জহিরুল ইসলাম নাদিম
বলতে গেলে একটা পাখির ডাকে ঘুম ভেঙেছে আজ।
যদিও প্রাত্যহিক অন্য সব শব্দ যথারীতি কর্ণকুহরে ঢুকে
অন্তঃকর্ণের বারোটা বাজানোর তালে ছিল
তবু কেন যেন কোথা থেকে পাখিটার ডাকেই
ঘুমটা প্রথম ভাঙল।
চোখ খুলে অবশ্য পাখিটাকে দেখলাম না।
জানালার ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা
পর্দার জন্যই দেখলাম না তা নয়।
কারণ পর্দা সরালেও চোখের চৌহদ্দিতে আলসারের মতো বেড়ে ওঠা
কুৎসিত বহুতল ভবনটাই ধরা পড়ত;
অনেক দিন হলো আমার কাছে জানালা মানে
চক্ষুশূল ওই ভবনটার প্রায় বিবর্ণ একটা দেয়াল ছাড়া আর কিছু নয়!
তাই পাখিটাকে খুঁজে বের করবার চেষ্টা করলাম না
তবে চেষ্টা করাটা দরকার ছিল।
পাখিটার নাম যে জানি না!
চাপা মারছি ভাববেন না!
শহুরে কবির অভিধানে আজকাল ফুল, পাখি আর তারাদের কোনো
স্থান আছে না কি!
পাখি তো কেবল প্রাণহীন বই পড়েই চিনেছি-
কাক, চিল আর চড়ুই ছাড়া আর কোন মুক্ত বিহঙ্গকে দেখেছি?
টবে ফোটানো দুই একটা গোলাপ ছাড়া আর কোন কুসুমকে
সঠিক নামে শনাক্ত করার যোগ্যতা রাখি!
পাখিটা কাছে ধারেই ছিল
নইলে মধ্যরাত পার করে ঘুমোনো গাঢ় নিদ্রাকে সে তার
মিহি সুরে ভাঙ্গতে পারত না।
কিন্তু এই পাষাণ গদ্য জীবনে হঠাৎ
কবিতার মতো বিহঙ্গ কেন এলো?
কূল-কিনার না পেলেও ভাবতে ভালই লাগছে!
মন্তব্য
ভালো লাগলো
ধন্যবাদ তবে অতিথি লেখকের পরিচয় পেলে ভালো লাগত!
নতুন মন্তব্য করুন