-- অনন্ত আত্মা
‘প্রথমে দর্শনধারী, তারপর গুণবিচারী’- এই আপ্ত বাক্যটির সবচেয়ে বেশী ব্যবহার বোধ করি বিয়ের জন্য মেয়ে বা ছেলে দেখার সময়টাতেই হয়। চেহারা আসলেই একটা ব্যাপার। নিজেকে দিয়েই শুরু করি। বয়স দশ বা বারো, ফরিদপুর শহরে সিনেমা হলের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, হঠাৎ-
- ওই, এদিকে আয় ।
তাকিয়ে দেখি এক রিকসাওয়ালা রিকসার চাকা ধরে রাস্তার পাশে বসে আছে। রিকসাচালক ভদ্রলোকই যে আমাকে ডেকেছেন তা বুঝতে পারলাম। পরবর্তী ঘটনা হল – আমি পাম্পারের পিন চাকায় চেপে ধরে আছি, রিকসাওয়ালা তুমুল বেগে পাম্প করে যাচ্ছে। গুণী রিকসাওয়ালা বলতে হবে, না হলে আমার চেহারায় লাগানো অদৃশ্য ট্যাগ (যদিও যেকোন পণ্যের ট্যাগ পাছাতেই লাগানো থাকে কিন্তু মানুষেরটা মনে হয় চেহারাতেই লাগানো থাকে ) ‘আমাকে ব্যবহার করুন’ কিভাবে দেখল।
বড় হবার পর আমার চেহারায় যে আমূল পরিবর্তন সূচিত হয়েছে তা মনে হয় না। ভার্সিটির সাইন্স লাইব্রেরির সামনের রাস্তায় আমি আর এক বন্ধু দাঁড়িয়ে আছি। আমি আমার প্রথাসিদ্ধ ভঙ্গিতে (হেলান সিস্টেম) উদাস হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ -
- এই, একটা চকবার দাওতো।
ধরাস্ করে দ্বিতীয় আসমান থেকে জমিনে পড়লাম। কাহিনী হোলো, আমি আমার প্রথাসিদ্ধ সিস্টেমে যেখানে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেটা ছিল একটা আইসক্রিম ভ্যান আর আইসক্রিমওয়ালা আইসক্রিম রেখে হাওয়া খেতে কোথাও গিয়েছিল। তাই চকবারখোর আমাকেই উদ্দিষ্ট ব্যাক্তি ভেবে ...। তারপর –
- ধুব বা..। ভাগ ব্যাডা।
আমার চেহারাতে কি জাদু আছে জানি না কিন্তু হরতাল কিংবা অন্য কোন সর্তকতামূলক সময়ে যেই রাস্তায় পুলিশ আছে ঐ রাস্তা দিয়ে আমি হেঁটে যাচ্ছি আর পুলিশ আমাকে চেক করে নাই এমন হয় নাই। একবার চেকিং -এর সময় এক ফাউল ঠোলা আমার বক্সের মধ্যে হাত দিয়ে বলেছিল –
- এইডা কি?
আমি বলেছিলাম –
- অস্ত্র।
শুনে ঠোলা আর কিছু না বলে ছেড়ে দিয়েছিল; আমিও মানে মানে ধনে (এই ধন তাৎপর্যপূর্ণ) প্রাণে বস্ত্রর নিচে অস্ত্র নিয়ে ত্রস্ত পায়ে চলে এসেছিলাম।
নিজের গল্প অনেক বললাম, এবার অন্যের কথা বলি। বন্ধু রিপনকে নিয়ে দোয়েল চত্বরের সামনে দিয়ে যাচ্ছি, দেখি যে আমাদের বয়েসেরই এক ছেলে উল্টো দিক থেকে আসছে। বেশ ফর্সা, লম্বা। চেহারার ট্যাগ বলছে ‘আমি ইমপোর্টেট’। ছেলেটাকে দেখে রিপন বলছে –
- দ্যাখ দোস্ত, মনে হয় ইরানী; তাই না।
আমি বললাম –
- ক্যান, আফগানীও তো হইতে পারে।
- খাড়া জিগায়া দেখি।
আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে রিপন গিয়ে পরিস্কার বাংলায় জিজ্ঞেস করল –
- ভাই আপনি কি ইরানী?
ছেলেটা আমাদের দিকে একটু ঝুঁকে ততোধিক পরিস্কার বাংলায় বলল –
- না, আমি চাইনিজ।
আমাদের বন্ধু মহলে একটা কথা বহুল প্রচলিত ছিল –‘চেহারায় মাইর খায়’। মানে হোলো চেহারাই এমন যে তা যে কাউকে প্রহারে প্রলুব্ধ করে। এফ.এইচ হলে এমন একটা ছেলে ছিল, ওর নাম ছিল খোকা। আমি অন্তত দশ জনকে জিজ্ঞেস করেছি; সবাই এক বাক্যে বলেছে ওদেরও একই ইচ্ছে করে। ইচ্ছেটা হল – খোকাকে দেখলেই মাইর দিতে ইচ্ছে করে। জীবনের অনেক অপূর্ণ ইচ্ছের মতন আমার এই ইচ্ছেটাও অপূর্ণই রয়ে গেছে।
মন্তব্য
বেশ ভাল লাগল।হাসতে হাসতে শেষ।
হায়! হায়!! শেষ হোয়েন না প্লিজজজজ।
ধন্যবাদ।
অনন্ত আত্মা
আমি একবার নীলক্ষেতে "বিষাদ সিন্দু" কিনতে গিয়ে প্রচ্ছদ পছন্দ না হওয়ায় বইটা কিনিনি। ছোকড়া দোকানীর প্রশ্নের উত্তরে বললাম ও সে কথা। সে উত্তর দিল, "নিজের চেহারা দেখছেন কোনদিন? আপনার চেহারার চেয়ে বইয়ের মলাট সুন্দর আছে"।
সজল
অনন্ত আত্মা
হা হা হা হা। চমৎকার লেখা!
আপনার রস আছে মশাই।
কাকস্য পরিবেদনা
ধন্যবাদ দ্রোহী।
অনন্ত আত্মা
হে হে হে ব্যাপক মজা পাইলাম।
অনন্ত
ধন্যবাদ অনন্ত।
অনন্ত আত্মা
বাহ, বেশ মজাদার! ঐ একটা কারণে কত জাগাত 'মাইর' খায়া গেলাম!
রোমেল চৌধুরী
ধন্যবাদ। মাইরের কথা মনে করায়া দিলেন আবার...
অনন্ত আত্মা
ধন্যবাদ। আবার মাইরের কথা মনে করায়া দিলেন...
অনন্ত আত্মা
হাহাহা, ব্যাপক মজা পাইলাম
ধন্যবাদ, নাম না জানা অতিথি।
অনন্ত আত্মা
ভাইরে, চেহারা ডায ম্যাটার রে ভাই (দীঈঈঈর্ঘশ্বাস......)!
এই প্রসঙ্গে নিজের একটা দুঃখের কাহিনী শুনাই। আমার এক বন্ধুকে, ভালো ছবি তুলে বলে সুনাম আছে এমন, বললাম - "আমার একটা ভালো দেখে ছবি তুলে দাও তো। মানে, ভালো দ্যাখায় যেন।" আমার অনুরোধ শুনে খুব শান্তভাবে তিনি উত্তর দিলেন - 'স্নিগ্ধা, ফটোগ্রাফারের ক্ষমতারও তো একটা সীমা আছে!!"
চেহারাটা আগে বদলাবো নাকি বন্ধুবান্ধব, বুঝতেসি না ......
লেখা মজার!
ইশশিরে... এক আজাইরা লেখা দিয়া পরিবেশ তো দুষিত কইরা ফ্যালাইলাম; সবাই দীর্ঘশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কার্বন-ডাই-আক্সাইডে এক্কেরে শেষ হয়া গেল।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অনন্ত আত্মা
...........................
Every Picture Tells a Story
মজা পেলুম!!
সত্যিকার অর্থে, লেখাটা অন্ধকার কৌতুক বলে মনে হয়। কি দেখতে ভালো কি দেখতে খারাপ অথবা কিসে রুচি আসবে এইটা আমরাই তৈরি করি।
============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।
============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।
হুম, ভাল-মন্দ সবই তো আমাদের সৃষ্টি; কিছুই করার নাইরে ভাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অনন্ত আত্মা
আমার এক ফ্রেন্ড ম্যাক্সি বা লোকাল বাসে উঠলে মাঝে মাঝেই সবাই তার কাছে ভাড়া দিয়ে দিতো।
এইস এস সি সেকেন্ড ইয়ারে থাকতে আমার চেহারা এমন হয়ে গেল, যেই দেখে রীতিমত বিচলিতি হয়ে জিজ্ঞেস করে, "কী হয়েছে তোমার খুব অসুস্থ দেখাচ্ছে?" মানে যেন তেন অসুস্থ না রীতিমত মৃত্যুপথযাত্রী টাইপ। পরে বাধ্য হয়ে চেহারা ঢাকতে চশমা নিলাম। কোনো পাওয়ার ছাড়া চশমা, পুরা ভার্সিটিলাইফ ই সেই চশমা পরে কাঠিয়ে দিয়েছি। এমনই অভ্যাস হয়েছিলো যে রাতে পড়তে বসার সময়ও চশমা পরেই বসতাম! এখনো পরি। তবে আজকাল একটু পাওয়ার হইসে...
লেখা মজার হয়েছে। (গুড়)
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ভালই বলছেন।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
অনন্ত আত্মা
এমনিতেই বদখত চেহারা নিয়ে মনে বেজায় কষ্ট!
দিলেন তো পুরোনো দুঃখটাকে আরো বাড়িয়ে...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমারতো মনে হয়, অন্তরের সৌন্দর্যটাই প্রকৃত সৌন্দর্য; যেই সৌন্দর্য দিয়ে বিশ্ব ভুবন জয় করা যায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অনন্ত আত্মা
চেহারা ডাস ম্যাটার? নিশ্চয়ই। আমার চেহারা ডার্ক ম্যাটার। ছবি তোলা বড়োই মুশকিল। সুজনদার খোমার্টুনই একমাত্র ভরসা।
লেখাও ডার্ক হিউমার দেখি। ডার্ক (গুড়) দিয়ে গেলাম।
সবই দেখি ডার্ক। ব্যাপার না, কবি তো বলেছেন -
কালো যদি মন্দ তবে, চুল পাকিলে কান্দ কেন?
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
অনন্ত আত্মা
হে হে হে...বহুত মজা পাইলাম।
এই ন্যান (গুড়) মিষ্টিমুখ করেন।
আহ্হারে কি মজার মিষ্টি...।
ধন্যবাদ।
অনন্ত আত্মা
আমারতো মনে হয় "সাইজ ডাজ ম্যাটার"। নিজের করুণ কাহিনী আছে
করুণ কাহিনীগুলা শেয়ার করেন, আমরাও একটু জানি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অনন্ত আত্মা
হা হা হা। চরম!
চেহারা অবশ্যই একটা ইমপ্রেশন সৃষ্টি করে; কিন্তু সেই ইমপ্রেশনকে খুব দ্রুত বদলানোর জন্য দরকার 'কথা'।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আর কথার জন্য দরকার একটা মোবাইল, আর মোবাইলের অপর প্রান্তে নির্ভেজাল বিপরীত লিঙ্গের কেউ তাইলেই না কথায় চিড়া, মুড়ি, খই ইত্যাদি ইত্যাদি ভিজবে।
ধন্যবাদ।
অনন্ত আত্মা
হুমম। নিজের চেহারার মধ্যে যে কী আছে, সবাই দূরে থাকে, আর ভয় পায়। আগে তো বাচ্চাকাচ্চাও আমার কাছে সহজে আসতো না। এখন পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে, এখন বাচ্চারা কাছে আসে। তার মানে চেহারা আসলেই ম্যাটার করে।
বলাইদার কথাই ঠিক। কথা দিয়েই এই ভীতি দূর করার চেষ্টা করছি।
একদম ঠিক।
অনন্ত আত্মা
চেহারা অবশ্যই ম্যাটার। আমার এমন-ই মার্কা মারা চেহারা জীবনে একটা ছবি তুলেও শান্তি পাইনি। সব ছবিতে শুধু আমার চেহারা আমার দ্বিগুন আসে
সাবরিনা সুলতানা
এক কাজ করতে পারেন, ছবি তোলার সময় আপনার অর্ধেক তুলুন; ওয়াশ করার পর দেখবেন পুরো ছবিই আসছে। ফ্রি একটা তুরুক বুদ্ধি দিয়া দিলাম, ব্যাপার না ছবি ঠিক-ঠাক মত আসলে মিষ্টি খাওয়াইয়া দিয়েন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অনন্ত আত্মা
কি আর কমু। পুরা আসল জায়গায় হাত দিসেন মিয়া। আর চেহারা নিয়া কিছু কওয়ার আগে আমার নামই সব বইলা দেয়। তার-ছেড়া-কাউয়া, দ্যা আল্টিমেটস ব্ল্যাকস বডিস। খ্যাক খ্যাক। বাই দাস ওয়েস, আপনেস কৌনস ডিপার্টমেন্টস?
না জাইনা হাত দেয়ার জন্য স্যরি ভাই।
ভার্সিটি তো ভাই বহু আগেই ছাইড়া দিসি, আমার ইন্সটিটিউট ছিল আই.এস.আর.টি আর সাবজেক্ট ছিল এ্যাপ্লাইড স্ট্যাটিসটিকস্ ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অনন্ত আত্মা
এ্যাপ্লাইড স্ট্যাটিসটিকস্? আসেন পিপিদার ছায়াতলে আমরা একজোট হই।
আরে তাই নাকি! কোন ব্যাচ? যাক লাউ-কদু, আবজাব যাই লেখি মিনিমাম দুইটা মন্তব্য নিচ্চিৎ হইল।
অনন্ত আত্মা
পিপিদার ছায়াতলে না, আসেন কৌস্তুভের ছায়াতলে এক হই। উনি আইএসআই কলকাতা থেকে পাশ করেছেন। একদা রাহুল মুখার্জি আমাকে ওখানে পড়ার দাওয়াত দিয়েছিলেন, সাহস পাইনি।
পিপিদা আপনি গুরুজন মানুষ, দায় এড়ালে চলবে কেন?
আপনি ওখানে আসার আমন্ত্রণ এভাবে উপেক্ষা করেছেন শুনে বড় ব্যথা পেলাম। কি আর করা। বস্টন আসার আমন্ত্রণটা রাখুন অন্তত।
অনন্ত আত্মা আপনি কি নিয়ে কাজ করেন, বলেন না একটু।
আমিও অ্যাপ্লায়েড স্ট্যাটেই মাস্টার্স, ২০০৮। এখন বায়োস্ট্যাটে আছি।
ভাই আমি আপনাদের মত হাই প্রোফাইলের লোক না, আমি একদম লো-প্রোফাইলের মানুষ। আমার মাস্টার্সও বায়োস্ট্যাটেই, এরপর এত দিন দেশেই ছিলাম পোলাপাইন পড়াইতাম; এখন একটু দেশের বাইরে কামলা খাটতে আসছি। হয়তো সামনের বছর আবার দেশের মাটিতে মাথা ঠেকাইতে ফিরে আসব।
অনন্ত আত্মা
ভাই, কী লেখা দিলেন! হাসতে হাসতে অবস্থা শেষ।
ফুটনোট : চেহারা ডাস ম্যাটার> চেহারা ডাজ ম্যাটার
কুটুমবাড়ি
ভাবতাছিলাম আপনার মন্তব্য কখন পামু আর কয় গন্ডা ভুল করছি তার ফিরিস্তি পামু; আলহামদুলিল্লাহ্ মাত্র একটা পাইছেন।
লেখা ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।
অনন্ত আত্মা
লেখাটা (গুড়) হইসে
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ধন্যবাদ সিমন।
অনন্ত আত্মা
লেখা পড়ে তো (গুড়) দিলাম। কিন্তু নিজের চেহারা নিয়ে মনে গিঁঠঠু লেগে গেল!
__________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এক কাজ করতে পারেন চার, পাঁচ দিন এফ.ডি.সি'র আশে-পাশে ঘুরতে পারেন; যদি নায়কের বা নায়কের ফুপাতো ভাইয়ের কোন রোল পেয়ে যান তাইলে তো চেহারা নিয়া কোন ভয় নাই। কিন্তু যদি চেরাগের দৈত্য টাইপ কোন রোল মেকাপ ছাড়াই আপনারে দিয়া করায়া ফ্যালায় তাইলে বুঝতে হবে ঘটনা খারাপ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অনন্ত আত্মা
ভাই চিন্তা কইরেন না।আপ্নে সুন্দরী বিয়া করবার পারবেন।
আমার এক বন্ধু বলতো, দেখতে ভালো ছেলেদের বউ সুন্দর হবেনা আর যারা দেখতে খারাপ তাদের বউ সুন্দরি হবে ।তারপর সে কইথেকে রেডিমেট উদাহরণ দিতো।এরপর জিজ্ঞেস করতো আসল কোয়েশ্চেন।
"এখন বল তুই সুন্দর বউ চাস নাকি নিজের সুন্দর খোমা" মানে যারা নিজেরের হ্যান্ডসাম বলা যায় কি যায়না এমন কনফিউশনে থাকতো তাদের সে এইভাবে জিজ্ঞেস করতো।
বাই দ্যা ওয়ে, সে আমাকে কখনোই জিগায় নাই আর আমিও সুন্দরী বউয়ের আশায় ওর সুক্ষ পর্যবেক্ষনকে পাত্তা দেই নাই
ঠিকাছে ভাই চিন্তা-ভাবনা বাদ দিলাম তয় সুন্দরী বউ যদি না পাই তাইলে কিন্তু বুইঝেন আপনার ঐ বন্ধুর কইলাম খবর আছে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
অনন্ত আত্মা
আহা আহা! কি আনইন্দ। আপনি আমার আশার পালে, , , , থুক্কু কাউয়ার পাঙ্খায় হাওয়া দিছেন। আপনারে মেলা ধইন্যবাদ।
খুব মজা পেলাম পড়ে।
আমারো না কাউকে কাউকে দেখলে শুধু মাইর দিতে ইচ্ছা করে।
(বাকিদের এরকম ইচ্ছা করেনা অবশ্য)
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ভাই ইচ্ছা করলে ধাপ্পুর-ধুপ্পুর দিয়া বইবেন, দুই দিনের দুনিয়া; কবে মইরা যাইবেন শ্যাষে আপসোস থাইকা যাইব।
মজা পেয়েছেন জেনে ভাল লাগল।
অনন্ত আত্মা
লেখাটা পড়ে বেশ মজা পেলাম।
আপনাকে সচলায়তনে স্বাগতম।
---------------
> ভূঁতের বাচ্চা
ধন্যবাদ।
অনন্ত আত্মা
হ, চেহারা ব্যাপক ম্যাটার বটে! হাড়ে হাড়ে টের পাইতেছি!
হুম, সবারই এক আপসোস।
অনন্ত আত্মা
পান্থতো এখনও বড় হও নাই, টের পাইলা ক্যামনে?
...........................
Every Picture Tells a Story
আশির দশকের শেষের দিকে দুই নাম্বারী করতে এয়ারপোর্ট গেছিলাম। একজনকে ভেতরে ঢুকাইয়া আমরা দুইজন বাইরে ঘোরাঘুরি করতেছি। আমার সাথের জন হাফপেন্ট পড়া মংগোলীয়ান চেহারা, এক পিচ্চি খালি ওর কাছে হাত পাতে আর সে বিরক্ত হয়ে হাত নাড়ে, এক পর্যায়ে পিচ্চি একটা গালি দিয়ে সরে পড়ে, গালিটা ছিলো “শালা চাইনীজ”!!
...........................
Every Picture Tells a Story
জনগন দুই নাম্বারীর ব্যাপারটা কি ছিল জানতে চায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অনন্ত আত্মা
মজারু পোস্ট
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ধন্যবাদ।
অনন্ত আত্মা
জটিল লেখা বস!
মন খুলে হাসলাম বেশ অনেকদিন পর।
অবশ্য আমার নিজের চেহারার কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্যে 'দিক্কার'!
দিলে দিয়েন ধিক্কার,
পারলে কইরেন তিরস্কার;
কিন্তু এই মন্তব্যই আমার পুরস্কার।
ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।
অনন্ত আত্মা
হাড়ে হাড়ে টের পাইতাসি, চেহারা ডাজ ম্যাটার!
ধুর্---আআল!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বুঝলাম না সবাই দেখি হাড়ে, গোস্তে, কলিজা, গুর্দায় টের পাইতেছে; মনে হয় সবাই আপসুসের দরিয়ায় খাবি খাইতেছে।
ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।
অনন্ত আত্মা
আম্র চেহ্রা খ্রাপ...তয় এইডা নিয়া মুন ও খ্রাপ করি না... সান ও খ্রাপ করি না...
B-)
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আমিও সান, মুন, ইউরেনাস, নেপচুন, প্লুটো কিছুই খারাপ করি না।
অনন্ত আত্মা
হা হা হা হা হা হা.............খুব মজার একটা লেখা।
নিজেরো পুরোনো দিনের একটা কথা মনে পড়লো। একবার স্টুডিওতে পাসপোর্ট সাইজ ছবি প্রিন্ট করে দেখলাম ছবিটা উঠেছে চাড়ালের মতো। ফটোগ্রাফারকে অভিযোগ করতেই পাশে একজনকে স্বাক্ষী গোপাল মেনে ব্যাটা বলে, "ভাই দেখেন তো ওনার আসল চেহারার যা অবস্থা তার চাইতে ফটু অনেক ভালো আসছে না? সুযোগ পাইলে আয়নায় চেহারা দেখে নিবেন।"
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অল্প বয়সের কথা, মাত্র কৈশর পেরিয়েছি, একবন্ধু এরি মাঝে বাড়ি ছেড়ে পালালো, না কোন মেয়ে জনিত ঘটনায় না, তাহার বুয়েটে টেকার চান্স নিয়ে সংকায় পড়ে.। যাই হোক বন্ধুর পরিবারের সবার ধারনা তাহাদের কোমল পুত্রটিকে বিপথগামী করিয়া এই শর্মা কোন জাহান্রামের রাস্তায় পাঠাইয়াছে। কি পরিমান সান্টিং যে ভাই খেতে হলো ঘরে ও বাহিরে তা ভাবেলও.............। যাই হোক কিছুদিন পড় ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এলো, তার পালানেরর কারণ ও গন্তব্য জানা গেল। বন্ধুর দুলাভাইটি কিচিৎ হেসে বলল ওর (অভাগার, মানে আমার) চেহারাটাই......কেমন যেন...
গুরু ছাইচাপা আগুনে বাতাস দিলেনগো..........................
ব্যাপক হইসে।
নিজের খোমা নিয়া কেউই খুশী না, সবাই সোলায়মান খান আর ক্যাতরানি টাইপ চেহারা চায়।
ধন্যবাদ অনুপম।
অনন্ত আত্মা
আমার দুঃখের কথা লিখতে গেলে নূহের প্লাবন ডাকবো আপনাদের চউক্ষের পানিতে।
আমার অপিসিয়াল ফটুক খিচনেওয়ালা গত দুই বছরেও আমার খোমার একটা মানানসই, চলনসই, পছন্দসই, অপরপক্ষকাইতসই একটা ফটুক খিচে দিতে পাল্লো না। তারে চিপক্কে ধরলেই সে কান্না-কাটি শুরু করে। একদিন ব্যাটা মহা ক্ষেপে গিয়ে বলে, "তুই কি আমার ক্যামেরারে ফটোশপ মনে করছোস! শালা আইরাগুতির চেহারা নিয়া আইছে রূপবান ফটুক তুলতে!"
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চেহারা নিয়ে কথা বলা রেসিস্ট, বিশেষত ছেলেদের চেহারা নিয়ে...আমিও ওই দলে কি-না। তবে, গড়পড়তা মেয়েদের চেহারা বেশি ভালো লাগে কেন বলুন তো? মেয়েদেরও কি তাই লাগে?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
খালি জীবন বাবুর কথাই ধরেন না। তাঁর লেখা বনলতা সেনের কথা পড়েই যে কতো যুবক পাড়ার পোড়ামুখীরেও চন্দ্রমুখী আখ্যা দিয়ে "ওগো আমার বনু, তুমি আমার লতু" বলে প্রেমপত্র লিখে লিখে কাগজের দাম দিস্তায় আট আনা বাড়িয়ে ফেল্লো!
কোন কোবি, কবে কোনো ছেলেকে নিয়ে কালজয়ী কোবতে লিখছে, আমারে কন তো!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন