেমন :
বর্জনীয় বানান---------------প্রমিত বানান
একাডেমী/এ্যাকাডেমী----------অ্যাকাডেমি (academy)
এডমিশন-----------------------অ্যাডমিশন (admission)
এডভোকেট--------------------অ্যাডভোকেট (advocate)
এভিনিউ/এ্যাভিনিউ-------------অ্যাভিনিউ (avenue)
এলকোহল/এ্যালকোহল-------- অ্যালকোহল (alcohol)
এসিড/এ্যাসিড------------------অ্যাসিড (acid)
এম্বুলেন্স/এ্যাম্বুলেন্স-------------অ্যাম্বুলেন্স (ambulance)
এন্ড (and)--------------------অ্যান্ড (and)
এবসার্ড ------------------------অ্যাবসার্ড (absurd)
এপার্টমেন্ট---------------------অ্যাপার্টমেন্ট (apartment)
এডভারটাইজমেন্ট-------------অ্যাডভারটাইজমেন্ট (advertisement)
এনথ্রাক্স ------------------------অ্যানথ্রাক্স (anthrax)
এডভান্স-----------------------অ্যাডভান্স (advance)
এক্ট----------------------------অ্যাক্ট (act)
লক্ষণীয় : ১. যেসব ইংরেজি শব্দের শুরু a দিয়ে তাদের ক্ষেত্রে 'অ্যা' ব্যবহার হচ্ছে।
২. প্রতিষ্ঠানের নামের বানানে এ থাকলে তা বহাল থাকবে, (যেমন : বাংলা একাডেমী, শিশু একাডেমী) কারণ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামের ক্ষেত্রে বানানের নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
খ. অ্যা ধ্বনি ব্যঞ্জনে যুক্ত হলে তা 'য-ফলা+আ-কার' দিয়ে লিখতে হবে।
বর্জনীয় বানান---------প্রমিত বানান
কেরিয়ার-----------------ক্যারিয়ার (career)
সেটেলাইট---------------স্যাটেলাইট (satellite)
কেসেট-------------------ক্যাসেট (cassette)
বেট----------------------ব্যাট (bat)
কেন্টিন-------------------ক্যান্টিন (canteen)
কেলেন্ডার----------------ক্যালেন্ডার (calender)
বেন্ডেজ------------------ব্যান্ডেজ (bandage)
ফেক্ট----------------------ফ্যাক্ট (fact)
একইভাবে,
অশুদ্ধ বানান----------শুদ্ধ বানান
অ্যান্ড--------------------এন্ড (end)
অ্যানলার্জ----------------এনলার্জ (enlarge)
অ্যাক্সপ্রেস---------------এক্সপ্রেস (express)
অ্যাডুকেশন-------------এডুকেশন (education)
অ্যাথিক্স-----------------এথিক্স (ethics)
লক্ষণীয় : যেসব ইংরেজি শব্দের শুরু e দিয়ে তাদের ক্ষেত্রে 'এ' ব্যবহার হচ্ছে।
তথ্যসূত্র : বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধানের (পরিমার্জিত সংস্করণ, সেপ্টেম্বর, ২০০৩) পরিশিষ্ট।
-----------------------------
পূর্ববর্তী পর্ব : বানানায়তন-৩ | হ্রস্ব স্বর না দীর্ঘ স্বর—বর্ণমালা এবং বানান সংস্কার প্রসঙ্গে জরুরি কিছু কথা |
-----------------------------
কুটুমবাড়ি
----------------------------
মন্তব্য
ব্যাপক খাটনি দেইখা ৫তারা দাগাইলাম,
তয় 'ঙ' দেইখা আমাদের প্রিয় সচল আশরাফ এখনি লাফ দিয়ে না উঠলেই হয়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ, সাইফ ভাই।
রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি! একটু খুলে বলেন না।
কুটুমবাড়ি
পছন্দের পোষ্টে যুক্ত করলাম। বেশ কাজে দিবে। অনেক ধন্যবাদ লেখককে।
একটি প্রশ্ন ছিলঃ কেউ কেউ 'ড' এর স্থলে 'দ' লিখে ইংরেজী 'd' অক্ষরের, যেমন 'অ্যাকাডেমি' এর স্থলে লিখে 'অ্যাকাদেমি'। এই 'দ' লেখা কি সঠিক?
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, স্বাধীন ভাই।
আপনার প্রশ্নের উত্তরে আপাতত শুধু এটুকু বলি যে 'd'-এর স্থলে 'দ' লেখা সঠিক না। প্রতিবর্ণিকরণ (transliteration) নিয়ে আলাদা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে। সময় সুযোগ হলেই লিখে ফেলব আশা করছি।
কুটুমবাড়ি
কাজের পোস্ট!
এফবিতে শেয়ার করলাম...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ, তিথীডোর।
কুটুমবাড়ি
বোধকরি সবারই কাজে লাগবে!
রোমেল চৌধুরী
কানে কানে বলি, আমি নিজেও বানানে কাঁচা... আমার নিজেরই কাজে লাগবে সবচেয়ে বেশি!
কুটুমবাড়ি
ধইন্যা...
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আপনাকেও...
কুটুমবাড়ি
বাংলা বানান আবার নতুন করে শিখতে হবে মনে হচ্ছে আপনার লেখা পড়ে।
কিছু নতুন বানান শিখলাম। ধন্যবাদ এরকম একটি সিরিজ শুরু করার জন্য ( যদিও আগেরগুলো পড়া হয়নি, পড়ে ফেলবো এবার আশা করি )
পাগল মন
ধন্যবাদ, পাগল মন।
কুটুমবাড়ি
বেশ কষ্টসাধ্য লেখা। খটমটে হলেও কাজের।
আপনাকে
আচ্ছা, education (এজুকেশন) এর উচ্চারণ বাংলায় লিখতে গেলে "এডুকেশন" লিখতে হয় কেন?
কাকস্য পরিবেদনা
সহজ করেই লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বিষয়টাই এমন খটমটে।
দ্রোহীদা, আপনার মন্তব্য পেয়ে সত্যিই পুলকিত, রোমাঞ্চিত! আপনাকে রাশি রাশি
*procedure (প্রসিজার)-এর উচ্চারণ বাংলায় লিখতে গিয়ে প্রসিডিউর লিখতে হয়েছে।
কুটুমবাড়ি
অন্তত আমার জন্য খুবই দরকারী!!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
এই রে! আপনিও তো আমার মতোই বানানার্থী দেখতেছি। আমিও আপনার মতোই একরকম বানানাতঙ্কিত থাকি বলতে পারেন।
অবশ্য এইটা এক অর্থে আমার জন্য বিরাট সুখবর, অন্তত এই সিরিজের প্রত্যেক পোস্টে একটা মন্তব্য তো কনফার্ম হইল!
কুটুমবাড়ি
নতুন মন্তব্য করুন