সম্প্রতি কিছু পরিচিত মানুষের বিয়ে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। এ লেখাটা সেই অভিজ্ঞতা থেকেই লেখা। শিরোনাম দেখে কেউ আবার ভেবে বসবেন না যে লেখাটায় 'সেটল ম্যারেজ' এর বিরুদ্ধে একগাদা বিষোদগার করা হয়েছে। ব্যাপারটা মোটেও এমন কিছু নয়। আমি বরং এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের যা সামাজিক প্রেক্ষাপট, তাতে সেটল ম্যারেজের কোন ভাল বিকল্প দেখছি না। একটা এগজ্যাম্পল দিয়ে ব্যাপারটা ক্ল্যারিফাই করি।
ভার্সিটিতে আমাদের সেকশনে মোটামুটি জনা পঞ্চাশেক ছেলে আর গোটা পাঁচেক মেয়ে পড়ে। ধরে নিলাম, এই পাঁচ সুকন্যার সাথে আমাদেরই পাঁচ সুপুত্রের ভাব-ভালবাসা হয়ে গেলো। আরও দশ-বারোটি ছেলে বাইরের মেডিক্যাল-ভার্সিটি থেকে তাদের পছন্দমত জীবনসঙ্গী জুটিয়ে নিল। বাকি রইলো কুড়ি-পঁচিশটির মত হতভাগা। এখন এই হতভাগাদের জন্য কী ওয়েট করছে? সেটল ম্যারেজ বৈ তো কিছু নয়। সেটল ম্যারেজ তাই একটা বাস্তবতা, তা আপনি স্বীকার করুন আর নাই করুন। এবং সম্ভবত এই প্রথাটি আরো বহু বছর ধরে আমাদের সমাজে (গৌরবের সাথে কিনা জানি না) টিকে থাকবে।
তো, সবাই যেটা বলে থাকেন, সেটল ম্যারেজের সবচেয়ে খারাপ দিকটি হল 'কনে দেখা'। সময়ের সাথে সাথে at least শহুরে সমাজে এর অনেক মডিফিকেশন এসেছে। 'পরিবারের সবাই মিলে গরু দেখার মত করে কনে দেখা' এই ব্যাপারটার ওপর 'বর-কনের রেস্টুরেন্ট ডেটিং' এই জাতীয় নানা ধরণের প্রলেপ লাগিয়ে গোটা প্রসেসটাকে আপাতদ্ষ্টিতে গ্রহণযোগ্য করে তোলা হয়েছে। কিন্তু, যে ব্যাপারটা আমার কাছে ভয়াবহ দ্ষ্টিকটু লেগেছে তা হল, সিনিয়র-জুনিয়র নানা সোর্স লাগিয়ে মেয়ের চরিত্র সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করা। মেয়ের আগে কারো সাথে অ্যাফেয়ার ছিলো কিনা, থাকলে কার সাথে ছিলো, কতদিনের অ্যাফেয়ার---ইত্যাদি নানা প্রশ্নে পাত্রীর বন্ধুবান্ধবকে মোটামুটি অতিষ্ঠ করে তোলা হয়। আমার কোশ্চেন হচ্ছে এই ধরণের গোয়েন্দাগিরি করার যৌক্তিকতা নিয়ে। ধরুন, মেয়ের আগে একটা অ্যাফেয়ার ছিলো। আর অ্যাফেয়ার থাকলে মেয়ের বন্ধুবান্ধব সবাই সেটা জানবে। এখন আপনি যখন শার্লক হোমস সেজে মেয়ের অতীত ইতিহাস উদ্ধারে ব্রতী হবেন, তখন সবাই মেয়ের বন্ধুবান্ধব সবাই আপনাকে ব্লাফ দেয়, আপনি কিছু করতে পারবেন?
পাত্রপক্ষ হয়তো বলবেন যে বিয়ের আগে মেয়ের খোঁজখবর করবো না-এ কেমন কথা? হ্যাঁ, খোঁজখবর যদি করতেই চান, তো আপনার ছেলেটিকেই সে দায়িত্ব দিন না কেন? সেই তার ভবিষ্যত জীবনসঙ্গীর সাথে কথা বলে জেনে নিক, তার অতীত ইতিহাস কী এবং কত প্রকার। তা না করে কিশোর গোয়েন্দা লাগিয়ে একজন মানুষের অতীত নিয়ে ক্যাঁচাকেঁচি করাটাকে আমার কাছে অন্তত খুব বীভৎস আর অশ্লীল মনে হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আমার এক বন্ধুর বক্তব্য উদ্ধ্ত করার লোভ সামলাতে পারছি না। রিসেন্টলি ওর বড় ভাইয়ের বিয়ে হয়েছে। ওর কথা হল,
"আমার ভাই জীবনে অ্যাফেয়ার করে নাই। তো তার জন্য এমন পাত্রীই লাগবে যার আগে কোন অ্যাফেয়ার ছিলো না।"
শেষকথাঃ
যে কটি বিয়েতে আমার মোটামুটি সংশ্লিষ্টতা ছিলা, দুর্ভাগ্যক্রমে তার সব কটিতেই আমি বরপক্ষে ছিলাম। আমার অভিজ্ঞতার ঝুলি তাই তেমন সম্দ্ধ নয়। কনেপক্ষের কেউ কি বলতে পারবেন, বর বেচারার চরিত্রও কি এভাবে গোয়েন্দা লাগিয়ে কেটেছিঁড়ে ব্যবচ্ছেদ করা হয়? যদি, তাই হয়, তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই। আর যদি তা না হয়, তবে তো আমার মনে হয় আজ থেকেই বিপুল বিক্রমে তা চালু করা উচিত।
---আশফাক আহমেদ
মন্তব্য
একতারা দিতে গিয়েও দিলাম না। কারণ মাউসটা ওখানে নিতে গিয়ে দেখলাম ১ তারা মানে তেমন ভালো না। এই লেখাটা একদমই ভালো লেখা হয় নাই। আধা তারা পোয়া তারা যেহেতু নেই সেহেতু কমেন্টই করলাম।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বস, লেখার কন্টেন্ট পছন্দ হয় নাই না লেখার স্টাইল?
লেখাটা মোটাদাগের মনে হল। সেটেল ম্যারেজের পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়েছে (যদিও সেটার কোন জোরদার লজিক পোস্টে পাওয়া গেলনা ) ,কিন্তু কোন অভিজ্ঞতার কথা সবিস্তারে আসেনি। আরেকটু গুছিয়ে লিখলে বোধহয় ভাল হয়।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
সেটেল ম্যারেজের পক্ষে সাফাই গাওয়া হয় নি। বলা হয়েছে এখন পর্যন্ত এর কোন ভাল বিকল্প পাওয়া যায়নি
এটা একটা ফালতু পোস্ট।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
জমল না।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
১ তারা দিলাম, প্রথমত আপনে কি মেসেজ দিতে চাইছেন তা জানার আগেই ভ্রু কুঁচকে গেছে আপনার লেখার শিরোনাম দেখে। না লিখলেন কোন ঘটনা, না দিতে পারলেন কোন মেসেজ, আরেকটু যত্ন নিয়ে লিখলে হয়ত বুঝতে পারতাম কি বলতে চাইছেন! আপনার ২০-২৫ সহপাঠীর জন্যে খারাপই লাগছে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ঐ এইটা ক্যাঠায় ছাড়ছে রে'র ইমো নাই?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
এই ইমো ছাড়া হোক।
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
"ক্যাঠায় ছাড়ছে রে" ইমো:
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কাহিনী আশা করছিলাম, আর হা ছেলেদের বেপারেও খোজ খবর নেয়া হয়।
হুম, লেখার কন্টেন্ট ভালোই কিন্তু লেখার স্টাইলটা ভালু পাইলামনা। এই কন্টেন্টে আরো অনেক অনেক অনেক জোরালো লেখা উঠে আসতে পারতো। আসলে আপনার লজিকটা কি ছিলো - সেটল ম্যারিজ নিয়া কথা বলা নাকি এই বিষয় সম্পর্কিত যে খোঁজ-খবরের কথাটা বললেন, সেটার দিকে ফোকাস করা?? নিজে আগে নিজের কাছে ক্লিয়ার হয়ে নেন, তারপর লিখতে বসেন, ভালো লেখা অবশ্যই বেরুবে।
শুভ কামনা রইলো।
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
কিছুদিন আগে একটা সেটেল ম্যরেজে আমি ছিলাম পাত্রীপক্ষে। আপনার অবগতির জন্যে জানাই, সব ক্ষেত্রেই খোজ-খবর নেয়া হয় এবং সেটাও অতি-গোয়েন্দা টাইপ, কোন কম বেশি নয়।
সাফায়েত
--------------------------------------------------------------------------------
তোমায় দেখলে ইচ্ছে করে শুরু থেকে শুরু করি আবার জীবন...........
লেখাটা একটু দুর্বল মানছি। কিন্তু গণ হারে একতারা বা গণবিদ্রূপের শিকার হওয়ার মত কিছু আপনি লিখেছেন বলে মনে হচ্ছে না। সেটেল ম্যারেজের এক পক্ষের ব্যাপারে আপনার অভিজ্ঞতা আপনি তুলে ধরেছেন। এবং কিছু প্রশ্ন করেছেন। এ প্রশ্ন আসতেই পারে।
আর
এই কথাটা খুবই সত্যি। অন্তত আমি যখন আপনার ভার্সিটির মতই একটা ভার্সিটিতে পড়তাম তখন এটা ভালোমতই বুঝতে পেরেছি। আজকাল মোবাইল টোবাইল হয়ে ছেলেমেয়েদের মধ্যে যোগাযোগের উপায় বেড়েছে। কিন্তু তারপরেও ওভাবে যোগাযোগ শুরু করাটাও খুবই শ্যালো।
কারণ একজন অচেনা মানুষকে ভালো লেগে গেলেও তার মোবাইল নাম্বার জোগাড় করে ফোন করে বসার মত ছ্যাবলামি মনেহয় সবাই করে উঠতে পারে না।
বাকি থাকলো, পরিচয়-বন্ধত্ব-চেনাশোনা এসব থেকে প্রেম। অন্যদের কথা বলতে পারি না। তবে আমি আমার ভার্সিটি লাইফে কোনো মেয়ের সাথে যোগাযোগ করার সুযোগই পাইনি। অনেকে বিতর্ক, নাটক, গান, আবৃত্তি, এসব করার কারণে অনেক মানুষের কাছে এক্সপোজার পায়। কিন্তু এগুলো করেই বা কয়জন? যেমন আমার এক্সট্রাকারিকুলার আকটিভিটি ছিলো প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট। ও'লাইনে শুধু ছেলেদের সাথেই পরিচয় ঘটেছে। আবার, অনেকের তো এক্সট্রাকারিকুলার কোনো একটিভিটিই থাকে না। তবে স্কোপ আজকাল একটু বেড়েছে মনে হয়। ক'দিন আগেও ছিলো না। অন্তত আমি ভার্সিটিতে পড়া কালে।
আপনার লেখার হাত বেশ ঝরঝরে। ভবিষ্যতে আপনার কাছ থেকে আরো গোছানো লেখা পাবো আশাকরি।
শুভেচ্ছা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ বস।
ভাইয়া বুয়েট কোন ব্যাচ?
স্পর্শ-র বক্তব্যের সাথে অনেকাংশে একমত।
লেখাটা বেশ দুর্বল। কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য পরিষ্কার করে বলা হয় নি। এ ধরনের পোস্ট অনেক মনোযোগ, যত্ন, যুক্তি এবং বক্তব্য দাবি করে। পরবর্তীতে লেখার সময় বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন প্লিজ।
বিশেষ করে "শেষকথা"। এটার আদৌ কোনো দরকার ছিল কি না জানি না। এখানে আপনি যেভাবে "খারাপ কাজ"কে সার্টিফাই করেছেন, তার সাথে একমত হতে পারলাম না। একপক্ষ করলে, আরেক পক্ষকেও যে একই কাজ করতে হবে, তা কেন? আপনি তো উপরে বলেছিলেন যে এই "গোয়েন্দাগিরি" কাজটা "খুব বীভৎস আর অশ্লীল" মনে হয়, তাহলে এই পুরো পদ্ধতিটার বিরুদ্ধে জোরালো মত প্রকাশ করাটাই কি সমীচীন ছিল না?
যাই হোক, আপনি নিয়মিত লিখবেন আশা করব। সমালোচনা যেটুকুই হয়েছে বা হবে, ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করুন প্লিজ। এগুলো আপনার পরের লেখাগুলোকে আরো সমৃদ্ধ করবে বলেই বিশ্বাস করি। ভালো থাকবেন।
শেষকথা লিখে আমার নিজেরই খনিকটা 'উগ্র' মনে হয়েছে অংশটাকে।
ভবিষ্যতে ভালো লেখার চেষ্টা করবো। কথা দিচ্ছি
ব্যাপারটা একটু বোঝায়ে বলবেন?
নিচে আমার মন্তব্যটি দেখুন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
উপসংহারটা একটু তাড়াতাড়ি টেনে ফেলছেন। টপিকটা ইন্টারেস্টিং যদিও।
সমালোচনা খাইসেন, কিন্তু মাইন্ড খাইয়েন না। লিখতে থাকেন। ব্লগারদের চামড়া মোটা হওয়া লাগে।
আমার খারাপ লাগে নাই বলে দিলাম।
আচ্ছা আর 'খোঁজ-খবর' করার ব্যাপারটা নিয়ে মনে হয় সত্যিই আলোচনা অবকাশ আছে।
আমাদের দেশের এখন যে 'আর্থসামাজিক' অবস্থা তাতে সেটেল ম্যারেজ ব্যাপারটা হুঠ করে আগামীকাল থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে না। কয়েক যুগ লাগবে একটা সামগ্রিক পরিবর্তন আসতে। আর ততদিন নিশ্চই শুধু প্রেমের বিয়ে হবে না? তাহলে, আমাদের হাতের এই 'সমস্যা'টার দিকেই তাকানো যাক।
ধরেন আমি আরেঞ্জড ম্যারেজ বা সেটেল ম্যারেজ করতে চাচ্ছি। এবং কোনো না কোনো ভাবে সম্ভাব্য পাত্রীও পাওয়া গেল। এখন সেই পাত্রী কিন্তু জানতে চাইতেই পারে যে আমি 'হিরোইনচি' কি না। বা অতীতে কোনো ফৌজদারী মামলায় জেল খেটেছি কি না। বা ভার্সিটিতে মেয়েদের উত্তক্ত-লাঞ্ছনা করতাম কিনা। বা এমন কিছু।
শুধু পাত্র-পাত্রী মাস তিনেক পরিচয় হলো তারপর নিজেরা কথা বার্তা বলে একটা মানসিক বোঝাপড়ায় চলে গেল। তারপর সুখে-দুখে সংসার জীবন পার করে দিলো। এটা হচ্ছে সেটেল ম্যারেজের 'বেস্ট কেইস সেনোরিও'। দুনিয়াটা বেস্ট কেইস সেনোরিও না। এখন বন্ধু-বান্ধব থেকে বলেন এলাকাবাসী থেকে বলেন বা অন্য কিছু থেকে বলেন। খোঁজ খবর না নিয়ে আমি কেন একজন হিরোইন সেবী মেয়েকে বিয়ে করবো? বা আমি নিজে হিরোইন সেবী হয়ে থাকলে আমি তো পাত্রীর সাথে আলাপের সময় মিথ্যা বলতেই পারি। খোঁজ খবর করা মানেই যে শুধু 'আগে আফেয়ার ছিলো কিনা' সে খবর নেওয়া তা তো নয়।
তাহলে এই ব্যাপারটাকে এত 'গ্রস' কেন ভাবছে সবাই? সত্যিই জানতে চাচ্ছি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অ্যাফেয়ারের ব্যাপারটুকু ধর্তব্যের মধ্যে না রাখলেও অন্য গেরো কিন্তু ঠিকই থেকে যায়। সেটেল ম্যারেজের বেলায় পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে আনা একটা অলিখিত রেওয়াজই বলা যায়। আগে এই ব্যাপারটা অনেক স্থূল ছিল, ছোটবেলায় গ্রামে দেখেছি বংশ নিয়ে বহু আগাপাশতলা কাঁটাছেড়া। তখন বনেদি বংশের পাত্র-পাত্রীর বিয়ের বাজারে আলাদা কদর ছিল। এখন আর বোধহয় বংশ নিয়ে অতটা বাই নেই, তবে ব্যাকগ্রাউণ্ডকে একটা মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনার প্রবণতা আকছার দেখা যায়। তর্কটা উঠতে পারে, এটাকে একটা স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরা কতটুকু বিবেচনাপ্রসূত?
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
"অ্যাফেয়ার" শব্দের অর্থ হচ্ছে গোপন যৌন সম্পর্ক।
অ্যাফেয়ার/প্রেম কোনটা নিয়ে লিখতে চেয়েছিলেন?
লেখা পড়ে উদ্দেশ্য, বিধেয়, মূল বক্তব্য কিছুই পরিষ্কার করে ধরতে পারলাম না।
কাকস্য পরিবেদনা
এটা বস আপনার কাছ থেকে জানলাম। তাহলে একটা মেয়ে যখন বলে, এই ছেলেটার সাথে আমার 'অ্যাফেয়ার' আছে, সে কি এটাই mean করে, ছেলেটির সাথে তার গোপন যৌন সম্পর্ক আছে? "অ্যাফেয়ার" এ গোপন যৌন সম্পর্ক থাকাটা কি কম্পালসারি?
হে হে হে। আমরা ভুলভাল ইংরেজি ব্যবহার করি আর কী!
'অ্যাফেয়ার' শব্দটার বদলে 'রিলেশনশীপ' শব্দটা ব্যবহার করলেই ল্যাঠা চুকে যায়।
কাকস্য পরিবেদনা
কয় কী, আমি তো দুইটার মানেই একই জানতাম
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রিলেশনশীপ = A state of connectedness between people (especially an emotional connection)
অ্যাফেয়ার = A usually secretive or illicit sexual relationship
রিলেশনশীপের মধ্যে সেক্স ঢুকলেই সেইটা অ্যাফেয়ারে গড়ায়। যেমনে রাজনীতির মধ্যে পলিটিক্স ঢুকলে রাজনীতিবিদেরা গালি খায়।
কাকস্য পরিবেদনা
হেহে ... ঠাট্টা কর্সিলাম তো
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
বয়স হইতেছে তো তাই বুদ্ধি কমতেছে! ধর্তারিনাই!
ইশ!! আরেকটা বিয়া করতে পারতাম যদি।
কাকস্য পরিবেদনা
লেখাটা পড়ে কিছু হতাশ (কেন, সেটা সকলেই ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন), তবে লেখককে হতাশ না হবার অনুরোধ জানাই। ব্লগে, বিশেষতঃ কম্যুনিটি ব্লগে লেখা দেবার পূর্বে লেখকের কিছুটা সতর্ক হবার প্রয়োজন। ফরম্যাটিং-প্রমাদ বা বানান বিভ্রাট নতুন ব্লগারের জন্যে স্বাভাবিক- সেটি সময়ের সাথে সাথে কেটেও যায়। কিন্তু লেখার বিষয়, প্রকাশভঙ্গি, যৌক্তিকতা বিষয়েও পাঠক ন্যূনতম কিছু মনোযোগ দাবি করে, এই লেখায় সেটা অনুপস্থিত।
আপনি কিছুটা সময় নিয়ে অন্যান্য ভালো লিখিয়েদের লেখা পড়ুন, কেবল পরিচিতদের লেখায় মন্তব্য না করে সকলের সাথে নিজের মতামত ভাগ করুন, মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে পাঠক কী পড়তে (বা, কীভাবে পড়তে) ভালোবাসে- তা বুঝবার চেষ্টা করুন।
... লেখার মূল বিষয়ে স্থূলভাবে একমত। সেটেল ম্যারেজের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রী যে পক্ষেরই হোন না কেন, আপনার অবশ্যি অধিকার আছে ভিন্নসূত্রে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করার। তবে "পূর্বে এফেয়ার ছিলো কি না" - এই জাতীয় তথ্য জোগাড়ে উৎসাহ দেয়ার পক্ষে আমি নেই।
আশা রাখি, পরের লেখাটি আরো যত্নবহুল হবে। শুভ কামনা রইলো।
_________________________________________
সেরিওজা
আগে অনুপ্ররনা দিন লেখার।তারপরে উন্নতি হবেই
অনুগ্রহ করে নীচের লেখাগুলো পড়ে নিন।
১
২
৩
লক্ষ করে থাকবেন, যারা এই লেখাটির সমালোচনা করছেন, তাঁদের অনেকেই এই লেখকের পূর্বের লেখাগুলোর প্রশংসা করেছেন। ... ভালো লেখার জন্যে পাঠকের প্রশংসা যদি লেখক ঘাড় পেতে নেন, তবে যৌক্তিক সমালোচনা নিশ্চয়ই তার প্রাপ্য।
_________________________________________
সেরিওজা
খুব অবাক হয়ে দেখলাম, মানুষ কত স্থূল,অশিষ্ট,অবান্তর আর হিংস্রভাবেই না একজন নবীন লেখককে আক্রমণ করতে পারে ।
লিখার মান ভালো না হলে মন্তব্যের ঘর শূন্য পড়ে থাকাটাই পাঠকবিমুখতা প্রমাণ করে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট।
আপনি লিখুন। আরো লিখুন।
একজন বুয়েটিয়ান নিশ্চয়ই অনেক ভাল লিখা লিখতে পারবে।
আনন্দ
ভাই আনন্দ,
স্থূল, অশিষ্ট, অবান্তর আর হিংস্র আক্রমণগুলো কোট করে দিলে ভাল হইতো না?
এই স্থূল, অশিষ্ট, অবান্তর আর হিংস্র আক্রমণের চোটেই দেখবেন এই লেখকের পরবর্তী লেখাটা দশগুণ বেশি ভাল মানের হবে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে "স্থূল, অশিষ্ট, অবান্তর আর হিংস্র আক্রমণ করে মাইরা ফালাইলোরে" টাইপ দুঃখের গান গাওয়ার জন্য মাঝে মধ্যে আপনার মত আনন্দ/নিরানন্দ টাইপ নাম নিয়ে কারো কারো আগমন ঘটে। যাদের নাম হারিকেন দিয়া খুঁজলেও অন্য কোন পোস্ট বা মন্তব্যে খুঁজে পাওয়া যায় না।
লেখাটার সমালোচনা না করে পাঠকরা যদি বলতেন "ভাই ফাডায়ালাইছেন। এইরাম আরো দেন" তাহলে দেখতেন "রাইত তিনটায় ঢাকায় পৌঁছাইয়া শিং মাছ দিয়া ভাত খাইছি" শিরোনামের পোস্টে ছয়লাপ হয়ে যাচ্ছে চারিদিক। আর আপনার মত "অচেনা" অতিথি অন্য ব্লগে গিয়া বলবেন, ওরা খ্রাপ। ওরা সমালুচনা করে না। খালি পিঠ চুলকে দেয়।
আরেকটা ভুল করলেন। ভাল লেখক হবার জন্য বুয়েটিয়ান হওয়া আবশ্যক না। উনি আপনার তেলে যতটুকু ভাল লিখবেন তার চাইতে বেশি ভাল লিখবেন পাঠকদের তাড়া খেয়ে। নিশ্চিত থাকতে পারেন।
কাকস্য পরিবেদনা
ওহ .. উনি বুয়েটে পড়েন তাহলে! পোস্টে দেখলাম না তথ্যটা। জানিয়ে ভালো করলেন। বুয়েট থেকে পচুর হরিদাস পাল বের হচ্চে এটা জেনে ভাল্লাগলো।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
লেখক নিজে তাঁর বুয়েটের পরিচয় একবারো দেননি, মন্তব্যে সেটা এসেছে। সেটার উপরে ভিত্তি করে আপনার সিদ্ধান্তটা ভালো লাগলো না একদমই।
আপনি লেখা নিয়ে বলুন, কোন কোন জিনিস খারাপ লেগেছে সেটা বলুন...এতটা হার্শ কমেন্ট না করাই ভালো।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম,
বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে একটা সংস্কৃতি চালু আছে। সংস্কৃতিটা আগের দিনের বংশ গৌরবের মতো। কে কোন জায়গা থেকে পাস দিলো সেটা নিয়ে এই গৌরবটা চালু আছে। অন্য জায়গার মতো বাংলাদেশে এই জিনিসটা দেখবেন অপেক্ষাকৃত ভালো ইনস্টিটিউশন থেকে বের হওয়া লোকজনের মধ্যে। উদাহরণ, ঢাবি (এর আবার নানা সাবসেক্টর আছে যেমন, আইবিএ, ইংলিশ, বিজনেস ফ্যাকাল্টি ইত্যাদি), বুয়েট, ঢাকা মেডিকেল, এনএসইউ ইত্যাদি। এই গর্বের সূত্র হলো এক ধরনের মানসিকতা যেটা বলে আমি অন্য থেকে ভালো। এই গর্বের প্রকাশটা অনেক সময় অবচেতন মন থেকে লেখায় বেরিয়ে আসে। বাংলাদেশে আদতে কোথায় পড়া হয় সেটা ব্যক্তির যোগ্যতা নির্ধারণ করে বলে আমি বিশ্বাস করি না। এই কারণে গর্বভিত্তিক এইসব চিন্তাভাবনা থেকে সবার বের হয়ে আসা উচিৎ বলে মনে করি। গর্ব প্রকাশের ভিত্তি শুধু এডুকেশনাল ইনস্টিটিউটই না, বিভিন্ন পেশার মধ্যেও আছে। এই নিয়ে অনেক লেখালেখি তর্ক বিতর্ক সম্ভব।
আমি মন্তব্যটা করেছি কমেন্টদাতার উদ্দেশ্যে। যারা এই জাতীয় কুলীন স্টেটমেন্ট পয়দা করেন তাদের জন্য আমি একটু হার্শই। এইটা বুয়েটে বা অন্য ইনস্টিটিউট থেকে অহরিদাসপাল আছেন তাদের নিজেদের গায়ে না নিলেও হবে।
এবার লেখা প্রসঙ্গ। এই লেখা নিয়ে মন্তব্য হলো এটা এমনই লেখা যেটা পাতে দেবার মতো না। এই নিয়ে আলোচনা সময় নষ্ট। এই মন্তব্য আমি ডিফেন্ড করতে পারি এই পোস্টের থেকেও বড় সাইজের মন্তব্য করে। কিন্তু ক্লান্তি লাগে যে বড়!
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ব্যাখার জন্য ধন্যবাদ হাসিব। আপনার মন্তব্য পড়ে বুঝতে পারিনি যে এটা লেখকের উদ্দেশ্যে নয়, মন্তব্যকারীকে বলা।
বংশগৌরবের কাছাকাছি এই ব্যাপারটা আমিও লক্ষ্য করেছি...আমেরিকাতে বুয়েটের আধিক্য প্রচুর...অনেক ব্যাপারেই বুয়েট ও ননবুয়েট গ্রুপিং হয় যেটাতে বুয়েটের প্রাক্তন ছাত্র হয়েও আমি বেশ পীড়িত হই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যা বলতে নিয়েছিলাম তা দ্রোহীদা বলে দিয়েছেন, বুয়েট এর সাথে লেখালেখির কি সম্পর্ক ভাই? বরং খারাপ লেখা দিয়ে বুয়েটের নাম দুর্গন্ধ করার জন্যে জরিমানার ব্যবস্থা করা উচিত। আমি এমন কিছু করে অন্তত কোন প্রতিষ্ঠানের নাম ডুবাতাম না। বুয়েট তো কাউকে ব্লগ লিখতে শিক্ষা দেয়না। বরং যদি বলেন, ঢাকা ইউনি থেকে বাংলা বিভাগে পড়েও একটা বিষয়ে কিছু লিখতে গিয়ে লেজে-গোবরে কোরে ফেলেছে, তখন সেটা হিসাবে আনা যায়।
হিংস্রভাবে কেউ আক্রমন করেননি, যদি একজন সচলও লিখতেন এভাবে, আরো কঠোর সমালোচনার মুখোমুখি হতেন, অতীতে এরকম অনেক নজির আছে, সময় থাকলে একটু ঘেটে দেখতে পারেন। সচলায়তন একটি রাইটারস কমিউনিটি, কাজেই সমালোচনা করার জন্যে পাঠকদের ধন্যবাদ প্রাপ্য, কোন ব্যক্তি আক্রমণ চোখে পড়লে একটু দেখিয়ে দিতে পারেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
লেখকের লেখার ক্ষমতা নিয়ে কিন্তু কখনোই কটাক্ষ করা হয়নি, আমি বরং বলব লেখকের আরো সময় নিয়ে, আরো গুছিয়ে লিখতে পারতেন, তাতে তার লাভ বৈ ক্ষতি হতনা। সমস্যাটা হল , পোস্টের কন্টেন্ট বিবেচনায় লেখাটা বেশ জোলো হয়ে গেছে, সেটা কিন্তু লেখক বোধকরি নিজেই বুঝতে পারছেন। তাই পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনার দাবি রাখা টপিকটা বেমক্কা মাঠে মারা গেছে। আর অযাচিতভাবে বুয়েটিয়ান পরিচয় টেনে আনা আর যাই হোক প্রাপ্তমনস্কতার পরিচয় দেয়না।
বাই দ্য ওয়ে, মালুম হচ্ছে, আমি লেখকের কলেজমেট না হলেও ভার্সিটি ও ব্যাচমেট।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
অটঃ সুহান রিজওয়ান, লেখক আপনার ব্যাচমেট,কলেজমেট, ভার্সিটিমেট,আমারো। যাই হোক, লেখার টপিকটা নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী, তবে ওই যে, উদাহরণ-স্বল্পতা। আশা করতেছি তুই খুব শিগগিরই লিখার মত যথেষ্ট উদাহরণ পাবি
ভাই সার্থক, সচলায়তনে সবাই ব্লগার/লেখক, এখানে সেটাই তাদের প্রথম এবং শেষ পরিচয়, অন্যকোন পরিচয়ের প্রয়োজন পড়েনা, ভবিষ্যতেও পড়বে না, লেখাই এখানে প্রতিটি ব্লগারের পরিচয়, এভাবে দেখতে চেষ্টা করেন, তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে। কাজেই খামোখা ব্যক্তি পরিচয় টেনে আনেন কেন বুঝি না
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
@সাইফঃ ব্যক্তি পরিচয়ের ব্যাপার টা শুধুমাত্র সুহান কে উদ্দেশ্য করে বলা, আপনার বিরক্তি উদ্রেকের কারণে দুঃখিত। আমি শুধু বলেছি পরিচিত, এবং প্রথমেই বলা ছিল অটঃ (অফটপিক)...
সার্থক ভাই, লেখক আমার পরিচিত- এটা আমি নাম দেখে অনুমান করে নিয়েছি। কিন্তু আমি আপনার পরিচিত বলে আপনি আমার লেখার সমালোচনা করবেন না; এই মনোভাব নিয়ে আমি সচলায়তনে লিখতে আসিনি। ব্লগের সৌন্দর্যই এটা, যে পাঠকের সাথে সরাসরি ভাব বিনিময় করা যায়- নিজের ভুল নিজেকেই স্বীকার করে নিতে হয়।
আমি আশা করবো, আমার অপটু লেখায় আপনি ভবিষ্যতে এসে সমালোচনা করে যাবেন। আপনার ব্যাচমেট-কলেজমেট-ভার্সিটিমেট দাবিতে ছেড়ে কথা বললে ক্ষতিটা পাঠক হিসেবে আপনার না হলেও, লেখক হিসেবে আমারই হবে।
উপরের অংশটুকু বোধ করি, পোস্টদাতার উদ্দেশ্যে বলেছেন। আলাদা করে উল্লেখ করলে খুব ভাল হতো। অপরিচিত কেউ আমায় 'তুই' বলছেন, বিষয়টি খুব অস্বস্তিকর।
_________________________________________
সেরিওজা
ভাইরে, আমার ছোট কমেন্টের এত বড় ব্যাখ্যা হইতে পারে জানলে তো কমেন্টই করতাম না... মাত্র তিনটা বাক্য লিখছি, আর তাতে দুইজন বিশাল বিশাল কমেন্ট করে ফেলছে আমাকে নিয়ে... ব্লগ, ব্লগার বা ব্যক্তি, কাউকেই বিরক্ত করা বা ছোট করা আমার উদ্দেশ্য ছিলনা(DISCLAIMER)...
আর আরো একটা ব্যাপার, "লেখার টপিক" নিশ্চয়ই লেখককে উদ্দেশ্য করেই বলা, মন্তব্যকারীকে নয়। আর আমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ডকেই "তুমি" করে ডাকি, এবং কিছুটা দূরের বন্ধুদের "তুই", "তুই", আর অপরিচিতদের "আপনি, আপনি"....
পরবর্তী মন্তব্যগুলোয় আরো বেশি চিন্তার ছাপ রাখতে পারব আশা করি...
সবার সাথে আমিও সহমত, লেখার প্রকাশভংগি, যুক্তিতর্কের উপস্থাপনা দূর্বল; এবং অনেকের সাথে গলা মিলিয়ে এ-ও বলতে পারি যে, তার মানে এই না যে আর লিখতে আসবেন না, বা আপনার কোন ভাবনা সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেবেন না। ভবিষ্যতে আরও লেখা পড়বেন, সচলায়তনের লেখক ও পাঠকের রুচি বুঝে লিখতেও থাকবেন।
এবার বিষয়টা নিয়ে কিছু বলি- হ্যাঁ, হয়ত দু'পক্ষের থেকেই খোঁজ-খবরের কোন কমতি হয় না, তবে একটা বিষম দিক থেকে যায় বৈকি। আমার মনে হয়, পাত্রের ক্ষেত্রে পূর্বে সম্পর্ক থাকার মত অপরাধ মাফ করা গেলেও, পাত্রীর ক্ষেত্রে সেই শিথীলতা আর বজায় রাখা সম্ভব হয় না। 'ভার্জিনিটি'-র ব্যাপারটা কেবল মেয়েদের ব্যাপারেই খাটানো হয় বলেই হয়ত। পাত্রের ত আর কিছু খোয়ানোর নেই, সুতরাং একটা-দু'টা 'আফেয়ারে' খুব কিছু যায়-আসে না। মেয়ের আগে সম্পর্ক ছিল, ভেঙে গেছে- এমতাবস্থায় তার বিয়ে আবার প্রেম-পিরীতি করার মাধ্যমেই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। উপলব্ধি অনুসারে আমি এটুকুই বলতে পারি।
এই টপিকটা নিয়ে আরো ইন্টারেস্টিং লেখা লিখা সম্ভব ছিল।
আশা করব আপনি মন্তব্য গুলো গঠনমূলক ভাবে নিবেন। নিরাশ না হয়ে আরো লিখতে থাকুন। চেষ্টা চালালে অবশ্যই সেটার ফল আসতে বাধ্য।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এখনকার দিনে পাত্র-পাত্রীর বিবাহপূর্ব সম্পর্ক কি এতই গুরুত্ব পায়?
ভাই, মাইন্ড খাইয়েন না, লেখা চালায়ে যান।
বিয়ের ক্ষেত্রে পূর্ব অভিজ্ঞতার মূল্য দেয়া শিখলেই আর এই ঝামেলা থাকবে না
পাত্রপাত্রী নিজেই সিভিতে পূর্বপ্রেম পূর্ব বিয়ে দলিল-প্রমাণ ছবিসহ জানিয়ে দেবে
লীলেনদা, জনগন যদি আপনার মত উদারমনা হত, তাহলে তো এই অধমকে এইসব আবজাব পোস্ট লিখতে হয় না
ধু-র! সবাই সবকিছু বলে ফেলেছে।
আমার জন্য কিছু বাকি রাখে নাই।
আগে আরেকটা বিয়া করছে কি না ... হিরোইঞ্চি কি না এই সব জানা দরকার আছে বলেই মনে করি। জেনেশুনে বিষ পান করলে সমস্যা নাই। আগের বিয়া থাকলেই যে পাত্র/পাত্রী খারাপ বা অযোগ্য হবে এমন মনে করি না - তবে তা আইনগত ঝামেলায় ফেলতে পারে।
তবে যতই খোঁজখবর করে বিবাহ করাউক না কেন ভবিষ্যতে শান্তিতে থাকবে এই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না। বেশ কিছু সুপাত্র এবং সুপাত্রীর বিবাহ সামান্য ইগো বা ইমম্যাচুরিটির কারণে ভেঙ্গে যেতে দেখেছি (দূঃখিত, উদাহরণগুলো বিস্তারিত দিবো না ...); আবার পাত্র/পাত্রীর মা/বাবার সন্তানকে অতি আগলে রাখার মানসিকতাও তাদের ম্যাচিউরড হতে না দেয়ার এবং বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার কারণ হিসেবে দেখেছি (বটগাছের ছায়ায় অন্য গাছ বড় হতে পারে না)। এরেঞ্জড বা এফেয়ার (প্লেটোনিক বা অন্যরকম) ম্যারেজ - দুইটাতেই ৫০-৫০ চান্স বলে মনে করি আমি। তাই নিজের ক্ষেত্র প্রেম করার থ্রিল (=যন্ত্রনা, যেটা পরবর্তীতে বুঝেছি!) থেকে নিজেকে বঞ্চিত করার কারণ খুঁজে পাই নাই।
আমার মতে খোঁজ নেয়া উচিত পাত্র বা পাত্রীর বাস্তবতার সাথে এক্সপোজার কেমন .... অর্থাৎ
- হলে/হোস্টেলে থাকার অভিজ্ঞতা আছে কি না (এটা বার রকম মানুষের সাথে মানিয়ে চলা শেখায়);
- চাকুরী করে কি না (এটাও বাস্তববাদীতা বাড়াতে সাহায্য করে, অনেকের সাথে মানিয়ে চলতে এবং শিশুসুলভ আচরণ কমাতে সাহায্য করে);
- কো-এডে পড়েছে কি না (এটার ভাল দিক হল, বিপরীত লিঙ্গ সম্পর্কে স্বভাবিকতা থাকে, এ সংক্রান্ত মানসিক বিকৃতি কম হয় বলে আমার ধারণা)
নিজে কন্যার পিতা। জানিনা ভবিষ্যতে এ সংক্রান্ত সিস্টেম কী হবে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি ও নিজের জীবনসঙ্গি নিজে খুঁজে নিতে পারে। আমার কাজ হল ওকে সেই যোগ্যতা (বিবেচনাবোধ) দিয়ে বড় করাটা নিশ্চিত করা।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
লেখাটা পড়লাম। মন্তব্য গুলো ও। দু একবার পাত্রপক্ষের সামনে বসতে হয়েছে, নিজের অনিচ্ছায়। সেটল ম্যারেজের প্রক্রিয়াটা আমার ভাল লাগে না। আবার কারো সাথে রিলেশন বা এফেয়ারও নেই। কি যে করি!!!
নতুন মন্তব্য করুন