জামাত এবং শিবির নিয়ে আমার কিছু কথা এবং একাত্তরের দলিল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২২/১০/২০১০ - ১:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আচ্ছা, বর্তমান সময়ের তরুণরা শিবিরে যায় কেন? আমি আমার মতো এবং আমার চেয়ে জুনিয়র ছেলেপুলেদের শিবিরে যোগ দিতে দেখেছি। একদিন হঠাৎ শুনি প্রাইমারী স্কুল থেকে বন্ধুত্ব এরকম একজন বন্ধু শিবিরে যোগ দিয়েছে। শিবিরের লিফলেট জাতীয় বই, জামাতি লেখকদের বইপুস্তক পড়ে এবং বিশেষ করে সাঈদী সাহেবের ওয়াজ শুনে সে "ইসলামী সমাজ" প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে, তাই শিবিরে যোগ দিয়েছে! আমি দেখেছি, শিবিরের ছেলেপুলেরা বিশ্বাস করেনা যে একাত্তরে জামাতে ইসলাম কোন যুদ্ধপরাধ করেছে। জামাতের যুদ্ধপরাধের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টা হচ্ছে প্রপাগান্ডা, ইসলামের শত্রুদের ষড়যন্ত্র, এই ধরণের কথা তাদের মাথায় ঢুকিয়ে ব্রেইন ওয়াশ করা হয়। তাদের ভাবটা যেন এরকম নিজামী, সাঈদী, গোলাম আযম দের মতো এত বড় বড় আলেম, তারা কিভাবে এরকম অপরাধ করতে পারে? কয়েক দিন আগে কালের কন্ঠে'র প্রথম পাতায় একটা খবরে পড়েছিলাম যে একজন মাদ্রাসার হুজুর দশ বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করেছে, তারপর সেই রক্তাক্ত বালিকাকে কোরান শরিফ ছুঁইয়ে শপথ করিয়েছে যেন কাউকে না বলে।
একজন মাদ্রাসার হুজুর নিশ্চয় কম বেশি একজন আলেম। ধর্মের লেবাস পড়িয়ে ভিতরের পশুত্বকে আটকে রাখা যায় না। সাঈদী'র ওয়াজ শুনে অনেক-কেই জামাত ভক্ত হতে দেখেছি। গত শীতেও সিলেটে তিন দিন সাঈদীর ওয়াজ-মহফিল ছিল। শেষ দিন আমি উপস্থিত ছিলাম। বিশাল মাঠ এবং মাঠের বাইরে মানুষ উপচে পড়ছিল। দেখেছি কথার চাটুকারীতায় এবং ভাষার ব্যবহারে কিভাবে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা সৃষ্টি করা হয়। ধর্মীয় উন্মাদনা বড় ভায়াবহ জিনিস। মানুষ তখন আল্লার নাম নিয়ে মানুষ হত্যা করতেও দ্বিধা করেনা। একাত্তরে এদেশে ঠিক তাই ঘটেছিল। ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে ইসলাম রক্ষার নামে নির্বিচারে মানুষ হত্যা এবং ধর্ষণ করা হয়েছে।

আমার আত্মীয় স্বজনদের অনেকেই জামাত করে। আজকাল জামাতিদের সহজে চেনা যায়না! অনেক পাঁড় জামাত ভক্ত মানুষ আছে যাদের পোশাক পরিচ্ছদ, চলাফেরা আরো দশজন সাধারণ মানুষের মতো। তারা সবসময় ক্লিন শেভড্‌ থাকে এবং পেন্ট-স্যুট-টাই পড়ে অফিস করতে যায়। কিন্তু মানুষগুলা সক্রিয় জামাতি, প্রতি মাসে জামাতের ফান্ডে চাঁদা দেয়। জামাতিদের চেনার সহজ এবং স্থুল একটা উপায় হচ্ছে, ক্রিকেটে এদের প্রিয় দল পাকিস্তান, প্রিয় খেলোয়াড়ও কোন এক পাকিস্তানী!আমি দেখেছি যে জামাতিরা তাদের বাচ্চাদের পড়ায় জামাত নিয়ন্ত্রিত স্কুলে, টাকাপয়সা রাখে ইসলামী ব্যাংকে, কেনাকাটাও করতে যায় জামাত নিয়ন্ত্রিত দোকান এবং মার্কেটগুলোতে, অসুস্থ হলে ভর্তি হয় কোন জামাতি হাসপাতালে। ঐ হাসপাতালগুলোর ডাক্তাররাও নিশ্চয় জামাত সমর্থক! ভাবতে অবাক লাগে যে এই মানুষগুলা কি স্বাধীনতা বিরোধী? কেন তারা জেনেশুনে যুদ্ধপরাধীদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে?

পাকিস্তানী আর্মি তাদের দোসর রাজাকার, আলবদরদের সাহায্য নিয়ে একাত্তরে কিভাবে এদেশের সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে এবং কিভাবে এ দেশের মা বোনদের ধর্ষণ করেছে তা জানতে এবং উপলব্ধি করতে হলে "একাত্তরের দলিল - অষ্টম খন্ড" পড়লেই যথেষ্ঠ। আমি এই বইটার প্রায় অর্ধেক ভার্সিটি লাইব্রেরীতে পড়েছি, বাকিটুকু শিঘ্রই পড়ে ফেলব। পড়তে পড়তে অনেকবার শিউরে উঠেছি, চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়েছে। আমি মনে করি প্রত্যেক বাঙ্গালী, বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের সতেরো(?) খন্ডের "একাত্তরের দলিল" পুরোটা না পড়তে পারলেও অন্তত অষ্টম খন্ড-টা পড়া উচিত। আমি বিশ্বাস করি এই বইটা পড়ার পর কেউ পাকিস্তানী এবং জামাতিদের সমর্থন করবে না। এবং শিশুদের হাতে গল্পের বইয়ের পাশাপাশি জাফর ইকবাল সারের লেখা, "মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস" এই ছোট্ট বইটাও যেন তুলে দেওয়া হয়। নতুন প্রজন্মের একটা ছেলেকেও আমরা একাত্তরের বেঈমান, স্বাধীনতা বিরোধীদের অনুসারী হতে দিব না।

সত্যান্বেষী


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

জামাতিরা বিশেষভাবে টার্গেট করে থাকে কোমলমতি শিশুকিশোরদের যাতে ওদের চিন্তাই বিশেষ কিছু একটা সহজেই পেনিট্রেশন করা যায়। শিক্ষক ও অভিভাবকদের এক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অভিভাবকরা যতই ব্যাস্ত হোন না কেনো, তাদের উচিৎ বাচ্চা কোথায় যাচ্ছে, কারা তার কাছে আসছে, এগুলো একটু খোঁজ করা। বাচ্চা যেনো টাইফুন বা ফুলকুঁড়ির লোভনীয় বই পুরষ্কারের লোভে সেদিকে না ছোটে। অথবা তাদের উচিৎ বাচ্চার জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে শিশুতোষ বই কিনে আনা।

সাঈদি একজন প্রমিনেন্ট বাইসেক্সুয়াল তো তার চামচারা তো ধর্ষকামী হতেই পারে। মাদ্রাসায় সমকামিতার গল্প তো এখন অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। এগুলোকে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। সমাজের সব স্তর থেকে প্রতিরোধ আসা প্রয়োজন। কেই বাচ্চাকে মাদ্রাসায় পাঠাবেন কিনা এটা তার ব্যাপার তবে মাদ্রাসাগুলোকে জামাতিদের প্রভাবমুক্ত খুবই করা প্রয়োজন। সরকার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন।

রাতঃস্মরণীয়

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার বলেছেন। বাচ্চাদের মুক্তিযুদ্ধের বই নিয়মিত পড়ালে তাঁদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গড়ে উঠবে। এক্ষেত্রে জাফর ইকবাল স্যারের "মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস" বইটা দিয়েই শুরু করা যায়। খুব সংক্ষিপ্ত কিন্তু অত্যন্ত সহজভাবে লেখা একটা বই। বাচ্চারা বড় হলে তাদেরকে "মুক্তিযুদ্ধের দলিল" পড়তে উৎসাহ দেওয়া উচিত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বড় হওয়া একটা শিশু কখনই স্বাধীনতা বিরোধীদের অনুসারী হবে না।

সত্যান্বেষী

সাইফ তাহসিন এর ছবি

কয়েকটা ছোট প্রশ্ন করি, ঐ ৩ দিনব্যাপী চাপাবাজিতে আপ্নে কি করতে গেছিলেন? আর সেখানে গেলেই কি আপনাকে জামাত ভক্ত বলা যাবে? সেটা না হলে জামাত চালিত দোকানে গেলে বা স্কুলে পড়ালেই জামাত ভক্ত হয়ে যাবে? যারা পাকিস্তান ক্রিকেটদলকে সাপোর্ট করেন, তারা সবাই কি জামাত শিবিরের ভক্ত অথবা কর্মী হবেন? জানি না, কথাগুলো খুব মোটাদাগের হয়ে গেল না?

তবে, আপনে যদি জেনে থাকেন, দয়া করে সেই দোকান, স্কুল, ক্লিনিক বা হাসপাতালের নামগুলো উল্লেখ করলে আমি সযত্নে সেগুলো এড়িয়ে চলব।

প্রথম ধাক্কায় একাত্তরের দলিল হাতে ধরায় দিলে কতটুকু কাজ হবে জানিনা। তবে মুজাই এর 'মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস' হওয়া উচিৎ প্রথম বই, এত সংক্ষিপ্ত ভাবে সুন্দর করে গুছিয়ে লেখা বইটা যে ,আথা চিকন মোটা সবার মাথায়ই দাগ কাটতে পারবে বইটা। আর সেখান থেকে লিংক পেয়ে ইউ-টিউব সহ আরো অনেক জায়গার লিংক পেয়ে যাবে নতুন প্রজন্ম। আর সবথেকে বড় শিক্ষা তো পাবার কথা নিজের পরিবারের কাছ থেকে। সেটাতে যদি ঘাটতি পড়ে বা গোড়ায় গলদ থাকে তাহলে কোন কিছু দিয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন বলে মনে হয় না।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

ঐ ৩ দিনব্যাপী চাপাবাজিতে আপ্নে কি করতে গেছিলেন? আর সেখানে গেলেই কি আপনাকে জামাত ভক্ত বলা যাবে?

ঐ ৩ দিনব্যাপী চাপাবাজিতে ১ দিন গিয়েছিলাম কৌতুহলে। না সেখানে গেলেই কাউকে জামাত ভক্ত বলা যায় না। যেমন আমি জামাত ভক্ত নই।

সেটা না হলে জামাত চালিত দোকানে গেলে বা স্কুলে পড়ালেই জামাত ভক্ত হয়ে যাবে?

একজন মানুষ যদি নিয়মিত ভাবে জামাত চালিত মার্কেট, হাসপাতালে যায় এবং তাঁর বাচ্চাদের জামাত চালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ায়, তাহলে বুঝতে হবে লোকটা জামাত ভক্ত না হলেও জামাত সমর্থক!

যারা পাকিস্তান ক্রিকেটদলকে সাপোর্ট করেন, তারা সবাই কি জামাত শিবিরের ভক্ত অথবা কর্মী হবেন?

না, তা হবেন না। আমি তো আমার লেখাতে বলেই দিয়েছি যে "জামাতিদের চেনার সহজ এবং স্থুল একটা উপায়"। কিন্তু আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে সব জামাতিরাই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের একনিষ্ঠ সাপোর্টার।

সত্যান্বেষী

সাইফ তাহসিন এর ছবি

একজন মানুষ যদি নিয়মিত ভাবে জামাত চালিত মার্কেট, হাসপাতালে যায় এবং তাঁর বাচ্চাদের জামাত চালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ায়, তাহলে বুঝতে হবে লোকটা জামাত ভক্ত না হলেও জামাত সমর্থক!

তাহলে নামগুলো তাড়াতাড়ি দিন, চিনে নেই, পরে আবার নিযমিত যেয়ে শিবির এর রঙ গায়ে মাখতে চাইনা।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শংখ [অতিথি] এর ছবি

আসলে, ব্যাপারটা ঠিক, শিবিরের রঙ গায়ে মাখার নয়। ব্যাপারটা হলো, যখনি কেউ, এসব প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো সেবা নিচ্ছে, তার মানে হলো, কোনো না কোনো ভাবে তাদের promote করা হচ্ছে। সেটা যতো কিঞ্চিৎ পরিমানেই হোক। কারন সেবাটা টাকার বিনিময়েই নেয়া হচ্ছে। কিছুকে প্রতিহত করতে হলে সামষ্টিকভাবে প্রতিহত করতে হয়। সবাই যখন একবিন্দুতে একমত হয়ে 'না' বলবে, তখনি আসলে সেটা 'না' হওয়া সম্ভব।
-শংখ

অপরাজিতা এইত [অতিথি] এর ছবি

তার মানে এই যে সব জামাতিরা পাকিস্তান দলের সাপোর্টার,সব পাকিস্তানি সাপোর্টার জামাত নয়|

রানা মেহের এর ছবি

সাইফ
মুজাই না লিখে উনার পুরো নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল লিখলে বোধহয় খুব বেশি কালি খরচ হয়না।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপনে লিখেন, আমি মুজাই লিখতেই সাচ্ছন্দ্য বোধ করি, কালি লাগে না, তবে বেশি কি চাপা লাগে, তাতে কোন সন্দেহ নেই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রানা মেহের এর ছবি

লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করায় কারো নাম কে বিশেষ করে জাফর ইকবাল স্যারের নামকে এরকম হাস্যকর রুপ দেয়া খুব ভালো কিছু নয় সাইফ। আমিতো লিখবোই। আপনাকেও অনুরোধ করছি এভাবে না লেখার। এইটুকু 'অস্বাচ্ছন্দ্য' নিশ্চয়ই উনার প্রাপ্য।
-------------------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সাইফ তাহসিন এর ছবি

রানাপু, নাম সংক্ষেপের মাঝে আপনে বিকৃতি বা হাস্যকর কি দেখলেন ঠিক বুঝলাম না, আর 'মুজাই' প্রায় প্রতিষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত রূপ, এর মাঝে আমি কোন মকারি করছি না বা তাতে আমার শ্রদ্ধার পরিমাণ কিন্তু কমে যাচ্ছে বলে মনে হয়নি, হয়ত আপনার কাছে এমন মনে হয়ে থাকতে পারে, সেরকম হয়ে থাকলে আমি সত্যি দু:খিত, উনাকে হেয় করা বা অবমাননা করা আমার উদ্দেশ্য নয় বা ছিলও না হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শংখ [অতিথি] এর ছবি

সাইফ তাহসিনের জন্য...
http://www.amrabondhu.com/masum/1567
এই লিংকটিতে গেলে আপনি কিছু তথ্য পেতে পারেন...
-শংখ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ লিংকটি শেয়ার করবার জন্যে। যেহেতু লিংকটি এখানে চলে এসেছে তখন বলতে অসুবিধা দেখছি না, ২টা পোস্ট তুলনা করে দেখবেন কেউ? মাসুম ভাইয়ের পোস্টটি তথ্যে ঠাসা আর উপরেরটা শুধু কিছু ভুমিকা আছে, কিন্তু পোস্টের লেখক চাইলেই কিছু তথ্য দিয়ে পোস্টটাকে সবল করতে পারতেন, তা তিনি করেননি। 'ভূতের বাচ্চা' কেসের পর থেকে অপরিচিত কাউকে কেন যেন আর বিশ্বাস করতে মন চায় না, যাচাই করে নিতে ইচ্ছা হয়।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

মাসুম ভাইয়ের পোস্টটি তথ্যে ঠাসা আর উপরেরটা শুধু কিছু ভুমিকা আছে, কিন্তু পোস্টের লেখক চাইলেই কিছু তথ্য দিয়ে পোস্টটাকে সবল করতে পারতেন, তা তিনি করেননি।

জ্বী আপনি ঠিকই বলেছেন, এই পোস্টটাতে তথ্যের বড়ই অভাব। আমি তো এই পোস্ট-টাতে জামাত-শিবির নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লিখতে বসিনি, সেই ইঙ্গিত এই পোস্টের শিরোনামেই দেওয়া আছে, "জামাত এবং শিবির নিয়ে আমার কিছু কথা"। পোস্টের প্রথম দুই পেরা লিখেছি তৃতীয় পেরাকে হাইলাইট করার জন্য। এই পোস্টের মূল বক্তব্যটা তিন নম্বর পেরাতে দেওয়া আছে।

'ভূতের বাচ্চা' কেসের পর থেকে অপরিচিত কাউকে কেন যেন আর বিশ্বাস করতে মন চায় না, যাচাই করে নিতে ইচ্ছা হয়।

'ভূতের বাচ্চা' কেস আমার জানা নেই। অপরিচিত কাউকেই তো বিশ্বাস করা উচিত না! আর আমি যেহেতু আপনার কাছে অপরিচিত, আমাকেও আপনার বিশ্বাস করার প্রয়োজন নেই।

সত্যান্বেষী

অতিথি লেখক এর ছবি

http://www.mediafire.com/?dht3zhu0mtq
ডঃ জাফর ইকবাল এর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এর লিঙ্ক...

tofayel71@gmail.com

অতিথি লেখক এর ছবি

যারা বাংলাদেশে থাকেন, তাদের-কে বইটা কিনে ফেলার অনুরোধ করবো। প্রতিটা বইয়ের দাম দশ টাকা। প্রতিটা বিক্রি হওয়া বইয়ের টাকা দিয়ে নতুন বই ছাপানো হয়। দশ টাকার ছোট্ট একটা বই ডাউনলোড করে পড়ার কোন মানে হয় না।

সত্যান্বেষী

ফারাবী [অতিথি] এর ছবি

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বইটা পড়তে গিয়ে আমারও একই কথা মনে হয়েছে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সাথে অন্তত পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য এর চেয়ে ভাল ইন্ট্রোডাক্টরি বই আর হয় না। জাফর স্যারকে আন্তরিক ধন্যবাদ আর শ্রদ্ধা জানাই এমন একটা মহৎ বই আমাদের উপহার দেয়ার জন্য।

অতিথি লেখক এর ছবি

জামাত-শিবিরের কিছু কুখ্যাত প্রতিষ্ঠা্ন এর তালিকা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
ব্যাংকঃ ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ
বীমাঃ পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স লিঃ
হসপিটাল: ইবনে সিনা, আল মানার...
ইউনিভা্র্সিটিঃ চট্রগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি এবং মানারত ইউনিভার্সিটি
মেডিকেল কোচিংঃ রেটিনা
বুয়েট কোচিংঃকনক্রিট
ইউনিভার্সিটি কোচিংঃ ফোকাস
সাহিত্যিক সংগঠনঃ ফুলকুঁড়ি
কিশোর পত্রিকাঃ কিশোর কন্ঠ এবং Juvanile Voice
দৈনিক পত্রিকাঃ দৈনিক সংগ্রাম এবং দৈনিক নয়া দিগন্ত
টেলিভিশন চ্যানেল: দিগন্ত টেলিভিশন
সর্বপরি যা কিছু খারাপ তার সঙ্গেই আছে জামাত-শিবির......

tofayel71@gmail.com
..............................................................................................
যত দিন রবে পদ্মা মেঘনা গৌরী যমুনা বহমান,
তত দিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।