নিজেকে কেবল ই অবাঞ্চিত মনে হয় । জন্মের পূর্বে মা বলেছিলেন আমি ছেলে হব , হলাম মেয়ে । জীবনের প্রথম কুড়ি থেকেই ভাবতাম সুন্দরী হব হলাম সাধারণ । যখন বন্ধু নিয়ে দুষ্টুমী করার বয়স ছিল তখন থেকেই আমি একা চার দেয়ালে ঘেরা বাড়িটিতে গাছের সাথে কথা বলতাম আর ডালে বসে দোল খেতাম । তখন থেকেই হ্রদয়ে প্রেম শব্দের পুজা করতাম । কোনো এক ধরাধামের রাজপুত্র যাকে ভালবাসবো । তাও হল অপাত্রে পাত্রী দান ।
সপ্ন ছিল উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে ডাক্তার হব । ছোট কন্যা বলে মা বাধ সাধলেন সাইন্স বাদ । বাদ হয়ে গেল , যত সমস্যা ছিল ব্যাং এর জন্য । কঞ্জারভেটিভ পরিবারের সিদ্ধান্তে শক্ত রশির গিট ঢিলা করে যদিও হোম ইকোনমমিকস এ এস, এস, সি পাস হোল। এবার ঠ্যা|গে বাধ ন পড়ল ক লেজ বন্দ ।বাবারে ব ল্লাম যদি ক লেজ হয বন্ধ তবে মুখে পড়বে কালি মনে রাখিও ।বৃদ্ধ বাবার আগুনের কুন্ডু প্রায় নিভনিভ মানে রাগী বাবার রাগের বয়স প্রায় শেষ আর একমাত্র সজ্ঞীই যখন আমি ।তাই ভয়ে ভয়ে বলে আগে তোর মা এর পা টা ধর পরে ভাইটারে সামলা ।করুন মিনতি মাগো সব দায়িত্তো আমি নিবো শুধু কলেজের পথের কাটা না তুলে নাও মা। কাজ হল ধাক্কা খেয়ে এইচ,এস ,সি হল।
এবার শুরু হল ৩দফা ,৫দফা ৭দফাআন্দোলন পাত্রস্থ কর ,পাঠ্যপুস্তুক বন্ধ কর ।এই দফারা কে জানেন আমার বাবার সাত মেয়ে ও এক ছেলে।হতভাগিনি রাধা বুকের মাঝে চেপে ধরে কাদে না ,না , এ নহে কৃষ্ণা , এ মোর প্রিয় বিদ্যা।বুঝতেই পারছেন গায়ের চামড়া সাদা তাই নিজেই হলাম রাধা। ওহ দেয় নিকো কেহ হানা? অবশ্যই ভ্রাতা মৌচাকে ঢিল পড়বে এটাই সত্য কথা।তবে ভাব ছিল এমন তোমরা সবাই ভাল তবে সুধু দেয়াল টপকে না এলেই ভাল।
মাঝে মাঝে বাবার অক্কার ব্যারাম মানে হাই ব্লাড প্রেশার ।ছোট মেয়ে বাবার সফট কনার ডেকে বলে ।।মারে পড়া শেষে কি হবি শুনি ।সুযোগ পেয়েই জোরে বলি ম্যাজিস্ট্রেট অথবা ডাক্তার। নিয়তি আমার কথা শুনে হাসে- গাধার বাচ্চা ডাক্তারের পথ তো আগেই দিয়েছিস চুকে সায়েন্স না নিয়ে ,এখন ম্যাজিস্ট্রেট হবি মামা কি তোর আছে? শুনে ফ্যাল ফ্যালিয়ে চেয়ে থাকি ভবিতব্যের দিকে।
অবশেষে সব পাঠ চুকে হলাম শিক্ষক বৃন্দা বনের বনে।
এর ফাকে শৈশবে কি কৈশোরে ছারি নিকো লেখালেখি ।যখন অনার্স পড়ি সব পাকাপাকি সরচিত কবিতার জন্য সিলেক্ট আমি ।ভাবলাম ভালোই হল রেডিওর পাশাপাশি চালাবো লেখা লেখি।যেদিন গেলাম অডিশনে আমায় বলে এসব সমাজ তন্ত্র ঘেষা কবিতা চলবে না ।এরশাদ মামু জানলে আমাদের চাকুরি যাবে চলে । বুঝলাম মামা নেই তাই হলনা।
এভাবে কত লিখি কত ছিড়ি সংসারের আড়ালে আবডালে কাজের ফাকে ফাকে।নিজেকে বকি কিছছু হবে না ছাতা ,লেখা লিখি দর কার কি আছে । কিন্তু বুকের ভেতর কোথায় যেন এক বিন্দু
আলো জলে ওঠে ,হবে হবে দেখিস একদিন সবাই তোর লেখা পড়বে ।
অব শেষে পেলাম দেখা সচলায়তনের ।বুকের ভেতরের প্রদীপটা নতুন শক্তি পেল ।নড়ে বস লাম আমিও ।মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, আস্থা ছিল সচলায়তনই দেবে একটা জায়গা ।ওমা এ কী! চিন্তা সচলায়তন সে কি নারী ? অথবা পুরুষ ? না কী মানুষ? কি জানি বাপু অতি কষ্টে লিখলাম কিছু কথা । সারাদিন বুকের মধ্যে আনন্দ আমি লেখিকা হব । কিন্তু ভালোবাসার প্রদীপটা মনে হল নিভে গেল স চ ল য়া ত ন আমার লিখা ছা পা লো না, তবে হয়ত ছাপাবে কোন বর্ষ ন মূখর দিনে অথবা কোন শরতের জ্যোৎস্নায়
মন্তব্য
ব্লগ+পডকাস্ট ভালোই লাগল। বাংলায় পডকাস্টের ব্যবহার খুব কম। কয়েকটি পরামর্শ:
১। রেকর্ডিংয়ের সময় মাইক্রোফোনটিকে একটু দূরে রেখে কথা বলবেন। এ কারনে বেশ নয়েজ এসেছে।
২। একটু রিহার্স করে নিতে পারেন। এট লিস্ট দুবার পড়ে নিন। তাহলে আরো স্মুথ হবে।
চালু রাখুন। চমৎকার সিরিজ হতে পারে এটি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনার অনুভূতিকে সম্মান
মুর্শেদের সাথে একমত । আপানার লেখা ও পাঠ দু’টোই ভাল লাগল । শুধু রেকর্ডিংয়ের মান যেন আরেকটু ভাল হয় । সেই সঙে পাঠের গতি সাবলীল ও সহজ হওয়া চাই । কিছু কিছু উচ্চারণ কানে লেগেছে । আশা করি এর পর খেয়াল রাখবেন ।
শুনতে শুনতে কেন যেন রবীন্দ্রনাথের কবিতার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল, “বিধাতার যথেষ্ঠ সময় দেননি আমায় গড়তে…
আপনার নামটি জানা হ’ল না । ভাল থাকুন ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আপনার লেখা পড়ে ভাল লাগলো, কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় পড়তে গিয়ে সামান্য হোঁচট খেলাম, শব্দ ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাওয়ায়।
রেকর্ড করা কবিতা(সম্ভবত) শোনা হলো না, তবে নিশ্চয় লেখার মতই ঝরঝরে হবে।
আরো লেখা নিশ্চয় সামনে পড়তে পাবো।
দৃশা
পড়ছি ও শুনছি, ভালো লাগলো।
কী প্লাম কী প্লাম না... এই চক্র কবে শেষ হবে।
============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।
============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।
মন খুলে লিখতে থাকুন। সচলে স্বাগতম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনি 'লেখিকা' এতে কোন সন্দেহ নাই। না পাওয়ার ছবিটাও ভাল।
ভাল লেখা। লিখতে থাকুন।
- কাঠপেন্সিল।
-------------------------------------------
মুহাম্মদ রিফাত ইসলাম।
কেমন করে বলো ঐখানে যাই? যেখানে তুমি আর তোমরা আছো সবাই।
সচলায়তনে স্বাগতম। লেখা এবং অডিও, পড়লাম এবং শোনলাম। ভাল লেগেছে। লিখে চলুন নিয়মিত। যেহেতু লেখাটিই সবার প্রথমে মানুষ পড়বে, তাই লেখা জমা দেওয়ার আগে টাইপো গুলো একবার চেক করে নিবেন।
বানান এবং উচ্চারণ "অবাঞ্ছিত" হবে
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ভালো লাগলো। পডকাস্টের আইডিয়া ভালো। তবে লেখা পড়তে গিয়ে বেশ ক'বার হোচট খেয়েছি। যদি ফোনেটিক ব্যাবহার করেন লেখার জন্যে তাহলে নতুন অভ্রটা নামিয়ে নিতে পারেন। সেটাতে স্পেল চেকারটা বেশ কাজের!
ভালো থাকবেন। আশা করি পরের লেখায় নামটাও জানতে পারবো!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আপনার অনুভূতিকে সম্মান
আইডিয়াটা দারুণ!
আমি ভাবছিলাম (সাহসে কুলায় নি), আপনি করে দেখালেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন