কদিন ধরে আয়নায় চেহারাখান দেখছিলাম। চুল, কাঁচার সাথে এক দুটা পাকা দেখা যায়, দাড়ির অবস্থাও তথৈবচ, ডেন্টিস্টের সাথে মারপিটে করে একাধিক দাঁত হতাহত, চোখের পাওয়ার সিকির ওপরে আটকে আছে অনেক দিন ধরে। এই অবস্থায় দুনিয়াদারী নিয়ে লম্বা চওড়া কিছু একটা করার চিন্তা করাই মুশকিল, ফলাফল দিনপাঁচেক হল মক্কায়। টুকটাক কিছু শেয়ার করছি…
প্রথমেই ইন্টারনেট। অন্য শহরের কথা জানিনা, তবে এই শহরে তেমন একটা ‘নেট-ক্যাফে’ নামক বস্তুর চিহ্ন চোখে পড়েনি। বাড়ি আর অফিসে কেবল, এডিএসএল দুটোই পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুজি করে মোবাইলি’র সিমের সাথে ইন্টারনেট লাগালাম। বাংলাদেশে দ্বিতীয় প্রজন্মের এজ আর জিপিআরএস প্রজুক্তি আছে। এখানে সাড়ে তৃতীয় প্রজন্মের HSPA+ চলছে। কাগজে কলমে ২১এমবিপিএস। তবে ব্যাবহার করে আরাম পাচ্ছি।
মক্কায় কুকুর নাই আর রাস্তাঘাটে অজস্র বেড়াল। বেশীরভাগ বেড়ালই খুব শুটকোও না, আবার চর্ব্যচোষ্য লালিতও না। মানুষজনকে খুব পাত্তা দেয়না। কিছু পালায়, বাকিগুলোর কান চুলকে দিলে তেমন আপত্তি করে না।
যদিও কিছুই দেখা হয়নি, তবুও একটা দেশে পা দিলে দেশের আইনকানুনের একটু ধারা আন্দাজ করা যায়। যেমন বাংলাদেশে কেউ দুই নম্বরী কিছু একটা করল। মোটামুটি ৯৫% ক্ষেত্রেই এইটা গ্যারান্টী দেয়া যায়, যে তার যে অপরাধ তার সঠিক বিচার ও সঠিক শাস্তি হবেনা। একটু পয়সাপাতি খর্চা করলেই রায়ের ডেট আপনি মরার বছরদুয়েক পরে পাঠিয়ে দেয়া যাবে অথবা আইনকে নিজের মত চলতে দিলে আপনার হয়ত শাস্তি হিসেবে একটা চটকনা পাওয়া ছিল, দেখা গেল, আপনার ওপরে দুটো কিল আর তিনটে চটকনা এসে হাজির হচ্ছে। অতএব আবার ঢালো মাল। সেরকম, এইদেশের প্রশাশন মনে হল, দ্রুত, কঠোর ও মোটামুটি জনগণের জন্য একসাইজের। তাতে মানবাধিকার, আত্মপক্ষ ইত্যাদি ইস্যু আসলেও দেশের মেকাজিম দেখলে মনে হয় যে, জনগণ, বিশেষ করে বিদেশী কর্মজীবীদের মধ্যে ‘ধরা খাইলে খবর আছে’ মনোভাবটা বেশ প্রকট। যেটা ইউরোপে অতোটা চোখে পড়েনি।
নব্বই হাজারের ওপরে লাখের কাছাকাছি একটা সংখ্যা নেন, তারপরে তাকে মোটামুটি আড়াই থেকে তিন লাখ দিয়ে গুণ করেন, তাতে যেই সংখ্যা আসবে মোটামুটি এই পরিমাণে টাকা এইবছর হজ্জ্ব উপলক্ষে খর্চা হবে। (বাংলার সর্কার সাহেবের বাজেটের দেড় ভাগের চেয়ে বড় সংখ্যা এটা) আগের জাহাজে চড়ে আর উঁটের পিঠের হজ্জ্বও নাই, আর হজ্জ্বের পরে পাজীরা হাজী হয়ে যাবে সেই আশাও নাই। তাও কিছু মানুষ যদি একটু বদলায়।
কাবার চত্বরের পাশেই দক্ষিণে তৈরি হচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যালা তারকা খচিত হোটেল (হোটেলটা কে বানাচ্ছে একটু খেয়াল করেন)। উঁটের রাখালরা প্রাসাদ তৈরির প্রতিযোগিতার ভবিষ্যতবাণী সত্যি করে ছাড়লোই! ছোটবেলায় আশা ছিল অন্ততঃ এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা আমাদের জীবদ্দশায় না দেখেই পার করতে পারব। অতি আশা দুরাশা। উত্তরে বেশ বড়সড় একটা এক্সটেনশনের কাজ হচ্ছে মনে হল। আরো আধা যুগ পরে আসলে মনে হয় দেখা যাবে।
কাবার চারপাশে প্রদক্ষিণের চত্বরের যে শ্বেতপাথর, ভয়াবহ গরমেও মোটেই অসহনীয় হয়না। এর নিচে পানির প্রবাহের কোন সিস্টেম আছে কিনা জানিনা। অনলাইনে তেমন তথ্য পাচ্ছিনা। বাইরে খালি পায়ে কোথাও পা দিলেই ফোসকা পড়া নিশ্চিত। নাকি পাথরটাই বিশেষ কোন কোয়ালিটির। অবাক হলাম!
মরুভূমির দেশে এসে, একটাই সমস্যা হচ্ছে তা হল, নাকের ফুটো শুকিয়ে খটখটে হয়ে যাওয়া। বাকি সব সহ্য হচ্ছে, কিন্তু এইটা কোন সহজ সমাধান পাচ্ছিনা। টেক্সাস, এরিজোনার কারো কোন উপদেশ আছে নাকি?
কাবার সাউন্ড সিস্টেম অসাধারণ। এতো বিশাল একটা কম্পলেক্সের প্রতিটি কোণে নিখুঁত আওয়াজ পৌঁছানো কোন প্রতিধ্বনি ছাড়া, চাট্টিখানি কথা না। আর একই সাথে কোন অংশেই আওয়াজ অসহনীয় জোরে না। শব্দভূকদের স্বর্গবিশেষ। সেই সাথে আশ্চর্য স্পষ্ট উচ্চারণ। নামাজের দৈর্ঘ কখনই অসহনীয় দীর্ঘ না। বেশ উপভোগ করছি।
এদিকে আসলেই কেমন যেন ঘোরলাগা এক পৃথিবীতে মনে হয় চলে আসি। এই পৃথিবী আমাদের সময়ের না, এই পৃথিবী ছোটবেলার স্বপ্নের মুজতবা আলীর পৃথিবী। অবাক লাগে কি আশ্চর্য প্রাঞ্জল বর্ণনাই দিয়ে গেছেন মধ্যপ্রাচ্যের হাজার কিসিমের জনসমষ্টির তার ভ্রমণকাহিনীতে। বইগুলি মিস করছি এখানে বসে।
হজ্জ্বের আগমনার্থীদের মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশীয়ই বেশী এখন পর্যন্ত অনারবদের মধ্যে। তুর্কী আর মালেদের সংখ্যাও দিনে দিনে বাড়ছে। আফ্রিকানদের সংখ্যা এখন পর্যন্ত বিসদৃশ রকমের কম। প্রতিদিন এক দেড় লক্ষ করে মানুষ বাড়ছে। চাপটা বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে। গত এক দেড় দিন হয় ইরানীরা ঝাঁক বেঁধে আসছে। স্বর্গের অপ্সরীরা সব মাটিতে নেমে আসলে এইসব পেরিয়ে ওপারে যাবো ক্যাম্নে, ম্যালা ফ্যাচাং দেখি।
---------
ফরিদ
বইমেলা
মন্তব্য
অসাধারণ লাগলো, পাঁচ ফরিদ ভাই!!
উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় আমার বন্ধুর নাক ফেটে রক্ত পড়তেসিলো, টেক্সাসেও নাকি এমন হয়। একটা কি ক্রিম টাইপের কিছু বলে আছে, তবে ও-ও জানতো না সেটা কি। শুকনা আবহাওয়ায় মনে হয় পেইন খাইতেই হবে কিছুটা। আমিও খাইসি, যদিও আমার রক্ত পড়ে নাই।
হারাম শরীফে তারাবির নামায পড়াটা বেশ আনন্দদায়ক, দেখতে দেখতে(নাকি শুনতে শুনতে?) সময় কেটে যায়। গভীর রাতে ঘুম ঘুম চোখে ফযরের নামায পড়ার সময় অদ্ভুত এক প্রশান্তিতে মন ভরে যায়।
আমরা পারিবারিকভাবে বিশ জনের একটা দল নিয়ে রমজান মাসে ওমরাহ করতে গিয়েছিলাম। সেই স্মৃতি আমার সারা জীবন মনে থাকবে।
বিন লাদেনের পরিবার বানাচ্ছে হোটেলটা? হাহ হাহ হাহ!!
ওসামা বিন Ladin.
মনে কর বসুন্ধরা, তার লগে যমুনারে নিলি, সাথে বেক্সিমকো আর মুন্নুরেও নিয়ে নিলি তাহলে মোটামুটি যা দাঁড়াবে এই দেশে বিন লাদেন পরিবার মোটামুটি সেই রকমের একটা ব্যাপারস্যাপার। সেই পরিবারের সুপুত্র এইরকম নামোজ্জ্বল করবে সেইটা কেউই ভাবেনি!
-------
ফরিদ
বছরখানেক আগে রমযান মাসে দেশ থেকে ফিরতে ট্রানজিট নিয়ে উমরার উদ্যেশ্যে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশের সৌদি এম্বেসী থেকে শুরু করে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সেইরকম হ্যাপা। প্রায় ৩ ঘন্টা ইমিগ্রেসনে থাকতে হয়েছে। মনে হয়েছিলো ব্যাটাদের ওখানে মুতুও করবো না।
মক্কা, মদীনায় কয়েকদিন থেকে ভালো লেগেছিলো। তবে মক্কার চারদিকে পাহাড় কেটে বর্ধিত করার কাজ চলছিল। বেশ ধুলা-বালু ছিলো।
আগামী মাসে হজ্জ্বের উদ্যেশ্যে রওয়ানা হবো ইনশাআল্লাহ। এতো মানুষ। কিভাবে মাত্র কয়েকদিনে এতো কার্য সম্পাদন করবো।
বিশাল ব্যবসা!!
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
ব্যাবসা হিসেব করলেও এক হিসেবে তেমন খরচের না। দূরপ্রাচ্য বা পশ্চিমা বিশ্বের অন্য যেকোন দেশে ট্যুরিস্ট হিসেবে চিন্তা করুন দুমাসের জন্য বিমান ভাড়া আর যাতায়াত সাথে থাকা খাওয়া সহ। অঙ্কটা মনে হয় তার চেয়ে বেশীই হবে।
দারুন ব্লগ!
ফরিদ ভাই, নিয়মিত মক্কা নোটস চাই।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হাসিব ভাই, লেখা খুব ভাল লেগেছে। "মক্কা নোটস" শিরোনামে সচলে একটা সিরিজ ছাড়েন। হজ্ব করার ফাঁকে ফাঁকে ব্লগ লিখবেন!
সত্যান্বেষী
লেখা ভালু পাইলাম, অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম, শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ। মনে ছোট একটা জিনিস খচখচ করতেসে।
যে শহরে মুসলমান ছাড়া অন্য ধর্মের লোক ঢুকতে দেয়না, সেখানে জনগন আসল কোথা থিকা? রসিকতা করলাম, মাইন্ড খাইয়েন না আবার। আর স্বর্গ থিকা কেডা নাইমা আইল, তাগো একা একা দেখলে চলবো ? তাড়াতাড়ি ছবি দেন :P। অবশ্য আমিতো জানতাম সৌদি গেলে সারাক্ষন পর্দার পিছে লুকায়া থাকতে হয়, তাইলে খ্যামটা নাচ দেখলেন কেমনে?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
লেখা এত ভালু পাইছি যে ২বার কমেন্টাইলাইছি। যাউকগা, আপনার ফটুক দেখনের অপেক্ষায় থাকলাম। বিন লাদেনের হোটেল এ আক রাইত ফুর্তি কইরা আইসা আরেকখান পুস্ট দিয়েন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অত্যন্ত প্রাঞ্জল বর্ণনা, পড়ে খুব ভালো লাগলো। মক্কা-মদীনায় যাওয়ার একটা স্বপ্ন সবসময়েই মনের মধ্যে আছে। দেখি কবে সে স্বপ্ন পুরন হয়।
আমার ছোট ভাই 'ভাদাইমা' হওয়ার লাইনে যাচ্ছিলো ৯০ এর দশকে। তখন ধজোর করে ধরে আরব পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। ও বিন-লাদেন কনষ্ট্রাকশন কোম্পানীতে ষ্টোরকিপারের কাজ করতো, পোষ্টিং ছিলো সৌদি রয়্যাল প্যালেসে, যেখানে তখন রিনোভেশন চলছিলো। লাদেন গ্রুপ রয়্যাল ফ্যামিলিকে ৯৭টা সেডান গিফট করেছিলো যার মধ্যে কোনও মার্সিডিস বা বিএমডব্লু ছিলো না। বোঝেন ঠ্যালা। আমরা নিলে ঘুষ এর উনারা নিলে গিফট। অবশ্য বিন লাদেন পরিবার সৌদি রাজপরিবারের পুরোনো বন্ধু। আমার ভাই অবশ্য ৬ মাসের মাথায় ভেগে আসে। আর ও সৌদি আরবে থাকতেও আমাদের বাড়ি থেকে টাকা পাঠাতে হতো।
অপেক্ষায় আছি আল্লাহ কবে আমার কাবা শরীফে বসে নামাজ পড়ার শখ পুরন করেন।
রাতঃস্মরণীয়
লেখা ভাল হয়েছে। মক্কা-মদীনার জীবন্ত ধারাভাষ্যের অপেক্ষায় থাকলাম।
মনের বড় আশা ছিল যাবো মদীনায়......
সৌদিতে অপরাধ ও অপরাধের সমান প্রয়োগ নিয়ে আরো তর্কের অবকাশ আছে। রাজপরিবারের কেউ হলে সেখানে অপরাধের বিচার হয় কিনা সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান। সব মানুষ সমান নয় - এরকম একটা অবস্থার আদর্শ উদাহরণ হলো সৌদি আরব।
নাকের বিষয়ে দুইটা পরামর্শ আছে। প্রথমটা হলো বেশি করে পানি পান করা। এতে রক্ত পড়ার অবস্থা হবে না আশা করা যায়। দ্বিতীয়ত শুস্কতা কমাতে ফার্মেসিতে নাযাল স্প্রে পাওয়া যায়। আমি ওটা ব্যবহার করি। কাজ হয় ১০০%।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ঠিক। এই যে গোলাম রসুলের অনুসারী সৌদি যুবরাজ তার কাজের লোকরে মাইরা ফালাইলো, এই ঘটনাটা লণ্ডনে না হইয়া মক্কায় হইলে এই লোকের কিছুই হইতো না। এর আগে আর কয়জনরে নিজের দেশে মারছে কে জানে?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
"সৌদি যুবরাজ তার কাজের লোকরে মাইরা ফালাইলো" - কাজের লোক ঠিক কি কাজ করতো, এইটা নিয়া মতভেদ আছে।
আল-জাযীরা নিউজে তো তা'ই বলছিলো। প্রিন্সের নাকি হোমো অনুরাগ আছে এবং সেজন্যেই তিনি বেশিরভাগ সময় লন্ডনেই কাটাতেন। ওদের এয়েবসাইটেও কিছুটা আলোকপাত করেছে।
রাতৎস্মরণীয়
আমি প্রথমেই উল্লেখ করেছিলাম আইনের অবস্থা জনগণের জন্য। সাউদ পরিবারের জ্ঞাতিগুষ্টির জন্য দুনিয়াতে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট আখেরাতেও আশা করি ভাল দলাইমলাই পাবে। সৌদীতে রাজের বিরুদ্ধে কিঞ্চিত অসন্তোষ প্রকাশ করবেন, তো আপনি মোটামুটি নিশ্চিহ্ন। কপালে গুয়ান্তানামোও জুটবে না।
নাকের বিষয়ে আপনাকে আর তাসনীম ভাই দুজনকেই ধন্যবাদ। পেরথমে লবনগোলা পানি লাগিয়ে ট্রাই করব, কাজ না করলে স্প্রে
লেখা ভালো লেগেছে।
টেক্সাসের অধিবাসী হিসাবে জানাচ্ছি আমি নিজেও একই রোগে আক্রান্ত!!! স্যালাইন ওয়াটার স্প্রে পাবেন ফার্মেসিতে -- বেসিক্যালি লবণ পানি, ওটা দিনে কয়েকবার ব্যবহার করবেন। এতে উপকার পাবেন নিশ্চিত। এই দেশের এসে কী অবস্থা হলো, নাকের পানিও পয়সা দিয়ে কিনতে হয়। আর প্রচুর পানি পান করবেন।
[হাসিবের সাজেশনও একই দেখছি]
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুই ধরনের স্প্রে আছে। একটা দেড় ইউরোর মতো দাম। আরেকটা সাড়ে আট ইউরো। পরেরটা তেল জাতীয়। সকালে একবার রাতে একবার যথেষ্ট। তেল জাতীয়টা ট্রাই করতে পারেন।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
একটা কৌতুহল হজ্ব থেকে যে রাজস্ব আসে, তার পুরো মালিকানা কি সৌদি রাজপরিবারের মানে সরকারের!
যদি এইটা হয় তবে সেটা কি ঠিক! আমার মতে এইটাকার হক যেসব দেশ থেকে মানুষজন হজ্ব করতে যায়, সেই দেশগুলোতে সংখ্যা অনুযায়ি ভাগ করে দেয়া উচিত।
সৌদি রাজপুত্র সৌদিতে এই আকাম ঘটাইলে কিছুতো হইতো না, উলটো ঐ চাকরের ফ্যামিলি দেশ ছাড়া হৈতে হতো।শ্রীলংকান মেইডের খবর বাজারে আসার পর উলটো শ্রীলংকা থেকে লোক নেওয়া বন্ধ করছে।
আমার আম্মাও এইবার হজ্বে যাইতেছে।কিন্তু এইরকম দেশে গেলে মানুষ কেম্নে পাপমুক্ত হয়, সেইটা নিয়ে আমি যথেষ্ট ডিস্টার্ব!
হজ্বের রাজস্ব বলে কিছু আছে বলে মনে হয়না। যা খর্চা তা মোটামুটি বিমান কোম্পানী, হোটেলওয়ালা, রেস্টুরেন্টওয়ালা, আর গাড়িঘোড়ার খরচেই খেয়ে নিবে।
হজ্ব তো কেউ বাদশাহ জাঁহাপনার দরবার দেখার জন্য যায়না, দেশ যদি রাসপুটিন বা, ফেরাউনও চালায় তাতেও তার সাথে হজ্বের পাপমুক্তির কোন বত্যায় হবেনা।
পাপমুক্তির কথায় মনে পড়ল, বাউল গানের দু পংক্তি, ‘হজ করিলে ভাই যদি যেত গুনা / মক্কায় জন্মিয়া কেউ পাপী হতো না’ ।
ভাই বুড়া, বাউল বলেছেন তার নিজস্ব উপলব্ধি থেকে। বাউলের সব কথা খাঁটি হলে তারাও পয়গম্বর হতেন বা নবুয়াত পেতেন। তাছাড়া কোরানে-হাদীসে কোথাও লেখা নেই যে মক্কায় জন্মগ্রহনকারী সব মানুষ তাদের পাপের ওয়েইভার পেয়ে যাবে। প্রতিটা মানুষ জন্মগ্রহন করে নিষ্পাপরূপে কিন্তু তার পরবর্তী জীবনের কার্যকলাপ তাকে ভালো বা মম্দ মানুষ বানায়। এর সাথে মক্কায় বা যৌনপল্লিতে জন্ম নেওয়ার কোন সম্পর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না। ভালো এবং মন্দ মানুষ পৃথিবীর সর্বত্রই পাবেন।
হজ করলে গুনাহ যাবে কি না তা তো ভাই আমরা বলতে পারিনা। যার উদ্দেশ্যে হজ করা একমাত্র তিনিই বলতে পারেন। যতদূর জানি, একজন ইসলাম ধর্মের অনুসারী তার ধর্মীয় অনুভূতি এবং দায়াবদ্ধতার কারনে হজে যান। যেমন, হিন্দু যান তার তীর্থে, গয়া-কাশি-বৃন্দাবনে; জিউইস যান জেরুজালেমে।
ধর্মে বা ধর্মীয় আচারে বিশ্বাস না থাকতেই পারে অনেকের। তবে স্পর্শকাতরতার বিচারে যৌক্তিকতা-অযৌক্তিকতার বিতর্ক এড়ানোই ভালো। ধর্ম এমনই একটা বিষয় যা মানুষ ধারন করে এবং পৃথিবীর সব ধর্মের মূলবানীতেই শান্তির কথা বলা। ধর্মবিশ্বাস ও সামর্থ থাকলে কেউ হজে যেতেই পারেন; আবার কেউ নাও যেতে পারেন, একান্তই ব্যাক্তিগত বিষয়।
রাতঃস্মরণীয়
পাপমুক্ত তো দেশ করবে না! করবে কর্মফল।
ভাল লেগেছে লেখাটা। আমার আব্বু-আম্মুও এখন মক্কায়। তারাও শুষ্ক আবহাওয়ার কথা বলেছে। প্রতিদিনই কথা বলার চেষ্টা করি। কিন্তু মোবাইলের খরচ অনেক বেশি। আমি দেখেছি পুরো মধ্য প্রাচ্যেই কথা বলতে অনেক পয়সা যায়।
অনন্ত
কেন যেন মনে হলো এই লেখাটার কথা জানাই।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
লেখা ভালো লেগেছে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।
বাহ্! এমনটা আগে পড়ি নাই। আপনি যদি রেগুলার ব্রডকাস্ট করেন, খুব ভালো হয় মনে হয়। আমি অন্তত বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়ব। আত্মীয়-পরিচিত জনেরা যাঁরা গত দশ বছরে গিয়েছেন, হজ্ব যাত্রীদের সুবিধার্থে করে দেয়া অনেক আধুনিকায়ন আর সুবিধার কতাহ শুনেছি, কিন্তু এভাবে নেট কানেকশন কেমন তা নিয়ে কেউ বলেন নাই!
নাকের ব্যাপারে বলি, স্কুল ফিজিক্স বলে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকলে তা আশেপাশের থেকে জলীয় বাষ্প টেনে নেয়, যে কারণে শীতকালে ভেজা কাপড় শুকোয় তাড়াতাড়ি। আমাদের দেহের থেকে পানি টেনে নেয় শুষ্ক বায়ু তাই অমন মরুভূমির দেশে। সবচেয়ে সহজ সমাধান হল তেল, পেট্রোলিয়াম জেলি/ভ্যাসেলিন। আরেকটা খুব কমদামি আর সহজলভ্য আর সচেয়ে কাজের জিনিস আছে, গরিবের জিনিস বলে তেমন কেউ ব্যবহার করে না (আমি ছাড়া!!), এর নাম গ্লিসারিন! এগুলো সবই আসলে তেলেতেলে একটা আস্তরণ তৈরি করে দেয় ত্বকের উপর, তখন আর ত্বকের জলীয় বাষ্প চট করে টেনে নিতে পারে না শুষ্ক বায়ু।
গ্লিসারিন সম্পর্কে একটু বলে রাখি, র-টা ব্যবহার করতে হয় না, দেড় থেকে দুইগুণ পানি মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন বেশি।
সফর সফল হোক। মন শান্ত হোক। ভালো থাকুন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন