সাবরিনা সুলতানা
গত ২৫শে সেপ্টম্বর' ১০ তারিখে প্রথম-আলো পত্রিকায় "পরীক্ষায় প্রতিবন্ধীরা ১৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় পাবে" শীর্ষক একটি সংবাদ দৃষ্টি গোচর হয়। উল্ল্যেখিত সংবাদে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাসহ দেশের সব পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় বরাদ্দ দেওয়ার এবং পরীক্ষায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের পাশাপাশি সেরিব্রাল পালসিজনিত (অপরিণত মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধিতা) এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও প্রথমবারের মতো শ্রুতিলেখক নিয়োগের সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি আন্ত:শিক্ষা বোর্ডের সভায় চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পাওয়ার কথা জানতে পারি।
নিঃসন্দেহে এটি প্রশংসনীয় উদ্দ্যেগ। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রিসহ সংলিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তবে সময়টি যদি নূন্যতম আধঘন্টা দেওয়া হতো পরীক্ষার্থিদের জন্যে আরো ভালো হতো।
আমার ছোট বোনটি এবার আসন্ন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যা আগামী ৪ তারিখে শুরু হতে যাচ্ছে। প্রায়শই পরীক্ষার হলে সীমিত সময়ের মধ্যে সবার মতোন তাড়াহুরো করে লেখা তার পক্ষে সম্ভব হয় না। সব সময়েই দেখা যায় হাতের সমস্যার কারণে দশ/পনেরো নাম্বার ছেড়ে দিয়ে আসতে হয় তাকে। সত্যি কথা বলতে কি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পনেরো মিনিট প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম সময়। যেহেতু তারা দ্রুত লিখতে সক্ষম নয়। নাম্বার ছেড়ে দিয়ে আসতে হয়। এছাড়াও শ্রুতিলেখকের সাহায্যে পরীক্ষা দিতে গেলেও কিছুটা সময় বাড়তি লাগে। আমার মতে বিষয়টির মানবিক দিক বিবেচনায় রেখে পরীক্ষার সময় অন্ততপক্ষে আরো আধঘন্টা উচিৎ। এতে করে সবাই উপকৃত হবে।
লেখাটি সেদিন-ই তাৎক্ষনিক লিখে ভেবেছিলাম শিক্ষামন্ত্রি বরাবরে আবেদন করবো। কিন্তু সুযোগের অভাবে সম্ভব হয়নি। যাই হোক, একে তাকে ফোন করে করে হয়রান হয়ে, এবং অনেক দৌড়াদৌড়ি- অনেক ঝক্কি ঝামেলা পোহানোর পরে স্কুল কতৃপক্ষকে রাজী করাতে পেরেছি। আমার ছোটবোনটির জন্যে পনেরো মিনিট বাড়তি সময়টুকু তারা দিয়েছে। একতলায় আলাদা রুম দিয়েছে। এবং আশা করছি আমার মাকেও ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
মন্তব্য
খবরটা জানতাম না, জেনে খুব ভালো লাগলো।
সহমত।
আপনার ছোটবোনের জন্য শুভকামনা।
আপনার প্রচেষ্টা অবহ্যাত রাখুন, অনেক শুভেচ্ছা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
শুভকামনা নিরন্তর।
সাবরিনা সুলতানা
প্রশংসনীয় উদ্দ্যেগ। আপানার ছোটবোনটির জন্যে শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
শুভকামনা নিরন্তর।
সাবরিনা সুলতানা
ভালো উদ্দোগ কোন সন্দেহ নেই, সময় আধাঘন্টা করা হলে খুব ভালো হত, কিন্তু দেখা যাবে সেখানেও দূর্নীতি ঢুকে যাবে, যেভাবে এখনও মানুষ মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দেখিয়ে বেড়ায়। তবে আমাদের এই সব ক্ষেত্রে আরো নজর দেওয়া উচিত। লেখা ভালো লেগেছে, কিছু টাইপো আছে, আশাকরি সেগুলা কমে যাবে ভবিষ্যতে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সময় আধঘন্টা হলে অন্তত ভুক্তভূগীরা তো উপকৃত হবে। যাই হোক, ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
শুভকামনা নিরন্তর।
সাবরিনা সুলতানা
সাবরিনা,
শুভ সূচনা - বাংলাদেশের পরিপেক্ষিতে - সন্দেহ নেই। তবে আরও অনেক, অনেক কিছু করা দরকার। তোমাকে একটা তথ্য জানিয়ে রাখি - যদি কখনো প্রয়োজন হয় কতৃপক্ষের সাথে কথা বলার সময়।
আমেরিকার পাবলিক শিক্ষা ব্যবস্থায় হাই স্কুল পর্যন্ত (ক্লাশ-১২) শিক্ষা সবার জন্যে ফ্রি। আমার স্ত্রী এমনই এক স্কুলে 'স্পেশাল নীড'-এর বাচ্চাদের ক্লাশ নেয়। তবে এছাড়া পয়সা দিয়ে প্রাইভেট স্কুলেও যাওয়া যায়।
আমার ছেলে এবং মেয়ে দু'জনেই পাবলিক স্কুলে শিক্ষালাভ করেছে এবং ক্লাশ-১২ এর পর দু'জনেই একই রকম 'ডিপ্লোমা' লাভ করেছে। যেহেতু আমার ছেলে পড়া-লেখা দূরে থাক, নিজে থেকে কথাও বলতে পারে না - তাকে আর তার বোনের মত কঠিন কঠিন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়নি।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আপনার তথ্যের জন্যে ধন্যবাদ। তবে এটিও সত্য সেখানকার শিক্ষা ব্যবস্থার তুলনায় আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক ত্রুটি আছে। এতে মানুষের প্রতি জনবান্ধব হওয়া বা প্রতিবন্ধিবান্ধব হওয়া শেখায় না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
শুভকামনা নিরন্তর।
সাবরিনা সুলতানা
একটা চিন্তা মাথায় আসলো। লিখে রাখি।
আমি যদ্দুর বুঝি প্রতিবন্ধিদের মধ্যে নানারকম প্রকার আছে। যেমন কারো দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা, কারো শ্রবনে সমস্যা, কারো অন্য ধরনের সমস্যা। এদের সবার জন্য ১৫ মিনিট সময় মনে হয় একটু অবিচার হয়। যেমন ধরুন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য আরো সময় দরকার হতে পারে। স্মায়ুবিক সমস্যার কারণে যারা হাতের লেখা দ্রুত করতে পারেন না তাদের জন্য আরেক রকম সময়ের দরকার হতে পারে। আবার এরকম অবস্থাও কল্পনা করা যায় যেখানে শারিরীক সমস্যা লেখার জন্য কোন অন্তরায় নয়। সেক্ষেত্রে তার ১৫ মিনিট সময় দরকার নেই। এই বিভিন্ন ক্ষেত্র মাথায় নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার্থীর জন্য বিভিন্ন সময় বরাদ্দ করা উচিত বলে মনে হয়। এই বিষয়টা সুরাহা করতে একটা তালিকা করা যেতে পারে কোন ক্ষেত্রে কতটা সময় লাগবে। এই তালিকায় কোন ছাত্র কোথায় পড়বে সেটা নির্ধারণ করবে একজন চিকিৎসক। আইডিয়াটা কেমন মনে হয় আপনার?
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আপনার আইডিয়াটা খারাপ নয়। তবে কি জানেন, আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে যেখানে এই পনেরো মিনিট সময় পাবার পরেও আমাকে আজকের দিন পর্যন্ত অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়েছে শুধু কাগজে লিখে এটি আদায় করার জন্যে সেখানে আইন করার পরেও, একেকজনের জন্যে একেকরকম সময় আদায় করে বের করাটা সাধারণ মানুষের জন্যে কি হতে পারে ভেবে দেখেছেন একবার!? এখানে আপনাকে একটা কথা জানিয়ে রাখি, আমি কিন্তু পনেরো মিনিট বাড়তি সময় এবং আনুষাঙ্গিক সুবিধে চেয়ে যে আবেদন করেছি তার শুধু মাত্র মৌখিক অনুমতি পেয়েছি! আজ সারাদিন বোর্ড অফিসে বসে থেকেও এবং অনেকবার অনুরোধ করেও একটা লিখিত অনুমতি বের করতে পারলাম না!! এই হচ্ছে আমাদের দেশ!
যাই হোক, আমার পরিচিত ছিলো বলে কোনভাবে একজন সাংবাদিক দিয়ে ফোন করিয়ে মৌখিক অনুমতিটা আদায় করতে পেরেছি। কিন্তু আমার মতোন সবার এমন পরিচিতি নাও তো থাকতে পারে!
এখানে ছোট্ট একটি ভুল হচ্ছে আপনার। যেমন আমার ছোট বোনটিও শারীরিক প্রতিবন্ধি। এবং তার হাতে পায়ে সবখানেও সমস্যা। লিখার গতি স্লো। এবং আরো স্লো হতে থাকবে ধীরে ধীরে। ওর রোগটিই এমন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
শুভকামনা নিরন্তর।
সাবরিনা সুলতানা
আমি ভুল করিনি কোথাও। আমার মন্তব্যটা নৈর্ব্যক্তিক ছিলো। কাউকে উদ্দেশ্য করে নয়।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আবার এরকম অবস্থাও কল্পনা করা যায় যেখানে শারিরীক সমস্যা লেখার জন্য কোন অন্তরায় নয়। সেক্ষেত্রে তার ১৫ মিনিট সময় দরকার নেই।
এখানে ছোট্ট একটি ভুল হচ্ছে আপনার। যেমন আমার ছোট বোনটিও শারীরিক প্রতিবন্ধি। এবং তার হাতে পায়ে সবখানেও সমস্যা। লিখার গতি স্লো। এবং আরো স্লো হতে থাকবে ধীরে ধীরে। ওর রোগটিই এমন।
আসলে আমার নিজেরই একটু বলতে ভুল হয়েছিলো। আমি আমার ছোট বোনের উদ্ধৃতি দিয়ে বোঝাতে চেয়েছি, শারীরিক সমস্যাও লেখার অন্তরায় হতে পারে অনেকের জন্যে। যেমনটা আমার বোনের হয়। সীমিত সময়ের পরীক্ষায় সে অন্ততপক্ষে ১০/১৫ নাম্বার ছেড়ে দিয়ে আসে। এমন অনেকেরই হতে পারে লেখার গতি স্লো হবার কারনে। অথচ ধীর গতিতে হলেও তারা যদি নিজেরাই লিখতে সক্ষম হয় তাদের সেই চেষ্টাই করতে দেওয়া উচিত আমার মতে।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
শুভকামনা নিরন্তর।
সাবরিনা সুলতানা
.প্রশংসনীয় উদ্দ্যেগ। আপনার ছোটবোনের জন্য শুভকামনা।
love the life you live. live the life you love.
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
শুভকামনা নিরন্তর।
সাবরিনা সুলতানা
প্রশংসনীয় সূচনা। যেতে হবে আরো অনেকদূর।
আমরা এখনো প্রতিবন্ধীদের 'কল্যান' পর্যায়ে আছি, মানে প্রতিবন্ধীরা আমাদের দয়ার মুখাপেক্ষী। মন্ত্রনালয়ের নাম দ্রষ্টব্য।
এখান থেকে প্রথমে সরে গিয়ে আমাদের প্রতিবন্ধীদের 'অধিকার নিশ্চিত' পর্যায়ে যেতেই অনেকটা কাজ করতে হবে।
আর যেখানে গেলে বাংলার 'হকিন্স' রা আর নিভে যাবেনা সেটা আরো কত দশক দুরে আছে কে বলবে?
কথা সঠিক!
তবে আমরা আশাবাদী। আশা করতে দোষ কি সে দিন আর বেশি দূরে নেই যেদিন প্রাণ খুলে আমরা খোলা আকাশের নিচে শ্বাস নিতে পারবো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
শুভকামনা নিরন্তর।
সাবরিনা সুলতানা
পরীক্ষা তো নয়, হাতের লেখার প্রতিযোগীতা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
শুভকামনা নিরন্তর।
সাবরিনা সুলতানা
অতিরিক্ত অন্তত ত্রিশ মিনিট দেওয়া উচিত ছিল।
ধন্যবাদ সুমিমা।
ভালো থাকুন।
শুভকামনা নিরন্তর।
সাবরিনা সুলতানা
হাসিব ভাইয়ের মন্তব্যে পুরোপুরি সহমত।
বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত অতিরিক্ত ১৫ মিনিটের জন্যই শুকরিয়া। অন্ততপক্ষে শুরুটুকু হয়েছে।
কাকস্য পরিবেদনা
হুমম ......সে আমিও মানি। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সরকারের এই উদ্দ্যেগকে সাধুবাদ। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগের দিন রাতে জানলাম অতিরিক্ত এই পনেরো মিনিটের সুবিধে সবার জন্যে নয়। শুধুমাত্র শ্রুতি লেখক নিয়োগপ্রাপ্তরা এই সুবিধে পাবে। শুনে খুব খারাপ লাগলো। কেউ সুবিধাটুকু পাবে আর কেউ বঞ্চিত হবে, এ কেমন বৈষম্য! আমার ছোট বোন অনেক ধীর গতিতে লেখে। যার ফলে তাকে বেশ কিছু নাম্বার ছেড়ে দিয়ে আসতে হয়। এমন তো আরো অনেক শারীরিক প্রতিবন্ধি-ই আছে যারা শারীরিকভাবে দুর্বল। সবার জন্যেই এই সুবিধা সমানভাবে প্রযোজ্য।
যাই হোক, মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
শুভকামনা নিরন্তর।
সাবরিনা সুলতানা
সময় নিয়ে ক্যাচাল কোনো কাজের কথা না। শারিরীক সমস্যাভেদে আলাদাভাবে যোগ্যতা মূল্যায়নের পদ্ধতির দিকে যাওয়া উচিত।
শারিরীক সমস্যাহীন ছাত্রদের জন্যও পরীক্ষার সময় একটা সমস্যা। আমাদের 'আমলে' এইচএসসিতে বাংলায় ১৪টা প্রশ্নের উত্তর লিখতে হতো। লেখার গতিতে আমি স্পিডি গঞ্জালেস; কিন্তু মুখস্ত করতে না পারার অযোগ্যতার ফলস্বরূপ একটু চিন্তাভাবনা করে উত্তর গোছাতে গিয়ে হিমশিম খেতাম। ১৫ মিনিট বা আধাঘন্টা বেশি পেলেই সেই হিমশিমের হাত থেকে নিস্তার পেতাম না। শারিরীক সমস্যার কারণে যারা দ্রুত লিখতে পারবে না এবং একই সাথে চিন্তা করে লিখতে হবে, তাদের পক্ষে ৩০ মিনিট বেশি পেলেও ১০০ উত্তর করা সম্ভব না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে। যদিও আমি এই লেখাটি ক্যাচাল করার উদ্দেশ্যে দেইনি। আমার উদ্দেশ্য ছিলো সবাইকে জানানো সরকারের এই উদ্দ্যেগ সম্পর্কে এবং আরো কিছু সময় বাড়ালে উপকারীতা কি হতে পারে তা।
ভালো থাকুন।
শুভকামনা নিরন্তর।
সাবরিনা সুলতানা
নতুন মন্তব্য করুন