মাঝরাতে জেগে উঠি
চোখ থেকে বিভোর ঘুমের ঘোর কাটতে না কাটতেই
স্বচ্ছ স্বপ্নের দল আমাকে ভাসালো আনন্দে
আধো ঘোরে আমি তাঁর স্নিগ্ধ হাতটি খুঁজি
ভালোবাসার হাতটি তাঁর
আহা কি মধুর কোমল ভরসার
পাশে নেই শুয়ে,
জানালায় দেহ মেলে দিয়ে ঠায় আছে দাঁড়িয়ে
ঝাপসা আঁধারির অনির্বচনীয় মূর্তিমায়
অন্ধকার তখন নিপুন শিল্পীর মতো
জোনাকি রঙে আঁকে প্রতিমার
আবছা অবয়ব
নগ্ন মাতৃত্বের ভার যেন তাঁর ছুঁয়েছে শরীর
নোনাধরা মান্ধাতা বাড়ীটির
উঁচু জানালার গ্রীল ছাপিয়ে দৃষ্টি তাঁর
পাখা মেলে নিঃসীম নীলিমায়
বিছানার আরাম ছেড়ে সন্তর্পণে
পিছু নিই উৎসুক আমি
চুপিসারে, চিতার নরোম পায়ে
এগোই পায়ে পায়ে
চোখ তাঁর উড়ে উড়ে ঘুরে
নীলাকাশে, স্পন্দমান মেঘের ডানায়
সেখানে জোছনার টসটসে রসে
ভরা চাঁদ পিঙ্গল বরণ
এ বুঝি আশৈশব লালিত
ভালবাসা-স্বপ্ন-স্বাদ
অব্যক্ত, অনাদৃত?
ম্রিয়মাণ চোখে তাঁর শতাব্দীর ক্লান্তির ভার
উদাস আত্মা তাঁর আজন্ম বিবাগী
পায়নি এতটুকু অবসর দুদন্ড জিরোবার
পিপাসার সান্ত্বনায় স্বস্তির সরোবর
একটি কোমল বুক মাথা রাখবার
অনিকেত পথচারী হয়ে কুয়াশার পথে
হেঁটে গেছে সারাটি জীবন
এই মায়াবিনী রাত অকস্মাৎ
তাঁকে স্বরূপে উম্মোচিত করে
নিঃসঙ্গ, ভরন্ত, ষোড়শী চাঁদের আদলে
স্পন্দমান সাদা সাদা মেঘের জানালায়
আটকে থাকা চাঁদ এক পিঙ্গল বরণ।
রোমেল চৌধুরী
(Ahmed Bulbul Islam রচিত 'Red Moon' এর ছায়া অবলম্বনে)
মন্তব্য
"চোখ তাঁর উড়ে উড়ে ঘুরে
নীলাকাশে, স্পন্দমান মেঘের ডানায়
সেখানে জোছনার টসটসে রসে
ভরা চাঁদ পিঙ্গল বরণ"
ভাল লাগা জানিয়ে যাই।
ফারাবী
ফারাবী ভাই,
ধন্যবাদ রইল।
রোমেল চৌধুরী
নতুন মন্তব্য করুন