দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
অন্তর শোবিজের প্রচারণা মারফৎ জানাগেল যে আগামী ১০ ডিসেম্বর ভারতের মেগাস্টার শাহ্রুখ খান আসছেন।সাথে থাকছেন রাণী মুখার্জি, অর্জুন রামপাল, প্রীতি জিনতা, মল্লিকা শেরাওয়াৎ সহ আরও অনেকে।এদের প্রায় ৬ ঘণ্টাব্যপী কর্মকাণ্ড চলবে ঢাকাস্থ আর্মি স্টেডিয়ামে।অন্তর শোবিজ প্রায় ২০,০০০ টিকেট ছাড়ছে।এর মাঝে ন্যূনতম ৫,০০০ টাকা থেকে থাকছে ১০,০০০, ১৫,০০০ এবং ২৫,০০০ টাকার টিকেট।
কর্তৃপক্ষ মূল্য অনুযায়ী টিকেট সংখ্যা জানায় নি।তাই গাণিতিক সুবিধার জন্য ধরে নিলাম ৫,০০০ টাকার টিকেট সংখ্যা ১০,০০০ (৫০%), ১০,০০০ টাকার টিকেট সংখ্যা ৫,০০০ (২৫%), ১৫,০০০ টাকার টিকেট সংখ্যা ৩,০০০ (১৫%) এবং ২৫,০০০ টাকার টিকেট সংখ্যা ২,০০০ (১০%)।এই হিসেবে ২০,০০০ টিকেটের মোট মূল্যমান সাড়ে ১৯ কোটি টাকা মাত্র।
সাধারণত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কখনই প্রকাশ করে না যে কোন খাতে কত টাকা খরচ হয়েছে।তারকারা অনেক বেশি জনপ্রিয় সেটা মাথায় রেখেই অর্থভাগের একটা হিসেব করি।ধরে নেই তারকারা পাবেন এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ সাড়ে ৬ কোটি টাকা।সরকারকে দেওয়া কর সহ অন্যন্য ব্যবস্থাপনা খরচ আরও এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ সাড়ে ৬ কোটি টাকা।এবং অন্তর শোবিজের লাভ বাকি এক-তৃতীয়াংশ সাড়ে ৬ কোটি টাকা।এটা একটা গড়পরতা হিসেব।
এখন আসি বাংলাদেশের মানুষের আয়ের হিসেবে।সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৪ লক্ষ এবং মাথা পিছু বার্ষিক আয় ১৪৪০ মার্কিন ডলার।মোট ৫২ সপ্তাহের ৪ সপ্তাহ্ ছুটি, প্রতি সপ্তাহে কর্মঘণ্টা ৪০ ধরলে, প্রত্যেক কর্মজীবি মানুষের বার্ষিক কর্মঘণ্টা ১৯২০।প্রকৃতপক্ষে আরও বেশি হবার কথা।এই হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি জন মানুষের ঘণ্টা প্রতি আয় প্রায় ৫২ টাকা(ডলার প্রতি ৬৯ টাকা ধরে)।৬ ঘণ্টায় আয় ৩১২ টাকা।২০,০০০ মানুষের ৬ ঘণ্টায় আনুমানিক আয় প্রায় ৬২ লাখ টাকা।সেখানে খরচ সাড়ে ১৯ কোটি টাকা।দুই-তৃতীয়াং টাকা দেশেই থাকছে ধরে বোঝাটা কমে যাবে।দেশের সাড়ে ৬ কোটি টাকা মাত্র ৬ ঘণ্টাতেই অন্য দেশে চলে যাচ্ছে।
আমার এই হিসেব-নিকেষে অনেকেই ভাবতে পারে যে অন্তর শোবিজের সাথে আমার কী শত্রুতা।আমার কোনই শত্রুতা নেই।এট সারা দেশের অর্থপাচারের একটা উদাহরণমাত্র।আমাদের ভেতর এই অপচয়ের সংস্কৃতিটা বেশ ভালোভাবেই শেঁকড় গেড়েছে।যেখানে আমাদের দেশের অনেক লোকই এক বেলা খবার পর ভেবে পায় না যে পরের বেলাতে খাবার জুটবে কি না সেখানে আমরা কেএফসি তে খাই যারা আবার দেশি মুরগি খাওয়াতে ভয় পেয়ে সব মুরগি ভারত থেকে কিনে আনে।
যাদের টাকা আছে তারা খাবে, যাদের নাই তারা না খেয়ে থাকবে এটাই পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যের মূলনীতি।যাদের টাকা আছে তারা কেএফসি তে খাবে কিংবা শাহ্রুখের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগ করবে।তাতে আমি বাধা দেয়ার কেও না।শুধু অনুরোধ আমার মনগড়া হিসেবটা মাথায় না রাখলেও ব্যস্ত জীবনের কিছুটা সময় খরচ করে নাখেয়ে থাকা মুখগুলোর কথা একটু ভাবুন আর সম্ভব হলে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন।
মন্তব্য
স্পন্সরদের কাছ থেকে আয় ধরলেন না যে
ভেবেছিলাম।পরে লিখতে গিয়ে বাদ পরে গেছে।এখানে তো লেখায় ভুল পরিমার্জণের কোন সুযোগ নেই।
স্পন্সর থেকেও অনেক টাকা আসবে।তাই ঠিকমত হিসেব করলে পাচার হয়ে যাওয়া টাকার পরিমাণটা ১০ কোটি ছাড়াবে বলেই আমার বিশ্বাস।
২০০-৫০০ টাকা টিকেট দিয়ে ওয়ারফেজ, মাইলসের কনসার্টেও কিছু গান শোনা যায়। এরা কি পারফর্ম করবে? মঞ্চে এসে হাই-হ্যালো আর কিছু রেকর্ডেড গানের সাথে নাচ। না বাবা, আমি এতে নেই। টাকা অনেক মূল্যবান। কষ্ট করে কামাই করতে হয়।
রাতঃস্মরণীয়
হ্যাঁ ভাই টাকা উপার্জণ করা মোটেও সহজ না।আর শ্রমজীবিদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরো কঠিন।তাই এত সহজে অপচয় না করাটাই ভালো।
আর এই টাকা দিয়েই অনেক ভালো কাজ করা সম্ভব।
তাই বলে চিত্তবিনোদনের বিষয়টাকেও একদম উড়িয়ে দেবো না আমি। তবে কথা হচ্ছে চিত্তবিনোদনের মাধ্যম এবং সংশ্লিষ্ঠ ব্যায়। ব্যাক্তিবিশেষে "বেষ্ট ভ্যালু ফর মানি" ডিফার করে। চিত্তবিনোদন যেমন প্রয়োজনীয়, তেমনই সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর জন্যে যার যার অবস্থানে থেকে সামর্থানুযায়ী কিছু করাটাও প্রয়োজন।
রাতঃস্মরণীয়
আমি কিন্তু বিনোদনে যেতে না করি নি।বলেছি গেলেও ঐসব অনাহারীদের কথাটাও ভেবে দেখতে।
লেখাটা অনেকেই পড়ছে কিন্তু মন্তব্য করছে না।মনে হয় তারা শাহরুখকে দেখতে যেতে চাই।আমি কী চাই তা ঠিক বুঝতে পারছি না।
ভাই, শাহরুখ দর্শনেও যদি ব্যয় করি, আবার না খেয়ে থাকা মানুষগুলোর দিকেও যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে তাহলেও নিশ্চয়ই না করবেন না?
কোন ক্ষেত্রেই সমস্যা নাই।যার যার টাকায় সে সে যাবে।তবে একটা অনুরোধ রেখেছিঃ
দেবাশিস ভাই, আপনার মূল বক্তব্যটার সাথে আমার অমত নেই, এগুলো খানিকটা অপচয় বলেই মনে হয় আমারও। যদিও, যাঁদের টাকা আছে তাঁরা যেতেই পারেন, যাঁরা শাহরুখের ভক্ত তাঁরা যেতেই পারেন, যাঁরা উন্মাদ ভক্ত তাঁরা টাকা এমনিতে না থাকলেও চেষ্টাচরিত্র করতেই পারেন যাওয়ার। আমার আপত্তি করার কিছু নেই। বিনোদন এবং উপার্জিত অর্থ ব্যয় করার ক্ষমতা দুটোতেই লোকের স্বাধীনতা আছে। তবে সেগুলো নিয়ে বাড়াবাড়িও হচ্ছে বইকি।
আপনার সংখ্যাভিত্তিক বিশ্লেষণগুলো নিয়ে দুএকটা কথা বলি বরং। আমি অর্থনীতি নিয়ে বিশেষ কিছু জানি না, পরিসংখ্যান নিয়ে সামান্য কাজকর্মের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। আপনি এই বিশ্লেষণে প্রচুর অনুমান (assumption) করেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলো ছাড়া হিসাব করা সম্ভব নয়। আর তাছাড়া আপনার করা অনুমানগুলো মোটামুটি যুক্তিযুক্তও বটে। তবে আমাদের লাইনে প্রচলিত নিয়ম হল, হিসাব করার সময় রক্ষণশীল (কনজার্ভেটিভ) থাকা, তাই আর কি... ২৫০০০ টাকা দামের টিকিট যদি ১০% এর বদলে ৫% ছাড়া হয়, তাহলেই মোট আয় ঝপ করে ৪ কোটি কমে যায়। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার অনুমিত অনুপাতগুলো কমবেশি হলে অনেকটা ওভারএস্টিমেট হবার সম্ভাবনা থাকে।
মানুষের মাথা পিছু বার্ষিক আয় থেকে যখন ঘন্টা পিছু আয়ে গেলেন, তখন সেটা করতে গিয়ে কর্মঘন্টা (শব্দটা পছন্দ হল না যদিও) নিলেন কেন বুঝলাম না। ওই ছ ঘন্টা কি তাঁরা কাজ থেকেই দিচ্ছেন? তা তো নয়। বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই নয়। আর তাছাড়া মাথা পিছু বার্ষিক আয়ের হিসাবে তো প্রচুর লোক যাঁরা সরাসরি কাজের মাধ্যমে উপার্জন করেন না তাঁদেরও হিসাবে রাখা হচ্ছে।
গড়ে ২০,০০০ মানুষের আয় ঘন্টায় ৫০ টাকাই হল মনে করুন। কিন্তু শো দেখতে তো ওই ১৬ কোটি মানুষের বেশিরভাগই যাচ্ছেন না। যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁদের ওই ১৬ কোটির বেশিরভাগের তুলনায়ই বেশি সঙ্গতি আছে, তাই তাঁরা ৫-১০ হাজার টাকার টিকিট কাটতে পারছেন, তাই না? সর্বত্রই আয়ের বৈষম্য বেশ বেশি, আপনি যদি একটা অনুমান দিতে পারতেন, বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্তদের, যাঁরাই মূলত এই সব শো দেখতে যাবেন, কেএফসিতে খেতে যাবেন, গড় আয় কত, তাহলে বরং অনেক ইন্টারেস্টিং হত। তখন হয়ত দেখা যেত, এই ১০০০০ টাকাটা এক জনের এক সপ্তাহের গড় মাইনে। সেই এক সপ্তাহের মাইনেটা ৬ ঘন্টায় ফুঁকে দেব কি না, বন্যার সময় এর কতটুকু ত্রাণে দান করেছি, এই প্রশ্নগুলো প্রাসঙ্গিক হয় তাহলে। আমাদের এখানে দিনে গড় মাইনে পাই ৬০ ডলার। তার অর্ধেকই চলে যায় বাসা ভাড়ায়। এর পর ১৫০ ডলার দিয়ে কোনো ছাত্র কোনো নামী পপস্টারের শো দেখতে যাবে কি যাবে না, এগুলো খুব ইন্টারেস্টিং ডিলেমা হয়। আমার মতে, এই পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনাটা আরো জমত।
মনে হচ্ছে আমার গবেষণাতে কিঞ্চিৎ ফাঁক থেকে গেছে।আপনার চাওয়া অংশগুলো লেখাটাতে জুড়ে দিতে পারলে বেশ ভালো হত।এখন আর কী করার!! ভবিষ্যতে এমন বিষয়ে লিখতে গেলে অবশ্যই এই ব্যাপারগুলো ভেবে দেখবো।
লেখাটা শো দেখতে যাওয়া ২০,০০০ লোকের বিরুদ্ধেই হয়ে গেছে।তাদের পক্ষেও দু-চারটা কথা লিখলে বোধহয় বেশি নিরপেক্ষ হত।
মাথা পিছু গড় আয় হিসাবের সময় আপনি পিপিপি হিসাব করে আবার সেখানে ডলার পিছু ৬৯ টাকা ধরেছেন - এটা থিক হয়নি। নমিনাল হিসাবে মাথাপিছু আয় নিয়ে (৫৫১-৫৮৩ ডলার) তাকে ৬৯ দিয়ে গুণ করে টাকায় রূপান্তর করুন।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
হুম, সেটা করলে আরও ভালো হত।কিন্তু অতিথি লেখক হিসেবে পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই আমার।
সেখানে আমরা কেএফসি তে খাই যারা আবার দেশি মুরগি খাওয়াতে ভয় পেয়ে সব মুরগি ভারত থেকে কিনে আনে।
এই ধারনার কোন তথ্যসুত্র দিতে পারেন?
ভাই,অনেকদিন আগের কথা।ঠিক এখন লিঙ্ক দিতে পারছি না।তবে খবরটা দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার শুরুর দিকের রিপোর্ট।ট্রান্সকমের বিভিন্ন দুর্ণীতির খবরাখবরের সিরিজে এই খবরটাও ছিল।আমার যতদূর মনে পরে, প্রতি সপ্তাহে কেএফসির ভারত থেকে কেনা মুরগি বাবদ কোটি টাকার উপরে খরচ করা হয় অথবা দেখানো হয়।
আপনার যদি বেশিই দরকার হয় তো আমাকে কষ্ট করে লিঙ্কটা খঁজে বেড় করতে হবে।
সাড়ার অপেক্ষায়।
শাহরুখ খানকে দেখতে যাবার জন্য মানুষ ২৫,০০০ টাকা খরচ করবে!
কাকস্য পরিবেদনা
লাখো অনাহারীর পাশে হাজার লোক তো আছে এই টাকা খরচ করার মত।আশা করি সব টিকিটই বিক্রি হবে।
এ আর নতুন কি,যদ্দুর মনে পড়ে, সেই ইন্ডিয়ান আইডল দিয়ে অন্তর শোবিজ এই রমরমা ব্যবসা ফেঁদে আসছে, হাজার হোক, লোকের তো আর অভাব হয়না।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
হ্যাঁ, ভাই, সেই তখন থেকেই শুরু।
বাংলাদেশে পাঁচ হাজার আর দশ হাজার টাকা দিয়ে টিকেট কেটে এই তামশা কারা দেখতে যাবে জানতে মঞ্চায়। এদের সবাইকে সবুজ বাঘের তামসিক খিচুড়ি খাওয়ান হোক।
আসলে বাংলাদেশ একটা অদ্ভুত দেশ। যারা এই শো উপভোগ করতে যাবেন তাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যাদের আয় শাহরুখ খানের চাইতেও বেশি।
অনাহারী মানুষ কোনো অজুহাত নয়। আমি যতোক্ষণ পর্যন্ত অনাহারী মানুষের পেটে লাথি মারছি না, ততোক্ষণ পর্যন্ত তাদের অনাহারে থাকার জন্য আমার কোনো দায় নেই। আমার টাকা দিয়ে তাদের জন্য খাবার কিনবো, নাকি শাহরুখের শো দেখবো, তা আমার নিজস্ব ব্যাপার।
এখানে হিসেবটা মূলত অর্থনৈতিকভাবে দেশ লাভবান হচ্ছে, নাকি ক্ষতির শিকার হচ্ছে। শাহরুখ, প্রীতিজিনতা, মল্লিকার সাপের চুম্বন প্রোডাক্টের বিনিময়ে আমরা কি বিক্রি করতে পারছি বা ওই প্রোডাক্ট আমাদের কি প্রোডাক্টিভ কাজে লাগছে, সেই হিসেব করেই তাদেরকে শো করতে দেয়া বা না দেয়া উচিত।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ভাই,ভালোই বলেছেন।আমার প্রতিবেশী না খেয়ে থাকলে যদি আমার কিছু না করার থাকে তাহলে নৈতিকতা আর কোথায় থাকলো??তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো এবং সাধ্যমত সাহায্য করাটা অবশ্যই নৈতিক দ্বায়িত্ব।এটাকে পাশ কাটিয়ে গেলে অবশ্যই আপনার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।আমি ধর্মীয় জুজু মার্কা পরকালেও বিশ্বাসী না তাই আপনাকে সে কথাও বলবো না।তবে এই নৈতিকতাটা আমাদের মানবিকতার মাঝেই পরে।
আমি মনে করি আপনি আমার চাইতে বেশিই বুঝেন।তাই আপনাকে বুঝানোর বৃথা চেষ্টাটাকে আর দীর্ঘায়িত করবো না।
লেখায় লেখকের মূল বক্তব্যটা ধরতে পেরেছি বলে মনে হলো।
...নৈতিক দিক দিয়ে ঠিক সমর্থনযোগ্য হয়তো এটা নয়- কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন- এই ম্যাট্রিক্সের ভেতরে তো আমরা সকলেই আছি। আমরা ব্লগিং করছি- ইন্টারনেট কানেকশনের পেছনে টাকা ঢালছি; এই খরচটাও তো অনাহারী মানুষের পেছনে করা যেতো- নাকি ?? এভাবে তো আসলে বিশ্বজোড়া দারিদ্র্য দূর করা যাবে না, এভাবে সেটি হবারও নয়...
কাজেই যিনি শাহরুখের শো'এর পেছনে খরচ করবেন- যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি সৎভাবে টাকাটা উপার্জন করে যাচ্ছেন- ততক্ষণ তার মর্জিমত খরচ করবার অধিকার তার আছে। আমার মত এটাই।
_________________________________________
সেরিওজা
ভাই, তুমি ঠিক কী বুঝলা আমি আবার তা বুঝলাম না।যাই হোক, পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আমি ঠিক সাম্যবাদী কিংবা সমাজতান্ত্রিক সমাজ চাচ্ছি না।বলছি না যে আমাদের সব কর্মকাণ্ড থামিয়ে দিয়ে সেই টাকা গরিবদের জন্য খরচ করি।বলছি না যে দুনিয়ার সকল অবস্থাসম্পন্ন মানুষ একবেলা কম খেয়ে সেইটাকা গরিবদের দান করি।আমার কথা হলঃ আমরা সপ্তাহে ২১ বেলা রুটি/ভাতের সাথে মাছ/মাংস/ডিম খেতে পারলে তার দুয়েকবেলা এই মাছ/মাংস/ডিম এর বদলে সবজি খেয়ে টাকাটা গরিবদের দিতে পারি।মাসে ৮ বার কেএফসি, পিৎজাহাট এ গেলে একবার কম গিয়ে গরিবদের টাকাটা দেই।বলছি না যে, কেএফসি, পিৎজাহাট এ যাওয়াই বন্ধ করে দেই।সারা দুনিয়ার হিসেবে না যাই, অন্তত আমার বাংলাদেশের কথা ভাবি, তবে আমার ধারণা অবস্থাসমপন্নদের এই সামান্য বাঁচানো টাকা অনেক গরিবের সাহায্যে আসবে।
নতুন মন্তব্য করুন